ঠা জু কক (সু স্তব্ধ ষ্ঠ খও উরে ১০, শ্যামাচরণ দে সত্রীটী 4 কঙ্গিকাতা-৭ও প্রথম প্রকাশ? ১৩৬২ সবিতেন্দ্রনাথ রায় মণীশ চক্রবতরঁ মগ ও ঘোষ পাবালশার্স প্রাঃ লিঃ, ১০ শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কালকাতা-৭০০০৭৩ হইতে এস, এন, রায় কর্তৃক প্রকাশিত ও বাণী মুদ্রণ, ১২ নরেন সেন স্কোয়ার হইতে বংশশধর সংহ কর্তৃক মদাদ্ুত সুচীপত্র ভূমিকা ডঃ অরুণকুমার মুখোপাধ্যায় উপন্যাস জন্মেছি এই দেশে পাও নাই পারিচয় এক প্রহরের খেলা [১] ১৬৫ ২৩৭ ৩৮১ জন্মেছি এই দেশে গাজেন্দ্ুকমার মিত রচনাবলশ ডেম্ঠ)__-১ উৎসর্গ শ্রীমান সবিতেন্দ্রনাথ রায় কল্যাণীয়েষু |] ১ ॥| আড়াই শ' গজের মধ্যে তিনাঁট ইস্কুল । একটা মেয়েদের--সকাল সাড়ে ছ'টা থেকে দশটা একবার, এগারোটা থেকে চারটে আর একবার,_-এই ডবল ?শিফটে চলে লেখাপড়ার পালা । সন্ধ্যেবেলা একটা কলেজও বসছে আজকাল, যাঁদও রেকগনিশন: পায়ান । ছেলেদের ইস্কুলেও দু বার কাজ হয়-_সন্ধোটা 'ক কাজে লাগানো যায় কর্তৃপক্ষ ভাবতে শুরু করেছেন। কেবল ইন্দুমতশ গদাধর হাই স্কুলে সকালটা মেয়েরা পড়ে, দুপুরে বসে ছেলেদের ইস্কুল ।**" [কন্তু সে যাই হোক এই তিনটে ইস্কুলই ভার্ত থাকে ছেলেমেয়েতে । নতুন কাউকে ভাতিঁ করতে গেলে শুনতে হয়, এ বছর তো উপায় দেখাছ না। আজকাল আবার ইন্সপেক্টর এসে মাথা গুনে নেয় |: সামনের িসেম্বরে গনয়ে আসবেন, চেস্টা করে দেখব ।-*অবশ্য খুব অসুবিধা হয় তো পাঠাতে পারেন। বসবে, ইস্কুন করবে ঠিকই--খাতায় নামটা কেবল তুলতে পারব না।**মাইনে 2 হ্যাঁ তাও দেবেন, ওটা আমরা টিচার্স বোনাফট ফান্ডে ডোনেশন ব'লে জমা ক'রে নেব ॥, এধারে যখন এই অবস্থা-তখনও এম. ই. স্কুলে ছান্রসংখ্যা বাড়ে না কেন 2 এ নিয়ে বলাইবাবু রীতিমত দহশ্চন্তায় পড়েছেন । অথচ এইটেই গর ট্রাম্প-কার্ভ! অথাৎ কনা রঙের গোলাম । অনেক তাদ্বরে, অনেক বড়যন্ত্ে এই সেক্রেটারীর পদাট তান পেয়েছেন । অন্য কোনও প্রাতিষ্ঠানে পাত্তা পানাঁন, জনগণেশের পজারণ হওয়া (অবৈতাঁনক) যে এত কাঁঠন তা কে জানত! যাঁদ বা দৈববলে এই চাকরীটি পেয়েছেন, সেটার একটা মূল্য স্বীকৃত না হ'লে চলবে কেন? আগ্াামী 'মিউানাসপ্যাল 1নবচিনে দাঁড়াতেই হবে ॥ তখন পাঁরচয় দেবার মত ষে আর ছুই নেই । দাসপাড়া এম. ই. স্কুলের সেক্েটারী-আপনাদের 'বশ্বন্ত সেবক শ্রীবলাইচাঁদ মাল্লক আপনাদের ভোট প্রার্থনা করেন।, এই পোস্টার চোখ বুজলেই কল্পনানেত্রে দেখতে পান বলাইবাব। শীকন্তু যাঁদ কেউ একথা বলে যে, “দাসপাড়া এম. ই* ইস্কুল ? সেটা আবার ক ? আছে নাঁক এ নামের কোন ইস্কুল ?, তখন দিক বলবেন তান £ মোটে সাতষাট্রাট ছাত্র, সে আবার ইস্কুল, তার আবার সেকেটারখ |] 1বশেষ ক'রে প্রাতদ্বন্দবী পক্ষ (সেষেকে কে দাঁড়াবে তাও মানস-চক্ষে দেখতে পাচ্ছেন বৈ ! ) তো একথা আগেই বলে বেড়াবে ॥। টিটকিরি দেওয়ার এ সুযোগ কি ছেড়ে দেবে তারা ? এঁদকে, এই িউীনাসপ্যাল ইলেকশনে না দাঁড়াতে পারলে, ওর নাম পৌরাঁনবাচনে জনগণের সেবকর্‌ূপে চাহত হ'তে না পারলে_ ভবিষ্যতে যাস্মব্রী ইলেকশনেই বা দাঁড়াবেন ক ক'রে £ সৃতরাং যেমন ক'রেই হোক |টায় দাঁড়াতে হবে। আর তাহ'লে পরে ইঙ্কুলটাকেও দাঁড় করাতে হবে। অথচ উপায়ই বাকি ১ কোনও পথই তো দেখতে পান না বলাইবাবু ? ক্যান্ভাসার ন্যস্ত করবেন? কাগজে বিজ্ঞাপন দেবেন? কিন্তু তাতে ি কোন ফল হবে? ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রশ্ন যেখানে সেখানে কি আর বিজ্ঞাপন দেখে লোকে ভুলবে 2 এঁ পড়ো টিনের চালায় পুরোনো ইস্কুল, ভাঙ্গা বো এবং নড়বড়ে চেয়ার- দেখলেই লোকের অভাঁন্ত হয়। তা ছাড়া লোকের কেমন একটা ধারণা হয়ে গেছে ষে ওসব সেকেলে ইচ্কুলে পড়তে দিয়ে 'াছাঁমাছ সময় নম্ট ক'রে কোন লাভ নেই। একেবারে হাই স্কুলে দেওয়াই ভাল । অনেক ভাবছেন বলাইবাবু--ইদানীং একরকম দিনরাতই ভাবছেন-_ কোথাও কোন কূলাকনারা দেখতে পাচ্ছেন না, এমন সময় একাঁদন সত্যেন এসে বললে, “বলাইদা, আমাদের পূর্ণ মাস্টার মশাইয়ের কিছু একটা করুন। তাঁর এ দুর্দশা তো আর চোখে দেখা যায় না। অর্ধেক দন ঠায় উপোস ক'রে কাটছে !, “কেন, তাঁর তো একটা পেনসন ঠিক ক'রে 'দিয়োছ। সাত টাকা পেনসন দেন মাসে । তাতে ?ক হয় বলুন তো? আপনার দৈনিক বাজার খরচই তো তার চেয়ে বোশ |” “না--তা ঠিক নয় গলা ঝেড়ে সাফ ক'রে নেন বলাইবাবু, কণ্ঠস্বরে বেশ জোরও পান, কারণ আজই বাজার করতে যে দশটাকার নোট 'দিয়োছিলেন ছেলেকে, তা থেকে তিনটাকা ছ পয়সা ফিরে এসেছে_-সে যাকগে, িম্তু তার চেয়ে বৌশ কোথা থেকে দিই বলো তো! এ তো ইস্কুলের অবস্থা । নেহাং সরকারী গ্র্যান্টটা আছে তাই ।; দসেতোজান। অন্য একটা কিছু করতে হবে। আগে আগে তবু গটউশান করতেন দ: তিনটে, তাতে চলত ॥ এখন আর ঘুরে ঘুরে টিউশানও করতে পারেন না। কখনও কখনও দহ একটা ছাত্ন জোটে, বাড়ীতে এসে পড়ে। তা, তারা আর কতই বা দেবে বলুন? চার পাঁচ টাকার বোঁশ তো নয়। দুটো প্রাণী-__এই বাজার, শুধু নুন-ভাত খেতে কত লাগে বলুন তো!; অকস্মাৎ যেন নকষ কালো আঁধারে জ্যোতির 'বচ্ছরণ হ'ল। মঞ্জমান ব্যাস্ত তৃণ নয়--একটা নৌকাই দেখতে পেলেন। বলাইবাব্‌ বলে উঠলেন, থামো থামো। হয়েছে-_ আচ্ছা পূর্ণ মান্টার মশাইয়ের বয়স কত হল বলো তো । বয়স? ঠিক ষাটে ?রটায়ার করেছেন, আর সেও তো আজ দশ বছর হ'ল। পুরো সত্তর ধরুন। পক হয়েছে । ইয়া-মার দিয়া কেল্লা! সেপ্টুয়াজেনারী করা যাক্‌ পূর্ণ মান্টার মশায়ের। ক বলো? ৪ 'অথাঁধ-2 সত্যেন কথাটা ঠিক বঝতে না পেরে ষোকার মত তাকিয়ে থাকে । “আরে, এটা বুঝলে না? জয়ন্তীঁ-_মান্টার মশাইয়ের সত্তর বছর পর্ণ হওয়ার উপলক্ষে এক 'বিরাট জয়ন্তী সভার আয়োজন করা যাক। সেই সভায় ওকে এক অভিনন্দন পল্ন, গরদের ধৃতি-চাদর এবং একটা টাকার পার্স দেওয়া হবে। এমান দুঃস্থ মান্টারের জন্য দ€-এক টাকা চাঁদা চাইতে গেলে কেউ দেবে না ভাই, 'কন্তু জয়ন্তী বললে লোকে বৃঝবে- দেবেও । “দেবে কি? সংশয়ের সুর বাজে সত্যেনের কন্ঠে । “'আলবৎ দেবে । দেওয়াতে হবে। বেশ বড় ক'রে ফহীলয়ে ফাঁপিয়ে এক য়্যাপাঁল বার করতে হবে, দেখাতে হবে যে এত বড় মহাপ্রাণ ব্যাস্ত এদিকে আর জন্মায়ান। তবে দেবে। দাদা, সবাই বড়কে দিতে চায় সেই আলোয় নিজেকেও আলোকিত করবে বলে । কেষ্ট বিষ্টু একজনের আভনন্দন-সভায় চাঁদা দিলে হয় তো নাম বেরোবে, জানাজাঁন হবে-_এমাঁন প্রাইভেট ভিক্ষে দিয়ে লাভ কি ?" না না, সে ঠিক হয়ে যাবে-__দ্যাখো না, এয়সা মুসাবিদে করব একখানা য়্যাপণল !, উৎসাহে বলাইবাবুর চোখ জ্লতে থাকে ! ॥২॥ কলকাতার উপকন্ঠে গ্রাম_-এখন প্রায় শহরই হয়ে উঠেছে । বাড়খ ভাড়ার রেট ও জিনিসপত্রের দাম কলকাতাকে ছাঁড়য়ে গেছে । শুধু নাগাঁরক জীবন- যাপনের কতকগুলো স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবস্থা এখনও হয়ান। খোলা নদর্মার দুর্গন্ধে বাতাস বিষাল্ত হয়ে থাকে, মশার উৎপাতে সন্ধ্যা থেকে বসা যায় না। তা হোক, লোক কম নেই এখানে । টাকা ক আর উঠবে না? খুব উঠবে ! বলাইবাব নিজেকে আশ্বাস দিয়ে যাপইল লিখতে বসেন । লেখবার আছেও ঢের । যখন জায়গাটা শহর হয়ান, সেই প্রায় নধ্বুই বছর আগে, ১৮৬২ সালে, প্রথম ইংরেজী পড়বার ব্যবস্থা হয় এই ইস্কুলের পত্তনে । সেই ইস্কুলের হেড মাঞ্টার প্ণবাবু বিয়াল্লশ বছর হেডমান্টার করার পর অবসর নিয়েছেন । কমরক্লান্ত জশবনে তব্‌ দেশবাসীর সেবা বন্ধ করেননি, এখনও যতটা পারছেন বিদ্যা বিতরণ ক'রে ধাচ্ছেন। এখানকার অনেক বিখ্যাত এবং প্রাতষ্ঠাবান্‌ ব্যান্তই তাঁর ছান্্। তাঁরা সবাই জানেন, ক যত্ের সঙ্গে, দি এঁকান্তিকতার সঙ্গে পূর্ণবাবু ছাত্রদের পড়াতেন । অধ্যাপনা 'ছিল তাঁর তপস্যা, ছান্নরা ছিল তাঁর ইন্ট | সংক্ষেপে এই। আর যা ইতিহাস তা এতে লেখবার নয় । তাতে সুর কেটে যাবে । সমস্ত সত্য হীতহাস ববৃত করতে গেলে বলতে হয় যে আঠার বছর বয়সে কুঁড় টাকা মাইনেতে ঢুকে ছিলেন, 'রটায়ার করেছেন পশ্মীব্রশ টাকাতে- _বিয়াল্লশ বছর ে চাকরণ করার পরও । বলা চলত যে এই সেবার পরও ওরা তাঁকে সাত টাকার বোঁশ পেন-সন দিতে পারেনাঁন । বলা চলত যে মাটির একখানি ঘর ভরসা-_ তারও গোলপাতা পচে গলে গেছে, বষায় ভেজা ছাড়া উপায় থাকে না। সে ঘরও হেলে পড়েছে গোড়ার মাটি£ধুয়ে গিয়ে--পাশে ভাগংনের প্রাসাদে ঠেকে না থাকলে পড়েই যেত । বলা যেত যে গুর সে ভাগনে গুর কাছেই ছেলেবেলায় লেখাপড়া শিখে বড় চাকরী পেয়ে এই প্রাসাদ তৈরী করেছে 'কম্তু তার একখানা ঘর মামাকে ছেড়ে দিতে পারোনি-তবে মাসক পাঁচ টাকা ক'রে সাহায্য করে । গকম্তু এসব বললে চলবে না। আর যা বলা উচিত ছিল-_সেটার গুরুদ্ব বলাইবাবু জানেন না। বলা চলত যে পর্ণ মান্টার মশাই যখন পড়াতেন প্রাতাঁট ছাত্রের দায়ন্ব বহন করতেন নিজে । কোন একাঁট ছান্নকে ি একটা ভুল অর্থ ব'লে দিয়ে একাঁট পুরো রাত ঘুমোতে পারেনান তান ; পরের দিন ভোরে উঠে আড়াই মাইল পথ হেটে গিয়ে ভুলটা সংশোধন ক'রে এসোছিলেন। বলা চলত যে প্রত্যেকটি বই পড়ে দেখে তবে পাঠ্যপ:স্তক 'িবচিন করতেন। ইদানীং কর্তৃপক্ষের চাপে সব সময় নিজের পছন্দমত বই পাঠ্য করতে পারতেন না। কন্তু ভুল আছে কি না দেখে সংশোধন ক'রে তবে ছাড়তেন। একবার ীজতেন্দ্রলালের নামে প্রচালত একট ইংরেজ বইতে 10 06 90-এর জায়গার 80৫6: 016 90 দেখে তিনদিন তিনরাত্রি নিদ্রা ছিল না তাঁর । একদিকে লেখকের প্রচন্ড খ্যাঁত আর একাঁদকে নিজের ভ্ঞান-_এই দ্বন্দেৰ ক্ষতণীবক্ষত হয়ে একাঁদন প্রকাশকের কাছে ঠিকানা জোগাড় ক'রে সাঁত্য-সাঁত্যই কর্ণওয়ালস স্ট্রীটে জিতেন্দ্রলালের বাসায় গগয়ে উপস্থিত হয়োছলেন। তারপর যখন গজতেম্দ্রলাল সে ভুল স্বীকার ক'রে লেন এবং অকপটে জানালেন যে বইটি তাঁর লেখা নয়-তখন তিনি একবার অবশ্য চোখ বুলিয়ে গদিয়োছলেন কিন্তু ওটা দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে-_তখন পূর্ণ মান্টার মশাই ভ্তামভত হয়ে তাঁকয়ে ছিলেন, কথাটা বি*বাস করতে প্রবৃত্তি হয়ান এবং বোঁরয়ে আসবার সময় যখন জিতেনবাবু ধন্যবাদ 'দিয়ে গুর সঙ্গে করমদ্ন করলেন তখন যে পূর্ণবাবুর চোখে জল এসোঁছল তা ভাবাবেগে নয়, 'জিতেনবাবৃর মত 'শাক্ষত লোক সামান্য ক-টা টাকার জন্য পরের বইতে নিজের নাম দিয়েছেন এই ভেবে ক্ষোভে ও ধিক্কারেই তাঁর নিজের চোখে জল এসে গিয়োছিল। অর্থাৎ শিক্ষাকে বাবসা হিসাবে কখনও ?তাঁন দেখতে পারেনান। অন্য ময্দা ছিল তার-_তাঁর কাছে। বলাইবাবু হয় তো এত ইণতহাস জানতেন না, কিংবা জানলেও তার এত মুল্য বুঝতেন না। তান নিজে এ স্কুলের ছাত্র ছিলেন না কিন্তু শুনোছলেন যে পূর্ণ মাস্টার মশাই হাতের লেখা নিয়ে বড় খিট গিট করেন। আইয়ের মাথায় ফুট্‌কো না দিলে কিংবা ছোট 1ট-এর মাথা না কাটলে নম্বর কাটেন। সে জন্য তান আগে পাগল মনে করতেন গুকে, এখন করুণার চোখে দেখেন । যাই হোক-য়্যাপণল লেখা হ'্ল। তাতে পর্ণচন্দ্রু সংবর্ধনা সাঁমীত'র হয়ে বলাইবাবু নিজেই সম্পাদক ব'লে সই করলেন । সমিতির সভ্য হিসাবে কয়েকটি নামও বলাইবাবু বাঁসয়ে দিলেন নীচে । সত্যেনকে চোখ টিপে বললেন, “বেশ শাঁসালো দেখেই নাম দিয়েছি । সভ্যদের কাছ থেকে পাঁচ টাকার কম নিও না--বলবে সে ক স্যার, আপাঁন সংবর্ধনা সামাঁতর সভ্য, এর চেয়ে কম দিলে চলে কখনও ?, সত্যেন বললে, “যাঁদ কেউ বলে এ সাঁমাতি কবে গঠিত হ'ল-_কারা করলে, তখন কি বলব 2, “কেউ তা জিজ্জেস করবে না। আর যাঁদই করে তো বলবে, অম:কাঁদন বলাইদার ওখানে আমরা একাঁদন মাঁট করোছলুম । আপাঁন স্যার সব্সমন্মাত ক্রমে সভ্য নিবাচিত হয়েছেন । ব্যাস-_ওতেই গলে যাবে |, পাড়ার পশহপাঁত 'প্রশ্টিং ওয়ার্কস-এর মালিককে ধরে য়াপশলথানা 1বনামূল্যে ছাপিয়ে নেওয়া হ'ল । কাগজও তাঁনই দিলেন । এছাড়া 'বিল- বুকের দাবাঁটাও জানানো রইল । বলাইবাবু বললেন, “তুই তো গুরছাত্বর রে পশু । এছাড়াও তো চাঁদা আশা কার ণকছ্‌ তোর কাছে । তাঁর জন্যই তো ক'রে খাঁচ্ছিস আজ ।, পশুপাত অপ্রস্তুত হয়ে বললেন, তা ঠিক। তবে ক জানস কাগজ মেলে না, ছাপার কাজ ত একরকম বন্ধই । নেহাত খদ্দেরের কাছ থেকে স্পয়লেজ ব'লে ছু ছু সাঁরয়ে রাখ দহচার শট, তাই এখন দিতে পারলুম। নইলে এই কাগজ জোটানোই ভার হ'ত । তানাহ'লেদতে কি আর অসাধ ।; য্যাপীলের একখানা কাগজ দৈবাৎ একাঁদন হাত-ফেরতা হয়ে পূর্ণ মান্টার মশাইয়ের হাতে এসে পড়ল । 'তান প্রায় ছ্‌টতে ছুটতে এলেন বলাইবাবৃর কাছে, “ও বলাই, এ করেছ কিঃ ছি 'ছি এ বন্ধ করো। আমার মত সামান্য লোক না না, ভারি লজ্জার কথা |” ণক বলছেন মান্টার মশাই । আপনার দেশবাসী যাঁদ আপনাকে সম্মান দেখানোর উপয্যস্ত মনে করে-সে ক্ষেত্রে আপনার আপান্ত করবার ক আছে ? আর আপাঁত্ব করলেই বা শুনবে কে! ও আমরা সবাই মিলে স্থির করোছ স্যার! পূর্ণ মাম্টার মশাই আকুল হয়ে উঠলেন, ণকল্তু কে কি মনে করবে, সে একটা--না না, য়্যাপল করেছ করেছ, ও নয়ে আর নাড়া চাড়া করো না। টাকা কাঁড় তুলো না, লক্ষী বাপ আমার |” বলাই মাথা চুলকে বললেন, “সে তো আর হয় না স্যার--টাকা কিছ ছু যে উঠে গেছে । এধারেও সব আরেঞ্জমেন্ট রোড । আর সাঁতা কথা বলতে ণক, পাড়ার লোকের আগ্রহও খুব । আপাঁন কিছ ভাববেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে ।, পূণ" মাম্টার মশাই আর বার-দুই ক্ষীণ প্রাতবাদ ক'রে বিমষ চিত্তে বাড়ী ৭ ফিরলেন । তাঁর অবস্থা দেখে মনে হ'তে লাগল যে এরকম বিপন্ন জীবনে তান হননি । কার:র সঙ্গে পথে ঘাটে দেখা হ'লে পাছে এ প্রসঙ্গ কেউ তোলে সেই ভয়ে প্রাণপণে সবাইকে এাঁড়য়ে যাবার চেষ্টা করতে লাগলেন। অবশেষে একাঁদন সত্যেন এসে তাঁকে প্রণাম ক'রে চরম দুঃসংবাদ'ঁটি 'দয়ে গেল-_-আগামণ মাসের পাঁচ তাঁরখে যে রাঁববার, সেইদনই গুঁকে আঁভনন্দন দেবার ধন '্থির হয়েছে । সভাপাঁততস্ব করবেন স্থানীয় এক অধ্যাপক । ওর পুরাতন স্কুল-হলেই সভার অধিবেশন হবে । খবরটা শুনে কিছুক্ষণ যেন ভ্তাম্ভত হয়ে চেয়ে রইলেন পূর্ণবাবহ । হবে এটা ঠিক-_কিন্তু এত তাড়াতাঁড় যে হবে তা তান ভাবেননি । চাঁদা তোলা ব্যাপারটা সহজ নয়, এই ভেবে কিছুটা 'নাশ্চন্ত ছিলেন। এখন একেবারে নঘাঁৎ তাঁরখাঁট পযন্ত যখন জানা হয়ে গেল তখন আর ক্ষীণ আশাও রাখতে পারলেন না। সত্যেনকে আশশবদি করবার জন্য হাত তুললেন, ঠোঁট দুটোও নড়ল কিন্তু কণ্ঠ ভেদ ক'রে কোন স্বর বেরোল না। ॥৩॥ চাঁদা তোলা ব্যাপারটা সাঁত্যই সোজা নয়। তবু হয়তো আর কিছযাদন অপেক্ষা করলে আরও কিছ: টাকা উঠত, কিন্তু বলাইবাবুর আরসে সময় ছল না। 'িউানাসপ্যাল 'িবচিন আসন্ন, আগামী মার্চেই বোধ হয় হবে। ভোটার তাঁলকা তৈরী হচ্ছে। এখন থেকে ওদকে মন না দলে দাঁড়ানো যাবে নাঃ এ সব তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে এখনও 'ি থাকা সম্ভব ? অগত্যা ঘা টাকা উঠেছে তাতেই কাজ সারতে হবে । দেখা গেল, কাপড় চাদর কনে আর সত্তরাঁট টাকা থাকে । বলাইবাবু বললেন, “বেশ, আম ওতে পাঁচটাকা 'দিয়ে পশ্চাত্তর ক'রে দেব এখন । ক আর হবে। বরং না হয় র্যানাউনসমেন্টের সময় একশ” এক বললেই হবে ।' সত্যেনের আয় খুবই কম । তবু সে বললে, “আচ্ছা দিন ঠিক করুন। দেখি যাঁদ অফিস থেকে ধার পাই তো ওটা পুরো ক'রেই দেব আমি সৃতরাং দিন চ্ছির, সভাপাঁত 'নবাচিন সব ঠিক হয়ে গেল। 'কছ? জলযোগের আয়োজন করতে হবে, সেটা এ ইস্কুল থেকেই চাঁদা তুলে হেডমান্টার মশাই ব্যবস্থা করবেন 'স্থির হ'ল। বলাইবাবু'নশ্চিন্ত হয়ে নিজের কাজে মন দিলেন। অর্থাৎ পাড়ায় পাড়ায় যারা ভোটের চাঁই তাদের কাছে কণীর্তটাকে যতটা সম্ভব ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ব'লে বেড়াতে লাগলেন । এ'দকে 'নাঁদ্ট দিনের দন দুই আগে থেকেই পূর্ণবাবুর আহার 'নদ্রা ঘুচে গেল। বিয়ের দন ঘনিয়ে এলে িশোরণ মেয়েদের ষে অবস্থা হয়, কতকটা সেই অবস্থাই হ'ল ও*র। আগের দিন তো সমন্তড রাত ঘুমোতে পারলেন না! গৃহিণীরও সেই ব্যাপার । ক্ষার 1সম্ধ ক'রে একমাত্র ব্যবহার-যোগ্য কাপড় জামা পরিহ্কার ক'রে রেখোঁছলেন, আগের 'দিন গিয়ে বোনপোর কাছ থেকে একটা মটকার চাদরও চেয়ে আনলেন । এমন দিন ওদের দশর্ঘ গববাহত জীবনে এতকালের মধ্য কখনও আসোঁন। সুতরাং উত্তেজনার কারণ আছে বৈকি! কতকাল ইস্কুলে যানান ৷ বাড়ীটা চোখে দেখেনানি প্রায় ন বছর। 'রটায়ার করার পরও দিন কতক গিয়েছিলেন, 'নজে থেকে কয়েকটা ক্লাসে পড়াতে গিয়েছিলেন, অযাচিত ভাবে উপদেশ দিতে 'গিয়োছলেন নতুন হেড- মাম্টারকে, কিন্তু তারপর একাঁদন বুঝতে পারলেন যে সে ভদ্রলোক এতে বিরন্ত হন, এমন কি ও"র নিঃস্বার্থ ভাবে পড়ানোটাও পছন্দ করেন না। ওসব নাকি সেকেলে, ব্যাকৃডেটেড পদ্ধাত- একালে আর ওসব চলে না। সেই থেকে আঁভমান করে আর যানাঁন ওঁদকে। কোন কাজে ও'দকে যেতে হ'লে মুখ অন্য দিকে 'ফাঁরয়ে গেছেন, চোখ তুলে চেয়ে দেখেন নি । এতকাল পরে আবার সেই বাড়ীতে পা দেবেন ! কথা গল, সত্যেন এসে 'ননয়ে ধাবে ওকে । ডান সত্যেনকে ব'লে দয়োছলেন, “একট: বরং আগে আঁসস: বাবা! ইস্কুলটা ঘুরে দেখব ।, সত্যেনও অবশ্য যতটা সম্ভব আগেই এসোৌছল-_ঠিক ক'রে বলতে গেলে, খন আসা উঁচত তার পুরো একটি ঘণ্টা আগ্ে-কন্তু তবু সে এসে দেখলে পর্ণ মান্টার মশাই সেজেগুজে একেবারে রান্তার ওপর দাঁড়য়ে আছেন। পাছে বাতাসে চাদরটা উড়ে যায় সেজন্যে চাদরটা গলায় ঝাঁলয়ে তার দুটো খুস্টং এক ক'রে একটা হাতে ধরে আছেন, আর একটা হাতে প্রাচীনকালের একাঁট লাঠি। পায়ে ছেশ্ড়া একাঁট মোজা-_ চটি জুতোর সঙ্গে মোজা পরা মানায় না--এমন কি মোজা পরার কোন প্রয়োজনও নেই, এসব কথা ভেবে দেখার মত পূর্ণ মান্টার মশাইয়ের অবস্থা নয়। সত্যেনও ছু বলতে পারলে না, এমাঁনতেই হেট হয়ে প্রণাম করতে গগয়ে দেখলে ওর পা দুটো কাঁপছে থর থর করে। বলাইবাবু বলোছলেন, একটা গাড়ীর ব্যবস্থা করবেন ; কিন্তু আজ যখন সত্যেন আসবার সময় সে কথাটা স্মরণ করাতে গেল তখন তান আকাশ থেকে পড়লেন, “গাড়ী! তাইতো ! গাড়ী কোথায় পাই ! সত্যেন, তুম ভাই লক্ষমীট এক কাজ করো- একটা 'রক্সা ক'রে ওকে নিয়ে এসো । এই তো এইটুকু--) পূর্ণ মান্টার মশাই 'রিক্সা করবার প্রন্তাবেও মৃদু আপাতত করলেন, “এই তো সামান্য পথ, ক আর হবে বাবা--মছাঁমাছ অন্ততঃ গণ্ডা-্ছয়েক পয়সা খরচ-- [কন্তু সত্যেন বেশ একট; দস্বরেই বললেন, 'না- না, আজ আর আপনার ওসব কথা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। আজ আমাদের ওপর সব ভার ছেড়ে গদয়ে নিশ্চিন্ত থাকুন 'দাক।, সে একটা গরজ্সা ডেকে সযত্বে ও"র হাত ধরে তুলে বাঁসয়ে নিজেও পাশে বসল । ও"র হাত ধরে তুলে বসাতে গিয়ে দেখলে, শুধু পা নয়--হাতও ৯১ কাঁপছে থরথর ক'রে । স্নায়ুর ওপর আর কোন জোর নেই ও”্র ৷ গৃহিণধ প্রিয়ম্বদা দরজার কাছে দাঁড়য়ে মৃদুকণ্ঠে স্মরণ করলেন, দুগা দুর্গা 1, ইস্কুলে এসে পেশছে দিছ-ক্ষণ 'িহৰলভাবে তাঁকয়ে রইলেন প্ণবাব লাল শালুর ওপর তুলো দেওয়া ক-্টা শব্দের দিকে £ “আচার্য পূর্শচন্দ্রের সপ্ডাততম জন্মজয়ন্তী ।” কার কথা লিখেছে ওতে £ এ 'কসের উৎসব ? সাঁত্য-সাত্যই কি এ লাল শাল্‌র ওপর ও*র নাম লিখে পয়সা খরচ করছে ওরা ?**নামটার বানান ভুল আছে। তা থাক--তবু এ যেন 'বশ*বাসই হয় না। পূর্ণ মাম্টার মশাই নিজেকে মনে মনে কৃতজ্ঞ বোধ করলেন বলাইয়ের কাছে, সত্যেনের কাছে । তাঁর জীবনেও এমন লগ্ন আসবে তা কে ভেবোছল : ভাঁগ্যস বেচোছলেন এই ক বছর-নইলে এ দৃশ্য দেখবার তো অন্ততঃ সৌভাগ্যলাভ করতে পারতেন না। ঈম্বরকেও ধন্যবাদ ! এঁদন 'তাঁন ওর জন্য রেখোঁছলেন 'নাঁদন্ট করে ।*" আফস ঘরে ঢুকে সেই ভাঙ্গা টোবিলাটি এবং হেলে-পড়া আলমারাটার গদকে চেয়ে দৃম্টি ঝাপসা হয়ে গেল । মনে হ'ল যেন কতাঁদন পরে পুরোনো অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হ'ল। এ ইস্কুল থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাবার দিনও এমান 1বচাঁলত হয়ে পড়ৌছলেন তান, এমান দু চোখ ঝাপসা ক'রে জল ভরে এসৌছিল-- এই আলমারীগুলোর দিকে চেয়েই। এ ষে দেওয়ালের বাল খসে পড়েছে লোনা ধরে-এ সবও ও*র পাঁরাচিত, উীন ঠিক ক'রে ব'লে দিতে পারেন--এই ক বছরে আর কতটা বালি খসেছে, তাঁর আমলে কতট.কু ছিল । 'রিটায়ার করার পরও ছযটির দনে দুপুর বেলা এসে বাইরে থেকে বাড়টাকে দেখে গেছেন- দেওয়ালগুলোয় হাত ব্ুীলয়ে গেছেন সকলের অজ্ঞাতে । নেহাত যৌদন অপমান বোধ ক'রে চলে 'গয়োছলেন সেই দিন থেকেই না আর কখনও ফিরে তাকাননি এঁদকে ! আজ যেন সে আঁভমানের জন্যও অনুতাপ বোধ করতে লাগলেন । সত্যেন পিছন থেকে ডাকলে, “মান্টার মশাই | মশা? যেন ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠেন। যেন স্বপ্ন দেখাছলেন তান, অতাঁতের কোন অতলে তলিয়ে 'গিয়োছিল তাঁর মন। । কেমন একটু বিকৃত- কন্ঠেই বললেন, “তুমি যাও বাবা সত্যেন, আপনার কাজ করো গে আমি, আম একট; এখানেই বাঁস।, সত্যেন তাঁর অবস্থা বুঝে “আচ্ছা? বলে সরে গেল । কাল্লাতেই যে তাঁর কণ্ঠরোধ হয়ে আসছে এটা সত্যেনের অজানা নেই। গকন্তু মান্টার মশাই একা থেকে তাঁর বহু পারচিত পুরাতন বন্ধৃর মত এই আফস-ঘরাটির সাল্নধ্য অনুভব করবেন, বোঁশক্ষণ সে সুযোগ হল না। চাঁরাঁদক থেকে ছান্ররা ভাঁড় ক'রে দাঁড়াল এসে । দু একজন মান্টার মশাই ৯০ এলেন আলাপ করতে । অগত্যা তন একটা দীর্ঘ*বাস চেপে তাঁদের সঙ্গে কথা কইতে শুরু করলেন ।**" যথা সময়ে সভার কাজ শুরু হ'ল । উদ্বোধন সঙ্গীত, উপাস্থত ভদ্রমহোদয়গণের বন্তুতা, ছেলেদের আবাত্ত, কাঁবতা-পাঠ ও মানপন্ন-পাঠের পর স্বয়ং মান্টার মশাই উঠলেন আঁভনন্দনের উত্তর দিতে । বয়সের জন্য কণ্ঠস্বর ক্ষীণ ও কাঁম্পত, তব প্রাণপণ চেষ্টায় গতাঁন গলা পারিজ্কার করে বলতে আরম্ভ করলেন, 'মাননশয় সভাপাঁত মহাশয়, উপাস্থত ভদ্রমাহলা ও ভদ্রমহোদয়বৃন্দ এবং কল্যাণ'য় ছান্রগণ ! আপনারা আজ আমাকে ষে সম্মান দেবার জন্য আহবান ক'রে এনেছেন আ'ম যে তার যোগ্য নই তা আপনারাও জানেন। তব আম এসোছ, তার কারণ আপনাদের আহ্বানে আমার প্রাত যে স্নেহ প্রকাশ পেয়েছে তাকে উপেক্ষা করার শান্ত আমার নেই। কিন্তু এ অনুষ্ঠান আমার পক্ষে যতই সম্মানজনক হোক, আজ আম সুখশ নই একথাটা আপনাদের কাছে স্বীকার না ক'রে পারলাম না।” এই পর্যন্ত ব'লে তান একটু থামলেন । সভাস্থ সকলে 'বাস্মত, একটা মৃদু গুজনও উঠল চাঁরাঁদকে ; কন্তু পূর্ণ মান্টার মশাই তখনই আবার শুরু করলেন, “দেখুন- আম আজ কয়েকটি কথা আপনাদের কাছে না ব'লে পারাছি না। তাতে যে অপরাধ হবে তা আপনারা মাজনা করবেন । আজ আমার সত্তর বৎসর বয়স পূর্ণ হ'ল ব'লে আপনারা আমাকে আভনন্দন জানাচ্ছেন ; কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, এত কাল আমার বেচে থাকা ঠিক হয়ান- বহু পৃবেই মরে যাওয়া উচিত ছিল। কারণ তা হ'লে আজ যা দেখলাম তা আর আমাকে দেখতে হ'ত না। এই ইস্কুলে আম 'বিয়াল্লিশ বৎসর কাজ করোছ, সাধ্যমত কখনও ফাঁক 'দই'ন--যে ছান্রদের ভার আমার উপর তুলে দেওয়া হয়োছিল তাদের যাতে মঙ্গল হয়, উন্নাতি হয়, প্রাণপণে আম সেই চেম্টাই করেছি। 'কম্তু আজ ক দেখলাম ? সেই ইস্কুলের এ কি অবস্থা হয়েছে! যে গনমন্ত্রণপন্লণট ছাপা হয়েছে তার রচনায় নাট ব্যাকরণগত এবং ছশট বানান ভূল । একে ঠিক ছাপার ভুল ব'লে মনে করা যায় না, এ রচনারই ভুল। ইস্কুলের প্রবেশ-পথে যে লাল শালুর ওপর তুলোর অক্ষর দেওয়া সংবর্ধনা-সচক বস্প্রখন্ড টাঙ্গানো হয়েছে, তাতেও বানান ভুল। যে ছেলেগুলি আমার চার পাশে ভাঁড় ক'রে দাঁড়াল-_গাড়ী থেকে নামতেই--তারা সবাই আমাকে চেনে দেখলাম, তারা সকলেই আমার বয়ঃকনিষ্ঠ এবং দু চারজন ছাড়া কেউই ব্রাঙ্মণ নয়, তবু তারা কেউ আমাকে প্রণাম করা উচিত ব'লে মনে করলে না, কেউ কেউ হাতটা একবার ক'রে কপালে ঠৈকালো মান্ত। এরা ভাল করে দাঁড়াতে শেখোন ; কথা কওয়া তো দূরের কথা । এখানে এসে দেখাছ যে ছান্রগণ শিক্ষকদের শ্রুতি-সীমার মধ্যেই প্রকাশ্যভাবে িসনেমা, ফিল্ম এবং নটশদের কথা আলোচনা করছে । তাদের যে সব বত'মানে, পাঠ্য আছে তার দ চারখানা ওল-টাতে গিয়ে নজরে ৯১ পড়ল, সব বই*ই তথ্াগত এবং ছাপার ভুলে পারপর্ণ। অঙ্কের বইতে নতুন পদ্ধাত অবলম্বন করতে গিয়ে ছাত্রদের সুবিধা অস্মাবধার কথা িন্তাই করা হয়ান! ভূগোলে লেখকের আবশ্বাস্য অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে । ছাত্রদের সঙ্গে কথা কয়ে দেখলাম যে তাদের জ্ঞান কম তো বটেই- আগ্রহ আরও কম। পড়া বোঝবার কেউ চেম্টাই করে না, মখস্থ করার মত কিছ পেলে সেইটুকু শুধু মুখস্থ করে। হাতের লেখা অপাঠ্য, ভুল বানানে কণ্টকাকীর্ণ। আমাকে বেচে থেকে যে শিক্ষার এই অবনাঁত দেখতে হ'ল, তার জন্য সত্যই আমার অনুতাপের শেষ নেই! বনেদের যাঁদ এই ব্যবস্থা হয় তাহ'লে এর উপর যে ইমারত গড়ে উঠবে, তার কি হবে ? অন্য 'শিক্ষায়তনের কি হচ্ছে জান না-_ কন্তু আপনাদের কাছে আমার 'বনীত অনুয়োধ, এ শক্ষায়তনাট তুলে দিন ।, এই ব'লে প্রায় অশ্রুরুদ্ধ কন্ঠে বন্তব্য শেষ কয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাষ্টার মশাই বসে পড়লেন এবং একটু পরেই কোনাঁদকে না চেয়ে লাঠি ধরে বাড়ীর দিকে রওনা হলেন । তাঁর প্রণামী ব'লে টাকার যে তোড়াটা দেওয়া হচ্ছিল, কোনমতেই সেটা তাঁকে নিতে রাজী করা গেল না। বলাইবাব দাঁতে দাঁত চেপে বললেন, 'ভীমরাঁত !, মনের আবেগে অনেক দূর হন হন ক'রে চলে এসোঁছলেন বটে, কিন্তু দুর্বল শরীরে অতখানি উত্তেজনার প্রাতীক্রয়া হতেও দোর হ'ল না। আর যেমন সেটা বুঝতে পারলেন অমাঁন মনে হ'ল পা-দুটো যেন ভেঙ্গে আসছে, সোজা হয়ে দাঁড়ানোও আর সম্ভব নয় । রাম্তাতেই বসে পড়ছিলেন, অনেক কম্টে একটা বাড়ীর রকে গিয়ে দেওয়ালে ঠেস 1দয়ে বসলেন 1" অনেকক্ষণ এ আঁভভূত ভাবে বসে থাকবার পর হঠাৎ ওর চমক ভাঙ্গল এক আঁত পাঁরাঁচিত কন্ঠের আহ্বানে, 'এই যে স্য।র, আপাঁন এখানে বসে ! আমি খুঁজে খুজে হয়রান ।, কে! চমকে চোখ মেলে চান প্ণবাব্দ, শীবমল ? কোথা থেকে এল বাবা ! আয়, আয় 1, সব দুঃখ দুরে গিয়ে খাশতে যেন উদ্ভাগসত হয়ে ওঠেন । বিমল ও*র ছাত্র। বরং বলা চলে 'িমলই ও*র একমান্ন গৌরব করবার মত ছান্। ছান্নবৃত্ত পরীক্ষায় জলপান পায়। ম্যাঁট্রকেও স্বল্গারীশপ পেয়েছিল । তারপর ছোট ছোট গটউশান ক'রে কলেজে পড়তে হয়োুঁল বলে ইণ্টারামাঁডয়েটে আর স্কলারাঁশপ পেলে না। পড়বার ইচ্ছা প্রবল ছিল ব'লে সাংসাঁরক বাধা সত্তেও আবার কলেজে ঢুকল । ফলে টিউশানর সংখ্যা বাড়াতে হ'ল, কারণ বোশ মাইনের 'টিউশাঁন কে তাকে জোগাড় করে দেবে ? স-তরাং সেকেন্ড ক্লাস অনার্স ও পরে এম-এ-তেও সেকেন্ড ক্লাস জুটল । তবু আর কেউ না জানুক, পর্ণবাবু জানেন, ষে শিক্ষায় এমন অন:রাগ ৬৭ আজকালকার 'দিনে দুলভ । গিবমল ওকে প্রণাম ক'রে পায়ের ধূলো নিয়ে বললে, এখন তো থাক সেই রাজা দখনেন্দ্র স্ট্রধটে-এধারে আসাও হয় না, খবরও রাখনা । হঠাৎ খবরের কাগজের এককোণে দোখ এই খবর। ছ পয়েন্ট টাইপে তন লাইনে-_-সভাসমাতির বিজ্ঞাপনের মধ্যে । দেখেই চলে এলুম, যখন পেীছলুম তখন সভা সবে শুর হয়েছে । তারপর তো আপনার এই কাণ্ড । আপানি বেরোলেন, আমিও সঙ্গে সঙ্গে ভীড় ঠেলে বাইরে এসে দোঁখ আপনার চিহ্ৃও নেই। খুঁজে খুজে হয়রান !, “বোসং বাবা বোস ।+ পূর্ণ মান্টার মশাই সেই সংকীর্ণ রকেই পাশের জায়গাটা দোখয়ে দলেন। “না না_আপনার অবস্থা দেখে চারাদকে ভীড় জমে গেছে । ছেলেপুলের দল হাসছে । চলন বাড়ী চলুন। ইস আপনার জামাটা কি হয়েছে !, মাটির দেওয়াল, খড়ের চাল-_রকটা কিন্তু সিমেন্ট বাঁধানো । বসবার সময় অত লক্ষ্য ক'রে দেখেননি, দেখা সম্ভবও ছিল না--কোনমতে চোখ বুজে অবসন্নভাবে বসে পড়েছিলেন । জামাটা ঘামে ভিজে গিয়েছিল, মাটির দেওয়ালে ঠৈসং দেওয়ার ফলে পিঠে কাদার ছাপ পড়ে গেল যে--সেটাও বুঝতে পারেনান। শাবমল একটা 'রক্সা ডেকে কোনমতে ওকে তুলে তাতে বাঁসয়ে দিলে । তারপর [ানজেও পাশে উঠে বসে 'রিজ্সাওয়ালাকে 'নদেশ দিলে ওখ্র বাড়তে যাবার। সে পুরোনো ছাত্র, সে-সময় এ পাড়াতেই ভাড়া থাকত। ঙঈগবই সেচেনে। রিক্সা চলতে শর; করার পর কেমন একটহ অপ্রাতভ ভাবে পূর্ণবাবু বললেন, “তুই তো শুনোছস সব। আ'ম--আঁম ক খুব অন্যায় বলোছি ? হয়তো তান 'নজের সমর্থনই শুনতে চেয়োছলেন িবমলের কাছে, 'কিম্তু সম্পুর্ণ হতাশ হলেন যখন বিমল দৃঢ়কণ্ঠে বললে, “হ্যাঁ মাষ্টার মশাই, সেই ঝগড়াই আম করতে এসোছি আপনার সঙ্গে ।, পূর্ণবাবু বাস্মত এবং 'কছদ স্থালত-কন্ঠে বললেন, “সে পক রে? হ্যাঁ। কন্তু তার আগে নামূন তো, বাড়ী এসে গগয়োছ । যত্বক'রে হাত ধরে না'ময়ে নেয় 'বমল। 180 ণবমলরা পাঁচ ভাই-বোন । 'বমলই বড়, তারপর 'তিনাট বোন ও সব শেষে একাঁট ভাই । মা-বাবা আছেন--এই সবসদ্ধ সাতাঁট প্রাণীর ভরণপোষণের সম্পণ দাঁয়ত্ব তার। তার উপর বোনগদি সবই প্রায় 1ববাহযোগ্যা | ৪ ৰ 1বমলের বাবা ছিলেন সামান্য মাইনের কেরানী । তাতে কোনমতে সংসারটা চলত । কিন্তু ষে বছর 'বমল ম্যাট্রিক পরণক্ষা দিল সেই বছরেই ৯৩ পরীক্ষার ফল বেরোবার অল্প কশদন পরে দেখা গেল যে, বোরবোর তাঁর দ:ট চোখকেই গ্রাস করেছে । তারপর কিছ 'িছু চাকংসার চেষ্টা ষে হয়নি তা নয়, ধীকম্তু সে আরও মাসকতক ধ্বন্তাধবন্তিই হ'ল শুধু-সম্পূর্ণ দ্টশান্ত আর ফিরে পাওয়া গেল না। একটা চোখ একেবারেই নষ্ট হল-- আর একটা চোখে ঝাপসা ঝাপসা দেখা চলতে লাগল, কিন্ত 'চাকৎসকরা বললেন পড়াশোনার কাজ আর কোনাদনই চলবে না। উপাজন সেই থেকে তাঁর বন্ধই । সামান্য কিছ? হোমিওপ্যাঁথ জানতেন, সেইটেই অবলম্বন ক'রে আছেন । এক আনা ক'রে ওষুধের পৃরিয়া নেন-- তাও মেয়েরা কেউ কেউ কম্পাউণ্ডারের কাজ করে কিন্তু সে আয় এত সামান্য যে, কোন কোন মাসে পাঁচ টাকাও হয় না। সুতরাং বমলকে উপাজন করতেই হবে। 'কম্তু কোন: পথে যে সেটা করতে হয়-_-এই সামান্য তথ্যটুকু তার জানা নেই। ছেলেবেলা থেকে জানত যে, কোনমতে লেখাপড়া শেখাটাই জীবনের বড় উদ্দেশ্য--আর সে 'শক্ষার চরম সার্থকতা হ'ল এম.এ. বা এম.এস-সি, পাশ করা। প্রাণপণে সেই চেষ্টাই শুধু ক'রে গেছে- আর ছু ভাবোন, কোন শদকে তাকায়ান। ছেলে ভাল, ভালভাবে লেখাপড়া করছে ব'লে কোনাদন এমন ক বাজার পর্যন্ত করতে দেনান বাপ-মা, ঘর-সংসারের অন্য কাজ তো দুরের কথা । নাট বোন থাকার জন্যে িছ বিশেষ করতেও হয়াঁন কোনাঁদন _অসহ্য তৃষা বোধ হ'লেও জল কলস থেকে গাঁড়য়ে খাবার কথা বিমল ভাবতে পারে না আজও । সৃতরাং একমনে এক লক্ষ্যর দিকে ঞাগয়ে গেছে সে চিরকাল। অবশ্য 1টউশণন করে সংসারের খরচ 'কছন কিছু চালাতে হয়েছে বটে, 'কল্তু সেটা সে গ্রাহ্য করোন কোনাদন । যত পাঁরশ্রমই করুক--মনকে সে 'চিরাদন এই বলে সান্ষ্না 'দিয়েছে যে, এই কটা বছর শুধু, এর পর আর কোন দহঃখ থাকবে না। এই দুঃখের কালটা কোনমতে সাঁতরে পার হয়ে যেতে পারলেই-_ওপারে তার জন্য অপেক্ষা ক'রে আছে সুখ আর আনন্দ, 'নাশ্চন্ত 'নরাপদ জীবন । শুধু সে নয়, ওর বাড়ীর সকলেও তাই ভাবত । বোনেরা স্বপ্ন দেখত তাদের দিবাহের, স্বামী ও *বশুরঘরের, আর বাপ-মা দেখতেন পাঁরশ্রমহীন ধীর মন্থর জীবন--জামাই পূন্রধধ্‌ নাতি-নাতাঁন। তাই তাঁরাও সকলে মলে 'বিমলের সঙ্গে সঙ্গে কচ্ছুতার সুদশ্চর তপস্যা করেছেন হাঁসমুখেই, এই তো এই ক-টা বছর, দেখতে দেখতে কেটে যাবে । তারপর এম-এ পাশ করার আনন্দ-উতদব '্তামত হয়ে এলে প্রশ্নটা অত্যন্ত রূট্রভাবে সামনে এসে দাঁড়াল । ?ক করবে সে এখন ? চাকার ত বটেই-এক চাকার ? ক্রমশঃ মুখ শকয়ে উঠল বিমলের। বাপ--নাও যেন একট; 'বিরন্ত হয়ে উঠলেন । এত কষ্ট ক'রে লেখাপড়া শেখানো হ'ল (অবশ্য তাঁরা যে শেখানান সেটা তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন ) সেকি ১৪ বাড়ীতে বসে থাকার জন্যে ঃ আত্ময়স্বজনদের মধ্যে যাঁরা জাবনষৃদ্ধে জয়, বেশ প্রাতাঁন্ঠিত, তাঁরা উপদেশ 'দয়ে যান- দেশ স্বাধীন হ'ল, চাঁরাঁদকে অসংখ্য লাইন খুলে যাচ্ছে ইয়ংম্যানদের সামনে-_এই তো মওকা । আমাদের সময়ে কিছুই ছল না এসব। এখন আর ভাবনা কি। তাড়াতাঁড় লেগে যাও কোথাও ! আর দোঁর নয়। এই “কোথাও'টা যে ঠিক কোথায় তা যাঁদ গবমলকে কেউ ব'লে দিতে পারত । খবরের কাগজ একখানা মানত তাদের বাড়ীতে আসে কিন্তু পাড়ায় লাইব্রেরধতে বা ছাল্্দের বাড়ীতে পযয়িক্রমে সব কাগজেরই 'জ্ঞাপনের পাতা সে দেখে। চেনাশোনা যত লোক আছে--চেনা এবং শোনা, দুরকমেরই পাঁরচিত--সকলকার কাছেই গেছে আঁফসে আফসে। এমং্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে নামও 'লাখয়েছে, দরখাল্তও যে না করছে তা নয়। সব জায়গাতেই এঁ এক প্রন । কি জান তুমি 2 ইজীনয়ারং ছু জান? কলকারখানার কোন কাজ? কোঁমক্যাল ইর্জীনয়ারং জানা আছে ? যাঁদ 'ডীগ্র থাকে এসব বিষয়ের এবং বছর-কয়েকের আ'ভজ্ঞতা থাকে তো এঁগয়ে এস । কেমিম্ট হ'তে পারবে ? কাজ করেছ কোথাও ? 'ীরসার্চ আঁভক্ঞতা আছে ? মেটালার্জ পড়েছ ? ধানবাদের খবর রাখ ? এগ্রকালচোরের ডাগর আছে ? কিছুই জান না £ তবে আর 'ি করতে পার বলো । কোন: দিক খোলা আছে আর ? এম, এ পাশ করেছ ? ও তোঢের আছে । সৌঁদন ব গ্রেড কেরাণশর সতেরোটা পোম্টের জন্য দরখাস্ত এসোৌঁছল আড়াই হাজার, তাতে এম. এ., এম. এস-স. সব ছিল। নতুন বিভাগ খোলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রীয় পারবহণ-মানে বাস চালানো হবে-_-তাতে কনডাক্টারের জন্য দরখাস্ত এসেছে ছ হাজার, তাতেও এম. এ. পাস প্রাণ আছে। না--ছিছুই হবে না। যাঁদ বয়স থাকে তো এঁ কেরানীর চাকরীর পরাক্ষা [দিতে পারো । ফর্ম নিয়ে যাও দশ টাকা লাগবে । ণশক্ষানবীশ থাকতে চাও ? সে বয়স আর নেই । নোঁভ, মিলিটারী, আই. এ. এফ, ? সাড়ে সতেরো থেকে সাড়ে উনশ। বয়স যাঁদ কমানো থাকে তো চলে যাও এক নম্বর গোখেল রোডে । দেখা করো গে। বয়স আছে ক্ল্যাডামনন্ট্রেটভ সাঁভ“সের | ফাইন্যান্স পরীক্ষা 'দিতে পার । সে চেষ্টাও করেছে বিমল দু-বছর ধরে। কিন্তু চারটে িউশ্যন যাকে ৯৫ করতে হয় সকাল-বকেল ( আর তার মধ্যে তিনটেই ইস্কুলের )--তার পক্ষে এসব পরাঁক্ষায় শীষন্থান আঁধকার করা বাতুলতা । য়্যাডমিনজ্র্রোটভ সাভসে সেবার তেরোজন লোক নেবে-ওর স্থান হ'ল না সে তেরোজনের মধ্যে। নম্বর কিছু কম 'ছিল। 1বমল চায় লেখাপড়ার কাজ করতে ; দু-একজন পরামর্শ দিলেন, দিল্লীতে খোঁজ করো কিংবা পুণায়-_নতুন সব কম হচ্ছে । আর শুনাছ আলিপুরে, যাদবপূরে এবং হিজ্‌লীতে সরকারের নতুন পাঁরকজ্পনা হচ্ছে, একটহ খোঁজ করো না। দি ক'রে কোথায় খোঁজ করতে হয় সেইটেই তো জানা নেই । অসহায় ভাবে বিমল একে-ওকে-তাকে প্রশ্ন করে। কেউ সদুত্তর 'দতে পারে না। উত্তর দেবার জন্য সরকারের কোন 'বভাগ নিশ্চয়ই কোথাও আছে 'ীকন্ত সে কোথায় তাই বা কে বলবে ? অকারণ হাঁটাহাঁটি করে বিমল । পায়ের দাঁড় ছিড়ে যায় হেটে আর সশড় ভেঙ্গে । | সরকারী আঁফসে ইচ্ছামত ঢোকা যায় না। যেখানে যেতে পারে সেখানকার লোক ঝাপসা ঝাপসা উত্তর দেয়, বেশন প্রশ্ন করলে 'বরস্ত হয় । অথচ ওদের দনেন্দ্র স্ট্রীটের বাড়ীওয়ালার ছেলে তেরো বছরে মাচেন্ট নোৌভিতে ীগয়েছিল শিখতে-ডাফরন জাহাজে এই আঠারো বছর বয়সেই সাড়ে চারশো টাকা মাইনের (বনা খরচে ) চাকরী গেয়েছে । ওর মামাতো ভাই আই. এসশীস. একবার ফেল ক'রে গত বছর কোনমতে পাশ করেছে, সেও চলে গেল ব্যাঙ্গালোরে । শোনা যাচ্ছে, বছর চারেক পরেই সাড়ে তিনশ টাকা আয় তার বাঁধা, খুব কম পক্ষেও । ওর মামা ঘোড়েল লোক । কিন্তু ছেলের জন্য ধতটা করা যায় ভাগ্নের জন্য ততটা করা সম্ভব নয়, তার উপর ওর বয়স হয়ে গেছে বৌশ। ম্যাঁট্রক পাশ করার পর ওকে কে পরামর্শ দিয়োছিল রেলের মেক্যানিক্যাল য্যাপ্রোন্টসতীশপ দ্রোণং নেবার জন্য। 'িকছু খরচ ওরা দেয়। পাঁচ বছর পরেই দহ”শ কুড়ি টাকা বেতন। কিল্তু সেনা'ক ভেতরে লোক না থাকলে হয় না। ওর সেমুরহাব্ব ছিল না. তা ছাড়া ভালও লাগোনি কথাটা তখন । হাজার হ"ক কারখানার কাজ ত। এখন অনেক কারখানাতেও খোঁজ করল । কাজ পাওয়া যায়--মজহরের কাজ। ভাল কাজের জন্য চাই বিশেষ শিক্ষা । সে শিক্ষা ওর নেই। ফোরম্যান ইত্যাঁদ ত দরের কথা । আজকাল কোন কারখানার সামান্য একট? উ-্চু ধরনের কাজের জনাও বহ্‌ শাক্ষত লোক পাওয়া যায় । 'ডাগ্র ডিপ্লোমা না হ'ক, অন্য কোন দ্রোণং-এর সাঁটিফিকেট দিলেও হবে । এম, এ. পাশ £ গৃক হবে মশাই আমাদের এম. এ. পাশ লোক নিয়ে ৮ 'বদ্রুপ খেলে যায় তাঁদের ঠোঁটের কোণে । ১৬ অগত্যা একমান্ন যে পথ খোলা ছিল সেই পথই 'িবমলকে 'নতে হয়েছে । এ, জি. বেঙ্গলের জ্যানয়ার ক্লারক-_এখন সে পায় মাগাঁগ ভাতা ইত্যাদি নয়ে প্রায় একশ পীচশ । কোন উন্নাতর পথ কোথাও নেই ৷ এক বাঁদ সাব্‌- আঁডনেট গল্যাকাউন্টস সাঁভস পরীক্ষায় উত্তীণ্ণ হতে পারে । নইলে পচে মরতে হবে দহশো টাকায় । অবশ্য সেক্কেটারিয়েটে গেলে কিছ? বোঁশ স্মাবধা পাওয়া যায়, কিন্তু সে আশা সুদ্‌র-পরাহত । সেই কেরানীগাঁর । আশাহীন আনন্দহীন, দীর্ঘকাল ধরে অবজ্ঞাত অবস্থায় কলম ঠেলে ঠেলে একাঁদন 'রিটায়ার করে বসা অথবা বাবার মত পুষ্টির অভাবে কাঁঠন ব্যাধতে ভুগে বয়সের আগেই সরে দাঁড়ানো আর ভিক্ষান্তে দন যাপন করা । পাথরের মার্তর মত নিষ্তব্ধ হয়ে বসে পূর্ণবাবু সমস্ত ইতিহাসটা শুনে যান। শুধু ব্যাকুল হয়ে ওঠেন যখন সব বন্তব্য শেষ ক'রে বিমল বলে, “ছোট ভাইটার এবছরে ম্যাত্রক দেবার কথা ছিল, 'কন্তু আম তার আগেই তাকে ইস্কুল ছাঁড়য়ে এ পাড়াতেই একটা কারখানাতে লাগিয়ে 'দিয়োছ- _লেদের কাজ 1শখছে |” “সোঁক 2 প্রায় আর্তনাদ ক'রে ওঠেন পর্ণ মাম্টারমশাই, ভদ্রলোকের ছেলে--একেবারে সাধারণ কারখানার কুলি-মজ:রের কাজ শিখবে ?, অবজ্ঞা করবেন না স্যার কাঠন হয়ে ওঠে বিমলের গলা, “আমাদের এঁ পাড়াতে অনেক বাঁস্ত আছে জানেন তো, বাঁন্ভর আধকাংশ লোকই নিরক্ষর, আর তাদের বেশশর ভাগই ছোটখাট কারখানাতে কাজ করে, কিন্তু তারা কেউই আমার চেয়ে কম রোজগার করে না !, পকন্তু একটা বছরের জন্যে_-তবুও পূর্ণবাবু আকুল হয়ে বলতে চেষ্টা করেন, ম্যা্তরকটা পাশ ক'রে নিয়েও তো-_; শুধু শুধ? একটা বছরই বা নম্ট কার কেন 2, না না--এ লাইনেই ঘাঁদ দিতে চাও তো কোন টেক'নক্যাল ইস্কুলে পাঁড়য়ে নিয়ে--ধরো ম্যাট্রক পাশ করে যাঁদ কোন মেকানিক্যাল দ্রোণং নিত-_ “সময় নেই স্যার! অসাহফুভাবে উত্তর দেয় বমল, আমার বড় বোনের বয়স চাব্বশ হ'ল, মেজ বোন তেইশ, ছোট বোনও কুঁড়ি পৌরয়েছে! তাদের লেখাপড়া শেখানো হয়াঁন, কারণ সঙ্গতি ছিল না। কোনমতে সকলে কষ্ট ক'রে আমাকেই সুযোগ 'দয়েছে বড় হয়ে ওঠবার । ওরা যাঁদ সোঁদন বিয়ের মত মুখ বুজে খেটে ঝিয়েরও অধম জীবন যাপন ক'রে আমাকে 'নীশ্চন্ত ও ণনরাপদ না রাখত তো আমি এম. এ, পর্যন্ত পড়তে পারতুম না । এবার ওঢদূর 'দকে তাকাতেই হবে । আম যাঁদ এর চেয়ে ভাল কাজ জঈবনেও না খুজে পাই, ওরা আর কতকাল অপেক্ষা করবে ? এখন দভাইয়ে রোজগার না৷ করলে আর চলবে না।, অনেকক্ষণ আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকবার পর পর্ণবাব কেমন যেন অসহায়ভাবে ৯৭ গজেন্দ্রকুমার মল রচনাবলশ (৬ম্১)--২ বলেন, ক জান! সব যেন গোলমাল হয়ে ষাচ্ছে। তোর ভাইও ত ভাল পড়াশুনো করত ?; হ্যাঁ বরাবরই ফাস্ট*সেকেন্ড হস্ত । উঃ! কেমন ষেন এক ধরণের আর্তনাদ ক'রে ওঠেন পূর্ণবাব। এষেন আত্মীয়-বিয়োগ-ব্যথার চেয়েও বোশ- যেন তাঁর দেহেরও কোথাও একটা গুরুতর আঘাত লেগেছে । একটু চুপ ক'রে থেকে বিমল বলল, “এই মান্ন আপাঁন যে আঁভযোগ ক'রে এলেন তারই আমি জবাব 'দচ্ছি। আপান চিরাঁদন এ পুরানো ইস্কুলের ভাঙ্গা দেওয়ালগুলোর মধ্যে বন্ধ হয়ে ছিলেন, তার বাইরের জগৎ আপনার জানা নেই। মনে আছে “ট'র মাথা না কাটলে গকংবা “'আই*-য়ে না ফুটাক দলে আপাঁন নম্বর কাটতেন আর বকা-বাঁক করতেন, 'কিম্তু তাতে ক'রে আপাঁন ছাত্রদের কি ভাবে মানুষ ক'রে তুলতে চেয়োছলেন ? ফি কাজের উপযুক্ত ক'রে 2, পূর্ণবাবু িবহৰল হয়ে যান এ প্রশ্নের সামনে । খানিকটা চুপ ক'রে থেকে বলেন, তা ত কোনাঁদন ভাঁবাঁন বাবা । শিশক্ষা না পেলে ছেলেরা মানুষ হবে না, সেই শিক্ষার ভার আমার হাতে--এই ভেবেই যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি নিভল শিক্ষা দিতে !, “অথাৎ বতমানটাই শুধু ভেবেছেন, ভাবষ্যং নয়। বড় হয়ে ছান্রদের একাঁদন বিশাল পাঁথবীর সামনাসামান দাঁড়াতে হবে, তুলে ?নতে হবে তাকে সংসারের ভার ?নজের কাঁধে। সে দায়ত্ব বহনের সে উপযুন্ত না, যে যুদ্ধ তাকে করতে হবে তার সমস্ত রকম পদ্ধাত সে শিখেছে কি না, ঠিকমত হাঁতয়ার পেয়েছে কিনা-এ সব কথা কোনাদন ক ভেবে দেখোঁছলেন ? বকে চাকরী ক'রে খেতে হবে কি কাজে আসবে তার ব্যাকরণের কচংকঁচ আর ভ্‌গোলের জাঁটিলতা ? ইংলন্ডের হাতহাস জেনেই বা কি হবে? কেরানীি'রি যাঁদ করে কমার্স পড়ে ? বেশ তো তখনই না হয় ভূগোল পড়ে নেবে। তার জন্য আট দশ বছরের বালকদের উপর এ অত্যাচার কেন 2... আর যাঁদ টেকানক্যাল লাইনে যায়, যাঁদ তাকে লোহা-পেটার কৌশলই আরত্ত করতে হয় তো কোন্‌ কাজে আসবে তার নরঃ-নরৌ-নরাঃ কিংবা ভীত্যথানাং ভয়হেতু 2 'াছামছি এ সময় নম্ট করা কেন ৮ যেনদম নেবার জন্যই বিমল থামে একট] । পূর্ণবাব: ঈষৎ অনুযোগের সুরে বলেন, আমরা জানতুম, এই পাঠ্য-পশ্াথ যাঁরা তৈরী করেছেন তাঁরা ভেবেই করেছেন। তাই কোন দিন এ সম্বন্ধে প্রশ্ন কারান । তা ছাড়া, সব রকম ভাবধাতের জন্যই ছাত্রদের তৈরী ক'রে দেওয়া হয় ইস্কুলে--এই আমরা জানি, পরে যে-পথে খুঁশ যেতে পারবে । অল্প অল্প বনেদ সব দিকেই হয়ে থাকা কি ভাল নয় 2 হ্যাঁ! একখানা ঘর করবার আপনার ক্ষমতা, আপন সেই সবটুকু সাধ্য দিয়ে তনমহল্া বাড়ীর ভিত ফে*দে নিঃস্ব হয়ে বসে রইলেন । তারপর ? সে ৯৯৮ ণভতের কি হবে, আপনার বা ঘরের কি হবে ? তার চেয়ে গোড়া থেকেই একটা পথ ধরে চলা ি ভাল নয় ? শুনোছি,।আমৌরকায় এমন বিদ্যালয় বহু আছে যেখানে আগে ছান্রদের জীবিকার পথ ধরানো হয়_-তার রৃঁচি ও ক্ষমতামত ; তারপর তার আন-সাঙ্গক হিসাবে কিছ িছহ বিদ্যা সে শেখে, ঠিক যেটুকু তার গ্রয়োজন। তাতে সময়ও বাঁচে, ভাবষ্যতের অনেক ব্যথ-তা, অনেক হতাশা থেকে সে ছাত্র অব্যাহতি পায় । আর আপাঁন সব রকম বনেদের কথা বল- ছিলেন না 2 যে ছেলে ইস্কুল থেকে বোঁরয়ে এসে পড়তে চুকেছে, এমন কোন সেকেন্ড ইয়ার কি থাড ইয়ারের ছেলেকে ডেকে কোনাঁদন ইতিহাসের দু-একটা প্রশন ক'রে দেখেছেন ?গক-_ক অসামান্য অজ্ঞতা তার ঃ আম এই চাকরগর পরীক্ষা দিতে ?গয়ে কিছ কিছু টের পেয়োছি স্যার । যেমন তারা জানে ভূগোল তেমাঁনই ইতিহাস! পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ম্যা্রক পাশও কিছু কিছু ছিল । তারা সবে হীতহাস ভূগোল শেষ ক'রে এসেছে । 'নিউাঁজল্যান্ড আমোরকার রাজধানী লেখে এবং হর্যবর্ধন অশোকের পৌন্ল এবং চানক্যের 'পুত্র লিখে বসে থাকে! অথাৎ সব দিকেই আপনাদের এই "শিক্ষা ব্যর্থতায় পর্যবাঁসত হচ্ছে! 'শক্ষা আর তার সঙ্গে তাদের জীবন 1, উত্তোজতভাবে কথা বলে যাঁচ্ছল ওরা, পপ্রয়ম্বদা ইতিমধ্যে এসে দুটি নারকেল নাড়ু এবং এক গ্লাস জল বিমলের সামনে রাখলেন । এতক্ষণ একটি কথাও বলবার তান অবকাশ পানাঁন, কোন: প্রশ্নই করতে পারেনাঁন। তাঁর সেই শান্ত সহনশীল একান্তভাবে তদগতপ্রাণ মূতিতে কি ছিল--সহসা সোদকে চেয়ে বিমলের চোখে যেন জল এসে গেল । প্রয়ম্বদা এতক্ষণে প্রশ্ন করলেন, “ক হ'ল বাবা বিমল ওখানে ওরা ধৃতি-চাদর এবং িছ? টাকা ওকে দতে চেয়োছিল, উান না গনয়েই চলে এসেছেন।” অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠকে চাপা দিতে তাড়াতাঁড় নারকেল নাড়ু্‌টা মুখে পরে দেয় বমল। না 'নয়েই চলে এসেছেন 2 কেন? “ও-কেই জিজ্ঞাসা করুন । শিক্ষার নাকি এত অধঃপতন ঘটেছে যে সেই শিক্ষা-প্রীতষ্ঠানে দাঁড়য়ে কোন লম্মানই উন নিতে পারবেন না। তাতে ও-র সততায় বাধবে ।' পূর্ণ মাম্টার মশাই অপরাধীর মত মাথা হেস্ট ক'রে বসে রইলেন। প্রয়ম্বদা একবার স্বামীর সেই মুখের দিকে চেয়ে বললেন, “সে ডান যা ভাল বুঝেছেন তাই করেছেন বাবা । আর কশ-ই বা হ'ত, এ ক-্টা টাকায় দক আর চিরকালের মত দুঃখ ঘুচে যেত ?। বিমল যেন জলে ওঠে নিমেষের জন্য, “দেখুন এটা স্রেফ জোচ্ছার, ধাপ্পাবাঁজ। 'নজে চিরকাল ঠকেছেন, ভুল করেছেন, অথচ এমনভাবে আপনাদের বুবিয়েছেন ষেন ডান একজন পূজনীয় মহাপুরুষ ।***নজের জীবন নষ্ট ক'রেই শুধু ক্ষান্ত হতেন ত কথা ছিল, আপনার জীবনও টীন নষ্ট করেছেন' বলতে বলতে সত্যই ওর চোখে জল এসে যায়। ওর নিজের জীবনের ১, যা'কিছু ক্ষোভ, যা কিছ: ব্যর্থতা, যত তিস্ততা তা এই আঁভযোগের মধ্যে, এই কটাস্তর মধ্যে বৌরয়ে আসে । এ চোখের জলও সেই ঠতিন্ততারই বিন্দু এক একট । অপ্রাতিভ হয়ে পণ্ড়ে চোখ মুছে হেশ্ট হয়ে পূর্ণবাবুর ও প্রিয়ম্বদার পায়ের ধুলো নেয় বিমল, 'মাপ করবেন স্যার, আজ আমার মাথার ঠিক নেই। আরও যেন আপনার অবস্থা দেখেই আনব্যালেন:সড হয়ে পড়োছ।”** আপনার মত কর্তব্যানম্ত পাঁরশ্রমশ মানুষের জীবনটা কি হ'ল বলুন তো ! সব ছেড়ে যেটাকে অবলম্বন ক'রে ছিলেন সেটাও আজ আপনার খসে পড়েছে । ***এ শিক্ষা যে ক শোচনীয় রকমের ব্যর্থতা” 'ানজেকে "দিয়েই ত বুঝতে পারছেন! আচ্ছা আঁস--, ধবনা ভ্মকায়, 'বনা আয়োজনে অকস্মাৎ সে একেবারে উঠে দাঁড়ায় এবং পরমুহ্‌তে"ই বাইরে সেই খররোদ্রের মধ্যে হাটতে শর করে । “ও বাবা বিমল, এই এত রোদ্দুরে-- আরও কি বলতে যাচ্ছিলেন শপ্রয়দ্বদা, গকন্তু গবমল ততক্ষণে বহুদূর পথের বাঁকে অদৃশ্য হয়ে গেছে । খাণশনক চুপ ক'রে থাকেন পপ্রয়ম্ধদা ৷ প্রন করার গকছ? দরকার হয় না। এতকাল এই সংসার চালিয়ে এসে, এই মানুষের ঘর ক'রে অনেক কিছুই, ণনজের মন দিয়ে বুঝতে পারেন । অনেকক্ষণ পরে দীর্ঘানঃশবাস ফেলে স্বামীর 'দকে ফিরে বলেন 'মুখে- হাতে একটু জল 'দয়ে নাও | যা হয় খাবে চলো দুটো ।” হণ্যা এই যে যাই িন্তু তবুও তান উঠতে পারেন না। মলের শেষ কথাটা তাঁর অন্তরে বেদনা-জাঁড়ত স্মৃতির সরোবরে প্রচণ্ড এক ঢেউ তুলেছে । তাঁর মন বসে বসে সেই ঢেউ আছ:ড়ে পড়ারই শব্দ শুনতে থাকে । ৫ পূর্ণবাবু হল হয়ে বসে রইলেন অনেকক্ষণ পর্যন্ত। বলতে গেলে সারা [দিনেও সে বিহবলতা কাটল না তাঁর। আজকের মত ?দিন তাঁর এই সত্তর বছরের জীবনে কোনাদনই আসোন ॥ সকাল থেকে সেই িশেষ মৃহূতশট, বরং বলা যেতে পারে নাটকীয় মূহ্‌ত"টর জন্য প্রস্তৃত হ'তে 'গয়ে বষম উত্তোজত হয়ে পড়েছিলেন ; এবং সে উত্তেজনা বেড়েই গগয়োছল । নাটকের যেমন অঙ্কের পর অজ্ক চরম পাঁরণাঁতর পথে এাঁগয়ে গেলেও প্রাত অঙ্ক শেষ হবার সময়ে আবার একটি বিশেষ ধাক্কা দেয় দর্শকের মনে-সে ধাকারও অভাব ছিল না, আর চরম নাটকণয় পাঁরণাঁত ত তাঁনই সষ্ট ক'রে এলেন। সুতরাং বলতে গেলে একাঁট পূ্ণাঙ্গ নাটকই আঁভননত হয়ে গেল আজ তাঁর জীবনে । সে প্রাতক্রিয়া ত আছেই--তার ওপর 'বমল আবার এ কী ক'রে গেল! “অন্যায় করেছেন” এ কথা জানবার পর কোনাঁদনই 'তনি স্থির ২০. থাকতে পায়েন না--তার প্রাতিকার না হওয়া পর্যন্ত । বিমল যা বলে গেল তা যাঁদ সত্য হয় ত?তাঁন একাঁট ঘোরতর অন্যায় করেছেন--আর বোধ কাঁর তার প্রাতকারের পথ খোলা নেই৷ একাীহ”ল। এখন ক করেছেন তান ; কে বলে দেবে তিনি ভুল করেছেন কি না। সারাঁদন ভেবেও গতাঁন কুল-কনারা পেলেন না ভাবনার । এমনভাবে ভাবতে তান অভ্যস্ত নন। শিক্ষাকে এভাবে তান কখনও দেখেনাঁন | এ একেবারে নতুন কথা । সব যেন গুঁলয়ে যেতে লাগল তাঁর মাথার মধ্যে । আজ তাঁর বাল্যকালের কথা মনে পড়ছে । সোৌঁদনও কম দার্দন নয়-_ এত সমস্যা হয়ত ছল না জীবনে কিন্তু দারদ্যু ও অভাব ছিল যথেম্ট । তব সোৌঁদনও এই শিক্ষাকে, যাকে বলে য়্যাকাডোমক বা প্ণীথগত শিক্ষা, তাকেও হীন ব'লে ভাবতে পারেনান। এই শিক্ষা বিতরণ করা জীবনের মহত্তম ব্লত ও আদর্শ ব'লে বেছে নিয়েছিলেন অনায়াসে । শিক্ষক জাঁবনের পাঁরণাম সোঁদনও তাঁর অজানা ছিল না । এত কালো ছণব হয়ত দেখেনান 'তাঁন, তব: আধর্থক অভাব অনটনের জন্য প্রস্তুত হয়েই এই জীবন বেছে গনয়োছলেন, আর সারা জাঁবনে সে জন্য অনুতপ্ত হবারও কোন কারণ অনুভব করেনান তান । যেটাকে আদর্শ ব'লে, কর্তব্য বলে জেনেছেন, প্রাণপণে সেটাকেই পালন ক'রে যাচ্ছেন, সেই লক্ষ্যের 'দকেই এাগয়ে যাচ্ছেন--এই ত ছিল এতাদন সান্স্বনা ৷ অথচ আজ-_ বহু কম্টে, বহু সাধনায় যে ইমারৎ গগনচুম্বী হয়ে উঠোছল, এতাঁদন পরে প্রথম শুনলেন যে তার ভিতরটাই নেই ! সাধনা ! শুধু কি কুচ্ছুসাধন--শুধু কি আর্ক অভাব £ সমস্ত রকমের প্রয়োজনকে সও্কুচিত ক'রে কোন রকমে জীবনধারণ করা । না--আরও অনেক আছে । আজ সেই সব কথাই মনে পড়ছে । বহীদনের শ্‌কিয়ে যাওয়া ঘা-্টায় খোঁচা দিয়েছে-টাটকা রক্ত ঝরছে সেখান 'দিয়ে । ছেলেবেলার কথা মনে পড়ছে বৈকি । খুব ছেলেবেলার কথাও । মফস্বলে মুন্সেফ কোর্টের উকাল--পূর্ণবাবুর বাবা ছিলেন তাঁরই মুহুরী । সামান্য আয়--সংসার খুব বড় ছিল না বলেই চলে যেত। ওরা থাকতেন সে মফস্বল শহরের বাইরে এক ছোট্র গ্রামে ( গণ্ডগ্রাম নয়--অনেকেই যেটা ভূল ক'রে থাকে । পর্ণবাবুর মাস্টারী মন এই স্মৃাতি-মাঁথত আবেগের মধ্যেও মনে করে কথাটা- শুধু ছাত্র কেন, বহু শিক্ষক ও সাহীত্যিকও এই ভুল করেন-_গণ্ডগ্রাম বলতে অজ-পাড়াগাঁ বোঝেন ) সেখান থেকে দেড় ক্লোশ রাস্তা হেটে ও-র বাবা আসতেন চাকরী করতে, পূর্ণবাবুকেও আসতে হণ্ত। প্রথম প্রথম খদব পা-ব্যথা করত--বাবা 'ীনর্জন মাঠে পড়লে কোলে করতেন এক- আধবার । বাবাকে আসতে হ'ত ভোরবেলা--শীতকালে ত রীতিমত অন্ধকার থাকতে বোরয়ে পড়তেন--কারণ সকাল থেকেই মন্কেলের ভীড় লাগবে, তার আগে মুহঃরীর পেশাছনো চাই। গতাঁন মাঁনব-বাড়ীতে খেতেন, এ রকমই ২১ রেওয়াজ 'ছিল, তার কারণ অতদ্‌র বাড়শ গিয়ে খেয়ে আসা সম্ভব নয় । এখনকার কথা পূর্ণবাব্‌ জানেন না, কিন্তু তখনকার 'দনে অনেক মকেলও উকশলবাড়শ মাথায় দু'ঘাঁট জল ঢেলে চাট ভাত খেয়ে নিতেন । রান্না করতেন অবশ্য উকীলবাব্‌র বাড়ীর মেয়েরাই--ওএর স্ব আর বিধবা বোন, কিন্তু তবু তাঁদের 'বরান্ত প্রকাশ করার উপায় ছিল না। ঠাকুর, গরু-বাছুর, িষেণ এসব ছাড়াও বাইরের অতগৃলি লোকের রাল্না-অনেক সময়ে আগে থাকতে জানাও যেত না, বাবু হঠাৎ বলে পাঠাতেন বেলা দশটার সময়ে, আরো চারখানা থালা বোশি পড়বে, মক্কেল খাবে । এসব তাঁদের গা সয়ে 'গিয়োছল ব'লে সাধারণত তাঁরা প্রয়োজনের একট বোঁশই রাঁধতেন--হয় বাঁস থাকত নয় গোরুর ডাবাস়্ যেত। কিন্তু তাতে ক্ষাত হ'ত না--উকীলবাবুর নগদ আয় তেমন কিছ বেশী না থাকলেও চালকড়াই আসত চাষের--তাতে ভাত ডাল চলত । আর তাছাড়া কীই বারান্না হ'ত--ভাত-ডাল-আলঃভাতে, উঠোনের শাক-ডাঁটা-কচু দিয়ে একটা চচ্চাঁড়--বড় জোর একটা বাঁড় কি বড়ার তরকারী । তার সঙ্গে চালতা আমড়া ?ি নোড়ের টক । মাছ কদাচিত আসত- হাটের দন কিংবা পুকুরে জাল ফেললে- সোঁদন অন্য টক না হয়ে মাছেরই অন্বল রান্না হ'ত। তবে একটা কথা এই যে বাড়ণর কতাঁও সকলের সঙ্গে বসে এঁ খাওয়াই খেতেন । বেশির মধ্যে তাঁকে একবাটি দুধ দেওয়া হত ভাতের সঙ্গেই । পূর্ণবাবুও ওখানে খেতেন সকালবেলা । কারণ ছেলে ছোট, কার সঙ্গে আসবে সে একটা বড় সমস্যা, তার ওপর বাড়ীতে পড়াবে কে? ছেলেকে এনে বৈঠকখানা-ঘরের দাওয়ায় এক কোণে একটা চট পেতে বই শেলেট ?দয়ে বাঁসয়ে দিতেন ও"র বাবা আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে এসে পড়া ব'লে দতেন বা পড়া নিতেন। দশটার সময় বাবা গনজে পুকুরে স্নান করতে যেতেন, ওকেও নয়ে যেতেন। ভাত খেয়ে তান ষেতেন কাছারী, পূর্ণবাবু যেতেন ইস্কুল । ছুটির পরও বসে থাকতে হ'ত অনেকটা--কাজ সেরে বাড়ী যেতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যেত এক-একদিন। এক গাল মৃঁড় "বিয়ে বসে বসে ঢুলতেন পূর্ণবাবু। তারপর বাবার হাত ধরে লণ্ঠনের আলোয় বাড়ী ফিরতে হ'ত। ও-র বই শেলেটের সঙ্গে বাবার কাগজপন্্ও বইতে হ'ত তাঁকে । বাড়ী ফিরে বাবা বহ:রান্রি প্ত কাজ করতেন--ছেলের জন্যই সকাল ক'রে বাড়ণ ফিরতে হ'ত--নইলে সব মুহুরীই রাত দশটা পর্যন্ত উকীল বাড়ী থাকে। কাজ বাড়ী এনে সেটা প্হাষয়ে দিতেন ওর বাবা। এই জীবন । কম্ট তখনই বুঝতেন পূর্ণবাব্‌। আর সেই সুযোগে বাবা ওকে কেবল বোঝাতেন--“দেখাছস ত! লেখাপড়া শিখেছেন বলেই উকীলবাবু আজ মানব--আঁম ও"র মুহুরী । নইলে কাজ ত আ'মই বেশী করি, ডান কতট,কু করেন? আম ভূতের মত খাঁটি আর ওর পয়স্বা হয়। তুই দেখে শেখ । মন দিয়ে লেখাপড়া শিখে উকঈল হাঁব--এইটে যেন দেখে যেতে পার |” কিদ্তু সেটা দেখে যাওয়া তাঁর অদৃচ্টে ঘটে ওঠেনি । তার বহু আগে” ৬ পূর্ণবাবূর খন মোটে দশ বছর ]বয়স তখনই হঠাৎ মারা গেলেন ওর বাবা। কাছারাঁর সামনে ঘোড়ার গাঁড় চাপা পড়োছলেন--সেই উপলক্ষ্য ক'রে ভুগতে ভূগতে মাস দশেক পরে একাঁ্দন চিরকালের মত চোখ বুজলেন । পূর্ণবাবৃদের দাঁড়াবার গ্ছান ছিল--কারণ বাড়শটা পোল্লিক--িন্তু খাওয়ার মত কিছ: ছিল না। এগারো 'বঘা জাঁমর তন অংশশদার- ধান চাল যা হস্ত তাতে তিন মাসও ওদের সংসার চলবার মত কথা নয়। কাকাদের অবস্থা তথৈবচ, তা ছাড়া সচ্ভাব গছল না কারুর সঙ্গেই । ও*র মা নীলাব্জ- সুন্দরী চোখে অন্ধকার দেখলেন । এতকাল যা 'িছ জমোছল, দশমাস চাকৎসার খরচ টানতেই শেষ হয়ে গেছে_এখন দুটি ছেলে ও মেয়েকে তান খাওয়াবেন 'ক ? পূর্ণবাবুর দাদামশাই থাকতেন কাশীতে--খবর পেয়ে গতাঁনই এসে নিয়ে গেলেন । সেকালের কাঁমশোররেটে চাকরী--এগার টাকা পেন্সন পেতেন ভদ্রলোক । 'বিপত্বীক-নজেই একবেলা রেধে খেতেন ব'লে বেশ স্বচ্ছন্দে চলে যেত। কিন্তু তার মধ্যে মেয়ে তার তনাঁট ছেলেমেয়ে 'নয়ে এলে ঢুকলে একট অস্হাবধা হবারই কথা । কাশীতে সেকালে খুবই সন্তা-্গন্ডা ছিল-_ মাঁসক দুটাকা 'তনটাকা আয়ে বহ ণবধবা জীবন কাটাতেন, 'িন্তু তবু একটা টাকা ষোল আনাই--কোন মতেই তাকে টেনে উাঁনশ আনা এমন 'ক সতেরো আনাও করা যায় না। তার ভেতর আবার লেখাপড়া শেখানোর প্রশ্ন উঠলে দস্তুর-মত 'বব্রত হয়ে পড়তে হয়। সুতরাং বাধ্য হয়েই বাহাত্তর বছর বয়সে তাঁকে এক কাঠ-কয়লার দোকানে খাতা লেখবার কাজ 'নতে হ"ল মাঁসক 1তনটাকা বেতনে । একটা মাটি থেকে মৃূলসহদ্ধ উঠিয়ে এনে আর একটা মাটিতে ফেলা হ'ল। কিন্তু প্ণবাবূর তখনও সেটা বালাকাল, এমন কোন অস্নীবধা হ'ল না। কাশীতে এসেই বলতে গেলে ভাল ক'রে জ্ঞান হ'ল পূর্ণবাবর । জন্মের প্রথম লগ্নে গভর্ণনদ্রার যে ঘোর লেগে থাকে এইবার তা কাটল । ভাল ক'রে চোখ মেলে তাকালেন পঁথবার ?দকে। কাশী ছিল তখন 'বাঁচন্ত স্থান ! ধনবানের এশ্বর্ষের দম্ভ এবং 'বিলাসবাসনে উচ্ছৃঞ্খলতা যে কিছ না ছিল তা নয়_-কিন্তু সে যেন অন্য এক কাশশী। সে কাশী ছিল দূর এক প্রান্তে সরানো--এঁ চকের ধারে- কোথায় ষেন “ডাল-কা-মন্ড'--এঁটেই নাক খারাপ জায়গা । আর বড়লোক জাঁমদার যাঁরা তাঁরাও নাক এ ওধারের কোন: কোন অঞ্চলে থাকতেন । সে কাশী পূর্ণবাব কখনও চোখে দেখেননি । গঙ্গার ধারে সে কাশশর দেখা মিলত চৈন্লমাসে “বৃঢ়ুয়া-মঙ্গলের সময়--তখন ও*র মা এবং দাদামশাই ওকে গঙ্গার ব্রি-সীমায় যেতে দিতেন না। পূর্ণবাবু দেখোঁছলেন, বরাবরই দেখোছলেন আর আজও সেই ছাবই তাঁর মনের পটে আঁকা আছে-কাশীর অনা রূপ। “প্লেন লাভং র্যান্ড হাই হ্৬ 1থাগকং' যে-কথাটা অনেক বড় হয়ে শুনৌছলেন পূর্ণবাবৃ, বা আর কোথাও আছে কি না তিন অন্তত জানেন না--তার পাঁরপূর্ণ চেহারা দেখা যেত সে সময় কাশীতেই । অন্ধকার সঙ্কীণ গাঁলর সার--তারই মধো মধ্যে আরও অন্ধকার ঘরে বসে চলেছে শাস্ত্র চচ্চাঁ। কাব্য ব্যাকরণ-সাহত্য-দশ'ন-্মাতি-_ তার সঙ্গে সঙ্গে, ইংরেজী-জানা লোকেরও অভাব নেই--পাশ্চাত্য দর্শন ও শচন্তাধারার আলোচনা । টোল ঠিক না থাকলেও অধ্যাপক পরম্পরায় অব্যাহত শাস্ত্-চচ্চা অক্ষয় হয়ে ছিল এ সব প্রায়ান্ধকার বাড়ীর কোটরে কোটরে । ছিল অসংখ্য বেদ শবদ্যালয় ; বেদ, উপানষদ নয়মিত পঠন-পাঠন চলত । মান্দরে মান্দরে ঠাকুরবাড়ীতে ঠাকুরবাড়শতে চলত কথকতা । গঙ্গার ঘাটে ঘাটে রামায়ণ ও চণ্ডীর গান- পালা কীর্তন ও কথকতা! তার সঙ্গে এ সব ঘাটেরই 'সিখড়তে সিশড়তে এসে বসতেন মহামহোপাধ্যায় পশ্ডিতরা, রাত আটটা নটা-_-গরমের দিনে আরও গভশর রাত পর্যন্ত চলত আলোচনা ও তর্ক। যার কিছ: জ্ঞান আছে সে এসে কান পেতে শুনত ও উপকৃত হস্ত । এক একটি পাঁণ্ডতের দলকে কেন্দ্র করে ছোট খাট উৎসুক শিক্ষার্থীর ভীড় জমে উঠত--সোঁদকে চেয়ে পূর্ণবাবুর মনে হ'ত ভাবীকালের নক্ষত্ররা নঈহাণরকার মত ঝাঁক বেধে অপেক্ষা করছে; বৃহত্তর কমক্ষেত্রের প্রস্তীত চলছে এখানে । আমোদ-প্রমোদও ছিল বোঁক ! কোন: বড় বড় গায়ক ওখানে না আসতেন এবং গঙ্গার ঘাটে না গাইতেন। মহীশ্‌রের সভা-গায়ক, মাইহারের সভা-বাঙ্গক থেকে শুরু ক'রে বড় বড় গায়ক ও বাদক--হিন্দু-মুসলমান নাবশেষে কোন দিন না কোন দিন ওখানে বসে গাইবেনই ; বিষ দিগম্বরকে তিন দেখেছেন এ গঙ্গার ঘাটেই । একবার যেন রাধকাপ্রসাদ গোস্বামীর গানও শুনোছলেন মনে হচ্ছে। গঙ্গার ঘাটে না হ'লে কোন ঠাকুরবাড়'ীতে আসর পেতে গানের মজাঁলস বসত । গরমের দিনে হয়ত কোন ধনী রাঁসক ব্যান্তর আনৃকূল্যে বজরার ছাদেও বসত- দেখতে দেখতে অসংখ্য নৌকা এসে লাগত সেই বজরার সঙ্গে, পরে যারা আসত তারা লাগাত এদের সঙ্গে _এমান ক'রে অল্প সময়ের মধ্যে অসংখ্য নৌকা এক ভাসমান দ্বীপের সাঁম্ট করত । বহু রান্র পর্যন্ত চলত গান-বাজনা । সরস্বতী- পূজার রাত্রে, শিবচতুর্দশীর রান্নে-_সারারাত ধরে গান-বাজনা চলত । পরবতর্ণ জীবনে একবার দুশদনের জন্য কাশীতে আসতে হয়োছল, ও*র এক বোনের শাশুড়ী মারা যান সেই উপলক্ষে-__তারই মধ্যে টান শুনোছলেন ইউরোপ থেকে সদ্প্রত্যাগত 'দিলনপকুমার রায়ের গান এ গঙ্গার ঘাটে বসেই । আজও কানে বাজছে সে সুর, পাঁরপূর্ণ অবসরম্হূর্তে চোখবুজে কথাটা ভাবলেই কানে বাজে “মলয় আসিয়া কহে গেছে কানে 'প্রয়তম তুম আঁসবে' কিংবা "ছল বাঁস সে কুসুম কাননে ।” অনেক দেখেছেন পর্্ণবাবু । বহু পণ্ডিতকে । তখন তাদের মযার্দা সব বোবেনাঁন, কম্তু অপরে যে সম্্রমের সরে উল্লেখ করত এ+দের__-তাতে ২৪ এটুকু বুঝতেন যে এরা অসাধারণ পাঁন্ডত। সারা ভারতের 1শরোম?ণ পান্ডত। এ*রাই সরস্বতীর বরপাত্র। পরবতাঁ জীবনে এদের মূল্য আরও বুঝোছলেন, এদের খ্যাত তখনও বিদ্বজ্জন সমাজে মুখে মুখে ছাঁড়য়ে আছে । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিতেন পূর্ণবাব্‌ যে অন্তত এদের দশনের সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল । এখনও চোখ বুজলে মৃর্তগুলো স্পন্ট না মনে পড়্‌ক, আদলগুলো মনে আসে । দেখেছেন বেদান্তের ভারতখ্যাত অধ্যাপক সনত্রন্ষণ্যম- শাস্তীকে, দেখে- ছেন সাংখ্যের দিকপাল পণ্ডিত রাম 'মশ্র শাস্লীকে । রাখালদাস ন্যায়রত্ নাকি সাক্ষাৎ ব্যাসদেবের বংশধর | সেটা কতটা সত্য তা জানেন না পর্ণবাব্‌, কিন্তু রাখালদাস ষে সর্বজনপজ্য অধ্যাপক ছিলেন তা জানেন। কৈলাস শিরোমাণর কথাও মনে আছে। সবচেয়ে একজনের কথা মনে আছে--এখন যাঁর নামও কেউ মনে করতে পারবে না, 'িম্তু তখন কাশীর 'বখ্যাত পাণ্ডিতরাও তাঁকে সম্ভ্রম করতেন-াতাঁন বামনাচারী। চার বেদ তাঁর ছল নখদপণণে। এ না কি দুলণভ পাশ্ডিত্য । আজ বেদ 'নয়ে কে-ই বা মাথা ঘামাচ্ছে। যাঁরা চচ্চঁ করেনও--তাঁরাও হয়ত স্বীকার করবেন না যে এই চারাঁট পরীথ সম্যক আয়ত্ত করতে এমন কিছ পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন হয় ! এই জ্ঞানচচ্চার মহৎ অথচ সহজ পাঁরবেশেই পূর্ণবাবূর বাল্যকাল এমন ক প্রথম কৈশোরও কেটেছে । 'কন্তু তবু তিনি প্রাচীন ভারতীয় 'িদ্যাদান- পদ্ধাতর 'দকে আকৃষ্ট হ'তে পারেনান, গতানগাঁতক ইংরেজী 'িক্ষায়__ ইংরেজী স্কুলের শিক্ষার নেশাতেই উন্মত্ত হয়ে উঠে আজীবন সাধনা করেছেন যতটা সম্ভব নিভূলভাবে এই শিক্ষা প্রচারের জনা । কেন ? তার জন্য বোধ হয় প্রধানত দায়ী ছিলেন ওদের স্কুলের তারাপদবাবু। তারাপদবাব 'িচিন্ত্, তারাপদবাবু অদ্ভূত । আজও তাঁকে স্মরণ করলে হাত দুটো আপাঁনই ললাটে পেশছয় । প্রণাম করেন মনে মনে । আজ জাবনে এই প্রথম সন্দেহ জাগছে মনে যে তারাপদবাবুর শিক্ষার আদশ" মনেপ্রাণে গ্রহণ ক'রে ভুল করেছেন কিনা । নইলে এতাঁদন 'নিশ্চিন্তই [ছলেন। তবদ--তারাপদবাবহঃর প্রভাব মুছে ফেলা আজ বোধ হয় কিছুতেই সম্ভব নয়। ॥৬॥ মাঝার চেহারার গাঁটাগোট্টা মানৃষাঁট! এক গাল দাঁড় গোঁফ, খাল পা, মালকৌঁচামারা ধূঁতি আর উড়শীন। চোখ বুজলেই এই চেহারাটা মনের পটে ভেসে ওঠে । সেকালের ইংরেজ ইস্কুলে বাংলার মান্টার-_-তাও কাশশর মত আন্মগায়- মাত্র পনেরো'টি টাকা বুঝ মাইনে পেতেন । কিছ? কিছু যজমাননও ৫ গছল অবশ্য, 'িন্তু সেও-_তারাপদবাবহ নিজেই ঠাট্টা করে বলতেন, “কাশখতে যজমানের চেয়ে যাজকের সংখ্যা বেশী । ডাকবে কে ? সুতরাং খুব কায়ক্লেশে সংসার চলত । উড়দান ছাড়া জামা কি গরম চাদরও কখনও গায়ে দেখেনান পূর্ণবাবু । বালক-সলভ প্রগলভতায় একাদন প্রশ্ন ক'রে ফেলোছলেন [তাঁন, “আপনার শত করে না মাস্টার মশাই ? তারাপদবাবু মোম্দা হেসেই উত্তর 'দিয়োছলেন, করে না আবার! কাশশর শঈত। হাড়ভাঙ্গা শীত। দেখাছস না গায়ে কাঁটা 'দচ্ছে? কম্তু করলেই বা উপায় ক? পাবো কোথায় 2 দানে ধুতি চাদর পাই--উড়ুনিটাই জোটে । গরম গায়ের কাপড় দেবার লোক কৈ? কদাচিৎ কখনও যা পাই, ছেলেপুলের জন্যে রাখতে হয় ত। জুতো নাক কখনই পায়ে দেনান । খড়ম পায়ে দিতে পারতেন, কারণ দানে পাওয়া যায় খুবই--চণটও যে এক আধ জোড়া না মেলে তা নয় শিন্তু পায়ে গকছু দিতেন না ইচ্ছা ক'রেই, বলতেন, ইংরেজ এদেশ থেকে গেলে তবে জুতো পায়ে দেব। এখন ত অশোচ চলছে !, এইটেই ছিল তারাপদবাবূর চাঁরন্লের সবচেয়ে বড় কথা--ধ্যানে-জ্ঞানে- স্বপ্নে-এঁ এক চিন্তা । প্যাসন বলাই উঁচত। পূর্ণবাবু তাঁর এই সুদশর্ঘ জীবনেও এতবড় ইংরেজাবিদ্বেষী লোক দেখেনান। আবার অমন ইংরেজ ভন্তও কেউ ছিল না। পৃঁথবীতে যেখানে যত অন্যায় আঁবচারই ঘটুক না কেন, সে দোষটা অনায়াসে ইংরেজের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার অসাধারণ ক্ষমতা 'ছিল তারাপদ- বাবুর । খবরের কাগজ--তখনকার 'দনে যা বাংলা সাপ্তাহক পাওয়া ষেত-- মন 'দয়ে পড়তেন 'তাঁন, রাজনীতি "ছল তাঁর বড় রকমের নেশা আর প্রাতাদন ক্লাসে এসেই সেই সব সংবাদ সম্বন্ধে তাঁর যা ব্যাখ্যা--তা ছেলেদের বাঝয়ে দেবার চেষ্টা করতেন। ছেলেরা অনেকেই তা বৃঝত না, এসব কথা ভাল লাগত না বেশীর ভাগ ছেলেরই, কিন্ত তারাপদবাব্‌ তা দেখতেন না। এমন ক পড়াতে পড়াতে কোন প্রসঙ্গ-সত্র পেলেই রাজনীতিতে চলে আসতেন আর সেই উপলক্ষে যে-কোন রকমে ইংরেজের কথা এনে বিষ উদ্গার করতেন তাদের বিরুদ্ধে । পর্ববঙ্গের লোক ছিলেন--উচ্চারণ ছিল বাঁকা, 'ত্রাটিশ পাঁলাঁশ বলতে পারতেন না- বলতেন পব্রাটছ্‌ পালাছ'__এই পালাছি তান প্রত্যেকাট ঘটনায় দেখতে পেতেন। িকেন্সের ডোঁভড কপারাফিজ্ড উপন্যাসের 'মন্টার ডিকের যেমন সব কথায় “রাজা চাল“সের মাথা” এসে পড়ত-_তেমাঁন ছিল তারাপদবাবুরও--ছটা কথা বললেও 'তাঁন তার মধ্যে একবার পব্রটছ পাঁলাছ'র উল্লেখ করবেনই ! এই পাঁলাছর সাংঘাতিক ক্ষমতার পারচয় তিনি প্রাতাদনকার দৈনন্দিন অভাব-অভিযোগ থেকে শুরু ক'রে মেঘ-বৃাজ্ট-রোদ্রের আড়ালেও খু'জে বার করতেন। অথচ তাঁর মত ইংরেজ শিক্ষার এমন সমর্থক কেউ 'ছিল না। সংস্কৃত পড়ার কথা উঠলেই তেলেবেগদনে জব্লে উঠতেন, ব্যাটা মারো--ক্যাঁটা ৬, মারো! ওসব ইকাঁড় কড়ি পড়ে কি হবে বাবা- সংস্কৃত পড়া হলো পৃথিবীর উল্টো দিকে হাঁটা । পাথবী যাচ্ছে একদিকে তোমরা চলেছো অন্য দিকে । এখন সারা পাঁথবীটা পড়ে রয়েছে এ ইংরেজগুলোর পায়ের তলায় । জ্ঞান-বিজ্ঞান রণাঁবদ্যা যা কিছু বলো না কেন- ওরাই হাতের মৃূঠোয় পরেছে । যেমন ক'রে হোক ইংরেজী শিখে এগুলো আগে হাতাও তারপর অন্য কথা! সংস্কৃতে আছে ক ? সাংখ্য 2 পাতঞ্জল ? বেদান্ত ?৫-- ওরে বাবা, তাও পাব ইংরেজী পৃশথ পড়লে । ওরা নেয়ান দি? কোন ধবদ্োটা ওদের আত্মসাৎ করতে বাকী আছে তাই শুনি ? প্রাণপণে ইংরেজ? শেখ পাঁথবীতে যা কিছু শেখা সব তোর কাছে সহজ হয়ে যাবে। সরস্বতীর ঘরের কপাট হল এঁ এ-ব-স-ডি--জানিস বাবা ? এ দোর খুলতে পারিস, গোটা ঘরখানাই তোর ।, শুধু জ্ঞানের কথাই নয়_-প্রয়োজনের কথাটাই ছিল তাঁর কাছে বড়। বলতেন, ইংরেজী লেখাপড়া না শিখলে কোন?দন ওদের চিনতেও পারাবাঁন, ওদের সঙ্গে লড়তেও পারাঁবান। ওদের সমান হয়ে তবে ওদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। রাবণের মৃত্যুবাণ রাবণের ঘর থেকেই চুর করতে হয়োছল। পৃরাণে এসব গল্প যে তোদের শিক্ষা দেবার জন্যেই লেখা হয়েছে বাবা !, প্রাতীদন শুনতে শুনতে কথাটা গভীর ভাবে মৃূলপ্রসার করেছিল পূর্ণবাবূুর মনে। ওর দাদামশাই রাখালদাস ন্যায়রত্বের কাছে যেতেন অবসর পেলেই--তাঁর নিজের বোঁশ লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি- বোধ হয় সেইজন্যই তাঁর সাধ হয়েছিল নাত অন্তত সংস্কৃত শিখে পঁশ্ডিত হোক । মুখ ফুটে বলেও ছিলেন সে কথা--পূর্ণবাব কান দেনান। তারাপদবাবুর কথা প্রত্যহ মনের ইস্পাতে হাতুীড় পেটার মত বওকার তুলত-_দাগও রাখত । তাই শোনা হয়ান। হয়ত- আজ মনে হয়-__দাদামশাই সোঁদন দৃঃখই পেয়োছিলেন। [কিন্তু শিক্ষা চাই । একথাটাও তারাপদবাবু বলতেন ; শিক্ষাই মানুষের জীবনে বড় কথা । পয়সা রোজগারের জন্য কেউ যেন লেখাপড়া শিখতে এসো না। এঁষে মারোয়াড়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছে--কার ক-টা 'ডাঁগ্র আছে ? না, পয়সা রোজগারের জন্যে লেখাপড়া শেখার কোন প্রয়োজন নেই। টাকা চাও ? কাঁধে ক-খানা গামছা 'নিয়ে দশাশ্বমেধের ধারে দাঁড়াও--এক টাকার গামছা বেচলে অন্তত চার আনা পয়সা লাভ পাবে। লেগে যাও। এক টাকার গামছা কেনবারও সঙ্গীত নেই 2 বেশ ত--রান্তার পাশে হাজার হাজার নিমভাল আছে--কেউ কিছ: বলবে না, একরাশ দাঁতন ভেঙ্গে এনে বসে যাও। কিছ ত হবে_ এমনি পাঁচাদন বসলেই রোজকার খরচ চলেও একটা টাকা মূলধন জমবে । তখন গামছা কেনো । গামছা বেচতে বেচতে কাপড়--তা থেকে ম্দীর দোকান! এ-ও ইস্কুলের মতই ক্লাস ওআন থেকে ক্লাস টেন! কিন্তু সে হ'ল আলাদা পাঠ । লক্ষীর পাঠ ॥ ২৭ শশক্ষার উদ্দেশ্য তা নয়। দারিদ্রাই হ'ল শিক্ষার গৌরব । এই ত সব মাম্টার-_-ভিক্ষে করলেও হয়ত বেশী রোজগার হ'ত এদের-_এদের হাত দিয়ে কত বড় বড় লোক বোরয়ে যাচ্ছে । জজ মেজেন্টার-কত কে! তারা ত কৃতন্, তারা ত দেখা হ'লে হাত তুলে নমস্কার করে, কেউ হে-ট হয়ে পায়ে হাত দিয়েও প্রণাম করে । এইট:কুই পুরস্কার | শাস্তে বলেছে বিদ্যাদানের চেয়ে বড় দান নেই । সামান্য দেহের দুঃখ হয়ত পাচ্ছে__কিন্তু এতবড় দান ত ক'রে যেতে পারছে অনায়াসে । সে সৌভাগ্য কি কম !, কোন অকালপক্ক ছেলে হয়ত প্রশ্ন ক'রে বসত, মাইনে নিয়ে পড়ানোও 1ক দান মাস্টার মশাই ?, জলে উঠতেন তারাপদবাবহ, “মাইনে 2? পনেরো কুড়ি_বড়জোর ভ্িশ _এই ত মাইনে । একে কি তবে বিক্রী বলাঁব 2 এ-ও দান। এ টাকাতে কার কা হয়? অকৃতজ্ঞ হোসাঁন-_এঁ কটা টাকা দিয়ে ভাঁবসান যে গুরুকে ণকনে 'নয়োছস । এক বর্ণ শিখে যাঁদ গুরুর কৃপায়--শিষ্য তাহে চিরাঁদন বাঁধা থাকে পায়ে । এই সব কথাই শুনেছেন পূর্ণবাবু_-প্রাতদিন। আর শুনেছেন তাঁর বাল্যকালে। যখন সহজেই নরম মনে ছাপ পড়ে এসব কথার । আর নরম না হলেই বা কিঃ তারাপদবাবুর কথা ত নয়-হাতুড়ী। যে-কোন শন্ত 'লোহাকেও বাঁকিয়ে নিজের ছাঁচে ফেলতে পারতেন তান । না-_শিক্ষার ক্ষেত্রে দারিদ্র্য অগৌরব নয় | ওদের সহপাঠশ বহু ছেলেই সন্রে-বা ছত্রে” খেত! নাটোরে সন্ত, রাঙ্গামাটি সন্ত, বিদ্যাময়ী সন্ত, পৃটিয়ার সন্র-_নাটউকোটাদের সত্তর । কাশীতে তখন অন্ন- জীবনধারণের মত ডাল ভাত আর একটা নিরামিষ তরকারশ__- খুবই অনায়াস-লভ্য ছিল । বহ ছাত্র খেত__এমন ক মাস্টার মশাইরাও কেউ কেউ খেতেন । আর তা প্রকাশ্যে সবাই জানত, সবাই দেখত । সেটা ণকছহমান্ অগৌরবের ছিল না। টোলের বহু বয়স্ক ছান্রও এইসব সন্রে খেত কারণ সব অধ্যাপকের অন্নদান করার ক্ষমতা গল না। স্থানটার ব্যবস্থা হ'ত খুব সহজেই কিন্তু খাওয়ার অভাব। এসব সন্্র ছাড়া কোন কোন ঠাকুরবাড়শীতেও প্রসাদেরও বন্দোবন্ত ছিল কিন্তু সে-সব বাঁধা-ব্যবস্থা ৷ তাছাড়া ওখানে ত আঁধকাংশই শবমান্দির_-শিবমান্দরে অল্নভোগ নেই। গোপাল কি কৃষ্ণমান্দির কিংবা দেবী মান্দরে অন্নভোগের বরাদ্দ আছে। আহার বাসপ্থান বস্ত্র সব দিক দিয়েই দৈন্য ছিল। খুবই টানাটানি, খুবই কচ্ছুতা । তব কা প্রসন্ন ছিল সবাই । চোখ বৃজলে অতাঁতের যেসব ছোটখাটো দৃশ্য, যে সব আপাতত-হারয়ে যাওয়া মুখ অকস্মাৎ থেকে থেকে মনের পটে ফুটে ওঠে তাতে এ একটা কথাই পূর্ণবাব.দেখতে পান। প্রসন্ন মুখে সবর্রকার দৌহক অস্মাবধা অবহেলা ক'রে পাঁরপর্ণ ননম্ঠার সঙ্গে বিদ্যাচচ্চাঁ জ্ঞানচচ্চাঁ ক'রে যাচ্ছে। 'শক্ষাই জীবনের উদ্দেশ্য, 'শক্ষাই জীবনের পাঁরপূর্ণতা- সার্থকতা । ২৮ শিক্ষা বলতে সাধারণ লোক যা বুঝত তখন-_-অবশ্য সেই শিক্ষাই । পূর্ণবাবূর দাদা-সশাই বোশদিন টেকেন নি। বয়স হয়েছিল ঢের-- দঘশদন পাঁ্চমে ছিলেন বলেই সংস্থ ছিলেন৷ পূর্ণবাবু প্রবোশকা দেবার ণকছ আগেই তান একাঁদন অকস্মাৎ মারা গেলেন । শ্রার্ধশ্রাম্তি চুকে গেলে 1হসাব করতে বসে নীলাব্জসূন্দরী দেখলেন যে,ধা অবাঁশষ্ট আছে তাতে কাশশ শহরে ছ মাস চলতে পারে, অন্য কোথাও তা-ও চলবে না। তিনি কাশশতেই রইলেন এবং অন্যান্য িধবাদের দেখে দেখে তকলতে সুতো কেটে পৈতে তৈরী করতে লাগলেন । যা দু” এক পয়সা হয়! পূর্ণবাব্‌ ও তাঁর ভাই সত্রে খেতে লাগল । পাড়ার দু একি লোক তাঁদ্বর করে রাঙ্গামাটি সন্রে ব্যবস্থা করে দিল । একটু দূর পড়বে তা পড়ুক। ওখানে নাকি খাওয়া ভাল। তব পূর্ণবাবু পড়া ছাড়েন 'ন। তারাপদবাবু বলেছিলেন, “না হয় সবাই মলে হপ্তায় দুদিন উপোস 'দিবি- লেখাপড়া খবরদার ছাশড়সাঁন। একটা বছরের জন্যে পাসটা দা না? একটা পাস না দিলে ভদ্রলোকের ছেলে পারচয় ধদণীব দি ক'রে? আর কাজই বা কোথায় কি পাব ঃ কেরানধাগার হয়ত জটতে পারে তাও ধরবার লোক থাকলে । কিন্তু জীবনটা নষ্ট হতে দাঁব এমান ক'রে 2? বলতে বলতে চোথ স্বপ্নাল হয়ে ওঠে তারাপদবাবূর, তান বলেই চলেন, ইঞ্কুল ক ছিল এখানে ? ইস্কুল ত বসাল ওরাই-_ানজেদের মতত্যুবাণের সন্ধান গদলে 'ীনজেরাই । এক স্কচ্‌ সাহেব-কী যেন, হণ্যা-জোনাথন ডানকান তখন এখানকার রাজার রোঁসিডেন্ট-_-লর্ড কর্ণওয়ালিসং ভারতের গবর্ণর জেনারেল-_-ডানকান তাঁকে ধরে রাজাকে রাজী কাঁরয়ে প্রথম ইংরেজণ ইস্কুল বসালে পাদ্রীদের 'দয়ে । এ যে এখন যাকে কুইন্স কলেজ বলে। সে হল ১৭৯৩ সালের কথা । তারপর আঁবাশ্য বাঙ্গালশই এখানে ইস্কুল করলেন _াঁখাঁদরপুর ভ্কৈলাসের রাজারা--জয়নারায়ণ ইস্কুল । সেও হ'ল ধরো ১৮১৪-র কথা, আর আমাদের এই ইস্কুল বসল বাঙ্গালগদের চেম্টায়--১৮৫৪. সালে, িউাটানরও তিন বছর আগে । এখন ত কতই হচ্ছে, শুনছি আবার চন্তামাঁণ মুখুজ্জে বলে একজন কে উঠে-পড়ে লেগেছে বাঙ্গালীর জন্যে এক ইস্কুল করার । বেশ করছে, যত হচ্ছে তত মঙ্গল। ইংরেজী ইস্কুল নয় বাবা-_ও ইংরেজ মারবার কামান ঢালাই হচ্ছে একটি একটি । ইংরেজ তাড়াতে হ'লে ইংরেজী পড়তে হবে-__মনে প্রাণে ইংরেজ হতে হবে । এও তোমাদের বলে রাখাছ বাবারা, ষাঁদ কেউ সাঁত্য সাত্য ইংরেজদের গ্‌ণটুকু 'নয়ে ইংরেজ হয়ে উঠতে পারে সেই এ দেশ থেকে ইংরেজ তাড়াতে পারবে । ভেতরে ভেতরে ইংরেজ হ'লে দেখাব যে সে বাইরেটায় যতটা সম্ভব এদেশ হবে- কারণ জাতীয়তাবোধ আমাদের কোনাঁদনই ছিল না, ওটা ইংরেজদেরই । বিদ্যাসাগর অমাঁন মানুষ ছিলেন, তাই দেশটাকে এতটা এগয়ে দিয়ে যেতে পেরেছেন । আর একজন অমানি মানুষ চাই আমরা । তাহ'লেই কেল্লা ফতে !, ২৯, ইস্কুলের পাট যেদিন চুকলো-_সেইীদিনই পূণ“বাব্‌কে বোধ হয় চাকরাঁ বা ভিক্ষায় বেরোতে হত যাঁদ না ইীতিমধোই ওদের অবস্থা দেখে হেডমাস্টার মশাই এক অসাধ্য-সাধন করতেন। অসাধ্য-সাধনই তখনকার 1দনে- কাশীতে [উিউশানী । একটি ধনী পাঁরবারের ছ'বছরের ছেলেকে পড়ানো--তাতেই পাঁচ টাকা মাইনে । যেকোন 'শক্ষকই এমন চাকরী পেলে বেচে যেতেন কিন্তু তখন এর রেওরাজ ছিল না ব'লে কেউ খ'জত না--হেডামাস্টার মশায় অনায়াসে টিউশনীতে পরর্ণবাবুকে ঢ্াকয়ে 'দিলেন। পাঁচ টাকায় তখন কাশীতে দুটো লোকের চলতে পারত । পৃণ্ণবাবু ভাল ভাবেই এন)্রান্স পাস করলেন । আর পড়ার প্র*নও উঠত না যাঁদ না ঈশ্বর একট: মুখ তুলে চাইতেন । এঁ একবারই পূর্ণবাবুর জীবনে তান বোধকাঁর মুখ তুলে চেয়োছলেন । ওর মা'র মামাতো ভাই একজন বেড়াতে এসোৌঁছিলেন কাশীতে--হঠাৎ গঙ্গার ঘাটে দেখা হয়ে যায়। তাঁর অবস্থা ভাল-তিনি সব দেখেশুনে সদয় হয়ে বললেন, “বেশ ত, পূর্ণ যাঁদ আমার ওখান থেকে খেয়ে পড়তে চায় ত চলুক । কিন্তু তোমাদের ক হবে ? নধলাধ্জসংন্দরী বহীদনই ভাবা ছেড়ে 'দয়েছিলেন--হতব্যীদ্ধর মত শুন্য দৃছ্টিতে তাঁকয়ে রইলেন। পূর্ণবাবু এধারে ভেতরে ভেতরে বা।কুল হয়ে উঠেছেন, এতবড় সুযোগ সামান্য সাবধার জন্য হাতছাড়া হয়ে যাবে ? তান বললেন, “ওখানে কি টিউশনী একটাও জ:টবে না মামা? যাঁদ মাসে দশটা টাকাও জোটাতে পার ত দুটো ট্রাকা জের জন্যে রেখে আটটা টাকা এদের পাঠাবো । তাতেই কায়র্রেশে এরা চালয়ে নেবে । পারবে নামা?) মা তেমাঁনই বিহবলভাবে ঘাড় নেড়োছলেন। মামা বলেছিলেন, তা হয়ত আমার আফিসের বড়বাবুূকে বললে--কিংবা অন্য বাবুদের বললেও দুটো একটা জুটতে পারে । তা যা জোটে তাই জুটবে। তোমার হাত খরচও আ'ম দেব একটা টাকা মাসে। 'কন্তু পাস করতে হবে, মনে থাকে যেন। পাস করো, বি. এ-টাও পড়াবো, নইলে এ পরধণ্ত ! আম এক কথার মানুষ |? সাগ্রহে ও সানন্দে রাজী হয়োৌছলেন পূর্ণবাবু । এ-ত হাত বাঁড়য়ে স্বর্গ পাওয়া! তার জন্যে সামান্য-মান্তও ভয় পেলে চলবে কেন ? মামাই গাড়ী ভাড়া দিয়ে কলকাতায় নিয়ে এলেন। প্রথমে পূর্ণবাবু ভেবেছিলেন সবটাই উদারতা, মামীও তাই মনে করোছিলেন- সেজন্য স্বামীর নিবুশদ্ধতায় গছ? বিরন্তও হয়েছিলেন ীকন্তু কয়েকাঁদন পরেই দেখলেন যে স্বামশ তাঁর শুধু-শুধুই সামান্য 'বিদ্যে নিয়ে আফসে অর্থকরী পদ ( অথাৎ মাইনে ছাড়াও যে পদে উপর আছে) আঁধকার করেনান ।--কারণ এখানে আসার পর একটু একটু ক'রে তাঁর 'নজেয় 'তিন-চারাঁট ছেলেমেয়ের পড়ার ভার সম্পূর্পরূপেই পর্ণবাব্র ঘাড়ে তুলে দিলেন ; “ওরে তোর পূর্ণদাকে দোঁখয়ে নে না, পড়াটা”--ও পৃণ“ তোমার ভাইয়ের এই আঁকটা দৌখয়ে দাওনা বাবা”- এই ভাবে । পূর্ণ “না” বলতে পারেন নি--বিরন্তও হনান। কৃতজ্ঞতার ৩০ কিছু মূল্য তখনও মানুষের জীবনে ছিল । তবে বাইরের টিউশনীর সময় কমে গেল। মামা সকালে বিকালে দুটো [টিউশন জ:টয়ে দিলেন, একাঁট ছ' টাকা ও একটি চার টাকা । ছ' টাকার িউশানতে দুটি ছেলে-_ আর চার টাকায় একাঁটি। এতগ্যাল পাঁড়য়ে (মামাতো ভাইবোনদের 'নয়ে সাতটি ) আর সময় থাকত না একটুও । গভশর রান্রে নিজের পড়া পড়বার সময় হ'ত । তাও আলো পাওয়া যেত না-_সামান্য “সেজ'-এর আলোয় রাত দেড়টা দুটো পযন্ত পড়তেন। আবার ভে।র বেলাই উঠতে হ'ত। তব পর্ণবাবু তাতে কম্ট বোধ করেন 'ন কখনও-_বরং মনে মনে যেন একটা আনন্দই বোধ করতেন। পড়তে পারছেন এই ত কত সৌভাগ্য ! ছাত্রদের অধ্যয়ন হ'ল তপস্যা । তপস্যা ক এতই সহজ ? সম্পূর্ণর:পে নিজের দেহকে ভুলে গিয়ে এই তপস্যায় আত্মীনয়োগ করেছিলেন পূর্ণবাবহ ।*** কল্তু বোধ হয় সকল তপস্যাতেই ঈশ্বর বিঘ সৃষ্টি করেন। পর্ণবাবু সামান্য মানুষ, সামান্য তাঁর তপস্যা--লক্ষা আরও ছোট, তব এঁকা'ন্তিকতার অভাব ছিলনা ব'লেই বোধ কার ভগবান তাঁর স্বর্গলোকের নবশ্রেষ্ত বরনারীকে পাঁথবীতে পাঠিয়ে ছিলেন ওর তপোভঙ্গের জন্য । সে-ই ওর জীবনের একমাত্র রোম্যান্স । একমাত্র আনন্দ-স্মৃাতি। পূর্ণবাবু জীবনে কোন ব্যর্থতার জন্য কখনও বেদনা অনুভব করেনাঁন এতকাল- শুধু তরুবালার স্মাতাঁট কখনও কোন অবসর-মুহূতে মনে এলেই বেদনায় টন্উন্‌ ক'রে উঠত সমন্ত অন্তরটা । এ ক্ষোভটুকুকে কিছুতেই জয় করতে পারেনান। তরুবালা বুঝ দেবতারও আকাঙ্ক্ষত ধন! 1৭ ॥ তরুবালার সঙ্গে ও*র প্রথম পারিচয় এফ-এ পরণক্ষার মান্র মাস-কতক আগে । ও"র চার টাকা ব্যবস্থার যে ছান্র নবগোপাল, তরুবালা তারই দাদ । নব- গোপালের দাদ আছে জানতেন তান, কারণ তার বাবা প্রায়ই দুঃখ করতেন, “মেয়েটা আমার খনব লক্ষী, জানো বাবা গকন্তু ছেলেটা যে কোথা থেকে এমন বদ হ'ল তা জান না। আর তেমান বোটর লেখাপড়ার চাড়--একেবারে লক্ষী-সরস্বতী !, ছেলেটা অবশ্য 'কছ7 বদ নয়--একটু বেশী চণ্চল। কিন্তু সেটা ত হওয়াই ভাল । প্রাতবাদ করার চেষ্টা করতেন পূর্ণবাবু সাঁবনয়ে | “একটু £ রীতমত চগ্চল। ওতে কি লেখাপড়া হয়! তুমি আমার মেয়েকে দ্যাখোন বাবা-_ভাঁর শান্ত, আর ভার লক্ষী 1, কিন্তু দেখা হওয়ার কোন সম্ভাবনাই ছিল না-কারণ তরুবালা পড়ত মহাকালণ পাঠশালায় । বাড়তে পড়বার দরকারই হ'ত না। দেখা হওয়ার ৩৯ অন্য সুযোগ-সুবিধাও অত সলভ ছিল না। তখন ভাইদের পড়ার ঘরে পুরুষ মাস্টারের সামনে গিয়ে বোনদের দাঁড়ানো- খুবই শিশহ-বয়সের মেয়ে ছাড়া--দোষের ব'লে গণ্য হত। দেখা হ'তও না কোনাঁদন হয়ত--দূর থেকে ছাড়া, যাঁদ না পূর্ণবাবুর ভাগ্যদেবতা ওর জীবন নিয়ে এই নিষ্ঠুর খেলা খেলতে চাইতেন । মেয়ে বড় হয়েছে, এগারো থেকে বারোয় পড়ল-_হুকুম এল মেয়ের ঠাকুমার কাছ থেকে--ইস্কুল ছাড়িয়ে নাও, পড়াতে চাও বাড়ীতে ব্যবস্থা করো ।” মেয়ে কাম্নাকাঁট করলে-বলতে গেলে আহার-নিদ্রা ছেড়ে দিলে কিন্তু ঠাকুমার হুকুম পালালো না। তরুর বাবা ইস্কুল ছাঁড়য়ে নিতে বাধ্য হলেন। বিশেষ ক'রে মেয়ের বিয়ের তাগাদা আসাছল বহ্দন থেকেই--িজের স্বভাব- [সদ্ধ আলস্যের জন্যই পেরে ওঠেনাঁন পানর ঠিক করতে-সেইটেই যথে্ট অপরাধ--তার ওপর এ আদেশ অমান্য করতে তারি সাহসে কুলোল না। অবশ্য ভদ্রুলোক-_কণ যেন নাম--মনে পড়েছে, প্রাণগোপালবাব্‌- মেয়েকে ভালবাসতেন খুবই, দন-কতক ঘটা ক'রে নিয়ে বসলেনও পড়াতে ॥ শকম্তুসে সদিচ্ছাটা বৌশাদন চ্থায়ী হ'ল না। চিরকাল তাঁদের অফিসের ফেরৎ স্নান ক'রে সরবং আর ফল খেয়ে গিলে-করা পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে ছড়ি নিয়ে বেরোনো অভ্যাস- অন্তত পূর্ণবাব বরাবরই তাই দেখেছেন (কোথায় যেতেন তা পূর্ণবাবু আজও জানেন না )--সে অভ্যাস ত্যাগ করা গেল না। সকালে সময় হওয়া অসম্ভব ; কারণ তিনি উঠতেনই আটটার সময় । মেয়েকে পড়ানো বন্ধ হ'ল 'কন্তু পড়া বন্ধ হ'ল না। নবগোপাল এসে প্রায়ই গঞ্প করত-__“জানেন-মাস্টার মশাই, 'দাদ গনজে নিজেই আঁক কষবার চেম্টা করে আর যখন পারে না তখন কেদে ফেলে ।” শুনে শুনে একাঁদন পূর্ণবাবু বলোছিলেন ছান্রকে, “তোমার দাদ কি অগ্ক কষতে পারে না- আমার কাছে পাঠিয়ে দতে বলো-_-আঁম কষে দেবো খাতায় । পড়ে দেখে বুঝতে পারবে না? সঙ্কোচের বাঁধে আগ্রহ মাথা কুটাছল--এইট:কু প্রশ্রয়ের বাঁধ ভাঙ্গল । খাতা হাতে ক'রে দিদি একদিন নিজেই দেখা 'দিল। ওকে দেখে একাঁদনেই মুগ্ধ হয়ে গয়োছিলেন পূর্ণবাবু। সুশ্রী খুবই--তবে এমন 'কছু সুন্দরী নয়। শঁকন্তু তার সেই বারো বছরের বাঁলকা দেহাঁটকে ঘিরে এমন একাঁট 'স্নম্ধ শান্ত লক্ষীত্রী বিরাজ করত যে সোঁদকে চাইলেই নমেষে চোখ জ্যাড়য়ে যেত। এত শান্ত এত ভু এত 'মিঘ্ট স্বভাব, পূর্ণবাবু কারও মধ্যে দেখেনান । আর তেমান মেধা । ইঙ্গত মান্রে বুঝতে পারে, বুঝতে পারলে আর কখনও ভোলে না। ' পর্ণবাবুর মনে হ'ল এ মেয়েকে পড়ানোর জন্য নিজের পড়া বন্ধ হ'লেও ক্ষত নেই। সেদিন আর কিছ? বোঝেনান। তাঁর বয়েস সতেরো, মেয়েটির বয়স বারো। এখনকার কালের হিসেবে বালক-বািকা ; তখনকার দিনে অবশ্য ৩২ এঁ বয়সে অনেক বোঁশ আঁভন্ঞ ও বয়স্ক হয়ে পড়ত ছেলেমেয়েরা--কিল্তু যে কোন কারণেই হোক পার্ণবাবু একট; কম পাকা হ'তে পেরোছলেন ; 'তান ষে ভালবেসেছিলেন তা তখন বোঝেনান--ভাল লেগোছল এইট.কুই জানতেন । অন্তঃপুরে খবরটা পেশছতে তরুর মা ীনষেধ করলেন--শাসনও করলেন গছ, কিন্তু প্রাণগোপাল সম্নেহে বললেন, “তা ক আর হবে বড় বৌ-_দ্াদন পরেই ত 'বয়ে হয়ে পরের বাড়ী চলে যাবে-_ পড়ার শখ হয়েছে মিটিয়ে 'নিক। ধমাছর্মিছ অকারণ মেয়েটাকে কাঁদও না ।*"পূর্ণ ছেলে ভাল, আর কে-ই বা অত জানছে যে নিন্দা হবে ।, পরের মাসে মাইনে দেবার সময় পুরো পাঁচ টাকাই দিলেন । একট: প্রসন্ন হেসে বললেন, “পাগলণী বোট নাকি তোমাকে বন্ড জবালাতন করে 2 তা একট: আধট; দোঁখয়ে দিও বাবা ! এক টাকা মান্র বৌশ! 'কন্তু সে এক টাকা না পেলেই খুশী হতেন পূর্ণবাবু । তরুবালাকে পড়ানোর জন্য মাইনে-_-ছিঃ ! তরুবালাকে পড়ানো নেশার মত পেয়ে বসল পূর্ণবাবৃকে । তিনি ভুলেই গেলেন যে মাত্র দুতিন মাস পরে তাঁর নিজের পরীক্ষা । পড়াতে অবশ্য আর কতটাই বা সময় নেওয়া যায়--কিন্তু সে চিন্তা বাকা অবসর সময়কে মোহগ্রন্ত করে রাখত, অনেক সময় নিজের পড়বার বই খোলাই থাকত, পড়া হস্ত না এক পৃচ্ঠাও। এর যা ফল হবার তাই হ'ল । এফ-এ পরীক্ষায় পূর্ণবাবু ফেল করলেন। লেখাপড়ায় এখানেই পড়ল হীত। মামা এক কথার মানুষ--তাঁন আর পড়ার খরচ দেবেন না। কাশীতে ওদের দিন চলছে না--সেখানে আরও িছ টাকা পাঠাতেই হবে । এখানে পড়ার খরচ চালায় কে? এই পরাক্ষায় ধফয়ের টামা জমা গদতেই বহু অপ্রীতিকর কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে ওর মামশর কাছে। “অত টিউশন? করছে, মাসে একটা ক'রে টাকা জমালেও ত এ টাকাটা জমে থাকত ! তা নয়--তোমাকে যেমন বোকচন্দর পেয়েছে_-খুব দুয়ে নিচ্ছে !+ ইত্যাঁদ-_ সুতরাং উপাজঁন করতেই হবে । ভাইশবোনদের প্রাতও কর্তব্য আছে। তাদের লেখাপড়া হয় ত হোক । ওর খন হ'লই না। কা কাজ খুজবেন ?-কোন কাজ করবেন ? কোন দ্বিধা ছিল না পূর্ণবাবৃর মনে । মাস্টারশই করবেন [তান। মামা চেয়েছিলেন তাঁর আঁফসে ঢুকিয়ে দিতে । মাইনে আপাতত পনেরো টাকা হয়ত হবে কিন্তু ভাবষ্যং উজ্জ্বল । উপাঁর আছে এখন থেকেই। এই কৃতজ্ঞতার সূন্নে বিনা মাইনের মাস্টারাটকে চিরকাল বেধে রাখবার ইচ্ছাই হয়ত এ প্রস্তাবের মূলে 'ছিল প্রেরণা হয়ে-_কে জানে । কিন্তু পূর্ণবাবু রাজ? হনান। মাস্টারী 2 তুই কি পাগল হয়েছিস ? মাস্টারীতে কি আছে ? চিরজশীবন ৩৩ গজেন্দ্ুকুমার মিত্র রচনাবলশ (৬ষ্ঠ)--৩ দুঃখে কাটবে । তাছাড়া কী-ই বা লেখাপড়া শিখেছিস তুই ষে মাস্টারী করাবঃ এফ-এটা পাস করলেও না হয় হত !, কন্তু সদানম্্র পর্ণবাবু এই একটি স্থানে কঠিন হয়ে রইলেন। তারাপদবাবূর শিক্ষা তাঁকে 'পাঁটয়ে কঠিন করে ছিলস্তাঁন জানালেন, যা হবার হবে, তান মাস্টারীই করবেন । খোঁজাখুণীজ ধর-পাকড়ের পর একটা মাস্টারী পাওয়া গেল। মাসক কাঁড় টাকা মাইনে । সেই টাকাটাই সোঁদন মনে হয়েছিল ঢের । কুবেরের এশবর্য। ছেলে- পড়ানোগুলো ত রইলই । ভাড়াটে ঘর খুজে মা-ভাইদের আনাবার ব্যবস্থা করলেন। এক কথায় শুর; হ'ল তাঁর সংসার, শুরু হল তাঁর নিজস্ব জীবন। নিজের পথে নিজের ইচ্ছায় সে জীবনধারাকে চাঁলত করবেন তন । ণকন্তু সৌঁদন ক শুধু মামাই প্রন্তাব করোছিলেন চাকরীর £ তাঁর এই শিক্ষকতা করার জেদ রাখতে গয়ে কি চরম স্বার্থ ত্যাগই করেনাঁন 'তাঁন ? প্রাণগোপালবাবুর বড় একটা এসব তুচ্ছ কথা খেয়াল থাকত না কিন্তু হয়ত অদৃশ্য কোন ইঙ্গতেই তান একাঁদন ওদের পড়ার ঘরে গিয়ে দাঁড়য়োছলেন। হয়ত তরঃবালার সম্রদ্ধ দৃান্টতে শ্রদ্ধা ছাড়াও কোন গভীরতর মনোভাবের ইঙ্গত পেয়ে তরুর মা-ই প্রবৃদ্ধ করোছলেন প্রাণগোপালবাব্‌কে । প্রাণগোপালবাব ানিটউখানেক 'নঃশব্দে দাঁড়য়ে থেকে ছাঁড়িটা খোলা কপাটে ঝুলিয়ে রেখে ছেলেমেয়েকে বলোছিলেন, “তোরা একবার ভেতরে যাতো-_ আমি মাস্টার মশাইয়ের সঙ্গে কথা বাল একট: 1, শওকত হয়ে পড়োছলেন পূর্ণবাবু । কী এমন কথা । তবে?ক তাঁর আচরণে কোন বৈসাদশ্য দেখা গেছে । বা কর্তব্য কোন অমনোষোগ ? 1কন্তু বৌশক্ষণ ভাবতে হয়নি তাঁকে । প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রাণগোপালবাবু প্রন করেছিলেন, “তুম না এফ-এ একজামিন 'দিয়োছলে বাবা? ক হ'ল তার 2? মাথা নিচু ক'রে পূর্ণবাবৃ উত্তর দিয়োছিলেন, “ফেল করোছ ।” “ফেল করেছ ? ইস্‌ । ছেলেমানুষ-_-। ফেল করলে কী ক'রে 2 তোমার 'ত বেশ ভাল মাথা বলেই মনে হয় 2, তারপরে আর উত্তরের অপেক্ষা রাখেনান। পুনশ্চ প্রশন করেছিলেন, “তারপর ঃ এখন কি করবে 2 মাথা হেট করেই পূর্ণবাব্‌ বলেছিলেন, “একটা মাস্টার পেয়েছি-- আপাতত তাই করব ।? “মানে পড়াশ্না আর করবে না- কেমন ত? তা ভালই--মিছিমাছ সময় নণ্ট। সেই যখন চাকরী-বাকরশই করতে হবে। তামাম্টারী কেন? ওতে ৩৪ কাজ নেই, বরং ভাল একটা চাকরী দ্যাখো-বলো ত আমিও চেম্টা করে দেখতে পার 1, পূর্ণবাবু্‌ মাথা হেট ক'রেই ছিলেন ! কথা বলেনান। গন্তু 'দনকতক পরে যখন প্রাণগোপালবাবহ চাকরার প্রন্তাব য়ে এলেন --পশচশ টাকা মাইনে--পরে বাড়বে-চাই কি বড়বাবু হওয়াও 'বাঁচত্র নয় একাঁদন--তখন আর চুপ ক'রে থাকা চলোন। কথা বলতে হয়োছল । , আজ্ঞে, আমার মাস্টারীই ভাল লাগে । আফসের চাকরী আম করব না।, “এঃ-_তুমি একটা আন্ত পাগল ৷ চাকরাঁ পেলে ক কেউ মাস্টার করে নাক ১ কী আছে ওতে? ওসব মতলব ছাড়ো, কালই একটা দরখাস্ত লিখে দিও 'দাক, বরং মুসবদেটা আমিই ক'রে দেব- [ সাঁবনয়ে অথচ দৃঢ়তার সঙ্গে পূর্ণবাবু জানিয়েছিলেন যে ভবিষ্যতের কোন স্বর্ণস্বপ্নেই 'তাঁন তাঁর বেছে নেওয়া পথ ছাড়তে রাজি নন। তখন আসল প্রলোভনটাই সামনে তুলে ধরোছলেন প্রাণগোপালবাবু- জানয়োছিলেন তাঁর কঞ্পনা । পূর্ণবাব তাঁদের স্বজাত--পাল:ট ঘর । তাঁর ইচ্ছা তান পণ্ণবাবূর সঙ্গে তরুবালার 'ববাহ দেন। চাকরী তাঁর নিজের আঁফিসে, উন্নাতও কতকটা তাঁর হাতে--বোঁশ দের? হবে না মাসক আয়টা একশ? টাকাতে পৌছতে । আর ক চায় পূর্ণ । তবে একথাটাও আকারে হীঙ্গতে জানিয়ে 'দিয়োছলেন প্রাণগোপালবাব যে তাঁর অত আদরের মেয়েকে ইস্কুল মাস্টারের হাতে তান দেবেন না। বিশেষত যখন ওর এই অবস্থা-না চাল না চুলো-_না কিছ! সোঁদন একটু টলোছিলেন বোক পর্ণবাবু । সারারাত সোঁদন ঘুমোতে পারেনাঁন__-পায়চাঁর করোছিলেন ছাদে । এক-- ণদকে ওর আদর্শ তারাপদবাব্‌র শিক্ষা-আর একাঁদকে জীবনের সবশ্রেম্ঠ প্রলোভন । এ কী পরণক্ষায় ফেললেন তাঁকে ভগবান । এখন ক করবেন 'তাঁন £ তরুবালা ? তাঁর আত্মার আনন্দ, তাঁর প্রাণের আরাম । কোনাঁদন ভূল হয় না তার, পড়াতে গেলে প্রথমেই পাখা হাতে ক'রে এসে বসে বাতাস করতে, যতক্ষণ না গায়ের ঘাম জুড়োয়। কোনাঁদন ভুল হয় না তার পূর্ণবাবুর বাড়ী চলে আসবার সময় প্রণাম করতে । তার সেই দীর্ঘ পক্ষমাচ্ছাঁদত চোখের কণ যে শ্রদ্ধা, কী যে গ্রাঁত 'নিয়ত উৎসারিত হতে থাকে --তাঁন যতক্ষণ তার দাঁন্টসীমায় থাকেন ! প্রাতাট কাজে তার ক নিপৃণতা ! কোন 'দন কোন উপলক্ষে জলখাবারের ব্যবচ্ছা থাকলে ?কি ঘত্ব ক'রে আসন পাতে, ঠাঁই করে এবং খাবার এনে সাজয়ে দেয় । হাতে জল ঢেলে দেওয়া থেকে, আচমনের শেষে পা ধুইয়ে 'দয়ে পা মনাছয়ে দেওয়ার মধ্যে শুধু ক সাঁশিক্ষা, তার সঙ্গে কি এঁকান্তিকতাই কম-_- ধনজের অন্তরের 2 ৩ সেই তরুবালা তাঁর হবে । তাঁরই জীবনসাঙ্গনী, তাঁর গৃহিণণ--? তাঁর অন্তঃপুরে থেকে তাঁর সুখস্বাচ্ছন্দ্যের বিধান করবে, এমান অস্খালত সেবা করবে চিরকাল ? কিসের জন্য এ সুদুলভ সৌভাগ্যের সম্ভাবনা হাতে পেয়েও ছাড়বেন 1তান 2 ?ক দিতে পারে তাঁকে তাঁর আদর্শ 2৮" তবু সারারাত চিন্তার পর সোঁদন তাঁর কাছে তাঁর আদশই জয়ী হয়োছিল। এতাঁদনের স্বপ্ন-কজ্পনা, এতাঁদনের শিক্ষা ও জীবনব্রতকে ছাড়া সম্ভব হয়ান। তরুবালাকেই ত্যাগ করেছিলেন সোঁদন। সেই সঙ্গে ছেড়োছলেন লক্ষমীকে --চিরাঁদনের মত ানজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-সৌভাগ্যের সম্ভাবনাকে । নাই ব'লে দিয়ে এসেছিলেন প্রাণগোপালবাবুকে, তার পরদিন থেকে আর পড়াতেও যানাঁন। বোশ দন হয়ত যাওয়া সম্ভবও হ'ত না--কারণ এই একেবারে দাক্ষণপাড়ায় চাকুরী ক'রে অতদ্‌রে পড়াতে যাওয়া পোষাত না। তব সেইদিন থেকেই ছেড়োছলেন- লোভ বড় বলবান। আজ প্রথম সংশয় দেখা দিয়েছে, আজ প্রথম মনে হয়েছে--সোঁদন তান ভুলই করোছলেন, 'নবুশদ্ধতার চরম পাঁরচয় 'দিয়োছলেন সেদন। সব ভুল, সব বৃথা ! যে দেবতাকে আজীবন পুজা করেছিলেন, বুকের সমন্ত রন্ত দিয়ে-_ আজ 'তাঁন শুনলেন গবমলের মুখে ষে সে দেবতা সেখানে নেই । বেদীমুলে ফুল 'বিজ্বপন্ন দিতে দিতে নিচের 'িকে চোখ ছিল, ওপরের দিকে তাঁকয়ে দেখেনাঁন তাই, যে কখন সে দেবতা অন্তার্হত হয়েছেন ! কংবা আদৌ সে দেবতা ছিল কিনা ! 0] ৮ || সারাদিন ধরেই মনটা তিস্ত হয়ে রইল িবমলের। কারণ আঘাত যতটা সে দিয়ে এসেছে তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছে সে নিজে । পর্ণবাব্‌কে সে শ্রদ্ধা ক'রে এসেছে চিরকাল । কোন অলক্ষ্যে সে শুদ্ধা একদা প্রীতরসে সন্ত হয়ে গিয়েছিল তা বোধ কার সে নিজেও টের পায়নি। সুতরাং, এমানতেই তাঁকে আঘাত দেবার বেদনা তো আছেই । তাছাডা আছে নতুন ক'রে 'নজের সম্বন্ধে সচেতনতা । যে খোঁড়া সে খুখড়য়ে চলতে চলতে ক্রমশ নিজের খঞ্জতার কথা ভুলেই যায়। নতুন কোন আঘাতে সচেতন হলে শুধু যে সে আঘাতের ব্যথাটা অনুভব করে তাই নয়--এত 'দনের সমন্ত বেদনার হাতি- হাসটাও নতুন ক'রে তার মনে পড়ে। 'িমলের হয়োছল তাই। জাবনের ব্যর্থতা ও আশাভঙ্গের বেদনা--প্রতাহের 'নিঙ্যানয়ামিততায় ও কমববান্ততায় একরকম ভুলে ছিল, অন্তত অনুভাতটা গিয়েছিল খাঁনকটা অসাড় হয়ে । আজ এই আঘাতে 'নজের জীবনের খঞ্জতা যেন নতুন ক'রে তীব্র বেদনা নিয়ে ৩৬ জেগে উঠেছে ওর মনে, নতুন ক'রে সেই সমস্ত ক্ষোভ আর গ্লানি ক্ষতবিক্ষত করছে ওর সারা অন্তরকে । কিছুতেই তাই যেন সৌঁদন গ্ছির থাকতে পারল না ও- কোথাও । খেতে বসে উঠে গেল খাওয়া অসমাপ্ত রেখে, উত্তর দিল না কারও কথার, শেষ পরত একটা রোদ পড়তেই সে বোরিয়ে পড়ল, তখন থেকে রাত এগারোটা অবাধ পাগলের মত ঘুরে বেড়াল সে। একটা অশ্রান্ত ণবক্ষোভ যেন অহরহ ওকে ঠেলছে সামনের দিকে-_ কোথাও ওর শান্তি নেই, শবশ্রাম নেই । পরের 'দিন স্নানাহার ক'রে সে যখন আঁফসে এল তখন আগের দিনের ণতস্ততা আর না থাকলেও তার কট: স্বাদটা যেন একেবারে যায়ান ॥। যেন একটা অবসাদ আজ আচ্ছন্ন করেছে তাকে, আগের 'দনের সেই উহ্কার মত গাঁতরই প্রতিক্রিয়া বোধ হয় এটা । কালকের একটা জরুরী ফাইল সারতে হ'ল আঁফসে এসেই ॥ এটা শাঁনবার দেবার কথা ছিল, দেওয়া হয়ান। আফসে ঢুকতেই ওদের সেকশ্যনের সুপারন্টেন্ডেন্ট শরতবাবু শ্ানয়ে দিলেন যে, এখাঁনই খোদ ছোট সাহেব অর্থাং ড-এ-জজি তলব করবেন ফাইলটা ! ওটা করেই দিতে হবে । অভ্যন্ত হাত চলে কোনমতে | মাঁস্ত্ক অবসন্ন হয়ে যেন ক্লান্ত চোখ দুটি মেলে থাকে-_নাঁলপ্ত উদাসনের মত । পনেরো 'মানটের কাজ আধ ঘণ্টায় শেষ ক'রে ফাইলটা পাঠিয়ে 'দয়ে সোজাসীজ চেয়ারে হেলান 'দয়ে বসে গবমল । আগেকার দিন হ'লে কাজের একটা “শো” তাকে বজায় রাখতে হ'ত অন্তত । এখন অর্থাৎ স্বাধীনতা পাওয়ার পর, তার আর দরকার হয় না। চাঁরাদকেই এই ভাব, কেউ খবরের কাগজ পড়ছেন, কেউ পান-খাওয়া দাঁত খুটছেন, কেউ বা পাশের টোবলের সহকর্মর সঙ্গে উচ্চকণ্ঠেই গল্প করছেন । বারোটার পর চা খেয়ে ওরা ফাইল খুলবেন । দ7 একজন যাঁরা এখন কাজ করছেন তাঁরা আবার এ সময়ে উঠে পড়বেন। কেউ যাবেন হাওড়ার হাটে কাপড় গিনতে, কারও বা বড়বাজার থেকে ডাল-মশলা কেনা দরকার, কেউ বা এমানই অন্য সেকশ্যনে গিয়ে গজ্পের আসর জমাবেন। শ্রান্ত বিমল এদের 'দকেই তাঁকয়ে রইল বটে 'কম্তু এই আঁফসঃ এই পাঁরবেশ--এ সবে তার মন ছিল না। ওর মন চলে গিয়োছল বহ্‌ দরে--ওর ছেলেবেলায় পূর্ণবাবূর কথাই ভাবাঁছল সে। অদ্ভুত মানুষ ছিলেন পূর্ণবাব্‌ । মাস্টার করতে এসোঁছলেন 'তাঁন, আগ্রহ উদ্যম অধ্যবসায় কোনটাই তাঁর কম ছিল না, তব তান যে মাস্টারতে বেমানান ছিলেন আজ বিমল সেটা বুঝতে পারে। ছেলেবেলাকার কথা হ'লেও মনে আছে বোৌক ! পূর্ণবাবুর অক্ভুত কৌতূহল ছিল কলকব্জার প্রাত ৷ পাড়ায় প্রথম যোদন ছাপাখানার যল্ত এল, প্রথম যোদন তেলের কল বসল- _পৌঁদন ছেলেমানুষের মতই আহার 'নিদ্রা ত্যাগ ক'রে পূর্ণবাবুকে দাঁড়য়ে থাকতে দেখোছিল। কোন “নাটপটর সঙ্গে কোন: বঙ্টু বসল, কোন লিভারে কাকে ঠেলা দেবে-_এ খূুশটয়ে না দেখে তাঁর তৃপ্ত ৩৪ ছিল না। 'তাঁন যেন নিঃবাস রোধ করে দেখতেন । কলগুলো চাল: হ'লে তবে তাঁর নিঃ*্বাস পড়ত ।**" শুধু দি তাই ? আকবার হাতও ছিল পূর্ণবাবুর খুব ভাল। তাই ওদের ড্রায়ং র্লাসটা [তান স্বেচ্ছায় নিজে নিতেন । অন্তত বমলদের সময় পযন্ত 'িনতেন, তার- পরের কথা আর সে জানে না। কিল্তু প্রথম প্রথম দু-একটা গেলাস, প্রদীপ, ছাতা আঁকানোর পরই তান ওদের আঁকতে দিতেন নানা রকমের কলকব্জা । কখনও গোটা কল--কখনও বা তার অংশ । রেলের ইঞ্জিন, তেলের কল থেকে শুর ক'রে কত কি। মন থেকেই আঁকতেন তান, বোডে একে দিয়ে অনেক সময়ে বা'ঝয়েও দিতেন কোনটা কি--কি করে কাজ চলে সে সব যন্তের । কোন কোন ছেলে রাগ করত-কন্তু আঁধকাংশ ছাব্নরই এগুলো বেশী ভাল লাগত । ড্রয়ং-বুকের একঘেয়ে আঁকা তাদের পছন্দ হ'ত না। এ নেশা পূর্ণবাবুর নাকি আশৈশব । পূর্ণবাবুর মুখেই শুনেছে সে । কলেজে পড়ার সময়ে ওর মামার বাড়ীর পাশে এক হীর্জনীয়াঁরং কলেজের ছাত্র ছিল। সে তাদের বাইরের ঘরে বসে নক্সা আঁকিত নানা রকম । দেখে দেখে পূর্ণবাবুর আগ্রহ এত অদম্য হয়ে উঠল যে স্বাভাবক সংকোচ দমন ক'রে একাঁদন সেধেই এগয়ে গেলেন তার বাড়ী এবং আলাপ করলেন। দু-চার দন সময় লেগোছিল ওর জানিসট্য বুঝতে । তারপর তাঁনই সে ছাত্রটির গুর? হয়ে উঠলেন । ওর ভুল-্রাট তো দোঁখয়ে দিতে লাগলেনই, তাকে সাহায্যও করতে লাগলেন। অনেক সময় তার টাস্ক-দ্রায়ং পূর্ণবাবুই একে দিতেন। সোঁদন যে-বদ্যা আয়ত্ত করেছিলেন তা দীর্ঘকাল পরেও মনে ছল। ও'র বাড়ীর পাশে বছর কতক আগে যাদবপুর কলেজের একাঁটি মেস হয়েছিল, ক্রমে তা দুটো তিনটে বাড়ীতে ছাঁড়য়ে পড়ে । বহু ছাত্র থাকত কাছাকা'ছির মধ্যে । 1ক ক'রে তাদের ভিতরেও পূর্ণবাবুর খ্যাতটা ছাঁড়য়ে পড়েছিল । বহু ছেলে আসত ওকে 'দয়ে 'ানজেদের ড্রায়ংগুলো ব্ীঝয়ে নিতে বা কাঁরয়ে ?নতে । কখনও কখনও পর্ণবাবুই রানে গিয়ে হাঁজির হতেন ওদের মেসে । ওদের সাহায্য করতেন, বাঝয়ে দিতেন । আর একবার, এই বৃদ্ধ বয়সে-ীবমল তখন কলেজে পড়ছে--এক হীর্জনীয়ার এসৌঁছলেন ওদের পাড়ায় । বড় বিলাঁত ফার্মে চাকার করেন, মোটা মাইনে । সেই ফার্ম বুঝ কোন: একটা বড় পোল মেরামতের কনন্রাক্‌ট: পায়। বলেত থেকে কনসাল:টিং হীঞ্জনীয়ার এসে দেখে শুনে প্ল্যান তোর ক'রে দিয়ে গিয়েছিলেন। সে প্ল্যানের সবটা এ ভদ্রলোকের মাথায় ঢুকছিল না। কার মূখে যেন খবর পেয়ে পূর্ণবাবু গিয়েছিলেন একাঁদন । যথেজ্ট- সাঁবনয়েই প্রার্থনা করেছিলেন প্ল্যানটা দেখবার কিন্তু তব ভদ্রলোক প্রথমটা চটে লাল হয়ে গিয়েছিলেন । ধৃন্টতা মনে করেছিলেন ওর এই দঃঃসাহসকে, প্রন করোছলেন সোজাস্দীজ--“কতদূর লেখাপড়া করেছিলেন 2 কিন্তু ৩৮ পর্ণবাব দুই হাত জোড় ক'রে বারবার এত 'িনীতভাবে নিজের আচরণের জন্য মাপ চেয়েছিলেন যে শেষ পযন্ত গ্ল্যানটা ওকে আঁফস থেকে এনে দেখাবার প্রাতশ্রুৃতি 'দতে বাধ্য হয়োছিলেন ভদ্রলোক । প্র্যানটা দেখে পূর্ণবাবৃও প্রথমটা িছু বুঝতে পারেন নন, আবারও সাঁবনয়ে গনজের ধৃত্টতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ক'রে চলে এসেছিলেন, কিন্তু বাড়াতে এসে দু'দন ধরে দিনরাত ভেবে ভেবে এক সময়ে সবটা পাঁরহ্কার হয়ে গিয়োছল। তারপর--আঁকরমাডসের মত 'বিবস্ অবস্থায় না হোক- তেল মেখে মাথায় জল ঢালবার আগেই ছ£টোছিলেন ভদ্রলোকের বাড়ী এবং ক কারণে বুঝবার তাঁর অস্হাবধা হয়োছল সেটা বুঝিয়ে 'দিয়োছিলেন। সে হীঞ্জনীয়ার অবাক হয়ে ধগ্নয়োছলেন, অনেকক্ষণ তাঁর মুখ দিয়ে কথা বেরোয় নি । তারপর বলোছিলেন, আপনার ইণ্জনীয়ারং-এ এমন মাথা, আর আপাঁন 'ি না গেলেন বাংলা ইস্কুলে গোর ঠেঙাতে ! এই ক'রেই আমাদের দেশে ট্যালেন্ট নষ্ট হচ্ছে । সাঁত্যই আজ বমলও তাই ভাবে-ক ট্যালেন্টটাই না অপচয় করলেন পূর্ণবাবু । হীর্জনীয়ারংএ গেলে আজ কতদ্‌র উঠতে পারতেন। ওর এ ভাগ্নের প্রাসাদে হেলান-দেওয়া মাঁটর ঘরে থাকতে হ'ত না, নিজেই প্রাসাদ তৈরি করতে পারতেন । শুধু 'নজের হৃদয়বাত্তকে উৎসর্গ করেই ক্ষান্ত হন নি আদশের চরণে, 1নজের প্রাতিভাকেও বাল 'দয়েছেন। পকমনাল অফেম্স! মনে মনে গজরাতে থাকে বিমল । কালকের বাথাটা যেন নতুন ক'রে মাথা তোলে আবার । চমক ভাঙল বলের, পার্ণমা এসে তার সঈটে ধপাস ক'রে বসে পড়াতে । ওরই পাশের টোবলে কাজ করে পার্ণমা । ঠান্ডা স্বভাবের মেয়ে । দেখতে চলনসই গোছের স-শ্রী। অনেকগ্ীল পোষ্য বাড়ীতে--তাই ইন্টারমাডয়েট পাশ ক'রে বি, এ. পড়তে পড়তেই চাকরীতে ঢুকতে হয়েছে, ক-টা মাস থাকলেই পরীক্ষা দিতে পারত, িম্তু তাও সম্ভব হয় নি। পাঁণ্ণমা কখন উঠে গিয়োছিল তা বিমল টের পায় নি। ফিরে আসাটাও টের পেত না-যাঁদ না কেমন এক রকমের হতাশ ভঙ্গীতে ধপ্‌ ক'রে বসে পড়ত। যেন পুট্টালর মত গাঁড়য়ে পড়ল সে। “ক ব্যাপার ? হল কি সোজা হয়ে বসে প্রশন করলে 'বমল। প্ার্ণমা বেচারীর মুখ শুকনো-_কাঁদো-কাঁদো কতকটা। তখনই কোন উত্তর দিতে পারল না, চুপ ক'রে টোঁবলের দোয়াতদানটার 'দকে চেয়ে বসে রইল । অথাৎ কিছ একটা হয়েছে 'নশ্চয় ! ব্যাপার কি আপনার ? আজ আবার বকুনি খেলেন নাকি ? ব্যাপারটা অনুমান ক'রে নিয়ে যতদূর সম্ভব কোমল ও অনচ্চকন্ঠেই প্রশন করেছিল 'বমল, সহানুভ্হীতর সুরে । ৩৯ ধিন্তু সেইটেই হল আরও পদ ! সঙ্গে সঙ্গে প্ার্ণমার চোখের কোণ উপছে তিন-চার ফোঁটা জল ঝরে পড়ল। তাড়াতাড় হ্যান্ড ব্যাগ্রটার মধ্যে থেকে রূমালটা বার ক'রে সবার অলক্ষ্যে মুছে নেবার চেম্টা করতে করতে গাঢ়- কন্ঠে বললে, “আজও শশীবাবু যাচ্ছে-তাই করলেন একেবারে! ছি ছি! আমার মরে যাওয়াই উচিত !, একটুখানি চুপ ক'রে রইল াবমল । হ্ৃদয়াবেগের এই স্ব মুহৃত্দলোতে সামলে নেবার জন্যে একটু সময় নিতে হয়। খাঁনক পরে মুখ চোখ মুছে পবার্ণমা একট: সুস্থ হয়ে বসতে আগের মতই শান্ত কোমল কণ্ঠে বিমল প্রন করল, “আজ আবার হ'ল কি ? কলমটা হাতে তুলে 'নয়োছিল পার্ণমা । সেটা আর দোয়াতে ডোবানো হল না। সেটা নাড়াচাড়া করতে করতে মাথা হেট ক'রে জবাব দলে সে, “এ যে চক্তবতর্ঁ সাহেবের 'ট, এ. বিলটা । কুঁড় মাইল পথকে ডীন চল্লিশ মাইল ধরে ণবল ক'রে 'দয়েছেন_-ডোলবারেট জণচ্ছার। ওঁর কোন দোষ হ'ল না তাতে । “কন্তু যেহেতু আম জুচ্ছুরিটা লক্ষ্য কারন সেহেতু সব দোষ আমার ! কত কথাই বললেন 'মাষ্ট 'র্মাম্ট ক'রেস্ষ্বললেন, “আর ক-টা বছর কোন মতে কাঁটয়ে 'রটায়ার করতে পারলে বাঁচ। বাপ-্দাদারা অনেক কণ্ট ক'রে চাকার করেছেন বটে কিন্তু মেয়ে কেরানীর পাল্লায় তাঁদের পড়তে হয়াঁন-এই এক বাঁচোয়া । তাঁরা হ'লে 'তিন দনও টিকতে পারতেন না বোধ হয়।-" কবে যে এই বিপদ থেকে রেহাই পাবো !”-**আবার বললেন, “ঘর সাজাতে যেমন ফাঁনচার, আফস সাজাতে তেমন মেয়েছেলে। ওটা শুধু শোভাবর্ধনের জন্য ।"*"দয়া ক'রে এইটি করো যে কাজ করবার চেষ্টা ক'রো না তোমরা । আমরা বরং উপাঁর খেটে তোমাদের কাজ ক'রে নেব সেও ভাল !”"*এক ঘর লোকের সামনে চেশীচয়ে চেশচয়ে ি শোনানোটাই না শোনালেন ! রোজ রোজ এমান ক'রে কেন শোনাবেন ডান !; আবারও চোখে জল এসে যায় প্াঁণ্ণমার | ণকন্তু বিমলের মুখ কি একটা কারণে যেন কঠিন হয়ে ওঠে । আস্তে আন্তে হলেও কেমন একরকম নীরস রুণ্ঠে সে বলে, পকম্তু আপাঁনও যে রোজ রোজ ভুল করেন এটাও ত সাঁত্যি। একটা না একটা ত লেগেই আছে । শশনবাবু ত'মছে ক'রে বকেন না।, মাথা আরও হেট হয়ে যায় পূর্ণিমার, “সাত্য, ি যে হয় আমার! আজকের ভুলটা সম্বন্ধে সতক্ণ হই ত কাল আর একটা ভুল হয়ে বসে থাকে । এত চেষ্টা কার-আপাঁন ত দেখেছেন-কি সনাঁসয়ারল আম চেষ্টা কর, গকল্তু তবু কোনমতেই যেন চারাঁদকে চোখ রেখে কাজ করতে পার না।, [বিমল আবারও বললে, “ট, এ. বলের কোন আইটেমকেই আমরা পরীক্ষা না ক'রে মেনে নেব না-এই ত নিয়ম । কোনটা কত দূর 'মাঁলয়ে নেবার বাবস্থা ত ছিলই । তা ছল, “কিন্তু চক্রবত সাহেব যে অমন ডেলিবারেটাল মিছে কথা ৪9 লিখবেন, কুঁড় মাইলকে চল্লিশ মাইল করবেন তা কেমন ক'রে জানব । এটুকু গাঁফলির জন্যে কিন্তু এতটা কট? কথা বলা কি ও"র উচিত হয়েছে £ “বলেছেন বটে, 'কল্তু 'িপোর্টটা ত করেন ন। সেইটেই আপনার সৌভাগ্য ব'লে মেনে নেওয়া উচত ।, ধরপোর্ট ক-্টা মেয়ের নামে উন করবেন? ও"র সেকশ্যনের'মাণকা, জয়ন্তী, রেখা-কে ভুল কম করে তাই শান? এবার যেন পীর্ণমা মাথা তোলে একটুখানি। িমলের ঠোঁটের কোণে হাঁস দেখা দেয়, “সুতরাং মেয়েদের যাঁদ উন ফারনচারের মতই শুধু আফিসের সাজ-পাট ব'লে মনে ক'রে থাকেন ত খুব দোষ দেওয়া যায় ক ?, “তা যায় না--” পীণমা কলমটা উলংটো ক'রে ধ'রে স্লিপ প্যাডের ওপর ঘ'ষে অন্যমনস্কভাবে বলে, “তব এঁ ভাষাটা বড় কানে লাগে, নয়াকি? উীন কন্তু আপনাদেরও রেহাই দেন না। বলেন, এই ত আজও বললেন, এর চেয়ে সেকালে যে ননম্যাট্রকরা চাকার করতে আসত সেঢের ভাল ছিল। আজ- কালকার গ্র্যাজুয়েট ছোকরারা জ্বালিয়ে খেলে একেবারে । এরা ?ক ধান 'দয়ে লেখাপড়া শেখে না ি- তাও ত বুঝ না!” “সেটাও ডান মিছে কথা বলেন না ত!, বিমল স্বীঁকারই করে, প্রথম প্রথম যখন আমার লেখা নোটগুলো ঢেরা মেরে কেটে দিতেন একেবারে আদ্যোপান্ত, তখন আমারও রাগ হ'ত। কিন্তু তারপর ওর নিজের লেখার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে বুঝতে পারতুম তফাৎটা ।; তাবটে। পার্ণিমা আন্তে আন্তে বলে, “আমার এক জ্যাঠামশাই ছিলেন _-এক বড় মাচেন্টে আফসে চাকরী করতেন। সাতচাল্লশ বছর চাকরণ করেছিলেন, মরে তবে ছাড়লেন । নইলে সাহেবরা ছাড়ত না কিছুতেই । সাহেবরা সংদ্ধ নাকি তাঁকে সমশহ করত, নতুন পাঁচ হাজার টাকা মাইনের ম্যানেজার এসে কাজ বুঝতে যেত তাঁর কাছে। অথচ ফোর্থ ক্লাস পরধন্ত ণবদ্যে ছিল তাঁর, যা ?িছ: শিক্ষা এ আঁফসেই ।--"শেষের 'দিকে বি. এ. এম.এ, কেরানীরা যখন নতুন নতুন 'চাঠর ড্রাফট ক'রে নিয়ে যেত সাহেবের কাছে, সাহেবরা নাক সে দ্রাফ ছিড়ে ফেলে আমার জ্যাঠামশাইয়ের কাছে পাঠিয়ে গদতেন। একটা আত্মজীবনী গোছের তান গলখতে আরম্ভ করেছিলেন-_ শেষ করা হয়ে ওঠোন। সে খাতাটা আজও আছে বাঁড়তে, সাঁত্যই অপূর্ব ইংরোজ। অথচ সবটাই 'তাঁন আয়ত্ত করোছিলেন চাকরি করতে করতে । আশ্চর্য !: দুজনেই চুপ ক'রে রইল কিছুক্ষণ । সহসা এক সময় 'িমল প্রশ্ন করলে, ইস্কুলে-কলেজে কেমন ছাত্রী ছিলেন আপাঁন ?, খুব ভাল 1 'নমেষে মুখ উদ্ভাসত হয়ে ওঠে পাঁণমার, ভ্‌গোলে আমি কখনও নব্বৃইয়ের নশচে নম্বর পাইনি। ম্যাট্রকে, আই. এতে আমার ৪৯ বাঙুলায় লেটার "ছল । ম্যা্রকে মান দট নম্বরের জন্যে হিস্ট্রিতে লেটার. পাইান।, 1বমল একটা ছোটখাটো দীর্ঘীনঃ*বাস ফেলে বললে, “দুঃখের বিষয় এখানে তার কোনটাই কাজে আসবে না। ছাত্র আমও ভাল ছিলুম মস রায়, তাতে কি: “তবু-' পণমার কণ্ঠে ঈষার সুরঃ আপনার ত এত ভুল হয় না।' “ওটা অন্যমনম্কতা ও অনবধানতার ফল ! অজ্ঞতার ভুল নয় ।' ণবমল এবার জোর ক'রে একটা ফাইল টেনে নেয়। সরকার সময়ের অনেক অপচয় হয়েছে--আর নয় । পার্ণমা আরও কছুক্ষণ "স্থির হয়ে বসে থেকে অপাঙ্গে একবার বিমলের মুখের দিকে তাঁকয়ে কাজে মন গদল। এ মানুষটার পাশে বসে এত "দন কাজ করছে তব্‌ যেন আজও এর তল পেলে না প্ীর্ণমা। অথচ এমাঁন ত বেশ ভদু, কখনও খারাপ কথা বা হীঙ্গত করে না-_সাধ্যমত কাজে সাহায্যও করে। কে জানে কেন মধ্যে মধ্যে কেমন এক রকমের কাঁঠন হয়ে ওঠে ওর গলার সুর, সেই সময়টা যেন ভয় ভয় করে পাা্ণমার ।'*" 1৯ ॥ ছুটির পর আফসের বিস্তৃত গসিশড় বেয়ে নামতে নামতে গাঁতটা কখন যে মন্থর হয়ে এসেছিল িমলের তা সে নিজেই টের পায়নি । এমন কি একসময় যে রোলংটায় হাত 'দিয়ে সে চুপ ক'রে দাঁঁড়য়েই গেছে তাও বুঝতে পারোনি। একেবারে চমক ভাঙ্গল-_চমকেই উঠল রাঁতিমত--পেছন থেকে যখন প্ার্ণমা প্রন করল, 'কণ, অমন ক'রে দাঁড়িয়ে গেলেন যে? হ'ল কী আপনার ? এবার বিমল একট] অপ্রাতিভ হ'ল । পীর্ণমার দিকে চেয়ে অপ্রস্তুত ভাবে হেসে বললে, “না, এমানই । চলুন।, “আজ বাঁড় যাওয়ার খুব তাড়া নেই বাঁঝ 2 পাশাপাশি নামতে নামতে বললে প্নার্ণমা। “না। কোনাঁদনই থাকে না। তবু যাই- অন্যত্র যাবার জায়গা নেই ব'লে ।' "টউশানী নেই 2? “আছে বৈ ি। ওটা না থাকলে চলবে কেন? কন্তুসে তসাতটার আগে নয় । পূর্ণিমা একট: চুপ ক'রে থেকে বললে, চলুন বরং একট; মাঠে গিয়ে বাঁস। আমারও আজ এখনই ফিরতে ভাল লাগছে না। চলুন।” সংক্ষেপে বললে বিমল । অন্যাঁদন হ'লে সে 'বাস্মত হ'ত একটু । কিম্তু আজ সে সাঁত্যই অন্যমনস্ক 'ছিল। ৪২ অফিস থেকে বেরিয়ে সহজেই গড়ের মাঠে পড়া যায় । কিন্তু প্া্ণমা সে পথ পোরয়ে এগয়ে চলল । “ও কি, চললেন কোথায় ?” হঠাৎ এক সময়ে খেয়াল হয় বিমলের । “আগে এক কাপ চা খেয়ে নিলে হ'ত না? থমকে দাঁড়য়ে বলে পূণিমা। “খেতে পারি । যে-যার পয়সা দেব 'কন্তু ।, 'আ'মই না হয় আজকের পয়সাটা দিলাম ? 'না। তাতে আর একদিন আপনাকে খাওয়াবার দায়টা থাকবে । বেশি- 90816 পয়সা আমার সাঁত্যই থাকে না মিস রায়-ীবশবাস করুন|” একট রূঢ় ভাবেই যেন বলে বমল । পৃঁণ'মার মুখ রাঙা হয়ে ওঠে । সে পথের দিকে তাকিয়ে বলে, তাহ'লে চলন, মাঠের এ কোণটায় পেতলের কলসী ক'রে চা বেচে--তাই কিনে খাওয়া যাক ।; 1নজের র্‌টতায় বিমল একটু অনুতপ্ত হয়েছে এরই মধ্যে । সে বলে, তা মন্দ নয়। আচ্ছা বেশ, আপাঁন এ চা খাওয়ান ॥। আম একট? 'চনেবাদাম কিনি। কী বলেন? অনেক খুজে একটা অপেক্ষাকৃত দান অংশে এসে বসে দু'জন। চাঁরাদকেই ভিড়--এর ভেতরে বসতে এমান যাঁদ বা আপাঁত্ত না থাকে, দুটি তরুণ তরুণীকে মাঠে এসে বসতে দেখলেই সকলে যে এক রকমের অর্থপূণ দৃ্টিতে তাকাবে- সেটা মনে করতেই বিশ্রী লাগে বিমলের । তারপর দুজনেই বহুক্ষণ ?নঃশব্দে বসে বসে চীনাবাদাম খায় । কই বা বলবার আছে। একঘেয়ে দুঃখের গববরণ। পাঁরবারক ইতহাসের একান্ত নগ্নতা এত স্বজ্প পাঁরচয়ে অপরের কাছে উদ্‌ঘাঁটিত করতে মন চায় না। যেটুকু বলা যায়, তা বলা হয়ে গেছে এর আগেই । “আচ্ছা, একটা ছোটখাটো ব্যবসা করলে কেমন হয় 2 অন্প মহলধনে বা করা যায় অবশ্য | হঠাৎ প্রন ক'রে বসে পৃর্ণিমা । কী ব্যবসা অঙ্প মূলধনে করা যায় 2 পানের দোকান চলতে পারে বটে। তাও কোন ভাল জায়গায় একটু কোণে বা খাঁজেও দোকান সাজাতে গেলে তার ভাড়া, সেলামণ, সাজপাটে যা পড়বে_অত টাকা আমাদের কারুর নেই। তবে হ্যাঁ, রাস্তার পাশে এ রকম একটা কাঠের বাক্স পেতে বসতে পারেন ॥ দেখুন--পারবেন £ খদ্দেরের অভাব হবে না। তবে বোৌঁশাঁদন ব্যবসা করতে যে দেবে আপনাকে তাও মনে হয় না ।' এ ধরনের হীরঙ্গত কখনও গবমলের কথাবাতয়ি থাকে না। তবে ঝাঁজে মনে, হয় তীব্র বিদ্রুপই করতে চায় সে। তাই ক্ষমা করে পার্ণিমা মনে মনে । সে রাঙা হয়ে ওঠে আবারও । “ধ্যেং, আম কি তাই বলাছ।? গিামল একটুখাঁন চুপ করে থেকে বলে, 'আমাদের দোষ কা জানেন, ৪৩1 ' ব্যবসার কথা যখনই ভাবি তখনই আমরা মনে করি যে শুধু মূলধনের জন্যেই আটকে আছে ।+ ণকন্তু তাই ি ঠিক নয় 2, 'না। কে বলেছে আপনাকে ? ট্রোনং কৈ? আপনারা গক মনে করেন যে সব প্রোফেসনেই দ্রেনং দরকার আছে--নেই কেবল ব্যবসাতে 2 ভান্তার হ'তে গেলে ডাক্তারী পড়তে হয় ছ-বছর । উকখল হ'লেও তিন বছর-_-তাছাড়া আটিকেলড্‌ থাকার ব্যবস্থা আছে । মাস্টার করতে গেলে 'ব-টি পড়তে হয়। কেবল ব্যবসা করাটাই খুব সোজা 2 শুধু মূলধন থাকলেই হ'ল, নাঃ আপাঁন জানেন না বোধ হয়-আ'ম 'নজে দেখোঁছ প্রচণ্ড বড়লোকের ছেলে ব্যবসা করতে গিয়ে সবর্গ্বান্ত হয়েছে । শুধু ব্যবসা । একাঁট ভদ্রলাককে ত জানি-_-তিনি পান সিগারেট পযন্ত খান না। অন্য কোন বিলাসও নেই। পর পর চার-পাঁচাট ব্যবসা ক'রে আজ পথের িখারণ ।, “কল্তু ব্যবসার ট্রোনংটা কণ ক'রে নেওয়া যায় বলতে পারেন ; ওর ত স্কুল-কলেজ নেই !; 'আটিকেলড থাকার ব্যবস্থা হ'তে পারে। অন্য উপায় আছে। তবে একটা গম্প শুনুন । আমাকে গল্পটা বলোছলেন পাড়ার সুরেশবাবৃ। হোমিওপ্যাথ ডান্তার, বড়বাজার অণ্চলে কোথায় যেন বসেন-_বিরাট সংসার ডান্তারতে চলে না, তাই কিছ] ?িছ7 টিউশ্যনীও করেন । অর্থাৎ করতেন, এখন শুনৌছ ভাল পসার হয়েছে। সুরেশবাবু এক ক্রোডপাঁত মাড়োয়ারশীর ছেলেকে পড়াতেন। ইস্কুলের পড়া নয়-_হুকুম ছিল শুধু ইংরেজ আর অগুক, তাও বীজগাঁণত জ্যামিতি নয়__ শুধু পাটিগাঁণত ! বছর দূই পাঁড়য়েছিলেন, তারপর অন্য ভাল 'টউশ্যনী পেয়ে সেটা ছেড়ে দেন। তারও বছর-খানেক পরে একদিন ট্রামে দেখেন সেই ছেলেটি কানখুসংকী দাঁত-খোঁটা আর ছজিভছোলা বিকী করছে ! সামান্য এক এক পয়সার জানিস, ভার দুঃখ হ'ল সৃরেশবাবুর। বদঝলেন যে কোন বড় গোছের স্পেকুলেশ্যনে বা শেয়ার মাকেটে সবস্বান্ত হয়েছেন ভদ্রলোক । তাই তার ছেলেকে আজ সামান্য কাজ করতে হচ্ছে। সাধারণ একটা দৌকান দেওয়ার মতও পুশজ নেই । একাঁদন সময় ক'রে সহরেশবাবু খবর নিতে গেলেন । হাজার হোক এক কালে যথেষ্ট হ্বদ্যতা ছিল, পয়সা-কাঁড়ও অনেক দিয়েছে। একট: সহানুভূতি দেখানো দরকার অথবা ও র ক্ষমতার ভেতর যাঁদ কোন সাহায্য করবার থাকে, তাও করতে 'তাঁন প্রন্তুত।-'কন্তু পৃবের ঠিকানায় পেশছে দেখেন, তেমাঁন বড় বাঁড়, দোরে তেমাঁন দুখানা দামী গাঁড়, চাকর, দারোয়ান__কিছুরই অভাব নেই । ভেতরে গিয়ে দেখেন দুটো টেলিফোন ঠিক আছে, গদখতে তেমাঁন কর্মব্যন্ততা । ক ব্যাপার ? সহরেশবাব্‌ ত বেকুফ্‌। ভূতপূর মানব অবশ্য ও*কে দেখে খুব খুশী হলেন। আদর ও অভ্যর্থনার শ্রুুট হ'ল না। একথা ওকথার পর সরেশবাবদ তাঁর ছান্রর খবর করলেন। ছান্রের বাপ বললে, ও, তাকে ত ব্যবসায় ঢ্াকয়ে 'দিয়েছি ! তখন স্মরেশবাব আসল কথাটাই বলে ফেললেন, 58 সৌঁদন ট্রামে দেখল্‌ম ঠিক তার মত কে একজন ীজভ্‌ছোলা 'ফাঁর করছে। ভদ্রলোক খুব সহজভাবেই বললেন, হ্যাঁ, তাকেই দেখেছেন! সুরেশনাবু আরও অবাক তার মানে 2 ওর বাবাও ষেন বিস্মিত হলেন, তার মানে কি, বাবসা শিখবে না? হাতে কলমে কাজ করুক, পয়সার মর্ম বুঝুক, নইলে এতবড় গদী আমার-_ও চালাবে ?ি ক'রে? সব উীঁড়য়ে দেবে যে! ' তখন জ্ঞান-নেন্র উন্মীলিত হ'ল সরেশবাবুর ।, একসঙ্গে এতগুলো কথা ব'লে বমল থামল । পাার্ণমা বললে, “আশ্চরত !, এমাঁন না হওয়াটাই আশ্চর্য মিস রায়। আমোরকাতে শুনোছ ক্রোরপাঁত কারখানার মালিকের ছেলে সাধারণ শ্রামক হিসাবে জীবন শুরু করে । আমার জানাশোনা এক বড় প্রেসের মালক আমার কাছে গল্প করেছেন যে তিনি কম্পোঁজটার হিসাবে কাজ শুর করোছলেন। চোখ খোলা রেখে প্রাণপণে শিখতে চেম্টা করেছেন সব কাজ--কোথায় কোথায় ফাঁক দেয় কমণচারীরা, _তাও শিখেছেন, তাই আজ তাঁর প্রেসের এত উন্নাতি। ছোট প্রেস থেকে খুব তাড়াতাঁড়ই বড় করতে পেরেছেন ।” “সকলকেই ি এইভাবে জীবন শুরু করতে হবে 2, ক্ষতি কি?) “সুযোগ-সুবিধা কোথায় ?, [বমল বলে, ধরুন আপাঁন মুর দোকান করবেন। কোন মাাদর দোকানে চাকরী নিতে পারেন না? খুব কম মাইনেতে যদ কাজ করতে চান ত কাজের অভাব হবে কি ? না হয় বিনা মাইনেতেই করলেন ছ মাস।” “তাতে কী এমন লাভ হবে ? “আর কিছ না হয়-_কম্মচারীরা ক ভাবে চার করে সেটাও ত ?শখবেন। ভাবষ্যতে সতর্ক হবার স্াবধা হবে । আমাদের পাড়ায় মুঁদর দোকানে" যেই চাকরী করত সে-ই চার-পাঁচটা সোনার আংট গাঁড়য়ে ফেলত । একজন একবছর চাকরী ক'রেই সাইকেল 'িনে ফেললে । মাইনে ত পেত বারো টাকা আর খোরাকী । ফলে দোকানাট উঠে গেল। অথচ খদ্দেরের অভাব ছিল না তার।' অন্ধকার ঘাঁনয়ে আসে মাঠে । আকাশে তারা ফোটে একটার পর একটা ।. অনেকক্ষণ চুপ করে বসে থাকে প্ীর্ণমা । তারপর বলে, 'আপাঁন সব তাইতে বড় ঠান্ডা জল ঢেলে দেন ।' বমল ঈষং অনুশোচনার সুরেই বলে, “তা বটে। ওটা দেখাছ স্বভাবে দাঁড়য়ে গেছে । লোককে ভেঙ্চাতে ভেঙ্‌চাতে মৃুখটাই বেঁকে গেছে আর 'কি। **"কন্তু আপনার প্রস্তাবটা কি, ক ধরণের ব্যবসা করতে চান আপাঁন ?, 'ধরুূন যাঁদ একটা রেস্তোরাঁ খুলি ঃ আমি অনেক রকম খাবার তৈরি করতে পাঁর--তা জানেন ? খদ্দের হবে না? “দ্দের হয়ত হবে--হয়ত একটু বোঁশই হবে--এ দেশে ওটা নতুন ত!. ণিন্তু লাভ হবে না মস রায়। অনেক রকম ফাঁন্দশীফাঁকরে হোটেলওলারা ৪8৬৫ লাভ করে, আপাঁন তার কিছুই জানেন না। তাছাড়া'"সে আপাঁন পারবেনও না। সে শিক্ষা বা আবহাওয়া আলাদা |? যত লোক রেস্তোরাঁ করে- সকলেই কি ফাঁন্দিফাঁকর জানে ?” “যত লোক রেস্তোরাঁ করে--সকলেই কি লাভবান হয় ? ক-টা কাদন টেকে তা লক্ষ্য করেছেন ? একট? নজর রাখলেই দেখবেন বার বার হাত বদল হচ্ছে 1: তা বটে। আমাদের ভবশরণবাবুর গ্যারেজ ঘরটায় কত বার যে চায়ের দোকান হ'ল । কোনটাই বোশাঁদন টেকে না।১ পাীর্ণমাও স্বীকার করে। তারপর একট: চুপ ক'রে থেকে বলে, আপনি ত এত জানেন শোনেন- আপাঁন কেন চেষ্টা করলেন না। আপনার যা ব্যাম্ধ, আপাঁন দ:; দিনেই ফান্দি- পফাঁকর আয়ত্ব ক'রে নিতে পারতেন ।; “আমার সে অবস্থা নয় মিস রায়, একসপোরধেন্ট করার বা রিস্ক নেওয়ার মত সাহস আসবে কোথা থেকে? একদিনও টাকা না আনলে চলবে না। তাছাড়া রেস্তোরাঁ করতে গেলে যে-কটা টাকা লাগে তাও ত আমার নেই ।' ধরুন যাঁদ আম দিই 2, “না, সে ঝৃশক আমি নিতে পারব না। ধন্যবাদ । চাকরী ছেড়ে ব্যবসা ধরব--সংসার চালাবে কে? সেদাঁয়ত্ব কে নেবে, যাঁদ না টেকে? মাইনে পেতে চার-পাঁচ দিন দোঁর হ'লেই ঘরে হাড় চড়া বন্ধ হয়। আমার যে কোথাও কেউ নেই । আবারও শ্তধ্ধতা নেমে আসে । দঃ'জনে বসে থাকে "স্থির হয়ে । কত কা ভাবে হয়ত দু'জনেই । এক সময় দীর্ঘানঃ*বাস ফেলে ?াবমল বলে, “এবার উঠতে হবে মিস্‌ রায়, আমার 'টিউশ্যনীর সময় হ'ল |, চলুন” ব'লে উঠে দাঁড়য়ে পার্ণমা একটু হেসে যেন অপ্রাতভ-সরে বলে, “বার বার মস রায় বলে ডাকেন কেন বলুন ত ? বিশ্রী শোনায় কানে । আমার নাম ধরে ডাকতে আপাতত ফি! আপাঁন আমার চেয়ে বয়সে বড়ই হবেন সম্ভবত । তা যদি না-ও হয়, আঁফসের সহকর্ণী ত--বন্ধুর মতই, নাম ধরে ডাকলেই পারেন। পুরুষ সহকম্দের ত নাম ধরেন ।; শবমল শান্ত অথচ কাঠিন কন্ঠে উত্তর দেয়, এমন গক আঁফসের সহকাঁর্মণীদের সঙ্গেও অন্তরঙ্গতা করবার মত অবস্হা আমার নয়_-00৩ 590101 900. 10061 50800, 006 ০৪66: 1 সে হাঁটতে শুরু করেছে ততক্ষণ । প্াীর্ণমাও গনঃশব্দে তার পিছন ীপছন হাঁটতে লাগল । 'বমল একবারও তার 'দকে গফরে তাকাল না--ফলে ওর স্পঙ্টভাষণের ভেতরকার রূঢ় ইীঙ্গতে যে প্যা্ণমার চোখে জল এসে গিয়েছে, তাও সে লক্ষ্য করতে পারলে না। ৪৬ 1০ | বিমলের ছান্ন 'নাঁখিল ক্লাস এইট্‌-এ পড়ে । ছোটখাটো এতটুকু ছেলে বয়সও কম- বছর-বারো হবে বড় জোর । প্রথম যেদিন বিমল যায় নাখলকে পড়াতে-_সে প্রায় মাস-আহ্টেকের কথা হ'ল, নিখিল তখন ক্লাস-সেভেনের মাঝামাঝি পৌছেছে-_ওর বাবা দুঃখ ক'রে বলেছিলেন, “দেখুন না মান্টার শশাই, ছেলেটার কণ মাথা ছিল আর কণ হয়ে গেল। ওর যখন তিন বছর বয়স তখনই আমার বাবার মুখে শুনে শুনে সমস্ত মোহমুদ্গর মুখস্হ ছিল । বাবা ওকে বড় বড় সব সংস্কৃত কব্যের সর্গ মুখস্হ কারয়েছিলেন । আধো-আধো গলায় কী 'মন্টি যে লাগত ওর মুখে সেই আবৃত্তি, কী বলংব। তাই শুনে আমি আবার রবীন্দ্রনাথের কাবিতা পড়ে শোনাতে লাগলুম-_-দুবার শুনলেই জলবৎ! দেবতার গ্রাস ছাঁকা মুখস্হ বলে যেত- একবারও না থেমে । চার বছর বয়সে ওর "ছ্বতীয় ভাগ, ফান্ট” বুক শেষ হয়ে গেছে। প্রথম প্রথম ইস্কুলেও বেশ ভাল রেজাল্ট করেছিল, তারপর কা যে হ'ল- এই ক্লাস সেভেন-এ উঠে একেবারে যেন গবেট হয়ে গেল। [কিচ্ছু মনে থাকে না, ফ্যাল ফ্যাল ক'রে চেয়ে থাকে-__মাথাতেও ঢোকে না ছু । সেই জন্যেই আপনার শরনাপন্ন হয়েছি । আমার বন্ধু দেবেনবাবু বললেন যে আপাঁন যাকেই পড়ান খুব ইন্টারেস্ট নিয়ে পড়ান, অন্য মাম্টার- মশাইদের মত না--দেখুন, কী করতে পারেন। আম ত খুব দৃভবিনায় পড়োছি।। মল একট: হেসে জবাব 'দিয়োছল, “আপনাদেরই কৃতকর্মের ফল, এখন আর দুভবিনায় লাভ ক বলুন 1, ভদ্রলোক একট. ঘাবড়েই 'গিয়ৌছিলেন । গবমলের হাসর মধ্যে ষে তিস্তা ছল তাঁর নজর এড়ায়ান। প্রথম যে চাকরী করতে এসেছে তার পক্ষে এ হাঁস সহজও নয়--স্বাভাঁবকও নয় । তান একট: হতচকিত ভাবেই প্রন করোছিলেন, “তার মানে? আমরা কী দোষ করলম ? 'না- আপনারা কেন দোষ করবেন । যত দোষ এটুকু ছেলের! গতন বছরের ছেলেকে 'দয়ে খন লম্বা লম্বা সংস্কৃত কাঁবতা মুখস্হ কারয়ে পাঁচ- জনের কাছে একাঁজাবটং ক'রে পূত্রগর্বে স্ফীত হডেন তখন 'ি একবারও ভেবে দেখেছেন যে'ছেলের কী সর্বনাশ করছেন ! একে ত খুব সবল 'ছিল না--তা এখনকার চেহারা দেখেই বোঝা ধায়--ওর সেই গতন বছর বয়সে ক এমন মাঁদ্তন্ক তখন ডেভেলপ করেছিল বলুন ত! ওর সেই অপারণত অপাঁরপক্ক মাথাকে এমন ভাবে ট্যাক্স করার কী কারণ ছিল--আপনাদের একটু ভ্যানিটি 'চাঁরতার্থ করাস্ছাড়া ঃ চার বছর বয়সে দ্বিতীয় ভাগ, ফাস্টবুক শেষ করবার কথা কি ওর? আমাদের গ্রথা আছে পাঁচ বছর বয়সে হাতেখাঁড় দেবার-- ৪৭. অথাঁং পাঠ শুরু করার । যাঁরা এ প্রথার প্রচলন করেছিলেন তাঁরা ক এতই পনবেধি গছলেন 2 লালয়েৎ পণ বষাঁণি--চাণক্যের এ কথাটাও ক ফেলে দেবার মত 2 গনীখলের বাবা সত্যশরণবাবু বলেছিলেন,ণকন্তু মশাই আমিও ত শুনোছ এঁ সাড়ে তিন বছর বয়সে পড়া শুরু করোছিলুম, চোদ্দ বছর বয়সে পাস করেছি । স্কলারাঁশপও ত 'ছিল একটা ছোটখাটো ।” 1বমল সণবনয়ে হ'লেও বেশ আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গেই উত্তর 'দিয়োছল, 'আপান দি অমান অপ.স্ট গছলেন 2 ভেবে দেখুন ত! এই সম্তানাটর আপনার পষ্টর কত অভাব তা ক লক্ষ করেনাঁন ? ওর ওপর পড়ার চাপনা দিয়েকোন স্বাস্হাকর স্হানে রেখে ভাল খাইয়ে দিন কতক খেলে বেড়াতে 'দিলে ওর প্রাতি আপনার কতব্য পালন করা হ'ত। তাছাড়া, আপাঁন যখন পাস করোছিলেন তখন ক এতগ্ীল ভাগর ভার বই পড়তে হ'ত আপনাকে, এতগুলো সাবজেকট ছিল ? মনে ক'রে, দেখুন দীক। ইংরেজ? বাংলা, সংস্কৃত আর অগুক। দুটো বিষয় অপশ্যনাল নিতে হত--তাও ত আপনারা অগ্ক আর সংস্কৃত 'নয়েই সেরে দিতেন । ঠিক কিনা বলুন? সত্যশরণবাবুকে অগ্রাতভ ভাবে হেসে স্বীকার করতে হয়োছিল, গঠক। আমারও এ অপশ্যনাল 'ছিল--অও্ক আর সংস্কৃত ।” তবে? এদের কতগুলো বিষয় দেখুন ত। ইতিহাস ভুগোল ত আছেই - আরও 'দয়েছেন তার সঙ্গে বিজ্ঞান । বাংলায় দুটো পেপার- সব 'মালয়ে কত নম্বর বেড়েছে তার 'হসেব দেখেছেন ? ক্লাস সেভেনে হাঁপিয়ে যাবারই ত কথা-_ম্যান্রকের সব বইগুলো এটুকু ছেলের ঘাড়ে এখন থেকে চাপিয়ে শদলেন । মোটামোটা ভার ভার বই-ম্যাট্রকের ছেলেদের জন্য লেখা-- দেওয়া হ'ল একটা এগারো বছরের ছেলেকে । ওর যে-কোন একখানা বই তার হাতে ক'রে তোলাই শস্ত--পড়া ত দূরের কথা । চার বছর ধরে পড়ানোর আঁছলায় এ ভার বইগুলো পড়তে দেওয়া হয় এখন থেকে । ওতে ছাপাই আছে নাইন-টেনের জন্যে, কিন্তু ঈশ্বর জানেন--ওর ঘা ভাষা আর লেখার ধরণ-কোন ক্লাসের ছেলেদের উপযনন্ত ওগুলো । বাংলা ব্যাকরণ-খানা খুলেছেন কখনও 2 এ ব্যাকরণ পড়ে যাঁদ আপনাদের পরাক্ষা দিতে হ'ত, তা হলে ফান্ট ডিভিস্যন পেতেন না সন্দেহ । আমার ইচ্ছে করে এক- একবার ছেলেদের বার করে এনে পরীক্ষার হলে মান্টার মশাইদেরই ধাঁসয়ে গদই । দোঁখ তাঁরা কেমন পরীক্ষা দেন !, “তাই ত! ভাঁবয়ে দলেন যে! কা করব এখন 2 সত্যশরণবাব: প্রশ্ন করোছলেন। “কী আর করবেন । ৪৪] ৪১ 5০৮ 5০%/! আম আমার যথাসাধ্য করব । তবে খুব ভাল ফল আশা করবেন না। আপনার ক্ষমতা যাঁদ থাকে ত আম পরামর্শ দেব গরমের ছুটি আর পৃজোর ছাঁটি দুটোতেই বাইরে কোথাও নিয়ে গিয়ে খেলে বেড়াতে দেবেন এবং পড়ার বই সঙ্গে নিয়ে বাবেন না।” 5৬ “তাতে সব ভুলে যাবে যে !? 'ষাক। সেঝালয়ে নেওয়া যাবে ।” “দেখি । দুটোয় পারব না--একটা ছুটি হয়ত--। তাইত, আপাঁন-। এমন ভাবে কখনো ভেবে দৌখাঁন। হয়ত আপনার থয়োরীই ঠিক । কেজানে। সত্যশরণবাব্‌ চিন্তিত মুখে বলেছিলেন । আজ ওদের বাঁড়র 'সশড় দিয়ে উঠতে উঠতে এই কথাটাই মনে পড়ল শীাবমলের । হাঁস পেল একটু । তখনও পড়াশুনোর ওপর ?কছ: আস্হা ছিল ওর। মানে এই ধরণের পড়াশুনোর ওপর । আজ- আজ আর নেই । আজ বোধ হয় কিছুর ওপরই আস্হা নেই। পড়ার ঘরে 'ীনীখল বই খাতা সাজয়েই অপেক্ষা করাছিল। চাড় আছে ছেলেটার-_-একটু বেশী রকমই চাড়। ক্ষমতা নেই তেমন । পড়ে অনেকক্ষণ, ক্লান্তি নেই যেন--কিন্তু কিছুই মনে থাকে না। মাথাতে ঢোকে না কিছহ়। ওর সেই অসহায় দৃষ্টি, ফ্যাল-ফ্যাল চাউানর দিকে চেয়ে মায়া হয় বলের । রাগ যে হয় না তা নয়__তবে রাগ প্রকাশ পেলেই 'নাখলের চোখ দুটো যেন আরও করুণ হয়ে ওঠে । সঙ্গে সঙ্গে মমতায় বুক ভরে যায় 'িমলের, কাছে টেনে নিয়ে আদর করে, মাথায় হাত বলয়ে দেয় । অবোধ জীব--তাইতেই খুশী ধরে না ওর । কৃতজ্রতায় চোখ স্তিমিত হয়ে আসে। শব*বাস না থাক:-_চেস্টার শ্রুটি করোন বিমল এটা ঠঠিক। ফলও কিছ: গকছ? হয়েছে । ক্লাস সেভেনের অর্ধ-বার্ধক পরাক্ষায় কোনটাতেই সে পাস করতে পারোন--বার্ধক পরীক্ষায় সব কটাতেই কোন মতে পাস-মাক রেখেছে । ক্লাসে উঠেছে সসম্মানে। সত্যশরণবাবু তাইতেই সন্তুষ্ট । নিজে থেকে স্বেচ্ছায় দশাঁট টাকা মাইনে বাঁড়য়ে দিয়েছেন । শুধু ?বমল মনে মনে কুন্ঠিত হয়--সে জানে এ উন্নাতর কী অর্থ। কতটা অন্তঃসারশূন্য এটা ।** হঠাৎ বিমলের খেয়াল হয়, সে চুপ ক'রে বসে আছে! “কৈ নাখল, পড়ছ না? সে ধমকই দেয় একটু । ণনাখল অপ্রাতিভ ভাবে বলে, “এই যে--এইটে স্যার--িছুতেই বুঝতে পারাছ না।? তা কৈ, বলান ত এতক্ষণ !? “বলাছলুম স্যার ৷” কুঁণ্ঠিতভাবে, ষেন অপরাধ তারই, এমাঁনভাবে 'নাখিল বলে, 'আপাঁন যে কী ভাবাছলেন। তাই আর--- জোর করে পড়াতে বসে 'বমল। কৈ-ব্যাকরণের টাসকগুলো করেছ 2, “এই যে---” খাতা বার ক'রে দেয় নাখল। ণকচ্ছ হয় নি। এটা কিকরেছ? দ্যাখো । এত ক'রে সোঁদন বুঝিয়ে দিলুম আপাঁনাহতি-_-সেইটেই ভুল ক'রে বসে আছ! ৪৯ জেন্দ্রকুমার মিলন রচনাবলী (৬ষ্ঠ)--:৪ দীঘণনঃ*বাস ফেলে আবার আঁপানাহাত বোঝাতে শুরু করে । এ সরস্বতীরও অসাধ্য বোধ হয় । এমন ক'রে ঠেলে ঠেলে আর কতাঁদন চলবে? খরশ্রোতের উজানে এমন ভাবে নৌকো বাওয়া ! তবু । পয়সা নিয়েছে যখন, 'নতেও হবে-তখন আর এসব "চিন্তা অবান্তর । “স্যার একটা কথা জিজ্ঞাসা করব ? করো ।, এই স্যারটা বড়ই শ্রীতকটু লাগে ওর । বহুবার বলেছে দাদা বলতে কিন্তু নীখল পারে না। বলে, সে আমার বড় লজ্জা করে। ভার বিশ্রী ।; “বলো--কণশ বলবে 2 একটু অসাঁহফু ভাবেই আবার বলে বিমল “আপাঁন ত বলেন, আগে এই বাংলা ব্যাকরণের বই পড়তে হত না ।, হ'্ত__তবে এত নয়। সে সামান্যই ছিল ।, “যারা এই সব িখেছেন--তাঁরা এত জানলেন কী ক'রে । তাঁরা ত এ রকম বই পান 'ীন।, তাঁরা পণ্ডিত লোক ! তাঁদের পক্ষে এটা জানা সহজ । তাঁরা দক তোমার মত গবেট | 'না-_তা বলাছ না।, ঘাড় হেট ক'রে টোবলে পৌঁন্সিলের দাগ কাটে গনাঁখল, “বলাছলুম যে এত ব্যাকরণ না পড়লে ক হয় ?, “কী আবার হয়--ভাষাটা শেখা যায় না ভাল ক'রে । বাঙ্গালীর ছেলে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ জানো না--এটা ক খুব গৌরবের কথা ?, লজ্জায় সঙ্তকোচে এতটকু হয়ে যায় নাখল । তার মুখে অনেকক্ষণ কথা ফোটে না। শেষে চরম সাহসে ভর ক'রে বলে, “না স্যার, আমার এক দাদা বলাছলেন ক না তাই। “কী বলাছলেন দাদা * বলছিলেন যে আগে যাঁরা বাংলা ব্যাকরণ পড়েন নি তাঁরা কি বাংলা ভাষা শেখেন নি? বাঁঙকমবাবু, রবীন্দ্রনাথ যে সব নাম-করা অধ্যাপক আছেন বাংলায় তাঁরাও ত বাংলা ব্যাকরণ পড়েন নি। যাঁরা এই সব মোটা মোটা বই 'িলখেছেন তাঁরাও ত পড়তে পান 'ন তখন !, হ্যাঁ । তাপান 'ন তখন। সেইজন্যই অনেক কষ্ট ক'রে শিখতে হয়েছে । তোমরা ত তৈরী বই পাচ্ছ। আর বাঁতকমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের কথা আলাদা । তাঁরা সংস্কৃত ব্যাকরণ এত ভাল জানতেন যে তাতেই কাজ চলে যেত। তাঁরাই ত বলতে গেলে ভাষা তৈরী ক'রে গেলেন। তাঁদেরই কল্যাণে বাংলা ভাষা আজ এমন জায়গায় এসেছে যে এখন আর তার 'নজস্ব ভাল ব্যাকরণ না হ'লে চলে না।, তারপরই ধমক দেয় বিমল । “এই সব পাকা পাকা কথা কে কী বলেছে তা তবেশ মনে রেখেছ । অথচ পড়া ত একলাইনও মনে থাকে না! পড়ো এখন !, ০ [নাঁখলের হে-ট-হওয়া মাথাটা আরও হেট হয়ে ষায়। ভয়ে ও অনুতাপে তার ছোট মুখখাঁন যেন বেশী ছোট দেখায় । তাকে ধমক দেয় বটে কিন্তু ?বমল মনে মনে জোর পায় না। বরং অনুতগ্ত হয়। ছান্ররা খোলাখীল আলোচনা করবে, সেইটেই ত বাঞ্চনীয় । একেই ত শনাখল একটু বেশী ভীতু স্বভাবের । তার ওপর এমন ধমক দিলে যে একেবারেই সব প্রশ্নকে কুলুপ এ*টে বন্ধ ক'রে রাখবে 1." একট.খান চুপ ক'রে [থকে ঈষৎ 'স্নস্ধ কণ্ঠে বলে, “আর 'ি বলেছেন তোমার দাদা 2 নাখল চাঁকতে একবার ভয়ার্ত একটা দর্ান্ট মেলে তাকায় ওর দিকে । পরক্ষণেই আবার মাথা নত ক'রে বলে, “না, স্যার, সে আপাঁন শুনলে রাগ করবেন ।; “না, না-_রাগ করবো না। তুম বলো। সন্দেহটা দর হয়ে যাওয়াই 'ভাল নয় কি? উৎসাহ দেবার সুরে বলে বিমল । 'াদা বলাছলেন যে, এই ব্যাকরণ তোদের কোনই কাজে লাগবে না। করাঁব ত চাকরী । আজও ইংরোজতে আফসের কাজ চালাতে হয় । দেশ স্বাধীন হয়েছে বটে কিন্তু তব ইংরেজন আমরা ছাঁড় ন-_ছাড়লেও ধরতে হবে শহন্দী। বাংলা ব্যাকরণ কী কাজে আসবে । পরীক্ষাতেও ত মোটে পশচশটা নম্বর । তার জন্যে এ অতবড় মোটা বই যাঁরা লিখেছেন তাঁদের সঙ্গে ণসলেবাস যাঁরা করেছেন তাঁদের যোগাযোগ আছে 'নশ্চয় । এ শুধু বই বিক্রণ হওয়ার ফন্দী। পঁচিশ নম্বরের জন্যে একশ পাতার বই-ই যথেম্ট। চলাতি ভাষায় আমরা যে ভাবে কথা বাল, তারই একশ গন্ডা ধরণকে একটা ক'রে নামের লেবেল এটে মুখস্থ করিয়ে লাভ কি ? ভয়ে ভয়ে থেমে থেমে কথাগুলো বলেই ফেলে 'নাখল। ধমক 'দতে গিয়ে সামলে নেয় 'বমল। আন্তে আন্তে বাঝয়ে বলার ভঙ্গীতেই বলে, "চাকরী করাই ত শুধু লেখাপড়ার উদ্দেশ্য নয়। তোমার মাতৃভাষা সম্বন্ধে একট: জ্ঞান যাঁদ না থাকে ত তোমার মনের গঠনটাই যে অসম্পূর্ণ রইল । 'িশ্বসংসারে দাঁড়াবে কিসের জোরে-কী ক'রে পাঁরচয় দেবে ণনজেকে বাঙ্গাল বলে? ইংরেজরা ক ইংরিজী ব্যাকরণ পড়ে না? না-_ গনাখল, ওটা পড়তেই হবে 1, বলে 'কন্তু মনে মনে জোর পায় না বমল। সাত্যই 'ক দরকার খুব? যেটুকু নিতান্ত দরকার সেটুকু দি একশ" পৃচ্ঠার একটা বইতে দেওয়া যায় না? খুব কি ক্ষাত হয় এই 'আঁপানাহাতি'র 'িবরণ না পড়লে? এতে করে কি পাঁত্যই খুব ভাল শিখছে ছেলেরা 2? কেজানে ! ভাষা 'িখুক বা না শিখুক ভাষার যা উজ্জ্বলতম 'নিদর্শন- সেই সাহিত্য থেকে যে ক্লমশঃ দরে সরে যাচ্ছে এটা ঠিক। আগে অনেক বেশ সাহত্যের খবর রাখত ছেলেরা । এখন অবসর কোথায় ? না ইংরেজী না বাংলা--সাহত্যের বই পড়ে ক-টা ছেলে? খেলাধুলো, সনেমা--অবসর বনোদনের এই ত দুটো বড় পথ খোলাই আছে, ষারা ভাল ছেলে তারা পড়ার বইতে ডুবে আছে; যারা তা নয়__হয় রোঁডও ৫৯ খুলে তিন হাজার মাইল দরের ক্রিকেট খেলায় কান পেতে আছে, নয়ত খবরের কাগজের শেষের দিক থেকে খুলৈ পড়ছে ( অর্থাং খেলার পাতা ) নয়ত ণসনেমার চতুর্থ শ্রেণীর 'টাকিট ঘরে গিয়ে ণকউ” দিচ্ছে রোদ্রুবৃষ্টি উপেক্ষা ক'রে। সাঁহত্য-না, সাহিত্য থেকে তারা বহুদূরে সরে আছে । সাহতোর কথা বাদ দিলেও ভাষাই ক খুব বেশশ শিক্ষা হচ্ছে? এই সব মোটা মোটা ব্যাকরণের বইয়ের চলন হবার পর এই বই পড়ে যারা শিক্ষিত হয়েছে, সামায়ক পন্্র খুললে সেই সব তরুণ সাহিত্যিকদের লেখা দেখলে কান্না আসে বমলের । শব্দের মৌলিক অর্থের সঙ্গে পযন্ত এদের পরিচয় নেই। সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থে শব্দের প্রয়োগ ক'রে ভাষার তলোয়ার খেলা দৌথয়ে গর নেচে বেড়ায় এরা । এদের কথাই বা কি? বাংলার সবাগ্রগণ্য অধ্যাপকই ত আকর্ষক অর্থে আকরণণণয় শব্দ ব্যবহার করেন খবরের কাগজের দেখা-দেখি ! পড়ানো প্রায় অসমাপ্ত রেখেই উঠে পড়ে বিমল । ীনাঁখল একট: 'বাঁস্মত হয় গকন্তু গছ বলে না। ওর সঙ্গে চে নেমে এসে একবারে দোরের কাছাকাছি পৌছে কোনমতে প্রশ্ন করে ফেলে সে--আপনার শরীরটা আজ ভাল নেই, না স্যার ? কেন বলো ত! সকাল ক'রে উঠলুম তাই ? নাস্যার। তাবলছিনা। মুখটা কেমন শুকনো শুকনো । গোড়া থেকেই আপনাকে যেন কী রকম দেখাচ্ছে । তাই বলাছি। জবর হয়ান ত 2 1বমল ওর মাথাটা ধরে নেড়ে দিয়ে একটু সস্নেহ হেসে বললে, এই ত বেশ বদ্ধ দেখাঁছ। ঠিকই ধরেছ। জবর হয় ?ীন, তবে শরীরটা খুব ভালোও নেই। বন্ড ক্লান্ত লাগছে।; আজ যা মানীসক অবস্থা তাতে পড়ানোর চেষ্টা করাই অন্যায় হয়েছে তার। কেবল নানা বাক্ষপ্ধ চিন্তা এসে অন্যমনস্ক ক'রে দিচ্ছে, বার বার অপ্রস্তৃত হ'তে হচ্ছে ছাত্রদের কাছে । তার চেয়ে ও-চেম্টা না করাই ভাল । একেই গত দুশদনে তার মনের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড একটা ঝড় বয়ে গেছে, তার ওপর আজ পীর্ণমার সঙ্গে আলোচনা যেন আরও আলোড়নের সৃষ্টি করেছে তার মাস্তচ্কে। চিন্তাগুলো এলোমেলো ছহটোছুটি শুর: করেছে, িছুতেই তাদের সংঘত ক'রে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।**" ণনাখলদের বাড়ী থেকে বৌরয়ে ঘাড় দেখল আটটা । এখন বাড়ী যেতেও ইচ্ছা করে না। গেলেও সাত শ; জবাবাঁদাহতে পড়তে হবে--কেন এত সকাল সকাল ফিরল সে, শরীর খারাপ, করেছে কি না-_- নানান: প্র“ন। সে আরও বিরান্তকর । গবমল খুব জোরে হে+টে গিয়ে একটা পাকের এক কোণে ঘাসের ওপর বসে পড়ল । শুয়ে পড়তেই ইচ্ছা করছিল কিন্তু জামাটা নম্ট করতে সাহস হ'ল: লা । 4২ বেশ ছেলেটি এই নিখিল । এর উন্লিতি হ'লে মনে মনে খুশণ হবে সে। কিন্তু হবে কি ? বড় মায়া হয় বেচারীর ওপর । মুখের ভাবটাই যেন বেচারী-বেচারণী। এমাঁন আরো একখানা মুখ মনে পড়ে যায় ওর। বার-বারই মনে পড়ে । ঠক 'নাখলের মত অতটুকু না হ'লেও-_-অগাঁন মাজা শ্যামবর্ণ, অমান শওকত ভত অবোধ দৃষ্টি। বকলে ঠিক এ রকমই ম্লান হয়ে উঠত নিমেষে । তারও পড়বার আগ্রহ ছিল অসাধারণ কিন্তু িছ্‌তেই মাথায় ঢুকত না লেখা-পড়াটা । সে মুখ আলপনার- আপুর । ওরা আগে যেখানে থাকত--পূর্ণ মাস্টারমশাইদের পাড়ায়-_-ওদেরই বাড়ীর একাংশে থাকত আপুরা । রেলে কাজ করতেন আপুর বাবা, কিন্তু কোয়াটরি পান নি। রেলের কোট ছাড়া দ্বিতীয় জামা ছিল না ভদ্রলোকের ; স্টেশন কুঁড়য়ে বাজার আনতেন ব'লে দু'বেলাই অনেক দৌরতে তাদের উনৃনে আঁচ পড়ত। কী আসবে-_মাছ পাওয়া যাবে 'ি না, আনাজ কাঁ পাওয়া যাবে-- কেউ জানে না। তান বাড়ী ফিরলে তবে রান্না চাপত। সকালে উঠে বোঁ ক'রে স্টেশনে চলে যেতেন--ডিউঁট থাক্‌ বা না থাক, ব্যাপারীদের ঝাঁকা থেকে টানাটান ক'রে দুটো মূলো এক মৃঠো বরবাঁট-_হ'ল বা গোটা আন্টেক উচ্ছে নাময়ে দু” পকেট বোঝাই করতেন। মাছও এ ভাবে আদায় হ'ত। বাড়ীতে গিয়ে খন রুমাল খুলতেন তখন দেখা যেত হয়ত একটা চিড়, 1তনটে খলসের বাচ্চা, গোটা দুই ট্যাংরা, তিনটে গুলে এবং গোটা আন্টেক পুশট ! এ ছাড়া আসত একটা ঘাঁটতে দেড় পো ি আধ সের দুধ। তখন উনুন ধরত, চা হ'ত, রান্না চড়ত। গজ গজ করতেন আপুর মা, “চরাঁদন সমান গেল ! ঠিক যেন 'ভাখরণর ঝুল ঝাড়া হ'ল! যেমন আনাজের ছি, তেমান মাছের । ন-টা উচ্ছে--পাঁচটা মুকী কচু--একমুঠো বরবটি । এ আম কী রাঁধব, কার পাতেই বা দেব ? আপুর বাবা কিন্তু একট:ও দমতেন না; সোৎসাহে বলতেন, “কেন-_উচ্ছে ক-টা ভাতে দাও না। উচ্ছে আল: ভাতে বেশ ত হয়! আর এ বরবাঁট আল কচু বেগুন সব 'দয়ে একটা ঘ্যাঁট ! মাছ কটার ঝাল করো-যার বরাতে যা ওঠে । কিম্বা উচ্ছে কচু সব 'দয়ে সুক্তো 2 তারপর কারুর সঙ্গে চোখাচোঁথ হয়ে গেলে হেসে চোখ মটংকে বলতেন-_ তা কে জানে বিমল আর কে জানে তার বাবা--কতগুলো ক'রে পয়সা বাঁচছে, সোঁদকে হুশ নেই ! পয়সা খরচ ক'রে বাজার করতে হ'লে কি আর রোজ বাজার হ'ত ? আঙুল ঠেলে ভাত খেতে হ'ত । এ রকমারাঁ তরকারণ আসছে, ভালই ত। কে বোঝাবে বলুন, তবে আর বোকা মেয়েমানুষ বলেছে কেন !, অনেকক্ষণ শোনবার পর হয়ত আপুর মা ধমক 'দতেন, “তুমি চুপ করো ! বোকা মেয়েমানুষ পেয়েছিলে তাই, নইলে আর কেউ তোমার ঘর করতে পারত ৬৩ না। যেন ডেয়ো-ডোকলার ঘরকন্না। আমার বাবা কি আমার বিষে দিয়েছিলেন 2 হাত পা বে-্ধে জলে ফেলে দিয়েছিলেন ।, ভদ্রলোক শামুকের মত গঃটিয়ে গিয়ে একটা ছেলে কি মেয়ে কোলে ক'রে আদর করতে বসতেন। এখনও তাঁকে মনে পড়লেই হাঁসি গায় বিমলের । কোন খাদ্য-বস্তুই বোধ হয় কখনও কেনেন 'নি। শীতকাল হ'লে দুধের ঘাঁট ছাড়া আর একটা গেলাস যেত পকেটে । তাতে আসত পয়ড়া গুড়। কোন দিন বা মোয়া। নিজের কোটগুলো কাটিয়ে ছেলেমেয়েদের জামা ক'রে দিতেন। একাদন আপুরই পেট খারাপ হয়েছিল--ওর মা বলোছিলেন ডাব আনতে । ভদ্রলোক একট: বিমর্ষ হয়ে বলেছিলেন, “তাই ত! মাছ ডাব দুধ এক গাড়ীতেই সব নামে যে। এটা ধরতে গেলে ওটা হয় না। ঈস-! দুধটাই দেখাঁছ বাদ দিতে হ'ল আজ। ব্যাটারা যা ছোটে পোঁ পোঁ করে । যাক গে-কধ আর হবে, না হয় নুূন- লেবু দিয়েই চা খাওয়া যাবে ।' অবাক হয়ে গালে হাত 'দয়ে বলৌছলেন গাঁহণী, কেন, রোগা মেয়েটার জন্যে একটা ভাব একাদন তুম কিনে আনতে পারো না !, গকনে--? তা তা অবশ্য- ক জানো বন্ড দাম যে। ব্যাটারা একেবারে চোদ্দ পয়সা হেকে বসে একটা ডাব । কলকাতার কলেজ জ্্গট মাকে্টে শুনেছি খুব সন্তা, ছ' পয়সা দহ” আনায় ডাব পাওয়া যায় । কে যায়__ আবার কলকাতা । দোঁখ--দুপুর বেলা এক ফাঁকে যাঁদ ডুব দেওয়া যায়। এটুকু ত--যাবো আর আসব ।, হাত জোড় ক'রে বলোছিলেন গৃঁহণণী, “থাক-। থাক: । ব্যাগোত্তা কাঁর- আর আমার ডাবে কাজ নেই । তুমি মানুষ না 'পশাচ, ঢের ঢের চসমখোর, মানুষ দেখোছ- তোমার জ্দাড় নেই ।, হাঁ! তাতব'টেই। দেখতুম আমার মত দেড়শ টাকা আয়ে ছণটা ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হ'লে কে কত টাকার মাল গন্ত করত রোজ ! ওধারে ত 'বিইয়েছ শুয়োরের পাল। সেোঁদকে ত কমাঁত নেই। আঁধক সন্তান দা'রাদ্দরের লক্ষণ ! এত বড় সংসার সব দিনে চালাতে গেলে রাজাও ফতুর হয়ে যেত-_তা জানো ?, গিন্তু একটা শখ ছল ভদ্রলোকের । ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর ঝোঁক ছিল খুব । মেয়েটিই বড় । বিকেলে বা রান্রে- যোদন যেমন ডিউটি পড়ত-_ফরেই মেয়েকে নিয়ে পড়াতে বসতেন ॥। ছেলেরাও পড়ত কিন্তু, তাদের গৃঁহণন তাঁর অ্পাঁবদ্যাতেই যা হয় ক'রে পড়াতে পারতেন। মেয়ে ক্লাস সেভেন-এ উঠেছে তখন-_তাকে পড়ানো তাঁর পক্ষে অসম্ভব । আপুর বাবাই পড়াতেন মেয়েকে ; কিন্তু সে সাংঘাতিক পড়ানো ! যোদন নাইট-1ডউটি বা মাঁণ+ং-ডউ'টি থাকত সৌঁদন তবু সাবধা । ঈভাীনং [ডিউটি হ'লে 'িরতেন এক একাঁদন রাত দশটায়, নটার আগে ত হ'তই না। বেচারশ আলপনা তখন ঘুমে অচেতন হয়ে পড়ত। 'কন্তু তা'হলে কি হয়-_- 6৪ তখনই এসে ওর চুলের ঝৃশ্টি ধরে বাবা ওঠাবেন এবং রাত এগারোটা পযন্ত পড়াবেন। নইলে ওস্রই বা সময় কোথা? সকালে আটটা অবাধ কাটে বাজারের জোগাড়ে--তারপর ত আপুর ইস্কুলের সময়, কচি ভাই-বোনেদেরও একট; দেখতে হ'ত। সুতরাং সে সময় পড়া যায় না। অগত্যা এ রাতে। ঘুমে বিহ্থল হয়ে থাকত ওর ব্বাদ্ধসহাদ্ধ-প্রায়ই কিছু বুঝত না, পড়াও বলতে পারত না। ফলে বাবার হাতে খেত নরম প্রহার ৷ সে প্রহারের শব্দে বাড়ী-সুদ্ধ লোকের ঘুম ভেঙ্গে যেত-_-চোরের মার একেবারে । অথচ তাঁরই বা উপায় গক 2 কত কষ্টে যে মেয়ের 'ফ পড়ার ব্যবস্থা করোছলেন তা তাঁনই জানেন-_-সেই খানে িক-না মেয়েটা ফেল ক'রে বসল! নেহাৎ তান কারৎকমা মানুষ তাই ফেল-করা সত্ত্বেও হাফ ফ্রি রইল 'কন্তু এবার যাঁদ সব বিষয়ে পাস করতে না পারে ত তাও থাকবে না। তখন পড়াবে কে? মায়া-দয়া করতে গেলে ছেলেমেয়ে মানুষ হয় না। দেখে দেখে একাঁদন আপুর মা ানভূতে ধরেছিলেন িমলকে । সজল নেত্রে ওর হাত দুটো ধ'রে বলোছিলেন, “দেখছ ত বাবা- মেয়েটার ক প্রেহারণী । একে ত এ মেয়ে, চোরের মার খেতে খেতে আরও ওর মাথা যায় গুলিয়ে । আর রাম্রে মার খেতে হবে ব'লে সারাদন যেন কাঁটা হয়ে থাকে। অমন দব্‌কে দব্‌কে থাকলে কাঁদন বাঁচবে বলো ত? তুমি বাবা একটু দৌঁখয়ে শ্ীনয়ে দেবে ওকে? সন্ধ্যেবেলা 2 তোমার কাছে গিয়ে বসবে? আমি তোমাকে কথা কিছু 'দিতে পারাঁছ না কিন্তু যে মাসে যা পারব তোমাকে দু-এক টাকা লুকিয়ে চাঁরয়ে দিয়ে যাবো । মেয়েটাকে বাঁচাও বাবা !, তখন সবে ক্লাস টেন্‌-এ উঠেছে বিমল । তারও পাসের পড়া । তবু তাকে যে ভাল ছেলে বলেই অনুরোধ করা হচ্ছে তা বুঝতে পেরে আত্মতৃপ্তিতে ভার আরাম পেয়োছল ও। তাছাড়া এমন অনুরোধ এড়ানোও কণিন। ওর বাবার একট: আপাত্ত সত্তেও সে-ভার 'িনয়োছিল 'বমল ॥। আর বিমল ওকে পড়ানোর ভার 'নয়েছে-এবং বিনা পাঁরশ্রীমকে--শুনে ওর বাবাও 'নীশ্চন্ত হলেন, কারণ 'বমল ভাল ছেলে-কে না জানে? আলপনা বাঁচল । 1কন্তু লেখাপড়া তার 'ীবশেষ এগোয় 'ন। বড়ই বোকা ছিল মেয়েটা । অথবা বোকা হয়ে 'গিয়োছল ! ক্ষমতা বা রুচির মাপে পড়াটা হ'লে কী হত বলা যায় না। হয়ত ঢের সহজে এবং অনায়াসে এাগয়ে যেত সে। কিন্তু এ বোঝা তার পক্ষে আতীরন্তই হয়ে পড়োছিল ! ফ্যাল: ফ্যাল: করে চেয়ে থাকত সে। প্রাণপণে মুখস্থ করত । মনে ক'রে রাখার চেম্টা করত-_-অথচ সময়ে বলতে পারত না। তখন আপাঁনই চোখে জল এসে যেত বেচারধর । শুধু এত চেষ্টা সত্তেও বলতে না পারার গ্লানিতে, অক্ষমতার লজ্জায় সে কেদে ফেলত ॥ 'বমল বুঝতে পারত না--এর পরও একে মারতে হাত ওঠে কেমন করে। হয়ত এ লজ্জা 'বমলকেই তার বেশী । কে জানে! আজ তাই মনে হয় অন্তত । নইলে--ওর মা বলতেন-_“চোরের মার খেয়ে এক ফোঁটা কাঁদে না 6৬ বাবা, দিল্তু তোমার কাছে আদর পেয়েও কাঁদে কেন মুখপূড়ী 1” আবার নিজেই উত্তর দিতেন-"হয়ত আদর পায় বলেই কাঁদে । যার কাছে বত পায় তার কাছেই ত তত আভমান কনা 1, আদর অবশ্য 'ামল কোনাঁদন দেয় 'ন--তবে হ্যাঁ সস্নেহ ব্যবহার হয়ত করেছে । ওর এ অবোধ পশুর মত করুণ চাহাঁন, যা সামান্য প্রশংসায় উজ্জ্বল হয়ে উঠে হুল-ছল করত, আবার এতট.কু কিন কথায় যা ভয়ার্ত হয়ে উঠত সঙ্গে সঙ্গে, নিজের অক্ষমতার সচেতনতায় যা সদাই কুন্ঠিত এবং দীন--সে চাহানি 'বমলকে স্নেহার্র ক'রে তুলত ঠিকই । ধিন্তু সেই স্নেহ 'িংবা প্রশ্রয়-আলপনার মনে এট:কুর জন্যই কৃতজ্ঞতার অন্ত ছিল না। পালিত কুক্ধক;রীর মতই তার অন্তরাঁট সদা সব্দা বিমলের পেছনে পেছনে থৃূরত--পদলেহন ক'রে । এত ভাঁন্তসে বেচে থাকলে তার গুরু বা ইঙ্টকেও করতে পারত কনা সন্দেহ ! শ্রদ্ধা ও বিস্ময়ের অন্ত 'ছিল নাতার! এত বৃদ্ধি এবং প্রতিভা (আপুর তাই ধারণা ছিল) যে কোন মানুষের মধ্যে থাকা সম্ভব-এ যেন তার কঙ্পনারও অতাঁত। এমন অনায়াসে এত ভার পড়া আয়ত্ত করতে পারে কেউ ? এমন জটল অও্ক, ণদনরাত ভেবেও যার কোন হাদশ পায় না আপু তাই কনা একট মৃচাঁক হেসে এক 'মাঁনটের ভেতর কষে ফেলে! অথচ কত মি্টি কথা । কত আন্তে আঙ্তে বুঁঝয়ে দেয়! কীধৈর্য। বার বার বোঝানো সত্তেও তার মাথায় ঢোকে না 'িছ:, তাই ব'লে ত বাবার মত রেগে ওঠে না। আবার বোঝাতে বসে। ছি ছি, এর কাছে তার কণ দৈন্যই না প্রকাশ পাচ্ছে । এই কথাটা ভাবলেই যখন-তখন ওর সে অবোধ কৃ'ণ্ঠিত নয়নের কোল উপছে জল ঝরে পড়ত । তার এ মনোভাব আজ ীবমল বুঝতে পারে । সোঁদনও যে কতকটা পারে গন তা নয়। অপাঁরসশম আত্মগর্বে মন ভরে উঠত ওর । এমন ভীঁন্তমতণী উপাঁসকা পাওয়ার গৌরব_অত অজ্পবয়সেও ওকে যংপরোনাস্ত মোহগ্রন্ত করেছিল। আর তাইতেই না অমন কাণ্ডটা-__। ছঃ। বলের জীবনে এ একটি কলঙ্ক । [িন্ত আজ খুব ঠাণ্ডা-মাথায় ভাবলে কাজটাকে অত খারাপ ব'লে মনে হয় না। বেচারীর জীবনে জমার খাতায় ত কিছুই ছিল না। সেতওটাকে দেবতার প্রসাদ মনে ক'রেই কৃতার্থ হয়েছিল । তবু-বিমল বোঝে যে-__ সোদন দেবতার আসন থেকে ভ্রষ্ট হয়ে সে সাধারণ মানুষের গ্তরেই নেমে এসেছিল এ বালিকার অন্তর-লোকে । সেটা তখনই স্পষ্ট ভাবে তার কাছে প্রতভীত না হ'লেও মনের অবচেতনে তাই ঘটোছিল ! ঘটাই স্বাভাবক । বিমলের স্কুলজীবন ছিল বড় 'বাঁচন্। বড় মধুর, বড় তিন্ত। পূর্ণ মান্টার মশাইয়ের ইস্কুল হেড়ে হাইস্কুলে ভার্ত হ'য়ে প্রথমটা খুব সুখী হয় নি বিমল। অনেক ছেলে, শিক্ষকদের, মনোযোগ নেই--ছাত্রদের সঙ্গে ব্যাস্তগত সম্পর্ক কম । এ কণ হাটের মাঝে এসে পড়ল সে । ৬ ক্রমে ক্রমে সে নিজের গুণে শিক্ষকদের চোখে পড়ল । দু-একজনের অন্তরঙ্গ হবার সৃদুললভ সৌভাগ্য লাভ করল সে। আজও 'বমলের বিশ্বাস, ব্যান্তুগতভাবে যে ছান্ন শিক্ষকের সাহচয“ লাভ না করেছে, সে বড় বণ্চিত। তারপর তার একাঁট বন্ধগোক্ঠিও গড়ে উঠল । অদ্ভূত সে বন্ধুগোষ্ঠি। ভাল ছেলে ছল ক-জন। তারা সাঁত্যই ভাল ছেলে ; আর জনকতক ছিল ভালয়-মন্দে মিশানো । এরা লেখাপড়ায় মাঝারি, অত্যন্ত পরোপকারা, স্নেহময় বন্ধ্‌--কিন্তু চরিত্রে কিছু গোলমাল ছিল তাদের । বেশণ নয়, জন-দুই-তিন, এদের যৌনক্ষুধা জেগোছিল সেই বয়সেই ॥ ক্ষুধা দৌহক যত না উগ্র হোক- মুখে এরা এীদক-ঘেবা আলোচনা ক'রে সুখ পেত। এটাকে তারা "খন্ডি' বলে স্বীকার করত না--বলত মুখ-খারাপ করা। গোড়াতে গোড়াতে তাও বলত না--বলত মাঝে মাঝে একটু ইয়ে” না হ'লে আন্ডা জমে কখনও ? ওদের ক্লাসে নাম-করা বকাটে ছেলেও ছিল। ক্লাস এইট--এই তারা নানা বদমাইসীতে পাঁরপক্ক হয়ে উঠোঁছল কিন্তু তারা নাম-করা ব'লেই তাদের সঙ্গ এঁড়য়ে যাওয়া চলত সহজে । সারা ক্লাসে চমৎকার দহাট ভাগ হয়ে গয়োছল। পেছনের বেণ্সিতে ওরা বসত, জনা-ছয়সাত ছেলে । তাদের যে লেখাপড়া হবে না তা তারা তজানতই, বাকী ছেলেরা এবং মান্টারমশায়রা সবাই জানতেন-_ জানতেন না কেবল তাদের অভিভাবকরা । অথবা ভাগ্যকে স্বীকার করতেন না। নানা দহঙ্কার্যের পরে এসে তাঁদেরই মাপ চাইতে হ'ত--বছরের শেষে হ'ত হাতে-পায়ে ধরে পাস করাতে । ওরা কিন্তু বিপজ্জনক নয় মোটেই । শুধু বসল নয়-_আরও এমন অনেক ছেলে ছিল যারা কখনও কথাই বলে নি এ-সব মাকাঁ-মারা ছেলের সঙ্গে। বিপজ্জনক ছিল এই সব ছেলেরাই--যাদের ভাল না বেসে থাকা যায় না, অনেকখাঁন ভালর সঙ্গে একটু নন্দ মেশানো যাদের চাঁরন্। তার ওপর এ আ্ডাটা ঠিক স্কুলেরও নয়_-এটা পাড়ার আন্ডা। শহরতলনর এই সব আধা পাড়াগাঁয়ে পাড়ার ছেলের সখ্যতাটা শহরের চেয়ে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠে । ওর সহপাঠীই বেশশ ছিল ওর বিশেষ দলটিতে--িল্তু ওদের শ্রেণীর এক-আধ শ্রেণী 'ীনগে বা ওপরে পড়ে, এমন ছেলেও ছিল তার মধ্যে। তাতে ঘাঁনম্ঠতা কু আটকায় ন। অত্যন্ত মধুর ছল এদের সঙ্গ ও সাহচর্য । এদের এড়ানো সহজও ছিল না, প্রেয়ও ছল না। সুতরাং বলের এই সব আলোচনা খুব ভাল না লাগলেও তা থেকে দরে সরে যেতে পারে ন। তাছাড়া "**ভাল যে লাগে নন একেবারে, তাও ক হলফ ক'রে বলতে পারে গবমল ? জীবনের এই অন্তরঙ্গ রহস্যময় অথচ গোপন দিকটা সম্বন্ধে মানুষের সহজাত কৌতূহল "ক তারও ছল না যথেষ্ট? আলোচনার মধ্যে মধ্যে ভাষাটা যখন একেবারে ইতর হয়ে উঠত তখনই 'বশ্রী লাগত, কান মাথা ওর ' গরম হয়ে যেত--সমন্ত মুখ যে লাল হয়ে উঠেছে তা সে 'নজেই টের পেত। .মইলে ভালই লাগত বৌক ! এই ভাবেই আরও অনেকের ভাল লেগেছে-_ ৫৭ তারা জেনেছে, অনেক সময়ে অপরকে খু'চিয়ে খুঁচিয়ে জেনেছে--এবং আরও “ভাললাগার' নেশায় সেই জ্ঞানবূক্ষের ফল অন্বেষণ করেছে। সব চেয়ে মজার কথা এই--যারা বিমলদের এই সব 'জ্ঞান” দিত, তারা কা ভাবে এই অভিজ্ঞতা আহরণ করেছে তা সব ক-জনকেই জজ্ঞাসা ক'রে জেনে নয়োছিল বিসল--পরে। সে মূল বিচিত্ত। ওদের পাড়ায় একজন প্রো ভদ্রলোক থাকতেন, হাইকোর্টের কেরাণশ । সম্ভ্রান্ত বংশের ছেলে, লেখাপড়াও কিছ শিখোছলেন, গম্ভীর-প্রকৃতি, সন্তানের ?পিতা । ই'নই নাঁক কিশোর- বয়স্ক ছেলেদের নারাবাল পেলে তাদের এসব কথা শোনাতেন, আকারে ইঙ্গতৈ তাদের সে কথার অথথও বাঁঝয়ে 'দতেন । এটা অবশ্য শুধু জ্ঞান । আঁভজ্ঞতা সণয় করেছে তারা আঁধকাংশই তাদের গুরুজন-স্থানীয় দাদাদের কাছ থেকে--বা দাদার বন্ধুদের কাছ থেকে, যাদের সঙ্গে তাদের বয়সের তফাৎ পাঁচ থেকে পনেরো পযন্ত । এই ইতিহাস সবর্ত--পরে ওপরের ক্লাসে বা কলেজ জশবনেও-যাদের সঙ্গে ওর গিকছ: ঘাঁনষ্ঠতা হয়েছে তাদেরই প্রশ্ন ক'রে জেনেছে বমল। অবশ্য ক্লাসের বন্ধুরাও আছে, এবং হাতে-খাঁড় অনেক জায়গায় ক্লাশ রুমেই হয়েছে এমন ইতিহাস যে একেবারে নেই তা ন্য়_-কিন্তু খুব বেশী নয়। বরং প্রথম আভজ্ঞতার পর তা ঝালাই করা হয়েছে স্কুলের আনাচে কানাচে গকংবা ক্লাসের ভিতরই-_এই ইতিহাসই বেশ, ওর এম. এ" ক্লাসের এক সহপাঠ স্বীকার করোছিল যে যখন সে মাত্র ক্লাস ফাইভ-এ পড়ে, তখনই এক ক্লাস সেভেনের ছেলে তার কাছে এ সম্বন্ধে নিজের আভজ্ঞতা বণনা ক'রে সচেতন ক'রে দিয়োছিল। 1কন্তু সে আপুর কথা ভাবাছল ! আপুকে যে সে পড়াচ্ছে, এবং আপ তাকে কী সম্ভ্রমের চোখে দেখে, এ কথা বন্ধু-সমাজে গল্প করোছল বৈকি! এতথখাঁনি আত্মপ্রসাদ ?ক একা-একা ভোগ করা চলে ! কথা-প্রসঙ্গে নয়, ইচ্ছে ক'রেই সবিদ্তারে গঙ্প করেছে সে বন্ধুদের কাছে । সগবে। তার ফলে ঠান্রা তামাসার অন্ত ছিল না। যেমন বন্ধুসমাজে হয়ে থাকে । কৈউ অভিযোগ করলে ডুবে ডূবে জল খাওয়ার । কেউ বললে, সব ভালো ছেলেদেরই জানা আছে । বরং তারা এককাঠি সরেস। কেউ বললে, গাছে না উঠতেই এক কাঁদ ! সেসব তামাসার আড়ালে ইচ্ছাতুর ঈষাঁর অভাব ছিল না। সে ঈবা উপভোগ করত সেদন বিমল । প্রথম ঠাট্টা-তামাসার ঝোঁকটা কেটে গেলে সবাই জানতে চাইলে পূর্ণ 1ববরণ। ব্যাপারটা কতদূর গাঁড়য়েছে। মোটেই গড়ায় 'ন শুনে কেউ কেউ করলে আঁবমবাস। আ'ধকাংশই হতাশ হ'ল। তারা তাতাতে শুরু করলে, “তুই ক রে? তুই কোনও কাজের 3৮ নোপ্‌! ভোঁদা একেবারে । বোকারাম !? ক্ুমাগতই তাতাত তারা । বিদ্রুপবাণে জজরিত করত । কাপুরুষ বলত !' কমে ক্রমে ওর ছেলেমানুষ মন সেই উসংকানির কাছেই হার মানল। এক নির্জন মুহূর্তে একদিন হঠাৎ আপুকে কাছে টেনে এনে ওর মহখখানা তুলে ধরে চুমো খেলে ! ইস-! সে লঙ্জা, সে গ্লানতে আজও ওর সমন্ত সত্তা রি-রি করে ওঠে। এই রাঁত্রর অন্ধকারে নিঃসঙ্গতার মধ্যেই--আজও তার মাথা ঝাঁবাঁ ক'রে উঠছে, ঘাম দেখা 'দয়েছে সবশরীরে । আপ অবাক হয়ে চেয়োছল। সে 'বস্ময়-ীবহ্ল চাহনি যেন সঙ্গে সঙ্গে ছ:চের মত বধোছল ওকে । আত্মসম্বরণ ক'রে লঙ্জায় মাথা হেট করোছিল। আজও সে চাহাঁন মনে পড়লে লঙ্জা করে ওর । এমন ি-তার অল্পক্ষণ পরে 'জানিসটার পাঁরপ্ণণ অর্থ এবং অনুভাতিটা বোধগম্য হ'তে যে সুখ ও লজ্জায় সে মাথা নুইয়ে ছিল, তার শ্যামবর্ণ মুখেও যে রান্তমাভা ফুটে উঠোছল, আশার অতীত পুরচ্কার লাভের যে কৃতজ্ঞতা ও চাঁরতাথতা প্রকাশ পেয়োছল অধরোষ্ঠের ভঙ্গীতে--তাতেও কোন সান্তনা পায় দিন 'বমল সোঁদন। সেই প্রথম ও সেই শেষ। আপুর দক থেকেও কোন দাবী আসে 'ন ৰলাবাহূল্য । অত উচ্চাশা তার ছিল না। সাধ হয়ত ছল 'কিম্তু বুক ফাটলেও মুখ ফোট-বার মত সাহস তার হয় গন কোন 'দিন। শুধু তার মনোভাব বোধ কাঁর গোপন রইল না-_যখন মাল্ল সতেরো ট দিন টাইফয়েডে ভুগে মারা যাবার পর ওর বই-রাখা কাঠের বাক্সাট থেকে বেরোল. একখানা আধময়লা রুমাল আর একটা ববণ গ্রুপ ছাব। অনেকাঁদন আগে এই রুমালটা হারিয়ে যায় বিমলের, কোথায় ফেলোছল মনে করতে পারে নি কিছুতেই । ছবিটাও বহুদিন আগেকার । ওদের পাড়ার, টম সেবার ক একটা শশজ্ড ফাইনালে জিতোঁছিল, তারই ছাঁব। সেই টীমের সঙ্গে বমলেরও ছাঁব উঠোছল। বহাঁদন আগেকার কথা- রোগা টিংটং-এ, একরাত্ত দিমল, আজ তাকে চেনাও কিন । ছবিটা কোথায় পড়ে ঠছল ধুলোর গাদায়, িমলের মা ঝাঁট দয়ে জঞ্জালের সঙ্গে ফেলে 'দয়োছলেন। বিমল তুলে নয়ে সকৌতুকে আপুকে প্র্ন করেছিল, “বলো ত কোনটা আম? আপু ঠিকই দেখয়োছল 'িন্তু। তারপর হাসতে হাসতে বিমল ছবিটা আবার জঞ্জালের গাদায় ফেলে 'দয়ে চলে যায় । আপ যে কখন সেটা কুড়িয়ে সযততে এনে তুলে রেখেছিল, তা কেউ জানে না। জশবনের সমন্ভ সাধ আহমাদ অপূর্ণ রেখেই- মাত্র চোদ্দ পনেরো বছর বয়সে তাকে বিদায় গনতে হয়োছল এই পাঁথবী থেকে। তার সেই একান্ত অন্ধকার জীবনে ওর এ দুক্কাঁত কি একাঁবন্দ? আলো দিতে পেরোছল ? অথবা গরভীরতর বেদনার কারণ হয়ে বধোছল বুকে । কেজানে! ৫৯. নস্তত্য রাষ্টির দিকষ-কালো আকাশে এ যে তারাগুলো ফুটে আছে, হত ওরই, মধ্যে কোন এক নক্ষত্রের কোন এক গ্রহে সে আবার জন্ম নিয়েছে। হয়ত বা এই গ্রহেই কোন সুদূর দেশে সে জন্মেছে । কিম্বা ীবশ্বের অনন্ত প্রাণ-সমুছ্রে মিশিয়ে গেছে তার ছোট্ট একরাত্ত ভীরু আত্মা-শেষ নিঃ*বাসের “সঙ্গে সঙ্গে । মানুষ দেহাম্তর গ্রহণ করে কি না, তা বিমল জানে না। যদি তা হয়-এ জন্মে যেন সে সুখশ হয়। এমন 'বিড়ম্বিত জীবন যেন তাকে আর ভোগ করতে না হয়! দরের রাজপথে মানুষ ও যানবাহনের কোলাহল 'ষ্তাঁমত হয়ে এসেছে । চমক ভেঙ্গে উঠে পড়ে বিমল । ॥১২ ॥ পযার্ণমা বাড়ীতে ফিরে নিঃ*বাস নেবার অবসর পায় না। মা একট 'িরন্ত- কণ্ঠেই বলেন, 'আঁপসে ত ছাট হয়েছে কখন? এত রাত পর্যন্ত কোথায় থাকিস আজ কাল ?2 শেষে একটা কেলেগ্কারাঁ করবি নাকি 2 ঝকমারাঁ হয়েছিল তোমাকে চাকর করতে দেওয়া |; বাবা হাঁপাতে হাঁপাতে বলেন, চাকর আর করতে যেতে হবে না ওকে। অফিস ছাড়িয়ে নাও। আমাদের অদৃষ্টে বা আছে হবে।, আঁভযোগটা নতুন নয়,_ কিন্তু ঝাঁজটা নতুন। পর্ণমা একটু অবাক হয়ে যায়। অবশ্য আসল কথাটাও জানতে বোশ দোঁর হয় না। বাবার হাঁপান?টা বেড়েছে। বুকে-পিঠে একটা ব্যথা কাঁদনই টের পাচ্ছিলেন, তার-ওপর এই হাঁপানী-ভয়ানক কষ্ট পাচ্ছেন। মা যথাসময়ে উনুনে আঁচ গিয়োছলেন কিন্তু তারপর আর বাবাকে ছেড়ে উঠতে পারেন 'ন। এতক্ষণ ধরে বুকে তেল মাঁলশ ক'রে একটু সুস্থ করেছেন বটে কিন্তু ছেড়ে যাওয়ার মত এখনও হয় ন। বিশেষত হাঁপানী বাড়লে ত ওর বাবা একেবারে ছেলেমানষ হয়ে পড়েন, গকছুতেই মাকে কাছছাড়া করতে চান না। মা একট. যেন কুণ্ঠিত ভাবেই বললেন, তার ওপর আজ আবার ঝি আসে নি । বাসন-কোসন এখনও সব পড়ে ।” অথাৎ সোনায় সোহাগা ! িম্তু এ-ও নতুন নয়। 'দনরাতের লোক রাখার ক্ষমতা নেই, ঠিকে ঝি একটি আছে, সে বাসন মেজে আর ঘর-বারান্দা মুছে দয়ে যায় । কিন্তু মাসে অন্তত চারাঁদন কামাই সে করবেই ! তাড়ানোও যায় না-_কারণ বহুদনের লোক বলেই আজও সে চার টাকা মাইনেতে কাজ করছে, তাকে তাড়ালে আট টাকার কম কাউকে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। ওপর তলায় যে বি কাজ করে সে শুধু বাসন মেজে দিয়ে যায়--সাত টাকায় ! অত টাকা দেবার ক্ষমতা তাদের নেই । ৬০ দীর্ঘানঃ্যাস ফেলে পৃরিমা বলে, “গাদা বাসনগুলো অন্তত মালুকে 1দয়ে মাঁজিয়ে নিতে পারো নি মা! ' “তবেই হয়েছে 1, মা বলে ওঠেন, 'যেখানকার ঘা তেল ময়লা ঠিক লেগে থাকত, উল্টে তার সঙ্গে জাঁড়য়ে ধরত ছাই মাটি । একটা চায়ের পেয়ালা ধুতে পারে না--তার বাসন !, বরান্ততে হু কুচকে ওঠে পাঁণিমার । পারে না বলে কি কোন কালে শিখবে না! ওকে এমন ক'রে তুম তৈরণ করছো যেন কোনও কালে ওর নিজের ঘর-সংসার হবে না !! তৈরী আর ক ক'রে করব বাছা তাও জান না! মা-ও বিরন্ত হয়ে ওঠেন একট, “বুড়ো বয়সে মারধোর করব 2 এই ত তোমার পেছনেও ত কম ণটকাটক কার না। তুমিই কি এখনও গছয়ে কাজ করতে শখেছো £ তোমাদের হে-সেলের ধারে-কাছে যেতে দিতেই ত আমার ভয় করে। না আছে এ-টো-কাঁটার বিচার, না আছে কোন হিসেব । এলো-পাতাড় কাজ। নেহা দায়ে পড়েই যেতে দিতে হয় !। কী একটা উত্তর দিতে 'গয়েও সামলে নেয় পশরর্ণমা । প্রাণপণে 'বিরান্তটা দমন ক'রে এ-ঘরে এসে আঁফসের জামা কাপড় ছাড়ে । মাঠে বসার ফলে মাটির দাগ হয়েছে শাড়ীতে_ অথচ এখনও তিনটি দিন চালাতে হবে । ভাল শাড়ী ওর এত কম যখন, তখন অত কাব্যি করা ঠিক হয় নি। মা*রই একখানা তেল-চিট:চিটে ছেস্ডা কাপড় জড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বাসন মাজতে বসে পূর্ণিমা | উনুনে দুবার কয়লা দেওয়া হয়ে গেছে_ এর পর রান্না আর হ'তেই চাইবে না। কলতলা থেকেই ছোট বোনকে হে*কে বলে, মাল. ততক্ষণ একটা কাজ করাব, হাত ধুয়ে একট: ডাল চাপিয়ে দিব? ততক্ষণ ফুটতে থাক: । তারপর আমি গিয়ে নামিয়ে চা ক'রে দেব !? মালু ঝক্কার 'দিয়ে উঠল, 'বাবা রে বাবা । এবাড়ীতে লেখাপড়া করবার কোন উপায় নেই । কেন যে চেস্টা কার তাওজান না! প্যর্ণমার কণ্ঠস্বর 'তন্ত হয়ে ওঠে, দ্যাখ মাল, আঁদখ্তা করিস [ন। লেখাপড়া আমরাও করেছি, ভাল ক'রেই করেছি। সাধারণ একটু আধট: ফায় ফরমাশ খাটলে তার কোন ক্ষাঁত হয় না। আমরা কি কখনও কিছ: কারন ?, মালুও সমান ঝাঁজের সঙ্গে জবাব দেয়, “তোমাদের এত ফায় ফরমাস খাটতে হয় গন-_তখনও বোৌঁদ ছিল ।, সে দুম দুম ক'রে পা ফেলে রান্নাঘরে গিয়ে ঢোকে । কলঘরের দশ বাতির আলোয় ব'সে বাসন মাজতে মাজতে রাগে গজরায় পার্ণমা, “সা যা তৈরধ করছেন ছোট মেয়েকে, টের পাবেন এর পর ! আমার ক ? আমি কি আর চিরকালই এইখানে পড়ে থাকব ? সব চেয়ে বিপদ হয়েছে এই যে-_অবস্থা চিরাঁদনই ওদের এত খারাপ ছিল না। বাবা সরকারী চাকার করতেন, তখনকার দিনের হিসাবে মাইনেও খুব ৬৯. -কম ছিল না। গত লড়াই বাধবার পরেই পেন্‌সন নিতে হ'ল । সে পেনসনও পুরো রাখা গেল না, ওর 'দাঁদর বয়ে বাকী ছিল, অনেকখাঁন পেন্সন বাক ক'রে তার বিয়ে দেওয়া হ'ল । আয় কমে গিয়ে ভগ্নাংশে দাঁড়াল, অথচ ব্যয় ' বেড়ে গেল হহু ক'রে । ভরসার মধ্যে ছিল দাদা-সে-ও সরকারা চাকরী পেয়োছল কিন্তু মা আর একটি ভুল ক'রে বসলেন। বড় মেয়ে চলে গেল, হাতের কাজ এগয়ে দেবার লোক চাই--এই বায়নাতে ছেলের বয়ে দিলেন। কাজ তার দ্বারা গিকছুই হ'ল না, বিয়ের পর বোঝা গেল যে কম ক'রেও তার সাত রকমের অসুখ আছে, মাসের মধ্যে বাইশ দিনই সে থাকে অপুস্থ। সাতটার আগে তার ঘুম ভাঙ্গে না_-শালীনতার দোহাই "দিয়েও পাঁণমার দাদা স্তীর সে অভ্যাস ছাড়াতে পারে ীন। তাছাড়া কাজকর্ম সে গকছ: জানতও না, শেখবারও ইচ্ছা ছিল না। তব িছাীদন সময় পেলে কী হত বলা যায় না। কিন্তু বিবাহের বছর- খানেকের মধ্যেই তার মেয়ে হয়ে গেল । রুগ্ন কাঁদুনে মেয়ে । তাকে দেখতেই অবসর পেত না বৌদি, কাজ কর্ম করার সময় কৈ ? আর সেই যে শুর হ'ল- ' চার বছরে তিনাঁট। অভাব বেড়ে গিয়েছিল তার ভেতর অনেক । খরচ-পন্র য়ে দাদার সঙ্গে মায়ের খেচাখোঁচও বেড়ে চলল সেই অনুপাতে । অবশেষে একদিন শোনা গেল দাদা *বশহুরবাড়াঁর কাছাকাছি কোথায় যেন ঘর ভাড়া করেছে। দিন-কতক পরে সাঁত্যই চলে গেল-_স্বী-পনন্র-কন্যা-মালপন্র নিয়ে । তখন এদের আয়ের মধ্যে ওপর-তলার ভাড়া বাবদ ভ্রিশাট টাকা । আর বাবার পেনসন সাতচীল্লশ ।॥ ভাড়াটে বহুকালের_াঁদত পশচশ, বেড়ে 'ত্রশ করেছে । তার চেয়ে বাড়ানো সম্ভব নয়। তুলতে গেলে নালিশ মকদ্দমা করতে হয়-সে খরচ দেবে কে? তাছাড়া কীরকম ভাড়াটে আসবে কে জানে । সে ও যে ভাড়া দেবে ঠিক-মত, তারই বা 'িনশ্যয়তা কি? চক্ষুলঙ্জাও আছে একটু । আত্মীয়ের মত হয়ে গেছেন ও*রা। তবু পোত্রক এই বাড়ীটুকু ছিল শশীবাবুর তাই রক্ষা-নইলে কাঁ যে হ্ত। বাড়ীতে চুনকাম করবার খরচ জোটে না, ভাড়া ক'রে থাকতে হ'লে হয়ত আত্মহত্যা করতে হ'ত। সেই সময়ই' পীর্ণমাকে কলেজের মায়া কাটিয়ে চাকরিতে ঢকতে হ'ল । ছোট বোন আছে, ছোট ভাই আছে । ওর মাইনে যোগ করলেও ডাল-ভাত জোটা কঠিন। তব ত ওর এক কাকা আছেন দিল্লীতে, তান ওদের ইস্কুলের .মাইনে বই খাতা বাবদ ?কছ? কিছ পাঠান-_মধ্যে মধ্যে । বাসন মেজে গাদা ক'রে রেখে এসে কাপড় কাচতে কাচতে ডাল-পোড়া গন্ধ এল নাকে । 'ভজে কাপড়টাই কোনমতে গায়ে জাঁড়য়ে রান্নাঘরে ছুটল পার্ণমা। সেখানে 'গয়ে কান্ড দেখে পাণণমার চক্ষু স্থির । প্রায় জন- দশেকের খাবার মত ভাল চাঁড়য়েছে মাল, ফলে একরাত্ কড়ায় বেশী জল 'ক্দেওয়া যায় গন, সে জল শএকয়ে সমস্ত ভাল পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে । ততক্ষণে গন্ধ পেয়ে মা-ওঃছুটে এসেছেন । তান 'কন্তু সমস্ত ঘটনাটার «৬৯ জন্য পার্ণিমাকেই দায়ী করলেন । মালু কখনও করে 'ন, তার কি দোষ। পার্ণমা তাকে বলতেই বা গেল কেন, আর বললেও-_-কতটা ডাল চাপাবে ব'লে দেওয়া উচিত ছিল । প্ণমার যেন কান্না পেতে লাগল । মা'র এই পক্ষপাতিত্বের ( অন্তত পার্ণমার তাই বিশ্বাস ) কোন জবাব দিতে তার রুচি রইলনা। সে নিঃশব্দে খুন্তির ডগা দিয়ে পোড়া ডালগুলো চেচে চে-চে ফেলে দিয়ে আবার নতুন ক'রে ডাল চাঁপরে ঘরে গেল কাপড় ছাড়তে । তারপর কমের নিরম্ধ নিরবসর । চা করতে হ'ল। বাবা রাত ন-টার পর খান না কিছুতেই । আগে তাঁর রুট ক'রে দুধ জাল 'দয়ে গদতে হ'ল । বাকী গৃহস্থর একটা তরকারী আছে, রুটি আছে, ভাত আছে । মা ভাত খান-_বাকণ সকলে রুটি । অবশ্য শেষের দিকে মা এসে পড়লেন 'কন্তু পাঁণ্মার মনে হ'ল-- না এলেই বোধ হয় ভাল হ'ত । এসে পর্যন্তই গজ গজ করতে লাগলেন ; আটা মাখতে গিয়ে নাক সে আটা ছাড়িয়েছে চারাদকে । তেলের বোয়েম থেকে পলা ড্হাবয়ে তেল না নিয়ে কাৎ ক'রে ঢেলে [নয়েছে, তারপর বোয়েমের গা-্টা মুছে নেয় ন-_গা বেয়ে তেল গাঁড়য়ে তাকটা-ময় তেল হয়েছে । কুট্‌নো কুটে বশটতে খোসাতে আনাজে একাকার ক'রে ফেলে রেখেছে । জলের কলসাঁতে চাপা দেয়নি- বাটনার রেকাবীটা সকঁড় ক'রে বসে আছে-_এমনি সহস্র অকমণ্যতার নজশর। “অতবড় মেয়ে-_একটা কাজ যাঁদ গ্ছয়ে করতে পারে ।***ছোট বোনকে বকবার সময় ত খুব আছ ! 'নজে ত কত কাজের লোক! অন্যদিন হ'লে রাগারাগি করত প্ার্ণমা। সামনে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করত- তেজ দেখাত । বলত যে, জন্যেই তো তোমার কাজ করতে চাইনা । করোঁছ এই কত না। বলত ষে, মানুষে করতে করতেই শেখে । তুমি করতে দাওনা বলেই তো এই কাণ্ড ।, কিন্তু কে জানে কেন আজ 'নঃশব্দে শুনে গেল--একটি প্রাতিবাদ পর্যন্ত করলে না। মাকে খেতে দিয়ে নিজের খাবার ঢাকা 'দিয়ে রেখে যখন রান্নাঘর ধুতে 'শুরু করলে, তখন মা 'বাঁস্মত হ'য়ে প্র*্ন করলেন, “কৈ তুই খোঁল না? এইবার প্রথম মুখ খুললে পহাঁণণমা, “আমও ত মানৃষ মা! মানুষ কেন-_গাধাকেও বিশ্রাম করতে 'দতে হয়। আঁফস থেকে এসেই জুতোঁছ তোমাদের ঘাঁনগাছে, এখন একট; হাঁফ ছাড়তে দাও । এ অবস্থায় কি কু মুখে রোচে !, মা জবাব দলেন, এই ঘাঁনগাছে আমরা িরাঁদনই জৃতে আছ মা বশ্রামের কথা মুখেও আনতে পাঁর নি। তোমরাও কোনাদন ভাবো নি। উন ত ভাবেই নি! “তোমার দুপুর ছিল মা। দুপুরে ঘুমোতে পেতে, আমাদের মত অফিস “করতে হতনা ।, ৬৩ “তুমিই বা আজ সকালে কি কাজ করেছ মা? কিন্তু তাও নয়--। দুপুর' ত তুমি আজ দেখছ । ষোল বছরের মেয়ে এ বাড়াঁতে এসেছি । নিঃ*বাস ফেলবার অবকাশ পাই নি তারপর থেকেই । দুপুর বেলা অবসর মিলত বটে কিন্তু শোবার হুকুম ছিল না--ব'সে বসে 'দিদিশাশুড়ীকে রামায়ণ শোনাতে হ'ত। নয়ত 'পসশাশুড়ীর পাকা চুল তোলা 'ছিল। আমাদের কাঁচা বয়স, কাজেই বিশ্রাম করার দরকার কি ? তবে সে প্রথম দু-বছর। তারপরই কোলে ছেলে এসেছে । তোমার যে 'দাঁদ মারা গেছে সেই 'দাদ- শুধু সে কেন আমার সব ছেলেমেয়েই, তোমরাই ি কম ? কেউ দুপুরে ঘুমোতে না। অথচ পাছে শাশুড়ীদের ঘুম ভাঙ্গে সেই জন্যে সারা দুপুর তোমাদের কোলে ক'রে ক'রে ঘুরতে হ'ত। এধারে সারা দুপুর ঘুমোতে না--সন্ধ্যা হ'লেই সব অন্দ্রান হয়ে পড়তে ঘৃমে । ওরা ভার খুশী হতেন। মেজ বৌমার ছেলেপুলেরা খুব লক্ষয়ী, সকাল সকাল ঘহাময়ে পড়ে-বৌমা একট: কাজ পায়। সে সময় যাঁদ একট ছাট পেতুম ত হ'ত-কন্তু সে সময় ছুটির কথা ভাবাই যায় না। তখন রান্নাবাড়া শুরু হ'য়ে যেত-_-একান্নবতর্ঁ সংসার, এক এক বেলায় চাঁল্পশখানা পাতা পড়ত ছেলে বুড়ো 'মালয়ে। সব সেরে শুতে আসতাম রাত বারোটা সাড়ে বারোটা, ঠিক তনটেতে ছেলেমেয়েরা উঠে পড়ত । সব ক-ট সমান ছল আমার । যখন যে কোলে থাকত তারই এ দস্তুর। তখন তাকে ভোলাতে হ'ত, খেতে দিতে হ'ত । তারপর নিয়ে পায়চারী করো, নইলে ওর ঘৃম হবে না। সারাঁদন খেটেখুটে এসেছেন আস থেকে, রাতেও যাঁদ ঘুম না হয় ত বাঁচবেন কি ক'রে । আমরা বাঁচব ক ক'রে সেখোঁজ কেউ কখনও নেয় নিমা। আর বেচেও ত আছি, সোঁদন যাঁদ মরতুম ত শান্ত হ'ত। বুড়ো বয়স পর্যন্ত এই লাঞ্চনা সইতে হ'ত না।'"*একাঁদন একবেলা করতে হয়েছে তাতেই ত মুখনাড়া দিচ্ছ । তাও কি বসে ছিল?ম ? এক 'নিঃ*বাসে কথাগুলো বলে মা আবার ভাতের গ্রাস মুখে তুললেন । শেষের ?দকে তাঁর কণ্ঠস্বর গাঢ় হ"য়ে এসৌছল, বহহাঁদনের ভূলে বাওয়া ব্যথার সমুদ্রে জোয়ার জেগেছে তাঁর। ডালমাখা ভাতও হয়ে এসেছে ঠাণ্ডা । তান হাত গুটিয়ে বাঁহাতে জলের ঘাঁটটা মুখে তুললেন। চোখের নিমেষে তাঁর সেই বাঁহাতটা চেপে ধরে পীর্ণমা বললে, “আমার অন্যায় হয়েছে মা, ও কথাটা বলা । তুমি কিন্তু ভাত ফেলে উঠতে পারবে না।; মা 'বাস্মত হ'লেন। এ যেন নতুন কোন পৃর্ণিমা। ভালও লাগল খুব, গস্নস্ধ কোমল কণ্ঠে বললেন, 'আর ভাল লাগছে না রে! “না, তাহবেনা। আজ আমি রে'ধোছ, তুমি যাঁদ ভাত ফেলে উঠে যাও ত বুঝব রাধা ভাল হয় নি।” “তবে তুইও খাবারটা নিয়ে বোস । গঞ্প করতে করতে খাওয়া াক্‌-_ “দোহাই মা। জানোই ত রান্না করলে গানা ধুয়ে আমি কিছু খেতে পার না। খাধ আম ঠিক--এখন এমনিই বসে গঙ্গ করাছ।, ৬5 মা'র খাওয়া হ'লে রাল্াঘরের সব কাজ শেষ ক'রে সত্যিই গা ধূতে গেল পৃণিমা, কিন্তু তারপরও খেতে ইচ্ছা করল না। মা শুয়ে পড়েছেন, সবাই ঘুমিয়েছে। চারদিক নিম্ভষ্ধ নিঃঝুম। বোধহয় এগারোটা বাজে । সে যতটা সম্ভব নঃশব্দে রাল্লাঘরের দরজার শেকলটা তুলে 'দিয়ে ছাদে চলে গেল। অনেকাঁদন পরে ছাদে উঠল ও। ওদের ত ছাদে ওঠাই হয়না । ভাড়াটেরাই ভোগ করে । তারা দোতলায় থাকে । কোন বাধা নেই তাদের। ওদের আসতে হয় ভাড়াটে পোরয়ে, দিনের বেলা আসতে তাই ভাল লাগে না। মা কিছ শুকোতে দতে বা বাঁড় দিতে ওঠেন বটে মধ্যে মধ্যে--পযী্ণমা কিন্তু কখনও-কোনাঁদন এলে রানেই আসে! ভাড়াটেরা তাদের ?গসশড়র দোর বন্ধ করলে সখড়টা আলাদাই হ'য়ে যায় । আ! ছাদটা যা নোংরা ক'রে রেখেছে। অধেকটা ছাদ জুড়ে গুল [দিয়েছে । আর একট: হ'লে গুলের ওপরই পা তুলে দিত পযীর্ণমা। কোন মতে এক পাশ দিয়ে আলসের ধারে এসে দাঁড়াল সে। পাড়ায় আধকাংশ আলোই নভে এসেছে । রাস্তার আলো শহরতলণর গাছ-পালা ছাঁপয়ে ওপরে ওঠে না। অল্প একটা আবছা আলো মান্র আছে-_সেটা কতটা পথের আলোর প্রাতফল্ন আর কতটা নক্ষত্র, তা ঠিক ক'রে বলা কষ্িিন। তবু-ভারী আরাম বোধহয় পৃর্ণিমার । 'িরাঁঝরে ঠাণ্ডা বাতাস আর এই অন্ধকার । তার চেয়েও বড় কথা এই নিঃসঙ্গ অবসর--এইটেই যেন পরম উপভোগ্য । একটু আগেকার কথাগুলো মনে পড়ল-এলোমেলো ভাবনার মধো ॥ বোনের কথা, নিজের কথা, মা'র কথা । আর--আর বলের কথাও । ভাবতে ভাবতে মন ঘুরে ফিরে পেশীছল ?বমলের কাছেই । ক-দন আগেই ত সে বলাছল। বলাছল, “এই ত শিক্ষা পায় আমাদের দেশের মেয়েরা । লেখাপড়া শেখার অহঙ্কারে রাল্নাভাঁড়ারের 'ত্রি-সীমানায় ঘেষে না-_ সংসারের খবর রাখা যেন স্কুল-কলেজের মেয়েদের কাছে বড় লজ্জার । অথচ সব কাজ এাঁড়য়ে যে শিক্ষা হয় তার ক মূল্য, তা ত কাধর্্ষেত্রে এসেই বোঝা যায়। আ'ফসের কাজেরও পক কোন যোগ্যতা অর্জন করে মেয়েরা 2 একট5ও না। তাছাড়া-__এই অযোগ্যতা বুঝেই হোক বা 'নাশ্চন্ত-নিরাপদে পরের পয়সায় বসে খাওয়ার লোভেই হোক, আঁধকাংশ মেয়েরই মন ঝুঁকে থাকে বিয়ের দিকে । আর বিয়ের পর ক-টা মেয়ে চাকার রাখে তাও ত দেখতেই পাচ্ছেন 1, জয়ন্তী বাধা 'দিয়ে বলোছিল, কেন আণমাঁদ, গীতাঁদ, এরা ?, বাঁ-হাতটা তুলে থামাবার হীঙ্গত ক'রে বিমল উত্তর দিয়েছিল, “আপনাদের আঁণমাদি বিয়ের পরে চাকরীতে ঢুকেছেন, সংসারের টানাটানি দেখে । আর গীতা ঘোষের দ্রাজোড ত জানেনই । স্পোর্টসম্যান: স্বামী খেলায় পা ভেঙ্গে এল বিয়ের এক মাসের মধ্যে । তখন ডান ছুট নিয়ে বসে ছিলেন, চাকরি ৬৫ গজেন্দ্রকুমার মিত্র রচনাবলী (৬ষ্ঠ)--& ছেড়ে দেবার ভূমিকা হিসেবে । স্বামীর পা ফ়্যাম্পুট্‌ ক'রে বাদ দিতে হ'ল দেখেই না ছাাঁটর পর আবার উন আঁফসে এসে ঢুকলেন 1." না মিস: চৌধুরী, বিবাহিতা মেয়েরা দায়ে না পড়ে চাকার করে খুব কম। শতকরা দুজন হবে কিনা সন্দেহ।*নেহাৎ খুব ভাল চাকার হ'লে কে থাকে । কংবা যেসব মাহলারা বুড়ো বয়সে "বয়ে করেন তাঁরা থাকেন। কারণ তখন ঢাকারটা হ্যাবিট; হয়ে যায় । : অথচ দেখুন এই যে এরা বিয়ে করেন, বী শিক্ষা 'নয়ে এ*রা ঘর করতে যান? না জানেন গৃহঙ্থালশী গুছোতে, না জানেন 1হসেব ক'রে চার দিকে চোখ রেখে সংসার করতে-_না শেখেন ছেলে মানুষ করতে । মাপ করবেন আপনারা--স্বামী 'ববাহ না ক'রে রাঁক্ষতার কাছে গেলে যেটুকু পেতেন ততটা যত্বও পান না স্ত্রীর কাছ থেকে । কারণ তাদের পুরুষকে ধ'রে রাখতে হয় চেত্টা ক'রে, সেখানে শোঁথল্য করলে চলে না। এরাসে দায়ে গনশ্চন্ত ! পাঁচীসকে জোড়ার ফুলের মালার বাঁধন 'ছখ্ড়ে যাবার জো ক ? অন্তত ভদ্রসমাজে | 170106, 9%/০০% [70186 কী শুধু ইংরেজেরই স্বপ্ন ? পৃঁথবীর সব পুরুষেরই স্বপ্ন-কজ্পনা হ'ল শান্তি ও আরামের একটি নীড়__ ধরণীর এককোণে ০05 ০01৩7 একটি । গকন্তু দিনের পর দন দেখাঁছ সে 'স্বগ্ন কী নিষ্ঠুর ভাবেই না ভেঙ্গে যাচ্ছে! কারণ যাদের "দিয়ে ঘর বাঁধার কথা--তাঁরা আজ আর গহন নন, তাঁরা আজ শুধু) আর বলতে পারে নি বমল । হয়ত শব্দ খুঁজে পায় গন বলেই । সোঁদন ওরা সবাই রাগ করেছিল । জয়ন্তী িমল সম্বন্ধে আড়ালে মন্তব্য করেছিল “8৫০ 1 কিন্তু আজ প্ার্ণমার মনে হ'ল যে হয়ত িমলের কথাই ঠিক। ওর বোন যে কাণ্ড করলে সেটাকে ছেলেমানূষের আনাড়ীত্ব ব'লে উীঁড়য়ে দলেও জের ভেতরই যে িমলের উীন্তর সমর্থন পাচ্ছে। মা ওর প্রীত কাজে খত ধরেন বলে এতকাল ও রাগ করত কিন্তু আজ মনে মনে স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে তান 'ছে কথা বলেন না। মাযে ঘুটিগুলো দেখান সেগুলো সাঁত্যকারের তুটিই। সেগুলো না হওয়াই 'যাঞ্চনায় ।** ঠান্ডা বাতাসে ওর সমস্ত শরীর যেন একটা তন্দ্রার শোঁথল্য লাগ্ে। দেহের সঙ্গে চন্তাও আসে শাথল হয়ে, খেই হারিয়ে যায় ভাবনার । তখন ক ক'রে যেন মনটা ব বা ছেড়ে ব্যান্ততে এসে পেশীছয়। মনে হয় অন্ভুত মানুষ । আজও যেন ৩" পাওয়া গেল না লোকটার । অথচ--অথচ-কেন কে গানে কী একটা অন্ত আকর্ষণও অনুভব করে সে_দিনেরাতের নাণা “জর ফাঁকে কাঁকে বার বার 'াবমলের কথাটাই মনে পড়ে । যেন এক পু৮ণ্ড বক্ষ ভ সবর্দা ওর ভেতরে জবলছ, সামান্য মান্ত আঘাতেই সে হাগুল পে য় আসে বার বার। তার বাঁজ এক এক সময় অসহ্য লাগে । তবু কৌঙহপ তেই যায় লোকটার সম্বন্ধে । আগুনের আস্বাদেও লোভ হয় খ:ঝ। তে জনে কোন মেয়ে কোনাদন ওকে সখী ৬৬ করতে পারবে ?ক না !.”"সেই মেয়ের জায়গায় কোন্‌ এক দুর্বল মুহৃতে গনজেকেই কল্পনা ক'রে বসে সে । তারপর চমক ভেঙ্গে নিজেই লাঁজ্জত হয়-- ব্ীঝ বা সেই অন্ধকারেই রাঙা হয়ে ওঠে। রাত গভীর হয়ে এসেছে । শহরের কলরব কখন একেবারেই নিস্তব্ধ হয়ে গেছে তা সে লক্ষ্য করে ন। তাড়াতাঁড় 'নচে নেমে যায় পার্ণমা। 1১৩ ॥ সে কী একটা ছুটির দন । খবরের কাগজ শেষ ক'রে বিমল ঝসে ি-ষেন ভাবাছল--পুলক এসে বললে, “আমাকে এই অজ্কটা একটু বৃঝয়ে দেবেন ণবমল দা ?” অঙ্ক! পুলক অঙক শখবে ! 1বমল ত অবাক! বেশ খানিকক্ষণ হতভম্ব হয়ে চেয়ে ছিল 'বমল ওর মুখের দিকে । সে চাহাঁনর অর্থ বুঝতে পুলকের দোর হয় ন। ওর সৃগৌর মুখখানা লাল হ"য়ে উঠেছিল লঙ্জায়। মাথা নিচু ক'রে বলোছল, আম এখন একটু একটু পড়াশুনা করাছ বমলদা । দেখলুম অন্তত আঁকাটা একট: ভাল ক'রে না জানলে দকছৃতেই কাজে উন্নতি হবে না।” তুই ?ক পরীক্ষা দাব 2 অনেকক্ষণ, পরে কণ্ঠস্বর খুঁজে পেয়োছল 1বমল। “দোখ সে পরের কথা । কিন্তু অগ্কটা ভাল ক'রে 'শিখতেই হবে ।” তবুও মলের বিস্ময় সোঁদন সহজে কাটে 'ন। কাটবার কথাও নয় । পুলকরা ওদের বাড়াতেই দুখানা ঘরে ভাড়া থাকত । পুলকের বাবার বেশী বয়স নয় কিন্তু অশ্পবয়সে বিয়ে হওয়ায় অনেকগাল ছেলেমেয়ে হয়ে গেছে । 'বরাট সংসার, আয় কম--আঁধকাংশ িম্ন-মধ্যাবত্তের যে অবস্থা । তার ওপর ওর বাবা আঁভলাষ বাবু একেবারেই লেখাপড়া শেখেন 'ন- ব্যাঙ্কে চাকরী করলেও কাজটা উ*চুদরের নয় | আভলাষ বাবু 'নাজে লেখাপড়া শেখেন 'ন বলেই বোধ হয় ছেলেকে শেখাবার জন্য প্রাণান্ত করেছিলেন । আঁভলাষ বাবুর বড় সম্বম্ধী মোটা মাইনের চাকরী করেন-তাঁন মাঝে মাঝে কছু পাঠান ভাঞ্নে-ভাগ্নার লেখা- পড়া বাবদ, ভদ্রলোক শত অভাবেও সে টাকা কখনও ছোঁন: না। ওটা ওদের লেখাপড়ার জন্যই খরচ হয়। দুঃখের কথা এই যে-বড় ছেলে পূলকাঁট একেবারেই সোঁদন গেল না। ওধারে ধর-পাকড় ক'রে কোনমতে ক্লাস- 'প্রোমাশন পাচ্ছিল, ক্লাস এইটতএ এসে একেবারে আটকে গেল। হেড্‌ চে ৬৭ মাষ্টার বললেন, “নাইন মানে ম্যাট্রিক ক্লাস, এখানে আম একটু দেখে শুনেই তুলব ।' প্রথমবার ফেল ক'রে সুবোধ বালকের মত এ ক্লাসেই টিকে ছিল আর এক বছর । আরও একবার যখন আটকাল তখন সহজেই আশা করেছিল যে এইবার তার এ যন্ত্রণা থেকে অব্যাহাত মিলবে । কিন্তু অভিলাষ বাবু সে ধার দিয়েই গেলেন না। তান কড়া হুকুম জার করলেন, “লেখাপড়া ছাড়তে আম দেব না। ইস্কুল ছেড়ে দাগা-যাঁড় হ'য়ে ঘুরে বেড়ানো চলবে না। ফের পড়ো একবছর 1; মা ছেলের শুকনো মুখ দেখে প্রস্তাব করলেন, “অন্য ইস্কুলে দিলে হ'ত নাঃ ওর সঙ্গীরা সব টপাটপ উঠে গেল আর ও-_এ ইস্কুলেই থেকে গেল সেই এক কেলাসে । ওর লঙ্জা করছে বোধ হয় !; “অত লঙ্জা যাঁদ ত মন দিয়ে পড়লেই পারে । আজকাল ভাল ছেলেদেরই কোথাও ভার্ত করা যায় না-ফেল ছেলে কোথায় ভর্তি করব? তা ছাড়া আবার বাড়াঁত খরচা । ওসব হবে টবে না-॥ এর পর দুবশদ্ধমান ছেলে-মান্রই যা করে পুলকও তাই করলে । একদিন বাড়ী থেকে বাড়াত একাট হাফ প্যান্ট এবং পাঁচটি মাত্র টাকা সম্বল ক'রে পালাল। মা হা-হুতাশ করলেন, কান্নাকাটি করলেন । কেউ কেউ পরামশ* দিলেন খবরের কাগজে 'বজ্ঞাপন দিতে । আভলাষ বাবু 1কন্তু অটল, “অত পয়সা কোথায় আমার 2 যা গুণের ছেলে তার জন্যে আবার বিজ্ঞাপন । পড়,.শুনো করলে না, মানুষ হ'ল না-সে ছেলে ঘরে থেকেই বাকি হবে। পারে রোজগার ক'রে খাক গে ॥ যাই হোক--মগভলাষ বাবুর আশা বা মা'র আশঙ্কা কোনটাই সফল হ'ল না। মাস-দশেক পরে পুলক আবার বাড়ীতে ফিরে এল । এর ভেতর কিন্তু ওর পাঁরবর্তন হয়েছে ঢের । ছেলেটা বরাবরই সংত্রী। উজ্জ্বল গৌর বর্ণ এবং লম্বা ছিপাঁছপে চেহারা ছিল ৷ এবার দেখা গেল যেন আরও ঢ্যাঙা হয়েছে এবং ক-মাসে 'কছু মাংসও লেগেছে গায়ে । ফলে আগের চেয়েও সুন্দর দেখাচ্ছে । টের কাটতে শদতেন না আভলাষ বাবু, এখন 'ববনা বাধায় ফ্্যালবার্ট শোভা পাচ্ছে মাথার আগে । হাফ প্যান্ট: ছেড়ে পাজামা ধরেছে--সঙ্গে একটা স্যটকেস এসেছে তাতে কিছু জামা কাপড়। অথাৎ কিছু যে রোজগার করেছে দতমধ্যে তাতে কোন সন্দেহ নেই | ইতিহাসটা কি 2 সবাই কৌতূহলণ হ'য়ে ঘরে ধরল । আঁভলাষ বাব: অ.ত্মসম্মাণে আঘাত লাগবার ভয়ে নিজে কোন প্রশ্ন করলেন না বটে ণকল্তু তাঁরও কান খাড়া রইল । সব ছেলেরাই আজকাল যা স্বপ্ন দেখে- পুলকেরও সেই স্বপ্নই ছিল, শচন্রাভিনেতা হ'বার। বাংলার চেয়ে বোম্বের বাজার ভাল--এ খবরটা সে পেয়েছিল সকলকার কাছেই । সুতরাং সোজা হাওড়াতে গিয়ে বোম্বের: ৬৮ 'াড়ীতেই চেপে বসেছিল । সম্বল মোটে পাঁচ টাকা, কাজেই 1টিকট ?নয়ে মাথা 'ঘামানো সম্ভব ছিল না-_ ইচ্ছাও ছল না বোধ হয়। বার দুই-তিন চেকারের হাতে ধরাও পড়োছিল, প্রায় বালক দেখে তাঁরা বিশেষ কিছুই বলেন ান, শুধু নামিয়ে দিয়ৌোছলেন। পুলকও আবার অন্যাদক 'দয়ে ঘুরে গিয়ে অন্য কামরায় উঠোছল । একবার শুধু 'নঙ্গের একটু অন্যমনস্কতার ফলে একই চেকারের হাতে অজপক্ষণের মধ্যে দৃ-বার ধরা প'ড়ে একটা গলাধাকা ও গাঁটা খেয়োছল। কিন্তু সে কিছ নয় । বোম্বে ত পেখছল 1 কোন জানাশুনো লোক নেই, কোন আশ্রয়ও নেই । দুটোতিনটে দিন সম্পূর্ণ পথে পথেই কাটল । সামানা কিছ জলযোগ ক'রে নেয় আর টো টো ক'রে ঘোরে। কিন্তু কোথায় সেই স্বপ্নে-দেখা সুখ-্বর্গ 2 সে যে এত সুদূর, সেখানের গণ্ডী পার হওয়া যে এত কঠিন তা তকেউ তাকে বলে দেয় নি। প্রথমত ঢোকা যায় না-_যাঁদ বা লহাকয়ে চুরিয়ে কৌশল ক'রে ঢোকে_বোরয়ে আসতে হয় অল্পক্ষণ পরেই ৷ অবাঙ্গালীরা হাসে, বাঙ্গাল যাবা আছেন তাঁরা ধমক দেন, “বাড়ী থেকে পাঁলয়ে এসেছ নিশ্চয়! আঃ- তোমাদের জন্যে আমাদের মাথা কাটা যায় এখানে । সরে পড়ো ধ্দাক সোজা--বাড়ী গিয়ে পড়াশুনো করোগে।! অনেক কান্নাকাঁট ক'রেও সে স্টীডওতে একটা ঝাড়ুদারীর চাকর৯ও জোগাড় করতে পারলে না। অনেকাদন আগেকার এক পাঠ্যপচগ্তকে মাইকেল ফ্যারাডের কাহনী পড়োছল সে- ল্যাবরেটরীতে চাকরের কাজ চেয়েছিলেন ভদ্রলোক । সেটা মনে ছিল পুলকের । সে-ও এবার সবন্ত সেই কাজই চেয়ে চেয়ে বেড়াতে লাগল কন্তু তাও যে এত দুল“ভ তা কে জানত! অবশেষে পাঁচটাকার প্ীজ যখন পাঁচ আনায় এসে ঠেকল তখন সে কাজ পেলে এক রেন্তোরাঁয়। অপাঁরাঁচিত ছেলের পক্ষে বাস্ন মাজার কাজও আজকাল পাওয়া কাঁঠন-নেহাৎ ওর সগ্রী চেহারা দেখেই গুজরাট মালক দয়ার হয়ে কাজটা দলেন, বেশ একটু ঝুঁীক 'িনয়েই। কাপ-ডিস: ধোয়ার কাজ-_-তা হোক, মাথার উপর একটু ছাদ এবং শনয়ামত দুবেলা আহারের জন্য যে কোন কাজই ওর কাছে তখন লোভনীয় । সেখানেই মাস পাঁচেক ছিল পুলক | না, চুর বা বেইমানী সেকরে নি কোন রকম । ভাঁবষ্যতে তার মত কোন অসহায় বাঙ্গাল ছেলের এই ধরণের আশ্রয় পাবার সম্ভাবনা সে তার ব্যবহারের দ্বারা নম্ট ক'রে যাবে না, এটা সে আগে থেকেই চিক করোছল । সে হয়ত চুর ক'রে নিরাপদে পাণলয়ে যেতে পারবে 'কম্তু তারপর ক আর কেউ আশ্রয় দেবে এমান কোন অপ্পারচিত ছেলেকে 2 এই পাঁচ মাস সে অবসর পেলেই চেস্টা করেছে স্টাঁডওতে চাকার পাবার। কন্তু তারপর একটু একট? ক'রে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তার । রেস্তোরাঁয় বিশ্তর লোক আসে যায়--এর ভেতর সে ওখানকার স্থানণয় ভাষাও আয়ত্ত ক'রে ৬৯ ফেলোছিল--তাদের কথাবাতায় সে স্টুডওর ভেতরের হালচাল ছু কিছ জেনোছল। তারপর আর লোভ হয় নি সেখানে চাকার করতে যাবার। বাড়ীই ফিরবে সে, কিন্তু তার আগে দেশটা একট? ঘরে একবার দেখে যেতে দোষ কি? আর কি সুযোগ মিলবে ? ওখানকার কাজ ছেড়ে সে গগিয়োছল "দিল্লী, সেখান থেকে আগ্রা, লক্ষে, এলাহাবাদ, কাশশ। দল্লীতে গিয়েও এক রেন্তোরাঁতে কাজ পেয়োছল সে । এবার রাঁধুনীর কাজ-চপ কাটলেট ভাজতে 'শিখোছল সে বোম্বাইতে থাকতেই । আসবার সময় গুজরাটশ মানবের কাছ থেকে একটা সার্টাফকেট নিতেও ভুল করে 'ন-_তাই দিল্লীতে পেশছেই সে কাজ পেয়োছল । ওখানে মাস কতক কাজ ক'রে সেই জমানো টাকায় বাকী শহরগ্‌লো ঘুরে আবার কলকাতাতেই ফিরে এসেছে । যাঁদ সামান্য কাজ ক'রেই খেতে হয় ত দেশে এসেই করবে । একা নিবাম্ধব অবস্থায় পড়ে থেকে লাভ কি ? এই হ'ল ওর অজ্ঞাতবাসের মোটামুটি ইতিহাস। আভলাষবাব? এবার আর ভুল করেন নি। ওকে লেখাপড়া শেখাবার বৃথা চেষ্টা না ক'রে কাকে কাকে ধরে ঢ্ঁকয়ে 1দয়েছিলেন এক কারখানাতে । বামুনের ঘরের গর লেখাপড়া শিখাল না-যা লোহা 'পটগে যা। কামারের কাজ করতেই ভগবান তোকে পাঠিয়েছেন, তা আমি করব কি! এই কথা বলে আভলাষবাব্‌ নিশ্চিন্ত হলেন। পুলকের লেখাপড়া হয়ন মন ছিল না বলে। নইলে নিবেধি সে একেবারেই নয় । কয়েকমাস কারখানায় কাজ ক'রেই বুঝল যে সামান্য একটু লেখাপড়া না জানা থাকলে সেখানেও উন্নাতি করার কোন সম্ভাবনাই নেই। চারাদনই তাকে সাধারণ মিস্ব্ি হ'য়ে থাকতে হবে, আঁশাক্ষিত অর্ধবর্বর কতক- গুল লোকের সঙ্গে । সেটা বোঝামান্রই কিছু কাগজ কনে 'নয়ে পলক অওক কষতে লেগে গেল । যতাঁদনেই হোক- উন্নাত সে করবেই । ফোরম্যান-সুপারভাইজার না হ'তে পারা পযন্ত সে থামবে না। পুলকের বস্তব্য শেষ হ'তে বিমল 'বাঁস্মত হ'য়ে বললে, শকন্তু তোমার কাজে যা লাগবে তা ত এই সাধারণ অগ্ক নয়। ততদর পর্যন্ত পেশছতে গেলে তোমাকে অন্য পড়াশুনাও কিছু কিছ করতে হবে ।? “তাও করব 'বমলদা । যখন যা দরকার হবে তাই পড়ে নেব। আম ওভারটাইম নেওয়া বন্ধ ক'রে দিয়েছি । কারখানা থেকে ফিরে এসেই বই খাতা নিয়ে বাঁস-_রাত দশটা পযন্ত পড়াশুনো কার । খেলাধুলো বেড়ানো সবই ছেড়েছি। আপান যাদ বলে দেন ষে কী ধরণের পড়াশুনো দরকার হবে ত এখন থেকেই শুরু কার । খুশখ হয়েছিল বিমল । শাখয়েছিল যত্ব করেই । তব এতটা উন্নাতির জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। পুলক যেন লাফিয়ে লাফিয়ে চলল । যে বাঁজ- নি গাঁণত কিছুতেই তার মাথায় ঢোকে নি ইস্কুলে পড়ার সময়, সেই বীজগাঁণতের অঙ্ক একবার দেখিয়ে দেবার পর এক-এক রাতে পণ্চাশ ষাট্‌টা ক'রে কষে ফেলত। শিগগরই অথাৎ বছর খানেকের মধ্যেই এমন সময় এল যে িমলের বিদ্যায় আর কুলোয় না। এর পর বিজ্ঞান-জানাছাত্রের দরকার । শুধু তাই নয়, পুলক চায় কিছ; িছহ ফাঁজকস: বা পদার্থ বিজ্ঞান পড়তে । কিন্তু তার জন্য একট: ইংরেজী জানা দরকার । পলক অধীর আগ্রহে শুধু বলে, “আমাকে বলুন শুধু কি করতে হবে-_ আমি গাধার মত খাটতে রাঁজ আছি । , বলেন ত গোটা 'ডিক্সনারণটাই মুখস্থ ক'রে ফেলব !, গাধার মত নয়-_ভূতের মতই খাটতে পারে সে। ইংরেজী শেখবার সোজা রাস্তা হিসেবে 1বমল তাকে একদিন ব'লে দিয়োছল, ইংরেজ” দৈনিকগুলো থেকে সম্পাদকণয় প্রবন্ধ বাংলায় অনুবাদ ক'রে তাকে দোঁখিয়ে সেই বাংলা থেকে ইংরেজশী অনুবাদ ক'রে আসলের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে । তার ফলে ওরই প্রাণাম্ত। প্রাতাদিনকার কাগজ থেকে দুটি ক'রে অন্তত বরাট সম্পাদকীয় প্রবন্ধ অনুবাদ ক'রে রাখত । সেটা মিলয়ে দেখতেই বিমলের দেড়ঘণ্টা দু-ঘণ্টা সময় লেগে যেত । প্রথম প্রথম খুবই হাসাকর ভুল হ'ত কিন্তু শিগাঁগরই ভুল কমে এল । কছহাঁদন পরে দেখা গেল যে দু একাঁটি শস্ত বাক্যাংশ ছাড়া মোটামুটি ঠিকই বুঝেছে সে। তখন বিমল হাঁফ: ছেড়ে বাঁচল। ওকে বললে, “বাংলা আর আমাকে দেখাতে হবে না পুলক । বাংলা করে তুমি তা থেকে সঙ্গে সঙ্গেই ইংরজণী ক'রে ফেলো-_তাহ*লেই হবে ।, এর কিছনাঁদন পরে ওকে দ্বাধনভাবে একাঁটি রচনা লিখতে দিয়ে আবার চমকে উঠ্‌ল সে-_বানান ও ব্যাকরণ-গ্ত ভুল দশ বারোটার বোঁশ চোখে পড়ল না! ক্লাস টেন্‌-এর ফাস্ট“ সেকেন্ড ছেলের কাছে ছাড়া এমন লেখা আশা করা যায় না। তাও ত তাদের মুখস্থ লেখা ! খাঁশ হ'ল যেমন, চিন্তিতও হ'ল। একাঁদন প্রকাশ্যেই বললে বিমল, পুলক ভাই, আমার বিদ্যেতে ত আর কুলোচ্ছে না। এবার ভাল বিজ্ঞান- জানা ছাত্রের কাছে যাওয়া দরকার । কিন্তুকে-ই বা বেগার দেবে তাও ত বুঝতে পারছি না!” পুলক খুবই দমে গেল । ওর মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল একেবারে । কারণ ইতিমধ্যে ও নতুন করে ভূগোল ও ইতিহাস পড়তে শুর করেছে, ম্যাট্রিক পরাঁক্ষার জন্য তৈরণ হচ্ছে, সে খবর বিমল পেয়োছল অনেকাঁদনই। উচ্চাশার নেশায় পেয়েছে পৃলককে। সে অনেকক্ষণ চুপ ক'রে থেকে বললে, শবমলদা, ওভার-টাইম ত কার না-- নইলে মাইনে দিতে পারতুম ৷ ওভার-টাইম লে আর পড়বার সময় পাবো না।""*আচ্ছা, এমন কাউকে ধরতে পারেন না, যাকে এখন কিছু পামান্য টাকা দিলে চলে? পরে আম তাঁর যোগ্য মাইনের টাকাই কড়ায় গণ্ডায় বায়ে দেব ।”**আমাকে বিশ্বাস করুন, আমি মারব না। 'কন্তু এখন- সামান্য টাকা ৭৯ শনতে গেলেই বাবা গোলমাল করবেন-কারণ আমার আয়টা তান 'হসেবের মধ্যে ধরতে অভ্ন্ত হ'য়ে গিয়েছেন ।:""তবু নিতেই হবে, যেমন ক'রে হোক । তবে সে ত ঠিকদেবার নয়। তাই বলতে লঙ্জা করে ।.*পাওয়া যাবে না এমন কাউকে 'বিমলদা, 'যাঁন আমাকে 'ীবশ্বাস ক'রে অপেক্ষা করবেন ?, ওর বলবার করণ ভঙ্গীতে বিমল 'িচালত হয়োছল। ওকে কোলের ভেতর টেনে নিয়ে ওর মাথা নেড়ে আদর ক'রে বলোছল, “ওরে পাগল, লোক পক আমার বাক্সের মধ্যে লকোন আছে যে বার ক'রে দেব! দেখাছস ত বাজার- লোকে হাড় চাঁড়য়ে তবে গটিউশনী করতে যায়। দোঁখ একট: ভেবে, তবে আশা কম । তুই একলবো'র মতই মনে মনে গুরু রেখে তৈরী হ” ভাই !, পুলক ছল-ছল চোখে জবাব ধ্দলে, “সে সাহস আমার আছে দাদা কিন্তু বন্ড যে দেরী হ'য়ে যাবে। আমার কারখানায় পরীক্ষা দেবার বয়স যে চলে যাবে !; “আচ্ছা, দোখ কি করতে পাঁর !, “চেত্টা ক'রে দেখব” এমনি আশ্বাস মুখে দিলেও মনে মনে কোন উপায়ই খু'জে পায় না বিমল । অথচ পুলক ওর সেই প্রায়-স্তোক-বাকোর ওপরই যে কতটা ভরসা ক'রে রইল তাও সে বুঝতে পারে । সেই জন্যই বলতে গেলে সারা- শদন কথাটা ওর মনের মধ্যে খচ্‌ খচ্‌ করতে লাগল । কারুর কথাই ওর মনে পড়ে না। কে এমন আদর্শবাদী আছে, যে এতখানি ত্যাগ স্বীকার করবে ! ভাবষ্তের আশা? পুলককে 'াবমল 'বি*বাস করলেও অপরে ততটা করবে স তাছাড়া ভাঁবষ্যংটা আন্চিত, বর্তমানের অভাবটা প্রুব এবং ত। সম্ধ্যার পর বিমল যখন 'নাখলদের বাড়ী পেশীছল তখনও কথাটা ওর মাথা থেকে যায় নি। সেখানে ঢুকতেই নাঁখলের বাবার সঙ্গে দেখা । 'তাঁন একট? ক্ষমা প্রার্থনার সুরে বললেন, এনাীখলকে ওর মামা 'নয়ে গেছেন জোর ক'রে-_ এখনই আসবে, দুপাঁচ নট বসবেন একটহ অনুগ্রহ ক'রে ? না বসে উপায়ও ছিল না বমলের । এতটা হেটে এসে সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ওুর সঙ্গে ওদের বাইরের ঘরে এসেই বসল । 'নাঁখলের বাবা ভিতরে ধগয়ে চায়ের ফরমাশ দিয়ে এলেন । চা খেতে খেতে নানা প্রসঙ্গ উঠল । ফলে, আজকে যে কথাটা 'বমলের মনের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জুড়ে রয়েছে, সেই কথাটাই উঠে পড়ল। বিমল বললে, “একটি অদ্ভুত ছেলের কথা বলব আপনাকে । আপাঁন হয়ত বিশ্বাস করবেন না--কিন্তু সবটাই সাঁত্য 1, এই বলে সে পুলকের কাঁহনী আদ্যোপান্ত শোনালে তাঁকে সব। মায় আজকের কথাটা সুদ্ধ শেষ ক'রে বললে, শীবশ্বাস হয় আপনার ? সত্যশরণ বাব কন্তু কিছমান্ত্ বািস্মত হলেন না, বললেন; “ও ক বলছেন, তবে শুনুন আর একজনের কথা । আমার এক বন্ধুর দাদা সুশীল গঞ্জ, ২ 'এথন উত্তর কলকাতার খুব বড় ডান্তার, 'দনেরাতে নাইবার-খাবার সনগন নেই, চারটে ভান্তার রন্যাসিস্ট্যান্ট । কন্তু আম ত ছেলেবেনা থেকে দেখাছ, ইস্কুলে একেবারে গবেট ছান্র ছিল । তখনকার 'দনে ত মশাই বিজ্ঞান 'ফজ্জান ছিল না-স্যা করে অঙ্ক, বড় জোর মেকাঁনকংসং। অঙ্কে ভাল মাথা ছিল ওর-- কন্তু এ পর্যন্ত। বাংলায় পেত কে"দে-ককিয়ে 'তারশ, আর ইংরোজতে তের চোদ্দ । ওর বাবা দুটো মাস্টার রেখোছলেন, তারা 'হিম ?সম খেয়ে যেত। আমার বন্ধুর বাবা দুঃখ ক'রে বলতেন, আর সব ছেলেগুলো তবু সকাল- সম্ধ্যে দু'মুঠো খেতে পাবে--এইটেই হ'ল একেবারে বাঁদর । ওর আর কিছু হবে না।***ও মশাই, কোনমতে ত অঙ্ক আর মেকানকসএর জোরে ম্যাটট্রকটা সেকেন্ড ডাঁভসনে পাশ করলে ; ইন্টারামাঁডয়েটে গিয়ে একেবারে ফাস্ট ডিভিসন, সায়ান্স আর অঙ্ক 'িনটে সাবজেক্টেই লেটার ! ঢুকলো মেডিকেল কলেজে-ব্যস্‌ চড়চড় ক'রে উন্নাত, কোন পরাঁক্ষায় ফের করে 'ন কখনও, ফাইন্যালে গিয়ে মোঁডাসন আর একটা কিসে যেন ফাষ্ট হয়ে বেরোল ॥ ওর মাথা বিজ্ঞানের দিকে, তাকে নর-নরৌ-নরাঃ মুখস্থ করালে চলবে কেন বলুন !--আপনার এই ছেলোট দেখবেন এর পর উন্নাত করবে !, তাঠিক। বিমলও স্বীকার করে, 'আঁমও ত এই কথা বাল, জোর ক'রে গলাতে গেলে ভাল 'জাঁনসও ীবস্বাদ লাগে । নিজে থেকে প্রয়োজন বুঝে এগোলে কত স্বাবধে হয় |, কিন্তু তাতে আসল সমস্যার কোন মণমাংসাই হয় না। আরও খাঁনকটা গলপ ক'রে বিমল উঠে পড়ে। ধনাঁখল তখনও পেশছয় নি । সত্যশরণ বাবু লাঁজ্জত হয়ে বার বার ক্ষমা প্রার্থনা করেন, 'দেখ্‌ন ত এ ক কান্ড! আমার সম্বম্ধী এধারে এত রেসপনতরসাবালাটর গব“ করেন, অথচ দেখুন 'ানজের বেলায় কোন কাণ্ডজ্ঞান থাকে না। বার বার বলে দিলুম, মান্টার মশাই এত কষ্ট ক'রে আসবেন- আগে থাক্‌তে বলা থাকলেও না হয় কথা ছিল। ছি ?ছ, আপনার কাছে বড় অপরাধী হয়ে রইলম !ঃ 'না-না, তাতে আর 'কি হয়েছে? ব'লে বিমল উঠে পড়ে, তবু ত আপনার গঙ্গে খাঁনক গঞ্গ করা গেল, এটুকু ত হ'ত না। যাক-_কাল শাঁনবার আছে, নিজে নিজেই চালয়ে নিতে পারবেখন নাখল। আচ্ছা আঁদ। নমস্কার !, 1১৪ ॥ পথে বোরয়ে অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটাছল 'বিমপ্প। পুলকের সমস্যাটাই মনে মনে ভাবছিল ব'লে, গাঁতও একট মন্থর হয়ে গিয়েছিল । হুঠাৎ কাঁধে একটা ভারা হাতের চাপড় খেয়ে চমকে ফিরে দেখলে-_-মপারাঁচত একটি ধংবক, প্রায় তারই সমবয়পী, মিশ-কালো রং, বেণ জোয়ান গোছের চেহারা । অতিশয় ৭৩ ময়লা একটা লং-রুথের পাঞ্জাব পরা, হাতে একট! সিগারেট, ওর দিকে চেয়ে মুচি মুচকি হাসছে । হাঁসটা দেখে চিনতে পারল, শিশির ভাদুড়শীর মত অনেকখানি বিস্তৃত িঃশব্দ হাসি । এটা অনেক কম্টে আয়ত করেছিল মণি, স্কুলে পড়বার সময়ই । মণ, ওদের সহপাঠখ মণ ঘোষ । “চনতে পেরেছিস তাহ'লে । চল এঁ পাকে“ গিয়ে বাঁপ একট কতকাল পরে দেখা বলত !, ওর চোখের চাউনিতে বহহলতা কেটে গগয়ে বিস্ময় ফুটে ওঠা দেখেই মাঁণ বুঝতে পারে যে গিমল তাকে চিনতে পেরেছে । আগের মতই তীক্ষ-শ্ধী আছে মাঁণ! ছেলেবেলায় কোন কথা ওকে মুখে বলতে হ'ত না। মুখ দেখে অনুমান করত। উঃ সাঁতাই রে মাণ, কতকাল পরে বলত । চল: চল: বাঁস গেকোথাও ।; পাকে“ গিয়ে খুজে খুজে বোঁঞ পাওয়া যায় না, অগত্যা ঘাসের ওপরই বসে দুজন । মাঁণ বলে, তারপর ? গঠক বিদহ্যৎ বেগেই কথাটা মাথায় খেলে যায় বিমলের। এ হয়ত ঈশ্বরেরই নিদে'শ। নইলে আট ন' বছর পরে মাঁণর সঙ্গেই বা এমন অভাবনশয় ভাবে দেখা হবে কেন 2 মাঁণ বিজ্ঞানের ছাত্র এবং বেশ ভাল ছান্ল। আই. এস-সতে একটা স্কলারাঁশপ পেয়েছিল । বি. এস-ীসতে অনাস- ছিল, যাঁদও ফাস্ট+ ক্লাস পায় নি। পায় নি তার চরম দারদ্যের জন্যই । সকালে কলেজে আসত, ল্যাবরেটরীর কাজ সেরে বেরোতে সাতটা সাড়ে-সাতটা--তারও পরে টিউশনগ ক'রে বাড়শ ফিরতে কোনাঁদন সাড়ে নটা, কোনাঁদন দশটা হয়ে যেত। এর ভেতর শুধু জল ছাড়া আর কিছুই জহটত না। একাঁদন 'ক্ষদেতে মাথা ঘুরে ণগয়েছিল-_ল্যাবোরেটরশর মধ্যেই । সোঁদন প্রোফেসার ব্যাপারটা বুঝতে পেরে খুব 'িতরঙ্কার করেন। বলেন, "এই দশর্ঘ সময় উপবাসী থাকলে কখনই ভাল কাজ করতে পারবে না। শরীরটা ভেঙ্গে যাবে । অবশ্)ই দকছু খাবার ব্যবস্থা করবে । যা হোক- অন্তত চাট্ট মড়ও ।, গকম্তু চাঁট্র মুড়ি খাবার পয়সাও ওর ছিল না। সেটা তাঁকে বলাতে গতাঁনই একটা বেশী মাইনের টিউশন ওকে যোগাড় ক'রে দেন। একটি স্কুলের ছাত্র--সত্তর টাকা । তাতে অবশ্য সামান্য জল খাবারের ব্যবস্থা ক'রে গনতে পেরোছিল--কিন্তু তবু পরশক্ষার ফল ভাল হয় 'ন, টিউশনখ ক'রে, ঘর সংসারের বাজার"হাট রু'রে ফাস্ট ক্লাস অনার্স পাওয়া শ্ত। মাণদের দাঁরিদ্রা বিমলের চেয়েও বেশশ--সমস্ত কলেজ-জশবনে ওর বাইরে বেরোবার একাধিক কাপড় ছিল না। সেজন্য কোন রাঁববার কোথাও বেরোতে পারত না।। সাবান দিয়ে কাপড়-জামা কেচে--দারাদিন বাড়দতে বসে থাকতে হ'ত । ৪ বষকালে আরও দূভেগি। নিবন্ত উন্নের ধারে দাঁড়ংয় নেটে নেডে শুকোতে হাত । এব পর আার এগ, এস-িস পড়া হয় নি। টিউশনী ক'রে সংসার চালিয়ে পড়া--এই রকমই ফল হবে! তাছাড়া সংসারের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে গড়েছেল। বাবা অশস্ত, মা পক্ষাঘাতে পঙ্গু । ছোট ছোট ভাই বোন। বাবা তাঁর শেষ ধাাল-গুীড় ঝেড়ে ওর বড় বোনের বিয়ে দিয়েছিলেন, সে বিধবা হয়ে এসে উঠল তিনটি ছেলেমেয়ে নিয়ে । স্বামী আফিসের তহবিল তছরুপ করোছলেন__-ফলে একদা তাঁকে গলায় দাঁড় দিতে হয় । একটি পয়সাও ছিল না সণ্টর--বা ওর গায়ের গয়না কটা । দেশে কোথায় জঙ্গলের মধ্যে ভাগের বাড়ী আন, ওর বোন দেখেও নি। শ্বশুর এবং দেওর স্রেফ: সব দায়িত্ব বেড়ে ফেলে দলে! সভরাং মণিকে চাকরণ গনতে হ'ল । দৌঁর করার সময় গছল না! পাড়ার এই ইস্কলে বিজ্ঞান শক্ষকের চাকরী পেয়ে বেচে গেল । যুদ্ধের শেষের দিক সেটা__-সরকারশ চাকরখতে ছাঁটাইয়ের সময় । স্বাধীনতা পাবাব পর হয়তো খোঁজ করলে সরকারী চাকরণ পাওয়া ষেত। কিন্তু 'তনটে 'টউশনা ও মান্টাব* ক'রে উদ্যম থাকে না। দেখতে দেখতে বয়সও চলে গেল। আগের দিকের খবর কতক 'িমলের শোনা ছিল । শেষেব দিকের খবর- গুলো সংক্ষেপে দিয়ে মণি বললে, “তোর কথা বল এবার 1) “আমার কথা 2 তথৈচ !” ম্লান হেসে বিমল বললে, “সাধারণ সবকারগ চাকরীতেই ঢুকলেই বা এমন কি রাজা হাতস ? আম ত ঢ্‌কোছ। চারটে হাত ঝোরয়েছে 2 প্রস্পেক্টই বা এমন ক? সেই ত টিউশন করতে হচ্ছে, আর হবেও। তার চেয়ে এ বরং ভাল আছস । অখণ্ড অবসর । বছরে চার মাস ছুটি বলতে গেলে । মাঁণ যেন মুহূর্তে জহলে ওঠে, বাঁলসীন ! লাঁলসং খন ! হোলিশ !? “হোলশ বলাছস কেন 2 একটু যেন আহত হয় বিমল, হাজার হোক “ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গ, তার একটা আনন্দ আছে ত1) 4০০ 816 ৪ 19011 যেন ঝেঝে ওঠে মাঁণ,,সেইটেই ত বেশশ হেলিশ। 01501316005 £709--যত সব ! এত রকমের বঙ্জাত আর বদমাইণস জানে ওরা যে তা সব 'লখতে গেলে একটা পুরো এনসাইক্লোপাডয়াতেও কুলোবে না। ওদের সাহচযঘে আনন্দ! তুই বাঁলস ক? ছোট ছোট ছেলেপুলে দেখলে আমার গায়ে জবর দেয় ! দুচোক্ষে দেখতে পার না ওগুলোকে 1” ওটা তোদের একটা ফ্যাশন । যীশুখ্রীষ্টের বাপ-মা ভোলাবার চাল--তাই থেকে যত রাজনশীতিকরা এঁটে নিয়েছে । শুনেছি বিলেতে ইলেকশনের আগে যে ক্যান্ডিডেটের বৌ যত বেশদী ছোট ছোট বাচ্চাদের চুমা খেতে পারে তার ইলেকশন জেতবার তত চান্‌স। ও তুই নেহেরুই বাঁলস আর গান্ধাই বালস-_সকলকারই ওটা লোক-ভুলানো চাল। কেউ যে এঁ শয়তানগুলোকে সাঁত্যই ভালবালতে পারে, তা আম আদৌ ব*বাস কাঁর না! ৭১ টুপ ক'রে থাকে 'বমল । কিছুক্ষণ পরে আঙ্ডে আন্তে বলে, “তাহ'লে তোর “এ কাজ নেওয়া একেবারেই উঁচত হয় ?ন মাঁণ !; “তা তহয়ই নি! 'িন্তু কি করব বল? সংসার যে ঘাড়ে চেপে আছে 'সেই 'সিম্ধুবাদ নাবিকের ঘাড়ের বোঝার মত । আসলে কি জানিস-_মাস্টারগ কেরাণশীগার, কোনটাই আমার ভাল লাগে না। আমার যা ট্যালেন্ট, আভনয়ে-_-সোঁদকে যাঁদ কোন একটা চান্স, পেতুম রে !, বলতে বলতেই বোধকাঁর ক্পনায় সেই সুখ-্ছি দেখে আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মাঁণর মুখ, সে কণ্ঠে একটু জোর 'দযেই বলে, একটা কোথাও যে- কোন রকমের চানস্‌ পেলে আর আম কোন সংপাঁরশের তোয়াক্কা করতুম না।***আছে নাক তোর ও পাড়ায় কোন যোগাযোগ *» বিস্তর ত ফিলমং কোম্পানণ হচ্ছে চারাঁদকে, কারর সঙ্গে কোন আলাপ পাঁরচয় নেই * তুই পাগল হয়েছিস? আমার মত লোকের সঙ্গে এ লাইনেব যোগা- যোগ ? না-তা নয়। থাকতেও ত পারে। আত্মীয়তাস-ব্লেও থাকে অনেক সময়--!, উৎসাহ কতকটা ভে আসে মাঁণর । একট: থেমে আবার সে বলে, আম সোজা গিয়োছলুম দহ একজনের কাছে । মামল 'দতে চায় না। একজন খুব ভদ্র, তিনি বাঁঝয়ে বললেন, 'দেখুন আপনার যা গার আর ফেস: কাটং তা স্টেজে হয়ত চলে, ক্যামেরাতে চলবে না। মানে হিরো করা চলবে না আপনাকে । ছোট খাটো সাইড-রোল পেতে পারেন কিন্তু তাতে আজকাল সংসার চালানো শন্ত । আর কাঁমক পার্ট ত করেনও নিন কখনও। সেকি পারবেন 2". অগত্যা চলে এলহম ৷ আমার প্রাতভা আম দশ 'তিনশ-ফুটের সাইড-রোলে নষ্ট করতে রাজী নই ।"**সাঁত্যই ক আমার দ্বারা হরো সাজা 'চলবে না? কণ্ঠে অনুনয়ই ফোটে মাঁণর । ণবমল ভালো ক'রে তাকিয়ে দেখে । কুচকুচে কালো রং--াকন্তু তাতে কিছ এসে যেত না, চোখ দুটোও অসম্ভব ছোট । ফগারও ভাল না-একটু বেটে আর চোৌঁকো গোছের । বলতে মায়া হ'ল কথাটা । সেচুপ করে রইল । মণি আবার বললে, "থিয়েটারে চলে । ভালই চলে । জানস ত. শিশির ভাদুড়ী আর দান বাবুর রোল সব একচেটে আমার । বহু আফস ক্লাবের হয়ে প্লে ক'রে আস পাবালক বোর্ডে সবাই ধন্য ধন্য করে । এর মধ্যে একাঁদন প্রায় হাতে পায়ে ধরে শাশর বাবুকেও দৌখয়োছিলুম--ও'বই বোর্ডে প্লে ছিল একটা আঁফসের, আম সেজোছলুম আলমগীর । ডান দেখে-শুনে বললেন, আপনার সাঁত্যই খুব ট্যালেন্ট আছে। আম নিতে পার আমার দলে 'কিণ্তু টাকা-কাঁড় বিশেষ পাবেন বলে মনে হয় না। বুঝতেই ত পারছেন এখন স্টেঞ্সের অবস্থা-পয়সা সব ফিলম লাইনেই চলে গিয়েছে । ফিরে এসে ইস্কুলের সেক্কেটারীকে 'ীজজ্ঞাসা করলুম, 'তাঁন একেবারে সোজা ৭ এমফ্যাঁটিক 'নো' বলে দিলেন। পাবালক স্টেজে স্লে করলে অন্তত তাঁর ইস্কুলে মাস্টারী করা চলবে না।"""কী কার বল। মাস্টারী আর টিউশন মালয়ে যা আয় তাতেই সংসার চলে না--তার থেকেও যাঁদ কম পাই ত চালাবো কি ক'রে ? গবমল একটুখান চুপ ক'রে থেকে প্রশ্ন করলে, বরে করেছিস বাঁঝ 2 পাগল হয়েছিস তুই ! বিধবা বোন-_তার তিনটে ছেলেমেয়ে । এখনও দুটো ভাই-বোন ইস্কুলে পড়ছে । তাছাড়া-মা আবার ধিধবা বোন, তার ভেতর বৌ এনে ঢোকালে অশান্তিতে একাঁদনও টিকতে পারব না । আইবুড়ো বোনের সঙ্গে বৌদদের তবু বনে--কারণ তাদের জশবনে ভাবষ্যতের আশা আছে । 'বধবা বোন বাড়ী থাকলে কারুর 'বিয়ে করা উঁচত নয়! দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ-চাপ বসে থাকে । রাস্তার কোলাহল কমে আসছে। পাক-ও জনাবরল হয়ে আসছে ব্লমশ । একসময় মাঁণ বলে ওঠে, “আরও একটা 1টউশনী ?ছিল। তা আজ আর হ'ল না। সগারেট খাঁব একটা ?, 'না। ওটা এখনও ধারান ।, 'এখনও তেমান গাঁড-গৃঁড বয় আছিস !) 'তা হয়ত ঠিক নয়। অতটা বাজে খরচের অবস্থা নেই ।, 'এটাকে বাজে খরচ বালস নি বিমৃ। সকাল সাড়ে ছটা থেকেই প্র্যাকাঁটক্যাল গাধা পিটোনো শুরু কার--রাত সাড়ে নটা পরন্ত। মধ্যে কতটনুকুই বা ফাঁক মেলে ? একটা কোন নেশা না হ'লে পারব কেন ?, “আমার খাটুনগ ক ওর চেয়ে কম মনে কারস ?, না, তব? বৈচিত্র্য আছে। দুপুরটা বকতে হয় না--কলমপেশার কাজ [ আমাদের যে একঘেয়ে কাজ ।” “তোদের তবু একটা সান্তনা আছে--তোরই দেশের কতকগুলো ছেলেমেয়ে তোদের হাতে মানুষ হচ্ছে ।, অকস্মাৎ চাঁরাদকের লোকজনকে সচাঁকত ক'রে পাক কাঁপিয়ে হো হো ক'রে হেসে ওঠে মণি । আঁতকম্টে অনেকক্ষণ পরে হাঁস থামিয়ে বলে, “ ড/11861767 ! আমরা ছেলে মানুষ কার ? দ্যাখ, ডান্তাররা যেমন মনে মনে জানে যে রোগ ভাল হওয়ায় আসলে তাদের কোন কাঁতিত্ব নেই-_রোগণ আপাঁনই ভাল হয়, তারা করে না-তেমান মাস্টারেরাও জানে যে ছেলেমেয়ে মানুষ হওয়ায় তাদের কোন হাতই নেই । কেউ কেউ তবুও মানুষ হয়--সে শুধু তাদের বরাত আর জন্মগত কতকগুলো ফ্যাকালাট । পড়ানোর সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। তাহ'লে একই ইস্কুল থেকে বছর বছর ফাস্ট হ'ত !, তা না হোক, তবু কোন কোন ইস্কুলে ফি বছরই মোটামহটি ভাল রেজাল্ট হয় ত !, হ্যাঁতা হয়। তবে একট. লক্ষ্য করলে দেখাব যে-সব ইস্কুল বা কলেজে বাছাই-করা ছেলেরাই শুধু যায় । আবার সেগুলো বড়লোকের ইস্কুলও বটে, সেখানে যারা পড়ে তাদের বাড়ীতে প্রায় সবাইকারই দুটো তিনটে ক'রে ৭9. মাস্টার আছে ।, শিবমল তক্ণ করে কতকটা যন্ত্রের মতই | বলে, “কেন পূর্ণ মাস্টাব মশাই- এর মত মাস্টারও ত আছেন দু-্চার জন ।” এছলেন। এখনও আছেন কি? মাঁণর কণ্ঠস্বর অস্বাভাবিক তীক্ষ: শোনার, “থাকলে ভালই । কিন্তু আমি ত দোৌথ না। কোথায় আছে। কে জানে!” তারপর বিমলের কাঁধে একটা হাত রেখে সে বলে, “একদিন আমাদের ইস্কুলেব িচার্স কমন রুমে গিয়ে বসলেই টের পৌতিস- আজকালকাব নাস্টার মশাইদের মনোভাব কি! দিনগত পাপক্ষয় শুধু ! তাঁরা সব কথা আলোচনা করেন-_- ইউনিয়ন, র্্যাসোঁসিয়েশন, পালাটক্‌স:, সংসার, চালডাল- নেহের? গবর্ণমেণ্টের অযোগ্যতা -এভারাথং বাট দেয়ার ওন: ডিউটি! পড়াশনো কেমন হচ্ছে ছেলেদের, কী করলে ইম:প্রভমেন্ট হয়, কোন: থিওরীীতে ক বলে _-এসব কথা, যাঁদ সাতাঁদন পর পর "গিয়ে সারাদিন ধ'রে বসে থাঁকস, তাহলে ও কারুর মুখে কোনাদন শুনতে পাব না। বোধ হয দম নেবার জন্যই কয়েক মুহৃত থেকে মাঁণ আবার বলে, শুনার তবে? আমাদের হেড মাস্টার মশাই আড়াই শ' টাকা মাইনে পান, এ ছাড়া যন্যালাউন্স ফ্যালাউন্স ত আছেই । এ অণুলে খুব কম ইস্কুলের হেভগাস্টাবের এত বেশী মাইনে আছে । কিম্তু তব তাতে তাঁর পোষায় না। তাঁর বইযের বাবসা আছে ভাগ্নের বেনামীতে, িছ কিছ; আমদানী রগ্থানীর কারবাবও করেন। তাঁর 'নজের নামে কতগুলো লাইসেন্স আছে। এ ছাডা 'বস্তর পাবালশারের পাঠ্য বই লিখেছেন--কতক 'নজের নামে বেরোয়, কতক অপরের নামে । মোটা টাকায় কাঁপরাইট বেচে দেন। তারা ভাবে এত বড একটা ইস্কুলের একজন এক.সাঁপারয়েন্সড্‌ হেডমাস্টার বই 'িলখছেন - বেশী দাম গদলেও ক্ষাতি নেই। অথচ বইগুলো লেখেন আমাদের ফণীবাবুতে আর অটউলবাবুতে । তাঁরা যৎসামানাই পান । ইস্কুলে এসেও তাঁদের আধকাংশ দন এ সব কাজ ?নয়ে থাকতে হয়, গাদাগাদা গ্ুফই দেখেন বসে বসে, ফলে ক্লাস নেওয়া হয় না বেশীর ভগ দিনই । সময় কোথা ? সে ক্লাসগুলো হেডমাস্টার মশ।ই সুকৌশলে চাঁপয়ে দেন এর-ওর ঘাড়ে । আমাদেরও নিতে হয় । জেনে শুনেই নিই । জলে বাস ক'রে কুমীরকে চটাবে কে? চাকরী করতে হবে যখন-তখন ওপরও'লাকে চটিয়ে লাভ নেই। আমাদের সেকেন্ড ?টচার অপবেশ বাবু নাক পাঁচটা টিউশন করেন-_-সকালে দুটো, বিকেলে তিনটে । শৈলাবহার বাবু সকালে কোন: এক বড়লোকের বাড়ী (টিউশন করেন-- কোন্‌ এক বিখ্যাত গয়নাও'লার ফ্যামাল টিউটর । থাকেন শহরতল+তে -ছটায় বেরিয়ে আসেন। পড়ানো সেরেই ইস্কুলে আসেন- ইস্কুল শেষ হ'লে ওই ইদ্কুলেরই একটা ঘরে কোচিং ক্লাস নেন। তিন শিফ্‌ট্‌। খাবার ঠাকর দিয়ে দিয়ে যায় । 1টাফনের সময় কমন-রুমে বসে খেতে হয় । অপরেশ বাব; ত এসেই নাক ডাকান রণীতমত। ক্লাসে গিয়ে এরা সকলেই ঢোলেন। গিট বিশ্রাম চাই ত--সে বিশ্রামের আর অবসর কৈ? ইস্কুলের ছাল্লরা শোনে_- প্রাইভেট ছান্ররা শুনবে কেন 2 1বামল বোকার মত প্রশন করে--কর্তৃপক্ষের কানে এসব কথা ক ওঠে না!» উঠবেনা কেন? তাঁরাই বাকি করবেন! যে আসবে লওকায় সে-ই হবে বাবণ। তাছাড়া-_খুব দোষ দেওয়াও যায়াক এদের কী আয় সেটা ত দেখতে হবে 1 দারদ্যু দোষঃ গুণরাশ নাশ !? এবার গবমলের উত্তপ্ত হবার পালা । সে বললে, বাজে কথা বাঁলস 'ন মাঁণ। এখনকার মাষ্টার মশাইদের যা আয় তার চার ভাগ ছিল না আগে 1৮ 1কম্তু তখনকার 'দনের এক একজন শিক্ষকের কথা মনে ক'রে দ্যাখ 'দাক। অত কথায় দরকার কি, আমাদেরই দেখা পূর্ণ মাস্টার মশাইয়ের কথাটা ভেবে দ্যাখ না। তাঁর কআয় ছিল? কিম্তু তিনি ক কোনাঁদন ফাঁকি 'দয়েছেন ১ তোদের এ শৈলাবহারী বাবুকে আমি চান। ঢাকুরে একখানা দমদমে দুখানা বাড়ী করেছেন উীন। মাসিক বারোশ' টাকা ওর আয়--গর্ব করে বলেন উাঁন ও*র *বশুর বাড়ীতে । আমাদেরই পাড়ায় ও*র *বশুর*্বাড়ী ।--ওধ্র কি এখনও এত অভাব আছে যে উদয়াস্ত খাট্‌তে হবে? এ অপরেশ বাবুর কত আয় খোঁজ কারস ত !...অভাব নয় বন্ধ, স্বভাব ! তোমাকে এখন আড়াই শ, টাকা মাইনে দলেও তুমি এর চেয়ে মন 'দয়ে পড়াবে না? এঁ ছেলেগৃলোকে তখনও তেমান মিসচিভাস ইমৃপ মনে হবে । আগে যাঁরা মাস্টার করতেন তাঁরা দারদ্য জেনেই আসতেন । আর তার জন্য তাঁদের কাজে ফাঁক দেবার আধকার জন্মেছে এ কথা কখনও মনে করতেন না। অথবা তার জন্য রাস্তায় বসে ধর্মঘট করা যায়--একথাও ভাবতে পারতেন না। তাঁরা স্বগে গেছেন, এখানকার খবর সেখানে পৌছানোর উপায় আছে কনা জান না-_ কন্তু মাস্টার মশাইরা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় মা করছেন আর ধর্মঘট করছেন জানলে তাঁরা সেখান থেকেও শিউরে উঠবেন । তাআর'ীক করা যাবে। স্ট্রাগলং ফর একজিস্টে্স-। বাঁচতে হবে ত! 'বরসকণ্ঠে বলে মাণ। “তা নয় বন্ধু ॥। এর সবটাই নির্ভর করে তুমি কাকে বাঁচা বলো তার ওপর । দৈহিক স্বাচ্ছন্দ্য আর সুখের শেষ নেই । ওর কোন সীমাও নেই । কর্তব্জ্ঞান আলাদা বপ্তু। তখনকার 'দনের শেষ শিক্ষকরাও বেচে গেছেন, সপম্মানেই । মনে আছে পর্ণ মাস্টার মশাইয়ের এক ছাত্র আই. সি. এস. হয্মোছেলেন ? সতেরো বছর পরে কি একটা কাজে তিন এঁ পাড়ায় এসোঁছলেন, পথে দেখা হয় পর্ণ মাস্টার মশাইয়ের সঙ্গে । উনি তখন বাজার ক'রে ফিরছেন--খাল পা, এক পা কাদা । সে ভদ্রলোক গাড়ী থাঁময়ে রাস্তার মাঝখানে এ কাদামাখা পাক্েই হাত 'দয়ে প্রণাম করলেন যখন, তখন আমি সেখানে দাঁড়য়ে । সে যা অনিরচনীয় তৃঁঞ্চর হাঁস দেখেছিলাম ওস্র মূখে তা আর কোনাঁদন ভুলব না। ছান্রট তখন হাজার দূই টাকা মাইনে পান--- ভারত সরকারের এক বিশিষ্ট কমণ্চারী। কোন স্বাচ্ছন্দা বা বিল।সের ২৯ উপকরণ পেয়েই ও হাঁস ফুটত না তোমার মৃখে। কথাগুলো বোধ হয় মাঁণর মনে লাগল না। একটুখানি চুপ ক'রে থেকে সে একেবারে উঠে দাঁড়য়ে বললে, চল্‌--ওঠা যাক |, গিবমল বাস্ত হয়ে উঠল । ওর হাত ধরে একরকম জোর ক'রেই বাঁসয়ে দিলে । “ওরে বোস বোস- আর একটু । তোর সঙ্গে আমার একটা জরুরী কথা আছে !' পক কথা বল-ত? ব্যাপার কি? বিস্মিত হয়ে তাকায় মাঁণ, “এতকাল ত মনেই ছিল না আমাকে । অথচ এখনই এমন 'ি দরকার কথা মনে পড়ে গেল ?; ধিলাছ। মন 'দিয়ে শোন।, ধরে ধীরে--বেশ একটু সঙ্কোচের সঙ্গেই- পুলকের কথাটা খুলে বললে 'বমল । সঙ্চকোচ এই জন্যে যে- মাঁণর মনোভাবের যে পাঁরচয় এতক্ষণ সে পেলে তাতে কথাটা না বলাই উচিত । এতক্ষণ কতকটা সেই কারণেই কথাটা পাড়োন-_-অনেকক্ষণ মনের অবচেতনে লড়াই করেছে নিজের সঙ্গে । অথচ না না বললেও নয়, এমন সুযোগ হয়ত আর আসবেই না। সব কথা শুনে মাঁণি একটু স্তব্ধ হয়ে থেকে বললে, “তা আমাকে কি করতে হবে ? 'রাঁববার ক'রে মধ্যে মধ্যে এক-আধ-াদন যাঁদ একটু আধটু সময় 'দিতিস --ও তোর বাড়ীতে 'গয়ে বুঝে আসত । পারব নাঃ এ একটা স্পেশ্যাল কেস বলেই বলাছ, আর বড় 'বাঁচন্ত্র কেস, মাঁণ খাঁনকক্ষণ চুপ ক'রে কি ভাবল । বললে, “সপ্তাহে একটা দিন ছুট, তাও বকেলের দিকে কোথাও না কোথাও 'রিহাস্যল থাকেই । এক সকালটা । আবার বই খাতা নিয়ে বসা--ভাবলে গায়ে জবর দেয়। তাছাড়া ও-সব পড়া ভুলতেই বসৌছি।..হাউ এভার, তোর কথা শুনে আমার একটু কৌতূহল হচ্ছে। সাত্যই স্ট্রেঞজ কেস: । আচ্ছা, আসছে রবিবার তোর বাড়ীতে যাবো । আমার ভাই দুখানা ঘরে বাস--শোবার জায়গা, তাই মেলে না। ওখানে বসে পড়া হবে না। আমিই যাবো । তবে প্রত্যেক রাববারে নয় এক হপ্তা অন্তর । কিদ্বা মধ্যে অন্য ছুটি পড়লেও যেতে পারি। খুব ছোট ছেলে নয়, এই একমাত্র সান্ত্বনা, তা' ছাড়া সায়েন্সে এখনও একট: ইন্টারেস্ট আছে। এই জন্যই রাজন হাচ্ছি!? “বহ ধন্যবাদ । বাঁচাল ভাই।” শবমল ওকে একেবারে জাঁড়য়ে ধরে। দুজনে উঠে রাস্তায় এসে পড়ে । মাঁণ ওর সঙ্গে খানিকটা ওর পথে এগয়ে ষায়। বিদায় নেবার মুখে বলে, আমার কথাটা মনে রাখস একট--বলা ত যায় না--যাঁদ কোন যোগাযোগ হয়ে যায় কোন গফলম কোম্পানীর সঙ্গে । কাঁমক পার্ট নেবো না-সারয়াস পাট? মানে কাজ দেখাবার যাঁদ গছ থাকে ত- ছোট পার্ও নিতে রাজী আছ। বুঝাঁল £ যেতে যেতেও আর একবার 'ফরে দাঁড়ায়। ৮9 “সামনের শ্রবার স্টার বোডে" একটা আঁফস ক্লাবের গলে আছে, আম নামব। আয় না, কেমন করছি আজকাল--দেখে যাবি 1 1বমলের আদৌ উৎসাহ 'ছিল না । ?কন্তু মাণর মুখের দিকে চেয়ে আর 'না” বলতে পারলে না। বললে, শীনশ্চয়ই যাবো । কিন্তু ঢুকতে দেবে ত ? “আলবৎ দেবে । কা" পাঠাবো ।**"হাঁতোর ঠিকানাটা £ আসলেই যে ভুল হয়ে যাঁচ্ছল ।, পকেট থেকে একটা কাগজ বার ক'বে রান্তার আলোতে দাড়য়েই ঠিকানাটা 1লখে দিলে 'বমল । ॥১৫॥ আফসে পা দিতেই খবর ছিলেন এক সহকমী্ "শুনেছেন বিমলবাবু, খবরটা ?, “ক জান! কশ খবর বলুন ত? কতকটা 'নরাসন্ত-কন্ঠেই উত্তর দেয় গামল। এদের খবরের ওপর ওর কখনই খুব আম্ছা নেই। অত্যন্ত তুচ্ছ কথাতেও এরা উত্তোজত হন । “জোর খবর ! জয়ন্তী চৌধুরণী বয়ে করছেন !; “ও, এই খবর !ঃ 'আরে শুনূনই শেষ পযন্ত! বরাট কে জানেন কিঃ আমাদের শাশবাবু। সংপাঁরন্টেশ্ডেন্ট সাহেব স্বয়ং !, এবার অন্তত মনে মনেও, িমলকে 'মানতে হ'ল যে খবরটা জোরই বটে । শীশবাবুর মোট দুটি বছর আর আছে চাকরীর, অর্থাৎ সরকারণী হিসেবেও 1তস্পান্ন বছর বয়স হয়েছে । হয়ত আসল বয়সটা আরও বেশী । সম্প্রাত বছর-খানেক আগে 'িপত্বীক হয়েছেন । অনেকগুলি ছেলেমেয়ে । বড় ছেলোট এম. এ. পাশ ক'রে চাকরীতে ঢুকেছে_সেও আজ বছর-কতকের কথা । আর জয়ন্তী চৌধুরী ? ওদের আঁফসের সবচেয়ে সশ্রথ মেয়ে ত বটেই, সবচেয়ে শোঁখিনও । ভাল দামী প্রসাধন-সামগ্রণ ছাড়া ব্যবহার করে না, নিত্য নূতন শাড়শ পরে অফিসে আসে । রচিজ্ঞান প্রথর-_-সে সম্বন্ধে প্রায়ই উপদেশ দেয় সহকাঁমণীদের । ফুরফুরে মেয়ে জয়ন্তী, দেখলেই মনে হয় লতার মত ভঙ্গুর ও কোমল, প্রজাপাঁতর মত সখাঁবলাসা । সেই জগ্নম্তী বিয়ে করেছে শাশবাব্‌কে ? মুখ দিয়ে নিজের অজ্ঞাতেই বোরয়ে গেল প্রশ্নটা--যোগাযোগটা হ'ল কী ভাবে? বাপ-মা--2) “ক্ষেপেছেন আপাঁন ১ এ সব মেয়ে বাপ-মার তোয়াকা রাখে ?নজে- শনজেই সম্বন্ধ করেছেন ঠাকরুণ ।**কাদিন ধয়েই শুনাছ আফসের পর শশিবাব্র সঙ্গে সিনেমায় যাচ্ছেন, একদিন আমার সঙ্গেও দেখা হয়ে গেল, নিউ ৮৯ গীজেন্দুকুমার মিত্র রচনাবলণ (৬-১)--৬ এম্পায়ারের বক্সে বসে দেখছেন গুঁরা দুটি মার প্রাণী। মানে আরও দুখানি টিকিট কিনে নম্ট করেছেন শাশবাব। তারপরে এই খবর একেবারে । পাবেন, পাবেন--আপানিও খবর পাবেন। শুনাছ পার্ট দেবে গ্রেট-ইস্টানে।, বিমল আর কথা না বাঁড়য়ে নিজের 'সিট-এ 'গিয়ে বসল । গিম্তু তখনই কোন কাজে মন 'দিতে পারল না। বাংলা দেশে- শুধু বাংলা দেশে কেন--সব দেশেই এমন হাজার হাজার মেয়ে চিরকাল প্রো বা বহ্ধার লালসার খোরাক হচ্ছে--কিন্তু সে বাধ্য হয়েই । প্রয়োজনে- বাপ- মায়ের অভাবের তাড়নায় । “কিন্তু জয়ন্তীর কী এমন দরকার পড়ল ? সে পনজে চাকরশ করে, দেখতেও সহশ্রী। তার ত কোন প্রয়োজন ছিল না এত তাড়াতাঁড় এ বৃদ্ধের কাছে আত্মসমপণ্ণ করার । শশিবাবু, রোগা একহারা শ্যামবর্ণ--নতান্তই শ্রশহশীন চেহারা । একটাও দাঁত নেই- বাঁধানো পাটি দুটোও খাপ খায় ন ঠিক, কথা বলবার সময় অনবরতই মনে হয় খুলে পড়ে যাবে । সেজন্য একটা 'বিশ্রশ শব্দ হ'তে থাকে, কতকটা হাঁসের প্যাঁক-প্যাঁকানির মত। তার পাশে জয়ম্তী--ছঃ ! 1বমল জোর ক'রে পাশের লাল-পোন্দিল-চাহ্ুত ফাইলটা টেনে 'নলে। কম্তু এ-ই বা তার অকারণ কী চিত্তক্ষোভ! 'বমলের নিজেরই হাস পেল খাঁনক পরে । তার এতে আপাঁত্তর আছেই বা ফি? বার সব চেয়ে আপাতত করবার কথা, সে যাঁদ নিজেই এ কাজে অগ্রণণ হয়ে থাকে ত কার ক বলবার আছে। এ গায়ের জবালার 'ি তাহ'লে এই অর্থ ষে জয়ন্তী চৌধুরী সম্বন্ধে তার নিজেরও িছু দুর্বলতা ছিল ? নানা । প্রবলবেগে ঘাড় নাড়ে গবামল 'ানজের মনেই । এ ধরণের প্রজার্পাতি মাকাঁ মেয়েদের ঘৃণাই করে সে। যা খুশী করুক জয়ন্তী চৌধুরণ-_ তার কি ? বিমল জোর ক'রে ফাইলে মন বসায় । আঁফস বসবার পুরো পকসতালশট মানট পরে পতর্ণমা এসে পেশছল । দরদর ক'রে ঘামছে সে। ঘামে ওর গোটা ব্লাউজটাই গভজে উঠেছে, ছোট্ু একটুখানি মেয়েলি রুমাল সপংসপ্‌ করছে ভিজে । আসনে বসে সেটাতে একবার মুখ মোছবার বৃথা চেম্টা করে সে সোজাসহাজ আঁচলেই মুখ এবং গলা মুছে 'মিল। সোঁদিকে চেয়ে কণ একটা বলতে গিয়েও চেপে গেল 'বমল। মনে হচ্ছে বেচারী ষেন ছটতে ছুটতে এসেছে । এর পর আর কিছু বলা সম্ভব নয় । কিন্তু সে ছু না বললেও পযার্ণমা তার অকাঁথিত প্রশ্নেরই জবাব দলে, “আজও লেট--এই বলবেন ত! পর পর তিন দিন লেট হয়ে গেল। কিচ্তু কী করব, মাথা তেড়ে মরা ছাড়া ত আর কোন উপায় দেখাছ না। আজও বাবার এমন ঘাড়াবাঁড়-এক্ হাতে রান্না করা, ডান্তারের বাড়ী যাওয়া--সব। ডান্তার এনে ইনজেকশন: দিইয়ে তবে বেরোতে পারলুম ॥। স্নান বা খাওয়ার খান কোন চেষ্টাই তব করি নি। কিন্তু হ'লে ক হবে, ডান্তারও 'বাঁজ, নটার পর তিনি এলেন। তাও কতকটা আমার গ্রাত দয়া করেই ।'"বাস এবং দ্রাম-_ কোনটাতেই উঠুতে পারলৃম না, সে"ও মিনিট দশেক বৃথা কেটে গেল। তারপর সোজাসীজ হেশ্টেই--প্রায় ছুটতে ছুটতে আসছি । আর কি করতে বলেন আপাঁন ?, কণ্ঠে যেন তার রীতিমত আভযোগ । “আমি কিছুই করতে বাল না মিস্‌ রায়--আর বলবই বা কেন? ওপর- ও'লারা কিছ না বললেই হ'ল !**" “সে ত তাঁরা বলবেন। নিত্যই বলছেন। কিন্তু কী কার আম । কোন- মতে মরতে পারতুম ত বেশ হ'ত!) দুই চোখে তার জল ভরে আসে । সোঁদকে চেয়ে বল যেন হঠাৎ একটু কোমল হয়ে আসে । কথাটা ঘুরিয়ে দেবার জন্যই বলে, এঁদকে খবর শুনেছেন--আপনার এক সহকার্মনীর বয়ে 2, কার--জয়ন্তীর নাক 2 সামান্য একটু কৌতূহল কন্ঠে ফুটলেও চম:কে ওঠে নাসে। বরং বেশ স্বাভাবিক সংরেই বলে, 'শাঁশবাবকে গেথে তুলল শেষ পর্যন্ত। না? আর কেউ ? শাশবাবৃর সঙ্গে বলেই ত শুনলম । আপাঁন জানতেন নাক 2, হ্যা। ও ত আমরা কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করোছ। আপাঁন শোনেন ন ? 'না। কিন্তু মাপ করবেন অপরের ব্যাপারে নাক গলানো হয়ত অন্যায় --৮06 19 শাশবাবু ?, “তাছাড়া উপায় কি ছিল বলুন ? মানুষটা একটু শৌ।খন--দেখেছেন ত বিলাস ভালবাসে বললে ভুল হবে-বলাস এখন ওর প্রয়োজন হয়ে উঠেছে । ওর বাবা ছিল বড় আঁফসার, মেয়েকে সেই ভাবে মানুষ করোছলেন--ছোট বেলা ওর জন্যেই তাঁর দশ" আড়াইশ; টাকা খরচ হ'ত। ঝপ্‌ করে মারা গেলেন ভদ্রুলোক--একটি পয়সা রেখে যেতে পারেন শন, উল্‌টে গবস্তর দেনা রেখে গেছেন । একাট ভাই আছে, সেও সবে চাকরীতে ড.কেছে। ছোট সংসার কোনমতে চলে বামন তাই, কিন্তু ভাল দেখে বিয়ে হবে সে আশা কম। কে কবে বিনা পয়সায় বিয়ে ক:বে--তাই ব'লে বসে থাকবে কতাঁদন ? কে-ই বা উদ্যোগণ হয়ে দেবে বলুন? এক এই আঁফসের কোন ছেলে জুট্‌তে পারত 'িন্তু তাতে ওর পোষাত না। সে-ই ত দারপ্র্য!"'*চাকরী ও করতে চায় না কোনাঁদনই । তার ওপর ওর চাই এক গাদা হাত-খরচ । শাশবাবু ছাড়া অপর কে সে খরচ জোগাবে ! শাঁশবাবুর শুনোছ পৈতৃক দ7-তিনখানা বাড়ী আছে কলকাতাতে । টাকা-পয়সাও আছে ঢের । এ চাকরণী করেন উাঁন কতকটা শখ ক'রেই ।, 1িমল শ্ুষ্ধ হয়ে বসে থাকে । ধিস্ময়ের বুঝ শেষ নেই । জয়ম্তী চৌধুরী যা করেছে, প্ীর্ণমা রায় তা ৮৩ সমর্থনই করছে-_বরং বলা চলে জয়ন্তীর হয়ে ওকালতি করছে। শকন্তু'“িম্তু তাই ব'লে শাঁশবাব! 014 ৩০০৪৪. 6০ 66 1161 €81৩1 1 কোন তরুণ ছেলে, মনের মত ছেলের সঙ্গে দারদ্যু ভাগ ক'রে নেওয়াও দি এর চেয়ে ভাল ছিল না? একট: চুপ ক'রে থাকে পার্ণমা, বাটিংটার ওপর কলম বোলায় অন্যমনস্ক ভাবে। তারপর বলে, আমরা মেয়েরা সাংসারক বিষয়ে ঢের বেশী প্র্যাকাঁট- ক্যাল-_তা জানেন ত? আমার মনে হয় জয়ন্তী ভালই করেছে । রোম্যাশ্টিক একটা কিছ? করতে গেলে ভুলই করত । শীকল্তু, এ সে ীনজেই আসছে-_”' গবমল তাড়াতাঁড় মুখ তুলে তাকাল । সাঁত্যই জয়ন্তী আসছে । সাদা মূল্যবান ঢাকাই শাড়শ এবং উৎকৃজ্ট প্রসাধনে ফুটন্ত পদ্মফুলের মতই দেখাচ্ছে তাকে । ধকম্তু কাছে আসতে এটাও চোখে না পড়ে উপায় থাকে না-__এঁ সমন্ত প্রসাধন আর বেশভ্ষার মধ্যে আসল ফুলাঁট যেন কিছ? ম্লান। জয়ন্তীর চোখ-দুটোতেও কেমন একটা অস্বাভাবিক রকমের দাষ্ট, গছ? উদ্ধত কহ অশ্রুভারনত ! মুখেচোখেও অপারসীম ক্লান্তির ছাপ । অহরহ ষেন সে কার সঙ্গে সংগ্রাম ক'রে চলেছে-_সেই সংগ্রামেরই ক্লান্ত তার সর্বদেহে-_-উদ্ধত স্পর্ধা তার দৃষ্টিতে ! জয়ন্ত চৌধুরী সম্বন্ধে হীতপূর্বে যত 'বরৃপ মনোভাবই থাক--এই মুহূর্তে ওর মুখের দিকে চেয়ে বিমল একটা বেদনা এবং সহানুভ্ীত বোধ না ক'রে পারল না। সে উঠে দাঁড়য়ে তার স্বভাব-বরদ্ধ একটু কোমল-কণ্ঠেই অভ্যর্থনা জানাল, “আসুন আসুন মিস চৌধুরশ। শরীরটা খারাপ নাক আপনার ? জয়ন্তী ওর পাশের চেয়ার-খানাতে এক রকম ধপ্‌ করেই বসে পডে। তারপর ভমকাশমান্র না ক'রেই বলে, শুনেছেন ত সব ? আমার বিয়ে 1, হ্যাঁ, একটা কানান্বুযষো শুনছিলাম বটে! অস্বীকার ক'রে কোন লাভ নেই। যাই হোক-156 206 90089001905 ০০, 61501, সেই আধা-স্পার্ধত আধা-্ছলোছলো চোখ-দুটো তুলে তাকায় জয়ন্ত ওর মুখের দিকে, খাপছাড়া ভাবে বলে, আর-আর আম পারাছলহম না, এই ড্রাজারী আর পোষাচ্ছিল না আমার । সেক্ষেত্রে কী-ই বা করতে পারতুম বলুন! মন্তর ত আর কোন উপায়ই দেখলুম না।...অন্যায় করোছি কি» “অন্যায় করবেন কেন মিস: চৌধুরী । যাকে ভাল লেগেছে তাকে বিয়ে করছেন । এর মধ্যে অন্যায় আর কি আছে ? এটা নিতান্তই আপনার ব্যান্তগত পছন্দের কথা । তবে যাঁদ নিজের মনের সঙ্গে প্রবণ্ণনা ক'রে থাকেন ত সে আলাদা কথা । তাইস্বা কেন? িসের আলাদা কথা? আত্মরক্ষার জন্য সব ছুই করা যায়--এমন ক আত্মপ্রবগ্চনাও |, একট, তীক্ষ-কণ্ঠেই বলে জয়ম্তণ। তারপর বোধ কার উত্তর এবং সেই সঙ্গে সমর্থনেরও আশায় ব্যাকুল হয়েই চায় মুখ পানে। ৮৪ বিমল এসব প্রশ্ন এ্রাঁড়য়ে গিয়ে মুখে একটু আনন্দ টেনে আনবারই চেষ্টা করে, তা শুভ-কার্যটা হচ্ছে কবে ? জয়ন্তী মাথা নামিয়ে বলে, “রেজেপ্ট্র হয়ে গেছে গত শুক্রবারই । আসছে শানবার একটা পাট" দিচ্ছি গ্রেট-ইস্টার্নে । যাবেন কিন্তু ।, সে ব্যাগের মধ্যে থেকে কতকগ্ীল দামী 'বিচন্র-বর্ণে মাঁদ্রুত কা বার করলে । “তুইও যাস ভাই পার্ণমা |? 'অবশ্য যাবো 1 'িবমল বলে, “কম্তু দামী উপহার যাঁদ না নিয়ে ষেতে পার ত ক্ষুপ্ন হবেন না। পছ ছি! কী যে বলেন!""কী আনন্দের কাজ যে দামী উপহার দেবেন !; ব'লে ফেলেই যেন চমকে ওঠে একট_--চুপ ক'রে যায় সে। পার্ণমা এতক্ষণ একেবারে চুপ ক'রে ছিল । এবার সে আন্তে আন্তে বললে, 'শাঁশবাবূর ত ও-পক্ষের অনেকগ্যাল ছেলেমেয়ে আছে শুনোছ-_যে জন্যে এ কাজ করলে জয়ন্তী 'দি-_, জয়ন্তী নড়ে চড়ে বসে একট: । তারপর গলাটা নামিয়ে বলে, 'কার;র ওপরই কোন আঁবচার হ'তে 'দিই নি, সেই সঙ্গে নিজের ওপরেও না ।*"'উাঁন আগের ছেলেমেয়েদের কতক কতক বিষয় ভাগ ক'রে, একেবারে লেখাপড়া ক'রে খ্দয়েছেন। আমার ওপরও একটা সেটল্‌মেন্ট করেছেন--একখানা বাড়ী আর ভ্রিশ হাজার টাকার ই'ন্দিওরেন্স। তাছাড়া যাঁদ বেশী দন বাঁচেন ত পেনসনও রইল । পকন্তু খুব বেশশ দাম পেলেন ি-আফটোর অল ? কন্ঠের 'বদ্ুপ এবার আর 'িমলের চাপা থাকে না, “ছেলেপুলে যাঁদ হয় এবং পেনসেন যাঁদ না থাকে ত তাদের মানুষ করবার পক্ষে ও ক-টা টাকা খুব বেশী নয় !' ছেলেপুলে 1 যেন হঠাৎ কী একটা বেধে জয়ন্তীয় গায়ে, না না শাবমলবাবু । সব দক হয় না। ছেলেপুলের শখ আর নেই ।**ওসব বঞ্ধাটে যাবো না, আপানি 'নাশ্চম্ত থাকুন ।? ম্লান হেসে উঠে দাঁড়ায় সে। চাল! আরও ক-জনকে বলতে হবে ।; জয়ল্তশ চৌধুরণী চলে গেলে দুজনেই অনেকক্ষণ নিশ্তব্থ হয়ে বসে রইল । তারপর যেন আর থাকতে না পেরেই কলে উঠল পূর্ণিমা, ইস্‌ 1"এ কা করলে জয়ন্তশীদ, এ ক করলে! কা সামানাযর জন্যে কত কা দিলে 1: 19105 0£ 15৩ £61)615 [বিল বললে ধারে ধারে, এ ওর বাবার পাপ । তান যখন অকারণ বিলাসের মধ্যে মানুষ করেছিলেন, সে বলাস যখন ওর মজ্জাগত করিয়ে তাকে প্রয়োজন ক'রে তুলেছিলেন তখন একবারও ভেবে দেখেন নন যে কখনও ওকে বান্ডব জীবনের মুখোমহখি এমন ক'রে দাঁড়াতে হবে। কতটুকু তাঁর ক্ষমতা, ভাবষ্যতেও এই অভ্যাস বজায় রাখার মত যথেষ্ট ৮৫ টাকা গান রেখে যেতে পারবেন দিনা তা কি একবারও ভেবোছলেন ? এখনকার আধিকাংশ বাপ-মাই এই সবনাশ করেন ছেলেমেয়েদের । আগেকার পদনে মেয়েদের বাপ-মার কাছে পদে পদে শুনতে হন্ত- দ্াদন বাদে পরের বাড়ী যেতে হবে, সেখানে না নিন্দে কিংবা ক্ষোয়ার হয় । অমহকটা কারস 'ন, অমূকটা করতে নেই । কত ক 'বাঁধ-নষেধ মানতে হ'ত তাদের ছেলেবেলা থেকে । এখনকার বাপ-মারা--যাঁরা খুব গরীব, তাঁরাও ব'লে থাকেন শান, দুদন পরে ত পরের বাড়ী যাবেই, তাঁদন আমার কাছে আছে একট: আরাম ক'রে নিক:। কিন্তু সেই আয়াম এবং প্রশ্রয় যে তার স্বভাবটাই মাটি ক'রে দেয় তা বোঝেন না। হঠাৎ লড়াই করতে গেলে কেউ করতে পারে না, তার জন্যে চাই দশর্ঘাদনের 'ড্রল বা অভ্যাস । কম্ট করা অভ্যাস থাকলে কম্ট বোধই হয় নাষে!; পাঁণণমার চোখ দুটি ছলছল করতে থাকে । বোধকাঁর জয়ন্তী স্বেচ্ছায় যে ভুল করল তারই পাঁরমাণ আর পাঁরণাম ভেবে! বিমলের কথাগুলো বোধ হয় সব তার কানেও যায় না। 1১৬ ॥ জয়ন্তশ অনুষ্ঠানে পূর্ণবাবুর আর কিছ সুবিধা না হোক- আত্মীয় ভাগ্টা একটু ফিরে গিয়েছিল। অর্থাৎ গুর যে আত্মীয়রা ও*কে সম্পূর্ণ ভূলে বসোঁছলেন- কখনও ও*র খবর নেওয়া আবশ্যক বোধ করেন ?ন, তাঁরাই এবার যেন সচেতন হয়ে উঠলেন। সাধারণের তরফ থেকে চাঁদা তুলে সভা ক'রে যাঁর জন্মোংসব করা হয়, তাঁকে অবহেলা করার বা আত্মায় বলে স্বীকার না করার কোন কারণই নেই--এটা তাঁরা স্পন্ট বুঝতে পারলেন । আত্মীয়রা দু-একজন ক'রে প্রাতাঁদনই খবর নিতে আসতে লাগলেন । ষে ভাগ্নের প্রাসাদে হেলান গদয়ে ওর মেটে-ঘরের চালাটি কোনমতে আত্মরক্ষা ক'রে ছিল__সেই ভাগ্নেই উদ্যোগণ হয়ে নতুন খুশট এবং গোলপাতার ব্যবস্থা ক'রে ঘরটাকে আত্মানর্ভর ক'রে দিলেন । মাসিক পাঁচটাকা ক'রে দিতেন তিনি এর আগেও, এখন সেটা বন্ধ ক'রে দিলেন বটে, তেমান তার বদলে চাল আটা ও চিান--একেবারে মাপকাবার যতটা লাগে হিসাব ক'রে পাঠাতে লাগলেন । শুধু তাই নয়, তাঁর ঘয়ে একাধিক বাহাওয়ালপুরী গাই ছিল, তান দৈনিক এক পোয়া ক'রে দূধেরও ব্যবস্থা কয়ে দিলেন । এতে সখা না হোন--কতকটা নিাম্চন্ত হবারই কথা । কল্তু পূর্ণবাবু তা হ'তে পারলেন না। বন্বং একটা অস্বন্তিই বোধ করতে লাগলেন । কেমন একটা অকারণ কুণ্ঠা এবং সচ্কোচ । সেটা কাউকে বোঝাতে পারা ত দুরে খাক,, মুখ ফুটে বলতেই পায়েন না। এটুকু পার্থর জ্ঞান তাঁর আছে--তাঁন জানেন যে জাপল কথাটা শুনলে সকলেই হাসবে । আর হাসবারই ত কথা ! ৮৬ [বিঘলের সঙ্গে আলোচনা হবার পর থেকে সেই যে তার মাথার মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে সেই সংশয়েই তাঁকে না দিচ্ছে স্থির থাক-তে, না 'দিচ্ছে আত্মীয়দের এই সম্মান ও প্ররগীতকে সহজে গ্রহণ করতে । তাঁর কেবলই মনে হয়-_এই যে সম্মান এরা তাঁকে দেখাচ্ছে এর 'তাঁন ষোগ্য নন। এর ম:লেই একটা ফাঁকি থেকে গেছে । যেটাকে তান কব ব'লে এতকাল আঁকড়ে ধরে রইলেন, 'নম্ঠার সঙ্গে পালন করবার চেম্টা করলেন প্রাণপণে--সেইটেই যাঁদ কর্তব্য না হয় ত এদের কাছ থেকে সে নিষ্ঠার প্‌রম্কার গ্রহণ করবেন কোন্‌ আঁধকারে ? তান কি ভূলই করেছেন তাহ'লে এতকাল ? আগাগোড়া ভুল বুষেছেন আর বুঝিয়েছেন 2 এইটেরই মীমাংসা করতে পারেন না 'তান। ভেতরে ভেতরে ছট-ফট- করেন আর কৃশ দেহটাকে কশতর ক'রে তোলেন ।** এই যখন অবস্থা তখন হঠাৎ ওর এক নাতনী এসে পড়ল *বশুর বাড়া থেকে । নাতনী অথাঁং তাঁর এই আঁদ্বতীয় ধনী ভাগ্নের মেয়ে অরহণা। অরুণাকে পূর্ণবাব একটু বেশী ভালবাসতেন ; তার কারণ শৈশব থেকেই অরূুণা তাঁর বড় ন্যাওটো ছিল-_নাঁত-নাত:নীদের মধো ও-ই একমান্র। ওদের দারদ্যকে সে আমল দেয় নি--বরং আঁধকাংশ দিনই সে ইস্কুলের ফেরং ধপ্রয়ম্বদার কাছে ঝোল ভাত বা দুধ ভাত খেয়ে যেত। এর জন্যে গোপনে যে ওর ওপর দিছু শাসন চলে নি এমন মনে করবারও কোন কারণ নেই । তবু অরূণা ওদের বাড়ী এবং আদর কোনটাই ছাড়তে পারে নি । অর.ণার, বলতে গেলে সম্প্রতি, বছর চারেক হ'ল বিয়ে হয়ে গেছে । পান্লাট ভাল ; ধিহারে কী এক নতুন-পত্তন করা সরকার কারখানায় মোটা মাইনের চাকরী করে। সাতাশ-আটাশ বছর বয়স, এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচশ? টাকা মাঁসক বেতন পায়, দেখতে রূপবান। এক কথায় অরুণার বরাত ভাল । বলাধাহ্‌ল্য বাপের বাড়ী পেশছেই অরুণা ছুটে এল দাদুর কাছে। জয়ন্তীর কথা সে-ও শুনেছে বোক। খুশী হয়েছে সে-ই সবচেয়ে বেশী । দাদুকে তার মা-ও সমীহ করছেন আজকাল, এতে অরুণার আনন্দের সীমা নেই । তোমরা আজ যাকে চিন অরুণা তাকে বহযীদন আগেই চিনেছে--তার মৃখের তৃপ্ত হাসিতে এই কথাটাই স্পম্ট হয়ে ওঠে । অরুণাকে দেখে পূর্ণবাবুও এবার বিশেষ ক'রে খুশী হয়ে উঠলেন । দামী শাড়ী ও ঝলমলে অলঙ্কারের মধ্যে স্বাস্থ্াবতী মেয়োটকে লাবণ্যবতশও মনে হচ্ছিল। কাছে বাঁসয়ে মাথায় গায়ে হাত বুলিয়ে পূর্ণথবাব্‌ অনেক আশশীবা্দ করলেন। কয়েক মাস ধরে মনে মনে উীন নিরন্তর যে পণড়া অনুভব কর ছিলেন তাও যেন এই স্বান্থা-যৌবন-্লাবণ্য-আনন্দের মৃতি'মতী প্রাতমা খানকে সামনে পেয়ে কিছু কালের জনা ভুলে গেলেন । শুধু বাইরে নয়--অন্তরেও ও"র সমস্ত চৈতন্য বার বার আশপবাদ করতে লাগল মেয়োটকে । অরুণা ও"র পায়ে হাত বুলোতে বুলোতে বললে, “ইস, এ কী চেহারা ৮৭ ক'রে তুলেছেন দাদু! আপনি মোটেই ভাল থাকছেন না নিশ্চয় !, ছেলেমানুষের মতই পূর্ণবাবহ বললেন, “তুই ঠিক বলোছস দাদ, আমার শরশর ঘড়ই খারাপ যাচ্ছে । আজকাল যেন কেমন দিনরাতই ক্লান্তি বোধ কার ।: 'আপাঁন এবার আমার সঙ্গে ওখানে চলুন--দন কতক বোঁড়য়ে আসবেন !, দূর পাগলণী, তা ক হয় !ঃ “কেন হবে না। বা-রে! আম বাঁঝ কেউ নই। আমার কাছে গিয়ে ক'টা দিন থাকতে পারেন না ? “জামাই বাড়ী গিয়ে থাকব-_না না, সে ভার লঙ্জার কথা |? “জামাই-বাড়প ত ঠিক সেটা নয়। কর্মস্থান। প্রকাণ্ড কোয়াটরি আমাদের, পড়েই থাকে । আমার *বশুর শাশড়ী কেউই ত সেখানে থাকে না। *বশুরের অত বড় বাড়ী কারবার ফেলে 'তনি যাবেনই বাক ক'রে ?'শ্চলুন দাদ, লক্ষমাট !) প্রিয়ম্বদাও সে অনুরোধে যোগ দেন, 'রুণহ অত ক'রে বলছে, ঘরেই এসো না। শরীর তোমার ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে একেবারে- এখনও গেলে হয়ত সামলে যেতে পারো ।” তবু পূর্ণবাবৃর সঞ্চকোচ ঘোচে না, “জামাই কী মনে করবেন বল ত!” ইস 1-"ওর আবার মনে করাকারর কী আছে । আর আ'মই বা তার গক ধার ধার। আম সেখানে গান না? প্রয়দ্বদার মুখের দিকে চেয়ে পূর্ণবাব বলেন,“তুমি একা থাকতে পারবে ? খুব পারব । কটা গদনই বা!” তারপর একট: ম্লান হেসে বলেন, “বেশশ দন না থাকতে হয় যাতে-_সেই জন্যেই ত যেতে বলছ!” পূর্ণবাবু অসহায় ভাবে একবার অরুণার মুখের 'দকে আর একবার প্রয়ম্বদার মুখের দিকে চেয়ে বললেন, দ্যাখো--তোমরা যা ভাল বোব। কুটুমের কাছে 'নিন্দে না হ*লেই বাঁচি । তোমার বাবা মা গছ: ভাববেন না ত ভাই রুণ ? অরুণা জোর ক'রেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গেল। স্বাস্থ্যকর জায়গা । কারখানা হবার আগেও অপারাঁচিত 'ছিল না স্থানটা । তখনও বহু লোক এখানে আসত- স্বান্থ্টীনবাস 'হসেবে ৷ বাইরে যাবার মধ্যে পূর্ণবাবুকে বার-কয়েক কাশণ বাওয়া-আসা করতে হয়োছিল, তখন কয়েক- বার এই 'দক দিয়ে গেছেন কিন্তু সে সময় এসব জায়গা নেহাংই অরণ্য ছিল। এখন এর চেহারা ফিরে গেছে, কারখানাটিকে কেন্দ্রে রেখে চাঁরাদকে বহুদূর পর্যন্ত শহর উঠেছে গড়ে। বড় বড় চওড়া রাষ্তা বোৌরয়েছে। সেরান্তায় জৰলছে শহহ্ব বড় বড় নতুন ধরনের বিজলশ 'বাতি। দহাদকে সন্দর সংন্দর কোক্নাটরি, তাদের সামনে একট ক'রে বাগান। এর ভেতর ইস্কুল, ক্লাব, ৮৬৬ খেলার মাঠ, সিনেমা--সব রকমই আছে। পাঁর্কার পাঁরচ্ছল্ন ছিমছাম: শহর । পূর্ণবাব্‌ এখানে এসে ভার খুশশ হ'লেন। শব্ধ, সেই নর্মা এবং ধোঁয়াকে পেছনে ফেলে এসেছেন, সেই ভাঙ্গাবাড়ণ এবং অপারিসীম দারিদ্রাকে পেছনে ফেলে এসেছেন তাই নয়-_অপারিসধম আত্ম- গ্লানি, উচিত অনৃচিতের প্রশ্ন, বিমলের সমস্যা-_-সব ছুই পেছনে ফেলে এসে বেচেছেন ষেন। নাত্‌জামাই সোমেশের কোয়াটরিটি ভাল । গতিনখানা বড় বড় ঘর, রান্না- ঘর, চাকরের ঘর, দুটি বাথরুম- কলকাতার গহসেবে বড় গৃহস্থের থাকবার মত জায়গা । থাকে এরা দুটি প্রাণী, অরুণার একাঁট শিশহ এবং এক চাকর । কয়লা নাকি কিনতে হয় না, তাই সব সময়ই প্রায় উনূন জহলে। বাথরুমে গরমজলের কলে দিনরাত এবং বারোমাসই গরম জল মেলে । সরকার থেকে পাখা, রেডিও অনেক কিছুই 'দিয়েছে--আসবাবপন্ত ত বটেই । এত স্বাচ্ছন্দ্য এবং প্রাচুযেরে মধ্যে পূণবাব তাঁর এই দশর্ঘ জখবনে একটি দিনও কাটান নি। সুতরাং প্রথম প্রথম ভার একটা আরাম বোধ করলেন। কিন্তু দনকতক পরেই সত্যটা আরব্য রজনীর দৈত্যের মত সামনে এসে দাঁড়ায় তার বিকট চেহারা নিয়ে । তাহ'লে ত বিমলের কথাটাই ঠিক। এই সুখ এবং াবলাস-_এ ত কারখানারই অঙ্গ ; ব্যবস্থা হয়েছে যাদের জন্য, তাদের কারদর জাবনে “ভীতার্থানাং ভয়হেতু” কোন কাজে আসবে না কোন 'দন ! সোমেশও আই, এস-স পাশ ক'রে কোন এক কারখানার পাঠশালায় পড়ে এখানে এসৌছল চাকরী করতে । আর সেই জোরেই এত টাকা মাইনে পাচ্ছে, লেখাপড়ার জোরে নয়৷ ভার অস্বাস্ত হয় পূর্ণবাবুর । গবলাসের এই সহম্ত্র উপকরণ তকে যেন নিরন্তর বেধে। একট. অন্যমনস্ক হবার সুযোগ খোঁজেন। সোমেশকে জিজ্ঞাসা করেন, “তুম খবরের কাগজ নাও না দাদহভাই ? সোমেশ একটু অপ্রাতভ হয়। মাথা চুলকে বলে, 'না। মানে কাগজ পৌঁছায় সেই সন্ধ্যায় । তার আগে রোডওতে িনবার খবর শোনা হয়ে ষায়। 'শমছিমিছি বাজে খরচ ক'রে লাভ কি 2, 'তাবটে। চুপ ক'রে যান পূর্ণবাবু। কিন্তু কোন বইও নেই এদের বাড়ী। অবশ্য পড়বার সময়ই বা কই খুব ? সোমেশ পৌনে সাতটায় ( চাকরের ঘরে এলার্ম দেওয়া থাকে ঘাঁড়তে-_সে উঠে চা ক'রে ধুম ভাঙ্গায়--ঠিক 'নাদর্ন্ট সময়ে ) ঘুম থেকে ওঠে--সাড়ে সাতটার ভেতর দাঁড় কামিয়ে নান ক'রে ব্রেকফাস্ট সেয়ে বোরিয়ে পড়তে হয় তাকে । দংপ?রে লান্চ্‌. নিতে আসে কিন্তু সে আধঘণ্টার জন্য । বিকেল চারটেয় ছুটি হবার কথা--পাঁচটার আগে কোনাঁদনই ধরতে পারে না, এক ৮৪ একাঁদন আরও দেরী হয়। এসে চা খেয়েই ছোটে ক্লাবে । ভার খেলাধূলোর শখ ছেলোটর--টোনস, গলফ, বিলিয়াড--সব রকমই জানে । ক্লাব থেকে বাড়ী ফিরতে নটা সাড়ে-নটা বাজে--তখন ক্লান্তিতে দেহ ভেঙ্গে আসে। খেয়েই শ:য়ে পড়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। অরুণার অবশ্য অখন্ড অবসর । কিল্তু সে পড়তে ভাল বাসে না । বোনা এবং কাপড়ে ফুলশতোলায় তার ঝোকি বেশী । এ ছাড়া মেয়ে আছে, রোডিও আছে, গসিনেমা আছে-প্রাতবেশীরা আছেন। সন্ধ্যার দিকে পালা ক'রে আন্ভা বসে পাড়ায় । তাছাড়াও মেয়েদের একাঁট প্রাতত্ঠান আছে এখানে, অরংণা আবার তার সহসম্পাঁদকা । কাজও কম নয় খুব তার । পূর্ণবাব্‌ তবু সসঙ্কোচে একাঁদন বইয়ের কথাটা তুললেন । সোমেশ ব্ন্ত হয়ে উঠল, 'তাইত, ইন:স্টাটিউটে মাসে মাসে চাঁদা দিচ্ছি, বই আসেও না কেন জান না। দ'খানা বই আমার পাবার কথা । ওগো শুনছ, আজই লছমনকে পাঠিয়ে ভাল বই আঁনয়ে দিও ত দাদুকে । সাঁত্য, ও*রই বা সময় কাটে কি ক'রে ?? 'ইাঞজানয়ারিং বই কিছু পাওয়া যায় এখানে দাদুভাই ? ইঁঞীনয়ারং? সে ত আফস লাইব্রেরীতে আছে । কম্ত”-বস্ময় আপাঁনই ফুটে ওঠে তার কন্ঠে, শীকন্তু সে আপাঁন-- 1 মানে আপনার ক ও ধবষয়ে পড়া আছে কিছ 2, অপ্রাতভভাবে পূর্ণবাব বলেন, “না না। ওটা আমার ধৃষ্টতা ছাড়া বকছ: নয়। ধীকছুই বাব না। পাতা ওলংটাতেই ভাল লাগে । ও একটা হাব আর কি ।, অরুণা মাথা নেড়ে বলে, উহ । আম জান, আপাঁন ত মধ মধ্যে পাড়ার হঞ্জানয়া'রং ছাত্রদের কাছ থেকে বই এনে পড়তেন 1, তাই নাক ? স্ট্রেঞ্জ !.".আচ্ছা আম এনে দেব এখন আঁফস থেকে কিছ: !, ব্যন্ত-সমন্ড হয়ে উঠে পড়ে সোমেশ । আটটায় হাজরে, এতটা প্* যেতে হবে। আর মোটে পনেরোটি মিনিট সময় আছে। পাড়াতে প্রবীণ লোকও দু? চারজন আছেন। তাঁদের কেউ কেউ যেচে- এসেই পূর্ণবাবূর সঙ্গে আলাপ করেন । কোথাও বা অরুণাই নিয়ে ঘায় তাঁকে। এভাবের সামাজিকতায় তান ঠিক অভ্যস্ত নন--তবুও তান যান সমস্ত রকম সঞ্ফোচ কাঁটয়ে। বহুদিন যে শামূকের মত একটা খোলার মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে রেখে ছিলেন-_একট; বাইরের হাওয়া লাগানো সাঁতাই দরকার । কিন্তু আশে-পাশের যত কোয়্াটারেই যান-প্রায় সর্বপই এ একটা 'জানস লক্ষ্য করেন পূ্ণবাব--বইয়ের বালাই নেই । দু" এক জারগাযর় গৃহপারা লাইরেরা থেকে বই আনান বন্ধরে--কেনা-বই কারুর বাঁড়তে দেখা যায় না। অথচ প্রচুর পয়সা খরচ করেন প্রতোকেই, অনাবশাক বিলাস দ্রবো অর্থবায়ের কার্পণ্য নেই একটুও । ফেরণ-ওয়ালার দল দুপুরে বা বিকেলে এই সব কোয়াটারে উঞ্জাড় ৪১০ করে গিয়ে যায় নানাবিধ পণ্য । ভাকেও আসে কত কশ 'জানস ! শুধু বই-ই আসে না কারুর বাড়ী । বৃদ্ধদের সঙ্গে বসে গঙ্প ক'রেও খুব তৃষ্তি পান না পূর্ণবাবু। আধকাংশই আলাপ-আলোচনাই পারবারক জীবনের পথ ধরে চলে। ছেলেমেয়েদের অকৃতজ্ঞতা, বর্তমান যুগের মাত গাঁত, গৃহিণশদের নিব্বাম্ধতা - এই সব। তা নাহলেও বৈষাঁয়ক কথাবাতাঁ বেশী ।-*শীশাক্ষত লোকও আছেন এদের মধ্যে । তাঁদের কাছে পর্ণবাব্‌ সাহত্য বা দর্শনের কথা তুলতে চেয়োছলেন, দু-একজনের সঙ্গে এ সব বিষয়ে আলাপ ক'রে আনন্দও পেরেছেন 1িম্তু সৌঁদকে তাদের মন না থাকায় কিছুতেই সে পথে আলোচনাটাকে ধরে রাখতে পারেন নি। পূর্ণবাবূর কেমন একটা ধারণা 'ছিল যে বৃদ্ধ হ'লেই মানুষের মন ঈশ*বরাভিমূখী হয়-_সেভুলটাও এবার ঘচল । দু-একজন শাস্তগ্রন্হ পাঠ করেন বটে, কিন্তু সেই পাঠের অহঙ্কার ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে 'িছুই পাওয়া যায় না। সে সব বইয়ের ভেতরে তাঁরা ঢুকতে পারেন ?ন। এদের চেয়ে পথের ধারে দ্‌ একজন মজুরের সঙ্গে কথা কয়ে তব্‌ আনন্দ পেয়েছেন পূর্ণবাবৃ । জীবন সম্বন্ধে এদের ধারণা খুব সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্পন্ট । এরা বিবেককে বেশ ভয় করে, ঈশ্বরকে বেশী ভালবাসে-_এঁ সব তথাকাঁথত শাঁক্ষত লোকের চেয়ে । কিন্তু এদের সঙ্গে বেশী মিশতে আবার পূর্ণবাবুর সাহসে কুলোয় না--কী জানি, আফসার নাত-জামাই, সে আবার কি ভাববে । হয়ত সে পছন্দ করে না এই ধরণের মেলামেশা । পূর্ণবাব আবারও গুটিয়ে নেন নিজেকে । সোমেশ দু একখানা হীর্জানয়ারং বই এনে দিয়েছে আঁকফস থেকে, সেইগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করেন। এগুলোর মধ্যেই তবু আজও কিছু শান্ত আছে! ॥১৭| প্ার্ণমা সোঁদন এসে পর্যন্তই কেমন উসখুস করাছল । সেটা বিমলের চোখে পড়বার কথা নয়, কারণ সাধারণতঃ সে যখন কাজ করে একমনেই করে এবং যখন করে না, তখন অন্যমনস্ক হয়ে বসে থাকে । আর সে “অন্যটা ঠিক পাশ্বীর্তনীদের কেউ নয়-_তা বলাই বাহূল্য। কিম্তু সোদন বিমলের টৌবলে কাজ ছিল কম, মনটাও ছিল অনেক দিন পরে কিছ হালকা । তাই কয়েকবারই সে মাথা তুলে পার্ণমার দিকে তাকাল এবং প্রত্যেকবারই লক্ষ্য করল যে পৃর্ণিমা তার দিকে কেমন একরকম ভাবে চেয়ে আছে । অর্থাৎ যেন ধিছ্‌ বলতে চায়-__অথচ ঠিক ভরসা ক'রে বলতে পারছে না । অকস্মাৎ বিমলের মনটা কোমল হয়ে উঠল । সে নিজের কাছে অকারণেই স্বীকার করল যে পৃর্ণমা মেয়োট মোটের ওপর মন্দ নয় । সাধারণ মেয়েদের মতই হয়ত ওরও কিছ; বৃণ্ঘর অভাব আছে 'কিম্তু আন্তাঁরকতার অভাব নেই। খাটতে সে চায়, খাটেও। কাজে ভুল হয়, তবে ফাঁক দেয় না। তাছাড়া ৯৯ পার্ণমাই অন্তত তার সেকশ্যনের একমান্ন মেয়ে--সংসার চালানোর জন্য চাকর করতে হচ্ছে বলে যে অন্যোগ করে না। মনের এই একটি বিশেষ দুর্বল অবস্থায় বিমলের কণ্ঠস্বরটা আশ্চর্য স্নক্ধ শোনায় । সেপ্রশ্ন ক'রে বসে, 'কী ব্যাপার আজ আপনার-_মিস রায় 2". ফাইলে যে একেবারেই মন বসছে না ।-"'আপনারও ক জয়ন্ত চৌধুরণর হাওয়া গায়ে লাগল না কি ? পার্ণমা নিমেষে রাঙা হয়ে ওঠে । তবে তার কণ্ঠস্বরে একট; প্রচ্ছন্ন 1তরস্কারের সুরই বাজে। সে আন্তে আন্তে বলে, “ওসব 'চন্তাবিলাসের অবস্থা আমার নয় বিমলবাবু, সে ত আপাঁন জানেনই 1, িমলও বোধ কার কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই সচেতন হয়ে পড়েছিল। সে তাড়াতাঁড় অনুতপ্ত সুরে বলল, একছ মনে করবেন না মিস রায়, কথাটা বলা আমার ঠিক হয় নি। আপনাকে অন্যমনস্ক দেখাঁছিলম বলেই? কথাটা অসমাপ্ত রেখেই বিমল একটা 'জরুরণ-মাকাঁ ফাইল টেনে নেয় । কিন্তু প্যীর্ণমা যেন নিজেও একট; ব্রত হয়ে পড়ে । তার বড় টোবলটার অপর প্রান্তে রেখা বসে, সে আজ আসে 'ন। তারই শ্‌ন্য চেয়ার-খানার দকে চেয়ে সে কলমটা নিয়ে নাড়া-চাড়া করে শুধু--কাজে মন দিতে পারে না গকছৃতেই । গবমল সেটা চোখে না দেখলেও অনুভব করতে পারে গকন্তু আর কোন প্রশ্ন করে না, বা ওর 'দিকে তাকায়ও না। একবারের শিক্ষাই যথেষ্ট, অনাধকার চচা সে আর কোন-মতেই করবে না, মনে মনে এই প্রাঁতজ্ঞাই করে বার বার। এ যেন কী একটা হয়ে গেল। প্ার্ণমার মূখে এই ভাবটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ততক্ষণে । যে সুরে এই মান ওদের কথোপকথন হয়ে গেল-- সেটার ঠিক উলটো সুরে কথাটা কী ক'রে শুরু করা যায়, এই কথাটাই ত ভেবেছে পাণ্ণমা- বলতে গেলে সারা সকাল ধরে । তার যেন কান্না পাল্প অদৃজ্টের এই অকরুণ এবং অকারণ পাঁরহাসে । চোখ-দুটো ছল ছল করতে থাকে । অনেকক্ষণ পরে, বোধ হয় প্রাণপণে সাহস সয় ক'রেই--কতকটা কাঁদো কাঁদো গলাতে সে খুব ছুঁপ ছাপ প্রশ্নটা করে, “আমার ওপরে কি রাগ করলেন আপনি ?' কণ্ঠস্বরটা ভুল বোঝবার উপায় নেই । চমকে মুখ তোলে বমল, 'বাঁস্মত ভাবে প্রশ্ন করে, সে কি! আম রাগ করব কেন মিসরায়। রাগত আপনারই করবার কথা ! আমার অনাধিকার চচাঁ শুধু নয়-ধূন্টতায় ।*"" কিন্তু আপাঁন ?ক বসে বসে এখনও সেই কথা ভাবছেন নাক? ছিছি, আপান বন্ড ছেলেমানুব 1 এবার আর চোখের জল বাধা মানে না। লজ্জা পেয়ে তাড়াতাড় ব্যাগ্ধ থেকে রুমাল বার ক'রে চোখ দুটো মুছে নেয় পীর্ণমা। তারপর ধরা ধরা গলায় বলে, “আমার বরাতটাই মন্দ, বা করতে যাই উল্টো হয়ে ষায়। দেখুন ৯২ না সকাল থেকে ভাবাছ আপনার মনটা ভাল থাকলে সময় বুঝে একটা অনুরোধ করব--অথ্চ আপনাকেই রাগিয়ে বসে রইলম !, 'কাঁ'বিপদ!, এবার মলের 'বত্রত হবার পালা-_-'আমি রাগ করলুম এটাই বা ধরে 'নচ্ছেন কেন? আম সাত্যই রাগ কার নি। বরং লাঙ্জত হয়োছ নিজের অসতর্ক কথায় ।.*আমার বরং জিজ্ঞাসা করা উঁচত 'ছিল যে আপনার শরীরটা খারাপ লাগছে কি না। যে রকম উসথ্‌স করাছলেন-_! সাঁত্যই শরীর খারাপ হয় নি ত? 'নানা। আসলে আপনার কাছে একটা কথা পাড়বার জন্যে সাহস সন্যয় করছিলুম। বার বার চেষ্টা করাঁছলম-কিম্তু ভরসায় কুলোচ্ছিল না।” বিমল বিস্মিত হয়ে বলে, “কেন? কী এমন কথা? অসম্মানজনক কিছু? গালাগাল দিতে চান ?, “কী যে বলেন-_ 1 হেসে ফেলে এইবার পার্ণমা, “সে সব কিছ: নয় ।, তারপর আরও একটু চুপ ক'রে থেকে বলে, কাল আম গনজে হাতে একরকম পিঠে করেছিলুম, গোকুল পিঠে । মা দেখিয়ে দিয়োছলেন অবশ্য-_ কিন্তু করেছি সব নিজে । আপনার জন্য গোটা-দুই এনেছিল:ম, খাবেন কিনা এইটেই প্রন করতে সাহস হচ্ছিল না!, এক নিঃ*বাসে, যেন মরায়া হয়েই ব'লে ফেললে পার্ণমা। কিন্তু প্রত্যাখ্যানের আশঙকাতে মুখ ওর বিণ” হয়ে উঠেছে ততক্ষণে । (বিমল মুখে একটা অস্ফুট শব্দ ক'রে বলে, “ও হার, এই কথা !""*তা এত ভয় কেন বলুন ত, আম 'কি এতই ভয়ানক লোক যে একট; "মান্ট খাবার কথাও আমাকে ভরসা ক'রে বলা যায় না ?, কগ জানি বলুন-_ এক কাপ চা খাওয়াতে চাইলেই আপাঁন কত কথা বলেন ! হয়ত বলে বসবেন যে আপনাকে এর বদলে বখন 'াম্ট ক'রে খাওয়াতে পারব না-*তখন আপনার কাছে খাবোও না!” অন্যাদকে মুখ ক'রে বললেও পযাঁণমা বেশ স্পম্ট ক'রেই বলে কথাগুলো । 'বা, আপনারও ত বেশ স্পাইট: আছে দেখাছ ! সোঁদন থেকে মনে ক'রে রেখেছেন কথাটা !...আচ্ছা আর বলব না। দিন, কী পিঠে করেছেন দোখ--"” নিজের হাতব্যাগটা থেকেই তাড়াতাঁড় ছোট্র একটা 'টাফন-কৌটো বার ক'রে দেয় প্ার্ণমা। বিমল ওর স্বভাব-ছাড়া আগ্রহ দেখায়--তখনই একটা পিঠেতে কামড় লাগিয়ে বলে, বাঃ! চমৎকার হয়েছে ত? এ কাঁ সাঁত্যই আপাঁন করেছেন ? হাঁ মশাই । বিশ্বাস না হয় মাকে জিজ্ঞাসা করবেন চলুন ! পার্ণমা কিন্তু এটুকু প্রশংসাতেই যেন খুশিতে ঝল:মালয়ে ওঠে । 'না সাঁতাই বড় ভাল হয়েছে । তারপর একটা দশর্ঘীনঃ*বাস ফেলে বলে, “আমাদের বাড়ীতে কত কাল যে এসব হয় নি। স্বাদই ভুলতে বসেোছ। ** আর হবেই বা ক ক'রে, ডালভাতের যোগাড় করতেই প্রাণান্ত, এসব আহার ত এখন আমাদের ক।ছে লাস 1 ৯৩ আমাদের অবস্থাও আপনাদের চেয়ে খুব ভাল নয় । নেহাৎ আমার উৎসাহ দেখেই--নতুন 'শিখাছ বলে--মা বাধা দিতে পারেন 'ন। “কল্তু তাঁর মুখ শুকিয়ে উঠেছে । অন্য অনেক খরচ থেকে বাঁচিয়ে এটা পূরণ করতে হবে। তাই ত বেশণ করতে পার নি। গুনে-গে'থেই করতে হয়েছে ! দিমল কৌটোটা ওর হাতে 'ফারিয়ে দিয়ে বললে, “ধুয়ে দিয়েছি এক দফা -তব্‌ দিতে সঞ্চেকোচই হচ্ছে । মেজে দেবার ত কোন উপায় নেই ।, “পাগল হয়েছেন আপাঁন! আমাকে গিয়ে ত বাসনের পাঁজা নিয়ে বসতেই হবে ।; তারপর কতকটা ছেলেমানুষের মতই বলে, 'আপনার কথা আমি মিথ্যে প্রমাণ করবই । জানেন আজ চোদ্দ দন আমছে না, তার মেয়ের কলেরা । দু+বেলা সব বাসন আম নিজে মাঁজ 1 তাছাড়া রাত্রের রান্নাও রোজ রাঁধি। মাকে দিছুতেই র্লাশ্লাঘরের দিকে আসতে দিই না। আর তাও যেমন তেমন ক'রে নয়-মা কাল স্বীকার করেছেন যে-এবার আমার কাজ অনেকটা পাঁরষ্কার হয়ে এসেছে । আমার হাতে হে*সেল ছেড়ে 'দতে আগে যতটা ভয় করত এখন আর তত করে না!; পিল ফিছক্ষণ 'স্নধ্ধ দৃম্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে বলে, “এই বাড়াতি খাটীনর জন্যে িন্তু আমাকে 'দায়শ করবেন না। আগনারা ঘা, আম তাই বর্ণনা করোছ-_-অনারকম হ'তে বাল নি । সে ধৃঙ্টতাও আমার নেই ।***তবে নাঁতা কথা বলতে কি এতে কোন ক্ষাত হয় নি আপনার, বরং কতকটা ফ্রেশই দেখাচ্ছে এই ক-দনে 1, লঙ্জায় খুশশতে আরও রাঙা হয়ে ওঠে পাার্ণমা । অপাঙ্গে দ্রুত একবার নাজের হাত-পা গুলোর ওপর চোখ বলয়ে নিয়ে বলে, “কে জানে । অত লক্ষ্য কার! ন। তবে খারাপ 'িছু লাগছে না, এটা ঠিক ।, আঁফসের ফেরৎ 'বমলের একটা চায়ের 'নমল্প্ণ ছিল। সাধারণত এ ধরণের গনমন্মণে সে যায় না, কিন্তু আজ ওর না গেলেই নয় । কুমুদশীশ ওর বহুকালের বন্ধ! কলেজ জীবনে ষে ক-ট ছেলের সঙ্গে ওর সত্যকার সোহা হয়োছল কুমূদশ তাদেরই একজন । ছাত্র সে খুব ভাল 'ছিল না কোনাঁদনই কিন্তু মানুষটা ভাল ছিল। কোন মতে এম. এ-তে ফাস্ট” ক্লাসটা পেয়ে গেল, তার ওপর বাবাও একটা কী বড় চাকরী করেন যেন--তাই তাঁদ্বরের জোরে এক বেসরকারী কলেজে অধ্যাপনার কাজ পেয়েছে । বেতন বেশী নয়, এখন থেকেই 1টউশনশী শুরু করতে হয়েছে, তবু কুমুদীশ সুখী । সে ইচ্ছে করলে সরকারধ চাকরণ পেত কিন্তু তার নাক এইতেই আনন্দ । এ কাজ পাবার পর যোঁদন প্রথম দেখা হয়, মোঁদন বিমজও একটু অনুযোগ করেছিল । তার জবাবে কুমুদীশ বলোছল, 'না ভাই আমার বহুদিনের শখ, বেশ থাক আমি ছেলেদের মধ্যে । সয়কারশী আঁফসের ফাইল ঘাঁটার চেয়ে এ ঢের ভাল। আর সম্মান কত। যখন অনেক ছাগ্ন হয়ে যাবে--তখন যেখানেই যাবো, কেউ না কেউ ৯৪ এগিয়ে এসে পায়ে হাত "দয়ে প্রণাম করবে । ভাবতেই আমার ভাল লাগে। আর কণ হবে, সরকারণ চাকরণতে বা এমন কি রাজা হতুম। পৈতৃক বাড়শ আছে, বাবা যা জ'ময়েছে তাতে তাঁর শেষ বয়স কেটে যাবে ভাল ভাবেই। আমার সংসারটা আম চালিয়ে নিতে পারব না ?, গবমলের ভালই লেগোছল কথাগুলো । পড়াতে ভাল লাগে বলে পড়াতে যায় এমন মানুষ আজকাল ত পাওয়াই শস্ত । সেই কুমুদীশের বাড়ী নিমন্ত্রণ । উপলক্ষটা কুমুদীশ বলে 'নি। বলেছে, “চা খেতে বলাছ চা খেতে আসাব । অত কারণে দরকার কি ? কারণ বললেই-_ তা যত তুচ্ছ কারণই হোক্‌--উপহার 'কিনতে দৌড়বি। উপহার দেওয়াটা মধ্যে ছিল ফ্যাশন, এখন হয়ে দাঁড়য়েছে ব্যাধি। ক্ষমতা থাক বা না থাক-_ মোটা টাকা 'দয়ে উপহারের জানিস িনতে হবে । তাতে শেষ মাসে পয়সার অভাবে বাজার না হয় সেও ভাল ।-" না, কারণ দরকার নেই। দয়াকরে অকারণেই যেও ।, অবশা উপলক্ষটা বিমল অনুমান করতে পারে। চাকরী পাবার পরই কুমুদীশের বিয়ে হয়েছিল । মাস-ছয়েক আগে ছেলে হয়েছে । সম্ভবত, সেই ছেলেরই অন্নপ্রাশন। কিন্তু কুমৃদগশ খন কারণ বলতে চার না--ওরই বা গরজ ক ? তাছাড়া-_লাঁত্যই, উপহার কিনতে গেলে ওর পক্ষে যাওয়াই সম্ভব হ"ত না। কুম্‌দীশের বাড়ী গিয়ে দেখলে নিমল্্রণের পরিধিটা খুব বিস্তৃত নয়। ওর কলেজের অধ্যাপক জন-সাতেক, 'িবমল আর তাদের আর একজন সহপাঠশ এবং কুমুদীশের শালা । মোট এই ক-ট লোক। উপলক্ষটা কেউ-ই জানে না অন্তত সরকারী ভাবে জানে না। কুমুদশশ তায় ছেলের কথাটা উল্লেখই করলে না- সামনে কেউ নিয়েও এল না। বোবা গেল যে এ 'বষয়ে তার কড়া গনেশ আছে । কেউ পাছে উপলক্ষটা অনুমান ক'রে নিয়েও অপ্রাতিভ হয়, সেই জন্যই এত সতকর্তা। অনেকাঁদন পরে এই পাঁটতে এসে ভার ভাল লাগল 'বিমলের। কুমৃদীশের রুচিজ্ঞান আছে, আহার্ধের আয়োজনটা দহ? তন দফায় এসে পৌছতে লাগল, তার সঙ্গে প্রীতবারই একগ্রস্থ ক'রে চা। গজ্প-গুজবের সঙ্গে কছ? কিছু খাওয়া- এটা যে কোন বিশেষ উপলক্ষে ভোজের আয়োজন তা কারুর মনেই হ'ল না। বহু রান্র পর্যন্ত ষে কোথা গদয়ে সময় কেটে গেল তাও কেউ বুঝতে পারল না। এই মজালশে বসে একাট 'বিচিন্ত্র আঁভভ্তা হ'ল মলের । কুমুদশশ নিজে কলা-বভাগের ছাত্র । দেই বিভাগেই সে অধ্যাপনা করে। যে সব সহকমীঁদের সে 'নিমন্ণ করেছে তাঁরাও বেশশীর ভাগ এ িভাগেরই লোক , কেবল একজন মান বিজ্ঞানের অধ্যাপক গছিলেন-_-তাঁয় নাম 'নর্মলবাবু, কেন যে তাঁকে নিমল্মণ করেছে দলের বাইরের লোকে হওয়া সত, তা পাঁরচয়ের সময়ই কুমুদীশ বলে দিলে, “ভার আপরাইট লোক, আর তেমান 'নয়মানষ্চ । ৯ ফাঁকি বলে কোন শব্দ ও'র আভধানে নেই। খুব শ্রদ্ধা কার আম ওকে |; িল্ত প্রা্থামক আলাপের পর নমলবাব্‌ একেবারে চুপ ক'রে বসোঁছলেন। তাঁর সহকম্দের উচ্চ-কণ্ঠ আলোচনার মধ্যে কোন অংশই নেন 'ন। ওধারে সাহিত্য, সমাজ-বিজ্ঞান, রাজনীতি, ইতিহাস--এবং বাঙ্গালীর যা সবচেয়ে প্রয়প্রসঙ্গ_ কর্মজীবন 'নয়ে যখন তাঁরা কথার তুবাঁড় ছাঁড়য়ে যাচ্ছেন--এমন ক ঝড় ওড়াচ্ছেনও বলা চলে--তখন তাঁদেরই এক পাশে বসে ভদ্রলোক মধ্যে মধ্যে একখানা বলাতশ মাসিকের পাতা ওল্রাচ্ছিলেন নয়ত ধিমলের কোন প্রশ্নের উত্তরে আত সংক্ষিপ্ত দ-একটা উত্তর 'দাঁচ্ছলেন। ফলে 'বমলের ধারণা হয়ে গগয়োছল মে উন অত্যন্ত মিতভাষী গম্ভীর প্রকাতর লোক । কিন্তু হঠাৎ সে ভুলটা ভেঙ্গে গেল অভাবনীয় ভাবে । অধ্যাপকদের মধ্যে কে একজন ইতিমধ্যে য্যাটমবোমার কথা তুলোছলেন এবং প্রসঙ্গক্ষে ভুলক্ষেন্রে ফ্যাটম” শব্দাটর প্রয়োগ করেছিলেন । অকস্মাং নির্মলবাবু যেন বোমার মত ফেটে পড়লেন, “ওটা য়্যাটম নয়, আইসোটোপ !, এবং তারপরই তিন সাঁবচ্ভারে ও সোৎসাহে বোঝাতে লাগলেন আণাঁবক বোমার 'বাঁচন্র কার্যকারণ রহস্য । 'তাঁন যে এত দ্রুত এত কথা বলতে পারেন তা বিমল এতক্ষণ ধারণাই করতে পারে নি । বিজ্ঞানের জাঁটলতা বেশ দিনের আলোর মতই স্বচ্ছ ও স্পন্ট হয়ে উঠল । অথাৎ ভদ্রলোক সাধারণ ভাসা-ভাসা লেখাপড়া করেন নি--বৈেশ ভাল ভাবে তার গ্রভীরেও ডুবেছেন। হজম করেছেন পৃশথর পাঠগুলো । সে শুধু 'বাস্মত হ'ল না--তার একটা জ্ঞানও হ'ল আজ। বতমান শিক্ষার আর-একটা দিকও দেখতে পেলে । যারা বিজ্ঞান পড়ে, তারা বিজ্ঞানের বাইরে আর 'কছ: জানে না, যারা আট“স-এর ছাত্র তারা বিজ্ঞানের সাধারণ খবরগুলোও রাখে না । অথচ এ"রা সকলেই উচ্চাশাক্ষত, সব কজনই অধ্যাপক। মানুষের জীবনে যে সব তথ্য জানা আজ একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে, প্রীতানয়ত যাদের কথা শুনতে হচ্ছে- সেই সব তথ্য বা সেই সব বিষয় সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অন্ঞ থেকেও এস্পা অনায়াসে উচ্চাশাক্ষিত ব্যান্ত বলে চলে বাচ্ছেন। এটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষে নিশ্চয়ই খুব গৌরবের কথা না। শেষের দিকে এই কথাটাই ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল 'বিল, শনমলবাবুর পুরো কথাগুলো তার কানেও যায় নি। শুধু আটস্‌ বা সায়ান্সের মোটা বিভাগটাই বাকেন? একটু আগে আময়বাব, জিতেনবাব্‌ যে সব কথা আঙল্লোচনা করাছিলেন--তারই কি সবটুকু ওর বোধগমা 2 অথচ সে-ও আট“স্‌-এর ছাত্র, বেশ ভাল রকম 'শীক্ষত বলেই সে দাবী করে 'নজেকে-_-তার িপসীমার ভাষায় চার-চারটে পাস করেছে সে। *** পাস করার প্রকৃত মূল্য আরও একবার বোঝা গেল আজ ! ৯৬ এদের আলোচনা থেকে একটা খবর শুনল সে। সরকারী 'শক্ষা বিভাগ টেক্রনক্যাল 'বদ্যা-সংস্থাগীলতে 'হউম্যানাটি বলে একটা 'বিভাগ খোলবার আযম্োজন করেছেন । সে বিভাগে নাক সাহিত্য, শিজ্গের একাঁধক বিষয় পড়াবার ব্যবস্থা থাকবে । ইচ্ছামত আবাঁশ্যক ষয়গ্ঁলর সঙ্গে এরও একটা নিতে পারা বাবে । কম্তু তাতেই দি খুব লাভ হবে £ করুণাময় বাব্‌ একটু আগেই বিদ্রুপ ক'রে যা বলাছলেন, 'অর্াঁথ কতকগাল লোককে মোটা মাইনে দিয়ে পোষবার ব্যবস্থা হচ্ছে আর দি! যাকে ইলেকা্রক্যাল হইীঞজানয়ারং 1শখে ভাবষ্যৎ জীবনে ক'রে খেতে হবে, বিলিতী কাব্য বা ছবি আঁকা তার ফি উপকারে আসবে বাপ ৯ কথাটা খুব মিথ্যা নয়। তবে আর 'কি করবার আছে তাও ত ভেবে পায় না! এটা সে বুঝতে পারে-বশেষত আজ আরও ভাল ক'রে বুঝতে পারলে-- হাই স্কুলের পাঠন্রমটাই প্রসারত ক'রে এমনভাবে তার পাঠ্যতাঁলিকা তৈরণ করা দরকার যাতে সেইখানে যারা লেখাপড়া শেষ করবে, তারা যেন বর্তমান যুগের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে । দহানয়ার খবর যাতে তাদের কাছে হিরু বা গ্রীকের মত দুবোধ্য নাঠেকে। দকম্তু আর পাঠ্যতালিকা বাড়ালেও চলবে না এটাও সে বোঝে, বতর্মানে যা আছে তাই ঢের বেশশ । ঢেলে সাজাতে হবে এ প্রাঠ্য সৃচী। কিল্তু ক ভাবে, তা অবশ্য ওর বোঝবার বা জানবার কথা নয়। যাঁরা ভাবতে পারেন, যারা পথ দেখাতে পারেন তাঁরা ত 'নার্বকার! গতানুগাঁতিক পথেই খানকটা এঁগয়ে গিয়ে বাহবা পেতে চান। নির্মলবাবূর বন্তব্য শেষ হয়ে গিয়েছিল হীতমধ্যে। লাভের মধ্যে ও*র কথাগুলো শোনা হ'ল না। কশ সব খাবারও এসে 'গিয়োছল । এই শেষ- প্রস্থ বোধ হয়। অধ্যাপকরাও ওঠার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন । পূর্ণ মাম্টার মশাইয়ের মত লোক যাঁদ ক'জন থাকত দেশের শাসনব্যবস্থার মধ্যে ! 1নজের 'নর্বদ্ধতায় নিজেই হেসে ওঠে িমল। 1১৮ ॥ মাঁণ তার কথামত ঠিক পরের রাঁববারই পূলককে পড়াতে এসোঁছল। খুবই িরীন্তর সঙ্গে এসেছিল তাতে সন্দেহ নেই--সেটা সে পরে একাঁদন 'ানজের মুখেই স্বীকার করোছল গিমলের কাছে । এমন কি, যাঁদ ঠিক তার দুদন আগেই বিমল ওর আঁভনয় দেখতে না যেত এবং আভনয়ের শেষে অমন উচ্ছ্বীসত প্রশংসা ক'রে না আসত ত, সুবিধামত কথাটা ভুলে যেতেও বোধ কার ওর বাধত না। নেহাত ৪আটচল্লিশ ঘণ্টার আগের ব্যাপার বলেই ভোলার সুযোগ পাওয়া গেল না। তাছাড়া ধিষ্বাবদ্যালয়ের একজন কৃতা ছাত্রের কাছে প্রশংসা পাওয়ার মাদকতা খুব কম নয় আজও--বতই কেন না মাঁণ মুখে ৯১৩ গাজেন্দ্ুকুমার 'মন্র রচনাবলী (ষ্ঠ)--৭ উাঁড়য়ে দিক 'ডীগ্রটাকে-_, আরও কিছ প্রশংসা শোনবার লোভও বোধ করি তার 'ছিল। সে ঘাই হোক--পড়াতে বে খুব কিন্তু খারাপ লাগল না ওর। বরং মণি একট: বাস্মতই হ'ল নিজের মনোভাব দেখে । তার ষেন কেমন ভালই লাগল আভিজ্ঞতাটা । আসলে মেধাবী ও মনোযোগশী ছাতকে পড়ানোতে শশক্ষকেরও যে একটা সুখ আছে-_সেটা এতাঁদন অনুভব করবার কোন সযোগ- সুবধাই হয় নি ওর । এই প্রথম ওর সে অনুভাত হ'ল । সে উঠে আসবার সময় হঠাৎ ঝোঁকের মাথায় বলে এল--এই বুধবার আমার ছুটি আছে-- তোমার কারখানারও ত ছুটি ঃ আম সে দিন আসতে পার হয়ত।' পুলকের বিস্ময় এবং আনন্দের সখমা রইল না। সম্ভব হ'লে খাঁশর চোটে সে খানকটা লাফালাফিই ক'রে নিত হয়ত ॥। তখন 'বমল বাড়ী 'ছল না, ফিরে আসতেই প্রায় ছুটতে ছুটতে শগয়ে তাকে সংবাদটা দিলে । বিমলও যে একট; চমকে উঠল তা বলা বাহুল্য । সে পুলকের মাথায় একটা হাত রেখে বললে, “এ যে তোর কতবড় ট্রায়াম্ফ্‌ তা তুই জানিস না পুলক। যে কোন জেনারেলের একটা বড় ধুগ্ঘথ জেতার চেয়েও কঠিন কাজ-_শিক্ষায় বীতশ্রম্ধ একজন হাভ“হাটেড্‌ গিক্ষককে 'শিক্ষাদানে উৎসাহত করা ।” মাঁণ অবশ্য ঝোঁকের মাথায় কথাটা ব'লে ফেলে একটু অনুতগ্ণই হয়েছিল । এবং সম্ধ্যানাগাদ গনজের মনকে এই বলে সান্তনা 'দয়েছিল যে সে “হয়ত, বলেছে- পুরোপীর যাকে “কথা দেওয়া” বলে--তা সে দেয় 'নি। সহতরাং প্রীতশ্রাতভঙ্গ বা--পালনের কোন প্রশ্ন এখানে উঠতেই পারে না। আর সে ত মাইনে নিয়ে পড়াচ্ছে না--পুরোপাাীর প্রাতশ্রথাত দিলেও না-যাওয়াটা এমন ণকছু অপরাধ বলে গণ্য হ'ত না ।*"সে মন 'স্থর ক'রেই ফেললে যে বুধবার সে যাবে না--পরের রাঁববারেও না। যেমন আগে কথা ছিল মাসে দাদন--. তাই ষাবে সে--॥ অত কিসের ? 1কম্তু বুধবার সকালে বাজার-হাট চুঁকয়ে, চা-জল খাবার খেয়ে সিগারেট দেশলাই এবং পাশের-ঘর-থেকে-চেয়ে-আনা খবরের কাগজখানা 'নয়ে খন দনশ্চিন্ত হয়ে বসল সে, তখন যেন আর ভাল লাগল না । কেমন একটু উসখুস করতে লাগল মনটা । কোন এক অজ্ঞাত কারণে বিনাপাঁরশ্রামকের এ ছান্নটি তাকে বেশ একট প্রবলভাবেই আকর্ষণ করতে লাগল । অবশেষে সে মনকে বোঝাল যে আজ সকালে হাতে কাজ কম আছে--এর পরের দুই রাববারই হয়ত এমন কাজ পড়বে যে পাঁচ 'মিনিটও ফুরসহৎ পাওয়া যাবে না। পর পর্‌ দুদন গিয়ে যাঁদ সে তিনটে রবিবারও না যায় ত কারুর কিছু বলবার থাকবে না। বরং আজ যখন এক রকম 'কথাই? দেওয়া হয়েছে তখন আজ যাওয়াই ভাল। তাতে কথার ঠিক রাখার গোৌরবটাও পাওয়া যাবে। এবং মনকে বোধানোর পালাটা ভাল ক'রে শেষ্হওয়ার আগেই সে এক সময় জামাটা গালয়ে আর একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে বাড়ণশ থেকে বৌরয়ে পড়ল । ৯৮ তার পরের রাববারও মাঁণ গেল । তার পরের রাঁববারও | মনকে আর বোঝাতে হয় না। সে এবার নিজের মনের কাছেই স্বশকার করেছে ষে এটা ষেন তাকে এক নতুন নেশায় পেয়ে বসেছে । নেহাত অভিনয়ের নেশাটা আরও বড়, নইলে সে হয়ত বিকেলেও যেত। প্রায় প্রত্যেক ছুটির শদনেই বিকেলে কোথাও না কোথাও 'রহাস্যলি থাকে, তাই ওখানটায় আর কছু করা যায় না। ওর কান্ডকারখানা দেখে বিমলও অবাক হয়ে যায়। এক একাঁদন পড়াবার সময় সেও বসে থাকে কাছে । মাঁণকে যে এটা নেশায় পেয়ে বসেছে তা সেও বুঝতে পারে । প্রচুর পারশ্রাীমক পেলেও কোন প্রাইভেট টিউটার এমন পাঁরশ্রম করে কনা সন্দেহ । বস্তুত স্দ্ধমান্র পারশ্রামকের জন্য একাজ বোধ হয় সম্ভব নয়। বিমল নিজে দবজ্ঞানের ছাত্র নয়-তবু এটা সে বোঝে যে ল্যাবরেটরী ছাড়া 'িজ্ঞান পড়ানো প্রায় অসম্ভব, বিশেষ ক'রে যেখানে ল্যাবরেটরী কী বস্তু সে সম্বন্ধে ছাত্রের কোন ধারণা পর্যন্ত নেই। অথচ সেই অসম্ভবই সম্ভব করছে মাণ, শুধু নিজের কথার দ্বারা সেই সমস্ত অভাব পৃরণ ক'রে পুলককে সে ব্াঝয়ে দিয়ে যাচ্ছে 'জানিসটা। 'বমল কৃতজ্ঞ হয়, আঁভভূত হয়। তবে এটাও সে বোঝে যে এটা গনছক বম্ধৃকৃত্য নয়। এর কৃতিত্ব পনেরো আনাই পুলকের প্রাপ্য । িন্তু এইখানেই এ পরের শেষ হয় না। এ নেশা ধীরে ধশরে মাঁণকে এমনভাবে আচ্ছন্ন ক'রে ফেলে যে সে স্কুল সম্বন্ধে ক্রমশঃ সজাগ হয়ে ওঠে। স্কুলের কাজটাও যে তার পড়ানোর--সে কথাটা ষেন নতুন ক'রে মনে পড়ে ওর। সে একটু একটু পরখ ক'রে দেখতে শুরু করে । মন দিয়েই পড়ার এক একাদন। আরও আশ্চয হয়ে লক্ষ্য করে যে ফল ভালই হয়। ছেলেগুীলর বেশীর ভাগই যে খুব বোকা এবং “মীসাঁচভাসং, নয়--এটাও ক্রমশ অনুভব করেসে। আর তারপর থেকে যেন কাজটা অত বেশী খারাপও লাগে না। এ সম্বন্ধে সে তার সহকমরদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করতে গিয়োছল বোক! কিন্তু ক্ষেত্র কঠিন, কাজটা অত সহজ হ"ল না। তাঁরা ডীঁড়য়েই 1দলেন ব্যাপারটা । শহুধ্‌ তাই নয়, বেশ একট হাসাহাঁসই পড়ে গেল তাঁদের ভেতরে । ফণীবাব্‌ বললেন, মরেছে রে। গরীবের ঘোড়ারোগ ধরল বাব! ও মণ ভাই, এসব আবার মাথায় ঢোকালে কে হে তোমার? বাবা, টিউশন করে খেতে হবে। ইস্কুল ছাড়া হাঁফ ছাড়বার জায়গা কোথায় বলো 'দাক ? ওসব কেতাবা কথাবাতাঁ ছাড়ো 'দাঁক বাপ !, অপরেশ বাব? বললেন, খাচ্ছিল তাঁতী তাঁত বুনে, কাল করলে তাঁত এড়ে গর কনে ! তাই হয়েছে তোমার -'কেন ঘ্যানর ঘ্যানর করছ বলো ত বাবা" ধার যা, টিউশনী না পেলে ত আমাদের হাড় রইল 'শিকেয় তোলা; অত ৪১৯) বারফট্রাইতে দরকারটা কি? ওসব নিয়ে মাথা ধামাতে পারেন বরং পশ্ডিত মশাই, গুর টিউশনীর বালাই নেই 1, হেড: পশ্ডিত মাথা নেড়ে বললেন, “জোটে হে জোটে । আমাদেরও জোটে । কেমন হে নিকুঞ্জ বাল নন তোমাকে-সেই যে সোঁদন যে ছেলোট ভার্ত হ'তে এল-_ গেল হপ্তায় ঃ বললুম যে ছেলেটা শাঁসে-জলে আছে, ক-টা ভাল 1িউশনশর মওকা এল। তুমি ত আমার সঙ্গে তর্ক করলে খুব, বললে কণ্টা আবার । বাপ ট্রামে এসেছে, সে আবার ক-্টা মান্টার রাখবে । বড় জোর পণ্চাশ টাকার একটা মাষ্টার খু'জবে, বলবে সব সাবজেক্ট: পড়াও ।"*"তাকে কী রকম ঘায়েল করোছ জানো 2? আম পড়াবো সপ্তাহে তিন দিন সংস্কৃত-- চাষ্টাশ ! অটলকে ঠিক ক'রে 'দয়োছ ইংরেজী আর অওক রোজ পড়াতে হবে, একশ কুঁড়। তাছাড়া সমরেশ আছে হাস্ট্র, সেও সপ্তাহে 'তন দন-চাঁল্লশ । পুরো দুশোটি টাকা !, বলেন কি ? নিকুঞ্জর চোখ দুটো জলে ওঠে, কী করে বাপটা ? গাড়ী কেনে নিকেন 2 “এ জন্যেই কেনে ন। দহাট ছেলেমেয়ের পেছনেই নাকি তার সাড়ে চারশ পাঁচশ টাকা চলে যায় । বারোশ টাকা মাইনে পায়,ফাটা প্যাণ্ট পরে এসোছল। বলে--এঁ আমার সাধনা পাঁণ্ডত মশাই, ওরা মানুষ হয়ে উঠুক--আণম নবাবা ক'রে কী করব 2.**চোখমুখ দেখে মানুষ চিনতে হয় হে, শুধু পোশাক দেখলে চলে 2 তারপর একট: থেমে মাণর মুখের দিকে চেয়ে বলেন, “কী বলাছলে-_ ফাঁক ? ফাঁকি আম বড়-একটা দিই নে ভাই । তবে হয়ত আরও একট? খাটলে দুটো একটা ছেলে আর একট? উৎরে যেত-কিন্তু কী জানো ভায়া, টিউশন বেশী নেই সাত্যকথা, তেমাঁন ষজমানী আছে যে। শাঁকে ফু কানে ফুঁ "দুটোই চালাতে হয়। তার ওপর আছে নোট লেখা । সব রকমই বজায় দিতে হয় রে ভাই । নইলে কি আর ছেলেমেয়ে মানুষ করতে পারতুম, না বালিগঞ্জে বাড়ী করতে পারতুম । এ সব ক'রে আর শরীর বয় না !, উত্তর দিতে গিয়েও থেমে যায় মাণ। বলা চলত যে--ওসব ক'রেই যখন বেশী আয্ন হয় তখন একাজটুকুর ওপর মায়া করার দরকার 'ফি। ছেড়ে দিলেই হয় ।.*"কিন্তু সে কথার উত্তর মঁণই জানে বেশী । এটুকু না থাকলে টিউশন, নোট লেখার কাজ িছঢই জুটবে না। এটাই উপলক্ষ । মাঁণর নিজেরও ত তাই । সে থেমে যায়, বেশশ বলতে গেলে প্রমাণ হয়ে বাবে যে__ ওদের আয় বেশ বলে মাঁণ ঈাষত। অগত্যা একটা দশর্ঘীনঃ*বাস ফেলে চুপ করতে হয় তাকে । ইতিমধ্যে আরও একটি বিনা মাইনের টিউশন” মাঁণর ঘাড়ে এসে পড়ল-_ সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে। বিমলের মা বিমলকে খোঁচাচ্ছিলেন বহন থেকেই । কিন্তু বিমল এক ৯১০০ কথা বলেই তাঁকে বার বার জবাব 'দিয়েছে-_-“গর সে উপায় নেই মা, 'মাছামাছ মৃখ নষ্ট করাই সার হবে। তাছাড়া এ গবয়েতে লাভই বা কি? আরও কম্টের মধ্যে পড়বে হয়ত !, “তা পড়ূকরে! তবু সে *বশহরবাঁড়। বাপের বাঁড়ই বা 'ি সখভোগে আছে । নিজের বাড়ণ ধগয়ে গার করাতেও সুখ 1, তব: িমল রাজশী হয় নি কথাটা পাড়তে। অবশেষে একাঁদন ওর মা গনজেই পাড়লেন। গুদের ঘরের সঙ্গে রান্তার দিকে একটুকরো ফাল বারান্দা গছল, অপেক্ষান্তৃত সেইটুকুই নির্জন স্থান গোটা বাড়শটার মধ্যে । মাঁণ এলে সেইখানে বসেই পুলক পড়ত । এই সূন্লে মাঁণর সঙ্গে এদের পাঁরবারের একটা শ্বানঘ্ঠতা হতে বাধ্য, এবং হয়েও ছিল | 'বমলের মা ইদানণং প্রায় প্রত্াহই ওর জন্য কিছ না গছ খাবার--নারকেল নাড়ু, 'িতলের নাড়ু জাতীয়--তৈরণ রাখতেন । পড়ানো শেষ হ'লে ঘরে ডেকে এনে খাবার ও চা খাইয়ে ছাড়তেন। সোঁদন সেই সৃযোগে কথাটা তুললেন ভদ্রুমমাহলা, “হ্যাঁ, বাবা তা তুমিও কি এ বিমুর মত চিরকাল থুবড়ো থাকবে, 'বিয়ে-থা করবে না ?, মাঁণ একটু অন্যমনস্ক হয়েই নারকেল নাড়তে কামড় 'দিয়োছল, হয়ত এইমান্ন পুলককে পড়ানো পাঠ্যের কথাই চিন্তা করাঁছল-- বেশ একটু চমকে উঠল এই প্রশ্নে, আমতা আমতা ক'রে বললে, 'না- মানে কারণটা ত এ একই মাসীমা | * ইচ্ছা থাকলেই বা উপায় কি বলুন! পবমৃর ঘাড়ে যে 'তন-তিনটে আইবুড়ো বোন বাবা, তোমার ত সে ভাবনা নেই। তোমার ছোট বোন ত নিতান্তই ছোট, তার বিয়ের কথা ভাববার এখনও ঢের দোর। “হ্যাঁ তা ঠিক--কিল্তু সংসারও ষে ঢের বড়। এ ত তবু মেসোমশাই যা- হোক দু-পাঁচ টাকা রোজগার করছেন ঘরে বসে-বসেও ; খোকাও আপনার তার হাত-খরচার মত কিছু পাচ্ছে-আমার যে এই একমুখো রূদ্্রাক্ষী। বিধবা বোন, তার ছেলেমেয়ে-_না মা1সমা, এই অভাবের মধ্যে আবার খরচ বাড়াতে সাহস হয় না। সুখের চেয়ে স্বাস্ত ভাল, এটা মানেন ত 2, “তা কি সব সময় বলা যায়বাবা। শুনোঁছ যারা লড়াই করে সরকার বাহাদুর শুধু তাদের খাওয়া-দাওয়াই নয়, আমোদ-আহনাদের দিকেও নজর পলাখেন। ছাউনিতে ছাউনিতে বায়স্কোপ থিয়েটার দেখানোর ব্যবস্থা করেন |". এখনও জোয়ান বয়স, তাই এইভাবে খাটতে পারছ । এর পর ক্লান্ত আসবে । একটু আরাম, একট; স্বাচ্ছন্দ্য-_একটুখানি সেবাধত্ব চাইবে মন | জীবনে সাধ- আহমাদকে গলা গটপে মারলে নিজেরও যে দম আটকে আসে বাবা ।.* তোমরা ভয় পাচ্ছ ?িন্তু মুটে-মজুররাও ত বিয়ে করে! হ্যাঁমাঁসমা,তা করে । কিন্তু তাদের জীবন আর আমাদের জ'বন আলাদা । তাদের বৌরা তাদের গলগ্রহ নয়--স্বামীন্্রী দুজনেই খাটে-_ খায় । তাতে তাদের লজ্জাও নেই, আপাদ্িও নেই । আমাদের এই মধ্যাবত্ত বাঙালীর ঘরে মেয়েরা জানে বিয়ে করা মানেই বসে খাওয়ার একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা । ৯০৯ ণবয়ের পরের গদনই ভাত কাপড়ের ভার নিলৃম বলে 'দাব্য গায়ে নেন আপনারা । তারা ঘরে থাকবে, ছেলেমেয়ে দেখবে, দুপুরে ঘুমৃবে--বড়জোর রামাবা্া করবে । তাও, যাদের ওরই মধ্যে একটু মাঝারি আয় অরা সে কাঞ্জটাও করতে চায় না । আলাদা রাঁধুনী রাখার খরচ জোটে না, কমবাইন্ড হ্যান্ড রেখে নিশ্চিন্ত ।"-িকছুই করতে ঢায় না আমাদের মেয়েরা । সংসারের ভেতরের দায়িস্বটাও সহজে নিতে চায় না।.*"অথচ আর কোন জাতে এমন নেই । মহটেমজুয়ের কথা কি বলছেন ? পশ্চিমে দেখোঁছ স্বামী-স্তী একসঙ্গে দোকানদায়ী করছে । বেশ বড় সম্ভ্রান্ত দোকান, 'বলক্ষণ দ'পয়সা আছে, গকল্তু চাকর না রেখে দুজনেই দোকান চালাচ্ছে । আমার সঙ্গে বড়বাজার চলুন স্বামশ-স্ঘী বসে ভাগাভাঁগ করে সারাদন নাগরো জৃতা তৈরী করছে দোঁখয়ে দেবো ৷ তাদের দারিদ্যু সত্তেও বিয়ে করা শোভা পায় মাঁসমা, আমাদের সাজে না!, “সব মেয়েই কিন্তু পারশ্রমণীবমুখ নয় বাবা, সারা জীবন খাটছে এবং হাঁসমুখে খাটছে, খোঁজ করলে এমন মেয়েও পাবে বোকি। আর তাদের ঘরে গনয়ে গেলে স্ীবধেই হবে, অনেকটা শনাশ্চন্ত হতে পারবে । লোকের ত দরকারই, মা তোমার বুড়ো হয়েছেন--তুমিই ত বলছ অর্ধেকাঁদন উঠতে পারেন না। বোন একা । তাছাড়া সে বোনেরও ছেলেমেয়ে আছে, তারা একাঁদন মানুষ হয়ে উঠবে, তখন সে চাইবে আলাদা সংসার পাততে, ভাই বোন বড় হয়ে শেকল কাটবে একাঁদন--তখন তুমি কোথায় থাকবে বাবা ?' চুপ ক'রে থাকে মাঁণ। খানক পরে বলে, কী জাঁন। ভাবি ত, ভেবে যেন কৃলাকনারা পাই না।, গবমলের মা গলাতে একট: জোর দিয়েই বলেন, আম বাবা খুব 'নিঃস্বার্থ- ভাবে কথাটা বাল দি, তেমাঁন মিছে কথা বাল 'ন এটাও ঠিক । কথাটা ভেবে দেখো-যা বলছি তার দাম বুঝতে পারবে 1.**আমার কনুকে তুমি নাও না বাবা । ওকে নিয়ে তুমি অসুখণ হবে না এটা জোর ক'রে বলতে পার । আমার মেয়ে আমি ত বলবই-_কিন্তু তুমিও ত দেখেছ ! কনু--অথাঁধ বিমলের বড় বোন কণিকা । চমকে ওঠে মাঁণ। হাঁ, দেখেছে বোঁক ! প্রায়ই দেখেছে । লাবণ্যবতণ না হোক: স্বাস্থ্যবতী মেয়ে। চাঁক্ষখশ পঁচিশ বছর বয়স হয়েছে, প্রথম যৌবনের লালত্য আর নেই কোথাও, পারশ্রমের চিহ্ন হাতের উন্চু-হয়ে-ওঠা শিরায়, পায়ের চামড়ার ককর্শতায় এবং মৃখের ভামাটে রঙে পাঁরস্ফুট--তবু, মেয়োটকে ভালই লাগে মাঁণর ।.. আজকাল পথ চলতে চলতে মাবে-মাবেই কনর কথা মনে হয় ওর। ণকন্তু তাই ব'লে ঠিক এ ভাবে--না, এসব কথা তার কখনও মনে হয় 'নি। তাকে অন্যমনস্ক এবং নিরুত্তর দেখে 'িমলের মা ধীরে ধীরে বললেন, “থাক বাধা, এখনই তোমাকে মন ঠিক করতে বাল নি । ভেবে দেখো কথাটা । ভেবেই উত্তর দিও, ইচ্ছে না হয় উত্তরও দিও মা। হঠাৎ কথাটা বলে ফেললাম । ১০২ তাই ব'লে ভয় পেয়ো না, উত্যন্ত ক'রে তুলব না! মাণ নিঃশব্দে চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে অগ্রাতভ ভাবে হাসে । না, না-তা নয়। তবে” কথাটা শেষ না করেই উঠে পড়ে সে।** বিমল ফিরে এসে নান্লের মুখে সংবাদটা শুনে বলে, “কেন বলতে গেলে মা ? মিাছামাছ হত মনে করবে সেই জন্যেই ওকে তুমি বত্ব করো ।' “ওরে, অত শত ভাবতে গেলে আর আমাদের চলে না। গরশবের আবার অত চক্ষুলজ্জা ' ? মুখে বলেন বটে কম্তু তার পরের রাঁববার মাঁথ আসতে তাঁনও যেন আর লঙ্জায় ওর লামনে বেরোতে পারেন না। কাঁণকা ত শ্লিসীমানায় আসে না। মেজো বোন মাঁণকা এসে আরম্ত মুখে চায়ের পেয়ালাটা নাঁময়ে 1দয়েই পালায় । সোঁদন মাঁণও বিশেষ কথাবাতাঁ বলে না। পড়ানো শেষ ক'রেই তাড়াতাঁড় উঠে চলে যায় গম্ভীর মুখে । তার সে গাম্ভখরষকে বিরাস্ত বলেই মনে করেন 'বিমলের মা, তাঁর লজ্জা ও পারতাপের শেষ থাকে না। 'বিমলের ম:খের 'দকে তিনি যেন তাকাতে পারেন না। বমলের কথাই ঠিক । 'মাছামাঁছ মুখ নষ্টই? সার হ'ল । ছিঃ ছিঃ । (িমলের মা যেটাকে গ।ম্ভীর্য বা বিরীন্ত মনে ক'রে সতকুঁচিত হয়ে পড়লেন, আসলে সেটা মাণর চিন্তাক্লিষ্টতা । মাণ সোৌদনের সেই সামান্য কথা ক-টাতেই ষেন বড় বেশশ ?বচাঁলত হয়ে পড়োছল। 'বচালত এবং চিন্তাঁন্বত | বহু সময় দেখা যায় কেউ কোন একটা অসুবিধা ভোগ করতে থাকলেও সে সম্বন্ধে তার কোন অনুভাত থাকে না। কন্তু পরের কথায় হঠাৎ এক সময়ে যখন সচেতন হয়ে ওঠে 'নজের অবস্থা সম্বন্ধে--তখন যেন অসহা বোধ হয়। মাণরও তাই হয়োছল। “একাঁদন ক্লান্ত আসতে পারে" এই কথাটা ভাবতে ভাবতেই একসময়ে অনুভব করল--ই'তিমধ্যেই সে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে । আর সে ক্লান্তির ষেন সীমা-পারসীমা নেই । অনেক কথাই ভাবল সে। কয়েকদিন ধরে 'দিনরাতই ভাবল । সে ণবজ্ঞানের ছান্ত, সীবধা অস্হাবধা নানাঁদকই হিসাব ক'রে দেখল । ভাব- প্রবণতায় গবচাঁলত হবে না সে, এ তার প্রাতজ্ঞা। অথবা সামান্য একটু সবধার লোভে ভাবষাতের অনেক অসবিধাকেও ডেকে আনবে না। যতই বয়স হোক তার, বিয়ের বন্নস একেবারে পার হয়ে যায় নি। এমন ক পাঁচ- সাত বছর পরেও অসম্ভব শোনাবে না সে গ্রষ্তাব । সুতরাং আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারে সে অনায়াসে । তবে-__ এই “তবে'টাই যেন অনেকখান। ৯০৩ কাণকাকে দেখছে সে। প্রথম কৈশোয়ের স্বপ্ন দেখা মানসণ সে নয় । গকন্তু সে সব স্বণ্নও ত আর নেই তার মনের ধারে-কাছে কোথাও । এখন কাঁণকাকে তার পাশে-পাশে কঙ্পনা করতে এতটুকুও খারাপ লাগে না আর ! জুতোসেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই মেয়োট পারে-_এবং করেও । ওদের বাসন মাজবার ঠিকে-বঝও নেই, তাও লক্ষ্য করেছে মণ একাঁদন ৷ ইস্কুল-মাঙ্টারের ঘরণণ হবারই উপযনুস্ত মেয়ে । এর চেয়ে ভাল মেয়ে সে আশা বা কম্পনা করে না। বঙ্তৃত এ সম্বন্ধে ত চিন্তাই করে নন দীর্ঘকাল । শুধহ ক্লান্তিটাই যেন বড় বেশশ অনুভব করে সে 1... পনেরোঁদন ধরে ভাবল মাঁণ। আর একটা রাঁববার এসে পড়ল । এর আগের রাঁববারে ওদের সাধামত এাঁড়য়ে গেছে সে। আজ আবারও ষেতে হবে ও বাড়তে! প্রত্যহ কিন্তু এভাবে এড়ানো যাবে না । জবাব চাই একটা । কিন্তু হঠাৎই একসময় সে মন স্থির ক'রে ফেলে । বাঁড় থেকে রওনা হয়ে ওদের বাঁড় যাবার পথে হাঁটতে হাটিতেই । আর মন স্থির করার সঙ্গে-সঙ্গেই সে অনেকটা 'নাশ্চন্ত ও প্রফ-ল্প হয়ে ওঠে । প্রস্তাবটা একট: অদ্ভুত শোনাবে 2 তা হোক--ওর আর উপায় নেই। সোঁদন পুলককে আর পড়ানো হয় না ! চন্তা গেছে--উত্তেজনা যায় নি। সে উত্তেজনা ওকে স্থির থাকতে দেয় না । সে পুলকের টাস্ক-গৃলো কোনমতে দেখে দয়ে বলে, আজ এই পর্যন্তই থাক: ভাই ।**আমার'*"*আমার শয়ীরটা আজ ভাল নেই ।; পুলক বাস্ত ও লাঁজ্জত হয়ে উঠে পড়ল ; মাঁণ খাঁনকটা সেইখানেই চুপ ক'রে বসে থেকে মাঁণকাকে ডাকল, “মনু, মাঁসমাকে একবার ডেকে দেবে ?, আশা ও আশঙ্কায় িমলের মা'র বুক 'িব ঢিব করতে থাকে । কনা জানি বলবে মাঁণ। হে ঠাকুর, হে মা কালী-_সুমতি ?ি হবে ওর? চা তখনও চাপে 'ন। সেটা মনকে আনতে ব'লে অপ্রাতভতা ঢাকতে তান তাড়াতাঁড় কতকগুলো মুড়ি গোটা মশলা 'দয়ে মেখে এনে বসলেন । মাঁণ 'কল্তু কুণ্ঠা বা সঙ্কোচের ধার 'দয়ে গেল না। সরাসার প্রশ্ন করল, মাসিমা, কন্‌-মানে কাঁপকা কতদৃর পড়োছিল ?, “রী মেয়েটাই ঘা হয় তবু একট? পড়তে পেয়েছিল বাবা ! ক্লাস এইট, না নাইনেই উঠোৌছল বাঁঝ। হাঁ নাইনে উঠতেই ও*র চোখটা গেল, আর পড়া হল না। সেযে কীদহঃখ ওর! বরাবর ও ফাস্ট সেকেন্ড হ'ত ওদের ক্লাসে | “নাইন হ'লে ত ভালই হয় ।.*শুনুন মাসিমা, আপনার কথাটা আম এই কশদন ধরেই ভেবোছ। আজ সকাল অবাঁধ ভেবোছ। 'বয়ে আম কাঁণকাকে করতে পার--কল্তু এক শর্তে । ওকে পাশ করতেই হবে একটা । ক্লাস নাইনে যখন উঠোৌছল, তায় ভাল মেয়ে বলছেন--একেবারে সব কিছুই ভূলে যায় লি নিশ্চয় । সামনের পরণক্ষাটায় অবশ্য হবে না। কিন্তু পরেরটার এখনও পুরো চোদ্দ মাস দোর। এই চোদ্দ মাসযাঁদভালক'রেপড়েত পাশ করতে পারবে । আম ওকে পড়াতে রাজ আছি। আপনাদের ঘরে বসে, ৯০৪ আপনাদের সামনেই পড়াবো--আপাত্তর কোন কারণ থাকা উচিত নয়ন ॥ বই- টই আম যোগাড় ক'রে দেব। পাশ করার পর ওকে বিয়ে করতে রাজণ আছি। তবে ওকেও চাকরা করতে হবে। সে চাকরী যোগাড় করার ভার আমার। মোদ্দা গলগ্রহ হয়ে থাকা চলবে না। সে অবস্থা আমার নয় । জীবনের সব সখ-দুঃখ-দা়িত্ব সমান ভাগ করে যে নিতে পারে তাকেই আম গ্লীমনেকার। সে-ই অধাঙ্গনী। আপান ভেবে দেখুন কথাটা । মেসো- মশাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করুন, বিমলকেও বলুন । মেয়েকেও ভাল ক'রে 1জজ্ঞাপা করুন। বিনা মাইনেতে সাধারণ বিয়ের মত যে খাটতে পারে --অর্থ উপাজনের জন্য অন্য ধরণের খাট্যটানতে তার ভয় পাবার কথা নয়। তবু, তাকেই কথাটা ভেবে দেখতে হবে সবচেয়ে ষৌশ । আমাদের ঘরের বাঙ্গালী মেয়েরা বিবাঁহত জীবনের যে ছাঁব দেখে তাতে দুপহরে বই বৃকে ক'রে ঘমোনো এবং সপ্তাহে অন্তত একদিন [সিনেমা দেখা-_এইট;কু স্বাচ্ছন্দ্যে কথাই আঁকা থাকে । আম তাতে রাজী নই !ঃ মাঁণ আর বসে না। বিস্ময়াঁভভ্ত বমলের মা কোন কথা খুঁজে পাবার আগেই সে উঠে চলে যায়। কাঁণকা প্রস্তাবটা শুনে তখনই কোন উত্তর দিতে পারে না কিন্তু অপ্রত্যাঁশত ম্ীন্তর কঙ্পনাতে যে তার দৃষ্টি উজ্জল এবং মুখ উদভাঁসত হয়েও উঠে সেটা তার মা লক্ষ্য করেন শুধু । িমলের বাবা সেকেলে মানুষ _তাঁন খু খত করতে লাগলেন । এ-সব শর্ত-ফত“ আবার €ক ? এর পর, মানে পাস করার পর সে যাঁদ বয়ে নাকরে? চাকরণ যাঁদ না জোটে? এই সব নানা প্রশ্ন তুললেন । কিন্তু বিমল কথাটা শুনে লাফয়ে উঠল ॥ মাঁণ সামনে থাকলে সে হয়ত তার পায়ের ধুলোই নিত। তারই প্রবল সমর্থনে তার বাবার ক্ষণ আপাতত ভেসে গেল। সে বললে, “পাস করার পর যাঁদ না-ই 'বিয়ে করে, ক্ষাত ?ক বাবা? পাসটা তো হয়ে যাবে। তখন ও 'নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে অন্তত, 'বিয়ের বাজারেও কিছু দূর হবে। এর চেয়ে ভাল প্রস্তাব ত আর কিছুই হতে পারে না। এমাঁনতেই ত কিছ? হচ্ছে না, কোন চেষ্টা পন্তি আমরা করতে পারাঁছ না! এ ত একটা বড় ম্নান্তর পথ! এ কথাটা আমারই ভাবা উচিত ছিল, ষতাঁদন ধরে হঠাৎ-একটা-?কছ? ঘটবার অপেক্ষায় আছ, ততাঁদনে হয়ত ওরা এক-একটা পাস করতে পারত ।, 'হণ্যা, পারত ! সময় কোথা 2 সংসারের গাধা-খাটুনণ খাটবে না পড়বে । টাকা-পয়সা চাই না ৮ আঁব*বাস ও সংশয়ের সুর তাঁর কণ্ঠে 'মাঁণ ত সে ভারও 'ীনতে চেয়েছে শুনলাম । তবে আর আপাতত করছেন কেন ?."আর সময়, যেমন ক'রেই হোক ক'রে নিতে হবে !, সে মনে মনে প্রায় তখনই প্রাতজ্ঞা করে, ছোট বোন দুটোকেও সে নিজে একটু একট. পড়াবার চেষ্টা করবে । তার খুব সময় নেই হাতে সত্য কথা-_ ৯০৫ তব ষতটা হয়। আরও একজনের সাহায্য নশ্চয় পাওয়া যাবে--সে পৃলক। সে ধা শিখেছে তাতে ওদের এখন খাঁনকটা সাহাষ্য করতে পারবে--্এবং গধমলের মুখ চেয়ে করবেও, এটুকু 'বম্বাস তার আছে । সেপরের দিন ভোর-বেলাই গিয়ে মাঁণরে ডেকে তুললে, ধন্যবাদ ও আঁভনন্দন জানাতে । জীঁড়য়ে ধরে বললে, “ভাই তুই দেবতা মণ হাঁস-হাঁস মুখে বললে, “ওরে ছাড়, ছাড় । আয় বাইরে আয় । এখানে গোল কারস 'ন, এখনই আম বাড়ীতে এ সব কথা জানাতে চাই না। ওয়া ভুল বুঝবে হয়ত, তা ছাড়া ইট ইজ টু আল“ । ক দরকার !."তানহ'লে তোরা য্যাপ্রভ্‌ করেছিস আমার স্কীম ?, পল্যাপ্রুভ। বলিস কি! তোকে আমার মাথায় করে নাচতে ইচ্ছে করছে৷, একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে প্রসন্ন মুখে মাঁণ বললে, “তোর বোনের কিন্তু পয়ও আছে রে! কাল মন 'স্থর ক'রে মাসিমার সঙ্গে আলোচনা ক'রে 1ফরাঁছ, দোখ বাড়ীতে গিলম্যারণক কোম্পানীর একট বাবু বসে। বলে আলমগণীরে রাজাঁপংহ করতে হবে । আলমগীর করবে ওদের লড় বাবু--শখ হয়েছে অথচ আভনয়ে একেবারে গবেট । একটা ভাল লোককে পাশে না রাখলে বইটা ঝুলে যাবে, এই সব খোসামুদে কথা ।*হঠাৎ কী মনে হ'ল-- বলে ফেললুম, রাজশ আঁছ--তবে পণ্চাশাট টাকা নেব। এক কথায় লোকটা রাজী হয়ে গেল। মায় পশচশ টাকা য়াড্ভান্সও 'দয়ে গেল 1 তারপর গলা নাময়ে বললে, “তোর কাছে মিছে কথা বলব না-এর আগেও দু-এক জায়গায় টাকা 'নয়োছি--মফস্বল অগ্চলে, তবে সে পনেরো গবশের বেশশ নয়। একেবারে এত টাকা আনাঁথংকেবলং! এ ত পাবালক [থয়েটারের বড় বড় আভনেতার চার্জ রে । খুশিতে বলমল করতে থাকে মাঁণ। “'আঁসস দেখতে-_সামনের শুক্রবারের পরের শুক্রবার । তোর নাম লিখে দয়োছি, কা পাঠাবে ॥ ॥ ১৯ ॥ পার্ণমা িমলের সামনে শব্দ ক'রে ফাইলটা ফেলে বললে, এবার আমাকে কি খাওয়াবেন খাওয়ান। অসাধ্য সাধন করেছি ।, শাল হাঁসমূখ তুলে তাকাল, শক রকম? হঠাৎ কী এমন ক'রে বসলেন ?, 'বড়বাবূর কাছ থেকে কাজের ন্ার্টফিকেট পেয়োছ । আজ নিজে থেকেই স্রীকার করেছেন ষে আমার কাজে আর বড় একটা ভুল হচ্ছে না। এঁষে অরুণা ব'লে মেয়োটি-তাকে ডেকে আমার কাজের দন্টান্ত দিলেন । বললেন, ৯০৬ “এই ত এরও আগে কত ভুল হ'ত--তারপর 'নজেই কাজ বুঝে নিলেন একট একটু ক'রে, এখন ত কৈ আর ভুল হয় না। চোখ বুজে গুর কাজে সই করা যায়। আপাঁন ত ওর চেয়েও বেশী 'দিন আছেন--আপনার আজও এতটুকু উন্নতি হ'ল না।” বেচারী মুখ চুন ক'রে চলে গেল একেবারে ।; [বিমল একট: চিমটি কেটে বললে, “ও, তাহ'লে আপনার প্রশংসাই শুধু নয়_-আবার আর একাঁট মেয়ের লাঞ্থনা । এইটেতেই বোধ হয় বেশশ খুশখ হয়েছেন, না !; 'যান। আপাঁন ভার ইয়ে ॥ পহীর্ণমার মুখ এতটুকু হয়ে যায়, “আনন্দ ক'রে একটা খবর দিতে গেলুম-- “বসুন বসুন। অত চটবেন না। যেটা স্বাভাবিক তাই বলাছলুম । এটা আপাঁনও নিশ্চয় মানবেন যে মেয়েদের লাঞ্ছনা ও অপমানে মেয়েরা ঘত খুশী হয় এমন পুরুষে কখনও হয় না। মেয়েদের সবচেয়ে বড় শন মেয়েরাই ৷” “তা হয়ত হবে। হ্যাঁকতকটা তাই বটে। 'কন্তু তা ব'লে, আপাঁন বন্ড সব তাইতে-- পছ। একটা তামাসা করাছলহম বৈ ত নয়। অত বিচালত হবেন না। কিন্তু খাওয়াবেন ত আপান, আ'ম খাওয়াবো কেন ? “'আপাঁন যে খেতে চান না। নইলে আপনাকেই ত খাওয়ানো উচিত । গুরুদাক্ষণা গুরুর প্রাপা |, “কণ দাক্ষণা 2, “ত্য বলাছ 'বমলবাব্‌ঃ আপাঁন আবার হয়ত এখনই আমার কথার উলটো ব্যাখ্যা করবেন- আপনার কথার চাবুকেই আম খাঁনকটা কাজ-চলার মত মানুষ হয়েছি । এর যাঁদ কোন ক্লোডট থাকে ত সে আপনারই প্রাপ্য ।, “এই দেখুন। এবার সাঁতাই আমাকে অগ্রাতিভ করলেন । মানূষ করার মত কোন যোগ্যতা থাকলে নিজেই হতুম আগে । 'মিছিমিছি এসব কথা বললে ঠাট্টার মত শোনায় ! আমি 'ল্তু মোটেই ঠাট্টা করছি না--ব*বাস করুন! আম জান আপনার শান্ত কতটা-_” পণ্লজ স্লিজ মিন রায়--ও প্রসঙ্গ থাক । তার চেয়ে বরং আপনার আতাঁথ হওয়া ঢের সোজা” “সাঁত্য 2 কথা দিচ্ছেন 2 আনন্দে উল্ভাঁসত হয়ে ওঠে পাঁণমার মুখ । 1বমল তাড়াতাঁড় অপর কথা পাড়ে । বলে, 'আপনার বন্ধ জয়ম্তী দেবী এসৌঁছলেন যে খাঁনক আগে ।; তাই নাক? কখনঃ কোথায় গেল সে? কতকাল যে তাকে দোখ ণন। কেমন দেখতে হয়েছে ? কী করছে কি আজকাল ?” দাঁড়ান দাঁড়ান। একে একে প্রশ্ন করুন।"**এসোছলেন সকালের দকেই। আপাঁন তখন পেন্সনের ঘরে । দাঁড়াতে পারলেন না- বললেন, ৯০৭ অনেক কাজ । তাঁর ঠিকানা রেখে গেছেন, বিশেষ ক'রে আপনাকে যেতে বলেছেন । দেখতে ভালই--৪$ 1061 23 6০11 আর করছেন ১ এক কোম্পানী করেছেন--গফলমং তুলবেন 1, 'সবনাশ ! ডুববে যে। এ বাষ্ধ আবার কে 'দিলে ! “দেবার লোকের অভাব কি? কে যেন ওকে বাঝয়েছে ষে হাজার-কতক টাকা হ'লেই ছবি তোলা শুর হবে--তারপর টাকা দেবার লোকের অভাৰ নেই, 'ভীস্ট্রীবউটাররা আছে। ও*কে নায়কা করবে তারা । এ ছবি যাঁদ সাকসেসফুৃল না-ও হয়, ও”র একটা ওপাঁনং পাবেন, চিরাঁদনের মত কোরিয়ার হয়ে যাবে। ও*কে তারা বঝিয়েছে, ডীন প্রবশণ স্বামশকে বাঝয়েছেন --কথাটা ত খুবই সোজা! শশীবাবুর কী সব দামী শেয়ার টেয়ার গল, তাই বেচে পনেয়ো হাজার টাকা দিয়েছেন । উন এখন মহা-উৎসাহে তোড় জোড় ক'রে বেড়াচ্ছেন। সেই উপলক্ষেই আপনাকে খুজতে এসেছিলেন, যাঁদ আপাঁনও কেরিয়ার ক'রে নিতে যান ত চলে যান সোজা-- সাইড রোলের নাক অভাব নেই। এমন কি উীন আমাকেও আশ্বাস দিয়ে গেলেন যে--আমিও যাঁদ ধরপাকড় করি, দু-একটা খুচরো কাজ আমাকে দিতে পারেন। পাঁচ দশ টাকা তাতেও পাবো তবে শুটিং শুরু হ'লে মাঝে মাঝে গিয়ে খবর নিতে হবে ।? ইস্‌-স1, মুখে শুধু একটা আওয়াজ করে প্ার্ণিমা । তারপর খানিকটা স্তব্ধ হয়ে থেকে বলে, আমার এক মামাতো ভাঁগ্নপাঁত এ ক'রে সব্বান্ত হয়ে গেলেন। বাপ মরতে 'তিনচার লাখ টাকা পেয়োছলেন--তাছাড়া জাঁমজমা অনেক কিছ: 'ছিল। তন চার খানা ছাঁব তুলে সব ড্যাবয়ে এখন শুনাছ কালণঘাটের কোন গাঁলতে বিস্কুট লজেন্সের দোকান খুলেছেন । এ তক-্টা টাকা জয়ম্তশীদর, কী-ই বা থাকবে । যে টাকার জন্য নিজের এতবড় সর্বনাশ করলে সেই টাকাও যাঁদ না থাকে-- 1বমল বললে, “আপনার মামাতো ভশ্নিপাঁতর রূপযৌবন 'ছল না, তাছাড়া ণৃতাঁন স্ীলোকও নন । মাপ করবেন-_এটা জয়ন্তীদেবীর মগ্ভ বড় য়্যাসেট্‌। হয়ত ওঁদক 'দয়ে সাঁত্যই কিছু সুবিধে ক'রে নিতে পারেন ।, “সে সাবিধের ত বিশ্রীরকম মূল্য দিতে হয় শুনোছি। তাছাড়া ছবি শেষ হ'লে- দেখানো হলে, তবে ত ওর নাম হবে। আমার ভাঁদ্নপাতির মুখেই শুনোছ, পরের টাকার ভরসায় বহু ছবিই খাঁনকটা তোলা হয়ে পড়ে আছে। শেষ হয়ান ॥ মাথা হেশ্ট ক'রে পার্ণমা বলে। . পীকল্তু এ ছাড়া ও*র যে উপায় ছিল না মিস রায়। বখন খুব অভাব ছল, তখন ভেবোছলেন শারণীরক স্বাচ্ছন্দোর জন্যই ওর যা-কছ কল্ট। গকল্তু সেটার খন অভ্ডাব রইল না তখন দেখলেন যে অভাব যেমন নেই তেমাঁন জশবনে আর কোন রসও নেই । না আনন্দ, না উদ্বেজনা, না আশা ! সন্তান হবে না, প্রৌঢ় স্বামী -থাকল শুধু প্রসাধন ও বেশভ্‌ষা, প্রসাধন দেখবারও লোক নেই একজন। যে নারী বেশভূষা করতে ভালবাসে তার পক্ষে পুরুষের ১০৮ সপ্রশংস দৃষ্ট ছাড়া বাঁচাই অসম্ভব যে ।**তাছাড়া এধারেও দেখুন, সংসারে কোন পাঁরজন নেই, ি-চাকর আছে, হাতে কোন কার্জ-কর্মও নেই । একা এক কর্মহুণন 'ধিনরান্র কাটানো-সে ষে কী সাধংবাঁতিক ৫৪11 এবং একঘেয়ে জশবন তা আপনারা কোনাদন ভাবতেও পারবেন না। এমাঁন এক-আধজনকে দেখবার সষোগ হয়েছে আমার-_কর্মাভাবে তাঁরা ষে কী অকর্ম না করেন তার ঠিক নেই । শুধু এ 21011060105 ভাঙ্গবার জন্যে । তাও তাঁদের কারুরই জীবন জয়ন্তশীদেবশর মত বর্ণ বা আশাহীন নয়। এ যে ওকে করতেই হবে। ওর নিব্শাম্ধতার এই-ই স্বাভাঁবক পারণাত। এ পথে অর্থ না থাক- উত্তেজনা ত আছে ।.*.আমরা খুব বেচে 'গিয়োছ মিস: রায়, গরীবের জীবনে সব কিছুর অভাব আছে--উত্তেজনার অভাব নেই । নম্ট করবার মত কর্মহশন প্রচুর অবসরও নেই । আপন সহজে ওর দুঃখ বৃঝতে পারবেন না !? সে একটু হেসে কাগজের টুকরো এঁগয়ে দিয়ে বললে, “এই 'নন-- ওসদের নতুন আঁফসের 'ঠিকানাটা । বেলা 'তনটে থেকে সাতটা অবাঁধ টান 1নজেই থাকেন ।, ধন্যবাদ । তবে ও গঠকানার বোধ হয় কোন দরকার হবে না।, পাণ্ণমা অন্যমনস্ক হয়ে বসে বসে বহুক্ষণ ধরে কাগজটাকে নটি পাকিয়ে এক সময় পায়ের কাছে রাখা ঝাাড়টায় ফেলে দলে । তারপর একটা ফাইল টেনে নিয়ে জোর করে কাজে মন দলে । গবমলের সামনে ফাইল খোলাই 'ছিল কিন্তু সে আরও বহুক্ষণ কাজে মন বসাতে পারলে না। বেচারণ জয়ন্তী, ওকে দেখলেই কে জানে কেন ীবমলের ফুটন্ত ফুলের কথা মনে পড়ে যায় । কোথায় ওর মুখে চোখে একটা নিষ্পাপ শুল্র পাবন্রতার ভাব আছে, শত প্রসাধন এবং 'বিলাসিতাতেও সেটা চাপা পড়ে না। হয়ত এর সবটাই ওর অনমান অথবা কম্পনা-অথবা অকারণ পক্ষপাত। তবু আজও লাল শাড়ী এবং মূল্যবান প্রসাধনে, তাকে অভিজাত শ্রেণীর গোলাপের মতই মনে হাচ্ছল। এ ক পথে গেলে জয়ন্তী, কেন গেলে ! মন থেকে একটা ক্লান্তি এবং পাঁরতাপ যেন কিছুতেই যায় না বিমলের ! ছুটির পর 1সশীড় বেয়ে নামতে নামতে পীর্ণমা পিছন থেকে কথাটা মনে কারয়ে দিল, “আপান আজ আমার আঁতাঁথ, মনে আছ- কথা দিয়েছেন ? আজও ব্রত বোধ করে বিমল কিন্তু কে জানে কেন কোন রূঢ় বা কঠিন জবাব দিতে পারে না। বরং সাঁবনয়ে বলে, আজ থাক্‌ না--আর একদিন হবে। কথা ত আম 'ফাঁরয়ে নচ্ছি না। তার চেয়ে বরং চলুন একটু মাঠে িরে বাঁস, অনেকাঁদন বসা হয় 'ন। ভাগ্যে যাঁদ থাকে ত চাইাক চানাচুর আর কলসণর চা-ও জুটে যেতে পারে একট; 1, পার্ণমা আর আপাতত করল না। লক্ষ্য করলে বরং দেখা যেত যে 'বাচত্র এবং অজ্ঞাত কোন কারণে একটা সুখেরই আবেশ লাগল তার চোখে মুখে” ৯০৯ কপালে ঈষৎ রক্কোচ্ছবাসই দেখা দিল । রেস্ভোরা কি কোন খাবারের দোকানের ভাড়ের মধ্যে কোন রকমে থাওয়াটাই হ'তে পারে, লেখানে সাহচর্য এমন ক সাল্নধ্যের আনন্দটাও “পুরোপহার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না । মাঠের এই বিপুল প্রসারতার মধ্যেই 'কেমন একটা অন্তরঙ্গতার হাওয়া আছে। বহুলোকের মধ্যেও অনায়াসে সেখানে দুই তন বা চার জনে ঘাঁনজ্ঞ হতে বাধে না। সেই অবারিত অন্তরঙ্গতায় অপরাহের এই অবসম্ম আলোতে দু'জনে সামনাসামান রা পাশাপাঁশ বসে গল্প করার সম্ভাবনাতেই সে খুশী হয়ে উঠল । শুধু এই ট.কুর জন্যেই ওর মন আজকাল যে উন্ম:খ হয়ে থাকে সেটা ওর নিজের কাছেও আর অজানা নেই--এই কাছাকাছি বসে একান্তে একটু গল্প করার জন্যই । অথচ আজকাল এটাও যেন দৃল“ভ হয়ে উঠেছে ।*" বেছে বেছে একটা পারহ্কার জায়গা দেখে ওরা বসল । পাশাপাশি নয়, সামনাসামনি । পথে আসতে আসতে ছোলাভাজা গকনেছে বিমল, ছোলাভাজা আর লগকাবাটা গমিশোনো নুন কাগজে ক'রে । 'িনজের রুমালথানা ঘাসে পেতে ছোলাভাজাগলো তাতে ঢেলে দিল সে। . নন, চালান । একটা চা-ওলা দেখতে পেলে বলবেন, এ যে যারা কলসী ক'রে চাবেচে!, “ওগুলো 'বিষ।, “কে বললে আপনাকে ? এ যেচৌরঙ্গীর ওপর বড় দোকান--যার বয়রা ফরসা জামা পরে এসে দাঁড়ায়-_-তাদের চা তৈরি করা দেখেছেন কখনও 2 এক পাতা ক-বার ফুটোয় তারা, এবং কাপগ্দলো কেমন ভাবে ধোয় £"**চা ক'রে ছে*কে নিয়ে এরা সেটা দশর্ঘকাল ধরে গরম করছে- এছাড়া এদের কোন অপরাধ নেই । ভাঁড়ে দেয়, ওদের কাপের চেয়ে ঢের ভাল ।, একটু থেমে হেসে বললে, “বা রে আম বন্তৃতাকরাছ আর আপিন 1দাব্য ছোলাভাজা চাঁলয়ে যাচ্ছেন 1, পার্ণমাও হাসল। 'মিন্ট প্রাণভরা হাঁস, বললে, মন্দ'বলেন নি। এ যেন সেই দই সতানের গঙ্গ । জাননে সে গঞ্প ? এক থালায় ছাতু মেখে দুই সতগনে খেতে বসৌঁছিল। বড়টা চালাক, খেতে শুর করেই ছোটটাকে বললে, ও সতশন, কেমনে মলা বাপ? তোমার বাবা কেমন ক'রে মারা গেলেন ? সে বেচারী সহানুভূতিশশল শ্রোতা মনে ক'রে মহা উৎসাহে হাত পা নেড়ে বলছে । বলতে বলতে তার কান্না পেয়ে গেছে, কশদছেও । এঁদকেও বড়াঁট খখপ্খপ্‌ ক'রে খেয়ে যাচ্ছে-*"শেষে ছোট সতাঁন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে যখন পালটা প্রশন ক'রলে, তখন বড় কিন্তু সে দিক দিয়েই গেল নাঃ শুধু বললে-_- ফুলল আর ম'ল ।*"এই দেখুন আমি আবা আপনার চেয়ে, বেশী কথা বলে ফেললুম। ঠকলুম আমই--আপনার কম খাওয়াটা পুষিয়ে গিয়েও বেশী খেয়ে নিলেন। . দুজনেই হেসে উঠল আবার । বেশ সরব হাঁস। ৯৯ ইতমধ্যে এক কলসাীওয়ালাকে দেখা গেল দূরে । বিমল উঠে গিয়ে তাকে ডেকে 'নয়ে এল । দ-" ভাঁড় চা নিয়ে জাঁকয়ে বসে বললে, “ছোটখাটো 'পকাঁনক: একটা--ক বলেন ?, তা বটে।১ পাার্ণমা চারদিকে তাঁকয়ে বললে, 'আমরা কাঁবর জাত বলে গার্ব কাঁর--কিন্তু এই মাঠটাকে ক বছরের মধ্যেই কণ বিশ্রী ক'রে ফেললুম বলুন ত! যুদ্ধের সময়ও এত নোংরা হয় নন এধারটা ।+ “রুচিবোধেরও একটা শিক্ষা আছে মস রায় । সাহত্য শিজ্প সঙ্গীত-_ এসবও বুঝতে গেলে যেমন কিছ? কিছু শিক্ষা লাগে তেমান সুন্দরভাবে বাঁচব, রুচিসম্মত পাঁরবেশে বাস করব--এই মনোবৃত্তও 'শিক্ষাপ্সাপেক্ষ | শুধু তাই নয়; কোনটা সুন্দর ও রহচসম্মত তাও শেখা দরকার । ইংরেজরা বদন অভাবের হাত থেকে মণান্ত পেয়েছে, বহুকাল ধরে স্বাধীন ভাবে মাথা উ“চু ক'রে মানুষের মত বে“চেছে, তাদের এসব শিক্ষার অবসর 'ছিল। আমাদের কী এীতহা তা ভুলে যাচ্ছেন কেন ? “তা শুনব না গবমলবাবন, এরই মধ্যে ঠাকুর পাঁরবার এদেশে জন্মেছেন।” “ওটা ভগবানের আয-প্রয়োগ ॥। এমাঁন চলে দু” একটা খুচরো আলাপ । পাঁশ্চম আকাশ থেকে শেষ রশ্মি গবদায় নেয় । জেগে থাকে শুধু একটা রন্তাভা। চৌরঙ্গীর পথে আলোগুলো উজ্জল হয়ে উঠতে থাকে ক্রমশঃ ! সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে যায় একটু একট ক'রে। তবু পাঁর্ণমার উঠতে ইচ্ছা করে না। এ যেন একটা দুলভ অযসর। কেন দুল“ভ তা সেও জানে না। এই যা আলাপ ওদের হচ্ছে, তা আঁফসেও হয় প্রত্যহ--অপ্রত্যাশিততা নেই কোথাও । তবু ভাল লাগে ওর। অবশেষে 'িামলই মনে করিয়ে দেয়, আপনার ত আবার ঘরকল্না আছে-_ উঠতে হবে ত ?, 'হযাঁহবে। তবে কাঁদন থেকে ঝি আসছে, বাসনটা নিয়ে হয়ত বসতে হবে না আর ।**এক রাল্নাটা***দোর দেখলে হয়ত মা-ই চড়াবেন |" উঠি এবার 1. প্রীতাঁদনই ঘাঁড় ধরে দিনরাত ছুটোছ7ট, এ কী আর ভাল লাগে? তাই এক- আধাঁদন এমাঁন ফ্রেণ্ট: লীভ 'নতে হয় ।***আপনারও ত টিউশন" আছে ?' “আছে বৈকি! নাথাকলে কি আর চলে। ওটা বোধ হয় আমরণ থাকবে-- দুজনেই উঠে দাঁড়ায় । চলতে চলতে হঠাৎ পার্ণমা বলে, 'আমাকে একটা 1িউশনশ দেখে দিতে পারেন ? খুব ভালোতে আমার লোভ নেই; মাঝারি গোছের একটা পেলেই বেচে যাই । আপনারা ত নিয়মিত করেন-_নিশ্চয়ই মধ্যে মধ্যে খোঁজ খবর আসে । দিন না একটা দেখে । নচের ক্লাসের ছেলেও ত পড়াতে পার-. হঠাৎ এ খেয়াল আবার ঘাড়ে চাপল কেন? একটু আগেই ঘাড় ধরে ছুটোছুটি করার কথা বলাছলেন না 2..এ ত আরও বাড়বে । বরং সরকারণ চাকরী বা গৃহম্থালী কাজে ফাঁক চলে, গাঁড়মাসিও চলে কিন্তু এরা যে কা ১১৯ চীঁজ তা জানেন না--এই প্রাইভেট ছাত্রের আঁভিভাবকরা ।, পকছু কিছু জান বৈকি । তাই ত এতাঁদন প্রাণপণে এাঁড়য়ে চললুম গিন্তু আর যে চলছে না। বাবা একেবারেই ইনভ্যালিড হয়ে পড়েছেন । তাঁর যা কম্ট, চোখে দেখাও যায় না। অসুখ সারবে না তা জান-_-তবু কতকটা রিলিফ দেবার জন্যেও ডান্তার ডাকতে হয়--নিয়ামত ওষুধে ডান্তারে যে কত পড়ছে তা শুনলে পাগল বলবেন আমাকে, অত খরচ করাছ ব'লে। অথচ কাই বা কাঁর তাও ত বুঝাঁছ না। মার বাক্সেও সোনার একটা কুচিও নেই । এবার বাসনে টান পড়বে । দাদা গত পুজোয় 'িনমাসের বোনাস পেয়ে '্রিশাট টাকা 'দয়োছিলেন-_ সেই ধা বাড়ীতি আয় । তাঁরও নাক সংসার চলছে না 1""মালুটা রোজগার করতে শুরু না করলে বিন্দুমাত্র হাঁফ ছাড়তে পারব না।."*সাঁতা, দেখবেন একটু খোঁজখবর ক'রে? কোথাও আমার এমন কেউ নেই, যে এটুকুও করে। আমি কোথায় নিজে নজে চেষ্টা কার বলুন ত!? ততক্ষণে ওরা এস্লানেডের মোড়ে এসে থমকে দাঁড়য়েছে। বিমল অনেকক্ষণ পরে এইবার পার্ণমার মুখের দিকে চেয়ে দেখল । সে কেমন একটা বিহবল শূন্য দত্উতে তাঁকয়ে আছে পথের 'দকে। মেক্রোর বহু- বাতর উজ্জ্বল আলোটার প্রাতফলন এসে পড়েছে ওর মুখে । সেই আলোতে ওকে বড় করুণ--বড় ম্লান লাগল । সেই সঙ্গে এই প্রথম 'বিমলের মনে হ'ল- সুন্দরও । চোখ দুটো ভাল ক'রে দেখা না গেলেও বেশ বোঝা যায় ষেসে দুটো জলে ভরে এসেছে। হয়ত সেই জনোই সে 'বিমলের 'দকে চাইতে পারছে না-_-চোখে চোখ পড়লে এখান হয়ত ভেঙে পড়বে অকস্মাৎ বিমল যেন ওর প্রাতি অপাঁরসীম একটা মমতা বোধ করল । অসহায়, নিতান্ত বেচারী মেয়েটি ।*** সেষে কী করছে তাবোঝবার আগেই পূর্ণিমার একখানা হাত 'নজের হাতের মধ্যে নিয়ে সামান্য একট চাপ 'দিয়ে খিমল ঈষৎ গাঢ় কণ্ঠে বললে, গনশ্চয়ই-_আ'ম নশ্চয়ই চেষ্টা করব মিস রায় । স্লখজ, প্লশজ, "বি ব্রেভ !, তারপরই-_-সম্ভবত নিজের এই আকস্মিক হৃদয়াবেগের চেহারাটা নিজের কাছে ধরা পড়েই- যেমন হঠাৎ ওর হাতখানা ধরোছল, তেমাঁন হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে - বলতে গেলে ছুটে গিয়ে একটা চলন্ত দ্রামে উঠে পড়ল সে।** পার্ণমা সেইখানেই দাঁড়িয়ে রইল-_বহক্ষণ ধরে । কাষে হয়ে গেল তা যেন সে বুঝতেও পারল না, শুধু একটা অসহ্য পুলক-বেদনায় সারা দেহটা রন গন করতে লাগল । হাতের যেখানটা বিমল হাত 'দিয়ে ধরোছিল সেখানটা দপ দপ্‌ করছে, অদ্ভুত একটা উষ্ণতা সেখানে । তার তাপ কোন এক 'বিচিন্ত উপায়ে সে নিজেই যেন অনুভব করছে । তবু কীষে ঠিক পারছে আর ক যে পারছে না--তাও সে সবটা জানে না। দাঁড়িয়েই রইল সে-তেমান আঁভভূত হয়ে। অনেকক্ষণ.পরে কেউ কেউ ওর মুখের 'দিকে 'বাস্মত এবং জিজ্ঞাস; দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে এইটে অনুভব করার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ওর দম্বিত ফিরে এল ॥ ৯৯: বিস্ময়ের কারণটা আঁবচ্কার করতেও দোর হ'ল না। গালে হাত দিয়ে দেখল জল---চোখ 'দয়েই পড়ছে, হয়ত তখন থেকেই গড়ছে । সেই বিমল চলে যাওয়ার সয় থেকেই । অগপ্রাতভ হয়ে তাড়াতাঁড় নিজের আঁচলেই চোখটা মুছে ট্রামের দিকে এগিয়ে গেল সে । ট্রামের ভীড়ে কোলাহলে ঠেলাঠোৌলতে অনেকটা প্রকাতিচ্ছ হণ্ল পর্ণমা। বাড়তে গিয়েও আর বিন্দুমান্ত অবসর রইল না ?নজের "চিন্তায় নিজে ভূবে থাকার । শচন্তাও 'াবলাস হ'য়ে ওঠে সময়ে সময়ে--কিন্তু তার জন্য 'নর্জন অবসর চাই। বহুকাল পরে মা'র সেই কাঁলকটা উঠেছে, বাবাও একট: বেশী 'িগড়েছেন আজ । মাল? তাঁদের 'নয়েই বিভ্রত । ঝি উনুনে আঁচ'দিয়ে চলে গগয়ৌোছল, সেটা পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । নতুন ক'রে আঁচ দিতে হ'ল । বাবার নস্ফল উম্মা ও মা'র খেদোন্ত--এগুলো অঙ্গের ভূষণ হয়ে গেছে; গকম্তু আজ দুটোই যেন নতুন ক'রে আঘাত করল ওকে-ানজের অবন্থা সম্বন্ধে আবারও সচেতন ক'রে দিল। ওর এ সব সাজে না। অবসর নেওয়ার অবসর নেই । তারপর যথারীতি এক হাতে কুটনো বাটনা রান্না রোগণীর সেবা । মা'র গরম জলের ব্যাগ, বাবার পুরোনো ঘিয়ের মালিশ । তাঁর পথ্যও চাই ঠিক ন-্টার মধ । একেবারে অবসর মলল রাত এগারোটার পর ! মা ঘময়ে পড়েছেন একটু । বাবা আর শুতে পারেন না--বালিশে ঠেস 'দয়ে 'তাঁনও তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছেন । মালু টোবল-ল্যাম্পটা আড়াল 'দয়ে বসে নিঃশব্দে অঙ্ক কষছে । এইবার ওর ছহটি। খাওয়া হয় নি। খেতে অবশ্য হবেই- কিল্তু ঠিক এই মৃহূর্তে ইচ্ছা করছে না। প্ার্ণমা আন্তে আন্তে যোৌরয়ে এল ঘর থেকে । ছাদে যেতে পারলে খুশণ হস্ত কিন্তু ছাদটা বড়ই নোংরা হয়ে আছে । ভাড়াটেদের বলে ব'লে কছহতেই পারে না-__-এর চেয়ে বেশী বলতে গেলে ঝগড়া করতে হয় । খানিকটা ইতচ্ডভত ক'রে ওপরে ওঠবার একটা 'সিশড়তেই এসে বসল সে। সকলকার চোখের বাইরে, কোলাহলের বাইরে একটুখানি অবসযবও ওর চাই-ই । জশবনে কোন অপ্রত্যাশিত আনন্দদায়ক ঘটনা ঘটে গেলে প্রত্যেক মানুষই চায় অন্তত খানিকক্ষণ ধরে মনে মনে সেই 'বস্ময় ও আনন্দানুভাঁতর রোমস্থন করতে । সে-অবসর যে পান না--তার মনে হয় ষে একটা কিছ বড় রকমের লোকসান ঘটল । পার্শণমারও আজ সেই মনোভাব, তার তাই আজ একট.- খান 'নঃশব্দ নির্জন অবসর চাই-ই । বোঁশ দোর হ'লে যেন হারয়ে ধাবে এই বৈচিট্, এই অভাবনীয়তার আস্ধাদ । রার্ত পোহালে চলবে না। অথচ এই অভাবনীয়তাটা যে কী, তা নজের মনের কাছেও প্রশ্ন ক'রে স্পন্ট জবাব শোনবার ধেন সাহস নেই তার । মেকি বিমলের সহানুভাতি, সেকি ওর এ হাতেল্প সামানা স্পশটকে, সবটা জাঁড়িয়ে-? না কি আরও ১১৩ গজেন্দ্ুকুমার মিত্র রচনাবলা (৬৯্১)--৮ পিছ? তাসেজানেনা। জানতেও চায় না। শুধু আজ এই প্রথম জানল যে তার দ্‌ঃখের কথা শোমবায়, তার বাথাবেদনার সহানুভাত জানাবায় একটি মানুষ আছে পাঁথবশীতে এবং সে ঠিক সাধারণ যে-কোন মানুষ নয় । জীবনের সব দিছু সমস্যায়, সব কিছ: জটিলতায়, সব কিছ সংঘাতে যে লোকাঁটর ওপর ধনভ“র করতে চায় সে--এ সেই লোক । মানুষ দুঃখে দৈন্যে বিপদে নিজের কথা জানাতে চায় কাউকে, সহানভূঁতি চায় কারুর কাছ থেকে । সে রকম ঘে- কাউকে পেলেই খুশী হয়, কিন্ত বিশেষ কাউকে পেলে সে খুশির সীমা থাকে না-_ অন্তর উপচে ওঠে আনন্দে । বরং অনেক সময় বহূলোকের সহানুভূতি পেয়েও তার তৃঁঞ্চি হয় না-ধিশেষ একটি লোকের সাম্তবনার অভাবে জীবন 'বিষাল্ত হয়ে যায়। ধবমঙ্ পাার্পণমার সেই বিশেষ লোক। কেন--তা জানেনা । এ-ও সে স্প্ট জানে না যে এতকাল এই লোকটিকে খুশশ করতে, তার সহানুভূতি আকর্ষণ করতে সে একরকম প্রাণপণ সাধনাই করেছে । জানে না বলেই ঘটনাটার অপ্রত্যাশিততা তাকে এত 'ধবচালত এবং আঁভভূত করেছে । তাই তার চমকে সারা দেহে-মনে ওর এই অদ্ভুত 'বাচন্র এক অনুভূতি--তাই সে স্মাতির রোমন্থনে ওর এই রোমাণ্ট |" অনেকক্ষণ পরে সোঁদন সেই শ্তব্ধ অন্ধকার র্লাপ্লে নিজের মনোভাব সম্বন্ধে একটা দারুণ সংশয় ওর মনেও হয়ত দেখা "দয়েোছিল। ণকন্তু অবচেতনার অতঙ্লান্ত সমদদ্র থেকে সে সংশয় পাঁরদ্কার কোন রূপ পারগ্রহ করার আগেই কঠিন শাসনে তাকে সেই অন্ধকারেই 'ফাঁরয়ে দলে সে। বিমল অসাধারণ । 'বিমলকে সে শ্রদ্ধা করে, ভান্ত করে। তার বেশ কিছ; নয়। দূবাসা প্রসন্ন হয়েছেন, পাথরের দেবতা পুজা গ্রহণ করেছেন, তাইতেই, সে এত খুশী, তাইতেই তার এত আনন্দ ! 0২০ ॥ বেল্নায়া এসে খবর দিলে, এক বুড়োবাব বড় গেটটোর কাছে অপেক্ষা করছেন, ছুটি হ'লে গবমলবাবু যেন তাঁর খোঁজ করেন। ধবমল যংপরোনান্ভি 'বাস্মত হ'ল, একটু উতকাণ্ঠতও ছ'ল। বুড়োবাব্‌ ? কে বুড়োবাব ? বাধা নয় ত? কোন 'বপদ-আপদ--? সে বললে; 'কেষন দেঞ্তে সে বাধ? নাম ?ক বললেন ; এখানে নিয়ে এলে না কেন শ্রীনাথ ? শ্রনাথ যেয়ারা দুখটা বিকৃত ক'রে বললে, 'কালোনসত, খুব রোগা এক বাব; ? “চোখে চশমা আছে ? দেখতে পান চোখে ?, হ্যাঁহাা! দেখতে পানবৈ 'ক। দাঁড়ম়ে দাঁড়য়ে ফটকে লটকানো ১৯৪ মোঁটিশগৃলো পড়ছেন 1.**আঁম ত বলগ্গুম আসতে'*শতাঁন কিছুতে এলেন না। বলেন, আঁফসের কাজের গগন 'িরন্ত করা ঠিক নম্ন। আমি দাধ্য এই বোঁন্টিতে বসে থাকব, কোন কম্ট হবে না। দোর হ'লেও এমন কিছ ক্ষাত হবে না। তুঁিবাধা 'গয়ে একটু খবর দাও, মানে অন্য কোল দোয্স দিয়ে দা যোয়য়ে যান ।, কতকটা আম্বন্ভ হ'্া। যাবা নন। এন ক আভলাধ বাবৃও মন গনশ্চয়ই--আঁফিসের সময় সম্বন্ধে তাঁর অত বিবেচনা থাকত না, 'তিঁমও কেরাণী। কৌত্হলের শেষ থাকে না তার । কিন্তু আজই একটা খুব জরুরী কাজ হাতে রয়ে গেছে--এখনই শেষ ক'রে দিতে হবে। 'দল্লশী থেকে বড় করা এসেছেন, কনফারেন্স আছে । এই ফাইলটা লাগবে তাতে । সুতরাং এখন উঠে যাবার কোন উপায় নেই। অগত্যা সে ফাজের ওপরই বৃ.কে পড়ে। সাড়ে চারটে বেজে গেছে, ছ:টিরও খুব বেশখ দৌয় নেই । হাতের কাজ শেষ হ*লেই উঠে পড়তে পারবে । কাজ ষতইজরুরী হোক--মনের একটা অংশ সম্ডভব-অসম্ভব সমজ্ত পাঁরাচিত বধ্ধ ব্যান্তর নামের তাঁলকা রচনা ক'য়ে ষেতে লাগল । এমনও সন্দেহ হ'ল, কোন ঘটক নয়ত? সে শুনেছে বুড়ো ঘটকরা এইভাবে অফিসে অফিসে পাত্রদের তাড়া ক'রে বেড়ায় । কিন্তু অনুমানের পিছনে 'পছনে বহুদূর অবাধ তার মন ছ:টেই বেড়াল শুধু, কোন মীমাংসা হ'ল না। শুধু হাতের কাজটাতেই দোঁর হয়ে গেল 'মানট কতক, বড় সাহেবের লোক এসে দ:*বার ঘুরে গেল। অবশেষে এক সময় কাজ শেষ হ'ল--ছটর সময়েরও বেশ খানিকটা পরে। কোনমতে খাতাপন্লগুলো গুছিয়ে রেখে বেশ একটু দ্রুত পদেই নেমে এল বিমল । কিন্তু নেমে এসে বাঁকে দেখতে পেল সে--এতক্ষণের এত অনুমানের ধারে-কাছেও 'তাঁন ছিলেন না। পূর্ণ মাঙ্টার মশাই ! তাড়াতাঁড় হে”্ট হয়ে প্রণাম ক'রে বিমল বললে, 'কণ ব্যাপার মান্টার মশাই, হঠাৎ এমন সময়ে, এখানে ? এমন ভাবে ?, পূর্ণবাব একটহ শুপ্রাতভ ভাবে হেসে বললেন, গযাঁ_মানে কাল প্লান্্েই এসোছ। নাত্‌নশর ওখানে কাঁটয়ে এলনম অনেফ ফাগাস। তিন চার মাস? “তা আমাকে খধর দিলে ত আই যেতে পারতুম । আপাঁন আধা এছ শরাঁবে এতখান পথ বাসে ট্রামে ফেন আসতে গেছো ? না, শরীরটা আমার গখানে শীগয়ে বেশ সেরেছে। সারে বন; আমি ত বেশ জোর পেরেছি **তা ছাড়া- ব্যাপারটা হ'ল কি জামিস ধাধা, এত কথা ধিলবার আছে তোকে যে এখানে পেশছে আর যেন একটুও অপেক্ষা করতে গারলুম না। সকালেই যেতুম, তোর বাড়ীর ঠিকানা ঠিক জান না বালেই-_। 'ষে দিন থেকে মনে ঠিক-পেলুম কথাটার, ঠিক বিশ্বাসী জন্মাল, সোঁদন থেকে ১১৬ কণ্টা দন বলতে গেলে ছট্‌ ফট করোছ। এই চার পাঁচ দিন যেকাঁকরে কাঁটয়োছ তা আমই জান ।.""মনে হ'ত যে ছুটে চলে আস । রণ আরও একমাস থাকবার জন্যে খুবই পেড়াপশাঁড় করেছিল কিন্তু আম কিছুতেই থাকতে পারলুম না। তোকে না বলা পধন্ত চির হ'তে পারাঁছ না।, গিমল হাসল । বললে, ক এমন কথা 2"*তা চিঠিতে লিখলেই ঘ হ'ত । আর কিছুদন ওখানে থেকে শরীরটা ভাল রকম সারিয়ে এলেই ভাল করতেন। গমাছিমাছ-_, “এই বয়সে আর কত সারবে বাবা । তাছাড়া জামাই-বাড়ী, একমাস একমাস ক'রে কতাঁদন হয়ে গেল । আর কি ভাল দেখায় ।.*"তবে ক জানিস, চিঠি লেখার কথাটা মনে পড়ে নি। খুবই অবসর 'ছিল, লিখলে লেখা যেত ।” ততক্ষণে পথে যোরয়ে পড়েছেন ও*রা । পর্ণবাব্‌ বললেন, 'একটু কোথাও বসতে হবে বাবা বিমল, অনেকক্ষণ দাঁড়য়ে আছ ।, চলুন, এঁ মাঠটায় গিয়ে বাস। তা ওপরে যান নকেন ? না, না। সে ভাল নয়। আঁফসের কাজের সময় গিয়ে, কাজে বাধা সৃষ্টি করব কেন। আম ত আঁফসের কাজে যাই 'নি, এমন কোন জর্রী কাজও নেই । 'াছামাছ ক্ষাত করা বৈ ত নয়-_” গবমল হাসল একট, বলল, “আঁফসের কাজ সম্বন্ধে আপনার মত শ্রদ্ধা যাঁদ আমাদের থাকত মান্টার মশাই ! তারপর হঠাৎ প্রন করল, 'আপাঁন ইদানীং কোন সরকারী আফসের মধ্যে গয়ে বসেন 'নি-_না ?, পূর্ণবাব্‌ 'বাস্মত হলেন একট;, “কেন বলত £ না, সেই ইস্কুল ছাড়বার পর থেকে আর যাই নি 1 তখন মাঝে মাঝে যেতে হ'ত ইন্সপেক্টারের আফসে। তাও আঁবাশ্য যাকে আঁফসের ভেতর যাওয়া বলে তা কখনও যাই 'নি। স্লিপ পাঠিয়ে ও*র খাস কামরার বাইরে অপেক্ষা করতুম, ডাক পড়লে যেতুম । গবমল বলল, "ও তাই । আপাঁন মনে করেন আমরা সবাই একমনে ঘাড় গুজে কাজ ক'রে যাই, না ? অত মনযোগ 'দয়ে কর্তব্য পালন করলে আর ভাবনা ছিল না নান্টার মশাই । শুধু সরকারী আঁফস কেন--প্রায় সব আফসেই--আমরা কাঁদন পুরো সময় কাজ কার বলুন ত ! মাসে সাত-আটটা [দিন হয় তঢের। আঙ্ডা এমানই এত চলে আঁফসের মধো যে এক-আধ দন এক-আধ জন এলে গেলে কোন ক্ষাত হয় না। লোকে কি আর খুব মিথ্যা দুনামি দেয় 2 এনত প্রায় সবাই জানে যে, সরকারণী কাজের মান্বাপ নেই 1, ততক্ষণে ওরা পথ পোঁরয়ে একটু ঘাসের খোঁজ পেয়েছে । পূর্ণবাবুর কষ্ট হচ্ছে দেখে বিমল সেইখানেই বসে পড়ল । আঁফস-ফেরৎ বাবুর দল দু একজন একট? অবাক হয়ে তাকাল কিন্তু ওদের দুজনের কার্‌রই সোঁদকে লক্ষ্য ছিল না। কৌতহলটাই ?বমলের সবচেয়ে প্রবল হয়ে উঠেছে সেটা অস্বীকার করার উপায্ নেই। সে বসে পড়েই প্রন করল, "তারপর 2 ব্যাপারটা ক বলুন ত? এমন আঁদ্ছির হয়ে চলে এসেছেন, এমন কা জরুরী কথা ? ৯৯৬ 'বলাছ।” পর্ণবাব্‌ যেন দম নেবার জন্যই স্থির হয়ে বসলেন। কিছু দন আগে 'বিমলের শন্ত কথাগুলো যেমন তাঁর হাদয়াবেগে আলোড়ন জাগয়েছিল, আজও তান তেমাঁন একটা আলোড়ন অনুভব করছেন। বহু দিনের বিস্মৃত বেদনা যেন আজও আর একবার স্াঁঞ্চন্সমদ্রে থেকে বোরয়ে আসতে চাইছে, স্মৃতির দ:য়্ারে পড়ছে ঘা । হঠাৎ তখনই কথা কইতে পারলেন না পর্ণবাবৃ। বিমল 'চ্ছির হয়ে বসে রইল । তার এই দারদ্রু অবহেলিত মান্টারমশাইকে শুধু সে শ্রদ্ধাই' করে না- ভালও বাসে । তাই সে তাঁর চারন্রের সমন্ত বৌশস্টা এবং রহস্য জানে । কোন এক কারণে তাঁর অন্তরের মর্মমল আহত হয়েছে, তাই এভাবে ছুটে এসেছেন। আঘাত এবং আবেগ সামলাতে সময় দিতে হবে। ণমাঁনট কতক পবে পর্ণবাব্‌ চোখ খুললেন। একাঁট দঘণ্বাস ফেলে নড়ে চড়ে বসলেন। তারপর আন্তে আস্তে বললেন, “সোঁদন-_মানে যোঁদন ওরা আমার এঁ--" বলতে বলতে থামলেন এক মৃহূর্তে, বোধকাঁর 'নজের সম্বন্ধে “সংবর্ধনা? শব্দটা উচ্চারণ করতেই বাধাঁছল তাঁর, “এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছিল, সোঁদন তুই যে কথাগুলো বলে এসোছাল--মনে আছে ? তারপর থেকে আর সে কথাগুলো ভুলতে পাঁর নি রে। কাঁদন না পেরোছ ভাল ক'রে খেতে, না পেরোছ ঘুমোতে । অহোরান্ন শুধু এ কথাগুলোই ভেবোছি।, বিমল হাত বা়য়ে গুর পায়ের ধূলো নিয়ে বললে, “সে আমার অমাজনীয় ধৃষ্টতা হয়োছল মাছ্টার মশাই, আমার সেটা অপরাধ ।, পূর্ণবাব এবার মুখ তুলে চাইলেন । হাসলেনও একটু । বললেন, 'ধ্টতা বলাল, অপরাধ বললি-কিল্তু ভুল বলতে পারাল না। আমি জান তুই তোর জ্ঞান-বাঁম্ধ-বি*বাসের ওপর জোর রেখে সাঁত্য জেনেই বলোছাল কথাগুলো । তাই ত আমি আঁন্ছর হয়োছলুম ।...তুই ত জানস, কোন কাজ ক আচরণ ভূল বলে বা অন্যায় বলে বুঝলে তার সংশোধন কি প্রতিকার না' হওয়া পযন্ত আম গ্ছির থাকতে পাঁর না। তোর কথা সাত্য হ'লে আমার সমন্ড জীবনটাই যে ভুল হয়ে যায়।, আবারও কয়েক মুহূর্ত থামলেন 'তিনি। হয়ত বা সেই সাংঘাঁতক সম্ভাবনার পূর্ণ গুরু ক্পনামান্র করেই, শিউরে উঠলেন । তারপর বললেন, “ভাবনার ষেন কোন কৃলাঁকনারা ছিল না । মনে মনে জানা অজানা কত কথাই তোলাপাড়া করেছি, সমর্থন খুঁজেছি 'নজের আচরণের । কিন্তু আজ স্বীকার করতে 'দ্বিধা নেই-মনে কোন জোরই পাই নি । মনে হয়েছে তোর কথাই 'ঠিক। যে লেখাপড়া শেখাটা মানুষের জীবনে সব চেয়ে দরকারী কাজ বলে মনে হয়েছে--ব্যাঝ তার সাতাই কোন মূল্য নেই। যে জীবন তাকে যাপন করতে হবে সেই জীবনের উপযোগী হাতিয়ার সংগ্রহই ভার দরকার । অন্নবস্ঘের কথাটাই সবচেয়ে বড় কথা ! কিন্তু ওখানে গিয়ে সে ভুল আমার ৯৯৭ ভেঙেছে! আম নিষ্বের মনে জোর পেয়োছ । আজ আমি নাশ্চন্ত।, পূর্ণবাবু বিলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। কিন্তু বিমল কোন উত্তর দিলো না- তাঁর দিকে বাপ্মত চোখ মেলে নীরবে চেয়ে রইল শুধু। খাঁনিকপরে পূর্ণঘাবুই আবার বলতে শুরু করলেন, “ভুলটা আমার হঠাৎই ভাঙ্গল। নাত-জামাইয্ের পাশের কোয়াটারে একটি ছেলে পড়াতে আসে । তার সঙ্গে আলাপ হয়ে 'গিয়োছল । সে ছেলোঁটর বই কেনবার নেশা আছে, সে আমাকে একখানা ইধরেজণ মাসিক পড়তে দিয়েছিল । তাতেই হঠাৎ খবরটা পড়লুম। হিসেব দিয়েছে কোন: দেশে শতকরা কত লোক লেখাপড়া জানে, আর মে অনুপাতে কত বই বিক্রী হয়। তাতেই জানলুম, আমোরকাতেই সব চেয়ে দেশী লোক 'শাক্ষিত--অথচ সে িসেবে সব চেয়ে ওদেশেই বই কম বিক্রী হয়। এই তোর টেকনিক্যাল শিক্ষার মূলা বাবা । ওতে শুধু মানুষকে পয়সা রোজগার করতেই শেখায়, তার চেয়ে বড় দিছু দেয় না।.."যে শহরে আমি 'ছিলুম, সেখানে কারখানার কমণচারীদের জন্যে কত ব্যবস্থাই না করেছে । ইন্দ্রপুরীর মত শহর, ভাল ভাল কোয়াটরি, রাস্তাঘাট, আলো, ইলেকাঁদ্রক, জলের কল--কিছ:র অভাব নেই । ক্লাব, দিনেমা, ইঙ্কুল- সব আছে। অঙ্গ বয়সে কাজ শিখে ওখানে ঢুকে মোটা মোটা মাইনে পাচ্ছে । না আছে খাওয়া পরার কষ্ট, না আছে বসবাসের কোন অসুবিধে ।"**কিন্তু বাবা--বড় বড় মোটা মোটা মাইনের আঁফসারদের বাংলো থেকে টাইম টেবলং আর বুড়ী মা 'দাঁদমা থাকলে একথানা পাঁজ, এ ছাড়া আর একটা বইও বার করতে পারাঁব না। সরস্বতণগ একেবারেই বিদায় নিয়েছেন 1, মল আজ আর উত্তোঁজত হ'ল না। বরং আশ্চষ" শাম্ত কণ্ঠে উত্তর দিল, দসরম্বতীকে বিদায় দেওয়াই ষে একটা শোচনধয় ঘটনা এটাই ষাঁদ আম না মান; আপাঁন আমার মূল বন্তব্যটা ভুলে যাচ্ছেন মাঙ্টার মশাই ৷ লক্ষী থাকাটাই আসল কথা-_সরস্বত' না থাকলেও চলবে ।, শকন্তু এতে ক'রে লক্ষমীকেই ক ধরে রাখতে পারবি 2*"ইংরেজের রাজ্যে সূর্য অস্ত ষেত না । 'কন্তু সে পৃঁথবীব্যাপণ সাম্রাজ্য কারা গড়ে তুলোছল ? তারা কেউই টেকনিক্যাল ট্রোনং-এর ধার ধারত না। সামান্য ইংরেজ, তার সঙ্গে যাঁদ দৃ'পাতা ল্যাটিন গ্রীক শিখতে পারল ত সে মহা-্গশ্ডিত ব'জে গণ্য হ'্ত সেকালে । তোদের এখনকার মত চৌকস টেকানিক্যাল ফ্ৌনং 'ছিল তাদের কঙ্পনারও বাইরে । কিন্তু সেই সব মৃ্খের দল যা করে রেখে 'গিয়েছিল আজ শিঙ্পাবিজ্ঞানে পারদ” ইংরেজ সে সব 'বালয়ে দিয়ে দেউলে হয়ে বসল 1 বলতে পাঁরস বিমল- আমোরকানরা পৃথিবীর মধ্যে কোথায় কি স্াবধে করতে পেরেছে? পৃথবীর উপকার করে বেড়াচ্ছে আর সব্পই মার খাচ্ছে! সব জায়গাতেই মে উপহাসাস্পদ । বোকা জাঁমদারদের ছেলের মতই তার অবস্থা ।"' যখন এত কল-কারখানার ছড়াছাঁড় 'ছিল না, তখন ইউরোপণয়ান পান্ডতরা জ্জন-বিজ্ঞানে পাঁথিবপকে ষতটা সমহ্থধ কয়তে পেরেছেন--ততটা এখন কেউ পারছেন কি 2 শুধু মারণাস্মই তৈরী হচ্ছে রং-বেরং-এর !, ৯১১৮ না তাক নয় মান্টার মশাই । পৃথবী আজ এত এগয়ে গেছে ষে সাধারণ চলাট্রা আপনার হয়ত চোথে পড়ছে না-_ছুটে চলা ছাড়া কোনটাকেই চলা বলে মনে হচ্ছে না আপনার ! তা হয়ত হবে। ধিকল্তু বাবা আমাদের দেশের কথা আম ভাল ক'রেই ভেবে দেখোছি। ইংরেজের লিবারেল এডুকেশন না পেলে আমাদের খুবই ক্ষাত হ'ত। বাংলা দেশের দিকে তাণকয়ে দ্যাখ উনাঁবংশ শতাব্দীর আগে বাঙ্গালগ ফি ছিল ? ভাঁড়্‌দত্ত আর মরার শীল- এই হ'ল আগেকার সাধারণ বাঙ্গালীর নমুনা । আর একট? এগ্ুলে রাজ্ববল্লভ, রায়দূলভ, বড় জোর নন্দকুমার ॥। নবদ্বীপের দ্‌, একজন পণ্ডিত আর মহাপ্রভুকে বাদ দিলে সোজা এগিয়ে আসতে হবে উনাঁবংশ শতাব্দীতে । রামমোহন বিদ্যাসাগর ভূদেব মাইকেল রবীন্দ্রনাথ 'িবেকানন্দ যার কথাই বল না কেন, ইংরেজের গলিবারেল এডুকেশন ছাড়া কেউই বিকশিত হ'তে পারতেন কি ?, 1বমল প্রশ্ন করল, ণকন্তু রামকৃষ্ণ বীজ ভাল ক্ষেত্রে না পড়লে ফসল ভাল হয় নাবাবা। ঠাকুর রামকৃষ্ণ সপ্তদশ শতকে জন্মালে কেউ তাঁকে চিনত না। নতুন আলো আর হাওয়ার মধ্যে এসে পড়োছিলেন বলেই বিকাঁশত হবার সুযোগ পেয়োছলেন তাঁন। দেশের নবজাগরণের শুভলগ্নাঁটতে তান জন্মাতে পেরেছিলেন, এটা আমাদের কাছেও সৌভাগ্য বৈকি! আর বিবেকানন্দ! ইংরেজের শিক্ষা ছাড়া গববেকানন্দ তোর হ'ত বলে আম মনে কার না। এদের কথা বাদ দে, তোদের রাজনীতিক নেতারাও সুরেন বাঁড়ুয্যে, সি আর দাশ--সবই এ ষৃগের মানুষ, এ ক্ষেতের ফসল । সে যুগের বোশিল্টয শেষ হয়ে গেল বোধ হয় নেতাজীতে। আমাদের বাল্যকালে__-তার অনেক পরেও--সুভাষবাব: যখন ছেলেমানূষ তখনও-_কিশোর ছেলেরা স্বপ্ন দেখত তারা সন্ন্যাস হবে, ববেকানন্দ হবে, দেশের সেবা করবে । আজকের 'কিশোরেরা স্বপ্ন দেখে তারা বিড়লার মত [শিজ্পপাঁতি হবে নয়ত িল্‌মের আঁভনেতা হবে । ঠিক ফি না বজস্্ষাঁদও মাম্টারী ছেড়োছ, ছেলেদের সংসগ্গ ত্যাগ কার নি। পথের ধারে বসে থাকি, সব কথাই:কানে যায় 1*'এ দুটো আদর্শে অনেক তফাৎ । এখনই ত সরকারী আঁফসের কথা বলাছ'ল, দেখতেও ত পাচ্ছি নেতাদের কত শুভ সংকঙ্গপ নজ্ট হয়ে যাচ্ছে, শিব গড়তে বানরে পাঁরণত হচ্ছে শুধৃ উপযহস্ত কম্মীর অভাবে । যত দিন যাবে এ অভাব বাড়বে বাবা । সেবা কথাটাই উঠে বাচ্ছে দেশ থেকে-_-এটা যে কত বড় ক্ষাঁতি, একাঁদন তোরা বুঝাঁব ।, অনেকক্ষণ চুপ ক'রে থেকে বিমল বললে, “আপাঁন ক তাহ'লে বলতে চান- আমরা পিছু হটব ? শপছু ছটবার কথা বলব কেন বাবা । এগোব--তবে ভুল পথে নয়-_ এইটেই আমি বল্গতে চাই । 'িহ্প দ্গাহত্য সঙ্গীত--এগুলোকে বাদ 'দিয়ে শুধু খাওয়া-পরাণ্থাকার সাধনাটাই যে মানুষের বড় সাধনা এইটে আম পকছুতে মানতে রাজ নই। আর ওগুলোকে ঘাঁদ বাদ দিতে না চাই, ৯১৯ তাহ'লে সাধারণ শিক্ষাকে বাদ 'দতে পারব না। সংস্কৃত গড়ে চাকরী পাব না হয়ত, তবু ওটা দরকার, যেহেতু কালিদাসকেও আমাদের দরকার । ইংরেজী ভাষার মধ্য 'দিয়ে 'বশ্বের জ্ঞান-ভানডারে পেশছব, বিশ্বের কাব্য-দর্শন ইতিহাসে প্রবেশ করব বলেই তাদের গ্রামারও মুখস্থ করব 1) 'থাওয়ান্পর়ার প্রম্মটাও বড় প্রন ম্াহ্টার মশাই ! দেহটাও উপেক্ষণণয় ময়।, “তা জানি বাবা, ফিল্তু খাওয়া-পরাটা নিয়ে আমাদের কতটা মাথা ঘামানো উচিত সেটা কোন দিন তোরা ভেবে দেখোঁছস 2 ওর কোন লশমা-রেখা নেই । সুখ এবং স্বাচ্ছন্দোর মাপকাঠি--টানলে ক্রমাগতই বেড়ে বাবে । একশবছর আগেকার মজংররা এখনকার এ ইনডাস্ট্ীয়াল টাউনকেই সাক্ষাৎ স্বর্গ বলে মনে করত। এত সৃবিধার কথা স্বপ্নে দেখবারও উপায্ন ছিল না তাদের। আজকের কেরাণশদের অর্ধেক সুবিধা পেলে তখনকার কেরাণীরা সুখে অজ্ঞান হয়ে যেত। কিন্তু আজই ?ি তাদের তৃপ্তি আছে? নাতজামাইয়ের ওখানে শুনে এলাই ধর্মঘট আসন্ন । আজও পাীথবীতে এমন দেশ আছে-স্বাধীন দেশ--যেখানে মজুরদের হাশসমহখে দৈনিক এগারো ঘণ্টা খাটতে হয়। প্রীতবাদ করবার উপায় নেই। আমাদের দেশের লোক আট ঘণ্টা থেটেই বুকের রম্ত দচ্ছে মনে করে। তারা খাবার সময়টা আরও কমাতে চায়। আমার তারাপদ পণ্ডিত মশাইয়ের কুঁড়গুণ মাইনে পান ষে সব শিক্ষকরা, তাঁদের অসন্তোষ তারাপদ বাবুর চেয়ে ঢের বোশ ! আঁম এদের দোষ দিচ্ছি না, বিদ্রুপ ত করাছই না। শুধু বলাছ ষে প্রয়োজনবোধটাকেও ইচ্ছা করলে সংহত ও সীমাবদ্ধ করা ধায় । তাহ'লে এই যে জীবনের দিকে আমরা ছুটে চলেছি, দে জীবনটাকে আর এত একান্ত আবশ্যক বা মূল্যবান বলে মনে হবে না।? 'আজ সারা পাঁথবীই যে এই ্দকে ছুটে চলেছে মাজ্টার মশাই | তারা কি সকলেই নিবেধি ? “পাম্ধীজই ি খটব নিবেধি ছিলেন 2? তোরাই ত তাঁকে জাঁতর জনক বঁিস, তাঁর দৌলতেই তোরা স্বাধীনতা পৌঁল বলে বেড়াস ! অতবড় দুঁদে সান্ভাজাবাদণীদের সঙ্গে লড়াই ক'রে যে 'জিত্‌ল সে কি তাদের চেনে 'ন 2'*এই সভ্যতার আসল চেহারাটা 'িকই তাঁর চোখে পড়েছিল । সেই জন্যে তোরা যাকে বাঁলস ইনডা্টীয়ালজেশন--তান তার এত 'বরোধী 'ছিলেন। আমাদের গ্রামের জশবনকে ধংস করে এ এমন এক নাগারক জশবন এনে দিচ্ছে যা আমাদের পক্ষে আদৌ শ্রেয় নেয় । আমি এই কশদনে কথাটা খুব ভেবে দেখোছ বাবা বিমল, এই কলকারখানা পাথবীর এমন কোন উপকার করে ণন--কিম্তু অপকার করেছে ঢের ৷ মালের প্লোভাকশন যেমন বেড়েছে, অমান দরকার হয়েছে তার জন্য বিস্তৃত বাজায় । সেই জন্যেই প্রয়োজন হয়েছে ধিম্বধ্যাপণ সাম্রাজ্য আঁধকার করা। ইংরেজ আর ফরাসী, আগে ভাগে অর্ধেক দনিয়াটা দখল করে নিয়েছিল বলেই জামনিী আর জাপানের এত রাগ ৯৯২০ ওদের উপর । ইংরেজরা খোলা প্রাতযোঁগতায় কোন দিন পেরে ওঠে নি এদের সঙ্গে-_-নিজেদের রাজদ্ধে জোর ক'রে দাবিয়ে রেখোছিল শুধ। ইম্পিরিয়াল প্রেফারেম্স অনেকেরই চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিল ।-"-এই এত বড় দুটো বিশ্বযুদ্ধের মুলেও ক এ বিদ্বেষ 'ছিল না 2."*প্রথম বিশ্বযৃদ্ধের সময় হু-হ্‌ ক'রে কাজ বাড়াতে হয়োছল। তার পর আমোরকার কারখানায় যখন কাজ কমে এল-_অমনি পড়ে গেল হাহাকার কত লোক আত্মহত্যা করল না খেতে পেয়ে, তার সীমাসংখ্যা নেই । তোরা তখন ছোট ছিলি তোরা জানিস না, আমরা খবরের কাগজে পড়েছি । সেইজন্য এবারের লড়াইয়ের পর সহজে হাত গুটোতে পারছে না-_নানা উপায়ে লড়াইয়ের গরম বাতাস জা'ইয়ে রাখছে । এই যে সোঁভয়েট রাশিয়া, চাঁরাদকে কেবল কারখানা বাড়িয়ে যাচ্ছে শুধু মাল, শুধু মাল,লোকগুলোকে খাটিয়ে 'পষে তাদের ঘন্মে পরিণত করছে--একাঁদন যখন তার নিজের অভাব মিটবে, তখন এই রাক্ষুসে কলকারখানাগুলো নিয়ে কী করবে বল্‌তট এত মাল বেচবে কোথায় 2 লোকগুলোকে ক কাজ দেবে ?**তখনই তার দরকার হবে বাইরের বাজার, সাম্রাজ্য । এখনই ত ছোটখাটো সাম্রাজ্য সে গড়ে নিয়েছে, মালও বক্র চেষ্টা চলছে । এখন আছে খুব ছোট স্কেলে, তখন সেইটেই বেড়ে যাবে। আমাদের ভারতেরও এই হাল হবে একাঁদন। কোন দিন না কোন দিন নিজেদের দরকারকে ছাড়িয়ে যাবে মালের প্রোডাকশন ! তখন ?."না বাবা মল, ইনডাস্ট্রির অগ্রগাঁত, বৃহৎ শিল্ুপপ্রচেম্টা--অাৎ এক কথায় বড় বড় কলকারখানা চ্ছাপন--এটাই যে সমস্ত সমস্যার একমান্র সমাধান তা আম মানতে রাজী নই ।; পূর্ণবাবু কতকটা শারশীরক ক্লাণন্ততেই,বোধ কাঁর দম নেবার জনা এইবার থামলেন একটু । পাঁশ্চম আকাশে অনেকক্ষণ ধরেই মেঘ জমছে, তাই হঠাং যেন চারিদিক অন্ধকার হয়ে এসেছে-_-ঘাঁড়র 'হসেবে একটু বোঁশ তাড়াতাঁড়ই । এখন মুখ তুলে সৌঁদকে চেয়ে বিমল ব্যস্ত হয়ে উঠল, বললে, 'এখান॥থেকে উঠতে হবে মান্টার মশাই-_বঝড় উঠবে বোধ হয় ।, কথাটা পূর্ণবাবূর কানে পৌঁছল না। প্রবল উত্তেজনায় অনেকক্ষণ বকে গেছেন, তায় প্রাতীক্য়া শুরু হয়েছে । সষস্ত দেহ থর থর করে কাঁপছে। তব কিন্তু তান তখনও তাঁর নিজের বন্তব্যেই ডূবে আছেন। একট পরে বেশ একট: ক্লাম্তসুরেই বললেন, “যারা একাঁদন 'িবারল এডুকেশন পেয়োছল তারাই আজও ডেমোক্রেসি ডেমোরেসি ক'রে চেশ্াচ্ছে। নেহেরু গান্ধীজ- এ*রা ইংরাজের খাস প্রডাক্ট । যে শিক্ষা এশরা পেয়েছেন সে শিক্ষাকে 'বিদায় 'দাচ্ছ আমরা-কোন কোন দেশ আগেই দিয়েছে । ফলে নতুন ধরনের অধানতা, নতুন ধরনের সাম্রাজ্যবাদকেই 'ি ডেকে আনা না ? আজ কেউ কারুর কথা শুনতে প্রস্তৃত নয়, সবাই চায় জোর করে অপরকে জের মতে আনতে । যে আমার দিকে নয়--সে আমার শন্ু। এ মনোভাব ভাল নয় বাবা, মোটে ভাল নয়। মানবজাতির কোন কল্যাণ এর ৯২১ মধ্যে নেই। তুই কি বলতে চাস চল্লিশবন্থর পরেও আজ মোভিয়েট রাশিয়ায় জনসাধারণ জারের আমলের চেয়ে বেশি স্বাধগনতা ভোগ করছে ?...যন্ম-সবস্ব নাগারক সভ্যতার মধ্যে ঝানম়ের কল্যাণ নেই, এটা সেই সতাদ্ুষ্টা খাষ, গান্ধীজ উপলাষ্ধ করতে পেরোছিলেন, তাই 'তাঁন চরকা, খদ্দর, কাটিরশিজ্পের ওপর অত জোর 'দিয়েছিলেন, সহজ সরল অনাড়ম্ববন্ত অথচ স্বাস্থকর গ্রাম্য জীবন কল্পনা করোছিলেন-_যেখানে রোগ থাকবে না, অভাব থাকবে না, অথচ কম্হীন জশবনে বসে বসে শুধু পরের আঁনষ্ট চিন্তা এবং পরচচাঁ করবে না লোকে সবাই খেটে খাবে। অভাব যেমন থাকবে না, তেমান সহম্রাবধ ধবলাসের সরঞ্জামণ্ড থাকবে না। পরস্পরের ফল নজেরা ভাগ ক'রে নিয়ে সৃখে থাকবে । এ কুটির থেকেই আবার সাহত্য গিজ্প দর্শন আসতে পারে-- যা মানুষকে এতকাল ধরে অপর জন্তুর থেকে স্বাতন্ত্য ও শ্রেষ্ঠত্বের দলিল জনীগয়েছে । এই সব আধুনিক ইন.ডাস্ট্রয়াল টাউনের ধারে-কাছেও তার আন্তিত্ব পাওয়া যাবে না। ওখানে বড় জোর সরকার বা রাজনোতিক দলের উৎসাহ দেওয়া ফরমাসী সাহত্য শিপ তৈরী হ'তে পারে, কারখানার ছাঁচে ঢালা অপর কোন মালের মতই ॥; ঠাণ্ডা বাতাম বইতে শুরু করেছে । মেঘ ডেকেছে ইাতমধ্যে। আকাশে আসন্ন দুষোগের সূচনা । বিমল একেবারে উঠে দাঁড়য়ে বললে, “কন্তু আর নয়, উঠুন মান্টার মশাই, জল এল বলে।” সে সযত্বে পূর্ণবাবূর হাত ধরে ওঠাল। হাত ধরেই নিয়ে যেতে হ'ল তাঁকে । এতক্ষণের উত্তেজনা বন্তব্যের সঙ্গেই নিঃশেষ হয়ে গেছে, অবসাদ এসে চেপে বসেছে, মনে শুধু নয়_দেহেও । পা ভারী হয়ে উঠেছে, কোন মতে টেনে 'নয়ে চলতেই পারছেন না তান । খাঁনকটা শীগয়েই ভাগ্যে একখানা রিক্সা পাওয়া গেল। রক্সা করে ধর্মতলার মোড়ে পৌছে আঁতকন্টে একখানা বাসে উঠল ওরা। আর এক 'মানটও দোর করলে অস্হাবধার অন্ত থাকত না। কারণ বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল ঝড় উঠল-_একট; পরে জলও শদর হয়ে গেল । বাসে বসবার জায়গা পাওয়া গেল না। 'িমল পাশ থেকে ওকে জাঁড়য়ে ধরে রইল । পরর্ণবাবুও তন্দ্রাতুর শিশুর মতই সমস্ত দেহের ভারটা ওর ওপর ছেড়ে 'দিয়ে ক্লান্তির নিঃ*বাস ফেললেন । খাঁনকটা যাবার পরই হঠাৎ বোধহয় মনে পড়ে গেল কথাটা । “তুই এদকে যাচ্ছিস বাবা-_-তোর, তোর 'ট্িউশনী নেই ? “আছে--তবে আজব না গেলেও এমন কোন ক্ষাত হবে না। আপনাকে বাড়ীতে পৌছে 'দয়ে আসি ।, পৃর্ণবাব্‌ আর কোন প্রাতবাদ করলেন না । বোধকাঁর করবার উপায়ও ছিল না। পা দখানা তখন সাঁতাই ভেঙ্গে আসছে তাঁর । ৯২ 1২১৯ ॥ পূর্ণবাব্‌ সোৌঁদন যখন কোনমতে বাড়তে পৌছে এক রকম 'নিঃশন্দেই শায্যা গ্রহণ করলেন--তখন তাঁর এবং 'বিমলের দুজনেরই মনে হয়োছল এ র্লাল্তটা সামায়ক, একটা রাত "বিশ্রাম নিলেই সেরে যাবে । বিশেষত অনেক- দন পশ্চিমে থেকে খানিকটা সস্থ হয়েই এসেছেন, খুব একটা দের লাগবে না নিজেকে সামলে নিতে । মানাসক অবসাদেই দৈহক প্রাতীক্রিয়া বৈ ত নয়, স্নায়ু বিশ্রাম পেলে পেশশও সক্রিয় হয়ে উঠবে । ণকন্তু পূর্ণবাবু পরের দিনও উঠতে পারলেন না। তার পরের দিনও না। কে যেন তাঁর পা-দুটো থেকে সমস্ত শান্ত হরণ করেছে । শুধু পা দুটোই না কেন-_হাতও নাড়তে ইচ্ছা করে না তাঁর, বিছানায় উঠে বসতেও যেন কষ্ট হয়। এ যেকী একান্ত অবসাদ--তা তান বোঝাতে পায়েন না স্ত্রীকে । হয়ত নিজেও বুঝতে পারেন না ভাল ক'রে । উৎকণ্ঠিতা "প্রয়ম্বদা বার বার প্রশন করেন, “কা কষ্ট হচ্ছে বলো না, ব্যথা করছে হাঁটু 2 বুকে কোনও কম্ট আছে 2, কিন্তু প্র্ণবাবু ভাল রকম উত্তর দিতে পারেন না। কথা কইতেও ক্লান্তি বোধ হয় তাঁর, অপাঁরসীম ক্লান্ত । শুধু1তান যেন ডুবে যাচ্ছেন কোন: এক অতলে । আর এই ভ্‌বে যেতেই যেন ভাল লাগছে । তাঁর সমস্ত শান্ত, সমস্ত বৃদ্ধ, চেতনা--সব ছুই একটা 'বস্মাতি, একটা পাঁরপূর্ণ সাগর মধ্যে ডুবে গেলে যেন 'তাঁন বাঁচেন । আর পারছেন না নিজের সঙ্গে লড়াই করতে । কে জানে, হয় ত এই অবসন্নতা তাঁর দেহের মধ্যে ঘাঁনয়ে আসছে অনুভব ক'রেই ?তাঁন সোঁদন অমন ক'রে ছুটে গিয়েছিলেন বিমলের কাছে, কলকাতাতে পা 'দয়েই হয়ত বুঝোঁছলেন যে এখনই না গেলে আর তাঁর যাওয়াই হবে না। অথচ যাওয়াটাও যে সোঁদন একান্ত দরকার ছল । তাঁর আচরণে ভুল হয় নি, তিনি ভুল করেন 'ন, এটা প্রমাণ না করা পযন্ত যে তাঁর শান্তিনেই। জখবনের প্রচণ্ডতম ব্যর্থতাকে স্বাথত্যাগের তাজমহল দিয়ে ঢেকে রেখোঁছলেন এতকাল, সে তাজমহল যাঁদ হাওয়ার প্রাসাদের মত হাওয়াতেই লয়ে যায় ত গতি বাঁচবেন কি ক'রে 2 এমন কি মরেও যে শান্ত হবে না তাঁর! এতবড় অনুশোচনার বোঝা 'নয়ে পরলোকের পথেই 'ি চলতে পারবেন 2: অথচ সেই সংবর্ধনার গদনাটতে বিমলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে এই দধর্ঘকাল যে সংশয়ের ভারে 'নপশীড়ত হাচ্ছিলেন দিনরাত--তা থেকে মুক্তি পেয়ে নিতান্ত লঘুচিত্ে নিশ্চিন্ত মনে এবং সুস্থ দেহেই ত তানি গিরাঁছলেন । এ অবসাদ ত তাঁর আসবার কথাও নয়। তবে কি মূলেই কোথাও কোন গোলমাল থেকে 'গিয়োছল ? িমলকে তার ভুল বোঝানোর মধ্যে নিজের কৃতকর্মের যে সাফাই নিহত গছল সেটার আসল জোয়টা কমে এসোছল ভেতরে ভেতরে 2... কে জানে, পূর্ণবাব্‌ ষেন আর গাছে ছু ভাবতেও পারেন না। ৯৭৩ শুধু কেউ যখন থাকে না, প্রিয়ম্বদাও ম্লানমুখে গৃহকর্মে কোথাও ব্যস্ত থাকেন--তখন 'নজের 'শাথল 'চন্তাশান্তকে গুছিয়ে নিয়ে সেই 'দিনকার ইতহাসটা ভাবতে চেষ্টা করেন, সব ঘটনাগুলোকে দুবর্প চেতনার মধ্যে আনবার চেম্টা করেন-_ সম্পূর্ণভাবে মনে আনবার চেষ্টা করল-_সেই রুণুদের বাড়ী থেকে আসবার 'দনাঁট । কণ বেশকের মাথায়, কী িজয়গবেই না ছুটে আর্সাছলেন তিনি ! ট্রেনের কামরাটা খাল পেয়ে যেন বেচে গিয়োছলেন। যে অকাট্য যাঁন্ততে 'িবমলকে গৃতাঁন আঁভভ্‌ত করবেন সেইগুলোই মনে মনে মহড়া দিতে দিতে আসছিলেন । আর কোন কথাই তাঁর মনে ছিল না -এমন কি এরই' মধ্যে আসানসোলে কখন প্রেন এসে থেমেছে, একাঁট বিধবা মাঁহলা কতকগীল ছেলে-মেয়ে নিয়ে উত্তেছেন, তা পূর্ণবাধ্‌ অত লক্ষাও করেন নি ! ণকম্তু একসময়ে সচেতন হতেই হ'ল । কেমন ক'রে যেন তান অনুভব করলেন যে ভদ্রুমণহলা তাঁর দিকেই একদৃম্টে তাকিয়ে আছেন । নিজের অজ্ঞাতেই বোধকাঁর একটা অস্বাস্ত বোধ করোছলেন, আর তার কারণটা অনুসম্ধান করতে "গিয়ে চোখে পড়েছিল একজোড়া অত্যন্ত শান্ত চোখের দৃষ্টি । অস্বস্তিটা বেড়েই গিয়োছিল । মনে হয়েছিল এমান দুষ্টর সঙ্গে তাঁর মনে যেন কার একটা স্মৃতি জাঁড়য়ে আছে । তাছাড়াও কেমন যেন খারাপ লেগেছিল ব্যাপারটা-_কোন মাহলা তাকিয়ে আছেন--এটা অনুভব করলে পুরুষ সব বয্পসেই বুঝি অস্বন্তি বোধ করে । ণনতান্ত সাধারণ চেহারার ভদ্ুমাহলা, বয়সও হয়েছে । এমন কি হয় ত আর প্রৌঢ়াও বলা চলে না। অন্তত দুশদনবাদে চলবে না; বহ্ধার পধায়েই পড়বেন তখন । তবহ-)। মাহলাটিই চোখ 'ফাঁরয়ে নিয়োছলেন- দুশতন-বার ওর চোখে চোখে পড়তে । লঙ্জাই বোধ করোছলেন একটু-_সেটা তাঁর মাথা নচু করার ভঙ্গীতে বুঝতে অসুবিধা হয় নি পূর্ণবাবুূর । পূর্ণবাবুর অস্বাস্ত ফিম্তু কমে নি। এ দাম্টর সঙ্গে কোন্‌ সদর অতাঁতে কোথায় ষেন একটা যোগাযোগ ছিল, সে স্মিত ঝাপসা হয়ে গেছে, তবে তাঁর সমস্ত মন বলছিল যে সেটা সামান্য নয় । মনের মধ্যেকার থেইটা ধরতে পারাছিলেন না--তযে যোগসত্রটা খুব সামান্য ময়, এটা অনুভব করতে পারাছলেন।... আর দুটি সাঁওতাল যাল্রী ছিল গাড়শতে, তারা পরের স্টেশনেই নেমে গেল । এ ধারের একজোড়া বোঁণ্চিতে 'তাঁন একা এবং ওধারের বাকী জোড়ায় সেই মাহলা এবং তিনাঁট ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে । বড়াঁট ছেলে, বাকী দুটি মেয়ে। ছেলেটি বছর-দশেকের হবে । ৯২৪ একটু পরে ছেলেটি পূর্ণবাবূর পাশে এসে বসল । অলস কৌতৃহলে, অথবা অন্যমনস্ক হবার জন্যই তান প্রশ্ন করলেন, “তোমার নাম কি খোকা ? অপ্রাতভ চোখে তাকিয়ে ছেলোট উত্তর দিল, পূ্ণচন্দ্রু চৌধুরী !, “তাই নাঁক 2 পূর্ণবাব্‌ হেসে বললেন, “তবে ত তুমি আমার মতে ! আমারও নাম পর্ণে ।” অন্যমনস্ক হয়েই পূর্ণবাবু মুখটা ফাঁরয়োছলেন ওঁদকে । মাহলাটি যেন প্রাণপণে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছেন, নিচের 'দিকে- দ্রুত অপাশ্য়মান খোয়াপাথরগৃলোর দিকে । ছেলেটি উৎসা'হত হয়ে বলল, 'বা রে, বেশ ত মজা । 'দদার কে গুরু গছলেন, তাঁর নামণ্ড পূর্ণ । সেই জন্যেই নাকি আমার এঁ নাম রেখেছে । শদদা 2 মানে তোমার 1দাঁদমা 2 নাাকুমা। এই যে, 'যাঁন সঙ্গে যাচ্ছেন 1, আর প্রশ্ন করেন না পূর্ণবাবু | মাঁহলাটির ভাব দেখে মনে হয় তান যৎ- পরোনাঁস্ত লাঁজত হয়ে পড়ছেন ।"**যেটুকু কৌতূহল প্রকাশ করেছেন, তাই হয়ত অশোভন হয়ে পড়ছে-_ আরও দুটো তিনটে ছোট ছোট স্টেশন পোরিয়ে চলে যায়। ছেলোটিই নানাবিধ প্রশ্ন করে গুকে । এঁষে নীল জামা পরা লোকটা এ তারের চাকার মত কী একটা নিয়ে দাঁড়য়ে আছে-_-ওগুলো কি হয়? এ ইস্টিশানগুলোয় দাঁড়াল নাকেন? এ ইস্টিশানের লোক তবে কোন: গাড়ীতে যাওয়া আসা করে? সবুজ নিশেন দেখায় কেন? পূর্ণবাবৃও ওদের সম্বন্ধে কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করেন । ক্লাস সিক-স- এ পড়ে ছেলোট। বোন দুটির একাঁট ক্লাস ফোর-এ, আর একটি সবে ইনফ্যান্টে ঢুকেছে। কথায় কথায় ছেন্মেটিই বলে, হীন ওর বাবার পিসীমা। ওদের আসল ঠাকুমা নেই, মাও মারা গেছেন বছর দুই আগে। এই 'দদাই ওদের সব। ওরা কলকাতায় থাকে, পড়াশুনোর সৃবিধের জন্যে--বাবা বার্ণপুরে চাকরী করেন। বাবার শরীর খারাপ হয়েছে শুনে দিদা দেখতে এসোঁছলেন, ওদের 'নিয়ে। দশাঁদন ছিল ওরা । বাবা এখন সেরে গেছেন বেশ, তাই ওরা গ্রে যাচ্ছে। বাবাও আমবেন সামনের মাসে ছুট 'নিয়ে | অনর্গল বকে যায় ছেলোঁটি । 'নজে থেকে কিছ: তথ্য দেয়, আবার প্রনও করে নানারকম । কিছু পূর্ণবাবূর কানে ঘায়, কিছ যায় না। শুধ্‌ ষেন তান বড় বেশী আঁস্থর হয়ে ওঠেন ভেতরে ভেতরে । কিসের এ আঁস্থরতা তাও বুবতে পারেন না। নাম-জানা একটা আবেগ অকারণেই অন্তরে উদ্বোলত হয়ে ওঠে । পূর্ণর ছোট বোন উমা হঠাৎ বলে ওঠে, ক্ষদে পেয়েছে দিদা |, মহিলাটি বেন আনচ্ছাতেই মুখখামা ভেতরে ফেরান । হঈম্ভবত বাইরের দকে চেয়ে থাকাতেই, চোখে কয়লা পড়োছল--দরুটি চোখই অসম্ভব লাল, ১২৪৫ "চোখের পাতা দুটোও ভিজে 1 পর্ণঘাবু তাড়াতাড়ি চোখ ফিরিয়ে নেন কন্তু তার ভেতরেই এটুকু তাঁর নজয়ে পড়ে-- ভদ্ুমাহলা টিফিন কেরিয়ারে হাত 'দতে গিয়েও কী ভেবে থেমে ধান। ডাকেন, “খোকা, এদকে শুনে যাও 1, পূর্ণ বাবার আগে ফিস ফিস ক'য়ে বলে যায়, “দা আমাকে কখনও নাম ধরে ডাকবে না। যার-তার সামনে বলবে খোকা । কশষেন শীদদাটা !; সে ওদিকে যেতে ভদ্দুমাহলা পূর্ণবাধুর শ্রতি-গোচর ভাবেই বললেন, “খোকা তোমার এ দাদুকে ধলো, আম নিজে পারজ্কার ভাধে খাবার তৈরী ক'রে এনেছি, পথেও কারুর ছোওয়া লাগে ন-উান খাবেন কিছ? ?, প্রস্তাবটা এতই অগ্রতাশত যে পূর্ণবাবুয় কথাটা বুঝতে বেশ একট: সময় লাগল। তারপর উীন অবশ্য একটা প্রাতবাদ করতে গেলেন কিন্তু খুব গুছিয়ে কিছ বলতে পরেলেন না। বললেন, 'আম ত--মানে এসময় কিছ থাওয়ার অভ্যাস সেই- শরীরও তেমন-_, “খোকা ও*কে বলো যে যেখান থেকেই আঙসুন- কোন সকালে খেয়ে বোঁরয়েছেন, এতক্ষণে 'নশ্চয় ক্ষিদে পেয়েছে। বাড়ী পেশছতে রাতই হবে। পথের খাবারও বোধ হয় উন খান না।""'গাড়ীতে ত ভীড়ও নেই তেমন-- সামানা কিছ খেতে দোষ 'কি ?, প্রন্তাবের অভাবনীয়তাতেই বোধ হয়--পূর্ণবাবু ষেন কোন কথা কইতে পারলেন না। ছেলেমেয়েগলোও কেমন একট অবাক হয়ে গেছে। হয়ত অপাঁরাঁচত কোন লোকের সঙ্গে এতটা আত্মীয়তা ওদের 'দিদার স্বভাব-ীবরুদ্ধ। পূর্ণবাবুও রীতিমত 'বাস্মত হয়েছেন, তবে ওরা দুজনেই বাধকো পেশচেছেন- নইলে অশোভনই মনে হ'ত মাহলার এই আচরণ । পূর্ণবাব্‌ আঁনচ্ছাসত্েও চেয়ে রইলেন এ দিকে । টিফিন ক্যারয়ারের সঙ্গে কয়েকাঁট পাতাও এনেছেন গুছয়ে ; পাতাগন্ীল একটি ফরসা কাপড়ে মুছে নাত-নাতনীদের আগে খেতে 'দিলেন। তারপর পর্ণবাবুর খাবার সাজালেন তিনি ক্যার্লিয়ায়েরই একটা বাটিতে । সঙ্গে ম্যালুমিনিয়ামের বড় জায়গাতে জল ছিল, একটা গ্লাসে তাই থেকে খাঁনকটা জল গাঁড়য়ে এনে ওর সামনের বোঁগরই একটা খাল জায়গাতে জল 'ছাটয়ে ঠাঁই ক'রে য়ে অনুচ্চকন্ঠে বললেন, “হাতটা ধুয়ে নিন একটু ।' তারপর ওাঁদক থেফে খাবারের বাঁটটা এনে বাঁসয়ে দয়ে ফিরে 'গিয়ে নিজের জায়গাতে বসঙ্গেন আগের ঘিতই শ্মির ভাবে । কেবল এদিফে আসবার সময্ন মাথার কাপড়টা অনেকখান মুখের ওপর টেনে 'দয়োছলেন বলে--এবায় ও"র চোখ দুটো দেখা গেল না। সম্পূর্ণ অপারচিত এক মাহলার এই অকারণ আত্মীয়তায় 'বরন্ত হবারই কিথা--কিন্তু পর্শণবাব। ঠিক ততটা বিরন্ত হণ্তে পারলেন না। শুধু ণবস্ময় বোধ করতে লাগলেন। আর মনে করবার চেষ্টা করতে লাগীলেন কোথায় যেন এই ধরণের কাজকর্ম, এই ধরণের সেবা দেখোছিলেন এর আগে। ুষন সবটাই এক্বোয়ে অপরাচিত নয় 1. ৬ পন্ণবাবুর ব্যবহারিক জ্ঞান খুবই কম । এক হাতে *্লাসটা ধরে বাইরে হাত বাড়য়ে ছাত ধৃতে গিয়ে জলটা উড়ে এসে গায়ে পড়ে অনেকখানি জামাসুদ্ধ 'ভাঁজয়ে দিয়ে গেল। অগ্রাতভ ভাবে এদিকে একবার চেয়েই তানি তাড়াতাড়ি খাবারের বাঁটটা টেনে নলেন কিল্তু খাওয়ায় সাত্যই তাঁর তখন শবশেষ কোন রুচি ছিল না। এমানতেই তান এ সময়ে কিছু খান না, তার ওপর আজকের এই মনের আঁস্থরতায় আরও খেতে পারলেন না। সামান্য কিছু খেয়েই হাত গায়ে বাঁ-হাতে জলের "লাস মুখে তুললেন । মাহলাটি সম্ভবত ঘোমটার মধ্যে থেকেও লক্ষ্য করাছলেন গুর খাওয়া । গৃতান হয়ত আরও খাওয়ার জন্য অনুরোধ উপরোধ ক'রে বিরন্ত ও বিব্রত ক'রে তুলবেন--পূর্ণবাবূর এই রকম একটা আশঙ্কা 'ছিল। কল্তু ভদ্রমাহলা সোদক দিয়েই গেলেন না। জলের পান্তটা নিয়ে এীগয়ে এসে তেমন অনুচ্চ কণ্ঠেই বললেন, আপণন হাতটা এ বাঁটতেই ধুয়ে নিন, আম ফেলে দেব । পূর্ণবাবু এই বয়সেও লাল হয়ে উঠলেন নিজের অকর্মণ্যতার লঙ্জায়। তাড়াতাঁড় বললেন, “না, না, আম কলঘরে গিয়ে ধুয়ে আসছি । এটাও _ এবার কণ্ঠে বেশ একটু জোর "দিয়েই তান বললেন, “না না, আপনি এতেই জল ফেলুন, তাতে কহ দোষ হবে না। ধিহহল, হতচকিত পূর্ণবাবু আনচ্ছাসত্তেও হাতটা বাড়িয়ে দিলেন। হাত ধোওয়া শেষ হ'লে দেখা গেল মাঁহলাঁট তার পরের পব্টার জন্যও প্রস্তুত হয়ে এসেছেন । আঁচলের মধ্য থেকে একাঁট পাট-করা ফসাঁ গামছা বার ক'রে সন্তর্পণে ও*্র পাশে বোণ্ঠর উপরই আলগোছা রেখে দিলেন। আর সঙ্গে সঙ্গে যেন এক ঝলক দমকা হাওয়ায় পূর্ণবাধূর স্মৃতির বদ্ধকপাটটা-_যার কঠিন দেহলিতে এতক্ষণ বৃথাই মাথা খুসড়ে মরাছিলেন উনি--অকস্মাং উন্মৃস্ত হয়ে গেল। যেমন মেঘঘন-রজনশতে চার পাশের অন্ধকারকে জমাট একাকার বস্তু বলে মনে হয়-অথচ 'বদ্যৎস্ফৃরণ হওয়া শা বহুদূর অবাধ সমস্ত পাঁরাচিত বস্তু তার 'বাঁভন্ন চেহারা নিয়ে জেগে ওঠে তেমানই পূর্ণবাবুর সমস্ত মন একটা 'বিদহাৎশচমকে জেগে উঠল। সমস্ত শীবস্মৃতির অন্ধকার 'ভীঙ্গয়ে বহাঁদনের বহু পাঁরচয় একসঙ্গে মানস- চক্ষুতে উদভাসত হয়ে--তাঁন 'নজেও যেন চমকে কেপে উঠলেন-_ “তরুবালা ।, [বিধবা মাহলাটর মুখখানা সেই কুণ্চিত লোল চমের মধোও লঙ্জায় আর 'অভৃতপূর্ব এক আনন্দ-আবেগে ঝলমল করে উঠল এবং এক বিচি কারণে একই সঙ্গে তাঁর দুই চোখের কূল ছাপিয়ে নামল জল । সেই লঙ্জা আর অশ্রু ঢাকতেই 'তাঁন গলায় আঁচল দিয়ে পূর্ণবাব্‌র দুই পায়ে মাথা রেখে শ্বাড়ির মেঝেতেই ভ্ামষ্ঠ প্রণাম করলেন । গচনতে পেরেছেন এতক্ষণে ?..আম 'িন্তু আপনাকে দেখেই চিনোছ !, _ অশ্রুবকৃত কণ্ঠে ছাঁপ চুপি বললেন তরুবালা। তারপর তাড়াতাড়ি গামছাটাতে চোখের জল মুছে নিয়ে ছেলেমেয়েদের বললেন; 'তোমরা কলঘর 'উইনি থেকে হাত ধুয়ে এসে ওকে প্রণাম করো, ইনিও তোমাদের দাদু হন । সেই ব্বাঝ প্রথম অনুভব করোছলেন পূ্ণবাবহ তাঁর হাট দুটো অবশ হয়ে আসছে । স্নায়ংগুলোর এমনি দদববলতা সেই মুহূতেছ! প্রথম বোধ হয়োছল। কিছ? যেন ধারণা করতে পারেন নি--বহক্ষণ পন্তি |" তরুবালা ও"র সামনে বসে নিঃশব্দে বহক্ষণ ধরে কে“দেছিলেন সোদন। নাঁতদের সামনে লজ্জায় পড়বার ভয়ে প্রথমটায় অঙ্প কিছুক্ষণ নিজেকে সম্বরণ করেছিলেন কিন্তু শেষ পর ন্ত আর সম্ভব হয় নি সামলানো । তারপর বহ্‌কথাই জেনেছিলেন পৃণণবাব্‌ । বহু ইতিহাস। পূর্ণবাব্‌ চলে আসার ছ" মাসের মধ্যেই বিয়ে হয়েছিল তরুবালার । িকন্তু বেশীদন স্বামীর ঘর করা তার অদৃচ্টে ঘটে নি। বিয়ের সময়ই নাকি ঘক্ষমার লক্ষণ দেখা গিয়োছল পান্লের--“পরের মেয়ের ভাগো হয়ত বাঁচবে এই দববাসেই তাডাতাঁড় ছেলের বয়ে দিয়েছিলেন তার মা। 'কম্তু বিবাহের অন্টাহ কাটবার আগেই রন্ত দেখা দিল। তখন ওকে বাপের বাড়% আসতে ধদলেন না তাঁরা, তেরোবছরের মেয়েকে দিয়ে সেই মৃত্যু-পথযান্রীর সেবা- শুশ্রুষা কাঁরয়ে িলেন॥ সাংঘাতিক রোগে সেবা করবার লোকের অভাব হবে বলেই বোধ হয় তাঁরা বিয়ে 'দিয়োছলেন-__কে জানে ! কন্তু সে যাই হোক-- তখন বাপের বাড়শ আসতে দেন নি বটে, বিধবা হবার পর আর কাল-দিলম্ব করেন ?ন, শ্রাম্থ চুকে যাওয়া মাত্র নিজেরা গাড়ী করে এনে বাপের বাড়ীর সামনে ছেড়ে গদয়ে চলে 'গিয়োছলেন। প্রাণগোপাল বাবুর সঙ্গে দেখাও করেন নি একবার । অবশ্য সে নাকি লঙ্জার-_তাঁরা আর মৃথ দেখাবেন কোন মুখে ? তারপর থেকে এই সদশর্ঘকাল সেই বাড়াতেই কেটেছে-_যে বাড়ীতে পূ্ণবাবু তাঁকে দেখোঁছলেন সেই প্রথমাঁদন। বাবা থাকতে বিশেষ কোন কষ্ট হয় দন কিন্তু ছোট ভাইয়ের সংসারে এক সময় খুবই লাঞ্কনা সইতে হয়েছে তাঁকে। অত দঃখ 'দয়োছলেন ভগবান কিন্তু মৃত্যুটা দেন নি। ছমাস ধরে এ সর্বনেশে রোগের মধ্যে বাস করা সত্তেও সে রোগের বাঁজাণ্‌ তাঁর প্রাণ- শান্তকে জখম করতে পারে নি। তিনি বে'চেই রইলেন। আত্মহত্যাও করতে পারেন কারণ মা তখনও বেচে। বৌয়ের হাতে পড়লে মা বোধ হয় খেতেই পেতেন না। আর কোথাও যেতেও পারেন নি-এঁ একই কারণে । তারপরও নড়তে পারেন নি, কারণ মা আর ভাজ প্রায় একই সঙ্গে মারা গেলেন । ভাইপো তখন বালক মান্ত। নবগোপাল আর বিয়ে করে নি, বোধ হয় দদাঁদর মুখ চেয়েই। কংবা ছেলের কথা ভেবে--কে জানে 1." সেই ডাইপোর বিয়ে দিলেন-_সে বৌও বাঁচল না। এই তনাট ছেলেমেয়ের ভারও আবার তাঁর উপর এসে পড়ল । হতভাঙ্ী একে একে মকলকে খাচ্ছেন কেবল 'নজে আবন্দর ডাল মাড় দিয়ে ঠিক বসে আছেন- মৃত্যু নেই শুধু তারই 1... এই দশর্ঘ দুভাগ্যের ইতিহাসের মধ্যে আরও একটি ছোট্ট কথা বলেছিলেন তরুষালা। নানা কথায় ফাঁকে একসময় বলে ফেলে ছিলেন__কন্তু পর্ণ বাবর ৯২৮ কানে তা এড়ায় নি। বরং সেই কথাটিই সহম্ত্র হাহাকার়ের মত মমণ্সূলে গিয়ে বেজেছিল। তরুবালা বলোৌছলেন, “আশা কাকে বলে তা জান না, ভগবানের কাছে গছ চাওয়াও ছেড়ে দয়োছ আজকাল, জান আমার কোন 'ভক্ষে তাঁর কানে পেশছয় না। এদাল্তে শুধু দিনরাত ইম্টকে এইটুকুই জানয়োছ-_ মরবার আগে ষেন আপনার সঙ্গে একবার দেখা হয়। জানয়োছি কিল্তু আশা কার'নি যে সাঁতাই দেখা পাবো । কণীভাগা ভগবান এই শেষ প্রর্থনাটা শুনেছেন! আর আমার কোন আর্জ নেই তাঁর কাছে । যোঁদন তাঁর সময় হবে-টেনে নেবেন । একাঁদন ত 'নতেই হবে। যত দৃভগ্িই হোক, দুঃখ দেবার জন্যও চিরকাল কাউকে তিন বাঁচিয়ে রাখতে পারেন না- এইটুকুই বা ীনীশ্চল্ত ।, একটা দশর্ঘ*বাস ফেলোছলেন তরুবালা কথাগ্‌লো শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে। দেবতারও ঈীগ্সিত ধন তরুবালা । তাঁকে পেলে পৃর্ণবাবুর জীবন ধন্য, সার্থক হয়ে যেত। সোঁদন প্রাণ- গোপাল বাবর কথা শুনে আঁফসে ঢুকলে আজ এই দার, এই অশাণ্তিও বহন করতে হ'ত না। তবে ক বিমলের কথাই--- নতুন গড়ে ওঠা বশবাসের ভত আবার নতুন ক'রে আলগা হয়ে যায় দেখে পূর্ণবাবু জোর ক'রে সে প্রসঙ্গ মন থেকে দূর কয়োছলেন । কতকটা সেই রে উর হকার আগেই ছুটে ছিলেন বিমলের টিপ গবমল খবর পায় 'ন অনেকাঁদন পধন্ত। সোঁদনের পর সে যেতেও পারে কয়েকাঁদন। প্রধান কারণ সময়াভাব ৷ তাছাড়া সৌঁদন পূর্ণবাবুর ক্লান্ত নিতান্তই সামায়ক বলে বোধ হয়োছল । দশর্ঘকাল স্বাস্থাকর স্থানে থেকে সেরে এসেছেন, কাজেই বড় রকম কোন ভাঙ্গনের কথা কল্পনাও করা যায় 'িন তাঁর সম্বন্ধে । সুতরাং 'প্রয়ম্বদার িঠিখানা পড়ে সে বেশ একট? অবাক হয়ে গেল। প্রথমটা বুঝতেই পারে 'ন কার াঠি। একে অনভান্ত হাত, তায় বয়সে ও উদ্বেগে হাত কেপে কেপে গেছে--সে লেখা পড়াও দুঃসাধ্য । প্রিয়ম্বদা 'লিখেছেন-- কল্যাণীয়বরেষ্‌, বাবা বিমল, আশা কার ভগবানের কৃপায় তোমাদের দব কুশল । বোধ হইতেছে আমার লর্বনাশের বেশশী বিলম্ব নাই। একেবারে আচ্ছন্ন অবস্থা, তাহার ভিতর শুধু দুইটি নামই মাঝে মাঝে করেন-সাবমল আর তরুবালা । তরুবালা কে তাহা জান না। ইহার আগেও একবার ভারী অসুখের সময় 'বকারের ঘোরে এ নামাঁট কারতেন । বকল্তু পরে 'জজ্ঞাসা করিয়া কোন উত্তর পাই নাই । যাহা হউক আঁতকন্টে তোমার ঠিকানা সংগ্রহ কারয়া এই চিঠি দিলাম ॥। উাঁনই তিন চার দিন চেষ্টা কাঁরয়া এই ঠিকানা ১১২৯ পাজেন্দ্ুকুমার মিশ্র রচনাবলী (৬ষ্১)--৯ পদয়াছেন- হয়ত ভুল হইতেই পারে । যাহা হউক যাঁদ চাঠ পাও এবং উদ্হাকে শেষ দেখা দেখিবার ইচ্ছা থাকে ত পত্রপাঠ আঁসও আশীবরদি লইও । ইত-_হতভা'গিনী 'প্রিয়ম্বদা ঠিকানায় অবশ্য খানিকটা ভুলই ছিল। নিতান্ত অদন্টকরমেই চিঠিটা এসেছে । কিম্তু প্রয়ম্বদা কে? কার কথা 'িলখেছেন ইন ? অনেকক্ষণ ভাববার পর অকস্মাৎ মনে পড়ে গেল কথাটা-ছেলেবেলাতেই কে ষেন ঠাট্রা করোছল, 'পূর্ণমান্টার মহাশয়ের বোয়ের নাম জানিস ? প্রয়ন্বদা। অনসয়া পপ্রিয়ম্বদা ! হি, হি। সাঁত্য সাত্য কেউ এঁ নাম রাখে ?, [প্রয়দ্বদা তাহলে কি পর্ণমাজ্টার মশায়ের কথাই লিখেছেন ? সর্বনাশ, এরই মধ্যে ক এমন অবস্থা হ'ল? এই ত পনেরো-কুঁড় দিন আগেই-_ আঁফসারকে বলে তখনই বোরয়ে পড়েছিল বিমল । “কিন্তু তখনও তার 1বশবাস হচ্ছিল না। অবশ্য পূর্ণবাবৃকে দেখবার পর আর কোন সংশয় রইল না। এই পনেরো কুঁড় দিনেই যেন পাত হয়ে গিয়েছেন, 'বছানার সঙ্গে মিশয়ে রয়েছেন । বৃকটার কাছে একটু জায়গা নিঃম্বাস-প্রশ্বাসে ওঠা নামা করছে মান । তা নইলে কোথাও কোন জশবনের লক্ষণ নেই । এমন 'ক 'িমলকে দেখে প্রিয়ম্বদা যখন প্রায় হাহাকার ক'রেই কেদে উঠলেন, তখন সে শব্দও তাঁর কানে গেল বলে মনে হ'ল না। এমন কী করে হ'ল? কেনহ'ল? কা এমন অসুখ করল ওর? আমাকে খবর দেন 'ন কেন 2" ব্যাকুল হয়ে প্রশ্ন করতে থাকে বিমল । কীক'রে হ'ল বাবা তা 'কি আমই জান! সোঁদন সেই ষে তুম শুইয়ে পদয়ে গেলে সেই তশেষ। আর ত ওঠেনান। অথচ এমান কোন রোগও নেই । ভাঞ্নে ডান্তার এনোছল--'তাঁন বলে গেলেন অস্বাভাবক ক্লান্তি: স্নায়ু সব অবশ হয়ে এসেছে নাক। অথচ কেন ষে এমন হ'ল তাও ত জান না। বেশ সুস্থ হয়েই ফিরলেন রুণুর ওখান থেকে, দেখে আমার আনন্দ হ'ল । হতভাগী আমার চোখ লেগেই বোধ হয় এমন হ'ল। কাঁ কষ্ট হচ্ছে তাও যাঁদ বলতে পারতেন। কথাই ত কইছেন না, ওাঁদকে তবু যা হয় একট: ছিল, এই কাঁদন ত আর কিছ খাওয়ানোও যাচ্ছে না একটা গ্লুকোজের জল আর লেবুর রস--তাও জোর করে খাওয়াতে গেলে অনেক সময় গাঁড়য়ে পড়ে যাচ্ছে, গিলতে পারছেন না।+. “আচ্ছা উনি যেখানে গিয়েছিলেন, সেখানে কোন শক-টকৃ-কি আর কোন কারণ***?? | “সেখানে কী হবে বাবা । উন ত খুব আনন্দেই ছিলেন। নিজে এসেও সে কথা বলেছেন। রুণু ত খবর পেয়ে,ছুটে এসেছে, দিনরাত কান্নাকাটি করছে। কিন্তু সেখানে ক হবে 2, 0৩: বিমল বিছানারই এক প্রান্তে বসে পড়ে আন্তে আস্তে ও*র পায়ে হাত রাখল । ডাকো না বাধা-ডাকো। এ ঘুম নয়। অমানই দিনরাত, আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আছেন ।” বলতে বলতে 'নজেই ডাকলেন প্রিয়ম্বদা, “ওগো শুনছ, তোমার বিমল এসেছে যে! একবারাঁট চোখ চেয়ে দ্যাখো, অনেকক্ষণ ধরে ডাকবার পর পূর্ণবাবু চোখ চাইলেন। নিম্প্রভ, শূন্য দ্টি। পায়ের দিকে চোখ পড়তে বোধ হয় কে বসে রয়েছে এটা অনুভব ক'রে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ । 'মানটশ্দুয়েক পরে বিহ্হল দৃষ্টিতে পাঁরচয়ের জ্যোতি ফুটে উঠল । একট] প্রসন্নতাও ফুটল মুখে । আতকম্টে বললেন, “কে রে বিমল এল ?, হ্যাঁ মাম্টারমশাই । কিন্তু আপনাকে বন্ড ক্লান্ত দেখাচ্ছে, আপান বেশশ কথা কইবেন না, আম বরং ষে ডান্তার দেখছেন তাঁর কাছে একবার যাই !, “না না।? প্রবল চেষ্টায় যেন ধাক্কা 'দয়ে কথাগুলো বেরোয় পূর্ণবাবুর, 'আর সময় নেই । আমার কাছে আয়। খুব কাছে ।; 1িবমল ওপর 'দকে খানিকটা সরে এসে একেবারে মহখের কাছে মাথা নামাল, ণকন্তু ততক্ষণে পূর্ণবাব আবার চোখ বূজেছেন। আবারও সেই একান্ত সুষুপ্চি। গমাঁনট দুই এইভাবে কাটবার পর বিমল ভয় পেয়ে গেল। সে হয়ত উঠেই পড়ত, 'প্রয়ম্বদা হীঙ্গতে নিষেধ করলেন । কারণ পূর্ণবাবুর চোখের “পাতা দুটি কাঁপতে শুর? করছে, চোখ মেলবার পৃবণলক্ষণ | সাঁত্যই চোখ খুললেন আবার । আগের কথাগুলো বলতে গিয়ে বোধ হয় আরও ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাই আগের চেয়ে আরও ক্ষীণ শোনাচ্ছে ও*র কণ্ঠ । একেবারে মুখের কাছে কান এনে বিমল শুনল-_উীন বলছেন, “বাবা তোকে যা বলোছ, তা বলার কোন আধকার আমার নেই । আমার সব গুলিয়ে গেছে, কোনা সাঁত্য তা আর জোর ক'রে বলতে পারব না। এতাঁদন পরে, দীর্ঘ জীবনের শেষে গেশছে এইটুকুই শখলুম যে কোন-টা কর্তব্য মানুষ বোধ হয় কখনও বোঝে না। ভগবান তাকে বাঁদ্ধর অহগকার দিয়েছেন, বৃদ্ধ দেন ন।"'* তাই মনে হয়, হৃদয় যা বলে সেইটে শোনাই ভাল । তাতে ভূল হ'লে ডবল অনুশোচনা থাকে না।; অনেকক্ষণ ধরে থেমে থেমে হাঁপয়ে হাঁপিয়ে কথাগুলো বললেন পৃণ-বাবু। তার পর আবার সুগভ৭র শ্রান্ততে চোখ বুজলেন। একেবারেই অবসন্ন হয়ে পড়েছেন । : বমল তাড়াতাঁড় ও'র বুকে হাত "দয়ে দেখল । না, এখনও নিঃ*বাস 'আছে। ৰ বহুক্ষণ সেই ভাবেই কাটল। পপ্রয়ম্বদা একটু জল খাওয়াবার চেষ্টা করলেন । কিম্তু পূর্ণবাবৃকে হাঁ করানো গেল না।** ১৩১ সন্ধ্যার একটু আগে ডান্তার এলেন । আরও একটু পরে সোমেশ এসে পৌছল । রুপ সোমেশ, রুণুর বাবা--বহু লোকই এলেন । কিন্তু কারুর উপস্থিতিই তান অনুভব করলেন ব'লে মনে হ'ল লা। পাথরের মার্তর মতই অনড় হয়ে পড়ে রইলেন। এখন যেন বুকটাও তেমন উঠছে নামছে না, গলার কাছটা ধূক্‌ ধুক্‌ করছে মাত্র । ডান্তার কোন ভরসাই দিয়ে যেতে পারেন 'ন। কিছ? একটা করবার আছে কনা--বিমলের প্রশ্নের উত্তরে বলোছলেন, “আশ্চর্য রোগশ মশাই । আঙ্তে আঙ্চে িওক্‌ করছেন ।--কোন রোগ নেই, বিশেষ কোন কম্টও আছে বলে মনে হয় না--আলোর তেল ফারয়ে আসছে, এই মাত ।*.ক আর করব। এখন এমন অবস্থা, ইঞ্জেকশনের শকটাও হয়ত সইতে পারবেন না--। খাওয়ার ওষুধ এক, তা যা দিয়েছি তা-ও ত পড়েই আছে, দিছুই ত খাওয়ানো যাচ্ছে না! রাত দশটা নাগাদ পূর্ণবাব আর একবার চোখ খুললেন । বিমল, প্রয়ন্যদা, রুণয, সবাই মাথা নামিয়ে আনলে ও*র মুখের কাছে-_ অনেকক্ষণ পরে বোঝা গেল যে ডান সাঁত্যই ছু বলছেন । খুব অস্পন্ট, জড়ানো জড়ানো অসংলগ্ন কতকগুলো কথা । অন্তত ওরা কেউই বুঝতে পারলেন না। পূর্ণবাব্‌ বলছিলেন, 'নামবার আগে তরুবালা জিজ্ঞাসা করেছিল, দুই চোখে ওর জল- বলেছিল, ঠিক ক'রে বলে যান, আপাঁন কি শুধু কর্তব্যের জন্যেই আমাকে ভাসিয়ে 'দিয়ে গিয়োছলেন 2 সাঁত্যই কি ওটা আপনার তপস্যা £ না কি আমাকে পছন্দ হয়নি ব'লে, আমাকে ঘেল্না করতেন ব'লে ? সারা জীবন ভেবেও আসল জবাবটা পাই 'ন।..আমি তাকে উত্তর গিয়োছি বাবা বিমল, উত্তর 1দয়োছ। সে বললে এতাঁদনে আ'ম শান্তি পেলাম । আর আমার কোন দ:ঃখ নেই । ' কিন্তু আম ক ক'রে শান্ত পাবো বাবা ? মলে পক মানুষ শাম্ত পায় 2 এ জীবনের স্মৃতি কি পরজন্মে পেশছয় না ১." আরও কা যেন বললেন, কিন্তু সেগুলো আর বোঝা গেল না একটুও । তারপর একট: চুপ ক'রে থেকেই আবার যেন বহু চেষ্টায় চেয়ে দেখলেন । চোখ দুটি একবার যেন 'বস্ফাণরত হয়ে কাকে খুজল ।--প্রয়দ্বদার দিকে চোখ পড়তে যেন প্রাণপণ চেষ্টায় বললেন, “ক্ষমা, ক্ষমা--* তারপর আবার চ্ুষ্ধ হয়ে গেল তাঁর কণ্ঠ । অনেকক্ষণ পরে বোবা গেল ষে আর কোন দন, আর কখনই তাঁর সে কণ্ঠে স্বর ফুটবে না। আর কোন দিন চোখ মেলে তিনি তাকাবেন না। ইতিমধ্যে কখন সকলের অন্ঞাতে একান্ত নিঃশব্দেই [তান 'বিদায় নিয়েছেন--তাঁর দশর্ঘ- দিনের এই বাসাটা থেকে! ৯১৭ ॥ ২২ ॥ পূর্ণবাবৃর মৃত্যুতে বমলের মনের মধ্যে যেন মন্ডবড় একটা ওলট-পালট হয়ে গেল। প্রচণ্ড একটা ঝড় বয়ে গেল ষেন তার ওপর 'দয়ে। পূর্ণবাবূকে সে শ্রদ্ধা করত, ভালও বাসত--এটা 'ঠিক। কিন্তু মধ্যে বহুকাল তাঁর সঙ্গে দেখা- শুনো ছিল না; তাছাড়া গনজের জীবনসংগ্রামে বড় বেশী ব্যস্ত ছিল সে-_-সে সংগ্রামের ধাল আর ধূমে পূর্থমান্টারমশাই কোন আড়ালে চলে গিয়েছিলেন । তাঁর সেই সংবর্ধনা সভার সেই ছ পয়েন্ট না আট পয়েন্ট টাইপের তন লাইন শবজ্ঞাপন চোখে না পড়লে জীবনে কোন দিন এমন ক'রে তাঁকে মনে পড়ত কনা সন্দেহ । আর হয়ত দেখাও হ'ত না, তাঁর মৃত্যুতে এতথান শুন্যতা, এতখাঁন অভাব বোধও হ'ত না। কম্তু এই গত বন্ছর-দুই কাল এমন ভাবেই আবার 'তাঁন মনের এমন একাঁট ঘাঁনম্ঠতম গণ্ডীর ভেতর এসে পড়েছিলেন যে আর কছতেই যেন তাঁকে ভোলা- এমন কি একট: আড়ালে সারয়ে দেওয়াও সম্ভব নয় । প্রথম দুটো দিন সে আঁফসেই যেতে পারে নি। ঘরে ত থাকতে পারেই ণন। সকালে 'গিয়ে একবার ক'রে প্রিয়ম্বদার সংবাদ নিত-_-বাকী সময়টা একা পাঙ্গার ধারে ধারে ঘুরে বেড়াত । কিন্তু তৃতীয় দিনে এই নৈচ্কর্ম আরও অসহ্য বোধ হওয়াতে সে আঁফসেই এসে হাঁজর হ'ল। ওকে দেখে পাঁরাঁচত সবাই অবাক হয়ে গেলেন। কারণ ঝড়টা শুধু অন্তরকেই বপন ক'রে যায় নি, দেহেও ছাপ রেখে গেছে । শুকনো মুখ, রুক্ষ শীর্ণ চেহারা এবং চোখের কোলে কাঁল--সবই একটা 'বপ্যর়ের 'চহু বহন করছে। প্রথম দিন সে জুতোও পায়ে দেয় দন, খাল পায়েই ঘুরোছিল 1কল্তু পরে ব্যাপারটা গনজের কাছেই বড় বেশণী নাটকীয় মনে হ'ল । পূর্ণবাব্‌র সঙ্গে তার যা সম্পর্ক তা বাইরের কোন দেখানো-সম্মানের অপেক্ষা রাখে না। তবু, যথারশীত জুতো-জামা গায়ে থাকা সর্তেও তাকে দেখেই মনে হ'ল যেন সে একটা অশৌচ বহন করছে । সবাই আঁবরাম প্রশ্ন-বাণে তাকে বিব্রত ক'রে তুললেন । “ব্যাপার 'ক 'বিমলবাব ? কেউ মারা গেছেন নাক? কে মরেছেন-- আত্মীয় কেউ ? “এ কণ চেহারা হয়েছে হে বিমল? খবর ক? বাড়ীতে কিছু বিপ্- আপদ ? । তোমার অসুখ করোছিল না ?ক বিমল ভাই ? ইস্‌-_এ ক” অবস্থা করেছ শরশয়ের ?, ইত্যাঁদ ইত্যাদ-_ কতকটা এই ভয়েই দুশদন আঁফসে আসে 'ন সে। কাউকে কাউকে ৯৩৩ যথাসাধ্য সক্ষপ্ত উত্তর 'দয়ে, কাউকে বা একেবারেই এাঁড়য়ে কোনমতে নিজের সশটে গিয়ে বসে পড়ল । আরও দিন আম্টেক পরে আসা হয়ত ওর উাচত গল, নিজের মানাঁসক এবং দৌহিক অবস্থাটা খানিকটা প্রকৃতিচ্ছ হ'লে । নেহাং বাড়ীতে থাকাও অসম্ভব বলেই-।, বাবা ত স্পম্টই বলেন “আদখোতা ! কবেকার বুড়ো মান্টারের জন্যে এত হা-হুতাশ করার কী আছে! মাবাপ প্রতাক্ষ গুরুজন, তাদের ত গ্রাহ্যই আনেন না বাবু ! ইস্কুলের মান্টার হ'ল ওর বেশী আপন !' মা মুখে কিছু বলেন না বটে তবে তাঁর মনোভাবও অনেকটা এই রকম তা সেজানে। আর সেজন্যে খুব বেশী দোষ দেওয়াও যায় না তাঁদের-_ ওর সব চেয়ে ভয় ছিল ওর সপটের সামনের টোবলেই যে দজন বসে_ রেখা আর পার্ণমা--তাদের আত্মীয়তার আক্রমণকে । কিন্তু দেখা গেল যে অপ্রত্যাশিত ভাবেই সৌঁদক "দিয়ে একটি প্রশ্নও এল না। প্যার্ণমা সে সব কথা উত্থাপনই করল না--বরং যেন 'নিরবাঁচ্ছন্নভাবেই ওদের প্রত্যহ দেখা হচ্ছে, এই ভাবে আঁফসের প্রসঙ্গই দ্‌” একাঁট তুলল। বরং আসা-মান্র রেখাই কী একটা প্রশ্ন করতে যাঁচ্ছল, বিমল লক্ষ্য করল, পীর্ণমা চোখ টিপে নিষেধ করল তাকে । পাঁর্ণমার এই বিবেচনায় বিমল কৃতজ্ঞ বোধ না ক'রে পারল না। মনে মনে একটা স্বস্তির নিঃবাস ফেলে বাঁচল সে। বান্তাঁবক এতটা সহজবাঁদ্ধি এবং িবেচনা প্ার্ণমার কাছ থেকে কখনও আশা করে 'নি। খুব কাছে যে থাকে তাকেও মানুষ কত পরে চিনতে পারে! হয়ত শেষ অবাধ সম্পূর্ণ চেনা হয়ে ওঠে না--কত মহৎ পাঁরচয় প্রত্যহের মালিন্যে ঢাকা পড়ে থাকে চিরকাল ! 1বমল যেন নতুন করে এই সত্যটা সম্বন্ধে অবাহত হ'ল । সোঁদন আঁফসের কাজ বিশেষ কিছ হবে-_এ বিশ্বাসে আঁফসে আসে 'ন সে, কিন্তু পাার্ণমাই সুকৌশলে তাকে দিয়ে খাঁনক খাঁনক কাজ কাঁরয়ে নিলে, --এইটে যাঁদ আপাঁন একট: দেখে দ্যান ।***এই ফাইলটা 'তনাঁদন ধরে আট্‌কে আছে, আর দেরী করা ঠিক নয় ।*আমিই সেরে নিতুম কিন্তু কতকগুলো পয়েন্ট আমি ঠিক ধরতে পাচ্ছ না।***আচ্ছা এই চিঠিটার কী জবাব দেব বলন ত--. ১--এই ভাবেই । একট: একটু ক'রে কাজের মধ্যে এসে পড়ে 1বমলেরও ভাল লাগল । সে খাঁনক পরে বেশ সহজভাবেই কাজ-কর্ম ক'রে যেতে লাগল । ছহাটর পর 'সশড় দিয়ে নামতে নামতে পার্ণমা বলে, “আমার একাঁদন খাওয়ানো পাওনা ছিল-_মনে আছে আপনার 2 আজ সেইটে ক্রেম করছি! আজ আপাঁন আমার আতাথি |, চাখাওয়া! আজ! থমকে দাঁড়াল একটু 'বমল । আজ এখন কোলাহলের মধ্যে গিয়ে বসে বসে কতকগুলো খাবার গেলবার মত মনের অবস্থা নয় । সে বরং আর এক- গদন হবে, আজ নয় । ১৩৪ _ ধিন্তু এখন কীই বা করবে সে? বাড়ী ফেরা অসম্ভব । সত্যশরণ বাবুর কাছে আগেই চিঠি লিখে তিনদিনের ছাট নিয়েছে সে অবশ্য তৎসত্তেও যাওয়া যেতে পারত, তবে সেখানেও ত সেই নানা প্রশ্ন, নানা কৈফিয়ং। এক সেই একা একা উদ্দেশ্যহণন কম“হখন ভাবে পথে পথে ঘুরে বেড়ানো । কিন্তু একা থাকতেও আর ইচ্ছা করছে না৷ বরং পার্ণমার সাহচর্য ঢের ভাল । ওর আচরণে একটি সংবেদনশীল অন্তরের পাঁরচয় পাওয়া গেছে আজ, আর যাই হোক তা লোকদেখানো সহানূভ্?ীতর মত পাড়া দেবে না। সে মন স্থির ক'রেই ফেলে । “চলুন, কোথায় যাবেন । আমঘম প্রস্তুত ।১ পূর্ণিমা খুশ? হয়ে ওঠে । উৎসাহের আধক্যে সে রীতিমত তরতাঁরয়ে নেমে যায় 1সখড় দিয়ে, পথে নেমেও জোরে জোরে হাঁটিতে থাকে । ণন্তু শেষ পর্যন্ত পে পাকস্দ্রীটের যে রেস্তোরাঁটতে এনে হাঁজর করে, তার ব্যয়বহলতার খ্যাঁত এমন কি 'বমলেরও অজানা নয়। সে 'বব্রত এবং উীদ্বদ্ন হয়ে বললে, পকন্তু এ কোথায় আনলেন 'মস রায়, এদের যে বন্ড দাম । এ রীতিমত বড়লোকের জায়গা শুনোছি !) কত সাধ্য-সাধনায় আপনাকে আতাথ পেয়োছ, সাধারণ কোন রেষ্োরাঁয় 1নয়ে যেতে ইচ্ছে করল না। আপাঁন একবার দয়া ক'রে রাজা হয়েছেন, আবার কবে এ সৌভাগ্য হবে তার ত ঠিক নেই!” তাই বলে অকারণ এত খরচা করবেন 2 আর কোন ভদ্র জায়গা ?ি খোঁজ করলে 'মলত না ?"-*আপনার বাজেটে ত বেশ বড় রকমের ঘাটাত পড়বে । চালাবেন কি ক'রে ? ওর আপাঁত্ততে আমল না 'নয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে পার্ণমা বললে, “নতুন 'টিউশনী পেয়েছি একটা, ক্লাস ীসকস-এর একাটি মেয়ে বাড়ীতে এসে পড়ে যায়। পনেরো টাকা 'দিয়েছে কালই । সেটা যে টাকার টিউশন", এখনও বাড়ীতে জানাই 'িন।"কাজ কর্মের ফাঁকে ফাঁকে পড়াই__বেগার, তাই সকলে ভেবেছেন। আম অবশ্য তিল তল করে এই বিশেষ 'দনাঁটর জন্যে কিছ: জমিয়ে রেখোঁছিলাম, 'টিউশনীর টাকা থেকেও কয়েকটা নিয়েছি-_-আমার অবস্থা এখন রশীতিমত স্বচ্ছল । বলতে বলতে অকারণেই রাঙা হয়ে উঠল প্যার্ণমার মুখ । তারপর বললে, “আর কোথাও 'র্নীরাঁবাঁল বসা যায় না। আপনার ঘা মনের বস্থা, বেশী হন্রগ্জোল আপনার ভাল লাগত না ।, ৮ “এ গবমল আবারও মনে মনে কৃতজ্ঞ বোধ করে পাণমার কাছে। এই প্রথম প্া্ণমার কথার মধ্যে আভাস পাওয়া গেল যে গবমলের মানাঁসক অবস্থার খবর সে জানে । ওর মনে ষে এত সক্ষম বিবেচনাবোধ আছে তা কখনও কজ্পনা করে নি সে। দুজনে একটা কোণে 'নারাবাল বসে। “কী খাবেন? অনাবশ্যক বোধে এ প্রশ্নও করে না পাীণমা। বিয়'কে ডেকে ১৩% দু-একটা সাধারণ খাবারের ফরমাস করে । অর্াঁং দামী কোন খাবার বললে 1বমল প্রাতবাদ করবে-স্ততট)কু ব্যন্ত করতেও চায় না সে ওকে । 1বমল ক্লান্ত ভাবে তার চেয়ারটায় যেন এলয়ে পড়েছিল । সৌোঁদকে চেয়ে চাঁকতের মধ্যে প্যার্ণমার চোখ ছলছ'লয়ে এল কিন্তু সে প্রাণপণে উদ্গত অশ্রু দমন ক'রে বললে, “আচ্ছা, একটা কথা বলব ? অনুরোধের সাহস নেই--কিম্ত? ধববেচনা ক'রে দেখবেন ? কী বলুন ত? 'বিমল অবাক হয়ে তাকায় । “আচ্ছা, নাম ধরে ডাকলেই ক খুব একটা ঘাঁনম্ঠতা হয় 2 মানে অপ্রীতিকর কোন ঘাঁনষ্ঠতা ?**'ছোট বোনদেরও ত নাম ধরে ডাকে মানুষ ।***আপাঁন এ মস: রায় বলাটা বন্ধ করবেন ? আমার কানে ষেন ওটা আঘাত করে । নাম ধরেই না হয় আপাঁন আজ্ঞে করবেন 1, যেন মরায়া হয়েই বলে ফেলে সে--চরম সাহসে ভর ক'রে । সঙ্গে সঙ্গেই অপমানের আশঙ্কায় তার কানের ডগা থেকে ঘাড় পযন্ত অরুণবণ" হয়ে ওঠে । ণকল্তু আজ আর কোন রূঢ় কথা 'বমলের মুখ 'দয়ে বেরুল না, বরং একটা ম্লান অথচ সস্নেহ হাঁসই দেখা দল । সে কোমলকণ্ঠে উত্তর দিল, “কেন, তাঁম বলতে দোষ কি ?, “সে সৌভাগ্য আম কঞ্পনা করতেও সাহস পাই না ষে।” পর্ণিমার গলাটা কেপে যায় আঁনচ্ছাতেও । আচ্ছা, আচ্ছা, সে হবে। হঠাৎ হয় ত একদিনেই হয়ে উঠবে না॥। এত- গদনের অভ্যাস বদলাতে সময় লাগবে ত-_, “দেখুন যোদনই আরম্ভ করবেন সোঁদনই বাধো-বাধো ঠেকবে। যা করবার এখনই করে ফেলা ভাল । গ্লশজ । প্রসন্ন হয়েছেন ত আর মত 'ফারয়ে নেষেন না!” কতকটা অনুনয়ের ভঙ্গবতেই হাত দুটো যেন টোবলের ওপর জড়ো করে পররশিমা । সেই সময় তার মুখের ভাবে যে এক রকমের সশঙ্ক আশা প্রকাশ পায়, সমন্ত দেহের ভঙ্গশতে যে দৈন্য ও অনুনয় ফুটে ওঠে--তা দেখে আবারও আজ বিমলের মনে ক্ষণকালের জন্য মোহের সন্টার হয় । সে টোৌবলের ওপার থেকে হাত বাড়িয়ে ওর হাত-দুটোর ওপর সস্নেহে গোটা-দুই চাপড় মেরে বলে, “হবে বলছ ত। অগপ্রয়োজনে শুধু শুধু ডাকি কি করে! আনন্দে পাঁণমা যেন বলমালয়ে উঠল । কিন্তু সে অক্পক্ষণের জন্যই, পরমুহ্‌র্তেই মুখটা ম্লান করে বললে, “এ সময়ে এ সব কথা তোলা হয়ত আমার পক্ষে উচিত হয় টি । মাপ করবেন । বালের মুখ থেকে সে ম্লান হাঁসটুকও 'মালয়ে গেল । 'িম্ত পার্ণমার হাতের ওপর থেকে হাত সরাল না, বরং ঈষৎ একটু মৃঠি-করার ভঙ্গীতেই ধরে রইল । পশর্ণমা একটু পরে আবার আন্ে আন্তে বললে, “মাষ্টার মশাইকে আপন ১৩৬ বন্ড ভালবাসতেন, না? সাধারণত আজকাল এরকম গুরশীশষ্যের সম্পক“ দেখাই যায় না ।"**আপনার এতখাঁন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা 'যান পেয়োছলেন 1তাঁন না জান কী আম্চর্ঘ মানুষ ছিলেন !.*", এর উত্তরে কথা বলতে "গয়ে বিমল সামলে নিলে নিজেকে । অভাম্ত 'আপাঁন' শব্দই মুখ দিয়ে বোরয়ে আসাঁছল | সে প্রাণপণ চেষ্টায় নিজেকে রঃ ক'রে নিয়ে বললে, “কন্তু মাম্টার মশাইয়ের মৃত্যুর খবর তুমি শুনলে কাঁকরে?, একটা অবর্ণনীয় আনন্দে পাঁর্পমার সমন্ত দেহটা শিউরে রোমাণ্িত হয়ে উঠল । এ তার জাঁবনে অভাবনশয় এক িজয়গর্ব । কিন্তু সে সহজভাবেই উত্তর দল, “আমাদের আঁফসের বাদল বলাছল। ও যেন কার কাছ থেকে শুনেছে । আপান দুশদন আফসে না আসাতে আম--আমরা সকলেই একট: উীচ্বপ্ন হয়ে উঠোছলুম । বলাবাল করাছ শুনতে পেয়ে বাদল বললে, কে এক ওর ছেলেবেলার মান্টার বুঝি মারা গেছে--সেই শোকে ও একেবারে নাকি মুষড়ে পড়েছে ।.""বাদলের যা আভন্ঞতা, 'নজের চোখ দয়েই দুনিয়ার সব গছ? দেখতে অভ্যন্ত ওরা--খবরটা 'দিয়ে অনায়াসে বলে বসল, ছোকরার সব তাইতেই ষেন বাড়াবাঁড় |, ইতিমধ্যে “বয়” চা ও খাবার সাজয়ে দিয়ে গেল | প্লেটে খান-্দুই প্যাসস্ট্ তুলে ওর 'দকে এগিয়ে দিতে 'দিতে পার্ণমা বললে, “আপনার বোধ হয় এ ক-দন খাওয়াও হয় নি।, “না নাখেয়েছি বৌক। আমাকে ভুল বংঝো না তোমরা । ঠিক সবটাই হয়ত আমার শোক নয়।'*-একটা ঝড় বয়ে গেছে আমার মনের ওপর 'দয়ে 'ঠিকই-কল্তু সেটা শুধু এই মতত্যুই নয় ।এতাঁদনের আঁভজ্ঞতায় যে মতটাকে সত্য বলে ভেবে আঁকড়ে ধরে 'ছিলহম হঠাৎ একাঁদন, মাল্ল কুঁড় বাইশ দন আগে মাস্টার মশাই এসে সব উলটে ধদয়ে গেলেন । তান সাধারণ মানুষ নন, আমার কাছে নন অন্তত-_তাঁন দীর্ঘ দিন ধরে ভেবে যা সত্য বলে চ্ছির করেছেন তাই আমাকে বলেছেন! এসব ব্যাপারে 'কিছুই সামান্য 'ছল না তাঁর কাছে, তা আমি দ্বোন-। কাজেই তাঁর সেই কথাগলোই যথেষ্ট বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে আমার মনে । নতুন ক'রে সব কিছুর মূলা-মান নির্ণয় করা, জীবনের পারাচিত মূল্যবোধের ধারণা পালটে ফেলা তো সহজ কথা নয়! তার জন্যও প্রস্তুত হাঁচ্ছলাম-_কিন্তু মৃত্যু-শষ্যায় শুয়ে আবার সব উলটে দিয়ে গেলেন মান্টার মশাই, আমার উপরই বিবেচনার ভায় 'দিয়ে গেলেন 1*”এ যে আমার কাছে কতখানি গুরুতর ব্যাপার, তা কেউ বুঝবে না পাঁর্ণমা 1, আবার একটা প্রচণ্ড খুশির ঢেউ বয়ে গেল পূর্ণিমার ওপর "দিয়ে, একটা অসহ' পুলকের আঘাতে হাদয়ের সব ক-টা তল্তরশ 'রিন: 'রিনং করে উঠল 'কিল্তু সে প্রাণপণ চেষ্টায় "স্থির হয়েই বসে রইল কিছক্ষেণ। তারপর বললে, “আপাঁন খাবার কিছু মুখে তুলুন, চা একেবারে জড়িয়ে যাবে নইলে-_+ হ্যাঁএই যে! তাড়াতাঁড় চামচে 'দয়ে খাঁনকটা ওমলেট তুলে মুখে ৯৩৭ দেয় বল । পাার্ণমাও একটুখান প্যাস্ট্র ভেঙ্গে মুখে দিয়ে বললে, “দেখুন অনেকাঁদন আমার একটা কথা মনে হয়েছে আপনার সম্বম্ধে- সাহস ক'রে বলতে পার 'ন। বলব ? “বলো না-- কৌতূহল হয়ে ওঠে বিমল । “আমার কেমন মনে হয়, চাকরী করাটা আপনার একেবারেই বেমানান ।"." আপনার উচিত 'ছিল মান্টারী করতে যাওয়া । আপনার মত 'চন্তাশশল এবং সারয়াস টাইপের লোক শিক্ষকতা করতে গেলে সাঁতা-সাঁত্যই দেশের ছেলে- মেয়েগুলো মানুষ হত !; বিমল যেন অকস্মাং ছেলেমানূষের মত হয়ে ওঠে ; সামনের দিকে ঝৃ*কে পড়ে বলে, “তুম সাঁত্য বলছ ! মাম্টারশ করতে গেলে ভাল হ'ত ? তাই যাবো 2" এখনও ত সময় আছে! পাঁণমার মৃখ নিমেষে ম্লান হয়ে ওঠে, ওমা । তাই বলে এখন ষেন যাবেন না। দোহাই আপনার ।১ 'কেন?। তাহলে আপনার সঙ্গে আর দেখাটুকুও যে হবে না। এ আফসে আম একা-_আপাঁন নেই, সে আম ভাবতেও পার না ।, “ও, এই কথা !, বিমল হেসে ফেলে, 'আমি বাল না জান কি।"*"তুঁমিই ক চিরকাল এই আঁফসে চাকরী করবে ! বিয়ে-থা ক'রে কোথায় চলে যাবে-_ আমরা আর পাত্তাই পাব না ।, জোর ক'রে যেন হালকা হয় সে! ণিন্তু পার্ণমার মুখখানা যেন নিমেষে বিবর্ণ, রন্তহীন হয়ে যায় কথাগহলো শোনার সঙ্গে সঙ্গেই। সে অন্যমনস্ক ভাবে ওমলেটের ওপর ছার চালিয়ে সেটাকে অকারণেই টুকরো টুকরো করে- কোন কথা বলে না। অত্যন্ত কোন ব্যথার দ্থানে ঘা 'দিয়েছে বুঝতে পেরে বিমল অন:তগ্ত হয়ে ওঠে । রেস্তোরাঁ থেকে বোরয়ে সাড়ে-সাতটা নাগাদ পীর্ণমাকে যখন তার বাড়ীর বাস্‌-এ তুলে 'দিল বিমল; তখন কে জানে কেন, নিজেকে অনেকটা প্রকীতিস্ছ বোধ হ'ল ওর। 'কল্তু তব তখনই বাড়ী ফিরতে ইচ্ছা হ'ল না। সংকীর্ণ দুটি ঘরে অতগযাল প্রাণী । ভাই-বোনেরা আজকাল সকলেই অক্পাঁবন্তর পড়ায় মন গদলেও-_সে যেন বড় বেশশ জনতা, বড় বেশী কোলাহল । তার চেয়ে এমনি উদ্দেশ্যহুশীন, কম'হুণন ভারে খানিকটা পথে-পথে ঘুরে বেড়ানো ঢের ভাল 1". সেপায়ে পায়ে দাক্ষণদকে অথাৎ তার বাড়ীর উল্টো দিকেই এগিয়ে চলল । কন্তু খানকটা চলার পরই দেখা হয়ে গেল--প্রায় ধাক্কা লেগে গেল--ওর বন্ধু কুমুদীশের সঙ্গে । “আরে, এই যে 'বমল ! ভালই হয়েছে, তোর বরাত ভাল! আয় আমার সঙ্গে" ৯৩৮ সে একরকম ওকে টানতে টানতেই নিয়ে চলল আবার পাক স্ট্রীটের [দিকে । 'আরে থাম: থাম ব্যাপার কি? চলাল কোথায় 2 বিস্মিত বিমল প্র*ন করবার চেষ্টা করে। : “এই যে পার্ক স্ট্রীটের মোড়ে । একটা ট্যাক্স গনতে হবে। নইলে সাড়ে আটটার মধ্যে বালগঞ্জে পৌছানো যাবে না। সেই তে-কোণা পাকের কাছে জায়গাটা । একটু আগেই যাওয়া ভাল । 'তুই ধাভাই। আমার আজ আর ভাল লাগছে না৷; 'আগেই ভল লাগছে নাঃ কোথায় যাচ্ছি বল দিকি ? 'কীজান, কোন মিটিং হবে আর কি। িংবা জলসা ।, 'না হে বাপদ, না। তুই বুঝি আজকাল খবরের কাগজও পাঁড়স না ? খাস একজন ইংরেজ কাঁব ভারতে এসেছেন--সে খবরটা রাখো £ জলজ্যান্ত 115108 কবি । ইংরেজখতে কাঁবতা লিখে ধান জীবকা চালান! তাঁকে আমরা কজন মীট্‌ করব আজ এক জায়গায় । চলং--দেখে আসাব। মন খারাপ থাকে--মন ভাল হয়ে যাবে, চল: ।” [বামল আর বাধা দলে না। শিক্ষা ও সাহত্যের ব্যাপারে আজও তার যথেস্ট অনুরাগ আছে । মন যদ ভাল হয় ত--বরং এইতেই হবে । ট্যাঁক্সতে উঠে কুমুদীশ ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললে, ভদ্রলোক এসে অবধি সভা-সামাত যথেষ্ট করেছেন । এখন তান চান এদেশের ক'জন সাহাত্যিককে মটং করতে । সাহত্য-পাঁরষদেও 'গিয়োছিলেন কিন্তু সে ফম্যলি সভা, ভান চান নিভৃত “ত্যেতাত্যেং গোছের 'িছ! সেই জন্যেই বাঁলগঞ্জে এক ভদ্রু- লোকের বাড়ীতে একটু বসবার আয়োজন করা হয়েছে । “বড় জোর শ'খানেক লোক হবে । আমাদের এক অধ্যাপক বম্ধু উদ্যোস্তা- দের মধ্যে আছেন, তাই আম খবর পেয়োছ।” গিমল .একটু সঙ্কোচের সঙ্গে বললে, “তা এত প্রাইভেট ব্যাপারে আনমান্নত আমার যাওয়া ফি ঠিক হবে ?, “ওহে সাঁঘ্ববেচক মশাই, নাহ'লে আম নয়ে যাবো কেন ? ব্যাপারটা এত তাড়াতা'ড় ঠিক করা হয়েছে যে সাঁহাত্যকদের বেশশর ভাগকেই কোন খবর দেওয়া যায় 'নি। যার সঙ্গে ধার অর্থাং ইণ্টারেস্টেড কোন লোকের দেখা হবে, সেই তাকে ধরে 'নয়ে যাবে, এছাড়া ত কোন উপায় নেই! কিছুই যাঁদ লোক না থাকে ত 'তানই বা কি ভাববেন !, 1বমল আর ছু বললে না। ক-দন সে খবরের কাগজ পড়ে নিন সাঁতাই । পৃথিবীর কোন খবরই সে. রাখে না। কেন যে তার এত দুশ্চিন্তা, মনের মধ্যে এ আঁস্থরতা তাও ত বোঝে না। জগতের সকলের ভার ক? ভগবান তার ওপর দিয়ে এখানে পাঠান 'ন। যে ক-জনের সম্বন্ধে তার প্রার্থামক দায়ত্ব-_তাদের ভারই কি সে সুষ্ঠুভাবে বইতে পারছে? 'মাছামাছ তার এত আকুলতা এবং ব্যাকুলতা ৯৩৯৮ সাঁতাই হাস্যকর ।.' | | বালিগঞ্জে যেখানে কাঁবর টির আয়োজন হয়েছিল, সেটা নিতান্তই মাঝার গোছের বাঁড়। বাঁড়র পেছনে সামান্য একটহ “লন”--যে-কোনাঁদকে তাকালেই রংস্করা বন়্ বড় নদরমার নল চোখে পড়ে, কারণ সব বাঁড়রই পিছন পদক এটা--এমন কি এই বাঁড়রও । হয়ত ওদের দেশেও সহরে এমান ব্যবস্থা ছাড়া উপায় থাকে না--কম্তু বিমলের একট: লঙ্জাই করতে লাগল । লনের মধ্যে শ' দেড়েক ভাঁজ-করা চেয়ার পাতা কিন্তু লোক এসেছে এখনও অবাঁধ না-কুাঁড়। চায়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ছোট রকম । এই কাঁবর নাম বিমল জানে, ও*র দু-একটি কাঁবতা পড়ারও সুযোগ হয়েছে তার। এমন খুব বড় দয়ের কাব নন, ওদেশ বলেই কাঁবতা 'লখে খেতে পাচ্ছেন, এখানে হ'লে খবরের কাগ্ঞ্জের আঁফসে চাকার খুজতে হ'ত। ভদ্রলোক আগে ঘোর কমহানস্ট গছলেন--এখন নাক একেবারে উল্‌টো । বর্তমানে পাঁথবশ ভ্রমণে বৌরয়েছেন--কাঁ উদ্দেশ্য কে জানে । কিংবা শুধু ভরমণই উদ্দেশ্য । ঠিক সময়েরও দশ 'মানট পরে কাব এলেন। সন্ধ্যায় একটা প্রেস কনফারেন্স ছিল, সেরে আসতে দোঁর হয়ে গেছে । সেজন্য আগেই সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন । হাত জোড় করতে শিখেছেন ইতিমধ্যেই, নমজ্ঞে শব্দটাও আয়ত্ত ক'রে নিয়েছেন । দীর্ঘ বাঁলষ্ঠ দেহ। সৌম্য মুখকান্তি। ভালই লাগল বিমলের ৷ চা-পান শেষ হ'লে 'তাঁন ছু বলবেন, জের কাঁবতা থেকেও আবাত্ত করবেন শোনা গেল। বিমল একট? সামনের 'দকে এগয়ে এসে বসল। এখানকার দু-একাট বাঙ্গালশ কাব কাঁবতা পাঠ করলেন । একজন নজেরই তজরমা করা পঙ্গু? ইংরেজী অনুবাদ শোনালেন । তারপর কাব স্বয়ং উঠলেন। অনেক কথা বললেন ?তাঁন। কথায় কথায় গাম্ধীবাদের প্রসঙ্গ উঠল । তান বললেন, “গাম্ধবাদ সম্বন্ধে অনেক কথাই শোনা ছিল, নিন্দা প্রশংসা দুই-ই । এখানে এসে ও*্র কতকগ্াল বই উপহার পেয়ে পড়ে দেখোঁছ। ও"র লেখা পড়তে পড়তে আমার আদম ক্রুশ্চানিটশ বা প্রীষ্ট্ধরমের কথা মনে পড়ে যায়। তেমাঁন সহজ সরল, তেমাঁন স্বীয় বিশ্বাসে অটল ॥ অনেকে দোষ দেন যে বড় বেশী উনি ঈশ্বর ঈশ্বর করেছেন-কিল্তু তাতে দোষ কি ? %/17865 1918 1) 3০৫ ? প্রথম যুগে সরল, প্রান্-মৃর্থ যে সব বি*বাসী খ্রীষ্টানের কথা পাঁড় তাঁদের ম্বারা মানুষের বহু উপকার হয়লেছে--এখনকার সংশয়বাদশ পাণ্ডতরা তার শতাংশও কাজে লাগছেন না মানুষের 1 আরও অনেক কথা বললেন কাব । যা বললেন তার সারাংশ এই £ যাকছ একালের তা যেমন খারাপ হ'তে পারে না, তেমান তার সবটাই ভাল, তা-ও মনে করায় কোন কারণ নেই । আমরা হয়ত একাঁদকে ঞগয়ে যাচ্ছি, তেমাঁন আনন একদিকে পিছিয়ে পড়াছ। গাম্ধশীজ' যাঁদ ইনাড্রাস্টীয়ালজেশনকে ঈমখধান না ক'রে থাকেন ত 'বাস্মিত হবার ছুই নেই। যল্মাবজ্তারই মানব- ৭১6৩ সভ্যতার স্বাভাবিক প্র্গাত তা কে বললে? বিলাত শেক্‌সপাীয়ার, শেলী, কট.স্‌, ওআড-“সওয়ার্থের দেশ--কিন্তু সেখানে কাব্য আজ মাত্র জনাকতকের মধ্যে সগমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ; কাব্যের পাঠক নেই। এ হ'ল ইনডাস্টীয়ালি- জেশনের প্রত্যক্ষ ফল। আমরা হয়ত যন্তাশঙ্গে এগোঁচ্ছি-তেমান কার্‌- শজ্পে ?পাছয়ে যাচ্ছ । কেউ কেউ তাঁকে উপদেশ দেয়, তোমরা “পপ এর জন্য লেখ নাকেন? গণসাহত্য রচনা কর, পাঠক পাবে । কিন্তু তাঁদের উপদেশমত ছলিখলে--কাঁবর মতে-_একজন পাঠকও পাওয়া ধাবে না। যাদের পখপজ বলা হয়,_তান ইংলণ্ডের কথা অন্তত জানেন--তাদের কাছে আজও শেলীর কাঁবতাই সবচেয়ে 'প্রয় ৷ কিন্তু শেলণ পাঁণ্ডত ছিলেন । 'তাঁন পপ্ল্‌-এর একজন 'ছিলেন না। আরও অনেক কথাই বললেন 'তাঁন। সব কথা 'বমল শোনেও নি ভাল ক'রে। সেভাবাছল পূর্ণমান্টার মশাইয়ের কথা । 'তাঁনও ইনডাস্টরিয়ালি- জেশন সম্বন্ধে এই আশঙকাই প্রকাশ করে গেছেন। গান্ধীবাদ সম্বন্ধেও, সেই অভ্ভাত ও অবজ্ঞাত অধশিনী সামান্য ইস্কুলমান্টার যা বলে গেছেন এতবড় পণ্ডিত ইংরেজ কাব রাজনশীত যার কারুর চেয়েই কম জানা নেই--তাঁর মতের সঙ্গে আশ্চর্য রকম ভাবে 'মলে যায় নাক ? তবে কি সেই বৃদ্ধের কথাই ঠিক !*** “ক ভাবাছস্‌ 2 তন্ময় হয়ে 2 কনয়ের গৃ*তো মেরে কুমুদীশ বলে গস িসং ক'রে, “লোকটা ধরেছে কিন্তু ঠিক । এদেশেও একদল লোক গণ- সাহিত্য গণ-সাহত্য বলে চেশ্চায় । তাদের কান ধরে এনে শোনাতে ইচ্ছে করে। এই নিয়ে আমার বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই তক হয় । আম ত তা-ই বাঁল। রামায়ণ মহাভারতের চেয়ে গণসাহত্য আমাদের দেশে তৈরণ হওয়া সম্ভব নয় 1 যেমন ওদেশে বাইবেল -*'যে গরণব, যে শ্রমজীবী, যে দারদ্ো দঃখে নিজ্পোষিত সে রাজা রাজকন্যার কাহনী শুনতে চাইবে-_এইটেই ত স্বাভাবিক । চাষী- মজুরদের কথা মজুরদের কি চাষাঁদের কাছে ভাল লাগবার কথা নয়। তথাকাঁথত গণসাহত্য পড়ে বাহবা দিই আমরা-_মধ্যাবন্ত ও ধনপ পাঠকরা । আমাদের কাছে ওটা 'বস্ময়। সমাজের যায়া অবহেলিত বলে পাঁরচিত, ব্যাকওয়ার্ড মাস, তাদের নিয়ে গঞ্গ 'লখলে সবচেয়ে বেশী বাহবা পাওয়া যায়_-কিন্তু তারা সে বাহবা দেয়, না তারা সে-বই পড়ে? তাদের কাছে এ রাজারাজড়া বা দেব-দেবশর কাঁহনগই সব চেয়ে ভাল লাগার কথা !, কুমুদীশের বন্তৃতা দীর্ঘ হয়ে যেত হয়ত-_কে একজন ওদক থেকে চাপা ধমক 'দিলেন। কারণ কাব তখন স্বরচিত কবিতা শোনাতে শুর: করেছেন । কিছুক্ষণ পরেই বৈঠক শেষ হ'ল। কুমুদীশ এগিয়ে গেল কাঁবর সঙ্গে ব্যান্তগত কিছ? আলোচনার স্বাবধা পাওয়া যায় কনা দেখতে । 'িবমল সেই ফকে বোরয়ে পড়ল সেখান থেকে । সে চায় কিছুক্ষণ গনজনে কথাগুলো ভেবে দেখতে । লোকজনের ভীড় বা উত্তোজত আলোচনা, কোনটাই তার সহ্য হবে না। ১৪১৯ রাত প্রায় দশটা বাজে । ট্রাম বাস প্রচুর । একটু ইতন্তভত করলে সে। পথ দীর্ঘ; বেশী রাত হ'লে বাড়ীর সবাই ভাববে । কিন্তু দু'একখানা বাস- এর অবস্থা দেখে তার আর উঠতে ইচ্ছা হ'ল না। এখনও সমান ভীড়। কোন ভপড়ই ভাল লাগছে না ।*"সে সোজা হাঁটিতেই শুরু করলে । তাহ'লে সৌঁদন সেই মাঠের মধ্যে বসে পূর্ণ মান্টারমশাই যে কথাগুলো তাকে বলে গেছেন--সেই কথাই ঠিক ! গ্াম্ধীজই ঠিক বুঝোঁছলেন ? সারা পৃাথবী যে উন্মত্ত আবেগে এাগয়ে যাচ্ছে যান্তিক-ীশজ্প-প্রসারে-__সেটা কি আগাগোড়া একটা 'বরাট ভুল হচ্ছে? কাব্য সাহত্য জপ এবং সেই সঙ্গে শচরকালশন মানবের যা সর্ব-প্রধান আশ্রয় ও সান্্বনা, সহজ সরল ঈশবর-বিদ্বাস সব কছ: ধুয়ে মুছে দেবে এই যন্তদানব- তার জায়গায় ডেকে আনবে স্বার্থ- সংঘাত আর তার অবশ্যম্ভাবশ পণরণাত য:দ্ধ ও মারণাস্ত্র ! -. কে জানে 1"” 11905 0106 আ100 00৫ 2০ এলোমেলো অসম্বন্ধ কথা সব মনে হচ্ছে কেন ? ণকসের কথা ভাবাছল সে? পূর্ণবাবুর কথা? দেশ এবং জাতির উন্নাতর ফলে যাঁদ পূর্ণবাবুর মত লোক দ:ু"চার-জনও না তৈরী হয়, তাহলে দেশের সেইটেই হবে দূভাগ্য !**" না। এসব কথা ভাববার সময় তার নেই, সে মাথাটা নাড়া 'দয়ে যেন 1নজেকে চিন্তামনন্ত করতে চায় ।***অতবড় চিন্তায় তার গক দরকার । কাই বা করতে পারে সেঃ কতট.কু পারে ? তিনটে বোনের 'বিয়ে 'দিতে হবে তাকে । অন্ধ বাবা, রুগ্ন মা। ছোট ভাইটাকে জোর ক'রে লেখাপড়া ছাঁড়য়েছে ।"*" যাঁদ এখনও সম্ভব হয় ত তাকে পড়াবে । তার ঘাড়ে কারখানার কাজ চাঁপয়ে 'দেবার হয়ত সাত্যই কোন আঁধকার ছল না মলের । ওর মতই যে অন্রান্ত, এমন অহওকারের ভূত কেন তার মাথায় চেপোছল কে জানে ! পথ ক্রমশ জনহাীন হয়ে আসছে । কাঁচং দু একটা গাড়ী এবং ট্রাম বাস। “উত্তর-পশ্চিম দিকে মেঘ জমেছে, মাঝে মাঝে বদহ্যংস্ফুরণে তার ঘনকৃষ আড়ম্বরটা চোখে পড়ে ।** এখনও দীর্ঘ পথ তাকে চলতে হবে । শেষ অবাঁধ বাসৃএই চাপতে হবে নাক ? সে আরও জোরে হাঁটতে শুর? করল । ॥২৩॥ ঝড়টা ওঠবার আগেই বিমল কোনমতে বাঁড় এসে পেশছুল । একেবারে এড়াতে পারে 'নি অবশ্য, গালর মোড়ে পড়বার সঙ্গে, সঙ্গেই প্রথম ঝাপটা উঠে, পড়েছিল, তার ফলে ধুলো আর জঞ্জালে মাথা"মুখ ভরে গেছে । মুখের মধ্যেও ঢুকেছে ধুলো ।***শেষ-এটুুকু ছুটেই এসেছে তব । আর এক মাঁনট' ৯৪% €দার হ'লেই জলও এসে গপড়ত--চৌকাঠ 'ডিঙ্গোবার সঙ্গে সঙ্গেই বড়বড় ফোঁটায় বাঁন্ট নামল। দীর্ঘ পথ জোরে হেটে আসতে হয়েছে, তার ওপর শেষটা ত ছোটাই-_ সদরের ভেতরে পড়ে 'নঃ*বাস নেবার জন্যই থামতে হ'ল তাকে । রীতিমত হাঁপাচ্ছে সে তখন- কোনাঁদকে তাণকয়ে দেখবার মত অবস্থা তার নয় । প্রথম ধনঃ*বাসটা ফেলে সে সবে পকেট থেকে রুমালটা বার ক'রে কপাল ও ঘাড়ের ঘাম এবং ধুলো মুছতে শুরু করেছে--কে একজন সেই অন্ধকারের মধ্যেই পায়ের ওপর হূমড়ী খেয়ে পড়ে প্রণাম করল এবং ব্যাপারটা ক ঘটে গেল ভাল ক'রে বোঝবার আগেই উঠে ওকে সজোরে জাঁড়য়ে ধরল । “দাদা এতক্ষণে ফেরবার সময় হ'ল আপনার! আম সেই সন্ধ্যে থেকে এখানে বসে আছ খবরটা আপনাকে দেব বলে। এখনও বাঁড়তে কাউকে বাল 'ন। আপনাকেই আগে দেব বলে চেপে রেখোঁছ 1 অন্ধকারেও না চেনবার কোন কারণ নেই! এমান ক'রে জাঁড়য়ে ধরা পুলকের এক বদভ্যাস । ণবমল হেসে বললে, ব্যাপার কি রে পুলক, ছাড় ছাড়। প্রাণ গেল যে! একটু দম গনতে দে। অনেকটা ছুটে এসোছি।.."এত উচ্ছ্বাস কিসের ? মাইনে 'বেড়েছে ?' পুলক আিঙ্গনটা একটু শাথিল করলেও একেবারে ছাড়লে না। বললে, “একটু আধট; নয় দাদা । একেবারে দশ? কুঁড় টাকা হয়ে গেল। আম যন্যাসস্ট্যান্ট ফোরম্যান হয়োছি !, “সে কি? কবে পরীক্ষা দিলি, আমাকে ত বালস নন!) “পরীক্ষা দিতেই হয় ন।**শুনুন না কী ব্যাপার । পরশু শুনলুম আমাদের ফোরম্যান হঠাৎ মারা গিয়েছেন। তন চার 'দিন আগেই একটা স্ট্রোক হয়োছল, তাইতেই মারা গেছেন। কাল শুনলহম সে জায়গায়--তাঁর গান য়্যাঁসস্ট্যা্ট তাঁকেই প্রমোশন দেওয়া হবে, আর র্যাসপ্ট্যান্টের জন্য গবজ্ঞাপন করা হবে কাগজে । অনেকক্ষণ ভাবলুম কথাটা শুনে । দহ”পা এগুই--তিন পা ছুই । শেষে চরম সাহসে ভর ক'রে ছুটির পর দেখা করল. হীর্জীনয়ার বড় সাহেবের সঙ্গে । একরকম মরীয়া হয়েই চলে গেলুম, কশ আর করবেন, বড় জোর তাঁড়য়ে দেবেন, এইত !**"তানি আমার কথা শুনে প্রথমটা িরন্ত ভাবেই ভুরু কুচকে 'ছিলেন, তারপর কা ভেবে বললেন, “তুমি জানো যেয়্যাঁসস্ট্যান্ট ফোরম্যানের কতকগুলো কোয়ালফিকেশন, খানকটা লেখাপড়া দরকার । আমরা এসব কাজে পরীক্ষা ক'রে লোক নিই!” আমি বললুম, “জান স্যার । আমার কলেজের ডিগ্রী সার্টিফকেট নেই কিন্তু পরণক্ষা দিতে প্রস্তুত আঁছ। আমাকে আপাঁন দয় করে প্রশ্ন করুন!” একটা কথা দাদা, আপনার আশীবাঁদে ইংরেজীতেই কথা বলাছলুম। বোধ হয় তাইতেই সাহেব একটু অবাক: হয়ে িয়োছলেন, একজন মজুরের মুথে ইধরেজশ কথা আশা করেন গন ।*""তাঁন তখন দহ" একটা এমাঁন খুচরো প্রশ্ন ৯৪৩ করলেন ।..'বরাতটাই ভাল 'ছিল, ঠিক ঠিক উত্তর 'দয়ে ফেললুম । তখন তান আরও কয়েকটা কঠিন প্রশ্ন করলেন । দুটোর উত্তর 'দিলুম, একটা পারলুম না ।..-ও£, তখন যা মনের অবস্থা দাদা, ঘেমে 1গয়োছিলুম, ভয়ে লঙ্জায় ।-.. সাহেব 'ীকন্তু রাগ করলেন না, বরং কাছে এসে ?গঠে হাত 'দিয়ে বললেন, “সাবাস । তোমার লঙ্জার কোন কারণ নেই, এ প্রশ্নের উত্তর অনেক পাস- করা ইঁ্জানয়ারও দিতে পারত না। তুমি এত লেখাপড়া করলে কোথায় ? এসব ত কলেজে পড়তে হয় ।***আর তাহ'লে মজুরের কাজই বা করছ কেন ?” ভখন ভরসা পেয়ে সব খালে বললুম ওকে । উীঁন শুনে বললেন, “অল রাইট, তুমি এখন বাঁড় যাও। আম এখনই ম্যানোজং ডাইরেক্টারের কাছে যাবো, তোমার কেস: তাঁকে জানাব--তারপর তাঁর ইচ্ছা” ।, এক ধৃনঃ*্বাসে এই দীঘ" কাহিনী বলে বোধ কার দম নেবার জন্যেই থামল পুলক । গবমল বললে, তারপর £ আমি কোন আশা রাখ ?ন দাদা । তাই কাউকে বলিও নন, আজ আঁফসে গিয়েই শুনলুম হীর্জীনয়ার সাহেব ডেকেছেন । বুক দুর দুর করতে লাগল, ঘেমে নেয়ে উঠল্‌ম । সাহেবের ঘরে যেতেই সাহেব হাসিমুখে উঠে এসে আমার সঙ্গে হ্যান্ড শেক করলেন, বললেন, “যাও--তোমার চার বুঝে নাও । আশা কার তুমি আরও উন্নাত করবে । তোমার কেস শুনে 'ডিরেক্টাররা সকলেই অবাক হয়ে গেছেন । তাঁরা তোমাকে দেখতে চান । এর পরের মশীটং-এর 'দিন তোমাকে সঙ্গে ক'রে নিয়ে যাবো ।৮***ব্যস । আজ একেলারে নতুন পোস্টে কাজ ক'রে আসাছি।, পুলকও আবার হে-্ট হয়ে ওকে প্রণাম ক'রে বললে, “এ শুধু আপনার দয়াতেই সম্ভব হ'ল দাদা!, এবার 'বিমলই ওকে বুকে চেপে ধরেওবললে, “আমার দয়ায় নয়, তোমার চেম্টাতেই হয়েছে । এ তোমার পুরুষকার !) সে ভেতরের দিকে এগোচ্ছিল--পুলক বাধা দিলে । বললে, “আরও একটা কথা সেরে নিই দাদা ।.**আমি যে এই অসাধ্য সাধন করলুম, আমাকে কী দেবেন? বকশিশ ? 1িবমল হেসে ফেলে বললে, “বা রে, ডিল্‌টো চাপ! তুই কোথায় আমাদের খাওয়াবি--না আম দেব বকশিশ !+ “ছোট কেউ পরীক্ষায় পাস করলে গুরহজনরা তাকে নানারকম উপহার দেন--এ ত বহুকালের রেওয়াজ দাদা !' “কশ উপহার চাস বল ।” “দেবেন--ষা চাইব ?, সাধ্য কুলোলে 'নশ্চয় দেব !; প্রাতজ্ঞা করছেন ত ?' হ্যাঁ রে হ্যাঁ-এখন কাঁ ব্যাপায় তাই বল্‌ তাড়াতাড়ি। রাত হয়ে যাচ্ছে ॥ ৯৪৪ “অমলের এ কাজ একদম ভাল লাগছে না। সেচায় পড়তে, পাস করতে । হয়ত সে সময় এখনও চলে যায় 'নি। তাকে পড়তে দিন, যতাঁদন নাসে লেখাপড়া শেষ ক'রে রোজগার করতে শেখে-_তার ভার আমাকে বইতে দিন দাদা ।***দোহাই আপনার, না বলবেন না !, অনেকক্ষণ চুপ ক'রে দাঁঁড়য়ে রইল বিমল । ওরই ছোট ভাই অমল, তার কথাই আজ সে বেশী করে ভাবাঁছল না ?"**বাইরে ভগষণ দৃযোগি চলেছে, প্রকৃতির উন্মত্ত উদ্দাম মাতামাতি । কিন্তু তার চেয়েও তার অন্তরের দুষোগ বুঝি বেশী । খানিক পরে প্রায় ভগ্নকম্ঠে পুলক বললে, “এটা কি আমার খুবই ধৃষ্টতা হচ্ছে? এটুকু িক্ষে আমাকে দিতে পারেন না ?, আঙ্ে আন্তে বিমল উত্তর 'দিলে, কল্তু এটা ত দেওয়া নয় ভাই, এ যে নেওয়া! যত ক'রেই ঘ্বারয়ে বল্‌ না কেন-সাঁত্য যা তা হচ্ছে এইযে, তুই আমাদের সাহায্য করতে চাস ।? “আপাঁনই ঘুরিয়ে ধরেছেন দাদা । এত দুঃসাহস আমার জশবনে হবে না।""*আপাঁন এইটুকু শুধু নিন- আম সাত্যই কৃতজ্ঞ থাকব আপনার কাছে!” একটা দীর্ঘ নঃশবাস ফেলে বিমল বললে, পুলক, আমি তোকে সাত্য কথাই বলাছ, অমলকে আবার পড়াব--অবশা যাঁদ সে রাজী থাকে- আজই একটু আগে মন স্ছির করোছি। টাকাকাঁড়র কথাটা আম এখনও ভাব নি।... আচ্ছা, যাঁদ দরকার হয় তোর কাছ থেকেই নেব !ঃ ॥২৪॥ পার্ণমার সেই দিন থেকে কেমন যেন একটা আতঙ্ক হয়ে গেছে । সে য়োজই এসে একবার ভয়ে ভয়ে চেয়ে দেখে 'বিমলের চেয়ারটার দিকে । রোজই একটা যেন আশঙকা থাকে যে হয়ত এর মধ্যেই বিমল আঁফস ছেড়ে কোথাও চলে গেছে --িয়ে দেখবে সে চেয়ার খাল কিংবা অন্য কেউ বসেছে । মল তার সে দৃ্টির অর্থ বোঝে কিন্তু বিরন্ত হয় না। বরং একটা কৌতুক অনুভব করে। পাঁ্ণিমা সম্বন্ধে তার মত অনেকটাই বদলে গেছে, আজকাল ওকে দেখলে সে খুশীই হয়, একটা সস্নেহ প্রশ্রয় ফুটে ওঠে তার দৃষ্টিতে । শুধু তাই নয়, পার্ণমারই অনুরোধে এস-এ-এস পরণক্ষাতেও বসতে হয়েছে তাকে । পাার্ণমাই প্রত্যহ খোঁচাত। বিমলের সাহায্যে অরুণ গত বছর পরাক্ষা 'দয়ে পাস করেছে--বমলের পরাক্ষায় বসতে ভয় কি? এটা ধয়ে ফেলুক সে, যেমন করে হোক--না হয় প্রথম বছর না-ই পারল পাস করতে । ১৪ গজেন্দুকুমার মত্ত রচনাবলী (৬ষ্$)--১০ 1বমল 'স্নক্ধ সকৌতুকে তার দিকে চেয়ে বলত, “তুমি আমাকে আল্টে-পচ্ঠে এই আঁফসের সঙ্গে বেধে ফেলতে চাও, না? এই পরীক্ষাটায় পাস করলেই কি আম বাঁধা পড়ব ।” “না, আয় ত বাড়বে কছহ। ভাঁবষ্যতেও একটা উন্নাতির আশা থাকবে-_' তউন্নাতির জনোই ফি আম আর কোথাও যাবো- এই তোমার বিশ্বাস ? জান না। আম আপনার সঙ্গে তকে পারব না। আপাঁন পরাক্ষাটাই দন না। আপাঁন পরীক্ষা দিতে পারেন নি, এটা ত কেউ বলবে না! পকন্তু আমার যাঁদ উন্নাত হয়ে ায়--আ'ম হয়ত অন্য কোথাও চলে ধাবো পৃশিমা, সেও ত সেই একই কথা হবে। তোমার পাশের এই সাঁটাট জুড়ে চিরকাল বসে থাকব, এমনই বা ভাবছ কেন ?, হেসে বলত 'বমল । পনার্শমার দু? চোখ ঝাপসা হয়ে আসত: সে অন্য দিকে মুখ 'ফারয়ে বলত, “তা বলে আম আপনার উন্নাতি কামনা করব না, এমন কথাই বা আপাঁন ভাবছেন কেন ?? *' ওর কণ্ঠস্বরেই ওর অবস্থাটা টের পেত বিমল, কথা ঘাঁরয়ে নিয়ে বলত “তুমিও প্রাইভেটে বব. এ-টা দিয়ে ফ্যালো পূর্ণিমা । এসো একসঙ্গেই পরীক্ষার জন্য তৈরগ হই !” মুহূর্তের জন্য আশাতে আনন্দে মুখ উজ্জব্ল হয়ে উঠত পাার্ণমার, তারপরেই আবার ম্লান হয়ে গিয়ে বলত, “মে কী আর হবে । মালটা মানুষ হয়ে না উঠলে ।--দিনরাতে বাড়াঁত পাঁচটা িনিউও সময় পাই না যে!? আর কথা বাড়াত না বমল। সোঁদন ছহটির পর িমলই প্রস্তাব করলে, চল মাঠে '?গয়ে একট? বসা যাক- আজ বেশ খাশনকটা সময় আছে হাতে !” প্রস্তাবটা শুনে খাঁশতে রাঙা হয়ে উঠল পার্ণমা । আজও সে ঠিক ছেলে- মানুষের মত খাঁশ হয়। যাঁদও ওরা ছুটির পর আজকাল মাঝে-মাঝেই মাণে গগয়ে বসে, টিউশনীর আগে_একঘণ্টা কেন-_আধঘণ্টা সময় পেলেও । এইটুকুই--পযার্ণমার মনে হয় ওর জীবনে ওয়োসস। সে সারাদনের 'নাশ্ছদ্র ণিনরবসরের মধ্যে সমস্ত সময়ই যেন মনের অবচেতনে এই সময়টুকুর অপেক্ষা করে। অবশ্য প্রায়ই ওদের আফসের কাজ সেরে বেরোতে দের হয়ে যায়-_- দুজনের একজনের দর হওয়াটা খুরই স্বাভাবক, আর তাহ'লেই আন্ডার সুষোগ যায় নষ্ট হয়ে। সে সব দিনগুলো ফাঁকা ফাঁকা লাগে পার্ণমার ! শবমলের বাহ্য কাঠিন্যের আবরণটা ভেঙ্গে যাবার পর ওর মিষ্ট, ভদ্র, সহানুভাতিশীল আসল চেহারাটা বোরয়ে পড়েছিল । তাই পাার্ণমার মনে হয়, ওর সামান্য মাত্র সাহচষেই মনের ক্লান্ত অনেকখাঁন দূর হয়ে গিয়ে একটা মবশনতার আস্তরণ পড়ে সেখানে । দুজনে হাটিতে হাঁটতে আজও ছোলাভাজা কিনলে । চা-ওলা একটি প্রায় 'চেনাই হন্পে গেছে, সে ঠিক আসবে চা দিতে । সে আজকাল চা 'দয়ে দু একটা সুখ-দুঃখের গল্পও ক'রে যায় । লেখাপড়া শিখতে পারে নি বলে তার ভার ১৪৩ আফসোস । তবে সে ছেলেকে প্রাণপণে পলখাপাঁঢ়' শেখাচ্ছে। ছেলে পাটনা কলেজে পড়ে-_যাঁদ ভাল ভাবে পাস করে ত ডান্তার পড়াবে। ওদের গাঁয়ে একদম “ডাগদ্রার' নেই- কারুর অসুখাঁবসৃখ হলে সাত 'কোশ? পথ ভেঙে সরকারণ দাওয়া-খানায় যেতে হয়, তাও সেখানে অধেক দাওয়াই মেলে না। ডাগদ্রারও দেখেন না ভাল ক'রে । যারা কিছ: দিতে পারে তাদেরই দেখেন । ঘি বজরঙ্গজী ণকরপা” করেন ত সেই দুঃখ সে ঘোচাবে__ এখানে এসেই চা-ওয়ালার কথা মনে পড়ল। আলোচনাটাও চলল সেই পথ ধরে। কথার পৃন্ঠে কথা $ বিমল বললে, 'দ্যাখো- লোকটি আঁশাক্ষিত সামান্য লোক। কিন্তু সে চাইছে ছেলেকে লেখাপড়া 'শাঁখয়ে গাঁয়েই বসাতে, নিজের দেশের, গ্রামের উন্নাত। আমাদের মত কেবলই শহরের মৃখ চেয়ে নেই ।-** বাঙ্গালীর পেটে কালির আঁচড় পড়লেই সে চায় শহরে এসে চাকার করতে । শাক্ষত লোক যাঁদ গ্রামে না থাকে ত গ্রামের উন্বাত হবে কেমন ক'রে ?, পার্ণমা বললে, 'আপাঁন ত কখনই গ্রামে যান নি । কিন্তু আমি িয়েছি। একবার--দিদমার অসুখের সময় দু মাস গিয়ে ছিলুম মামার বাঁড়। সে কণী পারবেশ- প্রাণ যেন হাঁফিয়ে ওঠে ।, “সেই পারিবেশটাই বদলাতে হবে । আর 'শাক্ষত লোকেরা যাঁদ না থাকে ত কোনাঁদনই সে কাজটা হয়ে উঠবে নাষে!, ততক্ষণে ওরা মাঠে 'নারাঁবাল একটু বসবার জায়গা পেয়েছে । অভ্যাস মত রুমাল পেতে ছোলাভাজাগুলো ঢেলে 'দিয়ে নিজেই সবার্রে কয়েকটা দানা মুখে পরে বিমল বললে, “তোমার সঙ্গে এই ব্যাপারেই একটু পরামর্শ করতে চাই পার্ণমা- পর্ণমা কয়েকটা ছোলাভাজা মুখে তুলতে যাচ্ছিল । কথাটা কানে ষেতেই যেন কেমন আড়ষ্ট, কাঠ হয়ে ওর মুখের দিকে তাঁকয়ে রইল । ওর সেই আড়ঙ্টতা এবং আতঙ্ক 'িমলের চোখ এড়াল না। সেহেসে বললে, “ভয় নেই--এখনই কিছু? করছি না । কথাগুলো মন দয়ে শোন আগে, তারপর অমন ক'রে তাকও ।, পার্ণমা চোখ নামিয়ে নিয়ে ধীরে ধীরে ছোলাভাজাগুলো মহখে তুললে বটে গকন্তু কোন উত্তর গদলে না। ণিবমল বললে, 'একটা সুযোগ পাচ্ছি। 'ীনীখল বলে আমার ষে ছান্রাট আছে, তার বাবা সত্যশরণ বাবু ওদের দেশের ইস্কুলের সেক্রেটারী । ওর কাছে একদিন কথায় কথায় বলে ফেলোছলম ষে যাঁদ মাথার ওপর এতগুলো দায়িত্ব না থাকত, তাহলে আম সব ছেড়েছে দিয়ে কোন পাড়াগাঁয়ে গয়ে মাঙ্টারী করতুম।-..উান হঠাৎ পরশহ দিন একটা অফার দিয়েছেন । ও দের ইচ্কুলের এখন যান হেডমাদ্টার আছেন- আর বছর খানেকের মধ্যেই তান শ্রটায়ার করবেন ! সে চাকাঁরটা উন আমাকে 'দিতে চান। বলেন, আমরা ত দেশের কোন কাজেই লাগল্‌ম না--আপাঁন যদি যান তবু হয়ত কয়েকটা ছেলে ১৪৭ মান্দষ হতে পারবে 1” পার্ণমা অনেকক্ষণ পরে ধীরে ধীরে বললে, 'শুনোৌছ আজকাল নাকি বি-টি ছাড়া হেডমান্টার করার নিয়ম নেই !, “একেবারেই ষে নেই তানয়। সেটা সত্যশরণ বাবুই ফি ক'রে দেনেন বলেছেন, ও*রাই ওয়ারধা দ্রোনংটা নেবার ব্যবস্থা করবেন ।, আরও কিছুক্ষণ চুপ ক'রে রইল পণার্ণমা । তারপর বললে, শকল্তু আপনার ফ্যামিলি ? “সেদিকটায় একটু সুরাহা হয়েছে বলেই ত এ সব কথা ভাবতে পারাছ। কনু এবারই পরীক্ষা দেবে, আর আমার বিশ্বাস ভাল ভাবেই পাস করবে। মাঁণ ওর জন্যে কাজ ঠিক ক'রে রেখেছে । আযাঢেই ওদের বিয়ে হয়ে যাবে । ওধারে মাঁণর লায়াবাঁলাটও কমে আসছে । ওর বড় ভাগ্‌নোট একটা আঁফসে ঢুকেছে, বছরখানেক পরেই সে আলাদা বাসা করতে পারবে । মাঁণ বলেছে যে এ বাসাটাই ওদের ছেড়ে দিয়ে মাঁণ সহরতলাঁতে কোথাও গিয়ে থাকবে । তা হলে অন্তত অশান্তির ভয় থাকবে না। কনর মাইনেটা ভাগ্নের সংসারে কনা প্রীবউট করলেই ওরা মাঁণর মা-বাবার ভারও গিনিতে পারবে । মন: বিয়ে করবে না--তবে সে-ও-আসছে বছর পরাক্ষা 'দতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। লতুকে পুলক পড়াচ্ছে, মনে হয় লতুও অন্তত স্কুল-ফাইন্যালটা দিতে পারবে ।৮... মঙ্জমান ব্যান্ত তৃণখন্ড দেখলে আঁকড়ে ধরে--পাঁর্ণমা ক্ষীণকন্ঠে বললে, “তুর বিয়েও ত দিতে হবে !, এবার বিমলের চুপ করে থাকার পালা । খানিকক্ষণ 'নঃশব্দে বসে বসে কয়েকটা ছোলাভাজা নিয়ে নাড়াচাড়া করার পর একটু অগ্রাতভ ভাবে হেসে বললে, “আমরা সবাই স্বার্থপর--সুযোগ সাবধা পেলেই আমাদের আসল চেহারাটা বোরয়ে পড়ে । মুখে যতই পুলককে বাঁল যে আমার কাছে তার কৃতজ্ঞ থাকার কোন কারণ নেই--িন্তু এর ভিতরই একাদন তার কৃতজ্ঞতার মূল্য চেয়ে বসোছ।". সমস্ত লাজ লঙ্জার মাথা থেয়ে সোঁদন তাকে স্পম্টই জিজ্ঞাসা ক'রে বসলাম, যাঁদ তার বাবার কাছে তার সঙ্গে লতুর বিয়ের কথা পাঁড় ত তার আপাতত আছে কিনা ?'**আঁভলাষবাবু পুলকের জন্য মেয়ে খুঁজছেন সেটা শুনেই অবশ্য-। ওস্রা, ঠিক যাকে আমাদের পাল-ঁট ঘর বলে, তা নন। তবে আভলাষবাবু মানুষটা মোটের ওপর ভালই-_ আধানক দৃক্টিও আছে অনেকটা, হয় ত রাজণীও করাতে পারব । পুলকের ওপর খুব আঁবচার না হয়--মনে এ কথাটাও 'ছিল বৌক। কারণ পুলক সাত্যই রূপবান, আর লতু-_খুব বোঁশ হয় ত চলনসই । ওর মনটা জেনেই কথা পাড়ব ভেবোছলাম --ফিন্তু সে দায় থেকেও পুলক আমাকে অব্যাহত 'দিলে। প্রণাম করে বললে, দাদা আপাঁন চিরদনের মত সাঁত্যকার়ের দাদা হবেন আমার, এর চেয়ে আনন্দের কথা আর কিচ্ছু নেই। আপাঁন স্বচ্ছন্দে বাবার কাছে কথা পাড়ুন, তাঁকে রাজ? করানর চেয়ে মাকে রাজী করানই কাঠন কাজ-_সে ভারটা আমি ধরং নিজেই 'নাঁচ্ছ!, ১৪৮ আবারও একট. অপ্রস্তুত ভাবে হাসল বিমল। তারপর বললে, 'অমলের ভারও পুলক দিতে চেয়োছল, তবে তার দরকার হয় নি!" এখন দেখাঁছ আ'মই খণাী হয়ে পড়লাম ওর কাছে ।” কোন্‌ দূর থেকে যেন প্ার্ণমা বলে, “আপাঁন আভলাষবাবুর কাছে কথাটা পেড়োছিলেন ? না। এখনও ঠিক পাড়া হয় গন! তবে সেটা খুব কাঁঠন হবে ব'লে মনে হচ্ছে না। এর ভেতরই পুলক তার মাকে অনেকটা রাজী করে এনেছে ।"*" তাই মনে হচ্ছে যে বছরখানেকের ভেতর আম অনেকটা হালকা হ'তে পারব- অতটা দাঁয়ত্ব আর থাকবে না। এদের ব্যবস্থা হয়ে গেলে- মা-বাবা আমার কাছে গিয়ে থাকতে পারবেন । আর যাঁদ মনু পাস করে এবং কাজ-কর্ম একটা পায়--ত সেও থাকতে পারে গুদের 'নয়ে |” ইতিমধ্যে ওদের পাঁরাচিত চা-ওয়ালা এসে গিয়োছল । সে দু” ভাঁড় চা ?দয়ে একটু গঞ্প করে চলে গেল। আবারও এদের মধ্যে নামল একটা কম্টকর নীরবতা । দুরে দুি-তিনাট ছোকরা বসে ছিল। তাদের মধ্যে একজন একটা আধুনিক গান ধরেছে । বড় রান্তা থেকে ভেসে আসছে বহু মোটরের হন" আর চলাঁত বাসের আওয়াজ । কোলাহলের শেষ নেই-_-তবু এই দি প্রাণীর কাছে ওদের এই বাক্যহীন নিম্তত্খতা ষেন দুঃসহ হয়ে উঠছে। একট পরে, নিজের অসাড় মনটাকে যেন চাবুক মেরেই সাক্রয় ক'রে তুলল পুণিমা। সে ঘরের ওপর থেকে িমলের রুমালখানা তুলে নয়ে ঝেড়ে পাট করে ওর 'দকে বাঁড়য়ে দিয়ে বললে, শনন এটা পকেটে পুরূন। এবার উঠতে হবে !, আর ঠিক সেই মৃহূর্তেই অকস্মাৎ িবামল এক কাণ্ড ক'রে বসল। হয়ত সে এতক্ষণ ধরে এই কাণ্ডটাই করতে চাইছিল, মনে মনে এই কথা” গুলোরই 'রিহাসাল 'দাঁচ্ছল--ভরসা বা সাহসের অভাবেই এতক্ষণ তার এই নীরবতা ; হয়ত পাার্ণমার শেষের কথাগুলোতে--আজকের এই নিজন অবসরের এখনই পাঁরসমাপ্ত ঘটবে, এমন সুযোগ আর হয়ত মিলবে না-এই সম্ভাবনার সচেতনতাই তাকে মারিয়া ক'রে তুলল শেষ পর্যন্ত-- রুমালসদ্ধ পার্খমার ডান হাতখানা নিজের দু'হাতের মধ্যে ধরে ফেলে, মাথাটা একটু নামিয়ে কেমন একরকম চুপি চুপি বললে, “একা একা এ জাবনে দাঁড়য়ে লড়াই করা ঝা এগয়ে যাওয়া--দৃই-ই বড় কষ্টকর পাীর্ণমা । জীবনে সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা ভাগ ক'রে নেওয়ার একটা সাথী দরকার--পুরষেরও, মেয়েরও ।.-তুঁম, তুমি আমাকে বিয়ে করবে ৮ সন্ধ্যা নেমে এসেছে মাঠে । একট? একট ক'রে সেই অবারিত মাঠেও ঘানয়ে আসছে অন্ধকার । তবু পাশ্চম আকাশের রন্তাভা একেবারে বিদায় নেয় নি তখনও--কাছের 'জানস তখনও নজরে পড়ে । বিমল কথাগুলো বলবার সময় পাঁপমার মুখের দিকে তাকাতে পারে নি, ৯৪৯ মাটির দিকে চোখ রেখেই বলোছল । এখন--কথা শেষ হ'তে ওর হাতখানায় অস্বাভাবিক একটা কম্পন অনুভব ক'রেই চোখ তুলে তাকাতে নজরে পড়ল-- পার্ণমার সমন্ত মুখ যেন এই এক নিমেষেই রন্তহীন বিবর্ণ হয়ে উঠেছে ; তার দৃ্টিতেও কেমন একরকম প্রাণহীন িহবলতা | সে চেয়ে আছে িমলের মুখের দকেই--িল্তু তাতে না আছে পরিচয়ের নিশ্চয়তা আর না আছে এতটুকু অনুভ্তির চিহ্ন! অনেকক্ষণ- বোধহয় এক 'মাঁনটকাল বিমল 'বাঁস্মত, কিছুটা ডীদ্বদ্ন হয়ে চেয়ে রইল ওর সেই প্রায়-মৃত্যুপাণ্ডুর মুখের দিকে- তারপর তখনও-মৃঠোর- মধ্যে-ধরা হাতথানায় একট: চাপ 'দিয়ে মৃদুকণ্ঠে ডাকল, “পীর্ণমা !) আহ্বানের যেন একটা মমান্তিক আঘাতেই চমকে কেপে জেগে উঠল পৃর্ণমা। তারপর অকস্মাৎ_ব্যাপারটা কী ঘটে গেল ধিমল তা বোববার আগেই- প্রবল কান্নায় ভেঙে পড়ল সে।""*সামান্য নয়--আকুল, বুক ফাট। কান্না। যেন বহু দিনের বহু হতাশা একসঙ্গে বোরয়ে আসতে চাইছে ওর অন্তর ভেঙ্গে, বুকের প্রাচীর বিদীর্ণ ক'রে । কান্নার আবেগে সে এক সময় সেই মাঠের ওপরই লিয়ে পড়ল |... আর যাই হোক্‌--এতটার জন্য প্রস্তুত ছিল না বিমল ! সে ঠিক বুঝতেও পারল না এর কারণ ।**" বিষম ব্যন্ত হয়ে উঠল সে। ভাগো আশেন্পাশে তেমন লোকজন নেই । কিন্তু এখনও অন্ধকার হয় ি--বহু লোকই মাঠে বেড়াচ্ছে, কৈউ এঁদকে এসে পড়তে কতক্ষণ ? সে ওকে প্রকাতিষ্ছ করার জন্য বার বার উদ্বি্ন কণ্ঠে ডাকতে লাগল “প্যার্ণমা, পার্ণমা--ওঠ । লক্ষীট অমন ক'রো না।***কেউ এসে পড়লে_ লক্ষনীট-_প্ার্ণমা-_, সম্ভবত সে ডাক তার কানে পৌঁছল না-_ নিজের আবেগ তার সমস্ত ইন্দ্িয়কেই তখন অবশ করে 'দয়েছে__অথবা কানে পৌছলেও 'নিজেকে সামলে নেবার শান্ত ছিল না, সে তেমনই আকুল হয়ে কাঁদতে লাগল । যতটা সম্ভৰ [নিঃশব্দেই কাঁদছিল সে-_কিন্তু তার আবেগের 'বিপৃলতা বোঝা বাঁচ্ছল ণবমলের সামনে উপহড় হয়ে পড়া পিঠটা এবং কাঁধ দুটোর ফুলে-ফুলে ওঠা থেকেই-_ আরও একট: ইতম্ভত ক'রে বিমল তার মাথাটায় হাঞ্ঠাঁদয়ে একরকম জোর ক'রেই তুলে ধরল । ধুলো, ঘাসের কুচ, শুকনো ফুটে চোখের জলের সঙ্গে মাখামাখ হয়ে মুখখানার অবস্থা বংপরোনাস্তি করুণ ছয়ে উঠেছে, সৌঁদকে চেয়ে ক্ষণকালের জন্য বিমলেরও চোখ ঝাপসা হয়ে এল অকারণেই । 'কল্তু সেও জোর ক'রে 'নজেকে শাসন করলে । তার রুমলখানা তখনও পূর্ণিমার হাতেই ধরা ছিল, সেইটেই টেনে দিয়ে অপটু হাতে ওর মুখটা মুছিয়ে দিতে দিতে বললে, 'পৃণিমা, শান্ত হও, এমন হবে জানলে-। ছি ছি, কা হয়েছে বলো ত! কেউ দেখলে কি মনে করবে । একটু সামলে নাও নিজেকে ।' বাহঃপ্রকাশেই বেদনার প্রচণ্ডতা কমে। হয় ত সব হাদয়াবেগেরই এই নিয়ম। ৯৬9 এতক্ষণের এই বিপুল অশ্রুুবিসজরনে পার্ণমারও বেদনা অনেকটা কমে এসোছল। এইবার সে প্রাণপণ চেষ্টায় নিজেকে একটু সামলে নিলে । যাঁদও কান্নার বেগ একেবারে দমন করা সম্ভব হ'ল না, বরং 'নরুষ্থ রোদনে তার সমস্ত দেহটা আরও বেশী করে কেপে কেপে উঠতে লাগল--তব্‌ সে মুখ থেকে কাদা-ধুলোর দাগ ভাল ক'রে মুছে ফেলে অনেকটা ভদ্র হ'ল। আন্দাজে আন্দাজে চুলগুলোও যথাসম্ভব ঠিক ক'রে নিলে । ণাবমল তাকে একট: অবসর 'দয়ে আস্তে আস্তে বললে, “আমাকে মাপ কর। আমি এতখাঁনি কোন বেদনার জায়গায় আঘাত 'দিয়ে ফেলব বুঝলে কখনই কথাটা তুলতুম না। আমারই অন্যায় হয়েছে । হয়ত একট; বেশী স্বাধীনতা নিয়ে ফেলোছ, কেবলই 'নজের দক থেকে সবটা ভেবেছি । 'নজের মৃজ্যও বেশী ক'রে ধরোছ হয় ত। যাই হোক--তুঁম শান্ত হও পাার্ণমা । এমন ধৃন্টতা আর কখনও হবে না--, অসহায়, ব্যাকুলভাবে ওর 'দকে একবার তাকাল প্যার্ণমা | ঝাপসা আলোতে সেটা ঠিক নজরে না এলেও সে ওর হাত-দুটো নিজের থর-থর-কম্পিত হাতে চেপে ধরতে ভুল বোঝার আর কোন সম্ভাবনাই রইল না। আকুল, অশ্রীবকৃত- কন্ঠে পার্ণমা বললে, “কেন 'মাছামাছ এসব কথা বলে আমাকে আরও দুঃখ দচ্ছেন! "*আপাঁন কি ছুই বুঝতে পারেন না**আম যে-আ'ম যে আপনার বদলে ঈ*বরকেও পেতে রাজ নই |... আপাঁন আমাকে যে অনগ্রহ করেছেন_-তাতে আম এই মুহূর্তে মরে গেলেও সুখে মরতে পারতুম। *** কিন্তু আমি যে কাঁ অসহায় তা আপাঁন জানেন না! * বন্ধ রুগ্ন বাপ মা, নাবালক ছোট বোন -আমার যে হাত-পা আম্টে-পৃচ্ঠে বাঁধা । সৌভাগ্য যেচে এলেও যে নিতে পারে না--তার মত দুভগ্যি আর কেউ নেই ! কেউ নেই ! আবারও উচ্ছ্বাসত কান্বায় কণ্ঠ ব্‌জে এল পযীর্ণমার, সারা দেহ কান্না চাপবার প্রাণপণ চেষ্টায় কেমন একরকম বে:কে বে*কে উঠতে লাগল 'কল্তু এবার আর সে ভেঙে পড়ল না। ' বরং কোনমতে উঠে দাঁড়য়ে, কোন রকম বিদায় সম্ভাষণ মান্র না ক'রে আঁভভ্‌ত স্তাম্ভত 'বিমলকে একাঁটও কথা কইবার অবকাশ না 'দিয়েই--একরকম ছুটে চলে গেল সে। মাঠ পৌরয়ে জনবহৃল রাজপথের দিকে, সেই জমাট-হয়ে-আসা অন্ধকার থেকে উদ্জ্ল আলোকসঞ্জার দিকে, ষেন প্রাণপণেই ছটটতে লাগল সে । শুধু হুলোকের মধ্যে এসে প্রকাতিস্থ হওয়ার জন্যই নয়-দুভগ্যিকে পেছনে ফেলে আসার একটা আম্বাসও যেন তাকে এই দবর্নবার আকর্ষণে ছয়ে নিয়ে গেল ! ॥ ২৫ ॥ পৃর্ণিমা চলে যাওয়ার পরও বিমল বহুক্ষণ সেখানেই অনড় হয়ে বসে রইল । ওর সমস্ত মনের বল--এবং খাঁনকটা দেহের শীস্তও--যেন হরণ ক'রে নিয়ে গেছে এ মেয়োট--যাকে কিছুদিন আগেও করুণার চোখে দেখত সে। বাস্তাঁবক সেষে ঠিক এতটা ভরসা করোছিল পার্ণমার ওপর, তা এই ৪৫৯ প্রস্তাবটা করার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত কঙ্পনাও করে ীন। অথচ এই মুহূর্তে গানজেকে একেবারেই অসহায় 'র্রন্ত মনে হচ্ছে । বতখান উদ্যম, যতখান উৎসাহ নিয়ে এই ক-দন ভবিষ্যতের কর্মজীবন সে কল্পনা করেছিল--তার যেন গকছুই আর অবাঁশভ্ট নেই। এই বিপুল ভার কি সে পারবে একেবারে একাকণ বহন করতে ? অবশ্য ঠিক নিজের কথাই সে ভাবাঁছল এটা বললেও বিলের ওপর একটু আঁবচার করা হয় ।"*'পার্ণমার অসহায় অবস্থাটাও একটা বন্্ণাদায়ক কাঁটার মত তার বুকের মধ্যে িধে খচ-খচ করছে । রূপকথার রাজকন্যার মতই পৃর্ণমা ষেন কোন দৈত্য অথবা রক্ষপুরীতে বন্দিন--সাহায্যের জন্য তারই মুখ চেয়ে আছে । অথচ তারও যে িকছুই করবার নেই এক্ষেত্রে। সেও একান্ত অসমর্থ--নিম্ন মধ্যাবত্তের সংসারে বাঁধা, ানজের দুভারগ্যের বাইরে আর কোন দিকে তাকাবার তার আঁধকার কোথায় ঃ অপর কারুর দুঃখ- দুর্দশার কথা ভাবতে যাওয়াই যে তার পক্ষে হাসাকর বাতুলতা ।*""না কোথাও কোন উপায় নেই। শুধু শুধু প্রাতকারহশীন ক্ষোভে ক্ষত-বিক্ষত হওয়াই সার ] ৭৫৬ অনেকক্ষণ সেইভাবে কাটল বিমলের--এলোমেলো চিন্তার গহন গভনরে ডুব 'দিয়ে। নজন অন্ধকার মাঠ, িকল্তু গিছক্ষণ আগেও এখানে পাাঁণমা ছিল-_-তার উপাস্থাঁত যেন এখনও একটা মৃদগন্ধে তাকে ঘিরে আছে, হাত বাড়ালেই তার স্পর্শও সে অনুভব করতে পারবে সামনের ঘাসে । এখনও ওধারের খানিকটা অংশ হয়ত তার অশ্রুতে ভিজে । তাই এই চিন্তাগুলো বেদনাদায়ক হলেও সে চিন্তাবলাস ছেড়ে ওখান থেকে তার উঠতেও ঠিক ইচ্ছে করাছল না। গকল্তু উঠতেই হ'ল শেষ পযন্ত । একটা লোক কোথা থেকে এসে ধপাস্‌ ক'রে বসে পড়ল পাশে। “দেশলাই আছে দাদা--একটা জবালহন ত, কী একটা কুঁড়য়ে পেলৃম-_ দোখ! অন্ধকার মাঠের অন্ধকার কাঁহনী, অনেক শুনেছে বিমল । সে একট; ব্রস্ত হয়েই উঠে দাড়াল। সংক্ষেপে না” ব'লে দ্রুত এগয়ে চলল এসস্লানেডের বদকে। . তাকেও ঠকাতে আসে লোক, আশ্চষ” ! অথবা তাদের মত লোককেই ঠকানো সহজ । যে ডুবছে সে-ই নাঁক কুটো আঁকড়ে ধরে, বিচার-বিবেচনার সময় পায় না। পড়াতে যাওয়ার মত তখন মনের অবস্থা নয় বিমলের, রাতও অনেক হয়ে গেছে। সুতরাং 'সে-চেজ্টাও সে করলে ন।। লক্ষ্যহীন ভাবে চৌরঙ্গীর ফুটপাথটা ধরে হাঁটিতে লাগল, হাঁটিতেও যে খুব ভাল লাগছে তা নয়--ফিম্তু বাঁড় ফেরাও এখন অসম্ভব ! ১৫২ পবমলবাব 1” হঠাৎ পাঁরচিত-কণ্ঠের ডাকে তার চমক ভাঙল একসময় । বহুদূর এসে পড়েছে সে, পাকস্ট্রীটের মধ্যে এসে ঢুকেছে কখন । একটু 'বাস্মত হয়ে চাঁরাঁদকে তাকাতে নঙ্জরে পড়ল--পিছনে নয়, বহুদূরেও নয়, ঠিক তার সামনেই দাঁড়য়ে হাসছে জয়ন্ত । হাসছে, তবে বড় ম্লান সে হাস। “আরে, আপাঁন ! নমস্কার নমস্কার !, “তবু ভাল, আমাকে চিনতে পারলেন শেষ পর্যন্ত । কখন থেকে ত চেয়ে আছেন--আমাকে ক দেখতে পান নি ? 'সাত্যই পাই নি। মাফ করবেন । আপনাকে এমন উদত্রান্ত দেখাচ্ছে কেন বলুনত ? খুবই ক্লান্ত দেখাচ্ছে । চলুন এ রেস্তোরাঁটাতে বসে একট কাঁফ খাওয়া যাক: ।; “চলুন।” বিমল খাঁনকটা আনচ্ছাতেও রাজী হয়ে গেল। সাঁতাই বড় ক্লান্তি বোধ হচ্ছিল তার। রেস্তোরাঁতে ঢুকে একটা কোণ বেছে 'িয়ে বসল জয়ন্তী । এই রেস্তোরাঁতেই আরও একাদন এসোৌছল বিমল । সেআর পাঁঁমা। প্াঁ্ণমা-_ মল জোর ক'রে জয়ন্তশর দিকে মনটা 'ফাঁরয়ে আনল । লক্ষেনীয়ের চিকন-কাজ-করা শাদা শাড়ি এবং বহুমূল্য প্রসাধনে আজও তাকে দেখাচ্ছে একাঁট সুন্দর ফুলের মতই । পকন্তু ঠিক সদ্য-প্রস্ফাটত ফুল নয়। অনেক দন আগে পলক কোথা থেকে একটা বড় ম্যাগনোলিয়া ফুল এনে 'দিয়োছিল, সেটা একটা ফুলদানীতে রাখা ছিল তার ঘরে-_-কয়েকাঁদনই । অনেকাঁদন 'ছিল সেটা, কিন্তু একাঁদন পরেই ওপরের পাপাঁড়টা একটু খসখসে হয়ে গিয়ে ফুলটা কেমন যেন মুষড়ে পড়োছিল। আজ জয়ম্তীকে দেখে শবমলের সেই ম্যাগ্‌নোঁলয়া ফুলটার কথাই মনে পড়ল । “তারপর, আপনার বিজনেস কতদূর ? কীষেন ছাঁব তুলাছিলেন_ বৌরয়েছে সে ছাব? কেমন চলল ? কফির পেয়ালাটাতে চামচ নাড়তে নাড়তে মাথা নত ক'রে জয়ন্ত বললে, ঠাট্টা করছেন বুঝ ? ঠাট্টা! অগপ্রাতভ হয়ে উঠল বিমল, “সাত্যই, বিশ্বাস করুন, আম সহজ- ভাবে প্রশ্নটা করোছ। আম ও জগতের কোন খবরই রাখ না জানেন ত-- গনজের সংসার এবং জীবন নিয়েই বিব্রত !***কেন, সে ছবিতে লাভ হয় নি ?, “সে ছবি শেষ হ'ল কোথায় 2." ব্যাপারটা ভাল ক'রে না বুঝেই বাঁপ 'দয়ে পড়োছলুম, সামানা পুীজ তাঁলয়ে গেল, কছুই হ'ল না। যে লোকটি নাঁময়োছল-_সে বছু ভরসা দিয়েছিল আগে, শেষ অবাধ তার 'টিকিও দেখতে পেলম না! মিছামিছ ও”র অনেক কম্টের টাকা সবটাই নস্ট হয়ে গেল ।** অনেক ঘোরাঘীর করলুম, তাতে শুধু এ লাইনটাই বড় খারাপ ৯৫৩ 1বমলবাবু ।'”"আমি আর ও*র কাছে মুখ দেখাতে পার না।"""উাঁন অবশ্য কিছ? বলেন না-_কিন্তু ওর খুব কষ্ট হয় তা বুঝ । আরও যেন তাড়াতাঁড় বুড়ো হয়ে গেলেন এই ক-মাসে 1."*কশী যে করব ।""*আঁম অবশ্য হাল ছাড় ন, প্রাণপণে যুঝাছ।.*শকম্তু এখনও হাজারাবশেক টাকার দরকার ।:-" 1ডাস্ট্রবিউটারদের ভরসা করেছিলুম, তারা এখন নানা শর্ত 'দচ্ছে, অমুককে নামাতে হবে অমুককে চাই । অথচ আমাদের ছাঁব বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে, এখন আর কাস্ট বদলানো কি সম্ভব 2১--* আরও বহু কথা বলে গেল জয়ন্তী । কতক বিমলের কানে গেল কতক গেল না। 'ফিজ্ম জগতের আঁধকাংশ কথাই তার কাছে দ্‌বেধ্যি |." কাঁফ শেষ হ'তে জয়ন্তীই দাম চুকিয়ে দিয়ে বাইরে আসতে আসতে বললে, “এখন এমন মনের অবস্থা, একটা ভাল চাকার-বাকার পেলেও করতুম ।-*আমার ভাবষাং ভেবেই আরও যেন ও'"র পরমায়ু ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে দ্রুত । আমার একটা ব্যবস্থা হয়েছে জানলে উাঁন অত্যন্ত 'নাশ্চন্ত হতেন ।***ও*র জন্যেই এখন আমার বেশী ভাবনা ।, বলতে বলতে জয়ন্তাঁর দুই চোখ জলে ভরে এল । এই প্রথম ওর সম্বন্ধে খাঁনকটা শ্রদ্ধা বোধ করল গবমল। সহানুভাঁতর সুরে বললে, “কোন ভাল মার্চেন্ট আঁফসে চেষ্টা করে দেখুন না। আপনার ত বহুলোকের সঙ্গে জানাশুনো হয়ে গেছে ইতিমধ্যে-। সরকারী চাকাঁরর চেয়ে মাচে্ট আঁফসের কাজেই আজকাল সহীবধে বেশশ | “তাই দোখি।” .দশর্ধীনঃ*বাস ফেলে বলে জয়ন্তী, 'আসবেন না একাঁদন আমাদের ওখানে । একটা রাববার দেখেও ত এলে পারেন! আসবেন একাদন ?, কেমন যেন অনুনয়ের ভাব ওর সমস্ত ভঙ্গীতে । “দেখি--।, 'বমল সংক্ষেপে উত্তর দেয় । ॥২৬॥ এরর পর কয়েকটা দিন বিমলের কাটল যেন একটা দুঃসহ বুকচাপা স্বপ্নের মধ্য। দয়ে। এঁ একান্ত যল্ণাদ্দায়ক চিন্তাটা থেকে ম্ান্ত পাবার জন্য মন ছটফট করে--অথ্চ কোথাও কোন পথ দেখতে পায় না ম্যীস্তর। উপায়হাঁনতার পাষাণ-প্রাচীরে মাথা খুশড়ে ভেতরে ভেতরে শুধু রস্তান্ত ও ক্ষত-বক্ষত হয়। বিস্মত হয় বিমল নিজের মনোভাবেও । পূর্ণিমা ষে কবে এমন ভাবে তার কাছে অপারহার্য হয়ে উঠেছিল তা সে একটুও টের পায় ন। অথচ আজ জীবন-পথে তারই অভাবের সম্ভাবনায় নিজেকে একান্ত অসহায় ও নিঃস্ব মনে হচ্ছে। ৯১৫৪ [বশেষ ক'রে সে দিন--ওদের সেই স্মরণীয় সন্ধ্যার পরের 'দিনে যে কাঁটা িমলের বুকে ি'ধোছল--তাকে অস্বীকার করার মত একটুকু ছলনার আশ্রয়ও সে খু'জে পায় 'ন। প্ার্ণমা এসোছল দেরণ ক'রে । ট্রাম বাসের বিভ্রাটে সৌঁদনও তাকে হেটে আসতে হয়েছিল-সে কথাটা রেখার সঙ্গে পার্ণমার প্রশেনাত্তরে জানা গিয়েছিল, পরে । বিমল প্রশ্ন করে নি-কোনার্দনই করে না আজকাল-_ পযীর্শমাই অন্যাদন নিজে থেকে এসে বলে গকন্তু সৌঁদন বোধ হয় তার সঙ্গে কথা কইবার মত মানাঁসক শান্ত ছিল না ওর। বহুক্ষণ সময় লেগোছল পার্ণমার-- সহজ হয়ে কথাবাতাঁ বলতে । এমন কি আঁফসের কাজের প্রসঙ্গ তুলে সহজ হবার সৃযোগটাও সে 'নতে পারে 'ন অনেকক্ষণ । হ্যাঁ_এাঁড়য়েই গেছে সে বিমলকে । আর সেইটেই হয়ত স্বাভাবক । কিন্তু সে মুখ তুলে না চাইলেও বমল ওর দিকে চেয়ে দেখোঁছল বৈকি। এমন 'ববর্ণ যে মানৃষের মুখ হয়-তা বমল আজ ওকে না দেখলে কোনাঁদন কঙ্পনাও করতে পারত না। এতদূর হে*টে আসার পাঁরশ্রম তাকে ক্লান্ত ও স্বেদাসন্ত করলেও এতটুকু আরন্ত করতে পারে 'ন! তার মুখের সেই একান্ত রন্তশূন্যাতা--তার বসে পড়বার অবসন্ন ভঙ্গী এবং সমস্ত কথাবাতাঁর মধ্যে একটা বিষপ্ন হর্তাশার সুর--এক কথায় ওর উপাঁস্থাতটাই যেন চাবুকের মত তার মনে গিয়ে লেগোছল। সোদনকার সেই অব্যন্ত যন্ত্রণা সহজে ভোলবার নয় । তারপর এই ক-দিন অহরহ ভেবেছে সে । নিিজনরান হার ০ িন্তু হারও মানে দি । একটা কথা মনে মনে এই কাঁদনে 'নাশ্চত বুঝতে পেরেছিল- পাার্ণমাকে এখান আঘাত 'দয়ে সে চলে যেতে পারবে না। কোন আদর্শের জন্যই নয় । কারণ তা'হলে যে শ্‌ন্য অন্তর 'নয়ে তাকে যেতে হবে, আর যাই হোক তা 'দিয়ে তার সংকাঁঞ্পত কাজ সসম্পূর্ণ হবার সম্ভাবনা থাকবে না কোনাদনই-_ 1বমল পেশছবার অনেক আগেই খবরটা পেশীছে গিয়েছিল । দসাধারপত্ জাঁফসে আসবার সময় সে ট্রামে-বাসে চড়ে না--সৌঁদন দোঁর হয়ে গেছে বলেই বাস ধরবার চেষ্টা করতে গিয়ে আরও খানিকটা দের হয়ে গেল__আঁফসে পেশীছল আঁফস বসবার ছাঁকা কুঁড়াঁট 'মানট পরে । আঁফস--বিশেষ ক'রে তার দেকশনাঁটি তখন তারই আলোচনায় মুখর । সে ঘরে ঢোকবার সঙ্গে সঙ্গে যেন হৈ-চৈটা আরও বেড়ে গেল, বাদল এগিয়ে এসে তার পিঠে প্রচণ্ড একটা চাপড় মেরে বললে, “ওসব শহনাঁছ না দাদা-_মোটামটি ছাড়তে হবে । বেশণ নয়, গোটা পণ্জাশ হ'লেই এই কটা লোকের একরকম চলে যাবে!? সুখবর ত বটেই--এবং কশ সুখবর তাও আন্দাজ করতে অসুবিধে হ'ল না। তবু বিমল মুখে বিস্ময় প্রকাশ ক'রে বললে, শকল্তু হয়েছে-টা কি £ ১৪৬ তোমাদের এই ক'টা লোকের জন্যে সামান্য পন্ঠাশাঁট টাকা জোগাড় করার কী এমন অকেসন ঘটল ? “আহা । িকছুই যেন জানেন না!) সুশান্ত বলে উঠল ওঁদক থেকে । বাদল বললে, “তা নাও জানতে পারে অবশ্য । এই ত এল । পাসের খবর এসেছে-্পাস করেছ বুঝলে ?, “ও, এই ।, তাচ্ছিল্যের সুরে বললে বিমল । “এই মানে কি 2 কটা লোক এক চান:সৃ-এ এ পরীক্ষায় পাস করতে পারে তাই শন? এখনই ত একটা ইনশুক্রমেন্ট বাঁধা-_তারপর অদূর ভাঁবষ্যতে আমাদের বড় সাহেব ।'""সরকার সালাম !১ আভাবামনত হয়ে সেলাম করবার একটা ভঙ্গ করে বাদল । “থাম-থাম্‌। বখাম কারস নন! হাঁস হাঁস মুখে উত্তর দেয় বমল ! “নানা । ডীঁড়য়ে লে চলবে না। সামনের শাঁনবারেই ভোজটা লাগানো হবে। মেনৃও তৈরী । এখন টাকাটা কবে ছাড়বে বল- “হচ্ছে হচ্ছে ।, বিমল এাগয়ে যায় তার সশটের দিকে । আসলে তার দৃষ্টি তখন খু'জছিল একটি ?াবশেষ লোককে 1.*এ সংবাদে যার সবচেয়ে উল্লামত হবার কথা--সে কৈ 2 পার্ণমার সাঁট খালি। এখনও আসে 'ন পঠীর্ণমা ! পশচশ 1মানিট হয়ে গেছে! অস্বাভাঁবক দোর এটা-_ওর পক্ষে ! সে সাধারণত যা করে না তা-ই করে বসল। রেখাকে প্রশন করল; “প্ীর্ণমা এখনও আসে নি আজ ? কী হ'ল তার? “কে জানে!” কুট ক'রে কামড় দেয় রেখা, আপনার সঙ্গেই ত তার মেলামেশা বেশী । তার লেটেস্ট খবর আপনারই ত জানবার কথা !, মুখ টিপে হাসে একটু সে--কথাটা শেষ ক'রে । যতই সতক” থাক ওরা-_ওদের ঘাঁনষ্ঠতাটা সহকমীরদের চোখ এড়ানোর কথা নয়! 'নিজের নিব্ীদ্ধতায় গনজেই বিরন্ত হয়ে ওঠে বমল। তবে আর কথাও বাড়ায় না। গম্ভীর মুখে একটা ফাইল টেনে নেয় ।-. খবরটা পাওয়া গেল দুটোরও পর । কে একজন অন্য সেকশন থেকে এসে খবরটা 'দিলে, “শুনেছেন বিমলবাব্‌, আপনাদের সেকশনের পার্ণমা রায়ের খবর ? বুকের মধ্যেটায় ধক ক'রে উঠল বিমলের ! মুখটা 'ানমেষে বিবর্ণ হয়ে গেল। দৈনাত! কীখবর? কোনমতে ঢোঁক গলে প্রশন করে সে। ভয় নেই-_এমন কিছ: নয় ৷ জহর ।**তাই নিয়েই নাকি আঁফসে আসাঁছল, পথের ধারে মাথা ঘুরে বসে পড়ে । দৈবক্রমে সেটা ওদের পাড়ার মধ্যেই-- আর গুদের যিনি দেখেন সেই ডান্তারও সেখান দিয়ে যাঁচ্ছলেন। 'তাঁনই এগকে গাঁড়তে করে তৃলে নিয়ে বাড়ীতে পেশছে দিয়েছেন 1, ৯৬৪ “কে- কে বললে ?--মানে খবর দিলে 2 আঁতিকন্টে কণ্ঠস্বর এবং ঠোঁট দুটোকে আয়তে এনে প্রশ্ন করলে 'বমল। “সেই ডান্তার বাবুটিই এইমান্র ফোন করোছলেন। খুবই সাধারণ ঘটনা । এমন কোন ভারশ অসুখ কিছু নয় । সামান্য জবর--তার জন্যই একটু দুবলতা । কিন্তু তবু 'িবমল সারাক্ষণই কেমন একটা অস্বান্ভ বোধ করতে লাগল । বার বার জোর করে কাজে মন বসাতে গেল-_বার বারই মন সেখান থেকে সরে এল । টাকা-আনা-পাইয়ের শহন্ক নশরস হিসেব এবং [িসেব-পরাক্ষকের কঠিন বস্তু-তান্িক নোট্‌-এর মধ্যে বার বারই জেগে উঠতে লাগল 'নিরতিশয় ক্লান্ত এবং রন্তহীন একখানা মুখ ! কাজে ভুল হয়ে যেতে লাগল বার বার; ফাইলগুলো কাটাকু'টিতে অপারচ্কার হয়ে উঠল। শেষে বিরন্ত হয়ে উঠে গগয়ে বিমল মাথায় মুখে জল 'দয়ে এল । রেখা আবারও একটা কামড় দিলে, মুচকশ হেসে বললে, শবমলবাবুর আজ হ'ল কি, কাজে যে মনই বসছে না ।**"আপনারও কি শরীর খারাপ হ'ল না ক ?.."বরং সকাল ক'রে বাড়ী চলে যান !, ইণঙ্গতটা স্পম্ট। আগে হ'লে বিমলও কড়া জবাব 'দিত। হয়ত সাঁত্যই উঠে চলে যেত। কিন্তু মনের মধ্যে সাত্য-সাঁত্যিই কোথায় একটা অপরাধীর ভাব, একটা সঙ্চকোচ অনুভব করাছল-_সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সে বিরন্ত ভাষে ভ্রু কুণ্ণিত করলে একবার-_কিল্তু কোন জবাবই 'দতে পারলে না ।.""আর কতকটা সেই জন্যেই--পাঁচটার পরও আধ ঘণ্টা পর্যন্ত বসে ফাইলগুলো নিয়ে অকারণেই নাড়াচাড়া করলে । এট্য রেখার কাছে একটা শোচনীয় পরাজয়ই বলতে হবে--তার পক্ষে অন্তত--কন্তু, সেই একান্ত- রন্তহীন, ক্লান্ত, স্বেদাসন্ত একাঁট মুখের সকরুণ অবসন্নতার জন্য মনে মনে ধিনজেকে সাঁত্যই অপরাধী বোধ করাঁছল । রেখার বিদ্রুপকে অবহেলা করার মত মনের জোর ওর আর ছল না। আঁফস থেকে বোঁরয়ে অনেকক্ষণ পথে পথে ঘুরল বিমল। প্যার্ণমার কাছে এখনই ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে, এটা অস্বীকার ক'রে লাভ নেই। একটা খবর নেওয়া অবশ্যই উচিত ওর ॥ একটা সাধারণ ভদ্দুতা | কর্তব্যও বটে। কিন্তু কোথা থেকে যেন রাজ্যের 'দ্বধা এবং সঙ্কোচ এসে জড়ো হচ্ছে। পযার্ণমার বাবা-মা ?কছু ভাববেন না তঃ যাঁদ তাকে আবার এর জন্য কোন বক্কোঁন্ত শুনতে হয় ?.. আঁফসে জানাজান হ'লেও একটা ঠাট্টা-তামাসার ঝড় উঠবে নিশ্চয় । নিজের জন্য কিছু ভাবে না--কিল্তু বেচারী পৃর্ণিমা--সে হয়ত 'সাছামছি কতকগুলো ব্যঙ্গ-বিদ্ুুপের লক্ষ্য হয়ে উঠবে ।*** এমান কত ফি মনে হয়। তবে খাঁনকটা পরেই একটা আত্মধিকার জাগে মনের মধ্যে । সে এত দুবল হয়ে গেছে? লোকের 'বদ্ুপের ভয়ে বিবেককে ১৫৫ শবসজন দিতে বসেছে । ছি! সে অকস্মাৎ সমস্ত জড়তা ও সঞ্চকোচ বেড়ে ফেলে এক সময় প্ার্ণমার বাড়ীর দিককার দ্রীমে চেপে বসল । এর আগে কখনও যায় নি বটে--কিন্তু ঠিকানাটা বহুবার শুনেছে ওর মুখে । একাঁদন ওদের রাষ্তার মুখ অবাঁধও পেশছে "দিয়ে গিয়েছিল । সৃতরাং বাড়ীটা খুঁজে পেতে অসুবিধা হ'ল না একটুও ।"** কড়া নাড়তেই একাট িশোরণ মেয়ে এসে দোর খুলে জিজ্ঞাস দৃম্টিতে তাঁকয়ে রইল । ভেতর থেকে-_-সম্ভবত পাার্ণমার বাবাই প্রশন করলেন; “কে রেঃ কেডাকে?, িমল সরাসার প্রন করল, “তোমার নাম মাল ত ? মাল? ঘাড় নাড়ল। “তোমার দাদ কেমন আছেন ? তাঁর খবর নিতে এসোঁছ। তাঁর আঁফসেই কাজ কার আম 1.*আমার নাম বিমল ।” মালুর মুখে পাঁরিচয়ের আভাস ফুটে উঠল । বোঝা গেল যে ওর নামটা এদের কাছে একেবারে অপাঁরাচিত নয় ! “আসুন । আসন ।-*আচ্ছা একট. দাঁড়ান । বাবাকে বলাছ।” ভেতরে শিয়ে মাল ফিস: ফিস ক'রে কী বলল । পার্ণমার বাবা হাঁপাতে হাঁপাতে উঠে এলেন, “আসুন আসুন । ' আর আমাদের ঘা অবস্থা-_-এই ধু'থানা ঘরের ভেতরই সব। এঁযে পার্ণমা ওঘরে। আসন !, বড় ঘরটাতেই বাবা ও মা*র দ*খানা চৌকি এবং হরেক রকমের আসবাব । পাশের ছোট ঘরটাতে একটা বড় তন্তপোশে এরা দুই বোন শোয় । সেটাতেও রাজোর ডেয়ো-াকনা । তারই মধ্যে থেকে একটা চেয়ার উদ্ধার ক'রে ঝেড়ে মুছে বিছানার পাশে টেনে দিয়ে মাল? বলল, “বসুন ।, দিবছানার ওপর অবসন্ন ভাবে চোখ বুজে পড়োছিল পাার্ণমা। তার সেই নোতয়ে পড়ে থাকার ভঙ্গীতে বিমলের বুকের মধ্যেটা আবারও ধ্ক্‌ ক'রে উঠল । এই ভঙ্গীটা তার বিশেষ পারচিত। বেশধ দিনের কথা নয়, কয়েকমাস আগেই সে দেখেছে । পৃর্ণমান্টার মশাই । তিনিও 'ঠিক এমান ভাবে পড়ে ছিলেন ।** পার্ণমার বাবাও ওর সঙ্গে সঙ্গে এঘরে এসে বিছানারই একপাশে বসে পড়েছিলেন । হয়ত বা উদ্বেগেই, তাঁর হাঁপানিটা আজ খুব বেড়েছে। হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, বলবেন না মশাই ।.**এই মেয়ের জন্যেই আমাদের আরও অশান্তি । বন্ড অবাধ । একশ বার বলোছ যে শরীরটা আগে । অত '্ুটোছটি পারশ্রম কারস ন। কা দরকার--যা আছে তাইতেই' চালাব। না হয় একবেলা খাবো । কিছুতেই মশাই কোন কথা শুনবে না।-''জবর হয়েছে তার ওপর বাহাদঃরী ক'রে আঁফসে যাবার কী দরকার ? এমান ত শরার তেমন মজবুত নয় ।-"*আর ওর মা-টিও হয়েছে তেমানি। কত করে বললুম 'যে মেয়েকে আফসে পাঠিও না। আমাদের বংশে কেউ কখনও মেয়ে পাঠায় ৯৫৮ শন রোজগার করতে ।-তা নয়-করক চাকরী । চার হাতে খাবেন মেয়ের রোজগারে ।...খাও এখন কত খাবে ।**মেয়েকে না খেলে গর শান্তি হবে না!” এক 'নঃশ্বাসে এতগুল কথা বলে সাঁই-সাঁই ক'রে হাঁপাতে লাগলেন। এই ফাঁকে মালুর 'দকে চেয়ে বিমল অনেকগুলি প্রশন করল, এখন কেমন আছে ১ অমন ভাবে মাথা ঘরে উঠল কেন? ডান্তার কী বললেন ?” এই পাঁরবেশের মধ্যে বাইরের লোককে এনে বসানোর লঙ্জাতেই মালু রাঙা হয়ে উঠোঁছল, বাপের কাণ্ডকারখানায় সে রীতিমত ঘেমে উঠল। ঘাড় হেস্ট ক'রে পরর্ণমার 'শিয়রের কাছে দাঁড়িয়ে ছল এতক্ষণ, এখনও মুখ না তুলেই জবাব "দল, “ডান্তারবাবু বলেছেন আঁতারম্ত 5:11805610-এই নাকি এমনটা হয়েছে। জবরটা কোন চিন্তার কারণ নয়। শরীরটাই নাকি আঁতীরন্ত দুর্বল। র্তশুন্য হয়ে পড়েছে খুব ।""*ইদানীং মাসকতক ধরেই ধদাদভাই বন্ড অবহেলা করাঁছল শরীরের ওপর__কিছুই প্রায় খেত না। দুধটুধ ত নয়ই, মাছ পর্যন্ত অর্ধেকাঁদন আমার পাতে তুলে দত ।" আবার গত পনেরো ষোল দন যে কী হ'ল-ভাত খাওয়াও ছেড়ে 'দয়েছিল বলতে গেলে !, কথা শেষ ক'রে মালহ এবার মাথা তুলল এবং বেশ "স্থির দৃম্টতেই 'িমলের পদকে তাকয়ে রইল । অথাৎ বয়সে ছোট হলেও মাল? বাঁদ্ধতে খুব ছোট নয়। 'দিদিভাইয়ের ভাবান্তরের সঙ্গে আগন্তুক কুশলপ্রার্থার একটা যোগাযোগ ক্পপনা ক'রে নেবার মত বাদ্ধ তার ষথেন্ট আছে। পযার্ণমার বাবা এতক্ষণে খাঁনকটা দম নিতে পেরেছেন-_হাঁপাতে হাঁপাতে [তান আবারও বললেন, “ভাল নয়, বুঝলেন, একদম ভাল নয়--এইসব সোমখ মেয়েদের কাজ করতে পাঠানো ।**কী বলব বলুন, নিজে পড়ে আছ রোগে-_- স্ী-বুদ্ধতে সংসার চলছে । এক কতাঁ মেয়ে আর এক কতা তার মা। স্ীবাদ্ধ প্রলয়ঙ্করশ জানেন ত! ভগবান মেরেছেন আমাকে 1িনা--নইলে অতবড় উপযুন্ত ছেলে থাকতে--' কথা শেষ করতে পারলেন না- দু'হাতে বুক চেপে ধরে হাঁপাতে লাগলেন ভদ্রলোক । পণীর্ণমা এতক্ষণ চোখ বুজে তেমনি "চ্থির ভাবে পড়োছল--ষে ভাবে ঘরে ঢুকেই দেখোঁছল িমল। জেগে আছে, কি ঘময়ে আছে বোঝাই যাচ্ছিল না। এইবার সে চোখ খুলল, ক্লান্ত মৃদনকণ্ঠে বলল, 'মালহ, বাবাকে ও ঘরে নিয়ে রে বুকে একটু মালশ ক'রে দে-কী করাছস দাঁড়য়ে। দেখতে পাঁচ্ছিস না |; মাল: অপ্রস্তুত হয়ে তাড়াতাঁড় বাবার পাশে এসে দাঁড়াল । তান হী্গতে ওকে অপেক্ষা করতে বলে খানিকক্ষণ চুপ ক'রে থেকে একট? নিঃ*বাসটা সহজ কারে নিয়ে মালুর হাত ধরে 'বিনা প্রতিবাদে ওঘরে চলে গেলেন। কথাটা বলায় সঙ্গে সঙ্গেই আবার চোখ বৃজোছিল পযার্ণমা।' তেমনি ৯৫৯ স্থর- _অবসন্মভাব | বিমল বছানার ওপর ঝুঁকে পড়ে আস্তে আস্তে ডাকল, “প্ার্ণঘা ।, পূর্ণমা আবার চোখ খুলল । িম্তু যে কোন কারণেই হোক--বিমলের চোখে চোখ রাখতে পারল না। ওর হাতটার দিকে চেয়ে বলল, 'বলন।” “এখন কেমন বোধ করছ ?? ভালই । কাল আঁফস যেতে পারব ।, 'না- এখন তোমাকে আঁফস যেতে হবে না। লক্ষমী মেয়ের মত দ'চার দন শুয়ে থাকো দক !, বেশ একটু আদেশের সূরেই বলে বিমল । ওপক্ষ থেকে হয়ত একটা প্রাতবাদ আশা করেছিল বল কিন্তু পার্ণমা কোন উত্তর দিল না। শুধু অবসন্ন ভাবে আবার চোখ বৃজল ! একট: পরে বিমল আবারও আস্তে আস্তে ডাকল, পর্ণিমা |, পার্ণমার সমস্ত দেহটা একবার শিউরে উঠল কি ? উঠলেও তার কণ্ঠস্বরে অন্তত কোন চাণুল্য ধরা পড়ল না। আগের মতই বললে, “বলুন ১ “এমন করছ কেন 2 কী করাছ?, 'বাস্মত হয়ে দুই চোখ 'বস্ফারত ক'রে তার দিকে তাকায় পযার্ণমা । “না খেয়ে খেয়ে এমন ভাবে শরীর পাত ক'রে ফেলছ কেন ? আমাকে শাস্ত দেবে বলে £ উত্তর দিতে 'গয়ে হয়ত পর্ণমার দুই ঠোঁট কেপে উঠতে লাগল । সে প্রাণপণ চেষ্টায় খানকক্ষণ দাঁত 'দয়ে ওষ্ঠাধর চেপে নিজেকে সম্বরণ করল, তারপর শান্ত কন্ঠেই বললে, 'আপনার সম্বন্ধে ও শব্দটা পর্যন্ত কজ্পনা করাও আমার কাছে চরম ধৃন্টতা--তা ত আপান জানেনই । অত দুঃসাহস আমার নেই ।, গিমল এর উত্তরে ঈষং উত্তোজত ভাবেই কী একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু মাল: এসে পড়ায় থেমে গেল। মাল সরাসাঁর বিমলকে প্রশ্ন না করে পার্ণমার মুখের ওপর ঝুকে পড়ে বললে, “মা বলছেন একট? চা ক'রে দিতে । দেব 'দাদিভাই 2, পদবি £ উৎসুক বাগ্রভাবে পৃর্ণমা তাকায় মাল;র দিকে, “পারার ? “কেন পারব না। বারে! 'িবমল কী একটা বাধা 'দতে 'গয়েও চুপ ক'রে গেল । মাল চলে গেল- সম্ভবত চা করতেই। দুজনেই চুপ ক'রে রইল কিছুক্ষণ | তার পর পা্ণমা আদ্তে আস্তে তেমনি বলের জামার হাতটার 'দকে পা বললে, “আপাঁন যে আমার বাড়ীতে আসবেন- আম কিন্তু আশা কার 'ন!' “কেন? বিমল আস্তে আস্তে পাশে-পড়ে-থাকা ওর বাঁ হাতটার ওপর ধনজের একটা হাত রাখে । সামান্য একটু কেপে ওঠে পূর্ণিমা--কিল্তু আর ৯৬০ কোন চাণ্ল্য প্রকাশ পায় না ওর 'নথর হয়ে পড়ে থাকার ভঙ্গীতে । একটু পরে বিমল বলে, 'জানো- আমি পাস করোছ । আজই খবরটা এল -অথচ তুমি নেই ।, এই প্রথম একটা রন্তাভা খেলে গেল পাার্ণমার বিবর্ণ পাশ্ডুর মুখে । খুশী হয়ে চোখ তুলে বলল, “এ আ'ম জানতুম । আম ঠিক জানতুম 1, তুমি খুশী হয়েছ পীর্ণমা 2 হাতটার ওপর একট চাপ দিয়ে প্রশ্ন করে বিমল । “আম? আবার স্তিমিত হয়ে যায় ওর মুখ-ভাব। ছোট্র একটা দীরঘঘ*বাস ফেলে বলে, “হয়োছ বৌক! আমার অনুমান ঠিক হয়েছে--এ আত্মপ্রসাদ কি কম !' মালু এসে ঢুকল চা নিয়ে । চা আর একট রেকাবীতে খান-দুই বিস্কুট । টোৌবলের অভাবে আর একটা চেয়ারের ওপরই নাময়ে-_চেয়ারখানা টেনে দিতে 'দতে সে বললে, 'আনাঁড়র হাতের চা, খেতে পারলে হয়! ণবমল হেসে বললে, “আমরা পেতলের কলসাঁর চা খাই । অত খারাপ চা তুমি নিশ্চয়ই করো না ।, পার্ণমা ওর চায়ের কাপটার 'দকে তাকিয়ে কেমন একরকম করুণভাবে বললে, 'আপাঁন আজ প্রথম আমার বাড়ী চা খাচ্ছেন--অথচ আম 'নজে ক'রে দতে পারলুম না 1*"সাত্য, এত বিশ্রী লাগছে !, “তাতে খুব ঠকলুম ব'লে ত মনে হচ্ছে না। মালু ভালই চা করেছে।, জোর ক'রে হালংা হয় বিমল । তারপর বলে, “তুমি ভাল হও, তোমার হাতেও খাবো। ভয় কি! হ্যাঁ, আপাঁন আবার এসেছেন !, | পার্ণমা আর একটা দীর্ঘীনঃ*বাস ফেলে বলে । “তার মানে! এখন ত রোজই আসতে হবে । তোমার ডান্তার ওষুধ, এদের বাজার হাট--আম না এলে এসব করবে কে ?, গনজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারে না পীর্ণমা । খানিকটা অবাক হয়ে তাঁকে থেকে বলে, না না, 'মাছামাছ আপান এত ব্যস্ত হবেন না। এ আমার কিছুই নয় । আঁফস না যাই-_ান্তারখানায় অন্তত যেতে পারব । ওপরের ভাড়াটেরা দেখাশুনা করেন- বাজার হাটের জন্যও ভাবনা নেই-_, মালু মৃদু ঝগ্কার দিয়ে ওঠে, খুব হয়েছে 'দদিভাই, তোমার আর বাহাদুরীতে কাজ নেই। জানেন ডান্তার কি বলেছে 2 পনেরো দিন এখন ধিছানা ছেড়ে ওঠাই বারণ ওর। এমন কী বেশী কথাবার্তা কইতেও নিষেধ ক'রে গেছেন 1; 1বমল কথাটা শুনেই সোজা উঠে দাঁড়াল । ইস । আমারই বড় অন্যার হয়ে গেছে মাল, াছামাছি তোমার 'দাঁদ- ভাইকে কতখাঁন বকালুম 1, পার্ণমা ব্যাকুল হয়ে বলল-_-না-না- তেমন িকছ নয় । কাঁ পাগলামি ১৬১ গজেন্দ্ুকুমার 'মিন্ল রচনাবলা (৬ষ্ঠ)--১১ করাছস মাল 1."আর একটু বসুন না। আমি ত বেশখ কথা কইছি না-_; বিমল ঘাড় নেড়ে বললে, “তুমি চুপাঁটি ক'রে শুয়ে থাকো । আমি আবার কাল ঠিক আসব !, প্ার্শমা আর কিছ বলার আগেই 'বিমল একেবারে ঘরের বাইরে গিয়ে দাঁড়াল। আসার আগে 'িমল ওদের ডাস্তারের নাম-ঠিকানা জেনে এসেছিল । অবশ্য তখন আর সময় ছিল না। কারণ নাখলদের বাড়ী যেতেই হবে সোঁদন --পরের দন ওর কী একটা পরাক্ষা। কোন মতে রাতটা কাটিয়ে পরের দন সকাল বেলাই সে এ পাড়ায় এসে ডান্তার বাবৃঁটির সঙ্গে দেখা করলে । ডান্তারবাব্‌ একট; 'বাস্মত হয়ে ওর দিকে তাঁকয়ে বললেন, মস প্ার্শমা রায়? ও আমাদের 'বাপনবাবূর মেয়ে !"শ্হাঁ ।***তা আপাঁন ওর কে হন ? অকারণেই বিব্রত হয়ে ওঠে বল । বার-দুই ঢোঁক গিলে বলে, আম ওর সঙ্গে এক-আঁফসে কাজ কার । বন্ধু 1, অ।."'বড় গ্টে্জ কেস: মেয়োটর । জবরটা িছ: নয় । কিন্তু মনে হচ্ছে যেন ইচ্ছে ক'রে নিজেকে ক্ষয় ক'রে এনেছে ॥ 0899 ০£ 506510৩ 55198050100, কতাঁদন ধরে যে ভূতের মত খেটেছে অথচ শরীরের কোন বতু নেয় নি, তার ঠিক নেই। এানামকণও খুব । হাটার সাউণ্ডও মোটে ভাল নয় । ভাল নারিশমেন্ট দরকার । আম যাব একবার । একটা ইঞ্জেকশন দিতে হবে 1", তারপর একট চুপ ক'রে থেকে বললেন, কাল ওকে দেখে আমার মনে হাঁচ্ছল মেয়েটি বোধ হয় কোন মেন্টাল শক্‌ পেয়েছে, খুব প্রচণ্ড । ওর যেন বাঁচবার ইচ্ছাও নেই তেমন 1, গবমল উঠে দাঁড়াল । তাহ'লে ওর পথ্য-্টথ্য 2, “ফুলের রস, গ্লুকোজ, দুধ--অঙ্গ অঞ্প, এই-ই চলুক আপাতত । জবর না থাকলে ভাতও 'দতে পারেন। তারপর আমি ত যাচ্ছি, দেখে ব্যবদ্ছা করব। ওখান থেকে বোরয়ে বিমল বাজারে গেল । কাল সত্যশরখবাবূর কাছ থেকে কয়েকটা টাকা চেয়ে এনেছে সে--আজকের প্রয়োজন বুবেই । ঘরে ঘুরে এক- রাশ ফল িনলে- সেই সঙ্গে একটা ভাল ফুড । এদের জন্য কিছ বাজার করলে ।"*"বাস্তাঁবক নিজের আচরণে নিজেই ঘৎপরোনাঁচ্ছ বিস্ময় বোধ করাছল 'বমল। কোনাঁদন যে কোন একাট অনাত্মীয় মেয়ের সংসারের জন্য সে বাজার করবে-_মান্র কয়েকমাস আগেও এটা ছিল ওর স্বপ্নের অগোচর 1 মাল ওকে দোর খুলে দিয়ে পেছনে মৃটে দেখেই চেশ্চামেচি ক'রে উঠল । একি! এ সব কাঁকাশ্ড করেছেন আপাঁন--না'"না, এসব "কন্তু আপনার ভার অন্যায় ।, ১১৪০ “কে রে মালহ। হাঁপাতে হাঁপাতে বাঁপনবাবৃও বোরয়ে এলেন । “সত্যই ত। না না-_ এসব কী দরকার ।..দেখুন-_, আরও কা বলতে 'গয়ে কাশর ধমকে চুপ ক'রে গেলেন 'তানি। ণবমল হাত জোড় ক'রে বললে, “আঁমও আপনার সন্তানের মতই । কেন মাছামিছি স্চকোচ করছেন। পীর্ণমা আমার বন্ধ:--ও ভাল হয়ে উঠুক, না হয় আমাকে দামই বুঁঝয়ে দেবে । তাছাড়া ধরুন, যে-কোন পরকেই ধরে ত বাজার পাঠাতে হ'ত আপনাদের--আ'ম করলেই বা আপাতত কি ? ওর বনীত ভঙ্গীতে 'বাপনবাব্‌ আর কিছ বলতে পারলেন না । পাা্ণমার মাও এসে দাঁড়য়োছলেন । "তান সেকেলে মানুষ, সোজাসুজি একজন পরের ছেলের সঙ্গে দাঁড়য়ে কথা কইতে তাঁর সঞ্কোচে বাধে । তান স্বামীকে উদ্দেশ করে বললেন, “শোন দক কেমন মিষ্টি কথা, কান জ্যাঁড়য়ে যায় । এজন্যে বলে আপনার চেয়ে পর ভাল। পেটের ছেলেও ত রয়েছে-কাল থেকে একবার খবর নিতেও এল না! মুটে রাল্নঘরের রোয়াকে জীনসগুলো নাময়ে দিয়ে চলে গেল। তার পয়সা চুকিয়ে দিয়ে বিমল আগের দিনের মতই পার্ণমার 'বছানার পাশে চেয়ারখানা টেনে 'নয়ে বসল । পাশর্ণমা এতক্ষণ একান্ত ক্ষৃত্ধ ও ধিরন্ত দন্ট মেলে দোরের 'দকেই তাঁকয়ে ছিল। 'বমল এসে বসতেই যেন ফেটে পড়ল সে । চাপা কঠিন কণ্ঠে বললে, “এসব কি করছেন বলুন ত? কেন করছেন 2 আমাকে বাঁচিয়ে আপনার লাভ 'ি 2."এসব সামান্য কথা 'নয়ে-_সামান্য জীবন নিয়ে আপাঁন মাথা ঘামাবেন না। আপনার 'বরাট কমরক্ষেন্র সামনে পড়ে আছে-_বিপুল দাঁয়স্ব। ***আমাদের জীবন ঠিকই কাটবে--সহম্র মেয়ের জীবন যেমন এই শহরে কাটছে ।**আপাঁন চাকার ছেড়ে দিন, চলে যান আপনার কর্মক্ষেত্রে । দোহাই আপনার! আপাঁন আর দিছন করে তাকাবেন না-কোন দিকে, কারুর গদকে।, বহ্যাদনের সত ক্ষোভ ওর, বহীদনের ব্যথা । কাঁঠন কণ্ঠও তাই এক- সময় অসহায় কান্বায় ভেঙে পড়ে, দুই চোখের কূল প্লাঁবত ক'রে নামে অশ্রুর ষন্যা। স্থির হয়ে বসে থাকে গিমল । তারপর আশ্চর্ধ শান্ত কন্টেই উত্তর দেয়, হ্যাঁ তাই যাবো । কোনাদকেই তাকাব না। কিন্তু তার আগে তোমার অন্তত ভাল হয়ে ওঠা দরকার পার্ণমা 1, “আম ? আমার সঙ্গে আপনার কণ সম্পর্ক! আপনার মহৎ জীবনে আমার মত মেয়ের চ্ছান কোথায় 2 অশ্রহীবকৃত কণ্টঠেও ব্যঙ্গের সুর ফোটে । দেম্পর্ক এখন নেই, কিন্তু সেই জন্যেই ত এত ব্যন্ত হাঁচ্ছ। তোমার ওপর একটা আঁধকার, তোমার সঙ্গে চিরকালের একটা সম্পকহি যে দরকার । না" না, বাধা দিও না, বলতে দাও। সোঁদনই ত তোমাকে বলোছ, একা কোন ৯৬৩ ভাল কাজই করা যায় না। মানুষ একা বড় অসহায়, বড় দুবল। সেই' জন্যেই আমাদের শাচ্দে সস্মীক ধম-আচরণের ব্যবস্থা-। তান্ল্িক সাধকরা সাধনা-সাঙ্গনীকে বলেন শান্ত, জানো ত। উপয্ন্ত শান্ত না পেলে 'সাদ্ধর আশা যে দুরাশা !, পূর্ণিমা অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে প্রায় ফিস্‌ ফিস: ক'রে বলে, কেন আপ্পানি সোঁদন থেকে আমাকে এমন ভাবে দক্ধাচ্ছেন বলুন ত! ওসব স্বপ্ন-কল্পনা আমার জন্য নয়'**এ কী অ।পাঁন কিছুতেই বুঝবেন না? আপনার কর্তব্য আপনার কর্মক্ষেত্র বৃহৎ বিপুল । ওসব আঁম্‌ বাঁঝ না। আমি বুঝ আমার এই ছোট্র পারসরে ছোট কত“ব্য । আপনার কাছে হয়ত এসবের মূল্য নেই-িল্তু আমার কাছে আমারই মুখশ্চাওয়া বৃম্ধ অশল্ত মা-বাবার প্রাতি কর্তব্য আগে “কে বলেছে সে কতব্যে আম বাধা 'দতে যাচ্ছি ।**"তুমি উত্তোজত হয়ো না পাঁর্ণমা, তোমার শরীর খারাপ । এসব কথা তোমাকে বলা হয়ত তোমার এ অবস্থায় উচত হচ্ছে না-_কিল্তু না বললেও নয় । তুমি অকারণে মন খারাপ ক'রো না। তুমি আমার কাছে সব কর্তব্যের চেয়েও বেশী মূল্যবান । এই কথাটি আজ শেষবারের মত জেনে রাখো--বৃথা বাজে কথা 'নয়ে মন খারাপ করো না।' আর একটু কাছে সরে আসে বিমল । পীর্ণমার একটি 'শাঁথল হাত নিজের হাতের মধ্যে তুলে নিয়ে আরও আঙ্ে, প্রায় চাপ চুপি বলে, “আমাদের 1বয়ে হ'লেই যে তোমাকে এই কত“ব্য থেকে 'ছানিয়ে 'নয়ে যাবো-এমন কথা ভাবছ কেন ? বিয়ে হবে আমাদের কিন্তু যতাঁদন না তোমার এই দা'য়ত্ব শেষ হচ্ছে ততাঁদন তোমাকে আম দাবা করব না, কথা 'দচ্ছি। তুম যেমন চাকরাঁ করছ, এখানে আছ, তেমাঁনই থাকবে । তোমার এখানকার কাজ শেষ হবার আগেই যাঁদ আমার ীবদেশ-যান্রার ডাক আসে, আমার কমকক্ষেত্রে আম চলে যাবো কম্তু তখন আমার সান্তনা থাকবে-_যেখানেই থাকো তুঁম-_ তুমি আমারই আছ, তোমার শুভ কামনা, তোমার ভালবাসা এখন থেকেই আমাকে শান্ত জোগাবে, কর্ম-প্রেরণা জোগাবে ।” আঁবধ্বাস্য--আঁবশ্বাস্য । বার বার মনে মনে উচ্চারণ করতে থাকে পার্ণমা। কজপনাতাঁত সৌভাগ্য এমন ক'রে মানুষের জীবনে আপনা থেকে আসে নাক কখনও ? এ নিশ্চয়ই ও ভুল শুনছে । এ ওর ব্যাধিরই একটা প্রকাশ--বিকারের ঘোর । “অবশ্য আম চেষ্টা করব তোমাকে সেখানেই কোন কাজ 'দয়ে নিয়ে যেতে। যাঁদ সতাশরণ বাবুদের ইস্কুলেই যাই--ওখানে একটা মেয়ে ইস্কুল খোলবারও কথা আছে-_সে সময় হয়ত তোমাকেও নিয়ে যেতে পারব । তোমার বাবা মা না হয় সেখানে তোমার কাছে গিয়েই থাকবেন । এ বাড়ীর বাকীটুকু ভাড়া দিলে মাল: বোঁ্ডং-এ থেকেই পড়তে পারবে । পৃণিমার বিহবল দৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বিমল বলে, “অবাক হয়ে যাচ্ছ, না? ভাবছ এত কথা কবে ভাবলন্ম ?"”"এই কাঁদন ষে দিনরাত শুধু এই সব ১৬৪ কথাই ভেবোছ পার্থমা। তুম আমাফে যতটা হাদয়হশন ভেবে মনে মনে আমাকে অপরাধাঁ সাব্যস্ত করাছলে, সাত্যই আমি ততটা নই' ।**"তোমাকে এই ভাবে ভাসয়ে দিয়ে গিয়ে আমি কোন কাজই যে করতে পারতুম না।"*"না, তোমাকে আমার চাই ।-*অনেক কাজ পাার্ণমা, অনেক স্বপ্ন আমার । যে দিকে তাকাই দেখি অকারণ ওম্ধত্য, পরমত-অসাহফুতা--আর জ্ঞান ত দরের কথা, জ্ঞানের আগ্রহেরও অভাব ! আমরা দুজনে মিলে সারা জশবনে যাঁদ দুটো চারটে ছেলেমেয়ের মনেও থার্থ শিক্ষার আগ্রহ জাগাতে পাঁর--যে শিক্ষা দল মত স্বার্থ সকলের ওপরে মনহৃষ্যত্থে পৌঁছে দেয় মানুষকে, যাঁদ পাঁর দচার-জনকেও সেই মনষ্যত্তের মন্ে দীক্ষা দিতে-_তবেই আমাদের স্বপ্ন সফল হবে, আমাদের জীবন সার্থক হবে পহীর্ণমা |; পার্ণমার চোখ দহাট এইসব কথা শুনতে শুনতে কখন আবার নিমশীলত হয়ে গেছে; সে সমস্ত সত্তা দিয়ে, বাকী সবকটি হীঁন্দ্য় দিয়ে ষেন অনুভব করছে এই আঁচান্তিত-পূর্ব সৌভাগ্যের সুখছবি । তার দুই চোখের কোল বেয়ে এখনও জল নামছে; তবে তা যে আনন্দেরই অশ্রু একথা তার মুখের দকে চাইলে বুঝতে অস্মাবধা হয় না। মাল ঢুকল ডিম ভাজা ও চা নিয়ে। গবমলের বসে থাকার ভঙ্গী, তার চোখে সুদ্‌রের স্বপ্ন এবং পাঁর্ণমার নিমীলিত চোখে অশুর ঝরণা দেখে কী বৃঝল সে তাসে-ইজানে। কিন্তু কোন প্রন করল না, সামান্য একট; হাসির আভাস মান্ন ঠোঁটের কোণে লহীকয়ে শনয়ে আবার বোরয়ে গেল সে । পাঁর্ণমা চোখ খুলল এবার । আঁচলে দুই চোখ মুছে চুপচাপ বললে, “একটু চা খাও । আমার জন্য অনর্থক সকাল থেকে অনেক ছ:টাছহটি করেছ 1, ধিমল তখনও বোধকাঁর তার নজের আঁকা ভাঁবষ্যতের ছবিতেই তন্ময় হয়োছল, এবার যেন ঘুম ভেঙে জেগে উঠল। হ্যাঁ, এই যে নিই ।” তাড়াতাঁড় মুখ তুলে মাল:কে না দেখতে পেয়ে অপ্রাতভ ভাবে চায়ের পেয়ালাটা তুলে নিয়ে বললে, ইস, মাল কি মনে করলে 1 পার্ণমা সে কথার জবাব দিলে না। 'বমলের জামার প্রাম্তটা নিয়ে দুটো আঙ্গুলে নাড়া চাড়া করতে করতে বললে, “জানো, এই কাঁদন অহোরান্্ ভেবোঁছ ক ক'রে তাড়াতাড়ি মরতে পার ।-*.আজ এখন মনে হচ্ছে যেমন করেই হোক বাঁচা দরকার । অন্তত তোমার স্বপ্ন সফল করতেও ।+ স্নপ্ধ-দৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে বমল বললে, “এই ত লক্ষী মেয়ের মত কথা ।.. এখন একট: ভাল করে বিশ্রাম নিয়ে আর ভাল ক'রে খেয়ে চটপট: সেরে ওঠো 'দাীক।, মাল: বোধকাঁর বাইরেই ছিল কোথাও । ঘরে ডুকে বললে, “আপানি একট; ভাল ক'রে বলে যান। কিচ্ছু খেতে চায় না*"'আপাঁন ত একরাশ ফল কিনে এনেছেনস্্থাবে কে? ৯৬৫ ধ্সাচ্ছা, আচ্ছা হয়েছে । তোকে আর বেশী গান্পনা করতে হবে না? বা। মৃদু ধমক দেয় পবার্ণমা ! ধবমল চায়ের পের়ালাটা নাময়ে রেখে একেবারে উঠে দাঁড়ায় । হাতের ঘাঁড়টার দিকে ওর নজর পড়ে গেছে । “চাল এখন। আঁফসের বেলা হয়ে যাচ্ছে বহ্‌গথ 'ফরে গিয়ে আবার বেয়োতে হবে। সে রাস্তাক্ন পড়ে সেই খর রৌদ্র মধ্যেই দত হাঁটতে শহর? করে । গাও নাই পরিচয় উৎদর্গ, শ্রীমান সুভাষচন্দ্র ঘোষ ( চন্দ্ুগচপ্ত মৌর্য ) কল্যাণ'য়েষু-_. ॥ ০ ॥ ব্যান্তগত আলাপ- পুরাতন পাঁরচয় ঝালয়ে নেবার স্থান-কাল সেটা নয়। রোগণশ যেখানে অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে, বড় ডান্তার এসে তাঁর যল্পাত সাজাচ্ছেন, জল ফুটছে ইলেকাঁট্রক কেটালতে- অস্বরোপচারের সব আয়োজন প্রস্তৃত, এখনই রোঁগণশকে এ যন্ত্রণা থেকে মুল্ত দিতে না পারলে, হয়তো একেবারেই ম্ান্ত দিতে হবে--এই জীবন বা দেহের বন্ধন থেকে- সেখানে ঘরে উপ্পাস্থত সকলের সমস্ত মনোধোগ সেই দিকেই যাওয়া উচিত 'ছিল। দময়ন্তীর তা 'গয়েও ছিল । সে ঘরে ঢোকা মান্ত তার কাজে লেগে গেছে । ডাঃ মিসেস সেনের সঙ্গে দীর্ঘ দন কাজ করছে সে, অনেক “কেস' করেছে তাঁর সঙ্গে কা কণ তাঁর প্রয়োজন, কোনটার পাশে কোনো ॥কভাবে পর পর সাজিয়ে রাখতে হবে-_-এসব তার জানা হয়ে আছে। সেই ভাবেই দ্রুত এবং নিপুণ হাতে যন্ত্রপাতি সাজাচ্ছিল সে, সেই দিকেই মন ছিল তার । অরাঁবন্দ কখন ঘরে এসে ঢুকেছে, তা টেরও পায় নি। একেবারে ঠিক 'িছনে একটা দ্রুত নঃ*বাস নেবার শব্দে চমকে ঘাড় ঘহারয়ে প্রথম দেখেছে সে-_ এবং চিনতে পেরেছে ৷ তবু সে চেনার কোন স্বীকৃতি দময়ন্তীর মুখে ফোটে ন। শুভ্র পাথরের মতো মুখে তার হয়তো ঈষৎ রীস্তমাভা দেখা 'দিয়েছে-_কিল্তু সেও, কয়েক মূহূর্তের বোঁশ, তা স্থায়ণ হয় ন। ভাবলেশহশন মুখের একটি শিরাতেও কোন আবেগের চিহ্ন দেখা যায় নি, সামান্য মান ভূকুঁটও ফুটে ওঠে ন মর্মরমসৃণ ললাটে । এতখান আত্মদমনের শিক্ষা অরাবন্দর নেই । সে নাম-করা ব্যারিস্টার । 1বপুল পশার তার । সে কোন পক্ষে দাঁড়িয়েছে শুনলে, অপর পক্ষ রস্ত হয়ে ওঠে-কিন্তু সে অন্য কথা । সেখানে কখন 'ি মুখের ভাব ফোটাতে হবে-কখন কি আঁভনয় করা দরকার--সে-শক্ষা আদালতেই হয়, সেখানেই সে পাঠ নিয়েছে সে, দশর্ঘ কাল ধরে অভ্যাস করতে করতে মড্জাগত হয়ে গেছে । এ পাঠ--মনোভাব দমনের এই আশ্চর্য গশক্ষা-_-এ অন্য গজানস, জগবনের ৯১৬৯ পাঠশাপায় ভাগোর হাতে মার খেতে খেতে এর পাঠ নিতে হয়, দময়ন্তশ যা নিয়েছে । এ রহস্য অরাঁবন্দর জানবার কথা নয় । তাই, অতাঁকতে পারচয় অজ্ঞাত রাখার প্রয়োজন সত্তেও-আপানিই মুখ দিয়ে বৌরয়ে গেল--টুটু 2৮এ-অশোকা তাঁম 2 এবার একট: ভ্রুকাঁটি দেখা 'দিল দময়ন্তীর মুখে, বিরান্তামাশ্রত বিস্ময়, সে চাঁকতে একবার অরাবন্দর চোখের ওপর চোখ রেখে বলল, 'মাপ করবেন, আপনার বোধহয় একটু ভুল হচ্ছে । আপাঁন কাকে মীন করছেন, তা ঠিক জানি না। আম দময়ন্তশ লাহিড়ী ।, বোধ কার এই চড় খাওয়ারই প্রয়োজন ছিল--অরাবন্দর সাম্বং 'ফারয়ে আনতে, স্থান-কাল সম্বন্ধে সচেতন করতে । সে সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠল, “ওঃ !""সরি "ক্ষমা করবেন ।***আশ্চর্য সাদৃশ্য বলেই” শেষের দদকে কথাগুলো স্বগতোন্তর মতোই দাঁড়াল । শেষও করল না অরাবন্দ মাল্লক ৷ প্রয়োজনও ছিল না শেষ করার । কারণ ততক্ষণে দময়ন্তাঁ আবার 'নজের কাজে- ব্যস্ত শুধু নয়, তন্ময় হয়ে গেছে। তার কান ও চোখ মিসেস সেনের তাঁবে চলে গেছে- কে একজন অপাঁরাঁচিত ব্যান্ত সামান্য ভুলের জন্য কী ক্ষমা প্রার্থনা করছে বা যাান্ত দেখাচ্ছে, সৌঁদকে কান বা মন দেওয়ার অবসর নেই তখন । হয়তো ইচ্ছাও নেই । এমন ভূল তো হয়েই থাকে । অরাবন্দও আর সে ঘরে দাঁড়াল না। বোঁরয়ে এসে একবার- ইতিমধ্যেই বহুবার*ঘাম-মুছে-ভিজে-যাওয়া রুমাল গনয়ে কপালটা মুছে 'নয়ে, যেন ব্যাকুল ভাবে চাঁরাঁদকে তাকাল । কাঁরডরে কেউ নেই, ানচে ল্যাশ্ডিংয়ে ভত্যশ্রেণীর কয়েকজন পাংশনমহখে দাঁড়য়ে আছে- মালেকার কী খবর জানবার জন্য, কোন প্রয়োজন হতে পারে হয়তো- সে জন্যেও । অরাবন্দর মুখের বিবর্ণতা ও স্বেদপ্রাচুর্ধকে মালেকার সঙ্কট অবস্থারই চিহ্ন বলে ধরে 1নয়ে, তাদের একজন ব্যন্ত হয়ে উঠে আসাছল-_অসাহফ্ভাবে হাতের হীঙ্গতে তাকে [নিরস্ত ক'রে সে এবার দ্রুত গিয়ে নিজের স্টাঁডতে ঢুকল । কতকটা ওদের কৌতুহল দৃষ্টি থেকে অব্যাহাত পেতেই । ঘরে ঢূকে অবসম্নভাবে নিজের চেয়ারটাতে বসে পড়োছিল। 'মানিট-কতক সেই ভাবেই বসে রইল । হাতটা কাঁপছে অঙ্প অঙ্গ, পায্েরও জোরটা আশ্চর্ধরকম ভাবে কমে ৯১৭০ গেছে ।***ডভ্যামভ্‌ ন্যইসেম্স ! অসহায়ভাবে ওপাশের গাআলমারিটার দিকে চাইল একবায় । ওর মধ্যে বলাধানের উপকরণ প্রশ্ভুত আছে--দেহে এবং মনে এক নিমেষে বল এনে দিতে পারে এমন উগ্রবীর্য 'বালাত দ্দরা । 1িডকেন্টার ভার্ত আছে। বলেত থেকেই আনানো, এমব্যাসীর মারফত । হাইকমিশনারের একটা কাজ ক'রে 'দয়োছল একবার, তারই পুরস্কারস্বরূপ প্রাত বছর ক্লীসমাসে এক কেস ক'রে উপহার পাঠান তাঁরা । ণকল্তু সে খেতে গেলে আবার উঠতে হয় । ততটুকু শান্তও যেন আর নেই । প্রয়োজনও নেই অবশ্য ৷ অরাবন্দর মধ্যেকার দু*দে ব্যবহারজশবী নিজেকেই ভ্রুকৃটি ক'রে উঠল । জোর করেই হাতে জোর এনে টেলিফোনের দিকে হাত বাড়াল । কশদন ধরেই প্রয়োজনটা অগ্রগণ্য হয়ে উঠেছে বলে, টেবিলে কাঁচের 'নচে বড় বড় হরফেই নম্বরটা লিখে রেখেছে অরাবন্দ ৷ দল্লীর সব থেকে 'ীবখ্যাত ও 'বশ্বস্ত নাসেস ইউনিয়নের টোলিফোন নম্বর। মুখস্থও হয়ে গেছে প্রায়, একবার মান্র সোঁদকে চোখ বুলিয়ে নিয়েই ডায়াল করল নম্বর। ওদিকে 'যাঁন ধরলেন তাঁর কন্ঠস্বরও পাঁরাচিত । পমসেস হাস্‌কার 2 নমন্তে জী। মায় মঃ মাল্লনক বোল রহা হাঁ রিঙ্ক রোড সে।''"জী, নৌহ নোহ'*উ তো ঠিক হ্যায়_-বাত হ্যার দুসরী।, তারপর এক মূহূর্ত একটু থেমে ইধারাজতে বলল আবার, “আচ্ছা এই নার্পাট--ক ষেন নাম--মিস লাহড়ী--এঁকে বদলে দেওয়া যায় না? আর কেউ ? নো নো, আমি এর এাঁফাসয়েন্সীতে কোন সন্দেহ প্রকাশ করাছ না। জাস্ট একটা পাসোনাল কারণ। ফিছু করা যায়? আম এর আজকের ফী দেব ঠিকই--এখনই আর কাউকে পাঠানো যায় না? ওাঁদক থেকে মিমেস অমৃত হাসকারের পাঁরছ্কার কন্ঠ ভেসে আসে, ইমপঁসিব্ল। আপান দ্য বেস্ট চেয়েছেন, আমও দ্য বেস্ট পাঠিয়েছি। তাছাড়া ডাঃ 'মসেস সেন ওকেই পছন্দ করেন সব চেয়ে বেশ ।*"*আর এতক্ষণ তো বোধহয় অপারেশন শুরুই হয়ে গেছে, আপনার মুখে যা ক্রিটিক্যাল অবস্থা শুনোছ ।.*মোরওভার, ঠিক এই মুহূর্তে আর কেউ নেইও। একজনও নেই । সার 1"""যাঁদ বলেন তো কাল থেকে অন্য কাউকে ডেপহ্যট করতে পার |, “না, তার প্রয়োজন হবে না। ধন্যবাদ । প্রচুর ধন্যবাদ । অবসন্নভাবে যন্মটা রেখে দিল অরাঁবন্দ মল্লিক, সংপ্রীম কোর্টের বিখ্যাত ৯১৭১ ব্যারিস্টার-ম্যাট-ল। টেলফোন-যন্তে ওপাশে যান কথা নি রউিনিরানীরন উপায় নেই, নইলে অরাবন্দ দেখতে পেত-_সন্দেহে ও কৌতূহলে মিসেস হাস্‌কারের দণ্টি তগক্ষ: হয়ে উঠেছে, মুখভাব 'বাচত রূপ ধারণ করেছে । কারণ এ বাঁড়তে যাওয়ার জন্য তাঁন যখন মিস লা'হড়শকে ফোন করেন--তখন সে-ও ঠিক এইভাবেই বলোছল, 'আর কাউকে পাঠানো যায় না ওখানে? নানা, অন্য কোন কারণ নেই, জাস্ট একটা পাসোঁনাল--কশ বলব-ফ্যান্সি! আমার, আমার ঠিক যেতে ইচ্ছে করছে না এখন, একট; টায়ার্ড লাগছে ।, গমসেস হাসকারও এখনকার মতোই উত্তর 'দিয়োছিলেন, “সার, আর কেউ নেই, মানে পাঠানোর মতো একজনও খাল নেই। তুমি তো জানো, ডাঃ সেনরা দুজনেই এ ব্যাপারে বড় ফ্যাষ্টাডয়াস, গুরা ইনঞাঁফাঁসয়েন্ট নার্স একদম সইতে পারেন না। বশেষ তোমাকেই মিসেস সেনের পছন্দ বেশী । তাছাড়া, এ কেসও খারাপ--ওখ্রা চেয়েছেন রোঁসডেন্ট নার্স একজন-_দ্য বেস্ট। সেই জন্যেই তোমাকে-_। যাঁদ।বল তো' কাল থেকে না হয় অন্য কাউকে ডেগন্যট করতে পাঁর-_, দময়ন্তী উত্তর 'দিয়োছল “নো, থ্যাঙ্ফস্‌। তার দরকার হবে না। ধন্যবাদ । প্রচুর ধন্যবাদ ।, 1২] সন্দেহ ষেটুকু থাকতে পার ত-_“লাঁহিড়ী? পদবীতেই সেটুকু কেটে গেছে । অশোকাদের পৈতৃক পদবী লাহড়ীই। আর:অনৃতাপ-ীতন্ত একটা আত-্প্রচ্ছন্ন হাঁস ফুটে ওঠে অরাঁবন্দর মুখে--সে পদবী তো বদলাবার কোন কারণও ঘটে 'ন। পদবীর পাঁরবর্তন হয় যে অন্ঙ্ঠানের দ্বারা-__গোল্রান্তর ঘটে, সে অন্যষ্ঠান ওর জবনে তো হয়েই ওঠে নি। নামটা পালটেছে অশোকা- পদবধটার মায়া কাটাতে পারে গন । কে জানে, দময়ন্তী নামটাও পহ্রনো কনা । ওর ঠাকুদরি দেওয়া কী একটা আলাদা নাম ছিল বটে-_কয়েকবারই বলেছে অশোকা--অরাবন্দই অত খেয়াল করে গন তখন। অশোকাই। তাতে কোন সন্দেহ নেই। এত ভুল হবার কারণ ঘটে 'ন। অরাবিন্দ মল্লিকের এত স্মতন্্ংশ ঘটবে না নিশ্চয়ই, তাহ'লে আর আইনের বাবসা ক'রে লক্ষ লক্ষ টাকা উপাজন করতে পারত না। ১৯ সুপ্রীম কোর অন্য ব্যারস্টার ও র্ল্যাডভোকেটরা এই জন্যেই আরও ঈ্ধত। মাল্লকের চোখে কিছুই এড়ায় না, ছুই ভোলে না সে। ছোটখাটো কোন তথ্য তার স্মৃতি থেকে বিচ্যুত হয় না। এক্ষেত্রে তো সে প্রশ্নও ওঠে না। পাঁচ বংসর ঘর করেছে একত্রে । তার আগে প্রায় এক বৎসরের পূর্বরাগ--তখনও গদনরাতের বেশ কয়েক ঘণ্টা একসঙ্গে কাটত । স্বামী-স্ত্রীর মতো । মতো কেন- স্বামশ-স্ব্রণই | শুধু মন্বটাই পড়া হয় ি। কিংবা রোঁজস্ট্রারের খাতাতেও নাম লেখানো হয় নি। হয় ?ন যে-__সেও অশোকারই' অনযগ্রহ । দয়ার দান বলতে হবে। তার প্রাতদানে অরাঁবন্দই চরম 'িশ্বাস্ঘাতকতা করেছে । অমার্জনীয় অকৃতজ্ঞতার পাঁরচয় 'দয়েছে। অরাবন্দ ঘা করেছে-_ভদ্রুসমাজ্ে কাউকে বলার মতো নয় । . সে কথা শুনলে, আজ যারা সমাদরে ঘরে ডাকে, সামাঁজক অনুষ্ঠানে অগ্রগণ্য আঁধকার দেয়-_তারাই কুচ্ঠরোগশর মতো পারহার করবে । সেখানেও অন:গ্রহই করেছে অশোকা ! নীরব উপেক্ষায় সরে গেছে শুধু অরাবন্দর জীবন থেকে, অপদার্থ গক্রামকীট ভেবে । ভদ্রুকন্যার ক্রোধ বা প্রাতীহংসার অযোগ্য ভেবেই ক্ষমা ক'রে গেছে। ূ কোন গোলমাল করে নন, অরাবন্দকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে নি-- নালশ-মকদ্দমা তো নয়ই । ইচ্ছে করলেই করতে পারত । বিস্তর সাক্ষখ ছিল তাদের জীবনযাত্তার | অত 'কিছ?ও করতে হ'ত না-াদল্লীতে এসে যথাস্থানে এই তথ্যটুকু প্রকাশ করলেই-_এই সুন্দরী স্ত্রী, এই 'বপল প্র্যাকাঁটস, -প্রাসাদতুল্য এই বাসভবন, এঁ বড় বড় গাঁড়--সবোপার এই মযার্দা, সমস্ত রাজনোৌতিক দলই আজ তাকে দলে টানতে চাইছে, 'িবাচন, সমুদ্রে পাঁড় জমাবার জন্যে--এ সমস্তই স্বপ্নের মতো ভোজবজশর মতো কজ্পনার শুন্য দিগন্তে মিলিয়ে যেত । এ তো অশোকা তাকে দানই করেছে বলতে হবে। অরাঁবন্দ মাল্পক উঠে আলমার খুলে ্রে-সুজ্ধ টেবিলে নামাল। গডকেন্টার, ধবালাতি ছ'টা প্লাস এবং সামান্য কিছু নিমাক বিস্কুট । কোন বিশেষ মক্ধেন ষখন নিভৃতে পরামর্শ করতে আসে--সাহেব-দ্দবো বা'ইয়োরোপণয়ানাধিক পাঞ্জাবী সাহেবরা, তখন এই উপায়েই আপ্যায়ন করে তাদের । ৯০৩ হত দুটো এখনও কাঁপছে । নাভ“সং স্টেডী করা দরকার । ড্যামড্‌ নুইসেম্স-_এই অবস্থাটা । পাশের ঘরে স্ত্রী জীবন-মৃত্যর মধ্যে দোলা খাচ্ছে। আত সঙ্কটাপন্ন অবস্থা । ডাঃ সেন বলেই দিয়েছেন, “আম কোন গ্যারান্টি দিতে পারছি না আপনাকে । চান্সেস আর ইভন:-াফফটি-ফিফট ।, সুন্দরী স্ত্রী, প্রিয়তমা স্তী। জশবনের সৌভাগাস্বরুঁপণী । ওর দৌলতেই সব। তা হোক। তব এখন ওখানে গগয়ে দাঁড়াতে পারবে না অরাঁবন্দ মল্লিক ৷ সব কেমন যেন মাথার মধ্যে গুলিয়ে যাচ্ছে । এই প্রথম বোধ কার অরাবন্দের জীবনে, এই রকম একটা অবস্থা অনুভব করল সে। পা দৃটোও যেন গব*বাসঘাতকতা করছে । অস্বীকার করা যায় না- সমস্ত 'িস্টেমটাই একটা শ্যক খেয়েছে তার, সবটাই কাঁপছে ভিতরে ভিতরে ।*** পর পর দু-মান্তরা সেই তরল আঁগ্ন ভেতরে যাওয়ার পর অকস্মাৎ যেন ক্লুদ্ধ হয়ে উঠল অরাবন্দ। অশোকা--অশোকাই এর জন্যে ষোল আনা দায়শী। অশোকার কতকগুলো ফলস প্রেজুঁডস আর অবাস্টনোস । অকারণ অর্থহীন কুসংস্কার এবং সেই অবোধ একগয়েমীী। চরর যে সুযোগ দেয়, বার বার লোভের বস্তু চোরের চোখের সামনে মেলে ধরে- চুরর জন্য সে চোরের সঙ্গে সমান দায়শী । লোভশ সে, খুবই লোভ । তা অরাবন্দ স্বীকার করছে । দিন্তু লোভী নয় কে ? বেশশর ভাগ মানুষই তো লোভ । এবং সে লোভের বস্তুও তো প্রধানত দট, কামনণ ও কাণ্চন। দেশে দেশে কালে কালেই এটা সত্য । এই লোভ মানুষের মধ্যে প্রবল বলেই তো সেকালে সমাজ-াবধাতারা খববাহ প্রথার প্রচলন করেছেন- এই বন্ধনের । নইলে আগে তো নাঁক এসব কোন ব্যবস্থাই ছিল না, যে যাকে খুশি সম্ভোগ করতে পারত । আইনটা করতে হয়েছে তো প্রয়োজন বৃঝেই । বহ্যাববাহ প্রথা রদ হয়েছে-_তারও তো এই একই কারণ । মানুষের লোভের আর কামনার শেষ নেই বলেই তো । এসব সম্ভাবনা ভেবে দেখা উচিত ছিল অশোকার । ৯৭৪ শনতান্ত গ্রাম্য মূর্খ মেয়ে সে নয়। নিজেই খাঁচার দোর খুলে রেখোঁছল, পাঁখর পায়েও কোন শিকল দেবার ব্যবচ্ছা করে '_-তাতে সে পাঁখ যাঁদ পাঁলয়ে গিয়ে থাকে, শুধু পাঁখকে দোষ দিলে চলবে কেন ? দোষ অবশ্য সে দেয় 'ন, প্রাতবাদণ হয়ে তর্ক করতে আসে 'ন। তব, অমন নিঃশব্দে নীরব উপেক্ষায়ই বা আঁভযুন্ত করবে কেন 2." আরও দু-পান্ন পর পর খেতে হ'ল অরাঁবন্দকে, অদৃশ্য বিবেকের আনীত মামলার জবাব দিতে 'গয়ে । অশোকার এক সহপা'ঠিনী অরাঁবন্দর বন্ধুর বোন । সেইখানে সেই সহপাঠী বন্ধূর বাঁড় দেখা এবং আলাপ । পাঁরচয়ের সূত্র এইটুকু । অরাঁবন্দ তখন এম. এ. ও ল. পড়ছে একসঙ্গে, অশোকা 'ব, এ. ৷ অরাঁবন্দ খুব একটা সনশ্রী সুপুরুষ গল না কোন কালেই, বরং এখন তাকে অনেক ভাল দেখায়, তার চেহারাতে একটা 'বাঁশস্টতা এসেছে । তখন যা ছিল তাকে সাধারণ ভদ্রু চেহারা-_এইগান্র বলা যেত। অসাধারণত্ব যেটা, ষেটা প্রথমেই দৃষ্টি আকর্ষণ করত--সেটা ওর বাদ্ধর দীঞ্তি, সে দীপ্ত শুধু চোখে নয়-_সমগ্ত মুখেই দেখা যেত, সেইটেই ওর ওজ্জবল্যের আসল রহস্য। বাদ্ধর প্রাচুর্য এবং তীক্ষ7 মাজত কথাবাতা ওর তখন থেকেই, যা পরবতাঁকালে ওর অসামান্য সাফল্যের কারণ । ণিন্তু অশোকাকে কেউ কেউ সুন্দরী বলত। শ্বেতপাথরের মতো সাদা রঙ, ভেলভেটের মতো মসৃণ চামড়া-নপুণ ভাস্করের হাতে খোদাই-করা মৃঁতর মতো নিখুত মুখ চোখ। কারও কারও তাতেই আপাত ছিল । বড় বেশ 'নখুস্ত, বড় বেশী কাটা-কাটা ৷ আত 'নপুণ ভাস্করের হাতে তৈরখ, এতটা না হলেই ভাল হ'ত বোধহয় । আসলে ওকে দেখলে গ্রীক ভাস্ক্ষের কথাই মনে হ'ত, সেইরকমই চেহারা- ইয়োরোপাঁয়ান ধরনের, সাধারণভাবেও ইয়োরোপায়ান নয়, গ্রীক বলাই উচিত। আমাদের দেশের পাশ শ্াহলাদের মতো কতকটা । অনেকেই এ চেহারা ঠিক পছন্দ করেন না। অরাবন্দ করেছিল । ণকন্তু শুধু চেহারা নয় । আকর্ষণের আরও কারণ ছিল কছ;। শান্ত ভদ্রু ভাবভঙ্গী, অথচ বেশ মধাদাব্যঞ্জক, ভিগর্নিফায়েড বললে বা বোঝানো সহজ হবে। ১৭৫ কথাবাতায় বুদ্ধির প্রাখ্য নেই, কিন্তু আগ্তত্ব আছে। সে-বুদ্ধ উগ্রভাবে আরুমণ করে না, কথা কইলে ভারি একটা 'স্নদ্ধতা এনে দেয় । কথা বলে আরাম বোধ হয় । অরবিন্দর অন্তত তাই হয়োছল । মনে হয়োছল 'নবোধ বাঙালী মেয়েদের মরভূমে এই একটি ওয়োসস । এর পর যা হওয়া উচিত তাই হয়োছল । দুই আর দুয়ে চার হওয়ার মতোই । অরাঁবন্দ নজেই অশোকার বাবার সঙ্গে পাঁরচিত হয়ে, তাঁকে মেসোমশাই ও স্ব্শকে মাসিমা বলে সম্বোধন শুরু ক'রে দিল। এইটেই তার প্রধান শান্ত, সে যা করব বলে ইচ্ছে করে তা সে অনায়াসে ক'রে নিতে পারে। অপরের পক্ষে ষেটা চেম্টাকৃত কৌশল, ওর পক্ষে সেটা সহজাত । সুতরাং বিজয়বাবু ও তাঁর স্ত্রীর চিত্ত জয় ক'রে, সেখানে একাঁট স্নেহের ও প্রশ্রয়ের আসন আঁধকার করা অরাঁবন্দর পক্ষে ছেলেখেলার বোঁশ কিছ: ছিলনা । প্রণয়টা দুজনেই স্বীকার ক'রে নিয়েছিল-কোনরকম ভাঁণতা না ক'রেই। দুজনেরই সহজ বদ্ধ প্রবল ; যা পাঁরছ্কার, দিবালোকের মতো স্বচ্ছ-.. তাকে দেখতে না পাওয়ার ভান করবে, ওদের কেউই অত “ন্যাকা” নয় । এখন কথা উঠল 'বিবাহের। অরাবন্দও ব্রাহ্মণ--তবে রাঢ় শ্রেণীর, অশোকারা বারেন্দ্র অশোকা বলল, “বোধহয় তাতে আটকাবে না। সেটুকু ওদাষ আমার বাবার আছে। তুম তাঁকে বলো ।; বলল অরাবন্দ। কন্তু প্রস্তাবটা শোনামান্র বিজয়বাবু গম্ভণর হয়ে গেলেন। গম্ভীর শুধু নয়-_কেমন যেন 'িবমর্ষও । অরাঁবন্দ তাঁকে ভুল বুঝল । একট; উত্তপ্ত কণ্ঠেই প্রন করল £ “আপাঁন কি এখনও এই সব গোঁড়ামি মানেন নাক? এই বিংশ শতাব্দীর মধ্যসীমা পোরয়ে এসেও-7, “গোড়ামি ? প্রথমটা বুঝতে পারেন না বজয়বাবৃ, একট? অবাক হয়েই তাকান অরাবন্দর মুখের দিকে । কণ্ঠস্বরের অকারণ জৰালাটা তাঁর ভালও লাগে না। কিন্তু তার পরেই মনে পড়ে কথাটা, “৩-_তুঁম রাঢ়ী-বারেন্দ্র সেই আপাতত মনে করছ ? না না, ওসব কোন কথাই নয়, আমার ভাইপো একটি সংচাষীর মেয়েকে বিয়ে করেছে--আঁম তাকে ডেকে খাইয়োছ, আমার বাঁড়তে কশদন থেকে গেছে । না-না, আপাতত আমার কিছুতেই নেই । অন্য কথা ।.**সেটা-_ সেটা আম বরং টুটুকেই বলব । সে যা ভাল বোঝে তাই করষে।* . আপাত নম্--অথচ বাধা--কথাটা একট: দিননিরিকািরতিন্লান ব্যাপারটা 'কি আমাকে বলা বায় না ? ্‌ ১৭৬ “বলা যায়--কিন্তু না-ই বা বললাম। এ আমাদের ফ্যাঁষাীলর ব্যাপার একটা-_যে সব চেয়ে বেশ কনসারননড্‌--তাকেই বাঁপ না প্রথমটায়, সে যাদ জ বলা উচিত মনে করে বলব । তুম বাবা আর শুনতে চেয়ো না-_ প্লাজ!, অরবিন্দ একট: ক্ষ-্পই হয়োছল সোঁদন। তব বিজয়বাবুর এ অনুরোধের পর আর পণড়াপশাঁড় করতে পারে ?ন। প্রথমত স্বার্থ-আঁসাদ্ধর ভয়, দ্বিতীয়ত বিজয়বাবুর প্রায়-অনুনয়ের মতোই - শান্ত ও ভদ্র য্ান্তর উত্তরে কোন উপয্যস্ত প্রত্যুত্তর তখনই খুজে পায় নি। 1৩৪ ণবজয়বাব অশোকাকে ানজেই ডেকে বলোঁছলেন কথাটা ।-_রহসাটা পারষ্কার ক'রে দিয়েছিলেন । উপন্যাসের মতোই আবশবাস্য । বহুবার পড়া কোন উপন্যাস । কোন য্ান্ত নেই, প্রমাণ নেই--তব? একেবারে কাকতলীয় বলেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অন্তত 'বজয়বাবু 'দিতে পারেন 'নি। কে জানে কেন-অশোকাও পারল না। বহাদন আগের কথা । শতাধিক বৎসর আগের । ণবজয়বাবু থেকে তিন পৃরৃষ আগের । ওর প্রাপতামহের কাহনশ | গবজয়বাবুর পৃবপুরুষরা জমিদার দিলেন । খুব বড় রাজা-মহারাজা গোছের ছু নয়--তবু, বরেন্দ্রভামর অসংখ্য রাজতুল্য-প্রতাপশালণী জাঁমদারদের মধ্যেও তাঁদের 'বাশম্ট একজন বলে গণ্য করা হ'ত। সে জামদারশর আধকাংশই 'িজয়বাবূর গপতামহ নষ্ট ক'রে গেছেন- _বাকণ যেটুকু ছিল ও*র বাবা 'বিক্লী ক'রে গোপনে স্বদেশী আন্দোলনে টাকা যণগয়েছেন-_-পূর্ব-পুরুষদের সাত বহু পাপ ও অত্যাচারের কিছুটা প্রায়াশ্চত্ত হবে-_ এই আশায় । ফলে বিজয়বাবুরা 'কছুই পান ন। সেই জন্যেই বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের অনেক আগে প্রায় কিশোর বয়সে কলকাতায় এসে জশীবকার পথ খহজতে হয়োছল তাঁকে। একরকম ভালই হয়োছল অবশ্য--তাঁর ষে ভাই বা জ্ঞাতিরা সেচেষ্টানা ক'রে নামসবস্ব জামদারী, পৈতৃক গ্রামটুকুর কয়েক বিঘা জাঁম আঁকড়ে পড়ে গছলেন, নিজেদের চারপাশে একটা 'মথ্যা মাদার স্বপ্নজাল রচনা ক'রে__ ১৭৭ গজেন্রুকুমার 'মন্ত্র রচনাবলী (৬ষ্ঠ)--৯২ তাঁদের আজ দৃর্গাতর পরিসীমা নেই। গবজযনবাবুর প্রাপতামহ এক অদ্ভুত ধরনের মানুষ ছিলেন । 1তান তাঁর সমসাময়িক কালকে স্বীকার করতেন না, এক 'বাঁচন্ত্র মানীসকতায় 1তাঁন চিরাঁদনই কয়েক পুরুষ 'পাছয়ে থাকার চেম্টা করতেন। চলনে বলনে আচরণে পৃব-পুরুষদের জনশ্রুত মাহিমার অনুকরণ করতেন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মুখ থেকে যে-সব স্বেচ্ছাচারিতা, শান্তর যে মদাম্ধ প্রকাশের কাহিনী শুনতেন, তখন সে চ্ছান-কাল ?কছন না থাকা সত্তেও, সেইগুলোই নতুন ক'রে পৃনরাভনীত দেখতে চাইতেন তাঁর জীবনে । িজেকে সেই সময়কার, তাদেরই একজন ভাবতেন । এর জন্য বহৃবার বহু 'বপদে পড়তে হয়েছে। তখন ইংরেজ আমল সংপ্রাতঙ্ঠিত হচ্ছে। ওরা বুঁদ্ধমান, নবাববাদশারা ষে ভুল করোছল, সে ভুল করে 'নি। ইংরেজরা জানত যে এই সব প্রায়-স্বাধীন জাঁমদারদের পক্ষচ্ছেদ করতে না পারলে, এদের ইংরেজরাজের শান্তর আস্বাদ পাওয়াতে না পারলে-_ওরা প্রবল বিপদের কারণ হয়ে থাকবে চিরকাল । তাই তখন তারা কঠোর-হন্তে এই সব ভূ-ইয়াদের দমন করতে শুরু করেছিল । . . লেঠেল পাইক বরকন্দাজ প্রভৃতি ছদ্ম-সৈন্য রাখা রাঁতমতো কাঁঠন হয়ে পড়েছিল । আগে বারা বাবুদের হুকুমে দনে-দুপুরে লোকের মাথা কেটে এনে গর্ব ক'রে বেড়াত--তাদের ধরে ফাঁস দেওয়া ছ্বীপান্তরে পাঠানো শুরু হয়ে গগয়োছল। ফলে সকলেই তখনকার বর্তমানকাল সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠতে বাধ্য হয়োছলেন। কেবল 'বজয়বাবূর কতাবাবা বা প্রাপতামহ ছাড়া । 1তাঁনও সেই নবাবী আমলের প্রতাপ দেখাতে গিয়ে কম বিপন্ন হন নি, এক-একটা হঠকা'রিতার জন্য বার বার আদালতে যেতে হয়েছে, পাইক পেয়াদা লেঠেলদের জন্যে মুঠো মূঠো টাকা খরচ করতে হয়েছে-_-তাও সবাইকে বাঁচাতে পারেন নি, সেজন্য তাদের বৌ-ছেলে-মেয়েকে ক্ষাতপূরণ 'দিতে হয়েছে কু [িছু, তবু নিজের স্বভাব বদলাতে পারেন !ন ! পারেন 'নি বাস্তবকে স্বীকার ক'রে নিতে । . পরাকাহিনীর- ইতিহাস নয়, প্রবাদ ও জনশ্রীতর-_যে মিথ্যা মোহকে বাস্তব সত্য বলে আঁকড়ে ধরেছিলেন, তার মায়াজাল কাটিয়ে বতণমানের দিবালোকে বেরিয়ে আসতে পারেন 'নি, ভান্ত ও 'মিথ্যাকেই প্রেয় ও শ্রেয় বলে মনে ক'রে গেছেন চিরকাল । এই মিথ্যা মোহেই একবার একটা আত গাঁহ্ত কাজ ক'রে বসলেন তান _ বড় (তাঁর বদ্বাস-মতো ) জাঁমদারের উপযহন্ত এবং অবশ্যকরণণয় জ্ঞানে । ৯৭৮ তাঁর প্রজাদের মধ্যে এক বাঁধ ব্রাহ্মণ ভদ্রলোকের মেয়ের 'বয়ে ঠিক হয়োছল। ভুলক্রমে আগে বাবুকে" জানানো হয় নি বা অনুমাত নেওয়া হয় 'ন। একেবারে যখন নদ্নপদে নত-মন্তকে উপয্যস্ত দীনতায় ভদ্রলোক 'নিমন্ণ করতে এলেন--তখন বাব্‌, অথাৎ 'বজয়বাবুর কতাবাবা জলে উঠলেন একেবারে । তখনই তো ভদ্রলোককে বেধে সারাদিন রোদে দাঁড় কাঁরয়ে রাখার হুকুম হ'--তারপর বলে বসলেন, “ও বিয়ে হতে পারবে না !, ভদ্রলোকদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল । স-পাঁরবারে এসে পায়ে পড়লেন ওর । সব ঠিক হয়ে গেছে, নাটোর জোয়াঁড়র বর, তারাও নিতান্ত কেওকেটা নয়, জামদার-বংশ তাদেরও--এখন এভাবে বিয়ে ভেঙে দিলে খুব অপদদ্ছ হ'তে হবে । তারা তো অপমানিত হবেই--এ+দেরও মুখ দেখানোর উপায় থাকবে না। তাছাড়া, এরপর ও মেয়েকে কে বয়ে করবে ? নানারকম দুনমি রটে যাবে, এ*রা বিয়ে বন্ধ করেছেন কেউ কি 'িম্বাস করবে? বলবে মেয়ের দোষ 'ছিল, বরপক্ষই ভেঙে 'দয়েছেন সেজন্যে । সে কথার উত্তরে বাবু অভয় দিলেন, “কুছ পরোয়া নেই, ও মেয়েকে আমিই গবয়ে করব ।, সর্বনাশ ! ভদ্রলোক আরও বসে পড়লেন । তাঁরা কুলণন, ব্রাহ্মণের কন্যাগত কুল, এইটি বড় মেয়ে--এর সঙ্গে জামদার- ধাবুর বিয়ে হলে-_-( বাবর যে পণ্টাশ পৌঁরয়ে গেছে, সেটা অবশ্য ধর্তবোর মধ্যে নয় ) তাঁদের কুল থাকবে না। আজ অবাঁধ তাঁরা ভঙ্গ হন নি কোন পুরুষে । গকন্তু সে কথা কে বলবে ? অবশ্য শেষ পযন্ত বলতে হ'লই-_চোখ-কান বুজে, দংগানাম স্মরণ ক'রে। গকন্তু দুগা্ড 'কছ? করতে পারলেন না, ফল হ'ল বিপরীত । বাবু স্পম্টই হুকুম দিলেন যে, কুল থাক বা না থাক-াঁতাঁনই এ দন বরবেশে এ মেয়েকে বিয়ে করতে যাবেন, এরপর ষে কোন কথা বলতে আসবে »তার সপুরণ এক-গাড়ায় যাবে। এরা তখন একটা চালাকি খেলতে গেলেন । ডি তাঁরথে বিয়ে ঠিক হয়োছল, তার দুঁদন আগেও একটা 'বয়ের ৃ | এমনি কি একটা স্ীবধা-অসুবিধার প্রশ্নেই পরের দিনটা ঠিক করোছলেন 'তাঁরা। ১৭৯ এখন বরপক্ষকে ব্যাপারটা আনাতে তাঁরাও রুখে উঠলেন । বললেন, বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বচ 1."পাঁচ হাজার টাকা আয়ের জামদার -মেজাজ দেখাতে চান চাঁদ রায়ের মতো ।""'না-না, ও বেটাকে জব্দ করতেই হবৈ, ধা বলবেন তাই করতে রাজ আছ আমরা |, তখন 'চ্থির হ'ল যে, আগের এ 'িনটাতে চাঁপ চুপ বর প্রত নাপত-- িতনজনে 'তিনথানা নৌকোয় ক'রে এসে সম্ধোর পর পেশছবে- তারপর বন্ধ ঘয়ের মধ্যে কোনমতে সম্প্রদানের কাজ সেরে রান্রেই কনে নিয়ে তারা দেশে গফরে যাবে । শাঁখ বাজবে না, উল: দেওয়া হবে না, কাকে-বকেও টের না পায় । স্ব্ী-আচারের তো প্রশ্নই উঠতে পারে না, কারণ তাহলেও কিছুটা জানা- জান হবে, আর সেশকছু নিঃশব্দে সারা যাবে না। জ্ঞাত এমন ক প্রাতবেশদের জানাতে গেলেও কথাটা ফাঁস হয়ে যেতে পারে । এ একেবারে কাঁচাখেকো দেবতাকে 'নয়ে কাজ, ফাঁসি তো পরে হবে-_সে- সব ও পরোয়াও করে না, এখন টের পেলে সাঁত্য-সাঁত্যই সবাইকে খুন ক'রে বসবে। ণকম্তু বিয়ের পর ? তখন তো জানতে পারবেই ৷ বর সেজে এসে যাঁদ দেখে কনে নেই--সে তো আরো ক্ষেপে যাবে ! তখন 2 এ প্রন তুললেন মেয়ের কাকা । বাবা বললেন, “সে ঘা হয় হবে। পার আমরাও পরের 'দন রাতারাতি নৌকো ক'রে বোৌরয়ে আমার *বশুরবাঁড় চলে যাব, সে এর এন্তারের বাইরে, নাটোরের বড় তরফের এলাকা, সেখানে এর ট্যাঁফোঁ চলবে না ।--আর অত ভাবতে গেলে চলবে না, আগে মান পরে প্রাণ 1৯ | ণকল্তু যতই গোপন রাখার চেষ্টা করা হোক ব্যাপারটা--কেউ জানতে পারবে না--তা সম্ভব নয়৷ কথাটা যথাসময়ে বাবুর কানে উঠল ! 1তাঁন চে*চামোঁচ করলেন না, তখনই পাইক-পেয়াদা পাঠালেন না, তবে যারা তাঁকে চেনে তারা বন্ত্রগর্ভ মেঘের মতো অন্ধকার মুখ আর ক্রুর কঠিন দৃষ্টি দেখে বুঝল--আজ একটা প্রলয় না হয়ে যাবে না। 1তাঁন নিঃশব্দে সব ব্যবস্থা ঠিক করলেন । বরের নৌকো ঘাটে এসে থামতেই এ*র লোকজন গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল । মাবঝ-মাল্লাদের তাঁড়য়ে বরকে নৌকোর সঙ্গে বেধে নৌকো ফুটো করে' ডঁবয়ে দেওয়া হ'ল । কনের ভাই ঘাটে এসে দাঁড়িয়ে ছিল-_-তাকেও এঁ নৌকোর সঙ্গে ডুবনোর কথা তুলোছল কেউ কেউ-_কর্তা নষেধ করলেন । | হেসে বললেন, হাজার হোক আমার পণ্চম পক্ষের শালা হ'তে যাচ্ছে; তা?কপার? শেজেজের হাত শুধ; হবে যে !, না, অতটা করলেন না, তার হাত-পা বেধে ওখদের গারদখানায় পাঠাবার ১৮০ হুকুম 'দিয়ে সেই' রায়েই কনের বাঁড় শিল্পে হাজির হলেন ) বললেন, 'সে বর তো এতক্ষণ আল্লাইয়ের তলায় গিয়ে আগমন জন্মের বিয়ের কথা ভাবছে । আম তোমাদের জন্যে ভেবে কূল পাই নে । তোমাদের মেয়ে আজ রাত কাটলেই তো দোপড়া হয়ে যাবে-_তাই আমিই এলুম-- তোমাদের কূল রাখতে পারব না হয়তো-_আাত রাখবো ।, কান্নার রোল উঠুক আর যাই উঠুক, ও*্র হুকুম-মতোই কাজ করতে হ*ল-_কারণ ততক্ষণে জন-পণ্চাশেক লেঠেল এসে এদের বাঁড় 'ঘরেছে। বাঁচিয়ে দিল সেই মেয়েটাই । বোধহয় তার ঘেন্না হয়ে গিয়োছিল সমস্ত ব্যাপারটায়, কিংবা বাবা যে কুল রাখার জন্য এত কান্ড করছেন সেই কুল নম্ট হতে দেবে না বন্দেই £ অথবা এ লোককে স্বামী বলে তার ঘর করবার ভয়ে । কেউ কিছু বোঝবার বা বাধা দেবার কথা "চিন্তা করারও আগে--পৃজোয় বলি দেবার যে খাঁড়াটা ঠাকুরদালানে ঝোলানো থাকে-_সেই খাঁড়াটা বাঁসয়ে গদল নিজের গলায় । বাবু লেঠেল বরকন্দাজ--এমন ?ক থানা পৃশীলসও বোবেন, এই ব্যাপারটার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। এরকম যে হতে পারে, এমনভাবে অনায়াসে কেউ তাঁর কবল থেকে তাঁকে “দুয়ো” দয়ে বোরয়ে যেতে পারে, তা তান কখনও ধারণাও করেন 'ন। গতনি বোর কার এই প্রথম হার মানলেন ও ঘাবড়ে গেলেন । পা পা ক'রে পাছয়ে বৌরয়ে এলেন সেখান থেকে । সেই ও*দের বংশে ভাঙনের সূত্রপাত । থানা পুলিস তো হবেই-_ খুন আত্মহত্যা দু-দদটো ঘটনা চাপা দেওয়া যায় না। আত্মহত্যার কারণ জানতে গিয়েই বরের ভাগ্যের কথা উঠল, সে-লাশ্ও পাওয়া গেল। মাঁব-যাল্লাগুলোকে মেরে তাড়ানো হয়োছল-_তারাও তাদের এলাকায় য়ে থানায় কেস লীখয়েছে__সাক্ষীর অভাব নেই । এর আগেও অনেকবার পুঁলস এই লোকাঁটকে ধরবার চেস্টা করেছে-_-ঠিক বাগে আনতে পারে 'ন। এবার ভাল রকমেই কাবু ক'রে ফেলল ণবস্তর টাকা খরচ ক'রে যাঁদ বা তান নিজে বাঁচলেন- দুটো লৈঠেলকে বাঁচাতে পারলেন না-_তাদের দ্বপান্তর হয়ে গেল। তবু তারাই ওর গলার ফাঁসিটা বাঁচিয়ে গদয়ে গেল বলতে গেলে-_-নজেদের ওপরই সব দায় তুলে নিয়ে । সেও অবশ্য শুধৃ-হাত মুখে ওঠে নিন তা বলাই বাহুল্য । বিস্তর টাকা গুনে দিতে হয়েছিল তার জন্যে । ৯৮৯ এই মকদ্দমা চলোছল প্রায় দু বছর । এই দশর্ঘকাল ধরে দভাবনা ভোগ করার ফলেই বোধহয় একেবারে ভেঙে পড়লেন তান । এরপর বেশশীদন আর বাঁচেনও 'ন। সম্ভবত, এবার যে বাস্তবে নামতে হ'ল--স্বাকার করতে হ'ল যে জামদারদের অখণ্ড প্রতাপের দিন চলে 'িয়েছে--এই সচেতনতাই তাঁর পরমায়; ক্ষয় ক'রে আনল আরও । মৃত্যুর আগে আরও একট কাঠন আঘাত পেতে হয়োছিল তাঁকে । খুব ঘটা ক'রে বড় মেয়ের বয়ে দয়োছিলেন তান । ভাল পান্ন, বড় জমিদারের একমান্র ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়োছল । দেখতে ভাল, আরও বড় কথা-_-তখনকার 'দনে যা জাঁমদারের ঘরে দূলণ্ভ ছিল-_সচ্চারন্রও | সাত্য-সাঁত্যই বড় জাঁমদার, বিজয়বাবদের মতো 'বগত দিনের স্মৃতি- রোমন্থনকারা নয় । ধিন্তু সেই জামাই বিয়ের ঠিক এক মাসের মাথায় ঘোড়া থেকে পড়ে মারা গেল। পুরনো ঘোড়া, আত পপ্রুয় ও পারচিত--কা যে হ'ল সে ঘোড়ার-_মাঠে যে গকষাণরা কাজ করাছল তারা দেখেছে-_সাংঘাতিক ভয়ে চার পা তুলে লাফিয়ে ফেলে দিল মালিককে, ছেলোটর পা তখনও রেকাবে আটকানো- সেই অবস্থাতেই দৌড়ে বাঁড়তে গিয়ে থামল যখন-তখন আর মাথা বা মুখের গকছু চেনবার উপায় নেই। এ সূত্রপাত । কিন্তু তখনও কেউ এটার কোন বশেষ অর্থ খোঁজবার চেষ্টা করে নি। পরে করল। দেখা গেল এ বংশের যে বখন বড় মেয়ের "বয়ে দিয়েছে বা দিচ্ছে, সে বিয়ের নতুন বর বিয়ের একমাসের মধ্যেই-কোন না কোন ভাবে অপঘাতে মারা যাচ্ছে । এমন পর পর দ: তিনটে ঘটনা ঘটতেই লোকে 'মালয়ে নিতে শুর? করল । তার পরেও কিম্তু এ ঘটনা আরও ঘটেছে 'িজয়বাবৃদের বংশে, এবং এখনও ঘটছে । ॥8 1 দীর্ঘ কাহিনী শেষ ক'রে বিজয়বাব: অধুনাতন দুটি উদাহরণ দিলেন । 'তোর বড় জ্যাঠা, আমাদের বড় জ্যাঠতুতো ভাই অনেক কাণ্ড ক'রে পাকিস্তান থেকে টাকা পাঠিয়ে সুষর বয়ে দিল-_সুষমা ওর বড় মেয়ে মনে নেই তোর? হ্যাঁমনে আছে, এখানে তো হয় ন-_কাশশীতে হ'ল বলে আমরা কেউ ১৮২ যেতে পার নি-_,. “ইচ্ছে করেই কাশশতে 'দিয়োছল বড়দা। বলে তাঁর্থে নাক ফাঁড়া কেটে যায়, আভশাপ লাগে না। বর কাশীতেই লেকডারার ছিল বলে কোন অসুবিধেও হয় 'ি-আমরা কশদনের জন্যে ধর্মশালায় উঠে বিয়ে দয়ে এসৌছিলুম । আম গিছলুম-_বড়দা তো আসতে পারলেন না--শেষ পযন্ত 1ভসা নিয়ে গিয়ে কি গোলমাল হ'ল। জামাইকে আম হাতে ধরে অনুনয় ক'রে এসৌছলম বিয়ের দিন থেকে একমাস কাশীর বাইরে কিছুতে না যায় যত িপদই আসক বা ষত দরকারই পড়ূক। যায়ও ?ন সে বেচারণ, কিন্তু ঠিক এক মাসের মাথায়, ন্লিশ দিনের দিন-যোদন আঁম এখানে বসে ভাবাছ যে আজকের রাতটা কাটলে, কালণঘাটে গিয়ে পূজো 'দিয়ে আসব আর বড়দাকে একটা টোলগ্রাম করব--এতাঁদনে এ আঁভশ।প কাটাবার একটা পথও পাওয়া গেল বুঝতে পারব-__সেই দিনই সকালবেলা রামাপুরার মোড়ে এঁ গীজটার কাছে বাস চাপা পড়ে মারা গেল ।” শুনতে শুনতে অশোকার শুভ্র ললাট বিবর্ণ রন্তহশীন হয়ে উঠোছল। কিন্তু এছাড়া মানাঁসক চাণ্ল্যের আর কোন লক্ষণ প্রকাশ পেল না এখনও, স্থছর হয়েই বসে রইল সে--স্থির, প্রায়শনারনমেষ দ্ন্ট বাবার মুখের ওপর মেলে। বিজয়বাবূর বলা তখনও শেষ হয় 'ন। তান একট; চুপ ক'রে থেকে বললেন, শরসেণ্ট ঘটনাটা তো তুই জানসই । খবরের কাগজেই দেখোছিস রত্বার কথা--বিয়ের পরের সপ্তাহেই হানম:ন করতে দাঁজশলং গেছল ওরা-_-ফরল রত্বা একা ***আশ্চর্য এই, ওদের গাঁড়টা স্কিপ ক'রে অত নিচে পড়ল, গাঁড়টা গীড়য়ে চুর হয়ে গেল, জামাইয়ের হাত- পাগুলো খুঁজে কুড়িয়ে আনতে হ'ল বলতে গেলে--ড্রাইভারকে চেনাই গেল না, কেবল রত্বাই বেচে উঠল-_এই বৈধব্য ভোগ করবে বলে ।, ত্বা» এই প্রথম চমকে উঠল অশোকা, অনেকক্ষণ পরে এই প্রথম কথা কইল, 'রত্বা? মানে আঁটিস্ট রত্বাঃ রত্বা কি আমাদের কেউ হয়? কৈ, কখনও শুন'ন তো ? আর চৌধ্রীই বা কেন তাহলে ? স্ক্ীনের জন্যে পদবী পালটে ছিল ? “আমরা যে আসলে লাহড়াঁ-চৌধুরশ মা 1; ম্লান করুণ হেসে বললেন বিজয়বাবহ, “চৌধুরীটা আমরা বাবার আমল থেকে ত্যাগ করোছ--তাঁন খুব বড় রকমের স্বদেশীওলা 'ছিলেন- ইংরেজদের ভাষায়--তা জানিস তো--প্রায় সর্বস্ব বেচে টেররিস্টদের টাকা 'দিয়োছলেন, 1নজেও জেল খেটেছেন কতবার--তাঁর একবার মাথায় 'গিয়োছল যে প্রজাদের সব জাম তাদের 'দিয়ে টলস্টয়ের মতো প্রন্রজ্যা নেবেন । জ্ঞাতিদের চাপেই ণকছু করতে পারেন নি । তাঁর ধারণা ছিল যে চৌধুরী উপাঁধিটাই ফিউডাল, তাই ওটাকে বর্জন করোছলেন। সামহাউ- আমার জ্ঞাত জ্যাঠা-কাকারা ১৮৩ সবাই ওটা মেনে নিয়েছিলেন । অবশ্য নামের সঙ্গে জামদারদ্বটুকু থাকা তখন প্রায় পাঁরহাস হয়ে উঠোঁছল, ছেড়ে বেশচোছলেন সকলেই ।” 7 শকল্তু রত্বা ? অশোকা একটু অসাঁহফ: ভাবেই তাঁকে প্রসঙ্গের মধ্যে আনার চেস্টা করোছল, “রত্বা কি আমাদের কাঁজন তাহ'লে ৮. “রত্বা আমার কাঁজন। আমার ঠাকুদরি চারটি বিবাহ 'ছিল, দ্াটি বো সর্বদা একসঙ্গে ঘর না করলে তাঁর শান্তি হ'ত না। প্রথম পক্ষ থাকতেই পর পর দট পক্ষ মারা যায়। রত্বার বাবা সেই শেষ বা চতুর্থ পক্ষের সন্তান । ছোট ঠাকুমা বড়লোকের মেয়ে ছিলেন, 'রিধবা হন যখন তথন তাঁর মোটে একুশ- বাই বছর বয়স। তান এখানে সামান্য আয়ের এতগাাীল ভাগের ভরসায় রয়ে যা থেকে সঙ্গে সঙ্গেই বাপের বাঁড় চলে যান স_সঙ্গ_ময়মনাঁসংহে । সেই থেকেই আমাদের সঙ্গে ছাড়াছাড়-ঠাকুমা কি আমার কাকা-_দেশের ভাগ ণনয়ে কখনও মাথা ঘামান 'ন, বরং বাবার আমলে কিছ কিছ যখন বিক্লী করার প্রয়োজন হ'ল-_যাওয়া মানত নাদাবীনামায় সই ক'রে দিয়েছেন! আর সেই ছোটকাকাই--তাঁর মাতামহরা চৌধুরী-_তাঁদের সঙ্গে মায়ে চৌধুরপট,কু রেখোঁছলেন, লাহড়বটা বন করেছিলেন । নইলে অন্য কোন দূর সম্পর্ক নয়, দশরান্রির জ্ঞাত । বাবার আপন বৈষমান্ন ভাইয়ের মেয়ে। রত্বা তো লেখাপড়া শিখে এম, এ পাস ক'রে এ লাইনে এল, ইচ্ছে করে। বেশ ্যাকমএরপ্লশভ: মেয়ে । বিয়েও তো করেছে সজাতিতে, বারেন্দ্র অবশ্য নয়__ ছেলের উপাঁধ চক্রবত আসলে ওরা চাটুজ্জে ।--ছেলে ভাল এীঁঞ্ষনীয়ার-_ জামনী-ফেরত, এখনই ষোলশ টাকা মাইনে পাচ্ছিল ।, কতকটা স্মৃতিচারণের ভঙ্গীতে বলতে বলতে বোধ কার আসল বন্তব্যের খেই হারয়ে ফেলোছলেন 'বজয়বাবু, এবার মনে পড়তেই আবার সোজা হয়ে বন্দলেন, একট? িষ্গ্রভাবেই বললেন, “এই ব্যাপার মা, এই জন্যেই অরূর প্রস্তাবটা আমার কাছে হাঁরষে গবষাদ হয়ে দাঁড়য়েছে। ওকে এত কথা বলে লাভ হ'ত না-_এসব ও বুঝত না। তাই তোকেই আগে বললূম। ভেবে দ্যাথ তুই । বিয়ের বয়স হয়েছে_-বয়ের ইচ্ছেটাও স্বাভাঁবক-_করাবিও হয়তো, এইজন্যে চিরাদন কুমারণ থাকাব--সে ক আর সম্ভব-তবু যা করাঁব জেনেশুনে করাই ভাল । তুই তো তেমান 'ফিন্প্যান্ট ধরনের মেয়ে নোস, স্গব দিক ভেবে যা বলাঁব আম তাতেই রাজী হবো । ভেবে দ্যাখ ভাল ক'রে-_- যাঁদ অর্‌কে কনাঁফডেন্স-এ নিতে চাস তো নে, খুলে বল ওকে সব কথা, দ্যাখ ও ?ক বলে।, রলোছল অরাবিন্দকে সব কথা অশোকা । 1কছুই গোপন করে নি, কিছহ বাঁড়য়েও বলে নি। অরবিন্দ কিন্তু একেবারে ডীঁড়য়ে দিয়েছিল কথাটা । ঞ্টাফ্‌ আগ্ড ননসেন্স। রাবিশ। তুমিও 'কি এই সব প্রেজুডসে বিশ্বাস করো 2 ও'রা সেকেলে লোক, আর কিছ? না পেয়ে, বংশের অন্য ৯/৪ কোন মহান ট্র্যাডশন ধরতে না পেরে এই কার্সস্ট্যাডিশনটাকেই আঁকড়ে ধরেছেন। ওসব বাদ দাও 'দাক। হ'তে পারে-_-এক-আধটা ঘটনা যে ঘটে নন তা নয়, রত্বা চৌধুরীর ইনঁসিডেস্টটা আমিও পড়েছি কাগজে--কিন্তু ওসব হ'ল কাকতালীয় ব্যাপার । কাক তালগাছে এসে বসল, তাল গুড়ল--তার কারণ এ নয় যে কাকটাই তালটাকে ফেলল । ওসব ভুলে বাও--লেট; আস প্রোসীড উইথ আওয়ার প্্যানৃস্‌ 1, কিন্তু অশোকা গম্ভীর ভাবে ঘাড় নেড়োছল। অরাঁবন্দর উৎসাহ তার 'স্থরবযাণ্ধকে বিলিত করতে পারে টি । বাপের ওপর অশোকার অগাধ 'বশ্বাস চিরকাল । আর যা-ই হোক, বাজে কথা বলার লোক 'তাঁন নন, বিশেষ যেখানে তাঁর মেয়ের ভাঁবষ্যতের প্রশন- সেখানে তো বলবেনই না। বাধা দেবার ইচ্ছে থাকলে সোজাস্হীজই রলে দিতেন । এখনও বাধা দেবার কথা বলেন ন। ভেবে দেখতে বলেছেন এই মান্ত। অশোকা বলোছল, “যাঁদ একা আমার জশবনের প্রশন হ'ত তো আমি এক মুহ্‌তও ভাবতুম না। এ তোমার জীবনের প্রশ্ন । তোমার জীবন আমার কাছে, আমার থেকে ঢের বেশী মূল্যবান । বাবা বাজে কথা বলেন নি, এর সব ক'টা ঘটনাই কখনও না কখনও শুনোছ, সুষাঁদর ঘটনাটা তো মানত দু বছর আগের । স্হাধাদর দুরবস্থা চোখের সামনেই দেখাছ । স্বামীকে তো প্েলই না, উলটে সে *বশুর-শাশুড়ী এখন ওর ঘাড়ে পড়েছে । এক সেলাই কলের সেলস উওম্যান হিসেবে বাঁড় বাঁড় ঘুরে সামান্য 'ি মাইনে প্রায় এ ছাড়া একটা ক 'িউশাঁন করে । সোদপুরের কাছে ঘোলায় থাকে । বাবা যা পারেন যৎসামান্য কিছ; সাহাযা করেন-_কন্তু তাঁরই বা সাধ্য কতটুকু 1, শকন্তু তোমার সাধ্য তো ওর থেকে বেশী। তুমি গ্র্যাজুয়েট হবে দুশদন বাদে ।, অরাবন্দর কণ্টে প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপের সুর । অশোকা কিন্তু সে ব্যঙ্গ যে ীবশেষ লক্ষ্য করল তা মনে হ'ল না। আগের মতোই শান্ত দূঢ়কণ্ঠে বলল, “খাওয়া-পরার অভাব ছাড়াও গেয়েদের কছু দুর্গত থাকতে পারে--যা উপাজনের দ্বারা দূর করা যায় না। তাছাড়া বললামই তো, আমার স্বার্থ, আমার ভাঁবষ্যতের চেয়েও তুমি ঢের বেশ? মূল্যবান আমার কাছে ।' “তাই বলে, সামান্য একটা বাজে অর্থহীন কুসংস্কারের জন্যে তোমাকে আম হারাব 2, [বিষম উত্তোজত হয়ে ওঠে অরাবন্দ 'নমেষের মধ্যে, বোধহয় অশোকার শেষের কথাটায় আত্মঅহমিকায় সংড়স্দড় লেগেছে তার, সেই কৃতজ্ঞতায় প্রেমটাও উদ্বেল হয়ে উঠেছে, “এই বংশ শতাব্দশর দ্বিতীয়াধে” আনাবক যুগে এই কথা বিশ্বাস ক'রে দুটো জীবন নষ্ট করবে তুম ৮ “কে বললে নষ্ট করব ? "য়ে হবে না বলে আমরা পরস্পরকে হারাব, ৯৮৫ এরকম কথা তুমি ভাবছই বা কেন ? “তার মানে 2? হতবাক হয়ে যায় অরাঁবন্দ, 'নবোধের মতো তাকিয়ে থাকে অশোকার মুখের দিকে । 'মানে-_ আমরা জাস্ট ঘর ঘরব- -্ল্যাজ হাসব্যান্ড আ্যাপ্ড ওয়াইফ--এই আর ি! বিয়ে হলে তো বৈধব্যের প্রশ্ন। বিয়েই যাঁদ না হয়__বিধবা হওয়ার কথা তো উঠবে না !; আরও অনেকক্ষণ সময় লাগল অরাঁবন্দর কথাটা বুঝতে এবং উত্তর দেওয়ার মতো শান্ত খুঁজে পেতে । সেবেশ কিছুটা পরে বলে উঠল, 'যাঃ! কী বলছ যা-তা! কোন অনুষ্ঠান হবে না, রেজৌঁস্ট্রও না ? রেজেস্ট্রিও তো বিয়ে। সেখানেও বৈধবোর প্রশ্ন আছে ।” তাই কখনও হয় 2? লোকে 'ি বলবে, সমাজ ?, “সমাজ বলতে ি আর কিছ আছে ! বিয়ে হয়েছে এই কথা বললেই হ'ল। পরিচয়টাই তো আসল। আমাদের বন্ধৃ-বান্ধবরা কেউ এত গপউীরটান নয় আশা কার যে এসব 'নয়ে মাথা ঘামাবে 1) ণকন্তু আমাদের বাবা-মা ? তাঁরা রাজী হবেন কেন ৯ কৈমন এক রকমের ক্ষণ অসহায় শোনায় অরাঁবন্দর কণ্ঠ। মঙ্জমান ব্যান্তর তৃণাবলম্বনের মতই সে যে শেষ পর্যন্ত বাবা-মাকে টেনে আনছে, সেটা নিজেও বুঝতে পারে বোধহয় । “বাবা-মার মতেই ক বিয়েটা করাঁছলে 2 -তাঁদের মত কি হাতিমধ্যে ণনয়েছ? এই তো এখনই আমার বাবার মতের বিরুদ্ধেই য়ে করতে বলাছলে আমাকে 1? এবার ক অশোকার গলাতেও একট] ব্যঙ্গ উশক মারে কোথাও ? ঠিক বুঝতে পারে না অরাবিন্দ। খাঁনকটা চুপ ক'রে থেকে বলে, “ীকম্তু ছেলেমেয়ে-তাদের কি পরিচয় দেবে ? “কেন 2 এবার তীক্ষু হয় অশোকার কন্ঠ, 'তারা তোমার পাঁরিচয় দিতে পারবে নাঃ তোমারও তো প্রেজঁডস কছ্‌ কম দেখাঁছ না, একটা কছ অনূয্ঠান না হলে, তুমি তোমার ওরসজাত ছেলেকে নিজের ছেলে বলে পাঁরচয় পদতে পারবে না? না-না, তা কেন, বারে! এসব কথা কেন আসছে !; অসংলগ্ন হয়ে ওঠে অরাঁবন্দর কথাবাতাঁ। _ কিথা তুমই তুলেছে আম তাল 'ন..দ্যাখো, এই যে এত ফ্যামাল চারপাশে দেখাঁছ, এই যে এত আমার সহপাঁঠিনী, তোমার সহপাঠী বন্ধু বা বান্ধবী, এরা যে 'পিতৃপরিচয় দেয়-_তার বাবা-মারা সমর্থন করে বলেই আমরা. মেনে নিই, নয় দি ? কে কার 'বিবাহু-সভায় উপাস্থিত থাকে বল? রেজোস্টি ন৮১/৬ বিয়ের তবু একটা কাগজ থাকে, হিন্দু বিয়ের তো তাও না। এদের যে সকলেই সাঁত্য সাঁতা 'িবাহের ফল তা কেউ হলপ ক'রে বলতে পারে 2 আমার এক মাস্টার মশাই একটা ব্যারাকবাঁড়তে ছিলেন, তান বলেন তাঁর চারাঁদকে আঠারোটা ফ্যামাল-গত সেন্সাসে খবর 'নতে গিয়ে দেখা গেছে যে আধকাংশই ীববাহত দম্পাঁতি নয়। মানে পাঁরচয় নাম পদবশর গোলমালেই ধরা পড়েছে । অথচ তারা সবাই সম্ভ্রান্ত লোক, বোঁশর ভাগই সরকারী চাকুরে, বড় বড় আঁফসার-_তাদের ছেলেমেয়েরা মিশনারী ইস্কুলে গভরনমেন্ট ইস্কুলে পড়ছে-_তাদের 'কসে আটকেছে ? অরবিন্দ নিজেকে যতই সংস্কারমনুন্ত বাস্তবানভ্ঠ যাান্তবাদী বলে প্রচার করুক, বাদ্ধমান তো বটেই--এতটা আধুদনকতা তার পক্ষেও গলাধ্করণ করা কাঠন হ'ল । সে আরও কিছ: আপাতত তুলতে চেম্টা করল, আরও বহ: য্যান্ত প্রয়োগ করতে-_কিন্তু অশোকা কোন কথাই শুনল না । সে এক কথায় সমস্ত আলোচনা তকর্শীবতকর্ণ যান্ত-প্রাতযযীন্ত প্রয়োগের পথ বন্ধ ক'রে 'দয়ে পাঁরজ্কার বলল, “তুমি তো জান আম হঠাৎ 'কছ: 'ঠিফ কার না, সামায়ক আবেগে বিশ্বাস নেই আমার । যা কার তা ভেবোঁচন্তেই কার, সমস্ত প্রস্্‌ আর কন্‌স্‌ একবারই ভেবে 'িই--তারপর আর সহজে মত বদল কাঁর না । আমাকে চাও কিনা তুমি, সেইটেই তোমার কাছে প্রধান শীবচার্য হওয়া উচিত। ভাল ক'রে ভেবে দ্যাখো-়্যাট অল আমাকে তোমার প্রয়োজন আছে 'ক না। তা যাঁদ থাকে তাহলে আর এসব প্র্ন অনাবশ্যক । প্রয়োজন এবং আকুতিটাই সেখানে বড় কথা । তা যাঁদ হয়--তাহলে আমার শর্তেই আমাকে নিতে হবে, আম আমার মন জান, আমার সমন্ত কামনা আবেগ আক্াীত, যা বলো-_তার চেয়েও তুমি আমার কাছে বড়। তোমার আ'নষ্ট হবার, জীবন-সংশয় হবার আশঙকা আছে জেনেও আম ববাহের মধ্যে যেতে প্রস্তুই নই । সুতরাং আইদার 'দস--অর নট 1, এর পর সাঁত্যই কথা চলে না। অরাবন্দর তখন মনে হয়োছল, অশোকার সম্বন্ধে তার এই যে উন্মত্ত কামনা-_এ-ই প্রকৃত ভালবাসা । ভেজাল, নিখাদ । বশেষ অশোকার এতখাঁন স্বার্থ ত্যাগ সে কামনা, সে প্রেম আরও বাদ্ধই পেয়োছল। সুতরাং রাজী হ'তে হয়োছল তাকে, এই অদ্ভূত শর্তেই তার জীবনের মধ্যে অশোকাকে আনতে । বলা বাহুল্য ওদের বাবা-মা সহজে রাজী হন নি, প্রবল আপাত করোছলেন। ধিজয়বাবু ছেলেমেয়েদের সম্বন্ধে যথেম্ট উদার--কিন্তু তব? এতটা বরদাস্ত ১৮৭ করা তাঁর পক্ষেও কঠিন। বিশেষ অশোকার মা, তিনি বলন্েন, “বেজাত কুজাতে বিয়ে ধরছে আজকাল--সে তবু একরকম, বিয়ে তো--যতই হোক ! ঞ তো সোন্দাসুজ বেশ্যাবাত্ত। কা বলাঁছস তুই? অশোকা উত্তর দিল, “তোমরাই বলছ যেহেতু আমি তোমাদের বড় মেয়ে, সেহেতু বিয়ে হ'লেই আমি 'বরবা হবো। তাহলে ক বলতে চাও--আগস চিরাদন এই লব বাসনা-কামনা বুকে ক'রে আইবুড়ো হয়ে থাকব ? “এমন তো কত মেয়ে থাকছে আজকাল ! আগেকার কুলীনের ঘরেও তো অমন আকছার থাকত 17 “সে তাদের জুটত না বলেই । আমার যখন জুটেছে, তখন আম ছাড়ব কেন ?, মুখ গোঁজ ক'রে ওর মা উত্তর দেন, তা অরু তো বিয়ে করতেই চাইছে, ওর তো বিশবাস এটা বাজে কুসংস্কার--তাহলে বিয়েই কর ।, ণনশ্চিত এক মাসের মধ্যে বিধবা হবো জেনেও 2'*"বাবা মিথ্যে কথা বলছেন--এতগৃলো মিথ্যে ঘটনা বানয়ে বলছেন এ আম শ্বাস কার না." সুতরাং এর পর বিয়ে করা মানে জেনে-শুনে একটা ভদ্রলোকের ছেলেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া । সে আমাকে ভালবেসেছে বলে এত বড় শান্ত তাকে দিতে পারব না।, তা সে তো, ক্রূদ্ধা জননীর মুখ থেকে অত্যন্ত কদর্য হীঙ্গতটাই প্রকাশ পায়, “তা সে তো, তাতে তো আর একবার বিয়ের পথ বন্ধ হয় না-আজকাল তো এমন ঢের হচ্ছে । অশোকা যেন অকস্মাৎ আহত হবার মতোই তীব্র তীক্ষ; কণ্ঠে বলে ওঠে, 'মা !, আর্তনাদের মতো একটা চিৎকার ক'রে ওঠে সে। আর কিছ বলতে পারে না। যথেম্ট বলবার মতো শব্দ যোগায় না তার মুখে । ?িন্তু সেই তীক্ষ কন্ঠে তীব্র আঁভিযোগের সরেই কিছুটা কাজ হয়--ওর মা সচেতন হয়ে ওঠেন । আর কথা না বাঁড়ুয়ে মৃদুকণ্ঠে গজ গজ করতে করতে উঠে সেখান থেকে চলে ঘান। ॥৫॥ অরাঁবন্দ এসে বলে, “বাবা-মা কিছুতেই রাজী নন। কোন কথাই কানে তুলতে চান না তাঁরা । আমার মাথার চিগকৎসা করার ব্যবস্থা করছেন ।; “তাহলে বাদ দাও |? আ'বচল ভাবে উত্তর দেয় অশোকা । ৮৮ “বাদ দেব মানে? কশবাদ দেব? তোমাকে 2." না, সে ইমপাঁসবংল 1? “তাহলে আর এসব কর্থা তুলছ কেন 2 বিয়ে আগ তোমাকে করব না-- [কছতেই, সে বিষয়ে 'নাশ্চন্ত ও নাশ্চিত থাক ।” “আচ্ছা-_-এঁ যে বলে” অগ্রাতভের মতো মুখ ক'রে বলে অরাবন্দ, “তৃতায় পক্ষ না কোন বিয়েতে আগে একটা ফুলগাছ না কলাগাছের সঙ্গে বিয়ে দেয় নাঃ তেমন কিছ একটা করলে কি হয় ?, “সে ফৃলগাছের সঙ্গে 'বয়েটা হয় পুরুষের, আমাদের শাস্তে প্রৃষের বহু ণববাহে কোন বাধা নেই । মেয়েদের ও ফুলগাছই 'হোক কলাগাছই হোক-- একবার বয়ে হলে আর বিয়ে দেওয়া যাবে না, সে '্বিচারিণণ হয়ে যাবে ।...তা ছাড়া এভাবে 'নয়াতিকে ঠকানো যাবে কি বংশগত আভশাপকে ঠেকানো যাবে তা আম মনেকারনা। যাঁদনাধায়ঃ তোমার সম্বন্ধে এতখাঁন গিসকং আম ধনতে রাজী নই ॥, তবুও চুপ ক'রে আছে অরাঁবন্দ দেখে সে বলে, দ্যাখো এর মধ্যে যে লজ্জা বা অপমান সে তো আমারই বোশ । আম যাঁদ রাজী থাঁক তো তোমার এত ভয় কিসের ? ঝূশীক আ'মই 'নাঁচ্--তাই নয় ক ? তারপর একটু থেমে আবারও বলে, “বাধার তো এই শুরু । সারা জখবন বহু বাধার সঙ্গে লড়াই করতে হয় বলেই তো বেচে থাকাটাকে জীবন-সংগ্রাম বলে গেছে কাঁবরা, লেখকরা । এতেই যাঁদ এত ভেঙে পড় তো--এর পর ক করবে ? “ভেঙে পড়াঁছ কে বলল ? রাবিশ! ওসব আম পরোয়া কার না কি? এখনই তো--বাবা যখন হিশ্ট:সং দিতে এসোঁছলেন যে--এভাবে তাঁর মুখ ডোবালে 'তাঁনও শোধ নেবেন- _অর্থৎ ভয় দেখাতে এসোছলেন ষে পার্সাস্ট্ংয়ে গেরো দেবেন--টাকা-পয়সা ফি? দেবেন না-বষয়-সম্পাত্ততে বত করবেন, তখন সোজা তাঁর মুখের ওপর বলে দিল:ম, জীবন যাঁদ নিজের মতো করে শুরু কার তো--িাজের পায়ে ভর 'দয়েই করব-_বাবার ওপর ভর দেব না। ভার তো লাখখানেক টাকার বিষয়, তাও দু-ীতন ভাগ হবে-__এট.কু হিম্মৎ রাঁখ--অমন ঢের লাখ টাকা জীবনে রোজগার করতে পারব ।"" বাবা ভয় দৌঁখয়ে যখন স্ীবধা করতে পারলেন না, তখন মাকে পাঠালেন । মা ঘুষ [দিতে এসৌছলেন, বললেন, আম যাঁদ গুদের মতে বিয়ে করি, এখনই ও'রা আমাকে পশচশ হাজার টাকা দিয়ে দেবেন- মানে যতাঁদন না আমার উপাজন শুরু হয় আশম হইাণ্ডপেন্ডেন্টীল সংসার করতে পারব- টাকার জন্যে যে ওদের সঙ্গে বানিয়ে চলতে হবে তার কোন মানে নেই ।” এই বলে গর্বের হাঁস হাসবার চেষ্টা করল অরাবন্দ--কন্তু তা ফুটল না। হাসিটা একটু দুর্বলই বোধ হ'ল। শেষ পর্যন্ত নিজের ওপর ভর দিয়েই জীবন শুরু করেছিল অরাবন্দ । মনের জোরে কোন দৈনা কোনাঁদনই 'ছিল না'। ১৮৯৮ নইলে নতুন উকীল হয়ে আদালতে ঢুকে, তাও তখনও পুরোদস্তুর পন্যাউভোকেট হয় 'নি-কেউ এমন ভাবে সংসার ফে'দে বসতে সাহস করে না । গকছহ টাকা বন্ধু-বাম্ধবদের কাছ থেকে তে হয়েছিল, ফন্যাট ভাড়া করার আগাম টাকা, গৃহস্থালী সাজাবার মতো আসবাবপত্র কেনা--অন্তত দু-এক মাসের জীবনযান্লার খরচ, এসব হিসেব ক'রেই পা বাড়াতে হয়োছল বোকি-- কিন্তু উপাজনও শুরু করোছল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই । একটা বড় আধা-সরকারণ প্রতিষ্ঠানে ীলগ্যাল-য়্যাডভাইসারের চাকার পেয়ে গয়োছল। তাঁরা প্রথমটায় নাক তুলোছলেন, এখনও ফুল-ফেনজেড্‌ ম্যাডভোকেট নয় বলে, তাছাড়া তার এক সেকেলে ব্রাহ্ম 'ডিরেক্টারের কানে “অবৈধ? সম্পকর্টার কথাও কি ক'রে উঠোছল-_তাঁন “ইম্মরালাট'কে প্রশ্রয় দিতে চান 'ন--কিন্তু তৎসত্বেও অরাঁবন্দ সে চাকার বাঁগয়েছিল। এ রোগের ওষুধ সে জানত-_সেক্কেটারণকে মাঁসক একশো টাকা কমিশন কবুল ক'রে এবং মাইনেটা আগের গলগ্যাল ফ্্যাডভাইসারের থেকে দুশো টাকা কম- অর্থাৎ মোট পাঁচশো টাকা নিতে রাজন হয়ে চাকার পেয়েছিল । মাসে চারশো টাকা বাঁধা আয়-্মস্ত বড় সহায় হয়োছল সোঁদন। আরও িছন দকছ্‌ উপাজন হত--নিয়মিত আদালত ঘুরে । সেটা ওর 'সাঁনয়রই পাইয়ে 'দিতেন। তাতে খুব একটা সচ্ছল অবস্থায় না হোক, স্বচ্ছন্দে চলে যেত ওদের-_. স।ধারণ ভদ্রুভাবেই । গকন্তু বেচারণ অশোকাই পারল না কিছ? করতে । ও চেয়োছল ওদের সংসারের খরচে সে-ও কিছু দেবে, স্বামীকে দোঁখয়ে দেবে যে সেকেবল বোঝা নয়, আলমারতে সাজাবার পনতুল নয়--কিন্তু পারল না। একটা ইস্কুল-মাস্টারীও যোগাড় করতে পারল না। যেখানেই যায়--অবৈধ? শব্দটা যেন তাড়া করে ওকে । কোথা থেকে যে খবরটা পেশছয়--বুঝতেই পারে না। এক একজন স্পম্টই বলে দেন, কর্তৃপক্ষীয়রা--ষে প্রকাশ্যে গাঁণকার জীবন যাপন করছে, তার পক্ষে মেয়েদের শিক্ষা দিতে আসার প্রস্তাবটাই ধৃষ্টতা । আঁপসে চাকাঁরর চেষ্টাও করেছে, দু-এক জায়গায় পরাক্ষা 'দিয়ে পাসও করেছে অর্থাৎ যেখানে একশো লোক নেবে সেখানে হয়তো ওর স্থান হয়েছে পণ্থাশের ঘরে-_বেশ ভাল মাঁজন, তবু শেষ পর্যন্ত কাজ পায় 'ন। কেন পায় নি তার শতেক কারণের কথা কানে গেছে--তবু, কে জানে কেন, অশোকার মনে হয়েছে যে আসল কারণ এঁ “অবৈধ? শব্দটা । এই যুগেও মানুষের দুনশীতর ভয় এত প্রবল আছে--তা জানত না অশোকা। যেখানে অবৈধ সম্পক" প্রায় ঘরে-ঘরেই--বিবাহিত বলে যারা চলছে তাদের ১৯০9 মধ্যে শতকরা পাঁচজনই হয়তো কখনও পড়তে বসে নি বা রেজোস্ট্রিতে সই করে 'নি- সেখানেও মাঝখান থেকে যত অন্যায় ক'রে বসল ওরাই--বলে-কয়ে সত্যভাষণ ক'রে জীবন শুরু করতে গিয়েই চোরের দায়ে ধরা পড়ে গেল । _ িথো কথা বলে_ রেজেস্ট্রি হয়ে গেছে বলে প্রচার করলেই এসব কোন গোলমাল হ'ত না। সত্য কথা বলতে 'গয়েই এই দুদ শা । অবশ্য অরাবিন্দ গোড়া থেকেই ওর এ চেষ্টায় বাধা 'দিয়েছে। অশোকাও উপার্জন করবে একথা ও কখনও ভাবে নি, করে 'ন বলে ক্ষু্ন তো হয়ই 'নি। সে 'নিষেধই করেছে বার বার । বলেছে, “আমাকে তুমি চেন নি উুট:, আমি একাই একশো । তোমার ও দুর্বল হন্তের সাহায্যে আমার পিছমান্র প্রয়োজন হবে না। তুমি শুধু আমার পাশে থেকো, একটু মদত দিও, ভালবেসো--তাতেই হবে, সেই তোমার আসল কাজ ।ঃ অবশ্য বন্ধৃবান্ধবরা করেছে ঢের । কেউ কেউ যে তাদের মধ্যেও নশীতিবাগীশ ছিল না তা নয়, তারা বিমর্ষ ভাবে ঘাড় নেড়েছে, এমন 'ব্রীলয়ান্ট ছেলেটা মা?ট হয়ে গেল বলে দ*ঃখ প্রকাশ করেছে, সদুপদেশ দিতে এসে “স্নাবৃড্‌' হয়েছে__তারপর নিঃশব্দে সরে পড়েছে। কন্তু বশর ভাগই ওদের এই নতুন এক্সপোরমেন্ট উৎসাহ প্রকাশ করেছে, উৎসাহত করেছে । আসা-যাওয়া ঘাঁনম্ঠতা-বরং একট. বেশিই করেছে বোধহয় । স্বাভাবিক ক্ষেত্রে যা হ'ত তার চেয়ে অনেক বোশ। তারা যে ণকছুই মনে করছে না” এইটে বেশ ক'রে বোঝাতে 'গয়েই হয়তো কথাটা পদে পদে স্মরণ কাঁরয়ে 'িয়েছে--তবু সৌঁদন তাদের সাহচ্ষ, উৎসাহ, স্বাভাবিক বা নমালি হবার চেস্টা, অনেকখাঁন সাহায্য করেছে এদের মনোবল বজায় রাখার এটা অনস্বীকার্য ।*** তারপর ধাঁরে ধশরে এরাও ভুলে এসেছে অবশ্য--এদের জীবনযাত্রার মধ্যে কোন ফাঁক বা ফাঁক আছে কনা । | সাত্য-সাত্যই কখন একসময় স্বাভাবক ও সহজ হয়ে গেছে সবটা । পান্র-পান্নী নিজেরাও ভুলে এসেছে ক্রমশ । _ অরাবন্দ মিসেস মাল্লীক বলেই পাঁরচয় দিয়েছে সর্বত__কিন্তু সেটাকে কখনও ইচ্ছাকৃত বা চেম্টাকৃত বলে বোধ হয় নি আর, আগে যেমন হ'ত। অন্তত আগে যেমন মনে হ'ত অশোকার । এইভাবে পাঁচাট বছর কেটে গেছে । 'সুদশঘ" পাঁচটি বছর । অরাবন্দ এর মধ্োই প্রাতাষ্ঠত হয়ে গেছে-_নামকরা য্ল্যাডভোকেট ধহসেবে। ৯৯৯ মকেলের ভিড় বাড়তে আগের সে ছোট ফন্যাটে থাকা সম্ভব হয় নি-- অপেক্ষাকৃত বড় একটা ফরম্যাটে উঠে আসতে হয়েছে । শেষ পর্যন্ত সে চাকারটাও ছেড়ে দিতে হয়েছে, সময়াভাবে | যাঁদও তাঁরা ওকে সহজে ছাড়তে চান 'ন- মাইনে বাঁড়য়ে এবং কাজের দন কাময়েও আটকাতে চেয়েছিলেন । এর মধ্যে একি ছেলেও হয়েছে ওদের, স্ন্দর, ফুটফুটে, স্বাস্থ্যবান । প্রাইজ-বোবর মতোই । ওদের অকৃত্রিম প্রণয়ের ফল । অন্তত অশোকার তাই মনে হয়েছে । মনে হয়েছে ওদের এ মিলনে পাপ নেই বলেই বিধাতা এমন সুন্দর স্বাচ্ছাবান সন্তান দিয়েছেন ওকে । এ তাঁরই অনুমোদন ও আশাবাদ । অশোকার মনে হয়েছে তার জশবনে সুখের ও আনন্দের পান্র কানায় কানায় ভরে গিয়েছে, সে জীবন থেকে এর বোঁশি আর কিছু চায় না, চায়ও 'নি। কেবল তার আর অরাঁবন্দর মা-বাবারা তাদের ত্যাগ্ই করেছেন । তব: বিজয়বাব্‌ মধ্যে মধো লোক-মারফৎ খবরাখবর করেন--অরাঁবন্দর মা-বাবা সেটুকুতেও রাজী নন । ূ ছেলের উন্লাত হয়েছে_হচ্ছে। এ সংবাদে তাঁরা আরও 'বীদ্বন্ট হয়ে উঠেছেন অশোকার ওপর । তবে তাঁরা গোপনে ভাল ভাল বিয়ের সম্বন্ধ পাঠিয়েছেন- অর্ধেক রাজস্ব আর একাঁট রাজকন্যা” গোছের, সে-সংবাদ পেয়েছে অশোকা, অরাঁবন্দই বলেছে । দৃজনেই হাসাহাসি করেছে খুব এ [নয়ে। এর মধ্যে কোন সত্যকার আশঙ্কার কারণ থাকতে পারে, তা কখনও মনে হয় নি কারও । ॥ ৬৪ কন্তু বিধাতার অনুমোদন বা আশীবদি-বোধহয় মেলে 'নি শেষ পধন্তি। সে বাতাঁ এল অপ্রত্যাশিত ভাবে--অকাঁজ্পত পথ বেয়ে । _ অরাবন্দর প্রণয় সম্বন্ধে অশোকার কোন আশঞকা কখনই ছিল না। অরাঁবন্দর গনজের মন থেকেও যখন সব আশঙুকা চলে যেতে বসেছে, ঠিক তখনই ঘটনাটা ঘটল । ক্রমশ খ্যাত বেড়েছে যত, বড় বড় মক্চেলও আসতে শুরু করেছে অরাবন্দর ৷ কলকাতার বাইরেও ডাক পড়তে শুর: হয়েছে । এইভাবেই একটা বড় ফার্মের কেস পেয়ে 'দল্লাতে এসেছে অরাঁবন্দ ।. ১৯২, সেখানের বড় কাউন্সেল 'যাঁন--তাঁকে কেস বাবিয়ে দিতে হবে অন্যতম জুনিয়ার হিসেবে কাজ করতে হবে । মোটা টাকা-_খরচ-খরচা সব তাদের । প্রথম শ্রেণীর হোটেলে থাকার ব্যবচ্থা--প্লেনে যাতায়াত । প্রস্তাব এতই লোভনীয়-_-সব দিক থেকে-_ষে ছাড়া যায় না। তবু একবার অশোকাকে জিজ্ঞাসা করোছল অরাবন্দ, 'কণ করব-_যাব, না ছেড়ে দেব ?, অশোকাই বলেছিল, “না না, যাবে বোঁক ! এত বড় ওপানং একটা, ছেড়ে দেবে !** চলে যাও ।, সে-ই সর্বনাশের সন্রপাত । অরাঁবন্দর নয়--অশোকার । এই কেসে যে-সব 'সাঁনয়র ব্যাঁরস্টার ছিলেন, তার মধ্যে মিঃ মালহোন্তা অন্যতম ৷ তাঁর বাঁড়তে প্রায় প্রাত সম্্যাতেই যেতে হ'ত । পরের দিনের কাজ আগের দন এগয়ে না রাখলে চলে না। কাগজপন্র সাজানো- আইনের রেফারেন্স ঠিক করা এগুলো সেরে রাখতে হ'ত। কাজ সারা হ'লে মালহোন্রা বেরোতেন সামাজিক জীবন যাপন করতে । তাঁদের 1বশেষ সামাঁজক জাঁবন । উশ্চুদরের ক্লাবে, হোটেলে, পাঁর্টতে। সঙ্গে কোন-কোনাদন স্ত্রী কন্যাও যেত। অরাবন্দর সঙ্গে পাঁরচয় হবার পর ওর তীক্ষ-বাদ্ধ, সক্ষত পযবেক্ষণ শান্ত, অসাধারণ সহজ জ্ঞান এবং আইনের মধ্যে অনুপ্রবেশের সহজাত ক্ষমতা দেখে মৃক্ধ হয়ে 'গিয়োছলেন মালহোত্রা, ও ষে ভাঁবষ্যতে বহুদূর বাবে, অনেক উ্চুতে উঠবে সে বিষয়ে সন্দেহমান্র ছিল না তাঁর । তাই ওর সাহচর্য ভাল লাগত তাঁর । গনজের সমকক্ষই জ্ঞান করতেন । ছোট চোখে দেখতেন না। দু-একাদন পরেই তিনি অরাঁবন্দকে নিজের পারিবারিক জীবনের অন্তভু্ত ক'রে 'নলেন। অরাবন্দও ওর সঙ্গে ক্লাবে-পার্টিতে যেতে শুরু করল । সেই-ই দেখা নশীলমা মালহোত্রার সঙ্গে । ওদের সর্বনাশের সচনা । কণ যে ছিল নশীলমার মধ্যে তা বলতে পারবে না অরবিন্দ । এ প্রশ্ন সে সহন্রবার করেছে নিজেকে--উত্তর 'দতে পারে নি । ॥ আজ তো বলা সম্ভবই নয়- কারণ আজ নালমার চার্ম বা আকর্ষধণী- শান্ত বলতে দিছুই নেই । ৯১৯৩ গাজেন্দুকুমার 'মন্ত্র রচনাবলী (৬ষ্ঠ)--১৩ দিললশর আর পাঁচটা মেয়ের মতোই উগ্র আধুনিক সাজসজ্জা, রঙের পুরু প্রলেপ আর কন্রিম খোঁপার আড়ালে একটা কঠিন দেহ ও স্বার্থপর উদ্ধত মন- নীলিমা মাল্পরক আজ এই-ই, এর বেশশ কিছু নয় । কিন্তু সেদন বোধহয় আরও কিছ: 'ছিল। সোঁদন অরাঁবন্দ মুখ্ধ শুধু নয়- উন্মত্ত হয়ে উঠোছল। কোন মেয়েকে দেখে যে কোন পুরুষ এমন আঁভভূত এমন উন্মত্ত হয়-_-এর আগে এ সম্বন্ধে কোন ধারণা পযন্ত 'ছিল না তার। নারশদেহ সম্বন্ধে কারও লালসা এত উগ্র হ'তে পারে--তা সে জানত না । সে সাঁত্য-সাত্যই পাগল হয়ে উঠল প্রায় । ভালমন্দ অগ্রপশ্চাৎ কোন 'বিবেচনাই আর রইল না। মানীবকতাবোধ তো অস্পন্ট ঝাপসা চিন্তা একটা--যা অনেক প্রত্যক্ষ ও বান্তব__-সেই অশোকা এবং তার খোকন পর্যন্ত স্মৃতির কোন: দূর দিগন্তে মিলিয়ে গেল যেন। এরই মধ্যে একাঁদন মালহোন্রা প্রশ্ন করলেন, “আর ইউ ম্যারেড:? বিয়ে করেছ তুমি ?, এক মুহূর্ত যেন সময় লাগল উত্তর 'দতে। | জীবনের একাঁট বিশেষ মৃহূর্ত। বহুদূর-প্রসারী ফলাফলবহ মূহূর্ত একটি । এটুকুও লাগা উাচত 'ছিল না। কারণ নশীলমাকে ছাড়া তার চলবে না, এ তো মনের মধো স্থির হয়ে গেছে কবেই । তবে ওটাও কি 'ববেক নামক কোন কুসংস্কার 2 এই 'দ্বিধাটা 2 [কিন্তু সে এ এক মুহৃতই। তার পরই 'নাঁদ্ব্ধায় বলে দিল, “না । নট ইয়েট ।, মালহোল্লা নামকরা দুদে ব্যাঁরস্টার--মন্ত বড় বললে তাঁর বণনা মান হয়, ব্ঞ্জনা হয় না। দূর্ধর্য ক প্রচণ্ড বললেই ঠিক বোঝায়-এমন তগক্ষধশ ও তীক্ষঃভাষখী লোক 'তান। মানুষের মনের অতলে চলে যেতে এক লহমার বেশঈ সময় লাগে না তাঁর। এঁ এক মৃহূর্তের িলম্বও তাঁর দৃষ্টি এড়ায় নি । গনি নিজস্ব অন্তভে্দী দৃচ্টিতে ওর মুখের দিকে চেয়ে পুনশ্চ প্রশ্ন করলেন, এন এনট্যাঙ্গলমেন্ট ?, এবার আর ভুল করল না অরাবন্দ। - “প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিল, 'নাঁথং আনইউজুয়াল: !--অর 'সারয়াস !? মালহোত্রা বিলেত-ফেরত ব্যারস্টার-্্ধন। সামাজিক জীবও। ১১৪ জশবনের সব রকম আঁভজ্ঞতাই আছে তাঁর। তাঁর কাছে ভালমানুষ সেজে “একেবারে কিছুই জান না' বলতে "গিয়ে কোন লাভ নেই, এতখাঁন--এই '্রিশ-একান্রশ বছর পর্যন্ত খোকা সেজে থাকাটাকেই এরা অপদার্থতা বলে মনে করবেন। তাছাড়া যার এখনও শবলেতে যাতায়াত আছে, পাশ্চাত্য প্রভাব যার জীবনে এখনও অগ্রগণ্া--সে একটু-আধট: যৌন আঁভজ্ঞতাকে অপরাধ বা অন্যায় বলে ভাববে না নিশ্চয় । সাঁত্যই তা ভাবলেন না মালহোন্রা ৷ খুশী হয়েই বলে উঠলেন, “গুভ্‌ ॥ সুখী হলাম শুনে । শোন মাই বয়, তোমাকে আম একটা ভাল অফার 'দাচ্ছি। তুম জানো আমার$ছেলেটা অত্যন্ত- কী বলব--সাঁল ! তার মাথায় ঢুকেছে গিলন, মিউজিক এইসব ) সে আইন-ব্যবসাকে অত্যন্ত ঘৃণা করে, যাঁদচ এ ব্যবসার টাকা না হ'লে তার বাবসার কী হ'ত, তা বলা কিন। তাঁক্ষঃ-করুণ ব্যঙ্গ ফুটে ওঠে মালহোন্রার কন্ঠে? বলেন, “হাউএভার, যা বলাছলুম, আমার এই 'বপল প্র্যাকাঁটস আমার কাছ থেকে বুঝে নেবার কেউ নেই । মেয়েকে তৈরী করা ষেত-_ অনেকেই করছে, কিন্তু সে-ও আম দেখাঁছ, নো গুড । ওটা একটা সেম্সেশন-- মেয়ে কাউন্সেল, নাঁথং এলস:। গেয়েদের মাথাটাই একদম লাঁজক্যাল নয়, ওরা ওকালাঁত করবে কি? 'িবোধের জাত। তাই বলাছল.ম, তুমি ওকে শবয়ে করবে 2 মানে আমার মেয়েকে ? তুম যে ওর প্রাতি--কী বলব-_ আকৃষ্ট হয়েছ তা আম লক্ষ্য করোছ। আমার মেয়ের ফ্্যাটচুডও আন” রেসপন:সিভ নয় । তুমি ওকে বিয়ে করলে তোমাদের দুজনকেই বলেত পাঠিয়ে দেব-_তৃম ব্যারস্টার হয়ে আসতে পারবে ! একবার নামের পাশে এ লেজুড়টুকু জুড়ে আসতে পারলে আর 'িন্তানেই- প্র্যাকাটসের জন্যে তোমাকে ভাবতে হবে না। আশা কর তোমার এ সম্বন্ধে ছু জ্ঞান আছে- আমার লাইব্রেরীটাই ওআর্থ টু ল্যাকস:- র্যা দ্য লিস্ট ভ্যালহয়েশন !, এ প্রস্তাব হাত বাঁড়য়ে স্বর্গ পাবার মতোই মনে হয়োছল অরবিশ্দর | গকন্তু সে মালহোন্রার ?াবপুৃল সম্পা বা ?নজের ভাবষ্যৎ উন্নতির চিন্তায় নয়--এটা যে-কোন শপথ ক'রেই বলতে পারে অরাবন্দ । সেদিন এসব কোন ববেচনাই তাকে এ অমানুষিক বিশবাসঘাতকতা বা প্রব্ঠনার পথে ঠেলে দেয় ?ন। টাকা তুচ্ছ জানিস নয়, টাকার প্রয়োজন সে বোঝে, িরাঁদন বুঝে এসেছে । তেমন নিজের ওপরও অগাধ বিশ্বাস তার-_এই টাকা সে হেলায় রোজগার করতে পারবে, এ ভরসাও তার চিরাদনের ৷ না, টাকা নয়। এ অন্য স্বর্গ । হয়তো সত্যকার স্বর্গ নয় । কাঁজ্পত, তবু সেই স্বর জনোই লালায়িত হয়ে উঠেছিল ওর মন। ূ সোঁদন নীলমাকে লাভ করার প্র্নটাই একমান্র বিবেচ্য হয়ে উঠোছল ওর কাছে। ৯৯৫ সেই জন্যই-_কোন দ্বিধা করে 'ন, চিন্তা করার জন্য সময় চায় ন_ একবার নিজের মনটা তাঁলয়ে বুঝে দেখাও প্রয়োজন বোধ করে নি। একেবারেই সাগ্রহে সম্মাত জানয়োছল। এর পর দ্রুত নাটকের পট পাঁরবর্তন হয়েছে । নানা ছুতোয় কলকাতা যাওয়াটা পাঁছয়ে দয়েছে অরবিন্দ। গপাছয়ে গিয়েছে, তার কারণ নীঁলমাকে ছেড়ে কোথাও যাওয়ার কথা চিন্তাও করণে পারে নি তখন। মালহোন্াও অত ভেবে দেখার সময় পান 'ন। শুধু প্রন করোছলেন যে, “তোমার বাবা-মা? তাঁদের জানানো উচিত নয়? তার উত্তরে অরাঁবন্দ বলোছল, “আম বহাদনই তাঁদের সংঘ্রব ছাড়া ।' “তোমার এস্ট্যাবীলশমেন্ট তাহলে কাকে নিয়ে ? সেখানে দেখে কে ট বান্ত ব্যারিস্টার অন্যমনস্কভাবে প্রশন করোছলেন । 'চাকর-বাকরই দেখে । আর কে দেখবে !' তেমাঁনই-_চেষ্টাকৃত অন্যমনস্কভাবে উত্তর 'দিয়োছল অরাঁবন্দ। ওধারে বন্দোবষ্ত শেষ ক'রে একবার কলকাতায় আসতে হয়েছিল অরাঁবন্দকে। কম্তু ওর সৌভাগ্যক্রমেই বোধহয় সেই সময়ই ঠিক 'িবজয়বাবু পরীতে গিয়ে গুরুতর অসুদ্থ হয়ে পড়েছিলেন, অশোকার মা সেই সংবাদ 'দয়ে মেয়েকে যেতে বলোছিলেন-__মতত্যুশষ্যায় বাপকে দেখে যেতে বলা উচিত মনে ক'রে। এ সময় আর সংস্কারকে হৃদয়ের ওপরে স্থান দিতে চান 'নি। সেই টোলগ্রাম পেয়ে অশোকা চলে গিয়েছিল ছেলেকে নিয়েই । বাড়তে ছিল ওদের ঝ, আর অরবিন্দর এক বন্ধুর ভাই রক্ষক হসেবে। অরাবন্দ বেচে গেল। সে ?নাশ্চন্ত হয়ে এখানের ব্যাপার মোটামুট গুছিয়ে নিল । অশোকাকে শ" পাঁচেক টাকা মাঁনঅডার ক'রে পাঠিয়ে টোলগ্রামেইসে যে কেন যেতে পারছে না অর্থাং বিষম ব্যস্ত জানিয়ে_ আরও হাজার দুই টাকা এখানে অশোকার ব্যাঙ ক্ল্যাকাউন্টে জমা 'দয়ে-_ছ'মাসের বাঁড় ভাড়া আগাম চুকিয়ে দিয়ে আবারও একাঁদন দল্লী রওনা হয়ে গেল। [ঠিক যেমন ভাবে সেকালের বাবুরা পুরাতন রাঁক্ষতাদের 'ববেচনার সঙ্গে ত্যাগ ক'রে যেতেন-_সেই ভাবেই । নতুন বাবু না আসা পর্যন্ত তখনই না কোন আর্থিক অসুবিধায় পড়তে হয়। যাবার সময় রেখে গেল একখানি দীর্ঘ চিঠি। আইনে না ফেলা যায়, এই চিঠির দ্বারা আসন্ন 'ববাহ তথা উন্নতিতে না বাধার সৃষ্টি হয ; সেইজন্য আইনজ্ঞ অরবিন্দ থেষ্টই সতর্কতা অবলম্বন করোছল। ৯৯৬ এই 'িঠিই বোধকাঁর অরাবন্দর প্রাতভার এক আশ্চর্য নিদর্শন । তার অসাধারণ বুদ্ধির প্রমাণ । ইতিমধ্যে সে যে-সব চিঠি অশোকাকে 'লিখোঁছল-্সেগৃলো কোথায় থাকা ৯ সেগুলো খুজে বার ক'রে নম্ট করে ফেলেছে আগেই। যা লিখে রেখে গিয়োছল তার মমার্থ হচ্ছে দোষ সম্পূর্ণ অশোকারই । তার খামখেয়ালর জন্যেই অরাঁবন্দর জীবনটা নম্ট হতে চলেছিল । এভাবে 'ববাহত জশবনের আওতার বাইরে পডবচ বা লম্পটের জীবন- যাপন করা সম্ভব নয় | তার শিক্ষাদীক্ষা এ ধরনের স্বেচ্ছাচারের, এই শ্রেণীর কলাঁগকত জীবন- যাপনের সম্পূর্ণ বিরোধী । সে তার ভুল বুঝতে পেরে সে ভুল সংশোধনের ব্যবচ্ছা নিয়েছে ঈশ্বরের দয়ায় উপযনস্ত জীবন-সাঙ্গনীও পেয়ে গেছে সে, মনে হচ্ছে এ যোগাযোগ ঈশ্বরেরই আশীবদি । সে আশা করছে ও করবে যে, অশোকাও তার ভুল বৃঝবে এবং এখনও যথেম্ট সময় আছে- সংশোধনের চেম্টা করবে ।**' অশোকার পৃরী থেকে ফিরতে বেশ একট. দেরা হয়ে গিয়োছিল । ধবজয়বাবৃর করনারী থুম্বাসস- খুব নাক খারাপ ধরণের, বাঁচার বিশেষ আশাই 'ছিল না। মুখের সময় তাঁর কি প্রয়োজন হয়, কী করলে তান একটু আরাম বোধ করেন তা অশোকাই ভাল জানে । ণবয়ের আগে সে-ই বরাবর ক'রে এসেছে এসব । ওর মা এই 'িবপদের দিনে তাই ওকেই আঁকড়ে ধরলেন--অশোকাও ছেড়ে আসতে পারল না। কার ওপরই বা ছেড়ে আসে! খবর পেয়ে ওর ভাই আর বোন অবশ্য এসোছিল। গকন্তু তারা একেবারেই জানাঁড়, তাদের ওপর ভরসা ক'রে এঁ ধরনের রোগী ফেলে আসা বায় না। গবজয়বাব্‌ বশেষ কিছু বলেন না, শুধু অশোকার ফেরার কথা উঠলে তাঁর দুচোখ 'দয়ে জল পড়ে, শীর্ণ দুবল হাতে ওর হাতটা চেপে ধরেন। তাতেই আরও নিজেকে অপরাধাী মনে হয় । ওর বাবার এ অসুখের জন্যে সে-ই ষে সব চেয়ে দায়ী--একথা অশোকার থেকে বোশ কে জানে ? মুখে কিছু বলেন নি িজয়বাব। ওর মায়ের মতো রাগারাগি বকাবাকি করেন 'নি। তবু আঘাত পেয়েছেন বোক। সে-দায়ের যাদ 'কছ;টাও লাঘব হয়--অশোকা অন্তত খানিকটা স্বস্তি ৯৪৯১৭ পেতে পারে মনে মনে । তাই বলে অযথা দেরী করে নি সে একাঁট দিনও । যেদিন একটু সুষ্ছ মনে হয়েছে বিজয়বাবুকে-_সেই দিনই সে রওনা দয়েছে ওখান থেকে । জামাই” একলা আছে বুঝে এ*রাও বাধা দেনীন আর । তবু যোঁদন গেছে আর যোঁদন ফিরেছে--তার মধ্যে পুরো তিন সপ্তাহ কেটে গেছে। গফরে এসেই 'চঠিখানা পেল । খামে-আঁটা চিঠি, ড্রোসং টোবলের ওপর পড়ে আছে। খামের গপর নামশঠকানা নেই, চিঠিতেও কোন সম্বোধন নেই৷ সবর্প্রকারেই আইন বাঁচয়েছে অরবিন্দ মাল্লক । সোঁদন সেই জনহশন ঘরে এই চিঠি পাবার পর অশোকার মুখভাব কি হয়োছল তা কেউ জানে না। কখ অনুভব করেছিল সে, ঠিক কোন ভাবটা প্রবল হয়ে উঠেছিল- ভেঙে- পড়া, হতাশা, না দিকদাহকারী জবালা-_-তাও কেউ দেখে! ন। ঘরে কেউ ছিল না, থাকলেও সে বুঝতে পারত না। কারণ অশোকার পাথরের মার্তর মতো মুখে মনোভাব প্রাতফাঁলত হয় কদাচিৎ । শুধু অনেকক্ষণ একভাবে 'স্থর হয়ে বসে 'ছল-- এটা ঝি লক্ষ্য করেছে। আরও লক্ষ্য করেছে, ছেলের কান্নাকাঁট টানাটানিতে শেষ পর্যন্ত. যখন উঠতে হয়েছে_-তখন পা দুটো ঠিকমতো পড়ছিল না। হয়তো একট; কাঁপছে, মাথা ঘুরলে বা নেশা করলে যেমন কাঁপে বা টাল খেয়ে খেয়ে পড়ে, তেমনি । এ ছাড়া আর কিছ: নয় । মমাণ্তিক আঘাত পাবার আর কোন লক্ষণ না। তবে সে ভাবও দীঘস্থায়ী হয় নি । অসাধারণ মনের বলে 'নিজেকে স্বাভাবিক ক'রে নিয়েছে অশোকা । ভেঙে পড়ে নি। লোকের কৌতূহল জাগ্রত করে হাস্যাস্পদ হয় নি। সহজভাবেই চারদিকে তাকিয়ে দেখেছে, সহজভাবেই- যেমন অন্যাদন ,করে--ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা যা নজরে পড়েছে, সেগুলো গছয়ে সাজিয়ে ঠিক করেছে। যন্চাঁলতের মতোই ক'রে গেছে হয়ত-_অভ্ন্ত হাত তার কাজ ক'রে গেছে --কিচ্তু স্বাভাবক ভাবেই করেছে । কোথাও কোন অগ্রকাতিস্থতা প্রকাশ পায় নি তার আচরণে বা চলনে- বলনে। এই অভ্যন্ত কাজের মধোই লক্ষ্য করেছে কী নির্ভুল ও নিপুণ ভাবেই অরাবন্দ তার নিজের প্রয়োজনীয় জানসপন্র সারয়েছে--অথচ বি বা যে বন্ধুর ১৯১৮ ছেলোঁট ছিল, তাদের সন্দেহের কারণ ঘটায় ?ন। অরাবন্দর প্রাতভায় সোঁদন মুগ্ধ না হয়ে ও পারে নি। জের সহম্র দুঃখের মধ্যেও মনে মনে তারিফ করেছে । আইনের বইয়ের মধ্যে যেগাল দুষ্প্রাপ্য সেইগুলোই শুধু নিয়ে গেছে, বাকীগুলোতে হাত দেয়ান। ব্যান্তগত 'জীনস যা, পোশাক প্রভাতি--তাও সব নেবার চেষ্টা করে ৭, দরকারীগুলো--পছন্দসইগ্লোই নিয়েছে । অনাবশ্যক ভার বাড়ায় নি, অকারণে সন্দেহের কারণ হয় 'নি। এখানে বাসা 'চিরাঁদনের মতো ভেঙে দিয়ে গেছে-_- অথচ কাউকে টের পেতে দেয় ন। যুদ্ধক্ষেত্রেই নাক এইভাবে পশ্চাদপসরণ করে--হঠাৎই মনে পড়ল অশোকার, শন্রুপক্ষকে জানতে দেয় না যে তারা চলে যাচ্ছে--তাঁব্‌ ঠিক থাকে, রাত্রের অন্ধকারে দরকারী অস্ব্শস্তনয়ে নিঃশব্দে পিছ হটে যায় ! এও তো একরকম যুদ্ধই । “জীবন-সংগ্রাম'_-কথাটা অশোকাই বলোঁছল না 2 কাকে যেন বলোছল-- অরাবন্দকেই তো 2 *' ঠিক, ঠিক। সেই ভাষাটাই আজ বুঝি ব্যমেরাঙ হয়ে ফিরে এল । হাঁসি, হাঁ, হাঁসই পেলো অশোকার । সেইঁদনই দৈবাৎ ইংরোজ কাগজখানা চোখে পড়ল । জন্ম-মৃত্যুীববাহের ও ব্যান্তগত সংবাদের সে বজ্ঞাপনগুলো সম্পাদকীয় পৃচ্চার বাঁদকে থাকে-_-কোনাঁদনই পড়ে না--আজ বোধ হয় মনের অবচেতনে কৌতূহলটা 'ছিল বলেই, সোঁদকটায় চোখ গয়ে পড়োছিল। দেখল, জনৈকা নীলিমা মালহোন্রার সঙ্গে জনৈক অরাঁবন্দ মাল্লকের বিবাহ হয়ে গেছে, তদুপলক্ষে কোন এক হোটেলে পাঁর্টও দেওয়া হয়েছে একটা । খুবই নামকরা হোটেল । সেই বজ্ঞাপনেরই ?নচে ছিল--ব্যাস্তগত সংবাদে, অরাবন্দ ও নালমা মাল্লক কয়েকাঁদন সুইৎসারল্যাণ্ডে মধ্চান্দ্রমা যাপন ক'রে ইউ. কে.-তে যাবেন, গমঃ মাল্পক সেখানে ব্যারিস্টারী পড়বেন--মসেস মাল্পলক জ্বানালিজম্‌। অবসর সময় নাচেরও লেসন নেবেন । ইত্যাঁদ-- তাঁরখটা সেইদিনকারই । কাগজখানা--নাটকের বা ছায়াছাঁবর নাঁয়কার মতো- হাত থেকে খসে পড়ে নি অশোকার- শেষ পর্যন্ত ধরাই 'ছিল। তারপরও বহুক্ষণ পর্যন্ত ধরা 'ছিল। হয়তো সেই পৃদ্ঠাটাই । চোখ বঝাপজা হয়ে গিয়োছল বা হরফগুলো লেপে মুছে একাকার হয়ে ৯৪১৪১ 1গয়োছল--এমনও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় ?ন। চোখে তো জল আসেই 'ন। বরং শুকিয়ে কাঠই হয়ে ্বিয়োছিল যোধহয় চোখ দুটো শুধু নয়-_-অল্তরও | | ৭ ॥ তারপর এই । সাক্ষাৎ শুধু নয়-_অরবিম্দ এই প্রথম খবরও পেল অশোকার । হয়ত ঠিক এ খবরটার জন্য প্রস্তৃত 'ছিল না সে। এইভাবে জরীবকা 'নবাহ করতে হচ্ছে অশোকাকে-_করতে হবে-_-এ কথাও ভাবে 'ন। নীলিমা সম্বন্ধে ওর মোহভঙ্গ হয়েছে বোক। অঙ্গ 'কছাঁদিনের মধ্যেই হয়েছে । এটুকু সময়ও মোহটা থাকার কথা নয় । কী দেখে এত মুগ্ধ হয়ৌোছল-_সেটাই বুঝতে পারত না তখন আর । আগে যে ভেবে দেখে নি কেন এ পাঁরণাম সেটাও তো ভেবে পায় 'ন। আশ্চর্য ! এই ধরনের মেয়েতে বরাবরই বিতৃষ্কা ছিল তার। দিল্লীর সাধারণ আধা-ইংরেজি ধরনের মেয়ে, যারা জন্মটাকে শুধু বদলাতে পারে না-_বাকী সবেতেই নিজেদের ইংরেজ প্রাতপন্ন করার চেষ্টা করে। পোশাকে-আশাকে, হাসতে, ভাঙ্গতে-_বেলেল্লা গারতে । অথচ ইংরেজ মেয়ের যেসব গুথ আছে, তার সাঁকও নেই এদের । ইংরেজ মেয়েরা কাজের লোক, কাজ বোঝে । শুধুই ময়রের মতো পেখম মেলে ঘুরে বেড়ায় না। অরাবন্দ 'বিলেতে বেশ কছনাদন গছল-বস্ভর ইংরেজ মেয়ে দেখেছে-.- ঘাঁনম্ঠভাবে মিশেছে। যতই কড়া পাহারায় রাখুক নর্ীলমা-_-“নটঘট'ও যে ?কছহ হয়নি তা নয় । তাদের "সঙ্গে যত মিশেছে তত ভাল লেগেছে । মপ্ধ হয়ে গেছে কোন কোন ক্ষেত্রে । দু'একাটমেয়ে, প্রধানত সত্যকার কোন কাজের অভাবেই উগ্র আধ্যীনক হয়ে উঠে কিছু? কিছু পাগলামি করছে-_কিল্তু সেটা সমগ্র জাতের পরিচয় নয় । সে সব দেশে সব জাতের মানুষের মধ্যেই আছে । ওদের দেখেই নীলমাকে আরও খারাপ লেগেছে। অন্তঃসারশুন্য অন্ধ অনুকরণকারক । তার ওপর যেটা আঁতারন্ত-_সেটা হচ্ছে দাম্ভক, বদমেজাজশ। সে যে ধনী-কন্যা, তার বাপের পয়সাতেই যে অরাবন্দর চলছে, সে-সম্বন্ধে ২০০ ঘথেম্ট সচেতন । বেশশ সচেতন--আতমান্রায় । গন্তু তখন আর ?কছ করার নেই । ণনজনে বসলে অশোকার মুখেই শোনা রবীন্দ্রনাথের একটা গান মনে পড়ত--'জেনে শুনে বিষ করোছ পান।' তবে একটা সুরাহা ওর হয়েছিল বোক ! ণবলেতে যেমন অন্য সঙ্গ বা সাহচয ছিল, এখানে 'ফিরে তেমাঁন কাজের ঘ্‌ণবির্তে পড়ে গেল_নালমায় সঙ্গ দিনরাত সহ্য করার কোন প্রয়োজন রইল না। কাজের মধ্যেই আশ্রয় পেয়ে গেল সে। কর্মের খোলার মতো কাজের বর্মের মধ্যে আত্মগোপন বা আত্মরক্ষা ক'রে বেচে গেল। মালহোল্লা সাহেব তাঁর প্রাতশ্রাতি পূর্ণ মান্লাতেই পালন করেছেন-_ অরাঁবন্দকে পসারের জন্যে ভাবতে হয় নন একাঁদনও । [তান শুধু যে ওকে মকেল পেতে সাহায্য করেছেন তাই নয়--নিজের ভাল ভাল মকেলও ওকে 'দিয়ে দিয়েছেন, ধা বলোছিলেন--নিজের কাজই কমিয়ে এনেছেন অনেকখানি । এখন 'রটায়ার করার পরের অবস্থার মতো-_দ্‌-একটা কেস করেন, অঙ্গ যে দুচারজন নাছোড়বান্দা মক্কেল দিকছতেই ছাড়ে না--তাদের মামলা- গুলোই শুধু-_তাছাড়া বাকী যা আসে সবই জামাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। প্রথম প্রথম দু'একজন পিছ কছ মৃদু আপাতত করোছল দুরূহ মামলা নবীন ব্যারস্টারকে 'দিতে_তাতে "তান আম্বাস দিয়োছলেন ষে, “ওকে কেস দাও, তাহলে আ'ম ওর পেছনে থাকব--নইলে একেবারেই পাবে না।, তাতেই কাজ হয়েছে । বাধ্য হয়েই তারা মামলা ছেড়ে 'দয়েছে অরাবন্দর হাতে। অবশ্য অরাবন্দও মালহৌন্তা সাহেবের স্নেহ ও 'বশবাসের পূর্ণ মধাদা রেখেছে । প্রাণপণে খেটেছে। সাফলাও লাভ করেছে । আইনজ্জান যেন তার সহজাত-_কর্ণের কবচ-কুণ্ডলের মতো--এ বিষয়ে আশ্চর্য প্রাতভা তার বরাবরই । এখানে এসে ব্যাঁরস্টারশ শুরু করার বছর দুইয়ের মধ্যেই গনজের সনামে [নিজে প্রাতাম্ঠিত হয়েছে, *বশহরের পৃঙ্ছপোষকতা বা পক্ষপুটছায়ার প্রয়োজন হয় 'ন। কাজের চাপে এখন সে মাথা তুলতে পারে না, রাত একটা দেড়টার আগে শুতে যেতে পারে না। তবে এটাও আশবদিই মনে হয় ভগ্গবানের | শুধু টাকা আসে বলে নয়-_নীলমার সাহচর্যটাও অনেকখানি এঁড়য়ে 0১ যেতে পারে । এককালের দাঁয়তার-_বাঞ্চতার অবাগঞ্ত সঙ্গ । নরশীলমাও অবশ্য নানা কাজে ব্যন্ত থাকে। বহ্‌ শৌখিন সামাঁজক কাজে জাঁড়ত হয়ে পড়েছে ; বহু সমাতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়েছে । নামকরা ব্যাঁরস্টারের মেয়ে, নামকরা ব্যারস্টারের স্ী--এই ধরনের মাহলাদের সাঁমাতিতে নিতে সকলেই ব্যন্ত হয়ে উঠবে, এই তো স্বাভাবক। ফলে নপীলমাও স্বামীর সম্বন্ধে সচেতন থাকবার খুব একটা সময় পায় না। তা ছাড়া তার অহঙকারের আশ্রয় তো একটা আছেই । তার স্বামী তার সম্বন্ধে মুগ্ধ না থেকে পারে--এ তো তার কজ্পনার অতাত। দূর প্রবাসে অশোকার কথা অবশ্যই মনে পড়েছে । তখব্র লালসার প্রথম উন্মত্ততা কেটে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই । অশোকার চেয়েও বেশঈ মনে হয়েছে খোকনটার কথা । লোজাঁটমেট কিনা সেটা অন্য বিচার-_তারই ছেলে-_আত্মজ । ফুটফুটে, দেবাঁশশুর মতো ছেলে । অনুতাপ ধিশেষ বোধ করে 'িন--তেমন মানাসক গঠন অরবিন্দর নয়-_- একটা শূন্যতা বোধ করেছে, অশোকাদের সঙ্গের অভাব বোধ করেছে । অনুতাপ বোধ করে নি বলাটা হয়তো একট ভূল হ'ল । সাধারণ লোক এক্ষেত্রে যা অনুভব করত তা নয়। ববেকের দংশন? যাকে বলেন লেখকরা--সেইটে বোধ করে নি । অনুতাপ এরুটা বোধ করেছে বোক ! অন্য অনৃতাপ--অশোকার বদলে নীলমাকে বেছে নিয়ে, এর সঙ্গে জীবন জাঁড়য়ে যে ভুল করেছে-_সেই অনুতাপ । এত কিছ করার হয়তো প্রয়োজন ছিল না। ওকালতাঁতে যেভাবে পসার হাচ্ছিল--আর বছরখানেক ধৈর্য ধরে লেগে থাকলে নিজের সামর্থোই ব্যারিস্টার পড়তে যেতে পারত । মালহোত্রার অনংগ্রহের প্রয়োজন হ'ত না। | . তাছাড়া ব্যারস্টারী না পাস করলেও টাকা রোজগার খুব একটা কম হ'তনা। [নিজের শান্ততে, নিজের বৃদ্ধিতে এটুকু আস্থা আছে অরাঁবন্দর । তার উন্নাত কেউ রুখতে পারত না। মাছামাছি এ দুঃসহ বোঝা ঘাড়ে চাপাতে গেল কেন সে! এ লিউিন রর গা রজার না এই রক্ষা। *২০২ কাজই বাঁচয়ে "দয়েছে ওকে । যত কাজ বেড়েছে-নঃ*বাস ফেলার পধনন্ত সময় থাকে 'নি--নশরম্ধ ?নরবসর কাজ--ততই এই সব অরুচিকর "চন্তা থেকে বেচে গেছে। অবশ্য বিলেত থেকে ফিরে গোপনে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছে বোকি অরাবন্দ। কলকাতা এসে ঘরেও গেছে একরার। এদের খবর 'নতেই এসোছল সে। ছেলের খবর 'নতেই আরও । সে চেস্টার ফলে দুটি তথ্য জেনেছে । সে বাসা ছেড়ে 'দয়েছে অশোকা একমাসের মধ্যেই । অরাঁবন্দর আঁগ্রম দেওয়া ভাড়ার মেয়াদ ফুরোবার জন্যও অপেক্ষা করে নি। বাসা তুলে দিয়েই গেছে একেবারে । কোথায় গেছে কি করছে তা কেউ জানে না। অশোকার বাবা মা ভাই বোন কেউ না। বম্ধুবান্ধবরাও না । সকলের অলাঁক্ষতে, সকলের অজ্ঞাতে, ষেন 1নঃশব্দে ?নজেকে সারয়ে নিয়ে গেছে কলকাতার সামাজক জীবন থেকে--সামনের বড় আঁভনেতাদের ভিড়ের আড়ালে রঙ্গমণ্চ থেকে অনাবশ্যক প্রাতহারী দৌবারিকরা নিঃশব্দে সরে যায় --তেমান। গনজেকে মুছে নয়েছে, নাশ্চহ্ন ক'রে নিয়েছে পারাচতদের জগৎ থেকে । সে বা তার ছেলে কি করছে, কোথায় আছে--সে সংবাদ কেউ জানে না। বেচে আছে ক না--কী খেয়ে, কোন: অর্থে জীবন ধারণ করছে তাও না। আরও একটি তথ্য জানতে পারল ব্যাঙ্ক থেকে । অশোকাকে ত্যাগ ক'রে যাবার সময় যে সব উদার বিবেচনা সে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিল তাকে নশরব উপেক্ষায় প্রত্যাখ্যান করে গেছে অশোকা । একাধক ব্যাঙ্কে অরাবন্দর গহসেব ছিল । তারই একাঁটকে নিদেশ "দিয়ে গগয়োছল, অরাবন্দর নাম না ক'রে--মাসে দ্‌শো টাকা হিসেবে অশোকাকে গদতে অর্থাৎ অশোকার ফ্ল্যাকাউণ্টে জমা দিতে । শুনল প্রথমবারের চেস্টাতেই ব্যর্থ হয়েছে ব্যাক । এঁ ব্যাঙ্ক থেকে সমন্ত টাকা তুলে নিয়ে ওখানের য়্যাকাউণ্ট ক্লোজ্‌ভ্‌ ক'রে' দয়েছে অশোকা। এ*রা যে মাঁনঅডরি ক'রে পাঠাবেন- সে উপায়ও ছিল না। অশোকা নিজের ঠিকানা দেয় নি, এবং এ টাকা সে নেবে না-বেশ দৃঢ়ভাবেই জানয়ে দিয়েছে এদের । অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবেই অরাঁবন্দর জীবন থেকে সরিয়ে মুছে নয়েছে নিজেকে । কোন সম্পকই আর রাখতে চায় নি । ২০৩ “আভমানে ভুলই করলে--” অরাবন্দ মনে মনে বলল এই খধর পেয়ে-_- “এটা আম আমার ছেলের খরচ হিসেবেই 1দতে চেয়োছলম। তাতে ছেলেটা মানুষ হ'ত ।-*এটা ফিরিয়ে দলে কেন ?, এ স্বগতোন্তর মধ্যে একটা অর্ধ বিদ্রুপের সৃরই বেজোছল সোঁদন। জশবন সম্বন্ধে অরাঁবন্দর গহসেব বা তার দৃষ্টিভঙ্গী ছাড়াও কোন গহসেব দি দ.ন্টভঙ্গী থাকতে পারে- সেইটেই অরাঁবন্দর মাথায় চোকে না 'কোনাঁদন। টাকা আনা পাইয়ের হিসেব, জীবনের আঁর্থক বা বৈষায়ক উন্নাতর হিসেবেই অরাবন্দ সব-ীকছ? মেপে এসেছে এতকাল । সেই পাঁরামত জ্ঞানেই সে এ মাসোহারাটা দিতে গয়োছল-_-এর মধ্যে যে কোন তীব্রতর অপমান থাকতে পারে--আরও মমন্তিক আঘাত--সেটা তার আত্মস্বার্থ সর্বস্ব মাথায় ঢোকে 'ন। য্্যাডং ইনসালংট্‌ টু ইন:জদ্রী--“আঘাতের সঙ্গে অপমান যোগ করা এ কথাটাও মনে পড়ে নি। সেইজন্যেই 'বাস্মত হয়েছে সে ! অশোকাকে 'নবেধি ভেবেছে। আজকের এ সাক্ষাৎ__এ যোগাযোগ একেবারেই আকাঁস্মক । গববাহের দীর্ঘকাল পরে নখীলমার সন্তান-সম্ভাবনা হয়েছে । এই প্রথম। নি দশ বছর হ'ল ওদের বিয়ে হয়েছে । ভাল মনেও পড়ে না অরাঁবন্দর ঠিক কতাঁদন। মনে রাখার চেম্টাও করে 'ন অবশ্য । মনে রাখার মতো এমন স্মরণীয় ঘটনা বলেও মনে করে নাসে। দেখতে হয়--সাটিশফকেট আছে, বার ক'রে দ্যাখো-_মাছামাঁছ এসব অপ্রয়োজন সন তাঁরখের গহসেব মনে কয়ে রেখে লাভ কি ? শুধু শুধু অকারণে অনর্থক মীস্তম্ককে ভারাক্রান্ত করা । গবিশেষ যখন এমন কোন মধুর স্মাতিবহ নয় তাঁরখটা | যে তাঁরখের স্মৃত নিজের নিব্রীক্ধতাকেই স্মরণ কাঁরয়ে দের শুধু । সে ধাই হোক-_-অনেকাঁদন হয়ে গেছে এটা ঠিক। প্রথম প্রথম সন্তান যাতে না হয় সেই চেষ্টাই করেছে ওরা । তারপর দুজনেই চেয়েছে একাট সন্তান । অরাঁবন্দর মনে প্রথম সন্তান সম্বন্ধে যে হাহাকার 'ছিল, যে শন্যতা-_ সেটাই ভুলতে চেয়েছে নতুন একটি সন্তানে । আরও মনে হয়েছে-ছেলে ক মেয়ে কিছু হ'লে নীলমাও হয়তো একটু কোমল হয়ে উঠবে, একটা কাজ খু'জে পাবে--তার সাহচর্য সহনীয়--এমন 'ি হয়তো মধুর, শ্রাম্তি-অপনোদক হয়ে উঠবে । 98 আরও একটা কথা মনের অবচেতনে উশীক মেরেছে সেই সঙ্গেই-আরও একটা প্রশ্ন । অশোকা যেমন ছিল ? নাঃ অশোকার ক্ছান নীলমা আঁধকার করতে পারবে ন: কোনাঁদনই-সে সম্বন্ধে কোন মোহ কি ভ্রান্ত ধারণা নেই ওর। তবু সেরকম যখন আর পাচ্ছেই না--কছুটা পেতে দোষ ক ? কিন্তু সে সন্তান আসে নি। প্রথমে দুজনেই অপেক্ষা করেছে দৈব-আঁভরহীচর । তারপর দুজনেই ব্যস্ত হয়েছে । বিশেষ মালহোন্রা সাহেব, 'তাঁন উঠে পড়ে লেগেছেন। রকমাণর পরীক্ষার কোনটাই বাদ যায় 'িন। অরাঁবন্দকেও পরীক্ষা 'দিতে হয়েছে। সে একথা কছহতেই ও*দের বলতে পারে গন যে তার একাঁট সন্তান হয়োছল এর আগেই--সম্থ, নীরোগ- সম্ভবত সে বেচেও আছে । আর যাই হোক, তার তরফ থেকে কোন অস্দীবধা নেই । বলা সম্ভব নয়। মালহোন্রা এতটা ক্ষমা করবেন দি না ঘোরতর সন্দেহ আছে । অবশ্য পরক্ষাতে তা প্রমাণ হয়েছে। অরাঁবন্দর কোন শ্রুটি নেই । নীঁলমাই বন্ধ্যা সাব্যস্ত হয়েছে । তবে একেবারেই দুরারোগ্য নয় । গচাঁকৎসাও চলেছে সেই মতো । তবু কোন ফল হয় 'ন--বিজ্ঞান সম্পূর্ণ হার মেনেছে ঈশ্বরের মাঁজর কাছে। অর্থের অহত্কারও । টাকা থাকলে ঘটা করে 'চাকংসা করানো যায়, তবে তার যে ফল হবেই এর কোন 'নশ্চয়তা নেই। অবশেষে দৈবাৎই এবার সেই বহু আকাঁজ্ক্ষত বহু ঈ'স্সিত সম্ভাবনা দেখা 1দয়েছে। ভগবানেরই খেয়াল হয়েছে এতকাল পরে । প্রসন্ন হয়েছেন তিনি। মালহোন্না-_-যাঁন এতকাল নিজেকে নাশক বলে গর্ব করতেন তান কালকাজীতে প্‌জো চীঁড়য়েছেন, স্বয়ং নীলমাও লোক মারফৎ কাশ্মীরের দেবী “তুল্লা-মুল্লা” বা ক্ষীর ভবানীকে পৃজো পাঠিয়েছে । ণকন্তু দেখা গেল শেষ পরন্ত- ঈশ্বরের এটা করুণা নয়, পারহাস ! প্রচণ্ড একটা তামাশা করা ওদের 'নয়ে। তৃষ্ণার্ত অধরের সামনে সংধাপান্তর ধরে আবার তা সাঁরয়ে 'নলেন 'তান। ট্যান্টালাইজ করার অর্থটা বাঁঝয়ে দিলেন ওদের । যে কারণে এতকাল সম্তান হয় 'নি, সেই কারণেই নাকি সংপ্রসবের ০৫ আশা কম। প্রসূতির জীবন-সংশয় দেখা 'দিতে পারে । মালহোন্লা ও অরাঁবন্দ কেউই চেষ্টার কোন শ্র্ট রাখেন 'ন। দিল্লীতে ধত ভাল ভাল “গাইনী” আছেন তাঁদের সবাইকে দেখানো হয়েছে, মালহোন্তরা বোম্বাই থেকে ডান্তায় আ'নয়েছেন, অরাবন্দ কলকাতা থেকে । ওষধ-পথ্য, কখন ক অবস্থায় থাকবে-কোন ব্যবস্থারই কোন ব্রুটি হয় 'ন। কিন্তু দন ষত ঘানয়ে এসেছে ততই বোঝা গেছে- প্রথম যান দেখোছলেন, ডাঃ মিসেস সেনের আশঙকাই ঠিক । অবশেষে সেই আশাঁঙকত সঙগ্কটই দেখা 'দিয়েছে। নীলমার জীবন-মরণের প্রশ্ন। আ'বচ্কৃত হয়েছে যে সন্তান মারা গিয়েছে গভে“ই--এখনই তাকে বার করতে না পারলে প্রসূতির বাঁচার আশা কম। এমানতেই তার যা রন্তের চাপ ভয়াবহ বেড়ে গেছে- বাচ্ছাটা মারা না গেলেও তাকে মেরে ফেলে 'সজারণয়ানের দ্বারা মাকে বাঁচাতে হ'ত। অথাৎ এখনই অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন । সময়ের হিসেব এখন ঘণ্টা ধরে নয়-_-মূহূর্ত ধরে চলেছে । অবশ্য দৌর করার কোন কারণও ছিল না। অর্থের যেখানে অগ্রাচর্য নেই--সেখানে আর অসুবিধা ঠক? হাসপাতালে তো নয়ই-__নাঁ্সং হোমেই দেবার কথা তুলেছিল অরাঁবন্দ-__ কন্তু নীঁলমা বে"কে দাঁড়য়েছে। যা হবে এই বাঁড়তে-যত টাকা লাগে এখানেই ব্যবস্থা করো । অসহ্য ষল্লণার মধ্যেও স্বামীকে শ্হানয়েছে সে, পচরকাল দেখে এলাম টাকাটাই তোমার কাছে সব। এত টাকা দিক করবে তুমি? কবরও তো হয় না হন্দুদের যে কবরে নিয়ে যাবে ।***আর টাকার ভাবনাও তোমাকে ভাবতে হবে না--আমার বাবা যতদিন আছেন, 'তানিই দেবেন ।, কিছুতেই বোঝাতে পারল না অরাবন্দ যে-_-টাকার জন্যে নয়, নী'লিমার সুবিধার জন্যই সে নার্সিং হোমে নিয়ে যেতে চাইছিল, নাঁ্সং হোমে বাঁড়র থেকে বেশি খরচাই পড়ত। নীঁলিমার বিশ্বাস যারা গরীব তারাই হাসপাতাল বা না্সং হোমে বায় । অগত্যা মিসেস সেনকে বাঁড়তেই অপারেশনের ব্যবস্থা করতে বলা হ'ল। তাঁর সঙ্গে আসবে আযনেসথোঁসস্ট, কিন্তু সহকাঁরণণ ডান্তার--যাঁন সব সময়ে সঙ্গে থাকেন--তিনি অসুস্থ । ভাল নার্স চাই একাঁট-_“দ্য বেস্ট দ্যাট দ্য নার্সং ইউীনয়ন কুড স্পেয়ার |, বার বার বলেছিলেন মিসেস সেন। তাতেই মিসেস হাসকার দময়ম্তণ লাহিড়ীকে খবর 'দিয়েছেন। দময়দ্তাঁর কর্মনপুণতা ও সজাগ সতর্কতা -সন্দেহাতীত। ২০৬ তাছাড়া মিসেস সেনের 'প্রয়পান্নীও সে। ধিল্তু যেখানে যেতে হবে সেখানের নাম শুনেই দময়ন্তীর মুখ শুকিয়ে গেছে। আপাঁত্বও করেছে সে। িন্তু সে আপ্পাত্ততে কান দেওয়া তখন আর সম্ভব ছিল না মিসেস হাসকারের । অরাঁবন্দ এসব ছুই জানে না। কল্পনাও করতে পারে 'নি। জানল এইমান্, রোগিণশীর শয্যাপার্রবে। তাহলে এই করছে অশোকা । এইখানে এইভাবে জশীবকা অর্জন করছে সে। গিন্ত খোকন ঃ খোকন কোথায়? সেোক--সে বেচে আছে তো ? শুন্য ঘরে অসহায় ভাবে বার বার সেই শূন্যতাকেই প্রশ্ন করে সে। দৃ-দে ব্যারিস্টার অরাঁবন্দ মাল্পক । ॥৮॥ ডাঃ মিসেস সেন হাত মুছতে মুছতে এসে অরাবন্দর স্টাডীতে ঢুকলেন । হাঁস-হাঁস মুখ তাঁর। অনৃযোগের মধ্যেও প্রশ্রয়ের সুর । “এ ক, মিঃ মাল্লক আপ্পান এখানে 2 এত নাভসি আপাঁন ? লুকিয়ে অন্ধকারে বসে বসে এগুলো খেয়ে যাচ্ছেন ।"*"ছি 'ছ, শুনোৌছ আপাঁন জবরদল্ত ব্যারিস্টার আপনার সামনে দাঁড়াতে বড় বড় কাউন্সেলের মুখ শুকিয়ে যায়-_ অথচ স্পীর একটা অপারেশনেই কাৎ।*"'এই আপনার নাভস্‌।” মিসেস সেনের বলার ভঙ্গ আর কন্ঠস্বরেই বোঝা যায়-_খবর শভ, অন্তত 1বপদ যা, কেটে 'গিয়েছে। অরাবন্দ তাড়াতাঁড় উঠে দাঁড়িয়ে বলে, “না--এই এমাঁনই **"নইলে ক আর করতৃম বলুন, ওখানে তো আর থাকতে দিতেন না আপনারা-_+ “তা 'দিতুম না ঠিকই ।* কৃত্রিম আঁভষোগ্ের সরে বলেন ডাঃ সেন, পকল্তু আপাঁন খবরের জন্যে র্ন্যান্টিরূমে অপেক্ষা করবেন এইটেই আশা করেছিলহম । তবে ও এখন যতই যা বলুন-_বোঝা গেল আপাঁন খুবই নাভাঁস। নইলে দময়ন্তীর মধ্যে কাকে যেন দেখেন ! দময়ন্তখকে আম গত চার বছর দেখাঁছ, দময়ম্ত লাহড়ীই ওর নাম। বড় ভাল মেয়ে, ভোর এাঁফাঁসয়েশ্ট--য়্যাপ্ড কোয়ায়েট । লেখাপড়া-জানাও--ওর মতো মেয়ে এ লাইনে কেন এল কে জানে ।*""হাউএভার চলুন, এখন যাঁদ দেখতে চান দেখে আসতে পারেন--সি ০৭. ইজ অলরাইট নাউ । জ্ঞান অবশ্য এখনও ভাল আসে 'ন। এলেও এখনই আবার ঘুম পাড়াতে হবে-আদারওয়াইজ ভাল। কোন বিপদের আশঙ্কা নেই আর।, উড্জবল মুখে হাসেন ডাঃ মিসেস সেন । সার্থকতার হাসি। ইংরোঁজতে যাকে বলে “বীম' করা বলে। বহ্াদন 'বলেতে থেকে এই ধরনগুলো শিখেছেন । একটা কথা প্রায়ই বলেন। িলেতেরই কোন্‌ ডান্তারের মুখে শোনা । বলেন, 4 ৫০০6০: ০810 ০816 50106010105, 10186550662 ০02201 ৪1%/83৪ ] আশা ভরসা উৎসাহ গদতে তো আর কোন কছ: লাগে না- সেটায় কাপণণ্য করব কেন ? অরাঁবন্দ উঠে দাঁঁড়য়েও একট. ইতন্তত করে। যে প্রশ্নটা ঠোঁটের কাছে আসছে বার বার- লঙ্জায় ঠিক করতে পারছে না--এ 'দ্বধা সেই জন্যেই । অবশেষে প্রায় মরায়া হয়ে বলে ফেলে, “এক্সীকউজ 'ম ডক্টর, কিম্তু-_জাস্ট একটা কৌতূহল--কী চাইজ্ড হয়েছিল ?% “মেয়ে-বেচে থাকলে একট মেয়েই পেতেন । ফ্ম্যাম এক্সাউ্রমলশ সার মিঃ মাল্পক, কিন্তু একটা কথা আপনাকে বলে রাখা উচিত বলে মনে কাঁর। নীলমা-_মানে মিসেস মল্লিকের যা দেহের অবস্থা-_আর সন্তানের চেষ্টা না করাই বোধহয় ভাল । আমার তো মনে হয়-_আবার সে সম্ভাবনা দেখা 'দিলে এইরকমই হবে । এবার মরে গেছে তাই-_না হলেও মেরে ফেলতে হ'ত; নইলে ওকে বাঁচানো যেত না। ".'যাই হোক, বড়জোর আর একটা 'রস্ক নিতে পারেন--কিন্তু ওর যা টেণ্ডেম্সী, এমানই প্রেসার বেড়ে ধাবে চড়চড় ক'রে-- যাঁদ এবারের মতো 'কি আরও বেশ” প্রেসার চড়ে যায় ধরুন--তখন তো ওকে আগে বাঁচাতে হবে ।**'আর বার বার এ অপারেশনের 'রস্ক নেওয়াও খুব গবপজ্জনক। এত প্রেসার, হারও ষা অবস্থা ।.**আসলে ওর ?কডূনটাই বোধহয়-।? সব কথা অরাবন্দর কানে যায়ও না, সে কতকটা যন্ত্রচাঁলিতের মতোই দরজা খুলে ডান্তারকে আগে যেতে 'দিয়ে নিজেও বোরয়ে আসে । আসা উাঁচত। নইলে অশোভন দেখাবে । সকলকার কাছেই দষ্টকট? ঠেকবে। তেমানভাবেই একসময় নশীলমার বিছানার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় । ততক্ষণে দময়ম্তী ডাঃ সেনের যন্ব্পাঁত সব গ্াছয়ে ফেলেছে, রোঁগণীর চাঁরাঁদক থেকে যতদূর সম্ভব এই অস্ত্রোপচারের চিহ্ন বিল:প্ত করেছে-_বিছানা টেনে ছিমছাম ক'রে ফেলেছে । নীঁলমার 'দকে চেয়ে অনেকক্ষণ চুপ ক'রে দাঁড়য়ে রইল অরাঁবদ্দ । জোর ক'রেই চেয়ে থাকতে হচ্ছে তাকে । অন্য দিকে চোখ ফেরাতে পারছে না বলেই । ০৮ দময়ন্তশ সহজ ভাবেই তার কাজ সেরে যাচ্ছে খুউখাট ক'রে, তার মুখে কোন উত্তেজনার "চিহ্ন বা ব্রত ভাব নেই । সম্পূর্ণ স্বাভাবক 'নাঁলগ্ততা-_নরাসান্ত। রোগগণীর শষ্যাপাশ্বে নার্সদের যেমন পবহেভ্‌? করা উচিত ঠক তেমাঁনই করছে । কানে গেল অরবিন্দর, ডাঃ মিসেস সেন বলছেন-_তুঁমিই সন্ধ্যে পন্ত থেকে বাও। মিসেস হাসকারকে আম বলেছি নাইট নার্সকে একট: সকাল ক'রে পাঠাতে, তোমার স্ট্রেন বেশশ হয়েছে তাও বলেছি ।.*..কোন গোলমাল দেখলে জাঁনও। ইউ নো হোয়ার টু ফাইন্ড গম । তাহলে- চাল 'মঃ মাল্পক। আমার তো মনে হয় আর কোন ট্রাবল পাবেন না। অবশ্য আম একবার রাত ন'টা নাগাদ দেখে যাব । কোন চিন্তা নেই। এর পর আর নদীলমার ঘরে থাকার কোন মানে হয় না। অনেক 'চন্তা করলেও কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুতরাং ডান্তার মিসেস সেনের পিছ 'পছুই বোরয়ে আসতে হয় । তাঁকে দরজা পযন্ত পৌছে দিয়ে এসে আবার 'নজের স্টাডীতে ঢোকে । 1কন্তু ডান্তারের কথাগুলো যেন সেখানেও তাড়া করে । দশ বছর পরে একটা মরা মেয়ে ।-..আর ঝৃশীক না নেওয়াই ভাল । হ'লে আবার এমাঁনই হবে। একটা অবর্ণনীয় অননুভূত 'তিন্ততা কণ্ঠ পর্যন্ত ফোঁনয়ে ওঠে যেন । চমৎকার ! এই বোধহয় ভগবানের বিচার । কখন কোথা 'দয়ে আসে আমরা নাক বুঝতে পার না। এই তো বেশ বুঝতে পারাছ । হাঃ 1, সামান্য একট; শব্দ ক'রে হাসে অরাবন্দ | সে হাঁসর শব্দে নজেই চমকে ওঠে আবার । এ াক_সে আপন মনেই বকাছিল নাক এতক্ষণ ₹ আপন মনেই হাসল শব্দ ক'রে 2 মাই গড! তার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে নাক ? য়্যান্ড দ্যাট ওল্ড ব্র্যাবারং ননসেন্স টহ 1" ঈশ্বরের বিচার । ছোঃ! আবারও একপান্র তরল বাহু গলায় ঢেলে দেয় সে-নিজঞলা । অনেকক্ষণ আবার তেমাঁন বসে থেকেছে সে । কতক্ষণ তা মনে নেই। শেষে একসময় মনে হয়েছে যে আর একবার স্ত্রীর খবর গনতে না যাওয়াটা অশোভন দেখাচ্ছে । * তখন যেন খানকটা ভরসা সংগ্রহ ক'রে সত্কোচ ঝেড়ে ফেলে ওঘরে গেছে আবার । এই সঞ্ডেকোচের পেছনে গকছহ একটা আশাও 'ছিল িনা--তা বলা শন্ত। ওকে গজজ্ঞাসা করলেও বলতে পারত না, চমকে উঠত হয়তো । নশীলমা তেমান অধঁ-অচৈতন্য । তার মধোই বোধ কাঁর যন্ত্রণায় গোঙাচ্ছে। পাশে একট নতুন নার্স- সেই সঙ্গে একটি আয়া । ২০৪ গজেন্দ্রকুমার 'িল্ল রচনাবলী (৬ষ্ঠ)- ১৪ দময়ন্তৰ চলে গেছে ।*** কখন গেছে, কাল আবার আসবে কিনা" সঙ্কোচে--অকারণ সগ্চকোচেই, [নিজের মনে পাপ থাকলে সহজ ও স্বাভাবিক প্রশ্নও করতে পারে না মানুষ-_ জিজ্ঞাসা করতে পারল না কাউকে । তবু তখনও মনে হয়েছে, একবেলার বেশন ডউাট দেওয়া তো সম্ভব নয়-_ তাই চলে গেছে । নিশ্চয় কাল সকালে আবার আসবে । পরের দিন সকালেও অন্য একজন নার্স এল । দময়ন্তা নয়। তার পরের 'দনও এল না সে। দময়ন্তী বোধহয় আর কোনাঁদনই আসবে না। একবার ওরই মধ্যে কথাপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করোছিল সে মিসেস হাসকারকে-__ “সোঁদন এ যাকে 'দয়েছিলেন-দো আই িডিংনংট্‌ লাইক হার--তব একটা ধন্যবাদ দেওয়া উঁচত 'ছিল-_কিম্তু কৈ, তান তো এলেন না! আপাঁন ঠিকই বলোছলেন-_্য বেস্ট, এঁফাঁসয়েন্ট তাতে কোন সন্দেহ নেই ।, তখনই শুনোঁছিল, দময়ন্তীর অন্য একটা কাজ আগেই ধরা ছিল-- সেইখানে গেছে। এ একবেলার জন্যেই পাঠানো হয়োছল তাকে । অনেক ক'রে বলে-কয়ে। মিস লাহিড়ীর আবার কতকগুলো ফ্যাড আছে-_-একই সঙ্গে নিম্নমধ্যাবত্ত ও বড়লোক দুই বাঁড়র কেস এলে ও ইনভোরয়েবাঁল গাঁরবের বাঁড়ই বেছে নেয়। আর সহজে বাঙালণর বাঁড় যেতে চায় না। সেখানের পুরুষগুলো নাকি বড় টঈীজ? করে। ইত্যাদি-_ অবশ্য দময়ন্তশ আর আসে নন ভালই হয়েছে । নীলমার জ্ঞান হ'তে প্রথম যা কথা বলেছে সে- বাংলা শেখার পর স্বামীর সঙ্গে পাঁরম্কার বাংলাতেই কথা বলে_-ইীনই ?ক তোমার সেই মেয়েমানুষ- রক্ষিতা--যার কথা ভাঁ়য়ে বয়ে করোছিলে আমাকে, বাবাকে বোকা বাঁঝয়ে 2***ও মাগীটা এসোছল কেন-_তুঁমই আ'নয়েছ বুঝ বলে- কয়ে? ভেবেছিলে আমি যাঁদ মরে যাই, এইখানে এনে ওকে বসাবে গিন্নশ কঃরে--?' পছঃ নীগলমা, মৃদু অনুযোগের সুরে বলে অরাবন্দ, কম্তু কপালে ঘাম দেখা দেয় সঙ্গে সঙ্গে, সেই “বাতানুকুলিত” ঘরেও--আঁম একটা ভূল করোছলুম-_টুট? আমার এক বম্ধূর বোন, তার সঙ্গে-। এ ভদ্রমহিলা ভোর এঁফাঁসয়েপ্ট, তোমার জনো সোঁদন অনেক পাঁরিশ্রম করেছেন-_এশ্র সম্বন্ধে এরকম ভাষা ব্যবহার করা তোমার আদৌ উচত নয়, ডেকে ধন্যবাদ দেওয়াই উচিত! “দ্যাখো, তুমি আর ন্যাকা বুঝিও না আমাকে । অনেক ঠাঁকয়েছ। ওকে দেখে তোমার মুখ সাদা হয়ে 'গিয়োছিল--ভাবছ আম লক্ষ্য কার নি ?"""ষতই ১০ যন্ণা হোক ওটুকু ভুল দৌথ নি। ধন্যবাদ দেবে না ছাই দেবে! ভাঁগাস আসে 'ন আর--নইলে জুতো মেরে তাড়াতুম ।' এ ধরনের রোগিণীকে অকারণ উত্তোজত করা উঁচত নয় বুঝে অরাঁবন্দ তাড়াতাঁড় বৌরয়ে আসে । তাছাড়া এ প্রসঙ্গ পীঁড়াদায়ক শুধু নয়, বেশীক্ষণ আলোচনা করলে ধরা পড়বারও ভয় আছে । ননজের ওপর সমন্ত কৃ-ত্ব হারিয়ে ফেলেছে ষেন। তব: নীলমার ওপর রাগ হয় না তার কে জানে কেন--বরং একটা তিন্ত হাঁসই ফুটে ওঠে ওর মখে। সে 'বার্গেন? করেছে তার জীবনে-জন্দেগীর ব্যাপারে সে এই মুনাফা “ঘরে তুলেছে দুঃখ ক'রে লাভ কি ? সুবিধার একটা দিক দেখার এই তো অস্মাবধা। আর-_নশীলমাকে খুব একটা দোষ দেওয়াও যায় দি? সবাই অশোকা নয়-_ নীলিমার জায়গায় অন্য মেয়ে হ'লেও সে এই কথাই বলত ].** অরাঁবন্দর ভাগ্যেই যাঁদ এইরকম ঘটনা ঘটত--সে ক মনোভাব পোষণ করত সেই পুরুষ সম্বন্ধে ? আরও কণ্টা দিন মনের সঙ্গে যূদ্ধ ক'রে, সংস্কার ও সংদ্কৃতির সঙ্গে লড়াই ক'রে হার মানল। অশোকার খবর চাই*ই তার-_-এজন্য যে যাই বলুক । বলবার কেউ নেই অবশ্য, গনজের 'ববেক ছাড়া । এ অন্যায়, এ অশোভন--অশোকার প্রাত আঁবচার--সবই সাত্য, তবু সে পারবে না একবার দেখা না করে থাকতে। 1বশেষ ছেলে, তাদের ছেলে--খোকনের খবর চাই-ই তার । ?মসেস হাসকারকেই অনেক তোষামোদ ক'রে ঠিকানা বার করল অরাবন্দ। 1তাঁন কিছুতেই দিতে চান না, ব্যান্তগত ঠিকানা দেওয়া রীতি-বরুদ্ধ। কী বলছেন 'মঃ মাল্লক, তাকে ধন্যবাদ দিতে চান? সেই সঙ্গে কিছ: পুরস্কারও ? তা বেশ তো, যা উপহার কি পারতো ঁষক দিতে চান মিঃ মল্লক, সে তো এখানেই রেখে যেতে পারেন--তাঁরা ওকে 'দয়ে রাঁসদ 'লাখয়ে মিঃ মল্লীকের কাছে পাঠিয়ে দেবেন । যাই হোক শেষ পর ন্ত পাওয়া গেল। ব্যবহারজীবীর 'মথ্যা ভাষণের ক্ষমতার কাছে হার মানতে হ'ল 'মসেস হাসকারকে। এ ওয়াঁকং গাল“স্‌দের হোস্টেল হয়েছে নতুন-সেইখানে থাকে 'দময়ন্তণ । ২০) সাধারণত ডিউটি ছাড়া কোথাও বেরোয় না--কারণ যে-কোন সময়ে টোলফোনে ডাকলেই ওকে পাওয়া যায়। আছে, ক মেয়েও [হোস্টেলে আছে- এয়ার হোস্টেস জাতীয়--ষাদের জন্যে সন্ধ্যের পর ছোট বড় মাঝাঁর অনেক গাঁড় এসে দাঁড়ায় অন্ধকারে, কোন কোন স্বজপ সৌভাগ্যবতীর জন্যে স্কুটারও আসে, আটটা নাগাদ নিয়ে বোরয়ে যায় আবার দশটা সাড়ে দশটায় 'ফাঁরয়ে দিয়ে যায়-কিন্তু দময়ন্তী লাহিড়ী সে ধরনের মেয়ে নয়, খুব সোবার ও কোয়ায়েট । শুধু মাঝে মাঝে, ওর কে আত্মীয় থাকেন দেরাদুনে- দু-একাদন সেখানে গগয়ে কাটিয়ে আসে । তবে গেলে সে আগে বলে যায়-_ঠিক করে আসবে তাও জানিয়ে যায় । কারণ দময়ম্তীর খুব 'িমান্ড__সবাই ওকে চায়-_যাঁদও স্টরেঞ্াল--সে বাঙালশ বাঁড় পারতপক্ষে যেতে চায় না। মারোয়াড়ী ও পাঞ্জাবীর বাঁড়ই বেশী পছন্দ তার । এমব্যাসী স্টাকইও-_ দরকার হলে ওকে খোঁজে । কারণ ওর এফাঁসয়েন্সী । সাঁত্যই কাজের মেয়ে সে এটা ঠিক। ইত্যাণদ-_ অরাঁবন্দের নতুন বাঁড় থেকে হাউজখাস খুব দূর নয়। গহসেব ক'রে ঘাঁড় দেখে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গগিয়ে হোস্টেলের কাছে দাঁড়াল। হোস্টেল তখন অপেক্ষাকৃত জনহণীন, কোলাহলহণশন । যাদের গাড়িতে ক'রে নিয়ে যাবার--যারা অজ্পবয়স+, তরঙ্গবতণী তাদের তখন নিয়ে চলে গেছে, বয়স্কা যারা তারা বিশ্রাম করছে । রাস্তা নিন । হোস্টেলের সামনে কতকগুলো গুল্মোর গাছ, তারই ছায়ায় গাঁড় রেখে একেবারে গেটের সামনে অপেক্ষা করতে লাগল অরাবন্দ | রাত আটটা পর্যন্ত দিনের ডিউটি, যেখানেই যাক- সাধারণত কোন বড়লোকের বাঁড় ডিউট থাকলে গাঁড় ক'রে এসে নাময়ে 'দয়ে যায়, নইলে বাসএ আসতে হয়--আধঘণ্টা চাল্পশ গমনিটের বোঁশ দোর হবে না। আজ [দিনেই ডিউটি ছিল, সেটা ফোন ক'রে জেনে নয়েছে অরাঁবন্দ | দোঁর হ'লও না, ন'টা বাজার 'মাঁনট কতক আগেই রাস্তার মোড়ে গিজটার সামনে__খুট খুট ক'রে জুতোর আওয়াজ উঠল । ণফরে দাঁড়য়ে অন্ধকারেই চিনতে পারল অরাঁবন্দ ! দশ বছর দেখে নি--তব্‌ অশোকার প্রাতাট অঙ্গভঙ্গী আজও তার মনে আছে। আজও তা তেমান আকর্ষক তার কাছে । আজও তা রন্তু উত্তাল ক'রে তোলে ওর ধমনীতে । গেটের একেবারে সামনে এসে পড়ে অশোকাও দেখতে পেল ওকে । একবার একটু যেন গাঁতটা মন্থরও হয়ে এসেছিল--কল্তু তার পরই আবার অভ্যন্ত নাল“গ্ততায় এগয়ে যেতে গেল । ৯২ কে দাঁড়য়ে আছে, কেন দাঁড়য়ে আছে তা জানার প্রয়োজন নেই ওর । অযথা কৌতূহল ওর স্বভাববিরহদ্ধ ৷ এবার অরাঁবন্দই একেবারে সামনে এসে দাঁড়াল, 'আমি তোমার জনো অনেকক্ষণ অপেক্ষা ক'রে আছি অশোকা 1”. উত্তর এত দ্রুত, এত স্বাভাঁবক ভাবে এল যে অরাবিন্দই চমকে উঠল, “কেন, কিছ প্রয়োজন আছে 2 প্রয়োজন- হ্যাঁ, প্রয়োজনেই এসোৌছি একট? 1, “কারও অসৃখবিসখ ? গমসেস মাল্পীক তো ভালই আছেন, নান্দনগ মহাপান্রের মুখে খবর পেলুম । সে-ই তো রান্রে থাকে ও*র কাছে__, সহজ, আত সহজ কথাবাতাঁ। আত স্বাভাঁবক বলার ভঙ্গ । অরাঁবন্দই বরং থাঁতয়ে গেল । বেশ একট আমতা আমতা ক'রে (বলল, “'না-সে ভাল আছে । আমার একট: অন্য কথা 'ছিল-_। বেশীক্ষণ সময় নেব না । আমার- আমার গাঁড়তে 1গয়ে বসতে আপাঁত্ত আছে ? “আছে বৌক। এখানে এ দশা এত সাধারণ যে তার একটাই ব্যাখ্যা জানা আছে লোকের ।**.আর আঁম সেভাবে ঠিক ব্যাখ্যাত হ'তে চাই না।, আত শান্ত অনুত্বোৌজত ভাবেই বলল কথাগুলো । কিম্তু এর যে আর অন্যথা হবে না তাও বুঝতে অস্মাবিধা হ'ল না অরাবন্দর | তাহলে ১ তোমার হোস্টেলে কোথাও বসা যায় না 2, একটু 'বপন্ন ভাবেই বলে অরাবন্দ। সে যেন আজ এই মেয়োটর-_- তার এককালের জীবন-সাঙ্গনীর কোন কল পাচ্ছে না। বড় অসহায়, বড় দীন-_এবং হয়ত একটু গনবেধিও লাগছে গনজেকে ওর কাছে। “আছে বৌক। াজটাররা এসে ইনমেটদের সঙ্গে দেখা করতে চান প্রায়ই, সেজন্যে ব্যবস্থাও রাখতে হয় । দুটো ঘর আছে। কিন্তু এরকি কোন প্রয়োজন আছে ? যাঁদ সামান্য কথা হয়--এখানেই তো বলতে পারেন । আর যাঁদ বেশী কিছ দরকার থাকে- আজ মাপ করুন, আমি আজ বড় টায়ার্ড ।, সাধারণ সৌজন্যসচক কথাবাতাঁ ॥ অপাঁরাঁচিতের মতোই । “না না,_খুব দোর করব না। তবু-প্লীজ, একটু কোথাও বাঁস চল ।' অনুনয়ের ভঙ্গী অরাঁবন্দর । যে ভঙ্গীতে একেবারেই অনভ্যন্ড সে। কোন মক্চেল তাকে এভাবে দেখলে 'বাস্মত হ"ত, চোখ রগড়ে ভাল ক'রে দেখত । আর কথা বাড়াল না অশোকা। কেবল তার ওষ্ঠ দুটি আরও দঢ়বদ্ধ হয়ে উঠল, ভাস্করক্ষোঁদত অপরূপ গচবৃকের ভঙ্গীতে একটা কঠিন সঙ্কজ্পের ভাব ফুটে উঠল । ২১৩ এ ভঙ্গী খুবই পাঁরচিত। তবে সেটা সেই আধো-আলোতে অরাঁবন্দর অত চোখে পড়ল না। সৌভাগ্যবশত সোঁদন 'ভাঁজটার্ঁ রূমে কোন ভিজিটার বা আঁতাঁথ' আগন্তুক ছিল না। সেটা অবশ্য "ভাঁঙ্পটার আসার সময়ও নয়-_-ভাজটাররা বোশর ভাগ আসেন ছহটর গদন অপরাহর--নয়তো সকালে । এসময় বোৌশর ভাগই কেউ বাসায় থাকে না-যারা থাকে তাদের এটা শুয়ে পড়ার সময় । সামনা-সামাঁন চেয়ারে বসে কোলের ওপর ব্যাগ এবং ব্যাগের ওপর হাত দুটি জোড় ক'রে রেখে অশোকা বলল, “বলুন ।, ভণতা বা ভামকা করার